Sunday 31 March 2024

এবিস নায়গ্রা (Abies Nigra) Homeo Remedy

Leave a Comment

 এবিস নায়গ্রা (Abies Nigra)


(আমেরিকার ঝাউগাছের মত একপ্রকার গাছের আঠা হইতে প্রস্তুত)

ক্রিয়া: ইহা একটি দীর্ঘক্রিয় ঔষধ এবং পাকস্থলীর উপরেই ইহার ক্রিয়া অধিক। কোনও পীড়ার সহিত বায়ু ও অম্লের লক্ষণ থাকিলে, বৃদ্ধদের অম্ল ও অজীর্ণ পীড়ার সহিত হৃৎপিণ্ডের কোনও পীড়া থাকিলে এবং অতিরিক্ত চা পান ও তামাক খাওয়ার জন্য ডিস্পেপসিয়া পীড়া হইলে- ইহাতে অধিক উপকার হয়। নার্ভাস, লেখাপড়ার কার্য্য বা চিন্তা করিবার ক্ষমতালোপ দিবসে নিদ্রালু-রাত্রিতে অনিদ্রা, কোষ্ঠবদ্ধতা, আহারের পর পেটে বেদনা, ভুক্তদ্রব্য পেটে গোলার মত হইয়া থাকা কিম্বা জড়াইয়া উঠা, বেদনা প্রভৃতি ইহার-চরিত্রগত লক্ষণ।


অম্লশূল-বেদনা-একটু পেট ভরিয়া আহার করিলেই পেটে এক- প্রকার যন্ত্রণাদায়ক বেদনা উপস্থিত হয়, মনে হয় পাকস্থলীর মুখে (in- cardia) যেন কি একটা গোলার মত শক্ত পদার্থ আটকাইয়া আছে। এবিসের রোগীর এক অদ্ভুত লক্ষণ-বেলা দ্বিপ্রহরে ও রাত্রিতে অত্যন্ত ক্ষুধা হয়, এমন কি ক্ষুধার জন্য নিদ্রা হয় না; কিন্তু প্রাতঃকালে কিছুমাত্র ক্ষুধা থাকে না।


হৃৎপিণ্ডের পীড়া-বুকের ভিতর একপ্রকার যন্ত্রণা হয় ও সেখানে বোধ হয় যেন কিছু আটকাইয়া আছে, রোগী তাহার জন্য পুনঃ পুনঃ কাশে, কাশির সময় মুখ দিয়া অনবরত জল উঠে, গলা যেন কেহ চাপিয়া ধরিয়াছে, তাহাতে দম বন্ধ হইয়া যাইবে এইরূপ বিবেচনা হয়। হৃৎপিণ্ডে তীক্ষ্ণ বেদনা, হৃৎপিণ্ড ভারী ও হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া ধীর হয়।


ঋতুস্রাব-দুই তিন মাস অন্তর হয় ও পুনরায় বন্ধ হইয়া যায়। 

সম্বন্ধ (complements) -ব্রায়োনিয়া, নক্স, থুজা, ক্যালি-কার্ব্ব। 

বৃদ্ধি (aggravation)-আহারের পরক্ষণেই।


শক্তিPotency)-১ম হইতে ৩০ শক্তি। 

প্রয়োগ: প্রতিদিন ৩/৪ বার





Read More

স্নায়ু দৌর্ব্বল্য (Nerve weakness ) এর হোমিও চিকিৎসা

Leave a Comment

 স্নায়ু দৌর্ব্বল্য (Nerve weakness )

স্নায়ু দৌর্ব্বল্য: মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় করা, ইন্দ্রিয় গণের অবসন্নতা, পেট ফাঁপা, অজীর্ণ, হাত পা ঝিমঝিম করা, স্মৃতিশক্তি লোপ, কোন বিষয়ে চিন্তা করতে না পারা, কথা কহিতে অনিচ্ছা, অনিদ্রা, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি এই পীড়ার লক্ষণ।


এসিড ফস 30/200: স্নায়ু-দৌৰ্ব্বল্য—মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, বুক ধড়ফড়, করা, ইন্দ্রিয়গণের অবসন্নতা, পেটফাপা, অজীর্ণ, হাত পা ঝিম-ঝিম করা, স্মৃতি- শক্তির লোপ, কোন বিষয় চিন্তা করিতে না পারা, কথা কহিতে অনিচ্ছা, অনিদ্রা, ভয়, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি এই পীড়ার লক্ষণ এবং এনাকার্ডিয়াম, আর্জেণ্ট-নাইট্রিকাম, এম্ব্রাগ্রেসিয়া এসিড-পিক্রিক, 'ক্যালি-ব্রোম, জিঙ্কাম, ফসফরাস, এসিড ফস, জেলসিমিয়ম, মস্কাস ইত্যাদি লক্ষণভেদে উহার সাধারণ ঔষধ। ফস্ফরিক এসিডের রোগী সাময়িক পরিশ্রমেই দুর্ব্বলতা অনুভব করে, রমণেচ্ছা অত্যন্ত প্রবল থাকে, অধিকক্ষণ লিঙ্গোদ্রেক—তাহাতে হয়ত সমস্ত রাত্রিই জাগিয়া থাকিতে হয়, পরে প্রচুর পরিমাণে রেতঃস্খলন হয়, অবসন্ন হইয়া পড়ে।

এসিড ফস প্রথমে মানসিক দৌর্বল্য পরে শরীর আক্রান্ত হয়, যে সকল যুবক শীঘ্র শীঘ্র বেড়ে ওঠে যাদেরকে অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করতে হয় ইহা তাদের পক্ষে অধিক উপযোগী। স্বাস্থ্যভঙ্গ, অতিরিক্ত দুঃখ, ভালোবাসায়  বঞ্চিত কিংবা শরীরের তেজস্কর পদার্থের ক্ষয়হেতু যখন শরীর নষ্ট হবার সম্ভাবনা তখনই ইহাকে স্মরণ করিবেন।

Antidote : ক্যামফর, কফি, স্ট্যাফি।

পরবর্তী ওষধ:  চায়না, ফেরম, সেলিনি, লাইকো, নক্স, সলফ, বেল, কষ্টি, আর্স।


এসিড-পিক্রিক—ডাঃ ন্যাস বলেন, স্নায়ু-দৌর্বল্যের যতগুলি ভাল ভাল ঔষধ আছে—“অতিশয় ইন্দ্রিয়চালনা" পীড়ার কারণ হইলে- পিক্রিক-এসিড প্রায় সকল ঔষধের শীর্ষস্থানীয়। যেখানে এই এসিডের প্রয়োজন তথায় রোগীর সর্বদাই মন মরা, কেবলমাত্র শুইয়া থাকিতে ইচ্ছা, উদাসীনতা, চক্ষে অন্ধকার দেখা, সকল কার্যেই স্পৃহাশূন্যতা, পা সর্বদাই ভারী বোধ এবং কোমরে বেদনা ও গায়ে জ্বালা অনুভব করা, কোন বিষয়ে মনসংযোগ করিতে না পারা, এই লক্ষণগুলি স্পষ্ট সমাবেশ দেখা যায়। ক্রম-- ষষ্ঠ হইতে সিএম শক্তি


স্ট্যানম: শারীরিক ও মানসিক অত্যধিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা, পক্ষাঘাতের মত দুর্বলতা গলা ও বক্ষস্থলের অত্যধিক দুর্বলতার জন্য কথা কহিতে হাসিতে জোরে পাঠ করিতে কষ্টবোধ। উপর হইতে নিচে নামিতে হইলে যেন মূর্চ্ছার মত হয় কিন্তু উপরে উঠিতে তত কষ্ট হয় না।


এনাকার্ডিয়ম: ডক্টর হিউজেস বলেন-- জ্ঞাতসারেই হোক অথবা অজ্ঞাতসারেই হোক ক্রমাগত শুক্রক্ষরণ বা বীর্যস্খলন হেতু স্নায়ু দুর্বলতা ও স্মৃতিশক্তির হ্রাস হইলে উপকারী। (প্রত্যহ প্রাতে সেবনে আশাতীত উপকার হয়।)

Antidote: ক্লিমেটিস, ক্রোটন, কফি, জগ- ল্যান্স রানান-বালবো, রাসটক্স,

 পরবর্তী ঔষধ:  লাইকো, প্ল্যাটিনা, পলস।

 ক্রম: ৬- ৩০ 

অম্লশূল বেদনায় ২০০ বা আরো উচ্চশক্তি উপকারী।

Read More

Sunday 8 January 2023

বৌদ্ধ দর্শনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। (Give a brief sketch of Bauddha Philosophy.)

1 comment

 বৌদ্ধ দর্শনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। (Give a brief sketch of Bauddha Philosophy.) 


উঃ খ্রীস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে হিমালয়ের পাদদেশে কপিলাবস্তু নগরে এক রাজ পরিবারে জন্ম নিলেন বুদ্ধ। পরিবার থেকে নাম রাখা হল গৌতম। রাজা ঐশ্বর্যের মাঝে গৌতম হাপিয়ে উঠলেন দিনের পর দিন। জরা, ব্যাধি, মৃত্যুর দৃশ্য দেখে তাঁর উপলব্ধি হল এ সংসার দুঃখময়। একদিন চোখের সামনে দাঁড়াল এক সন্ন্যাসী- সৌম্য, দিব্য, আনন্দময়। মুগ্ধ হলেন গৌতম। ভাবলেন সন্ন্যাস গ্রহণই দুঃখ-বেদনা থেকে মুক্তির উপায়। রাজার কুমার রাজপ্রসাদ থেকে বেরিয়ে এলেন। তখন তাঁর ঊনত্রিশ বছর বয়স। এরপর দীর্ঘকাল গয়ায় বোধিবৃক্ষতলে গভীর ধ্যান ও সাধনার মাধ্যমে সত্যের সন্ধান পেলেন। দুঃখের রহস্য উন্মোচিত হল। সম্যক জ্ঞান লাভ করলেন তিনি। সত্যের স্বরূপ জেনে তিনি হলেন তথাগত। বিশ্ববাসীকে দুঃখকষ্ট থেকে চিরমুক্ত করার জন্য তিনি তাঁর ধ্যানলব্ধ জ্ঞান প্রচারে হলেন অগ্রণী। তাঁর ধর্মবাণী ছড়িয়ে পড়ল দিক-দিগন্তে। অহিংসা, প্রেম করুণার ধারায় শুচিস্নান করল পৃথিবী। আশি বছর বয়সে তিনি নির্বাণ লাভ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর বৌদ্ধধর্ম ধীরে ধীরে এক বিশ্বধর্মে পরিণত হল।


দার্শনিক বলতে আমরা সাধারণভাবে যা বুঝে থাকি, বুদ্ধদের ঠিক সেই অর্থে দার্শনিক নন। করুনাঘন মুগ্ধ ছিলেন ধর্ম ও নীতিতত্ত্বের প্রচারক। তাত্ত্বিক আলোচনায় বুদ্ধদের উৎসাহী ছিলেন না। বুদ্ধদেব ছিলেন সত্যদ্রষ্টা। আধ্যাত্মিক চেতনার গভীরে তার দৃষ্টি ছিল সমাহিত। তিনি ছিলেন জীবনবাদী মহাপুরুষ। জগতের সৃষ্টি তত্ত্বের যে সব দার্শনিক প্রশ্ন রয়েছে, তা নিয়ে কালহরণ না করে তিনি দুঃখজর্জর মানুষকে মুক্তির উপায় বলে দিতেন। 


বুদ্ধদেবের নিজের রচিত কোন গ্রন্থ ছিল না। তিনি কথোপকথনের মাধ্যমে শিষ্যদের উপদেশ দিতেন। তাঁর মৃত্যুর পর তার উপদেশগুলি শিষ্যরা পালি ভাষায় গ্রন্থের আকারে ধরে রাখলেন। গ্রন্থগুলি হল 'পিটক। এই পিটকের সংখ্যা তিনটি—বিনয় পিটিক, সুত্র পিটক ও অভিধৰ্ম্ম পিটক। এগুলিকে ত্রিপিটক বলা হয়। 


সাধনার শীর্ষে গিয়ে বুদ্ধদের চারটি সত্যের সন্ধান পেয়েছিলেন। বৌদ্ধ দর্শনে এ চারটি সত্য চারটি আসিতা আর্যসত্য নামে পরিচিত। এ চারটি সত্য হল : (১) দুঃখ, (2) দুঃখ- সমুদায়, (৩) দুঃখ-নিরোধ ও (৪) দুঃখ-নিরোধ মার্গ।


প্রথম আর্যসত্য : 'সর্বং দুঃখম্'—সবই দুঃখময়। জনমে মরণে দুঃখ। আকাঙ্ক্ষায়, উৎকণ্ঠায়, হতাশায় দুঃখ। প্রিয়-বিচ্ছেদে, অপ্রিয়-সংযোগে দুঃখ। যা অনিত্য তা দুঃখে ভরা। কোথাও আনন্দ নেই, সুখ নেই। সুখের মাঝেই দুঃখের বীজ লুকিয়ে রয়েছে। সমস্ত পৃথিবীটাই একটা বিরাট আগুনের কুণ্ড। সমস্ত জীব জরা-ব্যাধি-মৃত্যুর দুঃখের আগুনে পুড়ে পুড়ে মরছে।


দ্বিতীয় আর্যসত্য : দুঃখ সমুদায়' বা দুঃখের কারণ আছে। বুদ্ধদেবের দ্বিতীয় আর্যসত্যটি 'প্রতীত্যসমুৎপাদ' বা কার্যকারণ সম্পর্কের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রতীত্যসমুৎপাদ নিয়ম অনুযায়ী এ পৃথিবীতে যে কোন ঘটনার পশ্চাতেই কোন-না-কোন কারণ আছে। কারণ ছাড়া কোন ঘটনা ঘটতে পারে না। দুঃখেরও কারণ আছে। জরা মরণের কারণ হল জাতি (জন্ম)। জাতির কারণ হল ভব (পুনরায় জন্মগ্রহণের বাসনা)। ভব'র কারণ হল উপাদান (সাংসারিক বস্তুর প্রতি আসক্তি)। উপাদানের কারণ হল তৃষ্ণা (বিষয় ভোগের ইচ্ছা)। তৃষ্ণার কারণ বেদনা (পূর্ববর্তী ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা)। বেদনার কারণ স্পর্শ (বস্তুর সাথে ইন্দ্রিয়ের সংযোগ)। স্পর্শের কারণ ঘড়ায়তন (চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক ও মন)। ষড়ায়তনের কারণ হল নামরূপ (দেহ-মন গ্রন্থি)। নামরূপের কারণ হল বিজ্ঞান (চৈতন্য)। বিজ্ঞানের কারণ হল সংস্কার (পূর্ব জীবনের অভিজ্ঞতার ছাপ)। সংস্কারের কারণ হল অবিদ্যা (চারটি আর্যসত্তা বিষয়ে প্রকৃত জ্ঞানের অভাব)। কার্যকারণ শৃঙ্খলের এই বারোটি অঙ্গকে 'দ্বাদশ নিদান' বলা হয়।


তৃতীয় আর্যসত্য : ‘দুঃখ-নিরোধ'। দুঃখের যে সব কারণ আছে সেই কারণগুলি দূর করলেই দুঃখ-নিরোধ সম্ভব। দুঃখ নিবৃত্তিই নির্বাণ। নির্বাণ হল মুক্তি — দুঃখ থেকে চিরমুক্তি। এ জীবনেই নির্বাণ লাভ করা যায়। 


চতুর্থ আর্যসত্য : 'দুঃখ-নিরোধ মার্গ। যে পথ ধরে নির্বাণ লাভ করা যায় বা দুঃখ থেকে চিরমুক্তি পাওয়া যায়, তাই হল দুঃখ-নিরোধ মার্গ। এ পথের নাম 'অষ্টাঙ্গিক মার্গ। এই মার্গের আটটি স্তর হল: (১) সম্যক দৃষ্টি। চারটি আর্যসত্যের প্রকৃত জ্ঞানই সম্যক দৃষ্টি। (২) সম্যক সঙ্কল্প। সত্যের জ্ঞানালোকে জীবন নিয়ন্ত্রণ করা ও কর্ম করার দৃঢ় ইচ্ছাই সম্যক সঙ্কল্প। (৩) সম্যক বাক্য। সত্য ভাষণ, প্রিয় কথন, শিষ্ট আলোচনা, সংযত আলাপ, মধুর বাক্য বিনিময়ই বাক্ সংযমের লক্ষণ। (৪) সম্যক কর্মান্ত। জীবহত্যা, চুরি করা, ইন্দ্রিয় সেবা থেকে বিরত হওয়া। (৫) সম্যক আজীব। উদ্দেশ্য ও উপায় উভয়কেই সৎভাবে রেখে জীবনযাত্রা নির্বাহ করা। (৬) সম্যক ব্যায়াম। মনে সৎ চিন্তার উদয় ও স্থিতিতে প্রযত্ন ও প্রচেষ্টা। (৭) সম্যক স্মৃতি। জীবন ক্ষণস্থায়ী, জগৎ অনিত্য, সব কিছু পরিবর্তনশীল—এ বিষয় জ্ঞানে-স্মরণে-মননে ধরে রাখা। (৮) সমাক সমাধি। একাগ্রচিত্তে মনঃসংযোগের নামই সমাধি।


যদিও বুদ্ধদেব তাত্ত্বিক আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করতেন না তবুও তাঁর নৈতিক শিক্ষার মূলে কতকগুলি দার্শনিক তত্ত্ব নিহিত, যেগুলি হল— (১) প্রতীত্যসমুৎপাদ নীতি, (২) কর্মবাদ, (৩) অনিত্যবাদ (৪) নৈরাত্ম্যবাদ


(১) প্রতীত্যসমুৎপাদ নীতি অনুসারে জগতের প্রতিটি বস্তু বা ঘটনার পূর্ববর্তী 'কারণ' আছে। জগতে কোন কিছুই আকস্মিক ভাবে ঘটে না। জগতের কোন পরিণতির কারণ থাকতে পারে না।


(২) কর্মবাদ অনুসারে সংসারে যে যেমন কর্ম করবে সে তেমন কর্মফল ভোগ করবে। কর্ম দুই প্রকার—সকাম ও নিষ্কাম। সকাম কর্ম মোহযুক্ত ও নিষ্কাম কর্ম মোহমুক্ত। সকাম কর্ম ফলপ্রসূ হয়, কিন্তু নিষ্কাম কর্ম ফলপ্রসূ হয় না।


(৩) অনিত্যবাদ অনুসারে জগতে কোন কিছুই চিরন্তন নয়। সবই অনিতা, সবই ধ্বংসশীল। পরবর্তীকালে বুদ্ধ অনুগামীরা বুদ্ধদেবের অনিত্যবাদকে ক্ষণিকবাদে পরিণত করেন। ক্ষণিকবাদের বক্তব্য বিষয় হল, এক ক্ষণের বেশি কোন কিছুই স্থায়ী হয় না (সর্বং ক্ষণিকং সত্তাৎ)।


(৪) নৈরাত্ম্যবাদ অনুসারে কোন নিত্য বা চিরন্তন আত্মার অস্তিত্ব নেই, যেহেতু সব কিছুই অনিত্য। আত্মা হল চেতনার বিরামবিহীন প্রবাহ। এক জন্ম থেকে আর এক জন্মে মানসিক প্রক্রিয়া প্রবাহিত, তাই এ জীবন থেকে পরবর্তী জীবনে উত্তরণ ঘটার স্বাভাবিকতাতেই জন্মান্তর স্বীকৃত। কিন্তু জন্মান্তর মানে এরকম নয় যে নিত্য আত্মার নতুন দেহ ধারণ। চেতনার অবিরত প্রবাহের আড়ালে কোন নিত্য আত্মার অস্তিত্ব থাকাতে পারে না।


বৌদ্ধ দর্শনে ঈশ্বরকে স্বীকার করা হয় না। বৌদ্ধমত হল কোন অপরিণামী কারণ হিসাবে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই। ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ে সাধারণত যে সব প্রমাণ দেওয়া হয় সেগুলি বৌদ্ধমত অনুযায়ী যুক্তিযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নয়। এমন কি নৈতিক প্রগতির জন্যও ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করার কোন প্রয়োজন নেই। মোক্ষলাভের জন্যও মোক্ষদাতারূপে ঈশ্বরকে মেনে নেওয়ার কোন যুক্তি নেই, যেহেতু অষ্টাঙ্গিক মার্গের অনুসরণই মোক্ষলাভের উপায়।


বুদ্ধদের যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন তাঁর শিষ্যমণ্ডলী তার নির্দেশ অনুসরণ করে দার্শনিক তত্ত্বের আলোচনা থেকে বিরত ছিলেন। তাঁর তিরোভাবের পর বুদ্ধের শিক্ষা ও উপদেশের উপর ভিত্তি করে নানা দার্শনিক সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়েছিল। বুদ্ধের শিষ্যমণ্ডলী বৌদ্ধ ধর্মকে দর্শনের সুদৃঢ় ভিত্তিভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজেদের নিয়োজিত করলেন এবং এর ফলে চারটি উল্লেখযোগ্য দার্শনিক সম্প্রদায় গড়ে উঠেছিল। সম্প্রদায়গুলি হল যথাক্রমে- (১) মাধ্যমিক বা শূন্যবাদী সম্প্রদায়, (২) যোগাচার সম্প্রদায়, (৩) সৌত্রান্তিক সম্প্রদায় ও (৪) বৈভাষিক সম্প্রদায়।


(১) মাধ্যমিক বা শূন্যবাদী সম্প্রদায় : এই সম্প্রদায়ের মতে জড়জগৎ ও মনোজগৎ কোন কিছুরই সত্তা নেই—সবই শূন্য। পাশ্চাত্ত্য দার্শনিক ডেভিড হিউম (Hume)-এর মতবাদের সঙ্গে এই মতবাদের যথেষ্ট সঙ্গতি খুঁজে পাওয়া যায়। মাধ্যমিক দর্শনের প্রবর্তক হলেন নাগার্জুন।


(২) যোগাচার সম্প্রদায় : এই সম্প্রদায় অনুসারে বাহ্যবস্তুর স্বতন্ত্র সত্তা নেই। চেতনার সত্তা আছে। চেতনার বাইরে বস্তুর অস্তিত্ব আছে মনে করলে তা চেতনারই ভাব বা ধারণা মাত্র। চিন্তার সত্যতা প্রমাণ করতে গেলেও চেতনা বা মনের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতেই হবে। চিত্ত বা মন হল বিজ্ঞান-ধারা। জ্ঞানের বিষয় ব্যক্তি মনের ভাব ছাড়া আর কিছু নয়। যোগাচার মতকে বিজ্ঞানবাদ বলা হয়। এই মতবাদের সঙ্গে পাশ্চাত্য দার্শনিক বার্কলি (Berkeley)-র মতবাদের যথেষ্ট মিল আছে। অসঙ্গ, বসুবন্ধু প্রভৃতি দার্শনিকগণ যোগাচারবাদের প্রতিষ্ঠাতা।


(৩) সৌত্রান্তিক সম্প্রদায় ঃ সৌত্রান্তিকগণ সর্বাস্তিবাদী। এঁরা বাহ্যবস্তু ও মন উভয়েরই স্বতন্ত্র সত্তা স্বীকার করেন। সৌত্রান্তিকগণ বলেন, বাহ্যবস্তুর মনোনিরপেক্ষ সত্তা আছে। বাহ্যবস্তুর প্রকৃত অস্তিত্ব না থাকলে বাহ্যবস্তু সম্পর্কে ভ্রান্ত প্রত্যক্ষের ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বাহাবস্তুর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব না থাকলে বিভিন্ন চেতনার পার্থক্য ব্যাখ্যা করা যায় না। বাহ্যবস্তুর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নিশ্চয়ই আছে তা না হলে বস্তুর ধারণা বস্তু অনুযায়ী হয়েছে কিনা তা কিভাবে বোঝা যাবে? যেহেতু বস্তু আমাদের প্রয়োজন সিদ্ধ করে, তাই বাহ্যবস্তুর অস্তিত্ব মেনে না নেওয়া ছাড়া আমাদের উপায় নেই। যেহেতু ঘট ও ঘটের চেতনা সমকালীন, এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত নয় যে, ঘট (বস্তু) ও ঘটের চেতনা (বস্তুর চেতনা) অভিন্ন। অতএব বস্তু আছে বলেই আমরা বস্তুর ধারণা করি। এই মতবাদই বাহ্যানুমেয়বাদ। পাশ্চাত্য দার্শনিক জন লক (Locke) এই ধরনের মতবাদ প্রচার করেছেন। সৌত্রান্তিক সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে কুমার লাত-এর নাম প্রসিদ্ধ। 

(৪) বৈভাষিক সম্প্রদায় : বৈভাষিক সম্প্রদায় বাহ্যবস্তু ও মন উভয়েরই অস্তিত্ব স্বীকার করেন। সৌত্রান্তিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে এঁরা একমত। এঁদের মধ্যে ভিন্ন মত হল একটি প্রধান বিষয় নিয়ে ঃ সৌত্রান্তিকগণ যেখানে বলেন বাহ্যবস্তুকে প্রত্যক্ষ করা যায় না, তার অস্তিত্ব অনুমানের সাহায্যে জানতে পারা যায়। বৈভাষিকগণ সেখানে বলেন বাহ্যবস্তু প্রত্যক্ষগ্রাহ্য – অর্থাৎ সাক্ষাৎভাবে প্রত্যক্ষ করা যায়, কিন্তু অনুমানসিদ্ধ নয়। বৈভাষিকদের বাহ্যপ্রত্যক্ষবাদ বলা হয়। পাশ্চাত্য দর্শনে সরল স্বাতন্ত্রবাদীদের (Naive Realists) মতবাদের সঙ্গে এই মতবাদের সামঞ্জস্য আছে। 

কালক্রমে বৌদ্ধরা ধর্মের দিক থেকে দুটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যান— হীনযান ও মহাযান। প্রাচীনপন্থীরা হলেন হীনযান, যারা বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আচার-আচরণের বিধিগত কঠোরতা শিথিল করতে নারাজ। প্রাচীনপন্থীদের থেকে সরে এসে উদারপন্থীরা ধর্মের দিক থেকে মহাযান সম্প্রদায় গড়ে তুললেন। হীনযানদের ধর্মসাহিত্য রচিত হল পালি ভাষায় আর সংস্কৃত ভাষায় রচিত হল মহাযানদের ধর্মসাহিত্য। হীনযানীদের কাছে আত্মমুক্তি নির্বাণলাতের উদ্দেশ্য, মহাযানীদের কাছে সবার মুক্তি নির্বাণলাভের উদ্দেশ্য। মহাযানীরা মনে করেন, পরন জ্ঞান লাভ করাই নির্বাণের লক্ষ্য এবং ঐ পরম জ্ঞানের দ্বারা দুঃখ জর্জর মানুষের মুক্তিলাভে সহায়তা করাই নির্বাণের আদর্শ। হীনযানীদের প্রাধান্য বিস্তার ঘটেছিল সিংহল, শ্যাম ও ব্রহ্মাদেশে, মহাযানীদের প্রসার ঘটে তিব্বত, চীন, জাপানে।

<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>

Read More

চার্বাক দর্শনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ( Give a brief sketch of Carvaka Philosophy. )

Leave a Comment

 চার্বাক দর্শনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ( Give a brief sketch of Carvaka Philosophy. ) 


উঃ: ভারতীয় দর্শনে চার্বাক মত হল বিশুদ্ধ জড়বাদ। যে মতবাদে অচেতন জড় পদার্থই একমাত্র  তত্ত্ব এবং প্রাণ, মন, চৈতন্য প্রভৃতি জড় থেকেই উদ্ভূত, আত্মা ও ঈশ্বরকে স্বীকার করা হয় না; সেই মতবাদই হল জড়বাদ।


চার্বাক দর্শন যে অতিপ্রাচীন এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকে না। প্রাচীন মহাকাব্যে---রামায়ণ, মহাভারতের বিভিন্ন জায়গায়, বেদ ও বৌদ্ধ সাহিত্যে চার্বাক দর্শনের পরিচয় পাওয়া যায়। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন দার্শনিকগণ চার্বাক মতবাদ খণ্ডন করেছেন ও তাদের দর্শনের বিভিন্ন গ্রন্থে এই মতবাদের উল্লেখ রয়েছে। মনুসংহিতায়, বৌদ্ধগ্রন্থ "মঝ্ ঝিমনিকায়ে শংকরের 'বেদান্ত সূত্রভাষ্য গ্রন্থে চার্বাক মতের পরিচয় মেলে। প্রাচীন ভারতীয় চিন্তাধারায় যে জড়বাদী উপাদান নৈতিক, ধর্মীয়, রাজনীতিগত কারণে প্রসুপ্ত ছিল, চার্বাক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টায় তা এক নিটোল জড়বাদী দর্শনের রূপ পরিগ্রহ করেছিল।


চার্বাক দর্শনের প্রবর্তকরূপে ঋগ্বেদের ঋষি বৃহস্পতিলৌক্য বা ব্রহ্মণস্পতির নাম কোন কোন গ্রন্থে পাওয়া যায়৷ কথিত আছে অসুরদের মধ্যে বিভ্রান্তি আনার চেষ্টায় দেবতাদের গুরু বৃহস্পতি এই দর্শনকে ব্যাপ্ত করেন। এই বৃহস্পতির যে কি পরিচয় তা এখনও নির্ণীত হয়নি। কারও কারও মতে, 'চার্বাক' শব্দের উৎপত্তি হয় 'চর্ব ধাতু থেকে। 'চর্ব' অর্থ চর্বণ করা (খাওয়া)। চার্বাক দর্শন খাওয়া-দাওয়া, পান- ভোজনকেই জীবনের চরম উদ্দেশ্য বলে মনে করতেন। আবার কারও কারও ধারণা 'চার্বাক শব্দটির অর্থ হল চারু + বাক্ অর্থাৎ চারুবাক' বা মধুর বাক্য। মধুর কথা শোনায় বলেই জড়বাদীদের নাম হয়েছে চার্বাক। ঈশ্বর নেই, আত্মা নেই, জড়ই চরম তত্ত্ব, প্রত্যক্ষই একমাত্র প্রমাণ—এ সবই মিষ্টি কথার ঢেউ এবং সে যুগে এগুলি সাধারণের মধ্যে প্রচণ্ড সাড়া জাগিয়েছিল।


প্রকৃতপক্ষে চার্বাক দর্শনের কোন প্রামাণ্য গ্রন্থ আজও পাওয়া যায়নি। তার ফলে এ দর্শনের যে কে প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা, তা নির্ধারণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। যাই হোক, সাধারণ মানুষের কাছে চার্বাক দর্শনের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। দর্শনের গভীর তত্ত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত। আধ্যাত্মিক জগতের বিরাট ভাব ও বাণী তাদের কাছে অসার ও অর্থহীন। সাধারণভাবে বুঝবার পক্ষে যে মতবাদ, তারই আকর্ষণ তাদের কাছে সর্বাধিক। সাধারণ চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করে রচিত চার্বাক দর্শন তাই 'লোকায়ত দর্শন' নামে চিহ্নিত হয়েছে।


চার্বাক মতে প্রত্যক্ষই একমাত্র প্রমাণ। অনুমান বিশ্বাসযোগ্য নয়। অতএব অনুমান কোন প্রমাণই নয়। শব্দ প্রমাণও অনুমান-নির্ভর বলে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। চার্বাকগণ বলেন, সে বস্তুরই অস্তিত্ব আছে, যাকে ইন্দ্রিয়ের দ্বারা প্রত্যক্ষ করা যায়। যা ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষলব্ধ নয়, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। চার্বাকদের মতে পঞ্চেন্দ্রিয়ের সাহায্যে যে বাইরের বস্তুর সাক্ষাৎ জ্ঞান হয় তা হল বাহ্যিক প্রত্যক্ষ। মনের সাহায্যে সুখ, দুঃখ প্রভৃতি মানসিক অবস্থার যে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ হয় তাকে বলা হয় 'মানস প্রত্যক্ষ'।


চার্বাক মতে জড় পদার্থই পরম তত্ত্ব। চারটি মহাভূতের অস্তিত্ব আছে। এই চার রকম মহাভূতের সংযোগ-বিয়োগেই বিশ্বের যাবতীয় পদার্থের উৎপত্তি-বিলুপ্তি ঘটে। ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ এই চার মহাভূতের সংযোগেই জগতের সৃষ্টি সম্ভার। আকাশভরা সূর্য, তারা, গ্রহ, চন্দ্র বিশ্বভরা বৃক্ষলতা, জীব অবয়ব, মানব শরীর, — এসব কিছুরই চার মহাভূত থেকে আবির্ভাব ও চার মহাভূতেই তিরোভাব।


চার্বাক সম্প্রদায় চেতনার অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। চৈতন্য দেহের একটি গুণ। ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ এই চারটি মহাভূতের যে কোন একটির মধ্যে এই গুণটি যদিও থাকে না, এই চারটি মহাভূত নির্দিষ্ট পরিমাণে মিশ্রিত হলে যে দেহের উৎপত্তি হয়, সেই দেহে এই নতুন গুণ চৈতন্যের আবির্ভাব ঘটে। চার্বাকগণের মতে, পান, সুপারি, চুন—এই তিন বস্তুর কোনটিতেই লাল রঙ বা আভা নেই, কিন্তু একসঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঐ তিনটি বস্তুকে মিশিয়ে চিবোলে লাল রঙ দেখা যায়। ঠিক তেমনই ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ-এই চার মহাভূতের কোনটিতেই চৈতন্য না থাকলেও এগুলির নির্দিষ্ট পরিমাণ সংমিশ্রণে চৈতন্যের আবির্ভাব ঘটে। জড়েরই উপরন্ত হল চৈতন্য। 


চার্বাকগণ আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। তাঁদের মতে, দেহের অতিরিক্ত আত্মার কোন  সত্তা নেই। চৈতন্যবিশিষ্ট দেহই হল আত্মা। দেহ ও আত্মা অভিন্ন। দেহের বিনাশে আত্মারও বিনাশ ঘটে। 

চার্বাকগণের মতে, পরজন্ম একটি ভ্রান্ত ধারণা। বর্তমান জীবনই সত্য। চার্বাকগণ আত্মার অমরতায় বিশ্বাসী নন। তাঁরা কর্মফল ভোগকেও হেসে উড়িয়ে দেন। মানুষ এ জন্মে ভাল কাজ করলে পরের জন্মে দারুণ সুখ ভোগ করবে আর এ জন্মে খারাপ কাজ করলে পরের জন্মে দারুণ দুঃখ ভোগ করবে—এসব কথা অর্থহীন ও অযৌক্তিক।


ভারতীয় দর্শনের অনেক সম্প্রদায়ই মোক্ষের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। অনেক ভারতীয় দার্শনিক স্বীকার করেন মোক্ষলাভ করাই মানবজীবনের পরম আদর্শ। মোক্ষ পর্যায়ে চার্বাকগণের ঘোরতর আপত্তি। তাদের বক্তব্য হল, যদি আত্মারই কোন সত্তা না থাকে, তাহলে আত্মার আবার মুক্তি কি? আত্মার মুক্তি ভ্রান্ত ধারণাভিত্তিক।


চার্বাকগণ বেদ-বিশ্বাসী নন। তাঁরা মনে করেন ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই। জগৎ সৃষ্টির সহায়ক ঈশ্বর নন, চার মহাভূতের স্বাভাবিক সংমিশ্রণেই জগৎ সৃষ্টি হয়েছে। পুরোহিতরাই  ঈশ্বরের নাম ভাঙিয়ে জীবিকা অর্জনের তাগিদে সাধারণ মানুষকে ঈশ্বর আরাধনা করার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। ঈশ্বর নেই। ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করা যায় না। যা প্রত্যক্ষ করা যায় না তার অস্তিত্বেও বিশ্বাস করা যায় না। চার্বাকগণ মনে করেন, বিশ্বে যা কিছু ঘটছে তাই স্বাভাবিক। জড় উপাদানের স্বাভাবিক পরিণতি এই জগৎ। জগৎ সৃষ্টির পেছনে কোন সচেতন উদ্দেশ্য থাকতে পারে না।


চার্বাক মতে, ইন্দ্রিয় সুখই মানব জীবনের পরম আদর্শ। ধর্ম নয়, মোক্ষ নয়, কাম ও অর্থই হল মুখ্য ও গৌণ পুরুযার্থ। সুখই স্বর্গ। সুখ লাভ করাই জীবের চরম উদ্দেশ্য। এ জীবনে যে সবচেয়ে বেশি সুখ লাভ করতে পারে তারই তো সাধু জীবন। পরজন্মে সুখ পায় বলে যারা এজন্মে কৃচ্ছ্রসাধনা করে তাদের মত বোকা আর কেউ নেই। চার্বাকদের বিখ্যাত উক্তিও "যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ, ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ” অর্থাৎ "যতদিন বাঁচ সুখে বাঁচ, ঋণ করেও ঘি খাও। চার্বাকদের বক্তব্য, বেঁচে থাকা তো সুখে দুঃখেই। দুঃখ আছে বলে কি কেউ সুখ চাইবে না ? মাছে কাঁটা আছে বলে কি কেউ মাছ খাবে না? দুঃখ মিশে আছে বলে বর্তমান সুখকে পরিহার করা মানুষের পক্ষে বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। জীবের সুখ ও শান্তি নির্ভর করে জৈবিক প্রবৃত্তির যথেচ্ছ রূপায়ণের উপর।

Read More

Monday 19 December 2022

MCQ of Mackbeth , Class xi (wbchse)

Leave a Comment

  MCQ of Macbeth 

Complete the sentences which follow, choosing the correct answer from the alternatives given : [1 mark each] 


1. Duncan was the king of ---

 (a) Ireland, (b) England, (c) Scotland, (d) France. XI-'14

Ans. (c) Scotland


2. The witches looked like -

(a) charming ladies, (b) mad creatures, (c) unearthly creatures, (d) queens. XI-18, 15

Ans. (c) unearthly creatures.


3. The three unearthly creatures that met with Macbeth and Banquo, were singing -

(a) Heave ho!, (b) Fair is foul, and foul is fair, (c) Hey and a ho and a hey nonnino!, (d) Avaunt! XI-16

Ans. b) Fair is foul, and foul is fair.


4. The first of the three witches saluted Macbeth with the title of -


(a) Thane of Glamis, (b) Thane of Cawdor, (c) King of Scotland, (d) Great General. XI-19, '17

Ans. (a) Thane of Glamis.


 5. "Lesser than Macbeth and greater". The man who was talked about is ---

(a) Macduff's father, (b) an Irish general, (c) Malcolm's father, (d) Banquo  . XI-19

Ans. (d) Banquo


6. Malcolm and Donalbain were the sons of -


(a) Macduff, (b) Banquo, (c) The Thane of Cawdor, (d) Duncan. XI-15, '18

Ans. (d) Duncan.


7. The name of Macbeth's castle was -

 (a) Dunsinane, (b) Inverness, (c) Invernes, (d) Birnam. XI-'17 

Ans. (b) Inverness.


8. Lady Macbeth could not kill Duncan because---

 (a) Duncan resembled her father, (b) Macbeth did not allow her, (c) there were guards sitting at the door, (d) she was weak and irresolute. XI-'14

Ans. (a) Duncan resembled her father.


 9. Macduff was the Thane of --

 (a) Cawdor, (b) Ross, (c) Fife, (d) Glamis. XI-'16

Ans. (c) Fife


10. Macbeth was killed by ---

(a) Malcolm, (b) Donalbain, (c) Macduff, (d) Banquo. XI-'17 - 

Ans. (c) Macduff.


11. Duncan was the king of-

(a) Ireland (b) England  (c) Scotland (d) Greenland

Ans. (c) Scotland


12. Duncan was a- 

(a) cruel king (b) meek king (c) foolish king (d)  tyrant king

Ans. (b) meek king


13.  At first Macbeth was a great thane of- 

(a)  Cawdor (b) Glamis (c) Kent (d) Cumberland

Ans. (b) Glamis 


14. Macbeth was a near kinsman to- 

(a) Banquo (b) Malcolm (c) Duncan (d)  Fleance

Ans.  (c) Duncan


15.  Banquo was-

(a) Irish general (b) a Scottish general  (c) an English general (d) an Ireland general

Ans. (b) a Scottish general 


16. The three figures whom a unearthly creatures Macbeth and Banquo saw were-

(a) unhealthy creatures (b) witches (c) women (d) fairies

Ans. (b) witches


17. Macbeth was saluted with the title of Thane of Cawdor by the-

(a) first of the weird creatures

(b) second of the witches 

(c) third of them

(d) both (a) and (b)

Ans. (b) second of the witches


18. The witches spoke to Banquo in-

(a) simple words  (b) riddling terms (c) weird language (d) mysterious language

Ans. (b) riddling terms


19. Lady Macbeth was-

(a) a good natured woman (b) sympathetic woman (c) mean-minded woman (d) ambitious woman

Ans. (d) ambitious woman


20. The prophecy of the witches inflamed Lady Macbeth with-

(a) courage (b) ambition (c) frustration (d) hope

Ans. (b) ambition


21. Lady Macbeth continuously spurred Macbeth to ----

(a) be a king of Cumberland

(b) go to the witches 

(c) be a Scottish general

(d) murder Duncan

Ans. (d) murder Duncan


22. Duncan visited Macbeth's castle to-

(a) give him presents 

(b) honour him 

(c) make him a king of Scotland 

(d) making a army-general

Ans. (b) honour him 


23. Duncan was highly pleased at-

(a) Macbeth's success in the battle 

(b) Banquo's soldiership 

(c) the gentle reception of Mackbeth

((d) the prophecy of the witches

Ans. (a) Macbeth's success in the battle 


 24. Lady Macbeth waked up at-

(a) dawn (b) midnight (c) evening (d) noon

Ans. (b) midnight


25. Lady Macbeth woke up to-

(a) visit Duncan

(b) know how Duncan was sleeping 

(c) welcome Banquo

(d) plot the murder of Duncan

Ans. (d) plot the murder of Duncan


26. Lady Macbeth herself took a dagger because-


(a) she could execute the deed 

(b) she feared Duncan

(c) she was doubtful of Macbeth's purpose

(d) she was confident of her decision 

Ans. (c) she was doubtful of Macbeth's purpose


27.  She intoxicated the grooms of Duncan's chamber with-

(a) drug  (b) wine (c) milk (d) opium

Ans. (b) wine


28. Lady Macbeth accused her husband of-

(a) cowardice (b) fickleness (c) indifference (d) fickleness and cowardice 

Ans. (d) fickleness and cowardice 


29. Lady Macbeth thought of laying the guilt of the deed upon-

(a) Banquo 

(b) one of the messengers 

(c) the grooms

(d) Fleance

Ans. (c) the grooms


30. Macbeth saw a blood-stained dagger-

(a) in his room (b) in the castle (c) in the air (d) in his room

Ans. (c) in the air


31. Duncan was murdered-

(a) in his own house (b)  in Macbeth's castle (c) in the royal court (d) in Ireland

Ans. (b)  in Macbeth's castle


32. The blood-stained dagger that Macbeth saw in the air was- 

(a) mere blade (b) real (c) unreal (d) a knife

Ans. (c) unreal


33. Duncan's murder was committed with- 

(a) one stroke (b) two strokes (c) three strokes (d) four strokes

Ans. (a) one stroke


34. Macbeth could not pronounce the word-

(a) God  (b) Amen  (c) murder  (d)  christ

Ans.  (b) Amen 


35. The murder was discovered in the-

(a) evening  (b) next morning (c) afternoon (d)  midnight

Ans. (b) next morning


36. The entire suspicion fell upon- 

(a) the grooms (b) Macbeth (c) Lady Macbeth  (d) Banquo

Ans. (b) Macbeth


37.  The name of the eldest son of Duncan was-

(a) Donalbaina (b)  Malcolm (c) Angus (d) Macduff

Ans. (b)  Malcolm 


38. Macbeth and Lady Macbeth wanted to kill-

(a) Banquo (b) weird sisters (c) Macduff (d) both Banquo and his son

Ans. (d) both Banquo and his son


39. Macbeth had arranged a great supper and invited-

(a) only the Thanes  (b) Banquo only  (c) only Duncun  (d) all the chief Thanes, Banquo and his son

Ans. (d) all the chief Thanes, Banquo and his son


40. Banquo was murdered-

(a) in the palace  

(b) in his own house 

(c) on the way to the palace 

(d) in Mackbeth's castle

Ans. (c) on the way to the palace


41. Banquo was stabbed by-

(a) Macbeth (b) murderers (c) Fleance (d) Macduff

Ans. (b) murderers


42. At super Macbeth was discussing freely with--

(a)  Banquo (b) his thanes and nobles (c) Macduff (d) his queen

Ans. (b) his thanes and nobles 


43 The ghost of Banquo entered the room-

(a) at midnight (b) during supper (c) after dinner (d) in the evening

Ans. (b) during supper


44. Banquo's ghost was seen by-

(a) all the chief Thanes (b) Macbeth alone (c) Lady Macbeth (d) none of them

Ans.  (b) Macbeth alone 


45 Macbeth saw the ghost of Banquo and- 

(a) stood firmly before it

(b) talked freely with it

(c) trembled in fear

(d) pleased to see it

Ans. (c) trembled in fear


46. Lady Macbeth scolded Macbeth for his- 

(a) fit of distraction (b) infirmity of mind (c) unfriendly behaviour (d) gazing at the chair

Ans. (b) infirmity of mind 


47. Macbeth could not sleep peacefully for many days because-- 

(a) he was afraid of Banquo's ghost

(b) he thought of Fleance's successors to be the Kings after him

(c) he dreamt of keeping himself out of the throne

(d) he was afraid of Macduff

Ans. (b) he thought of Fleance's successors to be the Kings after him


48. The weird sisters came to know about Macbeth's visit by their- 

(a) imagination (b) insight (c) foresight (d) intuition

Ans. (c) foresight 


49. The weird sisters would like to conjure up- 

(a) angels (b)  spirits (c) ghosts (d) Macbeth

Ans. (b)  spirits


50. Macbeth wanted to have his doubts resolved by-

(a) the weird sisters (b) infernal spirits  (c) supernatural power (d) demons

Ans. (b) infernal spirits  


51. The first spirit made Macbeth aware of-

(a) Banquo's children (b) Fleance (c) Macduff (d) grooms

Ans. (c) Macduff


52. Macduff was the Thane of-

(a) Fife (b)  Glamis (c) Cawdor (d) Scotland

Ans. (a) Fife


53. Macbeth had entertained a jealousy of-

(a) Malcolm (b) Donalbain (c) Macduff (d) Banquo

Ans. (c) Macduff 


54. Macbeth was told to scorn the power of man by--

(a) first witch (b) the second spirit (c) third witch (d) one of the weird sisters

Ans. (b) the second spirit 


55. According to the prophecy of the third spirit Macbeth should never be vanquished until----

(a) he would go to Dunsinane Hill 

(b) Dunsinane Hill should come against him 

(c) the wood of Birnam to Dunsinane Hill came against him

(d) Dunsinane Hill moved to Scotland

Ans. (c) the wood of Birnam to Dunsinane Hill came against him


56. Hearing the prophecy of the third spirit Macbeth was----

(a) unhappy (b) frightened (c) joyful (d) distracted

Ans. (c) joyful 


57. Macbeth saw shadows which were-

(a) eight (b) nine (c) ten (d) eleven

Ans. (a) eight


58. The shadow that came at last in the series was that of---

(a) Macduff (b) Malcolm (c) Banquo (d) Donalbain 

Ans. (c) Banquo


59. A glass which showed many shadowy figures was carried by----

(a) Banquo (b) Donalbain (c) Macbeth (d) Malcolm

Ans. (a) Banquo


60. Macbeth understood that the shadowy figures in the glass were----

(a) Duncan's heir (b) Banquo's successors (c) the posterity of Macduff (d) Fleance's sons

Ans. (b) Banquo's successors


61. The first thing that Macbeth heard after getting out of the cave was that--- 

(a) Malcolm was going to compromise with him

(b) Macduff had fled to England

(c) Malcolm and Macduff were ready to visit Macbeth

(d) Birnam wood was coming to Dunsinane Hill

Ans. (b) Macduff had fled to England


62. Macbeth visited the castle of Macduff to---

(a) present gifts 

(b) attend supper 

(c) glorify Macduff before his wife

 (d) to slaughter Macduff's wife, children and relatives

Ans. (d) to slaughter Macduff's wife, children and relatives


63. Malcolm and Macduff were now approaching Macbeth with-

(a) a powerful army (b) Thanes and nobles (c) their followers (d) messengers

Ans. (a) a powerful army


64. Macbeth began to envy the condition of--

(a) Banquo (b) Duncan  (c) Macduff (d)  Fleance

Ans. (b) Duncan


65. Lady Macbeth was unable to bear-

(a)  the treason against her

(b) the remorse of guilt 

(c) the pangs of separation

(d) her husband's wicked purpose

Ans. (b) the remorse of guilt 


66. Lady Macbeth seemed to have died- 

(a) of a disease (b) by her own hands (c) in an accident (d) for the country.

Ans. (b) by her own hands


67. When Macbeth saw the approach of Malcolm's army; it roused his-

 (a) ancient courage (b) hope (c) unknown fear (d) unseen agony

Ans.  (a) ancient courage


68. Macbeth shut himself up in the- 

(a)  hall (b) castle (c) cave (d) terrace

Ans. (b) castle


69. A messenger who came to Macbeth was almost unable to report because he was- 

(a) terribly  frightened (b) dumb (c) very sad (d) confused

Ans. (a) terribly  frightened


70. Macbeth regarded the messenger as liar because-

(a) his report was false 

(b) he made Macbeth angry

(c) Macbeth could not believe him

(d) Macbeth did not understand his message

Ans. (c) Macbeth could not believe him


71. Macbeth had understood the idea of a wood moving- 

(a) in the same way the spirit meant 

(b) in a different sense

(c) in the sense that the wood would move about without killing him

(d) in the sense that the wood would hardly move to kill him

Ans. (b) in a different sense


72. When a skirmish took place, Macbeth was- 

(a) strongly supported by his friends

(b) inclined to join the party of Malcolm and Macduff 

(c) cutting to pieces all who were opposed to him

(d) desperate to save himself

Ans. (c) cutting to pieces all who were opposed to him


73. A fierce contest ensued between- 

(a) Macduff and Malcolm

(b)  Macbeth and Macduff

(c) Malcolm and Macbeth

(d) Malcolm and Duncun

Ans. (b)  Macbeth and Macduff


74. Macduff was-

(a)  born of a woman

(b) untimely taken from his mother

(c) born in the manner of ordinary men 

(d) born after the death of his mother 

Ans. (b) untimely taken from his mother


75. The witches and spirits deceived  Macbeth--

(a) in their promise 

(b) with confusing words 

(c) in sense and meaning 

(d) with false show of honour

Ans. (c) in sense and meaning


76. Macduff would have a show of Macbeth as men showed---

(a) monsters (b) animals (c) demons (d) goblins

Ans. (a) monsters

77. In the fight Macbeth was-

(a) killed (b) defeated (c) victorious (d)  humiliated

Ans. (a)  killed


78. In the end Macduff presented Malcolm- 

(a) a sword (b) Macbeth's skull (c) a throne (d) a wand

Ans.  (b) Macbeth's skull 


79. Malcolm ascended the throne of-

(a) Macbeth  (b) Duncan (c) Fleance (d) Macduff

Ans. (b) Duncan


80. When Macbeth and Banquo saw the three witches, they were —

(a) dancing and playing 

(b) dancing and singing

(c) playing and singing

(d) dancing and shouting

Ans: (b) dancing and singing


81. According to the song of the witches, they hover through —-

(a) fog and filth   

(b) foggish air and filth     

(c) filthy air and mist  

(d) fog and filthy air

Ans: (d) fog and filthy air


82. The first witch saluted Macbeth with the title of —-

(a) the thane of Glamis 

(b) the thane of  Cawdor 

(c) the thane of Norway 

(d) the thane of thanes 

Ans: (a) the thane of Glamis 


83. The second witch addressed Macbeth as —-

(a) the thane of Norway   

(b) the thane of Glamis

(c) the thane of Cawdor  

(d) the would-be king of Scotland

Ans: (c) the thane of Cawdor  


84. The third witch told that Macbeth will be —-

(a) the thane of Glamis hereafter

(b) the thane of Cawdor hereafter    

(c) the thane of Norway hereafter   

(d) the future king of Scotland

Ans. (d) the future king of Scotland


85. In the sleeping Duncan Lady Macbeth found a replica of —-


(a) her nephew  (b) her uncle (c) her grandfather  (d) her father

Ans. (d) her father


86. Malcolm, the eldest son of Duncan, fled to —-

(a) Ireland (b) Scotland (c) England   (d) Finland

Ans.(c) England   


87. Donalbain, the youngest son of Duncan, fled to —-

(a) Finland (b) England (c) Iceland (d) Ireland

Ans. (d) Ireland


88. The charm of the witches was prepared in a —-

(a) huge pot   (b) huge jug  (c) huge cauldron (d) huge mug

Ans: (c) huge cauldron


89. The charm which the weird sisters prepared was cooled with —-

(a) the blood of a goat    

(b) the blood of a cat    

(c) the blood of a child 

(d) the blood of a baboon 

Ans: (d) the blood of a baboon 


90. The number of the spirits who answered the doubts of Macbeth was —-

(a) three (b) four (c) two    (d) one

Ans. (a) three


91. The first spirit looked like —-

(a) a bloody child (b) an armed head    (c) a crowned head (d) a royal

Ans. (b) an armed head 


92. The first spirit told Macbeth to be aware of —-

(a) the thane of Glamis    

(b) the thane of Cawdor  

(c)  the thane of Fife

(d) the thane of Norway 

Ans.(c)  the thane of Fife


93. The name of the thane of Fife was —-

(a) Macbeth    (b) Banquo (c) Duncan  (d)  Macduff  

Ans. (d)  Macduff  


94. The second spirit looked like —

(a) a bloody child (b) a crowned head (c) a dead man (d) a withered creature

Ans. (a) a bloody child


95. The second spirit told Macbeth —

(a) to be aware of the thane of Fife   

(b) to laugh and scorn at the power of a man born naturally of a woman’s womb

(c) not to worry till the Woods of Birnam come to Dunsinane

(d) none of the above

Ans. (b) to laugh and scorn at the power of a man born naturally of a woman’s womb


96. The weird sisters had - (a) balded head, (b) moustache, (c) beards; (d) wings.

Ans. (c) beards

Read More

Saturday 17 December 2022

একাদশ শ্রেণির দর্শন - অধ্যায়: কার্যকারণ সম্বন্ধ (MCQ with answer)

Leave a Comment

        চতুর্থ অধ্যায়

          কার্যকারণ সম্বন্ধ

MCQ with answers


1. সাধারণ মতবাদ অনুসারে কারণ ও কার্যের সম্পর্ক

(a) বাহ্যিক 

(b) আবশ্যিক  

(c) আকস্মিক 

(d) নিয়ত সংযোগ 

উঃ (b) আবশ্যিক  


2. কারণ একটি শক্তি যা কার্যকে সৃষ্টি করে— মতবাদটি কার ?

(a) লক

(b) বার্কলে

(c) হিউম

(d) কান্ট

উঃ (a) লক


3. কার্যকারণ সম্পর্ক বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতবাদ কী নামে পরিচিত?

 (a) অনিবার্য সম্পর্ক

(b) প্রসক্তি সম্পর্ক

(c) লোকায়ত

(d) নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক

উঃ (c) লোকায়ত


4. কারণ হল হেতু যা থেকে কার্য সৃষ্টি হয় এটি কাদের মতবাদ ?

(a) অভিজ্ঞতাবাদীদের

(b) বুদ্ধিবাদীদের

(c) বিচারবাদীদের

(d) প্রসক্তিবাদীদের

উঃ (b) বুদ্ধিবাদীদের


5. কোন্ দার্শনিক সম্প্রদায়ের মতে কারণ ও কার্যের মধ্যে অনিবার্য সম্পর্ক বর্তমান? 

(a) বিচারবাদীদের

(b) অভিজ্ঞতাবাদীদের

(c) বুদ্ধিবাদীদের

(d) বস্তুবাদীদের

উঃ (c) বুদ্ধিবাদীদের


6. কারণ থেকে কার্য অনিবার্যভাবে প্রসূত বা সৃষ্টি হয়— এই মতবাদটি কাদের?

(a) অভিজ্ঞতাবাদীদের 

(b) প্রসক্তিবাদীদের

(c) বস্তুবাদীদের

(d) ভাববাদীদের

উঃ (b) প্রসক্তিবাদীদের


7. কারণ কার্যের অনিবার্যতা হল যৌক্তিক অনিবার্যতা— একথা কে মানেন ? 

(a) হিউম

(b) রাসেল

(c) ইউয়িং

(d) বার্কলে

উঃ c) ইউয়িং


8. কোন্ দার্শনিক প্রসক্তিবাদী নামে পরিচিত?

(a) হিউম

(b) কান্ট

(c) মিল

(d) ইউয়িং

উঃ (d) ইউয়িং


9. কোন দার্শনিক বলেন যে, কারণ ও কার্যের সম্পর্ক হল জ্ঞানের পূর্বতঃসিদ্ধ আকার ? 

(a) কান্ট 

(b) দেকার্ত  

(c) মিল 

(d) লক

উঃ (a) কান্ট 


10. কোন দার্শনিক বলেন যে, কার্যকারণ সম্পর্কের নিয়মটি হল নিয়মের আকার ?

(a) ইউয়িং 

(b) উইটগেন স্টাইন 

(c) কান্ট 

(d) হিউম

উঃ (b) উইটগেন স্টাইন 


11. কোন্ দার্শনিকের মতে কারণ ও কার্যের মধ্যে নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক বর্তমান ? 

(a) মিলের

(b) হিউমের

(c) রাসেলের

(d) স্পিনোজার

উঃ (b) হিউমের


12. দুটি ঘটনার মধ্যে ব্যতিক্রমহীন, অপরিবর্তিত এবং অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক কী সম্পর্ক?

(a) নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক 

(b) আবশ্যিক সম্পর্ক 

(c) শক্তি সম্পর্ক 

(d) আকস্মিক সম্পর্ক

উঃ (b) আবশ্যিক সম্পর্ক 


13. ‘আগুনে হাত দিলে হাত পোড়ে”– এখানে দুটি ঘটনার মধ্যে কী সম্পর্ক বর্তমান ?

(a) অনিবার্য সম্পর্ক 

(b) আকস্মিক সম্পর্ক 

(c) শক্তি সম্পর্ক 

(d) স্বাভাবিক সম্পর্ক

উঃ (a) অনিবার্য সম্পর্ক 


14. কারণ ও কার্যের অনিবার্য সম্পর্ক হল মানসিক অভ্যাসগত প্রত্যাশার ফল—কার মত? 

(a) কান্টের

(b) দেকার্তের

(c) লকের

(d) হিউমের

উঃ (d) হিউমের

15. প্রসক্তিবাদীদের মতে কারণ ও কার্যের মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক বর্তমান ?


(a) শক্তি সম্পর্ক

(b) নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক

(c) বাহ্যিক সম্পর্ক

(d) অনিবার্য সম্পর্ক

উঃ (d) অনিবার্য সম্পর্ক


16. কারণ ও কার্যের সম্পর্ক হল আপেক্ষিক (Accidental)—এটি কোন দার্শনিকের মত?

(a) লকের 

(b) বার্কলের 

(c) হিউমের 

(d) হেগেলের

উঃ (c) হিউমের 


17. কোন দার্শনিক মনে করেন যে, কারণ ও কার্যের সম্পর্ক হল দুটি ঘটনার নিয়ত সহঅবস্থান? 

(a) হিউম

(b) রাসেল

(c) লক

(d) কান্ট

উঃ (a) হিউম


18. কোন সম্পর্ক অনুসারে বলা যায় যে A ঘটলে B ঘটবেই?

(a) অনিবার্য সম্পর্ক

(b) আকস্মিক সম্পর্ক

(c) প্রথাগত সম্পর্ক 

(d) নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক

উঃ (a) অনিবার্য সম্পর্ক


19. অনিবার্য সম্পর্ক কী ধরনের সম্পর্ক?

(a) সার্বিক 

(b) বিশেষ 

(c) অনিয়ত 

(d) ব্যতিক্রমী

উঃ (a) সার্বিক 


 20. কোন্ দার্শনিক বলেছেন যে, কারণ ও কার্যের মধ্যে কোনো আবশ্যিক সম্বন্ধ নেই? 

(a) লক

(b) দেকার্ত

(c) হিউম

(d) ইউয়িং

উঃ (c) হিউম


21. অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কার্যকারণের মধ্যে অনিবার্য সম্পর্কের ধারণা পাওয়া যায় না-এটি কার মত?

(a) কান্টের

(b) হিউমের

(c) রাসেলের

(d) দেকার্তের 

উঃ (b) হিউমের


22. “কারণ হল কার্যের নিয়ত পূর্বগামী ঘটনা এবং কার্য হল কারণের নিয়ত অনুগামী ঘটনা”— হিউম দুটি ঘটনার এই সম্পর্ক কী আখ্যা দিয়েছেন ?

(a) আবশ্যিক

 (b) পৌর্বাপর

 (c) বাহ্যিক

 (d) আকস্মিক

উঃ (b) পৌর্বাপর


23. কে মনে করেন যে-কারণ ও কার্যের মধ্যে আবশ্যিক সম্পর্ক বর্তমান?

(a) অভিজ্ঞতাবাদীরা 

(b) বুদ্ধিবাদীরা

(c) বিচারবাদীরা

(d) বস্তুবাদীরা 

উঃ (b) বুদ্ধিবাদীরা


24. কোন্ দার্শনিক অভিজ্ঞতাবাদী হয়েও কারণ ও কার্যের মধ্যে অনিবার্যতা স্বীকার করেন?

(a) লক 

(b) বার্কলে  

(c) হিউম 

(d) মিল

উঃ (a) লক 


25. হিউমের মতে কার্যকারণের অনিবার্য সম্পর্কের ধারণা হল মানসিক ------- ফল।

(a) উৎকর্ষতার

(b) কুসংস্কারের

(c) দুর্বলতার

(d) দ্বন্দের

উঃ (b) কুসংস্কারের


26. কার মতে কার্যকারণের মধ্যে কোনো অনিবার্য সম্পর্ক নেই? 

(a) হিউমের

(b) বার্কলের

(c) লকের

(d) দেকার্তের

উঃ (a) হিউমের


27. কান্ট কার্যকারণ সম্পর্ককে কিরূপ ধারণা বলেছেন?

(a) অভিজ্ঞতালব্ধ 

(b) অভিজ্ঞতাপূর্ব 

(c) কল্পনাপ্রসূত 

(d) আকস্মিক

উঃ (b) অভিজ্ঞতাপূর্ব 


28. কে বিশ্বাস করেন যে, কার্যকারণের অনিবার্য সম্পর্কের কোনো বস্তুগত ভিত্তি নেই ?

(a) কান্ট 

(b) হেগেল

 (c) দেকার্ত

(d) হিউম

উঃ (d) হিউম


29. কারণ এবং কার্য দুটি পৃথক ঘটনা, একথা বলেন কে?

(a) দেকার্ত 

(b) লাইবনিজ 

(c) হিউম 

(d) রাসেল

উঃ (c) হিউম 


30. কোন্ দার্শনিক ঈশ্বরকে একমাত্র কারণ বলেছেন?

(a) বার্কলে 

(b) হিউম 

(c) কান্ট 

(d) দেকার্ত

উঃ (a) বার্কলে 


31. A হল B-এর কারণ হিউমের মতে এই বচনটি কিরূপ বাক্য? 

(a) পূর্বতঃসিদ্ধ

(b) পরতঃসাধ্য

(c) বিশ্লেষক

(d) কাল্পনিক

উঃ (b) পরতঃসাধ্য


32. হিউমের মতে বাহ্য জগতে দুটি ঘটনার সম্পর্ক হল-

(a) অনিবার্য 

(b) আকস্মিক 

(c) কল্পনাপ্রসূত 

(d) ঐশ্বরিক

উঃ (b) আকস্মিক 


 33. প্রসক্তি সম্পর্কে যুক্ত দুটি ঘটনার মধ্যে একটি ঘটলে অপরটি ----

(a) ঘটবেই

(b) নাও ঘটতে পারে

(c) অনিশ্চিত

(d) ঘটবে না

উঃ (a) ঘটবেই


34. কোনো বৈধ অবরোহ যুক্তির হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে যে সম্বন্ধ থাকে তাকে বলে-

(a) বাহ্যিক সম্পর্ক

(b) আকস্মিক সম্পৰ্ক

(c) প্রসক্তি সম্বন্ধ 

(d) নিয়ত সংযোগ সম্বন্ধ

উঃ (c) প্রসক্তি সম্বন্ধ 


35. কার্যকারণ সম্পর্কে হিউমের মতবাদকে বলা হয়-


(a) সততসংযোগতত্ত্ব 

(b) প্রসক্তিতত্ত্ব 

(c) অনিবার্যতত্ত্ব 

(d) আবশ্যিক তত্ত্ব

উঃ (a) সততসংযোগতত্ত্ব 


36. কার্যকারণ সম্পর্ক বিষয়ে বুদ্ধিবাদীদের মতবাদকে বলা হয়----

(a) প্রসক্তিতত্ত্ব

(b) নিয়তসংযোগতত্ত্ব

(c) সতত সংযোগতত্ত্ব 

(d) আপেক্ষিক তত্ত্ব

উঃ (a) প্রসক্তিতত্ত্ব


37. অভ্যাসজাত মানসিক প্রত্যাশা থেকেই কার্যকারণের মধ্যে অনিবার্য সম্বন্ধের ধারণার উৎপত্তি হয় বলেছেন---

(a) কান্ট 

(b) লক 

(c) হিউম 

(d) ইউয়িং

উঃ (c) হিউম 


38. কারণ ও কার্যের মধ্যে অনিবার্য, আভ্যন্তরীণ, পূর্বাপর, অবিচ্ছেদ্য ও পূর্বত:সিদ্ধ সম্বন্ধ আছে বলেছেন—

(a) অভিজ্ঞতাবাদীরা

(b) বুদ্ধিবাদীরা

(c) বস্তুবাদীরা

(d) ভাববাদীরা

উঃ (b) বুদ্ধিবাদীরা


39. কোন্ দার্শনিকের মতে কার্যকারণ সম্পর্ক হল প্রসক্তিসদৃশ সম্বন্ধ ?

(a) কান্ট

(b) হিউম

(c) উইটগেনস্টাইন

(d) ইউয়িং

উঃ (d) ইউয়িং


40. কারণ হল কার্যের নিয়ত শর্তান্তরহীন অব্যবহিত অগ্রবর্তী ঘটনা, বলেছেন —


(a) লক

(b) হিউম

(c) মিল

(d) বার্কলে

উঃ (c) মিল


41. ‘কারন ও কার্যের মধ্যে প্রসক্তি সম্বন্ধ আছে' – একথা বলেছেন-

(a) লক

(b) ইউয়িং

(c) হিউম

(d) দেকার্ত

উঃ (b) ইউয়িং

42. সতত সংযোগ তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন—

(a) দেকার্ত 

(b) লক

(c) হিউম

(d) কান্ট

উঃ (c) হিউম

<<<<<<<<<<<The End>>>>>>>>>

Read More

Wednesday 7 September 2022

Bring out the significance of the title of the peom, Meeting at Night.

Leave a Comment

            MEETING AT NIGHT

                                             Robert Browning


 Bring out the significance of the title of the peom, Meeting at Night.

  (Meeting at Night কবিতাটির শিরোনামের তাৎপর্য লেখ।) 


Ans. Robert Browning's poem 'Meeting at Night' is a romantic love-poem.  The lover  is eager to meet his beloved on a moonlit night.  Before him lies long stretches of sleepy sea.  He crosses the sea.  The boat reaches the bay.  The lover walks along the sea-scented beach.  He crosses three fields.  Now he stands before the door of his beloved's cottage.  To announce his arrival, he taps on the window pane. The light of a match comes out from inside.  Then a whispering voice is heard.  Two hearts meet each other.  The meeting is complete.  It all happens in secrecy.  The night gives a good opportunity for their union. So, the title of the poem is quite appropriate.


(Robert Browning এর Meeting at Night কবিতাটি একটি রোমান্টিক প্রেমের কবিতা। চন্দ্রালোকিত রাতে প্রেমিক তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে উদগ্রীব। তার সামনে বিরাজ করছে সুদূর বিস্তৃত ঘুমন্ত সাগর। সে সাগর অতিক্রম করে। নৌকো উপসাগরে পৌঁছোয়। প্রেমিক সুগন্ধিবালুতটের ওপর দিয়ে হেঁটে যায়। সে তিনটি প্রান্তর অতিক্রম করে। এখন সে তার প্রিয়তমার কুটিরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে। তার আগমন জানানোর জন্য সে শার্সিতে দেয় টোকা। ভেতর থেকে দেশলাইয়ের আলো আসে। তারপর  ফিসফিস কণ্ঠস্বর শোনা যায়। দুটি অন্তর মিলে যায়। অভিসার সম্পূর্ণ। এটি হল সম্পূর্ণ গোপনে। রাত্রি অবশ্যই তাদের অভিসারের সেরা সুযোগ দিয়েছে। তাই কবিতার শিরোনামটি সম্পূর্ণভাবেই যথাযথ। )


Read More