Showing posts with label Philosophy. Show all posts
Showing posts with label Philosophy. Show all posts

Sunday 8 January 2023

বৌদ্ধ দর্শনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। (Give a brief sketch of Bauddha Philosophy.)

1 comment

 বৌদ্ধ দর্শনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। (Give a brief sketch of Bauddha Philosophy.) 


উঃ খ্রীস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে হিমালয়ের পাদদেশে কপিলাবস্তু নগরে এক রাজ পরিবারে জন্ম নিলেন বুদ্ধ। পরিবার থেকে নাম রাখা হল গৌতম। রাজা ঐশ্বর্যের মাঝে গৌতম হাপিয়ে উঠলেন দিনের পর দিন। জরা, ব্যাধি, মৃত্যুর দৃশ্য দেখে তাঁর উপলব্ধি হল এ সংসার দুঃখময়। একদিন চোখের সামনে দাঁড়াল এক সন্ন্যাসী- সৌম্য, দিব্য, আনন্দময়। মুগ্ধ হলেন গৌতম। ভাবলেন সন্ন্যাস গ্রহণই দুঃখ-বেদনা থেকে মুক্তির উপায়। রাজার কুমার রাজপ্রসাদ থেকে বেরিয়ে এলেন। তখন তাঁর ঊনত্রিশ বছর বয়স। এরপর দীর্ঘকাল গয়ায় বোধিবৃক্ষতলে গভীর ধ্যান ও সাধনার মাধ্যমে সত্যের সন্ধান পেলেন। দুঃখের রহস্য উন্মোচিত হল। সম্যক জ্ঞান লাভ করলেন তিনি। সত্যের স্বরূপ জেনে তিনি হলেন তথাগত। বিশ্ববাসীকে দুঃখকষ্ট থেকে চিরমুক্ত করার জন্য তিনি তাঁর ধ্যানলব্ধ জ্ঞান প্রচারে হলেন অগ্রণী। তাঁর ধর্মবাণী ছড়িয়ে পড়ল দিক-দিগন্তে। অহিংসা, প্রেম করুণার ধারায় শুচিস্নান করল পৃথিবী। আশি বছর বয়সে তিনি নির্বাণ লাভ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর বৌদ্ধধর্ম ধীরে ধীরে এক বিশ্বধর্মে পরিণত হল।


দার্শনিক বলতে আমরা সাধারণভাবে যা বুঝে থাকি, বুদ্ধদের ঠিক সেই অর্থে দার্শনিক নন। করুনাঘন মুগ্ধ ছিলেন ধর্ম ও নীতিতত্ত্বের প্রচারক। তাত্ত্বিক আলোচনায় বুদ্ধদের উৎসাহী ছিলেন না। বুদ্ধদেব ছিলেন সত্যদ্রষ্টা। আধ্যাত্মিক চেতনার গভীরে তার দৃষ্টি ছিল সমাহিত। তিনি ছিলেন জীবনবাদী মহাপুরুষ। জগতের সৃষ্টি তত্ত্বের যে সব দার্শনিক প্রশ্ন রয়েছে, তা নিয়ে কালহরণ না করে তিনি দুঃখজর্জর মানুষকে মুক্তির উপায় বলে দিতেন। 


বুদ্ধদেবের নিজের রচিত কোন গ্রন্থ ছিল না। তিনি কথোপকথনের মাধ্যমে শিষ্যদের উপদেশ দিতেন। তাঁর মৃত্যুর পর তার উপদেশগুলি শিষ্যরা পালি ভাষায় গ্রন্থের আকারে ধরে রাখলেন। গ্রন্থগুলি হল 'পিটক। এই পিটকের সংখ্যা তিনটি—বিনয় পিটিক, সুত্র পিটক ও অভিধৰ্ম্ম পিটক। এগুলিকে ত্রিপিটক বলা হয়। 


সাধনার শীর্ষে গিয়ে বুদ্ধদের চারটি সত্যের সন্ধান পেয়েছিলেন। বৌদ্ধ দর্শনে এ চারটি সত্য চারটি আসিতা আর্যসত্য নামে পরিচিত। এ চারটি সত্য হল : (১) দুঃখ, (2) দুঃখ- সমুদায়, (৩) দুঃখ-নিরোধ ও (৪) দুঃখ-নিরোধ মার্গ।


প্রথম আর্যসত্য : 'সর্বং দুঃখম্'—সবই দুঃখময়। জনমে মরণে দুঃখ। আকাঙ্ক্ষায়, উৎকণ্ঠায়, হতাশায় দুঃখ। প্রিয়-বিচ্ছেদে, অপ্রিয়-সংযোগে দুঃখ। যা অনিত্য তা দুঃখে ভরা। কোথাও আনন্দ নেই, সুখ নেই। সুখের মাঝেই দুঃখের বীজ লুকিয়ে রয়েছে। সমস্ত পৃথিবীটাই একটা বিরাট আগুনের কুণ্ড। সমস্ত জীব জরা-ব্যাধি-মৃত্যুর দুঃখের আগুনে পুড়ে পুড়ে মরছে।


দ্বিতীয় আর্যসত্য : দুঃখ সমুদায়' বা দুঃখের কারণ আছে। বুদ্ধদেবের দ্বিতীয় আর্যসত্যটি 'প্রতীত্যসমুৎপাদ' বা কার্যকারণ সম্পর্কের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রতীত্যসমুৎপাদ নিয়ম অনুযায়ী এ পৃথিবীতে যে কোন ঘটনার পশ্চাতেই কোন-না-কোন কারণ আছে। কারণ ছাড়া কোন ঘটনা ঘটতে পারে না। দুঃখেরও কারণ আছে। জরা মরণের কারণ হল জাতি (জন্ম)। জাতির কারণ হল ভব (পুনরায় জন্মগ্রহণের বাসনা)। ভব'র কারণ হল উপাদান (সাংসারিক বস্তুর প্রতি আসক্তি)। উপাদানের কারণ হল তৃষ্ণা (বিষয় ভোগের ইচ্ছা)। তৃষ্ণার কারণ বেদনা (পূর্ববর্তী ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা)। বেদনার কারণ স্পর্শ (বস্তুর সাথে ইন্দ্রিয়ের সংযোগ)। স্পর্শের কারণ ঘড়ায়তন (চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক ও মন)। ষড়ায়তনের কারণ হল নামরূপ (দেহ-মন গ্রন্থি)। নামরূপের কারণ হল বিজ্ঞান (চৈতন্য)। বিজ্ঞানের কারণ হল সংস্কার (পূর্ব জীবনের অভিজ্ঞতার ছাপ)। সংস্কারের কারণ হল অবিদ্যা (চারটি আর্যসত্তা বিষয়ে প্রকৃত জ্ঞানের অভাব)। কার্যকারণ শৃঙ্খলের এই বারোটি অঙ্গকে 'দ্বাদশ নিদান' বলা হয়।


তৃতীয় আর্যসত্য : ‘দুঃখ-নিরোধ'। দুঃখের যে সব কারণ আছে সেই কারণগুলি দূর করলেই দুঃখ-নিরোধ সম্ভব। দুঃখ নিবৃত্তিই নির্বাণ। নির্বাণ হল মুক্তি — দুঃখ থেকে চিরমুক্তি। এ জীবনেই নির্বাণ লাভ করা যায়। 


চতুর্থ আর্যসত্য : 'দুঃখ-নিরোধ মার্গ। যে পথ ধরে নির্বাণ লাভ করা যায় বা দুঃখ থেকে চিরমুক্তি পাওয়া যায়, তাই হল দুঃখ-নিরোধ মার্গ। এ পথের নাম 'অষ্টাঙ্গিক মার্গ। এই মার্গের আটটি স্তর হল: (১) সম্যক দৃষ্টি। চারটি আর্যসত্যের প্রকৃত জ্ঞানই সম্যক দৃষ্টি। (২) সম্যক সঙ্কল্প। সত্যের জ্ঞানালোকে জীবন নিয়ন্ত্রণ করা ও কর্ম করার দৃঢ় ইচ্ছাই সম্যক সঙ্কল্প। (৩) সম্যক বাক্য। সত্য ভাষণ, প্রিয় কথন, শিষ্ট আলোচনা, সংযত আলাপ, মধুর বাক্য বিনিময়ই বাক্ সংযমের লক্ষণ। (৪) সম্যক কর্মান্ত। জীবহত্যা, চুরি করা, ইন্দ্রিয় সেবা থেকে বিরত হওয়া। (৫) সম্যক আজীব। উদ্দেশ্য ও উপায় উভয়কেই সৎভাবে রেখে জীবনযাত্রা নির্বাহ করা। (৬) সম্যক ব্যায়াম। মনে সৎ চিন্তার উদয় ও স্থিতিতে প্রযত্ন ও প্রচেষ্টা। (৭) সম্যক স্মৃতি। জীবন ক্ষণস্থায়ী, জগৎ অনিত্য, সব কিছু পরিবর্তনশীল—এ বিষয় জ্ঞানে-স্মরণে-মননে ধরে রাখা। (৮) সমাক সমাধি। একাগ্রচিত্তে মনঃসংযোগের নামই সমাধি।


যদিও বুদ্ধদেব তাত্ত্বিক আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করতেন না তবুও তাঁর নৈতিক শিক্ষার মূলে কতকগুলি দার্শনিক তত্ত্ব নিহিত, যেগুলি হল— (১) প্রতীত্যসমুৎপাদ নীতি, (২) কর্মবাদ, (৩) অনিত্যবাদ (৪) নৈরাত্ম্যবাদ


(১) প্রতীত্যসমুৎপাদ নীতি অনুসারে জগতের প্রতিটি বস্তু বা ঘটনার পূর্ববর্তী 'কারণ' আছে। জগতে কোন কিছুই আকস্মিক ভাবে ঘটে না। জগতের কোন পরিণতির কারণ থাকতে পারে না।


(২) কর্মবাদ অনুসারে সংসারে যে যেমন কর্ম করবে সে তেমন কর্মফল ভোগ করবে। কর্ম দুই প্রকার—সকাম ও নিষ্কাম। সকাম কর্ম মোহযুক্ত ও নিষ্কাম কর্ম মোহমুক্ত। সকাম কর্ম ফলপ্রসূ হয়, কিন্তু নিষ্কাম কর্ম ফলপ্রসূ হয় না।


(৩) অনিত্যবাদ অনুসারে জগতে কোন কিছুই চিরন্তন নয়। সবই অনিতা, সবই ধ্বংসশীল। পরবর্তীকালে বুদ্ধ অনুগামীরা বুদ্ধদেবের অনিত্যবাদকে ক্ষণিকবাদে পরিণত করেন। ক্ষণিকবাদের বক্তব্য বিষয় হল, এক ক্ষণের বেশি কোন কিছুই স্থায়ী হয় না (সর্বং ক্ষণিকং সত্তাৎ)।


(৪) নৈরাত্ম্যবাদ অনুসারে কোন নিত্য বা চিরন্তন আত্মার অস্তিত্ব নেই, যেহেতু সব কিছুই অনিত্য। আত্মা হল চেতনার বিরামবিহীন প্রবাহ। এক জন্ম থেকে আর এক জন্মে মানসিক প্রক্রিয়া প্রবাহিত, তাই এ জীবন থেকে পরবর্তী জীবনে উত্তরণ ঘটার স্বাভাবিকতাতেই জন্মান্তর স্বীকৃত। কিন্তু জন্মান্তর মানে এরকম নয় যে নিত্য আত্মার নতুন দেহ ধারণ। চেতনার অবিরত প্রবাহের আড়ালে কোন নিত্য আত্মার অস্তিত্ব থাকাতে পারে না।


বৌদ্ধ দর্শনে ঈশ্বরকে স্বীকার করা হয় না। বৌদ্ধমত হল কোন অপরিণামী কারণ হিসাবে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই। ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিষয়ে সাধারণত যে সব প্রমাণ দেওয়া হয় সেগুলি বৌদ্ধমত অনুযায়ী যুক্তিযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নয়। এমন কি নৈতিক প্রগতির জন্যও ঈশ্বরের অস্তিত্ব স্বীকার করার কোন প্রয়োজন নেই। মোক্ষলাভের জন্যও মোক্ষদাতারূপে ঈশ্বরকে মেনে নেওয়ার কোন যুক্তি নেই, যেহেতু অষ্টাঙ্গিক মার্গের অনুসরণই মোক্ষলাভের উপায়।


বুদ্ধদের যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন তাঁর শিষ্যমণ্ডলী তার নির্দেশ অনুসরণ করে দার্শনিক তত্ত্বের আলোচনা থেকে বিরত ছিলেন। তাঁর তিরোভাবের পর বুদ্ধের শিক্ষা ও উপদেশের উপর ভিত্তি করে নানা দার্শনিক সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়েছিল। বুদ্ধের শিষ্যমণ্ডলী বৌদ্ধ ধর্মকে দর্শনের সুদৃঢ় ভিত্তিভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজেদের নিয়োজিত করলেন এবং এর ফলে চারটি উল্লেখযোগ্য দার্শনিক সম্প্রদায় গড়ে উঠেছিল। সম্প্রদায়গুলি হল যথাক্রমে- (১) মাধ্যমিক বা শূন্যবাদী সম্প্রদায়, (২) যোগাচার সম্প্রদায়, (৩) সৌত্রান্তিক সম্প্রদায় ও (৪) বৈভাষিক সম্প্রদায়।


(১) মাধ্যমিক বা শূন্যবাদী সম্প্রদায় : এই সম্প্রদায়ের মতে জড়জগৎ ও মনোজগৎ কোন কিছুরই সত্তা নেই—সবই শূন্য। পাশ্চাত্ত্য দার্শনিক ডেভিড হিউম (Hume)-এর মতবাদের সঙ্গে এই মতবাদের যথেষ্ট সঙ্গতি খুঁজে পাওয়া যায়। মাধ্যমিক দর্শনের প্রবর্তক হলেন নাগার্জুন।


(২) যোগাচার সম্প্রদায় : এই সম্প্রদায় অনুসারে বাহ্যবস্তুর স্বতন্ত্র সত্তা নেই। চেতনার সত্তা আছে। চেতনার বাইরে বস্তুর অস্তিত্ব আছে মনে করলে তা চেতনারই ভাব বা ধারণা মাত্র। চিন্তার সত্যতা প্রমাণ করতে গেলেও চেতনা বা মনের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতেই হবে। চিত্ত বা মন হল বিজ্ঞান-ধারা। জ্ঞানের বিষয় ব্যক্তি মনের ভাব ছাড়া আর কিছু নয়। যোগাচার মতকে বিজ্ঞানবাদ বলা হয়। এই মতবাদের সঙ্গে পাশ্চাত্য দার্শনিক বার্কলি (Berkeley)-র মতবাদের যথেষ্ট মিল আছে। অসঙ্গ, বসুবন্ধু প্রভৃতি দার্শনিকগণ যোগাচারবাদের প্রতিষ্ঠাতা।


(৩) সৌত্রান্তিক সম্প্রদায় ঃ সৌত্রান্তিকগণ সর্বাস্তিবাদী। এঁরা বাহ্যবস্তু ও মন উভয়েরই স্বতন্ত্র সত্তা স্বীকার করেন। সৌত্রান্তিকগণ বলেন, বাহ্যবস্তুর মনোনিরপেক্ষ সত্তা আছে। বাহ্যবস্তুর প্রকৃত অস্তিত্ব না থাকলে বাহ্যবস্তু সম্পর্কে ভ্রান্ত প্রত্যক্ষের ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বাহাবস্তুর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব না থাকলে বিভিন্ন চেতনার পার্থক্য ব্যাখ্যা করা যায় না। বাহ্যবস্তুর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নিশ্চয়ই আছে তা না হলে বস্তুর ধারণা বস্তু অনুযায়ী হয়েছে কিনা তা কিভাবে বোঝা যাবে? যেহেতু বস্তু আমাদের প্রয়োজন সিদ্ধ করে, তাই বাহ্যবস্তুর অস্তিত্ব মেনে না নেওয়া ছাড়া আমাদের উপায় নেই। যেহেতু ঘট ও ঘটের চেতনা সমকালীন, এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত নয় যে, ঘট (বস্তু) ও ঘটের চেতনা (বস্তুর চেতনা) অভিন্ন। অতএব বস্তু আছে বলেই আমরা বস্তুর ধারণা করি। এই মতবাদই বাহ্যানুমেয়বাদ। পাশ্চাত্য দার্শনিক জন লক (Locke) এই ধরনের মতবাদ প্রচার করেছেন। সৌত্রান্তিক সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে কুমার লাত-এর নাম প্রসিদ্ধ। 

(৪) বৈভাষিক সম্প্রদায় : বৈভাষিক সম্প্রদায় বাহ্যবস্তু ও মন উভয়েরই অস্তিত্ব স্বীকার করেন। সৌত্রান্তিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে এঁরা একমত। এঁদের মধ্যে ভিন্ন মত হল একটি প্রধান বিষয় নিয়ে ঃ সৌত্রান্তিকগণ যেখানে বলেন বাহ্যবস্তুকে প্রত্যক্ষ করা যায় না, তার অস্তিত্ব অনুমানের সাহায্যে জানতে পারা যায়। বৈভাষিকগণ সেখানে বলেন বাহ্যবস্তু প্রত্যক্ষগ্রাহ্য – অর্থাৎ সাক্ষাৎভাবে প্রত্যক্ষ করা যায়, কিন্তু অনুমানসিদ্ধ নয়। বৈভাষিকদের বাহ্যপ্রত্যক্ষবাদ বলা হয়। পাশ্চাত্য দর্শনে সরল স্বাতন্ত্রবাদীদের (Naive Realists) মতবাদের সঙ্গে এই মতবাদের সামঞ্জস্য আছে। 

কালক্রমে বৌদ্ধরা ধর্মের দিক থেকে দুটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে যান— হীনযান ও মহাযান। প্রাচীনপন্থীরা হলেন হীনযান, যারা বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আচার-আচরণের বিধিগত কঠোরতা শিথিল করতে নারাজ। প্রাচীনপন্থীদের থেকে সরে এসে উদারপন্থীরা ধর্মের দিক থেকে মহাযান সম্প্রদায় গড়ে তুললেন। হীনযানদের ধর্মসাহিত্য রচিত হল পালি ভাষায় আর সংস্কৃত ভাষায় রচিত হল মহাযানদের ধর্মসাহিত্য। হীনযানীদের কাছে আত্মমুক্তি নির্বাণলাতের উদ্দেশ্য, মহাযানীদের কাছে সবার মুক্তি নির্বাণলাভের উদ্দেশ্য। মহাযানীরা মনে করেন, পরন জ্ঞান লাভ করাই নির্বাণের লক্ষ্য এবং ঐ পরম জ্ঞানের দ্বারা দুঃখ জর্জর মানুষের মুক্তিলাভে সহায়তা করাই নির্বাণের আদর্শ। হীনযানীদের প্রাধান্য বিস্তার ঘটেছিল সিংহল, শ্যাম ও ব্রহ্মাদেশে, মহাযানীদের প্রসার ঘটে তিব্বত, চীন, জাপানে।

<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>

Read More

চার্বাক দর্শনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ( Give a brief sketch of Carvaka Philosophy. )

Leave a Comment

 চার্বাক দর্শনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ( Give a brief sketch of Carvaka Philosophy. ) 


উঃ: ভারতীয় দর্শনে চার্বাক মত হল বিশুদ্ধ জড়বাদ। যে মতবাদে অচেতন জড় পদার্থই একমাত্র  তত্ত্ব এবং প্রাণ, মন, চৈতন্য প্রভৃতি জড় থেকেই উদ্ভূত, আত্মা ও ঈশ্বরকে স্বীকার করা হয় না; সেই মতবাদই হল জড়বাদ।


চার্বাক দর্শন যে অতিপ্রাচীন এ বিষয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ থাকে না। প্রাচীন মহাকাব্যে---রামায়ণ, মহাভারতের বিভিন্ন জায়গায়, বেদ ও বৌদ্ধ সাহিত্যে চার্বাক দর্শনের পরিচয় পাওয়া যায়। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন দার্শনিকগণ চার্বাক মতবাদ খণ্ডন করেছেন ও তাদের দর্শনের বিভিন্ন গ্রন্থে এই মতবাদের উল্লেখ রয়েছে। মনুসংহিতায়, বৌদ্ধগ্রন্থ "মঝ্ ঝিমনিকায়ে শংকরের 'বেদান্ত সূত্রভাষ্য গ্রন্থে চার্বাক মতের পরিচয় মেলে। প্রাচীন ভারতীয় চিন্তাধারায় যে জড়বাদী উপাদান নৈতিক, ধর্মীয়, রাজনীতিগত কারণে প্রসুপ্ত ছিল, চার্বাক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টায় তা এক নিটোল জড়বাদী দর্শনের রূপ পরিগ্রহ করেছিল।


চার্বাক দর্শনের প্রবর্তকরূপে ঋগ্বেদের ঋষি বৃহস্পতিলৌক্য বা ব্রহ্মণস্পতির নাম কোন কোন গ্রন্থে পাওয়া যায়৷ কথিত আছে অসুরদের মধ্যে বিভ্রান্তি আনার চেষ্টায় দেবতাদের গুরু বৃহস্পতি এই দর্শনকে ব্যাপ্ত করেন। এই বৃহস্পতির যে কি পরিচয় তা এখনও নির্ণীত হয়নি। কারও কারও মতে, 'চার্বাক' শব্দের উৎপত্তি হয় 'চর্ব ধাতু থেকে। 'চর্ব' অর্থ চর্বণ করা (খাওয়া)। চার্বাক দর্শন খাওয়া-দাওয়া, পান- ভোজনকেই জীবনের চরম উদ্দেশ্য বলে মনে করতেন। আবার কারও কারও ধারণা 'চার্বাক শব্দটির অর্থ হল চারু + বাক্ অর্থাৎ চারুবাক' বা মধুর বাক্য। মধুর কথা শোনায় বলেই জড়বাদীদের নাম হয়েছে চার্বাক। ঈশ্বর নেই, আত্মা নেই, জড়ই চরম তত্ত্ব, প্রত্যক্ষই একমাত্র প্রমাণ—এ সবই মিষ্টি কথার ঢেউ এবং সে যুগে এগুলি সাধারণের মধ্যে প্রচণ্ড সাড়া জাগিয়েছিল।


প্রকৃতপক্ষে চার্বাক দর্শনের কোন প্রামাণ্য গ্রন্থ আজও পাওয়া যায়নি। তার ফলে এ দর্শনের যে কে প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা, তা নির্ধারণ করা এখনও সম্ভব হয়নি। যাই হোক, সাধারণ মানুষের কাছে চার্বাক দর্শনের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। দর্শনের গভীর তত্ত্ব নিয়ে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত। আধ্যাত্মিক জগতের বিরাট ভাব ও বাণী তাদের কাছে অসার ও অর্থহীন। সাধারণভাবে বুঝবার পক্ষে যে মতবাদ, তারই আকর্ষণ তাদের কাছে সর্বাধিক। সাধারণ চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করে রচিত চার্বাক দর্শন তাই 'লোকায়ত দর্শন' নামে চিহ্নিত হয়েছে।


চার্বাক মতে প্রত্যক্ষই একমাত্র প্রমাণ। অনুমান বিশ্বাসযোগ্য নয়। অতএব অনুমান কোন প্রমাণই নয়। শব্দ প্রমাণও অনুমান-নির্ভর বলে বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। চার্বাকগণ বলেন, সে বস্তুরই অস্তিত্ব আছে, যাকে ইন্দ্রিয়ের দ্বারা প্রত্যক্ষ করা যায়। যা ইন্দ্রিয় প্রত্যক্ষলব্ধ নয়, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। চার্বাকদের মতে পঞ্চেন্দ্রিয়ের সাহায্যে যে বাইরের বস্তুর সাক্ষাৎ জ্ঞান হয় তা হল বাহ্যিক প্রত্যক্ষ। মনের সাহায্যে সুখ, দুঃখ প্রভৃতি মানসিক অবস্থার যে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ হয় তাকে বলা হয় 'মানস প্রত্যক্ষ'।


চার্বাক মতে জড় পদার্থই পরম তত্ত্ব। চারটি মহাভূতের অস্তিত্ব আছে। এই চার রকম মহাভূতের সংযোগ-বিয়োগেই বিশ্বের যাবতীয় পদার্থের উৎপত্তি-বিলুপ্তি ঘটে। ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ এই চার মহাভূতের সংযোগেই জগতের সৃষ্টি সম্ভার। আকাশভরা সূর্য, তারা, গ্রহ, চন্দ্র বিশ্বভরা বৃক্ষলতা, জীব অবয়ব, মানব শরীর, — এসব কিছুরই চার মহাভূত থেকে আবির্ভাব ও চার মহাভূতেই তিরোভাব।


চার্বাক সম্প্রদায় চেতনার অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন। চৈতন্য দেহের একটি গুণ। ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ এই চারটি মহাভূতের যে কোন একটির মধ্যে এই গুণটি যদিও থাকে না, এই চারটি মহাভূত নির্দিষ্ট পরিমাণে মিশ্রিত হলে যে দেহের উৎপত্তি হয়, সেই দেহে এই নতুন গুণ চৈতন্যের আবির্ভাব ঘটে। চার্বাকগণের মতে, পান, সুপারি, চুন—এই তিন বস্তুর কোনটিতেই লাল রঙ বা আভা নেই, কিন্তু একসঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঐ তিনটি বস্তুকে মিশিয়ে চিবোলে লাল রঙ দেখা যায়। ঠিক তেমনই ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ-এই চার মহাভূতের কোনটিতেই চৈতন্য না থাকলেও এগুলির নির্দিষ্ট পরিমাণ সংমিশ্রণে চৈতন্যের আবির্ভাব ঘটে। জড়েরই উপরন্ত হল চৈতন্য। 


চার্বাকগণ আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। তাঁদের মতে, দেহের অতিরিক্ত আত্মার কোন  সত্তা নেই। চৈতন্যবিশিষ্ট দেহই হল আত্মা। দেহ ও আত্মা অভিন্ন। দেহের বিনাশে আত্মারও বিনাশ ঘটে। 

চার্বাকগণের মতে, পরজন্ম একটি ভ্রান্ত ধারণা। বর্তমান জীবনই সত্য। চার্বাকগণ আত্মার অমরতায় বিশ্বাসী নন। তাঁরা কর্মফল ভোগকেও হেসে উড়িয়ে দেন। মানুষ এ জন্মে ভাল কাজ করলে পরের জন্মে দারুণ সুখ ভোগ করবে আর এ জন্মে খারাপ কাজ করলে পরের জন্মে দারুণ দুঃখ ভোগ করবে—এসব কথা অর্থহীন ও অযৌক্তিক।


ভারতীয় দর্শনের অনেক সম্প্রদায়ই মোক্ষের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। অনেক ভারতীয় দার্শনিক স্বীকার করেন মোক্ষলাভ করাই মানবজীবনের পরম আদর্শ। মোক্ষ পর্যায়ে চার্বাকগণের ঘোরতর আপত্তি। তাদের বক্তব্য হল, যদি আত্মারই কোন সত্তা না থাকে, তাহলে আত্মার আবার মুক্তি কি? আত্মার মুক্তি ভ্রান্ত ধারণাভিত্তিক।


চার্বাকগণ বেদ-বিশ্বাসী নন। তাঁরা মনে করেন ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই। জগৎ সৃষ্টির সহায়ক ঈশ্বর নন, চার মহাভূতের স্বাভাবিক সংমিশ্রণেই জগৎ সৃষ্টি হয়েছে। পুরোহিতরাই  ঈশ্বরের নাম ভাঙিয়ে জীবিকা অর্জনের তাগিদে সাধারণ মানুষকে ঈশ্বর আরাধনা করার জন্য অনুপ্রাণিত করেন। ঈশ্বর নেই। ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করা যায় না। যা প্রত্যক্ষ করা যায় না তার অস্তিত্বেও বিশ্বাস করা যায় না। চার্বাকগণ মনে করেন, বিশ্বে যা কিছু ঘটছে তাই স্বাভাবিক। জড় উপাদানের স্বাভাবিক পরিণতি এই জগৎ। জগৎ সৃষ্টির পেছনে কোন সচেতন উদ্দেশ্য থাকতে পারে না।


চার্বাক মতে, ইন্দ্রিয় সুখই মানব জীবনের পরম আদর্শ। ধর্ম নয়, মোক্ষ নয়, কাম ও অর্থই হল মুখ্য ও গৌণ পুরুযার্থ। সুখই স্বর্গ। সুখ লাভ করাই জীবের চরম উদ্দেশ্য। এ জীবনে যে সবচেয়ে বেশি সুখ লাভ করতে পারে তারই তো সাধু জীবন। পরজন্মে সুখ পায় বলে যারা এজন্মে কৃচ্ছ্রসাধনা করে তাদের মত বোকা আর কেউ নেই। চার্বাকদের বিখ্যাত উক্তিও "যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ, ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ” অর্থাৎ "যতদিন বাঁচ সুখে বাঁচ, ঋণ করেও ঘি খাও। চার্বাকদের বক্তব্য, বেঁচে থাকা তো সুখে দুঃখেই। দুঃখ আছে বলে কি কেউ সুখ চাইবে না ? মাছে কাঁটা আছে বলে কি কেউ মাছ খাবে না? দুঃখ মিশে আছে বলে বর্তমান সুখকে পরিহার করা মানুষের পক্ষে বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। জীবের সুখ ও শান্তি নির্ভর করে জৈবিক প্রবৃত্তির যথেচ্ছ রূপায়ণের উপর।

Read More

Saturday 17 December 2022

একাদশ শ্রেণির দর্শন - অধ্যায়: কার্যকারণ সম্বন্ধ (MCQ with answer)

Leave a Comment

        চতুর্থ অধ্যায়

          কার্যকারণ সম্বন্ধ

MCQ with answers


1. সাধারণ মতবাদ অনুসারে কারণ ও কার্যের সম্পর্ক

(a) বাহ্যিক 

(b) আবশ্যিক  

(c) আকস্মিক 

(d) নিয়ত সংযোগ 

উঃ (b) আবশ্যিক  


2. কারণ একটি শক্তি যা কার্যকে সৃষ্টি করে— মতবাদটি কার ?

(a) লক

(b) বার্কলে

(c) হিউম

(d) কান্ট

উঃ (a) লক


3. কার্যকারণ সম্পর্ক বিষয়ে সাধারণ মানুষের মতবাদ কী নামে পরিচিত?

 (a) অনিবার্য সম্পর্ক

(b) প্রসক্তি সম্পর্ক

(c) লোকায়ত

(d) নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক

উঃ (c) লোকায়ত


4. কারণ হল হেতু যা থেকে কার্য সৃষ্টি হয় এটি কাদের মতবাদ ?

(a) অভিজ্ঞতাবাদীদের

(b) বুদ্ধিবাদীদের

(c) বিচারবাদীদের

(d) প্রসক্তিবাদীদের

উঃ (b) বুদ্ধিবাদীদের


5. কোন্ দার্শনিক সম্প্রদায়ের মতে কারণ ও কার্যের মধ্যে অনিবার্য সম্পর্ক বর্তমান? 

(a) বিচারবাদীদের

(b) অভিজ্ঞতাবাদীদের

(c) বুদ্ধিবাদীদের

(d) বস্তুবাদীদের

উঃ (c) বুদ্ধিবাদীদের


6. কারণ থেকে কার্য অনিবার্যভাবে প্রসূত বা সৃষ্টি হয়— এই মতবাদটি কাদের?

(a) অভিজ্ঞতাবাদীদের 

(b) প্রসক্তিবাদীদের

(c) বস্তুবাদীদের

(d) ভাববাদীদের

উঃ (b) প্রসক্তিবাদীদের


7. কারণ কার্যের অনিবার্যতা হল যৌক্তিক অনিবার্যতা— একথা কে মানেন ? 

(a) হিউম

(b) রাসেল

(c) ইউয়িং

(d) বার্কলে

উঃ c) ইউয়িং


8. কোন্ দার্শনিক প্রসক্তিবাদী নামে পরিচিত?

(a) হিউম

(b) কান্ট

(c) মিল

(d) ইউয়িং

উঃ (d) ইউয়িং


9. কোন দার্শনিক বলেন যে, কারণ ও কার্যের সম্পর্ক হল জ্ঞানের পূর্বতঃসিদ্ধ আকার ? 

(a) কান্ট 

(b) দেকার্ত  

(c) মিল 

(d) লক

উঃ (a) কান্ট 


10. কোন দার্শনিক বলেন যে, কার্যকারণ সম্পর্কের নিয়মটি হল নিয়মের আকার ?

(a) ইউয়িং 

(b) উইটগেন স্টাইন 

(c) কান্ট 

(d) হিউম

উঃ (b) উইটগেন স্টাইন 


11. কোন্ দার্শনিকের মতে কারণ ও কার্যের মধ্যে নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক বর্তমান ? 

(a) মিলের

(b) হিউমের

(c) রাসেলের

(d) স্পিনোজার

উঃ (b) হিউমের


12. দুটি ঘটনার মধ্যে ব্যতিক্রমহীন, অপরিবর্তিত এবং অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক কী সম্পর্ক?

(a) নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক 

(b) আবশ্যিক সম্পর্ক 

(c) শক্তি সম্পর্ক 

(d) আকস্মিক সম্পর্ক

উঃ (b) আবশ্যিক সম্পর্ক 


13. ‘আগুনে হাত দিলে হাত পোড়ে”– এখানে দুটি ঘটনার মধ্যে কী সম্পর্ক বর্তমান ?

(a) অনিবার্য সম্পর্ক 

(b) আকস্মিক সম্পর্ক 

(c) শক্তি সম্পর্ক 

(d) স্বাভাবিক সম্পর্ক

উঃ (a) অনিবার্য সম্পর্ক 


14. কারণ ও কার্যের অনিবার্য সম্পর্ক হল মানসিক অভ্যাসগত প্রত্যাশার ফল—কার মত? 

(a) কান্টের

(b) দেকার্তের

(c) লকের

(d) হিউমের

উঃ (d) হিউমের

15. প্রসক্তিবাদীদের মতে কারণ ও কার্যের মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক বর্তমান ?


(a) শক্তি সম্পর্ক

(b) নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক

(c) বাহ্যিক সম্পর্ক

(d) অনিবার্য সম্পর্ক

উঃ (d) অনিবার্য সম্পর্ক


16. কারণ ও কার্যের সম্পর্ক হল আপেক্ষিক (Accidental)—এটি কোন দার্শনিকের মত?

(a) লকের 

(b) বার্কলের 

(c) হিউমের 

(d) হেগেলের

উঃ (c) হিউমের 


17. কোন দার্শনিক মনে করেন যে, কারণ ও কার্যের সম্পর্ক হল দুটি ঘটনার নিয়ত সহঅবস্থান? 

(a) হিউম

(b) রাসেল

(c) লক

(d) কান্ট

উঃ (a) হিউম


18. কোন সম্পর্ক অনুসারে বলা যায় যে A ঘটলে B ঘটবেই?

(a) অনিবার্য সম্পর্ক

(b) আকস্মিক সম্পর্ক

(c) প্রথাগত সম্পর্ক 

(d) নিয়ত সংযোগ সম্পর্ক

উঃ (a) অনিবার্য সম্পর্ক


19. অনিবার্য সম্পর্ক কী ধরনের সম্পর্ক?

(a) সার্বিক 

(b) বিশেষ 

(c) অনিয়ত 

(d) ব্যতিক্রমী

উঃ (a) সার্বিক 


 20. কোন্ দার্শনিক বলেছেন যে, কারণ ও কার্যের মধ্যে কোনো আবশ্যিক সম্বন্ধ নেই? 

(a) লক

(b) দেকার্ত

(c) হিউম

(d) ইউয়িং

উঃ (c) হিউম


21. অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কার্যকারণের মধ্যে অনিবার্য সম্পর্কের ধারণা পাওয়া যায় না-এটি কার মত?

(a) কান্টের

(b) হিউমের

(c) রাসেলের

(d) দেকার্তের 

উঃ (b) হিউমের


22. “কারণ হল কার্যের নিয়ত পূর্বগামী ঘটনা এবং কার্য হল কারণের নিয়ত অনুগামী ঘটনা”— হিউম দুটি ঘটনার এই সম্পর্ক কী আখ্যা দিয়েছেন ?

(a) আবশ্যিক

 (b) পৌর্বাপর

 (c) বাহ্যিক

 (d) আকস্মিক

উঃ (b) পৌর্বাপর


23. কে মনে করেন যে-কারণ ও কার্যের মধ্যে আবশ্যিক সম্পর্ক বর্তমান?

(a) অভিজ্ঞতাবাদীরা 

(b) বুদ্ধিবাদীরা

(c) বিচারবাদীরা

(d) বস্তুবাদীরা 

উঃ (b) বুদ্ধিবাদীরা


24. কোন্ দার্শনিক অভিজ্ঞতাবাদী হয়েও কারণ ও কার্যের মধ্যে অনিবার্যতা স্বীকার করেন?

(a) লক 

(b) বার্কলে  

(c) হিউম 

(d) মিল

উঃ (a) লক 


25. হিউমের মতে কার্যকারণের অনিবার্য সম্পর্কের ধারণা হল মানসিক ------- ফল।

(a) উৎকর্ষতার

(b) কুসংস্কারের

(c) দুর্বলতার

(d) দ্বন্দের

উঃ (b) কুসংস্কারের


26. কার মতে কার্যকারণের মধ্যে কোনো অনিবার্য সম্পর্ক নেই? 

(a) হিউমের

(b) বার্কলের

(c) লকের

(d) দেকার্তের

উঃ (a) হিউমের


27. কান্ট কার্যকারণ সম্পর্ককে কিরূপ ধারণা বলেছেন?

(a) অভিজ্ঞতালব্ধ 

(b) অভিজ্ঞতাপূর্ব 

(c) কল্পনাপ্রসূত 

(d) আকস্মিক

উঃ (b) অভিজ্ঞতাপূর্ব 


28. কে বিশ্বাস করেন যে, কার্যকারণের অনিবার্য সম্পর্কের কোনো বস্তুগত ভিত্তি নেই ?

(a) কান্ট 

(b) হেগেল

 (c) দেকার্ত

(d) হিউম

উঃ (d) হিউম


29. কারণ এবং কার্য দুটি পৃথক ঘটনা, একথা বলেন কে?

(a) দেকার্ত 

(b) লাইবনিজ 

(c) হিউম 

(d) রাসেল

উঃ (c) হিউম 


30. কোন্ দার্শনিক ঈশ্বরকে একমাত্র কারণ বলেছেন?

(a) বার্কলে 

(b) হিউম 

(c) কান্ট 

(d) দেকার্ত

উঃ (a) বার্কলে 


31. A হল B-এর কারণ হিউমের মতে এই বচনটি কিরূপ বাক্য? 

(a) পূর্বতঃসিদ্ধ

(b) পরতঃসাধ্য

(c) বিশ্লেষক

(d) কাল্পনিক

উঃ (b) পরতঃসাধ্য


32. হিউমের মতে বাহ্য জগতে দুটি ঘটনার সম্পর্ক হল-

(a) অনিবার্য 

(b) আকস্মিক 

(c) কল্পনাপ্রসূত 

(d) ঐশ্বরিক

উঃ (b) আকস্মিক 


 33. প্রসক্তি সম্পর্কে যুক্ত দুটি ঘটনার মধ্যে একটি ঘটলে অপরটি ----

(a) ঘটবেই

(b) নাও ঘটতে পারে

(c) অনিশ্চিত

(d) ঘটবে না

উঃ (a) ঘটবেই


34. কোনো বৈধ অবরোহ যুক্তির হেতুবাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে যে সম্বন্ধ থাকে তাকে বলে-

(a) বাহ্যিক সম্পর্ক

(b) আকস্মিক সম্পৰ্ক

(c) প্রসক্তি সম্বন্ধ 

(d) নিয়ত সংযোগ সম্বন্ধ

উঃ (c) প্রসক্তি সম্বন্ধ 


35. কার্যকারণ সম্পর্কে হিউমের মতবাদকে বলা হয়-


(a) সততসংযোগতত্ত্ব 

(b) প্রসক্তিতত্ত্ব 

(c) অনিবার্যতত্ত্ব 

(d) আবশ্যিক তত্ত্ব

উঃ (a) সততসংযোগতত্ত্ব 


36. কার্যকারণ সম্পর্ক বিষয়ে বুদ্ধিবাদীদের মতবাদকে বলা হয়----

(a) প্রসক্তিতত্ত্ব

(b) নিয়তসংযোগতত্ত্ব

(c) সতত সংযোগতত্ত্ব 

(d) আপেক্ষিক তত্ত্ব

উঃ (a) প্রসক্তিতত্ত্ব


37. অভ্যাসজাত মানসিক প্রত্যাশা থেকেই কার্যকারণের মধ্যে অনিবার্য সম্বন্ধের ধারণার উৎপত্তি হয় বলেছেন---

(a) কান্ট 

(b) লক 

(c) হিউম 

(d) ইউয়িং

উঃ (c) হিউম 


38. কারণ ও কার্যের মধ্যে অনিবার্য, আভ্যন্তরীণ, পূর্বাপর, অবিচ্ছেদ্য ও পূর্বত:সিদ্ধ সম্বন্ধ আছে বলেছেন—

(a) অভিজ্ঞতাবাদীরা

(b) বুদ্ধিবাদীরা

(c) বস্তুবাদীরা

(d) ভাববাদীরা

উঃ (b) বুদ্ধিবাদীরা


39. কোন্ দার্শনিকের মতে কার্যকারণ সম্পর্ক হল প্রসক্তিসদৃশ সম্বন্ধ ?

(a) কান্ট

(b) হিউম

(c) উইটগেনস্টাইন

(d) ইউয়িং

উঃ (d) ইউয়িং


40. কারণ হল কার্যের নিয়ত শর্তান্তরহীন অব্যবহিত অগ্রবর্তী ঘটনা, বলেছেন —


(a) লক

(b) হিউম

(c) মিল

(d) বার্কলে

উঃ (c) মিল


41. ‘কারন ও কার্যের মধ্যে প্রসক্তি সম্বন্ধ আছে' – একথা বলেছেন-

(a) লক

(b) ইউয়িং

(c) হিউম

(d) দেকার্ত

উঃ (b) ইউয়িং

42. সতত সংযোগ তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন—

(a) দেকার্ত 

(b) লক

(c) হিউম

(d) কান্ট

উঃ (c) হিউম

<<<<<<<<<<<The End>>>>>>>>>

Read More

Wednesday 31 August 2022

দ্রব্য: MCQ Class XI (WBCHSE)

Leave a Comment

 

  একাদশ শ্রেণি (Class XI) WBCHSE

          তৃতীয় অধ্যায় : দ্রব্য

MCQ (1 Marks each)


সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :

1. লৌকিক বা সাধারণ মতানুযায়ী দ্রব্য হল (a) গুণের আধার (b) শক্তির আধার (c) ধর্মের আধার (d) গতির আধার

উঃ (a) গুণের আধার


2. গুণ যাকে অবলম্বন করে থাকে তাকে বলে

(a) শক্তি (b) দ্রব্য (c) কর্ম  (d) গতি

উঃ (b) দ্রব্য


3. কোন্ দার্শনিক দ্রব্যকে বিশ্বের মৌলিক পদার্থরূপে স্বীকার করেছেন?

(a) দেকার্ত (b) লক (c) প্লেটো (d) বার্কলে

উঃ (c) প্লেটো


4. দ্রব্য হল বস্তুর সারসত্তা - যা অচঞ্চল, শাশ্বত ও স্বনির্ভর'- বলেছেন -

(a) কান্ট (b) হিউম (c) লক  (d) প্লেটো

উঃ  (d) প্লেটো

5. 'ধারণা বা জাতি হল সদবস্তু'—একথা বলেছেন-

(a) প্লেটো (b) অ্যারিস্টটল (c) দেকার্ত (d) হেগেল

উঃ (a) প্লেটো


6. “ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের বস্তুসমূহ ধারণা বা জাতির অনুলিপি বা প্রতিলিপি' বলেছেন

(a) অ্যারিস্টটল (b) প্লেটো (c) কান্ট (d) বেকন

উঃ (b) প্লেটো 


7. কোন দার্শনিকের মতে দ্রব্য হল সামান্য ও বিশেষের সমন্বয় ? 

(a) কান্ট (b) প্লেটো (c) অ্যারিস্টটল (d) হিউম

উঃ (c) অ্যারিস্টটল 


8. বিশেষ বিশেষ বস্তু বা ব্যক্তি আকার ও উপাদানের মিলিত ফল'—বলেছেন—

(a) সক্রেটিস (b) প্লেটো (c) অ্যারিস্টটল (d) বার্কলে

উঃ (c) অ্যারিস্টটল 


9. ‘দ্রব্য হল পরিবর্তনের অন্তরালে এক অপরিবর্তনীয় স্থায়ী সত্তা'—কার মত? 

(a) অ্যারিস্টটল (b) প্লেটো (c) হেগেল (d) হিউম

উঃ (a) অ্যারিস্টটল 


10. 'দেশ কালাতীত জাতি বা সামান্য হল দ্রব্য'—উক্তিটি করেছেন---

(a) প্লেটো (c) পিথাগোরাস (b) অ্যারিস্টটল (d) থালেস

উঃ (b)  অ্যারিস্টটল 


11. অ্যারিস্টটল কত প্রকার দ্রব্যের কথা বলেছেন?

(a) দুই (b) তিন (c) চার (d) পাঁচ

উঃ (b) তিন 


12. 'যা স্বনির্ভর ও অন্যনিরপেক্ষ তাই দ্রব্য'—উক্তিটি কোন্ দার্শনিকের? 

a) প্লেটো (b) কান্ট (c) অ্যারিস্টটল (d) দেকার্ত

উঃ (d) দেকার্ত


13. সাপেক্ষ ও নিরপেক্ষ দ্রব্যের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন—

(a) অ্যারিস্টটল (b) স্পিনোজা (c) দেকার্ত (d) বার্কলে

উঃ (c) দেকার্ত


14. দেকার্তের মতে দ্রব্যের সংখ্যা কয়টি?

(a) একটি (b) দুটি (c) তিনটি (d) চারটি

উঃ (c) তিনটি 


15. জড়দ্রব্য ও চেতন দ্রব্য এই দুই প্রকার পরস্পর বিরোধী দ্রব্যের কথা বলেছেন

(a) দেকার্ত (b) স্পিনোজা (c) লাইবনিজ (d) কান্ট

উঃ (a) দেকার্ত 


16. দেকার্তের মতে জড়ের সাধারণ ধর্ম কী? 

(a) চেতনা (b) বিস্তৃতি (c) স্মৃতি (d) বেদনা

উঃ (b) বিস্তৃতি 


17. দেকার্ত বলেন মনের সাধারণ ধর্ম হল 

(a) কামনা (b) বেদনা (c) বিস্তৃতি (d) চেতনা 

উঃ  (d) চেতনা 


18. কোন দার্শনিক দ্বৈতবাদী নামে পরিচিত?

(a) স্পিনোজা (b) দেকার্ত (c) লাইবনিজ (d) প্লেটো

উঃ (b) দেকার্ত 


19. দেকার্তের মতে পরম দ্রব্য কোনটি? (a) বাহ্যবস্তু

(b) আত্মা (c) ঈশ্বর (d) জীব

উঃ (c) ঈশ্বর


20. ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়াবাদ বা মিথস্ক্রিয়াবাদের প্রবর্তক হলেন

(a) দেকার্ত (b) প্লেটো (c) স্পিনোজা (d) লক

উঃ a) দেকার্ত


21. দেকার্ত দ্রব্যের প্রকৃতিগত গুণ ছাড়াও কতকগুলি গৌণগুণ স্বীকার করেছেন, যেগুলিকে তিনি বলেছেন

(a) অপ্রাসঙ্গিক গুণ (b) বাহ্য গুণ (c) রূপান্তর (d) মানসিক গুণ

উঃ (c) রূপান্তর


22. দেকার্ত দ্রব্যের ধারণাকে কী জাতীয় ধারণাপ্রসূত

বলেছেন?

(a) অভিজ্ঞতা প্রসূত (b) সহজাত ধারণাপ্রসূত (c) প্রত্যক্ষলব্ধ (d) কল্পনাপ্রসূত

উ: (b) সহজাত ধারণাপ্রসূত


23. 'স্বনির্ভরতা এবং স্ববেদ্যতা হল দ্রব্যের লক্ষণ'-মন্তব্যটি কার ?

(a) স্পিনোজার (b) দেকার্ত (c) অ্যারিস্টটল (d) প্লেটো

উঃ (a) স্পিনোজার 


24. কোন দার্শনিকের মতে ঈশ্বর একমাত্র দ্রব্য ?

(a) দেকার্ত (b) লাইবনিজ (c) মারভিন (d) স্পিনোজা

উঃ (d) স্পিনোজা


25. 'দ্রব্য = ঈশ্বর প্রকৃতি'—এই সমাধানটি কোন্ দার্শনিকের ?

(a) দেকার্ত (b) স্পিনোজা (c) লক (d) বার্কলে

উঃ (b) স্পিনোজা 


26. কোন দার্শনিককে অদ্বৈতবাদী বলা হয়?

(a) প্লেটো (b) বার্কলে (c) স্পিনোজা (d) হেগেল

উঃ (c) স্পিনোজা


27. সবকিছুই ঈশ্বর এবং ঈশ্বরই সবকিছু (All is God and God is all) বলেছেন

(a) স্পিনোজা (b) প্লেটো (c) বার্কলে ((d)হিউম

উঃ (a) স্পিনোজা


28. কোন দার্শনিককে সর্বেশ্বরবাদী আখ্যা দেওয়া হয়?

(a)  প্লেটো    (b) হেগেল (c) কান্ট (d) স্পিনোজা

উঃ (d) স্পিনোজা


29."স্বাধীন আত্মসক্রিয়তাই দ্রব্যের লক্ষণ" এটি কোন্ দার্শনিকের উক্তি।

(a) দেকার্ত (b) স্পিনোজা (c) লাইবনিজ (d) লক

উঃ(c) লাইবনিজ


30. কোন্ দার্শনিক দ্রব্যকে মনাড বা চিৎপরমাণু বলেছেন?

(a) অ্যারিস্টটল (b) লাইবনিজ  (c) দেকার্ত (d) স্পিনোজা

উঃ(b) লাইবনিজ


31. দ্রব্য হল সরল ও অবিভাজ্য এবং স্বয়ংক্রিয় ও নিরংশ—বলেছেন (a) লাইবনিজ (b) হেগেল (c) কান্ট (d) হিউম

উঃ (a) লাইবনিজ


32. লাইবনিজ দ্রব্যকে নিরংশ বা অংশবিহীন বলেছেন কেন ? (a) দ্রব্য নিত্য (b) দ্রব্য প্রত্যক্ষ যোগ্য (c) দ্রব্য অনিত্য (d) দ্রব্য জড়

উঃ  (a) দ্রব্য নিত্য


33. 'দ্রব্য হল গবাক্ষহীন চিৎপরমাণু' - এটি কোন্ দার্শনিকের মত?

(a) স্পিনোজা (b) দেকার্ত (c) লাইবনিজ (d) অ্যারিস্টটল

উঃ (c) লাইবনিজ


34. কোন দার্শনিককে 'বহুত্ববাদী' আখ্যা দেওয়া হয়? 

(a) দেকার্ত (b) লাইবোনিজ (c) হিউ্ম (d) স্পিনোজা

উঃ (b) লাইবোনিজ 


35. পূর্বপ্রতিষ্ঠিত শৃঙ্খলাবাদের প্রবর্তক কে?

(a) দেকার্ত (b)  স্পিনোজা (c) হিউম (d) লাইবনিজ 

উঃ(d) লাইবনিজ 


36. দ্রব্য হল জ্ঞাত গুণের অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় আধার—উক্তিটি কোন দার্শনিকের?

(a) লাইবনিজের (b) দেকার্তের (c) লকের (d) স্পিনোজার

উঃ (c) লকের


37.'দ্রব্য হল এমন কিছু যা আমি জানি না -- বলেছেন - 

(a) লক (b) বার্কলে (c) হিউম (d) লাইবনিজ

উঃ (a) লক


38. কোন্ দার্শনিক দ্রব্যের গুণকে মুখ্যগুণ ও গৌণগুণে পৃথক করেছেন?

(a) বার্কলে  (b) লক (c) দেকার্ত (d) স্পিনোজা

উঃ  (b) লক 


39. লক কয়প্রকার দ্রব্য স্বীকার করেছেন?

(a) এক (b) দুই (c) তিন (d) চার

উঃ (a) লক


40. দ্রব্য সর্বদা বিশেষ্যপদ হয় একথা বলেছেন—

(a)প্লেটো (b) অ্যারিস্টটল (c) লক (d) কান্ট

উঃ (b) অ্যারিস্টটল


41. জড়দ্রব্য হল কতকগুলি গুণ বা সংবেদনের সমষ্টি কার উক্তি?

(a) লকের (b) বার্কলের (c) স্পিনোজার (d) হিউমের

উঃ (b) বার্কলের


42. 'অস্তিত্ব প্রত্যক্ষনির্ভর'—বলেছেন

(a) দেকার্ত (b) (c) বার্কলে (d) স্পিনোজা

উঃ(c) বার্কলে


43. কোন দার্শনিক মনে করেন – দ্রব্যের অস্তিত্ব জ্ঞাতার মনের ওপর নির্ভর করে?

(a) বার্কলে (b) হিউম (c) প্লেটো (d) দেকার্ত 

উঃ (a) বার্কলে


44. জড়দ্রব্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও চেতন দ্রব্য বা আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন কোন দার্শনিক ?

(a) লক (b) বার্কলে (c)  হিউম (d) স্পিনোজা

উঃ(b) বার্কলে


45. কোন দার্শনিকের মতে 'আত্মা দুই প্রকার—জীবাত্মা ও পরমাত্মা' ? (a) স্পিনোজা (b) লক (c) দেকার্ত (d) বার্কলে

উঃ (d) বার্কলে

46. মন এবং ঈশ্বর—দুই প্রকার দ্রব্যের অস্তিত্ব স্বীকার করেছেন—

(a) বার্কলে (b) লক (c) হিউম (d) দেকার্ত

উঃ(a) বার্কলে 


 47. কোন্ মতবাদ অনুযায়ী আমরা সরাসরি বস্তুকে জানতে পারি? ----(a) সরল বস্তুবাদ (b) প্রতিরূপী বস্তুবাদ (c) ভাববাদ (d) সবিচার বস্তুবাদ

উঃ (a) সরল বস্তুবাদ


 48. দ্রব্যের ধারণা হল দুর্বোধ্য উদ্ভট কল্পনা'- একথা বলেছেন --- (a) লক (b) বার্কলে (c) হিউম (d) লাইবনিজ

উঃ (c) হিউম


49. আত্মার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন ---

(a) প্লেটো (b) দেকার্ত (c) লাইবনিজ  (d) হিউম

উঃ (d) হিউম


50. জড়দ্রব্য, আত্মা ও ঈশ্বর—কোনো দ্রব্যেরই অস্তিত্বৎ'নেই'—বলেছেন

(a) কান্ট (b) হিউম (c) বার্কলে (d) রাসেল

উঃ (b) হিউম


51. কোন দার্শনিক দ্রব্যকে চিন্তাশীল এবং অচিন্তাশীল রূপে বিভক্ত করেছেন? ---- (a) দেকার্ত (b) লক (c) বার্কলে (d) হিউম

উঃ  (a) দেকার্ত 


52. স্পিনোজা কয়টি দ্রব্য স্বীকার করেছেন? --- (a) একটি (b) দুটি (c) তিনটি (d) চারটি

উঃ- (a) একটি 


53. ব্যক্তি বা প্রতিটি মূর্ত বস্তুই হল দ্রব্য'—বলেছেন 

(a) প্লেটো (b) অ্যারিস্টটল (c) স্পিনোজাৎ(d) বার্কলে

উঃ (b) অ্যারিস্টটল


54. কোন দার্শনিকের মতে জড় ও মন হল পরস্পর বিরোধী দ্রব্য ?

(a) হিউম (b স্পিনোজা (c) অ্যারিস্টটল (d) দেকার্ত

উঃ (d) দেকার্ত


 55. 'আত্মা হল বিভিন্ন মানসিক ক্রিয়ার অবিরাম ধারা বা প্রবাহ—বলেছেন

(a) লক (b) হিউম (c) বার্কলে (d) স্পিনোজা

উঃ (b) হিউম 


56. দ্রব্য হল স্বয়ংক্রিয় আধ্যাত্মিক একক বলেছেন

(a) লাইবনিজ (b) কান্ট (c) দেকার্ত (d) হিউম

উঃ a) লাইবনিজ


57. দ্রব্য সম্পর্কে স্পিনোজার মতবাদকে বলা হয়—

(a) দ্বৈতবাদ (b) অদ্বৈতবাদ (c) বহুত্ববাদ (d) দ্বৈতাদ্বৈতবাদ

উঃ (b) অদ্বৈতবাদ


 58. সামান্য ও বিশেষের সংযোগে যে গুণসমন্বিত বিশিষ্ট সত্তা গঠিত হয় তাই প্রকৃত দ্রব্য — বলেছেন

 (a) প্লেটো (b) স্পিনোজা (c) কান্ট  (d) অ্যারিস্টটল

উঃ (d) অ্যারিস্টটল


59. দ্রব্যকে সাক্ষাৎভাবে জানা যায় না- কে বলেছেন?

(a) লক (b) স্পিনোজা (c) বার্কলে  (d) দেকার্ত

উঃ(a) লক


60. "জাড়দ্রব্য বলে কোনো কিছু নেই'- বলেছেন --- (a) প্লেটো (b) অ্যারিস্টটল (c) বার্কলে (d) লক

উঃ (c) বার্কলে 


61. “স্বনির্ভরতা নয়, আত্মসক্রিয়তাই হল দ্রব্যের লক্ষণ'-উক্তিটি করেছেন— (a) বার্কলে (b) লক (c) দেকার্ত (d) লাইবনিজ

উঃ (d) লাইবনিজ


62. মনাড বা চিৎপরমাণুর অস্তিত্ব মেনেছেন—

(a) দেকার্ত (b) লক (c) লাইবনিজ (d) হিউম

উঃ (c) লাইবনিজ


63. দ্রব্য সম্পর্কে লাইবনিজের মতবাদকে বলা হয়

(a) একত্ববাদ  (b) দ্বৈতবাদ (c) বহুত্ববাদ  (d) কোনোটিই নয়।

উঃ (c) বহুত্ববাদ  


64.বিমূর্ত জড়দ্রব্যের অস্তিত্ব নেই—উক্তিটি কার?

(a) লক (b) বার্কলে (c) দেকার্ত (d) কান্ট

উঃ (b) বার্কলে 


65 "গুণের অতিরিক্ত কোনো দ্রব্যের মুদ্রণ আমাদের হয় না"—বলেছেন

(a) লক (b) লাইবনিজ (c) বার্কলে (d) হিউম

উঃ (d) হিউম


66. যা স্বাধীনভাবে ক্রিয়া করতে পারে তাই দ্রব্য বলেছেন—

(a) অ্যারিস্টটল (b) স্পিনোজা  (c) লাইবনিজ (d) দেকার্ত

উঃ (c) লাইবনিজ


67. কোন্ দার্শনিকের মতে দ্রব্য হল ক্রিয়া বা শক্তির উৎস ? (a) লাইবনিজ (b) অ্যারিস্টটল (c) মিল (d) বার্কলে

উঃ (b) অ্যারিস্টটল


68. সামান্য বা ধারণাকে দ্রব্য বলেছেন

(a) প্লেটো (b) অ্যারিস্টটল (c) কান্ট (d) হেগেল 

উঃ(a) প্লেটো


69. জড়দ্রব্য এবং আধ্যাত্মদ্রব্য উভয়ের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন (a) বার্কলে (b) হিউম (c) স্পিনোজা (d) কান্ট

উঃ(b) হিউম


70. অন্তর্বর্তী ঈশ্বরবাদের সমর্থক হলেন

(a) প্লেটো (b) অ্যারিস্টটল (c) দেকার্ত (d) স্পিনোজা

উঃ (b) হিউম



<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>

Read More

Friday 26 August 2022

দর্শন ( Philosophy)দ্রব্য: অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ) একাদশ শ্রেণী

Leave a Comment

                                  দ্রব্য

               একাদশ শ্রেণি

নীচের প্রশ্নগুলি অতিসংক্ষেপে দু একটি বাক্যে উত্তর দাও:

প্রতিটি প্রশ্নের মান ১


১) অ্যারিস্টটল তাঁর 'Metaphysics' গ্রন্থে কতপ্রকার দ্রব্যের উল্লেখ করেছেন ও কী কী ?

 উঃ অ্যারিস্টট্স তাঁর 'Metaphysics' গ্রন্থে তিনপ্রকার দ্রব্যের উল্লেখ করেছেন: (ক) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনিত্যদ্রব্য, যেমন—মানুষ, বৃক্ষ ইত্যাদি। (খ) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নিত্যদ্রব্য, যেমন—গ্রহনক্ষত্র ইত্যাদি। (গ) অতীন্দ্রিয় নিত্যদ্রব্য, যেমন—ঈশ্বর, আত্মা ইত্যাদি।


২) দ্ৰব্য সম্পর্কে লৌকিক মতটি কী ? 

উঃ লৌকিক মত অনুসারে, যা সৃষ্ট বস্তুর উপাদান, যা গুণের আধার, যা গতি ও শক্তির উৎস, যা অপরিবর্তনীয় সত্তা, যা স্বনির্ভর সত্তা তা-ই হল দ্রব্য ।


) অ্যারিস্টটলের মতে দ্রব্য কী ?

উঃ  অ্যারিস্টটলের মতে সামান্যবিশিষ্ট বিশেষ হল দ্রব্য। যেমন, 'মনুষ্যত্ব'-বিশিষ্ট মানুষই দ্রব্য।


৪) দেকার্ত 'দ্রব্য' বলতে কী বুঝিয়েছেন ?

উঃ দেকার্ত দ্রব্যের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, "দ্রব্য হল তা-ই যা নিজের অস্তিত্বের জন্য অন্য কিছুর ওপর নির্ভর করে না।” সুতরাং, দ্রব্য হল স্বনির্ভর সত্তা। 


৫) দেকার্তের মতে দ্রব্য কত প্রকার ও কী কী?

উঃ দেকার্তের মতে দ্রব্য দু-প্রকার--- (ক) নিরপেক্ষ বা স্বনিভর দ্রব্য- ঈশ্বর। (খ) সাপেক্ষ দ্রব্য বা পরনির্ভর দ্রব্য -- মন ও জড়দ্রব্য । 


৬) দেকার্তর মতে দ্রব্য মোট ক-টি ও কী কী ?

উঃ  দেকার্তের মতে দ্রব্য তিনটি—ঈশ্বর, মন ও জড় দ্রব্য।


৭) স্পিনোজার মতে দ্রব্যের সংজ্ঞা দাও।

উঃ  যা স্বনির্ভর ও স্ববেদ্য বস্তু, এক, অনন্ত, শাশ্বত, নিত্য, অপরিণামী, স্বাধীন তা-ই দ্রব্য।


৮) লাইবনিজের মতে দ্রব্য কাকে বলে ? 

উঃ লাইবনিজের মতে, জগতের মৌলিক উপাদান হল দ্রব্য। তিনি দ্রব্যের নাম দিয়েছেন চিৎপরমাণু বা মনাড। মনাড হল চেতনদ্ৰব্য বা আধ্যাত্মিক দ্রব্য ।


৯)  লাইবনিজের মতে মনাড-এর সংজ্ঞা দাও । 

উঃ  লাইবনিজের মতে, “যা আত্মসক্রিয়, যা নিরংশ, যা বিস্তৃতিহীন, যা মৌলিক, তাকে বলা হয় দ্রব্য বা মনাড।


১০)  লাইবনিজের মতে মনাডের বৈশিষ্ট্য কী ? 

 উঃ  লাইবনিজের মতে মনাডের বৈশিষ্ট্য মনাড হল আত্মসক্রিয়, নিরংশ, অবিভাজ্য, বিস্তৃতিহীন, আধ্যাত্মিক ও অজড়াত্মক। মনাড গবাক্ষহীন।


১১) লাইবনিজ চেতন পরমাণুকে কী নাম দিয়েছেন ? 

উঃ লাইবনিজ চেতন পরমাণুকে নাম দিয়েছেন মনাড বা চিৎ পরমাণু।


১২) লক দ্রব্যের কীরূপ সংজ্ঞা দিয়েছেন ? অথবা, লকের মতে দ্রব্য কী ? 

উঃ লকের মতে 'দ্রব্য' হল মুখ্য গুণের অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় আধার।


১৩)  লক কত প্রকার দ্রব্য স্বীকার করেছেন ? 

উঃ  লক তিনপ্রকার দ্রব্য স্বীকার করেছেন। যেমন জড়দ্রব্য, মন ও ঈশ্বর।

 

১৪) লকের মতে গুণ কতপ্রকার ও কী কী ?

উঃ  লকের মতে গুণ দুই প্রকার। যেমন—মুখ্য গুণ ও গৌণ গুণ ।


১৫) মুখ্য গুণ বলতে লক কী বুঝিয়েছেন ?

উঃ যে-গুণগুলি সার্বিক, আবশ্যিক, অপরিবর্তনশীল, দ্রব্য থেকে অবিচ্ছেদ্য, মন-নিরপেক্ষ, বস্তুগত সেই গুণগুলিকে লক মুখ্য গুণ বুঝিয়েছেন।


১৬)  লকের মতে গৌণ গুণের সংজ্ঞা দাও ।

উঃ যে গুণগুলি সার্বিক নয়, আবশ্যিক নয়, পরিবর্তনশীল, মনসাপেক্ষ, বস্তুগত নয় সেই গুণগুলিকে লক গৌণ গুণ বলেছেন।

অথবা,

যে গুণগুলি প্রকৃতপক্ষে বস্তুতে বর্তমান থাকে না অথচ ব্যক্তিমন বস্তুতে আরোপ করে, সেই গুণগুলিকে গৌণ গুণ বলে। যেমন- রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, স্বাদ ইত্যাদি।


১৭) দ্রব্য বলতে বার্কলে কী বুঝিয়েছেন ? 

উঃ 'দ্রব্য' বলতে বার্কলে বুঝিয়েছেন, “দ্রব্য হল ধারণার প্রত্যক্ষ আধার।


১৮)  বার্কলের মতে দ্রব্য কতপ্রকার ও কী কী ? 

উঃ  বার্কলের মতে দ্রব্য দু-প্রকার। যথা—জীবাত্মা ও পরমাত্মা।


১৯)  হিউম দ্রব্য' বলতে কী বুঝিয়েছেন ? 

উঃ  হিউমের মতে “দ্রব্য হল গুণসমষ্টি ।”


২০) হিউম কি আত্মাকে স্বীকার করেছেন ? 

উঃ না, হিউম মন বা আত্মাকে স্বীকার করেননি।


২১) দেকার্তের মতে জড় ও মনের গুণ বা ধর্ম কী কী ? 

উঃ  দেকার্তের মতে জড়ের ধর্ম বা গুণ হল বিস্তৃতি এবং মনের গুণ বা ধর্ম হল চেতনা।


২২) গুণের সঙ্গে দ্রব্যের সম্পর্ক কী ?

উঃ  দ্রব্য হল গুণের আধার। দ্রব্যকে গুণ থেকে পৃথকরূপে চিন্তা করা হলেও দ্রব্য ও গুণ পরস্পর অবিচ্ছেদ্য ভাবে সম্পর্কিত।


২৩) লাইবনিজের মতে, মনাডগুলি পরস্পর বিচ্ছিন্ন হলেও তাদের মধ্যে কীভাবে সামঞ্জসা রক্ষিত হয় ? 

উঃ  লাইবনিজ এই প্রশ্নের উত্তরে পূর্বপ্রতিষ্ঠিত সামঞ্জস্য নীতির কথা বলেন। এই মতানুসারে ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করার সময়ে প্রত্যেক চিদণুর ভিতর কোন্ সংবেদন উৎপন্ন হবে তা চিরকালের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।


২৪) দেকার্তের দেহ-মনের দ্বৈতবাদের অপর নাম কী ? 

উঃ  দেকার্ডের দেহ-মনের দ্বৈতবাদের অপর নাম ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াবাদ বা মিথস্ক্রিয়াবাদ।


২৫) "ঈশ্বরই একমাত্র দ্রব্য"-- কে বলেছেন ? 

উঃ "ঈশ্বরই একমাত্র ধব্য”- বলেছেন স্পিনোজা।


২৬) অ্যারিস্টটলকে অনুসরণ করে দ্রব্য' শব্দের যে কোনো দুটি অর্থ লেখো।

উঃ  দ্রব্য শব্দের অর্থ (১) যা স্বনির্ভর তা-ই দ্রব্য। (২) দ্রব্য হল সামান্য ও বিশেষের সমন্বয়।


২৭)  কোন্ দার্শনিক জড়দ্রব্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন কিন্তু আত্মাকে স্বীকার করেছেন ?

উঃ দার্শনিক বার্কলে জড়দ্রব্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন কিন্তু আত্মাকে স্বীকার করেছেন।


২৮)  দ্রব্যকে স্বয়ংক্রিয় এবং নিবংশ কে বলেছেন ?

উঃ  দ্রব্যকে স্বয়ংক্রিয় এবং নিরংশ বলেছেন লাইবনিজ।


২৯)  “গুণের অতিরিক্ত কোনো দ্রব্যের মুদ্রণ আমাদের হয় না'- কার উক্তি ? 

উঃ “গুণের অতিরিক্ত কোনো দ্রব্যের মুদ্রণ আমাদের হয় না”-- উক্তিটি হিউম-এর।


৩০) অ্যারিস্টটল 'দ্রব্য' শব্দটি ক-টি অর্থে ব্যবহার করেছেন ? 

উঃ  অ্যারিস্টটল 'দ্রব্য' শব্দটি চারটি অর্থে ব্যবহার করেছেন।


৩১) স্পিনোজার মতে দ্রব্য কী ? 

উঃ স্পিনোজার মতে দ্রব্য হল ঈশ্বর।


৩২) স্পিনোজা প্রদত্ত দ্রব্যের সমীকরণটি উল্লেখ করো। 

উঃ দ্রব্য = ঈশ্বর = প্রকৃতি।


৩৩) অ্যারিস্টটলকে লক্ষ করে দ্রব্য শব্দের অর্থ লেখো ? 

উঃ অ্যারিস্টটল দ্রব্য শব্দটিকে চারটি অর্থে প্রয়োগ করেছেন— (১) দ্রব্য হল মূর্ত বিশিষ্ট বস্তু, (২) দ্রব্য হল যা স্বনির্ভর, (৩) দ্রব্য হল জাতি ও প্রজাতি, (৪) দ্রব্য হল সবরকম ক্রিয়া ও পরিবর্তনের উৎস।


৩৪) "গুণগুচ্ছই দ্রব্য"। কে বলেছেন ? 

উঃ হিউমের মতে “গুণগুচ্ছই দ্রব্য।”


৩৫)  "গুণের অতিরিক্ত কোনো দ্রব্যের মুদ্রণ আমাদের হয় না" - কার উক্তি? 

উঃ উদ্ধৃত উক্তিটি ডেভিড হিউমের।


৩৬)  “অধ্যাত্ম দ্রব্য দু-প্রকার—জীবাত্মা ও পরমাত্মা।” -কার মত? 

উঃ বার্কলের মত।


৩৭) "দ্রব্যের ধারণা উদ্ভট কল্পনা।"-কার উক্তি 

উঃ " দ্রব্যের ধারণা উদ্ভট কল্পনা।” উক্তিটি হিউম-এর।


৩৮) "জড় দ্রব্য বা অধ্যাত্ম দ্রব্য, কোনো দ্রব্যেরই অস্তিত্ব নেই।" কে বলেছেন ?

উঃ কথাটি বলেছেন হিউম।


 ৩৯) জড় দ্রব্য নেই, আত্মা নেই, ঈশ্বর নেই।" -এ কথা কে বলেছেন ?

 উঃ –এ কথা বলেছেন হিউম।


৪০)  "জড় দ্রব্য হল কতকগুলি গুণের সমষ্টি। অথবা দ্রব্য হল গুণের সমষ্টি।" -কে বলেছেন ? 

 উঃ  —বলেছেন হিউম।


৪১) “বস্তুর অস্তিত্ব জ্ঞাতার মনের ওপর নির্ভরশীল ।" -কে বলেছেন ?

উঃ  কথাটি বলেছেন বার্কলে।


৪২) "দ্রব্য হল ক্রিয়া বা শক্তির উৎস।" কার মত ? 

উঃ – এটি লৌকিক মত।


৪৩)  "জড় দ্রব্য বলে কিছু নেই।”-কোন্ দার্শনিকের মত? 

উঃ এটি দার্শনিক বার্কলের মত।


৪৪)  "যা স্বনির্ভর, তা-ই দ্রব্য " কে বলেছেন ? 

উঃ -এটি দেকার্ত বলেছেন।


৪৫)  "দ্রব্য নেই, আছে শুধু মন ও মনের ধারণা।" -এটি কার উক্তি ? 

উঃ  –এটি বার্কলের উক্তি ।


৪৬)  দ্রব্য - ঈশ্বর = প্রকৃতি।" -এ কথা কে বলেছেন ? 

উঃ –এ কথা স্পিনোজা বলেছেন।


৪৭)  “যা স্বনির্ভর, যার সত্তার উৎস অন্য সত্তা নয়, তা-ই দ্রব্য।" -কে বলেছেন ?

উঃ -দেকার্ত বলেছেন।


৪৮) “ঈশ্বর হল অন্যনিরপেক্ষ দ্রব্য, মন এবং জড় হল সৃষ্ট দ্রব্য।” –কার মত ? 

উঃ–এটি দেকার্ত-এর মত।


৪৯)  “দ্রব্য তিনটি। যথা-জড়, মন ও ঈশ্বর।” কার উক্তি ?

উঃ–এটি দেকার্ত-এর উক্তি ।


৫০) “স্বাধীন আত্মসক্রিয়তাই দ্রব্যের লক্ষণ।” –কার উক্তি ? 

উঃ–এটি লাইবনিজ-এর উক্তি।


৫১) "দ্রব্য হল সরল, অবিভাজ্য, আত্মক্রিয়াশীল চিৎ পরমাণু।"-কার উক্তি ?

উঃ লাইবনিজ-এর উক্তি।


৫২)  "মনাড একমাত্র দ্রব্য।” কার মত?

উঃ এটি দার্শনিক লাইবনিজ এর মত।


৫৩)  “দ্রব্য অসংখ্য চিৎ-পরমাণু।”-কে বলেছেন ? 

উঃ  লাইবনিজ বলেছেন।


৫৪) দ্রব্য সামান্য ও বিশেষের সমন্বয়।" -এটি কার উক্তি

উঃ– এটি অ্যারিস্টটল-এর উক্তি


৫৫)  "দ্রব্য হল গুণের আধার বা আশ্রায় ।" -এ কথা কে বলেছেন ? 

উঃ –এ কথা দেকার্ত বলেছেন।


৫৬) "দ্রব্য হল তা-ই যা স্বনির্ভর ও স্ব-বেদ্য।" -কার উক্তি ?

উঃ —উক্তিটি স্পিনোজা-এর।


৫৭)  “সব কিছুই ঈশ্বর এবং ঈশ্বরই সবকিছু।" -কে বলেছেন ?

উঃ  এটি স্পিনোজা বলেছেন।


৫৮) "দ্রব্য এক ও অনন্য।” –কোন্ দার্শনিকের উক্তি ?

 উঃ – দার্শনিক স্পিনোজার উক্তি ।


৫৯) "দ্রব্য স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অপরিণামী।” –কে বলেছেন ?

উঃ –এটি স্পিনোজা বলেছেন।


৬০) "দ্রব্য সরল ও অবিভাজ্য বা অংশহীন।”---এ কথা কে বলেছেন ? 

উঃ -এ কথা লাইবনিজ বলেছেন।


৬১) "দ্রব্য মৌলিক, অবিভাজ্য ও অসংখ্য।” -কার মত?

উঃ  লাইবনিজ-এর মত।


৬২) "গুণ দু-প্রকার মুখ্য গুণ ও গৌণ গুণ।” –কে বলেছেন ?

উঃ –এটি লক বলেছেন। 


৬৩)  “অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ-নির্ভর।” কার উক্তি ?

উঃ  –এটি বার্কলের উক্তি।


৬৪) "Esse est percipi"-কে বলেছেন ? 

 উঃ এটি বার্কলে বলেছেন।


৬৫)  “আত্মা হল কতকগুলি মানসিক অবস্থার সমষ্টি।” -কার মত ? 

উঃ  -এটি হিউম-এর মত।


৬৬)   “ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ ধারণার অনুলিপি।” –কে বলেছেন ?

উঃ –এটি প্লেটো বলেছেন।


৬৭)" মনের সারধর্ম চিন্তন, জড়ের সারধর্ম বিস্তৃতি" কি বলেছেন? 

উঃ দেকার্ত বলেছেন।

Read More

Monday 16 May 2022

একাদশ শ্রেণীর দর্শন (দর্শনের শাখাসমূহ) SAQ

Leave a Comment

 দর্শনের শাখাসমূহ

সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর ( SAQ)

প্রশ্ন: 'Epistemology' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কী?

উত্তর:  'Epistemology' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হল জ্ঞানবিদ্যা।


প্রশ্ন: 'Epistemology' শব্দটি কোন্ কোন্ শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে?

উত্তর: Epistemology' শব্দটি 'Episteme' ও 'Logos' শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।


প্রশ্ন: ‘Episteme' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: 'Episteme' শব্দের অর্থ হল জ্ঞান। 


প্রশ্ন ‘logos' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: 'logos' শব্দের অর্থ বিদ্যা।


প্রশ্ন: জ্ঞানবিদ্যার একটি আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করো।

উত্তর: জ্ঞানবিদ্যার একটি আলোচ্য বিষয় হল জ্ঞানের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা। 

প্রশ্ন: সংকীর্ণ অর্থে জ্ঞানবিদ্যার আলোচ্য বিষয় কী? 

উত্তর: বস্তুগত ও আকারগত সত্যতা।


প্রশ্ন:  কোন্ শাখাকে দর্শনের ভিত্তি বলা হয়?

উত্তর: জ্ঞানবিদ্যাকে দর্শনের ভিত্তি বলা হয়।


প্রশ্ন: জ্ঞান ও বিশ্বাসের পার্থক্য কোথায় আলোচিত হয়?

উত্তর: জ্ঞানবিদ্যা জ্ঞান ও বিশ্বাসের পার্থক্য আলোচনা করে।


প্রশ্ন:  'Metaphysics' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কী?

উত্তর: 'Metaphysics' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ অধিবিদ্যা।


প্রশ্ন:  ‘Metaphysics’ শব্দটি কোন্ কোন্ শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে?

উত্তর: ‘Metaphysics’ শব্দটি 'Meta’ ও ‘Physics' শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।


প্রশ্ন: 'Meta' শব্দের অর্থ কী? 

উত্তর: 'Meta' শব্দের অর্থ হল পরবর্তী।


প্রশ্ন: অধিবিদ্যায় কোন্ দুটি জগৎ-এর কথা বলা হয়েছে? 

উত্তর: অধিবিদ্যায় যে দুটি জগৎ-এর কথা বলা হয়েছে তা হল (a) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ ও (b) অতীন্দ্রিয় জগৎ।


প্রশ্ন: 'Metaphysics' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী? 

উত্তর:  'Metaphysics' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল পদার্থবিদ্যার পরবর্তী আলোচনা।


প্রশ্ন: অধিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়গুলি ক-প্রকার?

উঃ অধিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়গুলি দু-প্রকার, যা হল তত্ত্ব বিষয়ক ও ধর্ম বিষয়ক।


প্রশ্ন: দুজন দার্শনিকের নাম বলো যারা অধিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়কে অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় বলেছেন।

উত্তর: হিউম, কোঁত প্রমুখ দার্শনিক অধিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়কে অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় বলেছেন।


প্রশ্ন: ‘Meta' শব্দটি কোন্ ভাষার শব্দ?

উত্তর: ‘Meta' শব্দটি গ্রিক শব্দ।


প্রশ্ন: দুজন দার্শনিকের নাম বলো যারা অধিবিদ্যাকে জ্ঞানবিদ্যার দাসত্ব থেকে মুক্তির কথা বলেছেন।

উত্তর: মারভিন ও পেরি অধিবিদ্যাকে জ্ঞানবিদ্যার দাসত্ব থেকে মুক্তির কথা বলেন।


প্রশ্ন: দর্শনের কোন শাখায় অবভাস ও বস্তুস্বরূপের মধ্যে পার্থক্য করা হয়?

উত্তর: অধিবিদ্যায় অবভাস ও বস্তু স্বরূপের মধ্যে পার্থক্য করা হয়।


প্রশ্ন: 'Metaphysics' শব্দের অর্থ কী? 

উত্তর: 'Metaphysics' শব্দের অর্থ হল 'অধিবিদ্যা'।


প্রশ্ন: কার্যকারণ সম্পর্কের স্বরুপ কোথায় আলোচনা করা হয়। 

উত্তর: অধিবিদ্যায় কার্যকারণ সম্পর্কের স্বরূপ আলোচনা করা হয়।


প্রশ্ন:  Metaphysics' শব্দের আক্ষরিক অর্থ কী?

উত্তর: 'Metaphysics' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল—যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের আলোচনাকে ছাড়িয়ে যায়। 


প্রশ্ন: অধিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়গুলি কী কী?

উত্তর: দেশ, কাল, কার্যকারণ সম্পর্ক, ঈশ্বর, আত্মা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে অধিবিদ্যা আলোচনা করে।


প্রশ্ন: দর্শন ও অধিবিদ্যার সম্পর্ক ক-টি দিক থেকে আলোচিত হয়?

উত্তর: দর্শন ও অধিবিদ্যার সম্পর্ক তিনটি দিক থেকে আলোচিত


প্রশ্ন:  অধিবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয় কী?

উত্তর: অধিবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয় হল অপার্থিব ও অতীন্দ্রিয় বিষয়। 


 প্রশ্ন: কান্টের মতে অধিবিদ্যা কি সম্ভব?

উত্তর: কান্টের মতে অধিবিদ্যা সম্ভব নয়। 


প্রশ্ন কোন্ কোন্ দার্শনিক অধিবিদ্যাকে দর্শনের সঙ্গে অভিন্ন বলে মনে করেন? 

উত্তর: প্লেটো, হেগেল, ব্রাডলি প্রমুখ দার্শনিক অধিবিদ্যাকে দর্শনের সঙ্গে অভিন্ন বলে মনে করেন। 

প্রশ্ন: আলেকজান্ডারের মতে দর্শন ও অধিবিদ্যার সম্পর্ক কীরূপ?

উত্তর: আলেকজান্ডারের মতে, দর্শন ও অধিবিদ্যা অভিন্ন। 

প্রশ্ন:  কান্টের মতে দু-প্রকার অধিবিদ্যা কী কী?

উত্তর: কান্টের মতে, দু-প্রকার অধিবিদ্যা হল প্রকৃতির অধিবিদ্যা ও প্রাচীন অধিবিদ্যা।


প্রশ্ন:  'Noumenon' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: 'Noumenon' শব্দের অর্থ অতীন্দ্রিয় সত্তা। 


প্রশ্ন: কান্ট কেন অধিবিদ্যার আলোচনাকে নিষ্ফল বলেছেন?

উত্তর: কান্টের মতে, যথার্থ জ্ঞানের জন্য বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতা উভয়ের সাহায্য প্রয়োজন। অথচ অধিবিদ্যা শুধু বুদ্ধিলব্ধ জ্ঞান নিয়ে আলোচনা করে। তাই এই আলোচনা নিষ্ফল। 


প্রশ্ন: অধিবিদ্যা সম্পর্কে হার্বার্ট স্পেনসারের বক্তব্য কী?

উত্তর: অধিবিদ্যা সম্পর্কে হার্বার্ট স্পেন্সারের বক্তব্য হল জগৎ অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয়।


প্রশ্ন: হিউমের মতে, অধিবিদ্যার ধারণাগুলি কেমন? 

উত্তর: হিউমের মতে অধিবিদ্যার ধারণাগুলি অর্থহীন।


প্রশ: অধিবিদ্যা সম্পর্কে দার্শনিক কোতের মত কী?

উত্তর: অধিবিদ্যা সম্পর্কে দার্শনিক কোঁতের মত হল 'অধিবিদ্যা অর্থহীন ও অসম্ভব। 


প্রশ্ন: একজন যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: এ. জে. এয়ার হলেন একজন যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী দার্শনিক।


প্রশ্ন:  'Ethics' শব্দটি কোন ইংরেজি শব্দ থেকে এসেছে?

উত্তর: Ethics' শব্দটি ইংরেজি শব্দ 'Ethos' শব্দ থেকে এসেছে।


প্রশ্ন: Ethos' শব্দটি কোন শব্দ?

উত্তর: 'Ethos' শব্দটি হল একটি গ্রিক শব্দ।


প্রশ্ন: 'Ethos' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: Ethos' শব্দের অর্থ হল আচার-ব্যবহার। 


প্রশ্ন: Ethics' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?

উত্তর: 'Ethics' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল-মানুষের আচার ব্যবহার সম্পর্কিত আদর্শনিষ্ঠ আলোচনা।


প্রশ্ন;  নীতিবিদ্যার প্রধান আলোচ্য বিষয় কী?

উত্তর: নীতিবিদ্যার প্রধান আলোচ্য বিষয় হল নৈতিক ও অনৈতিক ক্রিয়ার পার্থক্য নির্ণয়, নৈতিক বিচার ও তার মানদণ্ড নির্ণয় করা।


প্রশ্ন: মানুষের কোন প্রকার ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়? 

উত্তর: নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় হল ঐচ্ছিক ক্রিয়া ও অভ্যাসজাত ক্রিয়া।


প্রশ্ন: " নীতিবিদ্ লিলির মতে নীতিবিদ্যা কী?

উত্তর: লিলির মতে নীতিবিদ্যা হল সমাজের বসবাসকারী মানুষের আচার-আচরণ সম্পর্কীয় একটি আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান।


প্রশ্ন: চারপ্রকার নীতিবিদ্যা কী কী? 

উত্তর: চারপ্রকার নীতিবিদ্যা হল- (i) আদর্শনিষ্ঠ নীতিবিদ্যা, (ii) পরানীতিবিদ্যা, (iii) ব্যাবহারিক নীতিবিদ্যা ও (iv) পরিবেশ নীতিবিদ্যা


প্রশ্ন নীতিবিদ্যার লক্ষণ কী?

উত্তর:  নীতিবিদ্যার লক্ষণ হল নৈতিকতা, নৈতিক সমস্যা ও নৈতিক বিচার সম্পর্কে দার্শনিক চিত্তন।


প্রশ্ন: ভালো-মন্দ শব্দগুলির অর্থ কোথায় আলোচিত হয়? 

উত্তর: ভালো-মন্দ শব্দের অর্থ পরানীতিবিদ্যায় আলোচিত হয়।


প্রশ্ন:  পরা নীতিবিদ্যা কী?

উত্তর: নীতিবিদ্যার যে শাখায় ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি শব্দগুলির অর্থবিচার করা হয় তা হল পরা নীতিবিদ্যা। 


প্রশ্ন:  নৈতিক আদর্শ সংক্রান্ত একটি মতবাদের নাম বলো।

উত্তর: নৈতিক আদর্শ সংক্রান্ত একটি মতবাদ হল সুখবার 


53 কোন কাজের ভালো বা মন্দহ দর্শনের কোন শাখা বিচার করে?

উত্তর: নীতিবিন্যায় কোনো কাজের ভালো বা মন্দ বিচার করা হয়।


প্রশ্ন:  নীতিবিদ্যার সর্বাধুনিক শাখাটির নাম কী?

উত্তর: নীতিবিদ্যার সর্বাধুনিক শাখাটি হল পরিবেশ নীতিবিদ্যা।


প্রশ্ন: দর্শনের দুটি শাখার নাম বলো যাদের আদর্শনিষ্ঠ বলা হয়।

উত্তর: যুক্তিবিজ্ঞান ও নীতিবিজ্ঞানকে আদর্শনিষ্ঠ বলা হয়।


প্রশ্ন: দর্শনের কোন শাখায় মঙ্গলের আদর্শ আলোচিত হয়। 

উত্তর: নীতিবিদ্যায় মলের আদর্শ আলোচিত হয়।


প্রশ্ন: সমাজদর্শন বলতে কী বোঝায়।

উত্তর: দর্শনের যে শাখায় সমাজের উদ্দেশ্য, আদর্শ, মূল্য, প্রকারভেদ, সর্বোত্তম প্রকার ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তা হল সমাজদর্শন।


 প্রশ্ন:  সমাজদর্শনের কাজ কী?

উত্তর: সমাজদর্শনের কাজ হল সমাজবিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর দার্শনিক তাৎপর্য নির্ণয় করা।


প্রশ্ন:  জিসবার্টের মতে, সমাজদর্শনের অংশগুলি কী কী?

উত্তর: জিসবার্টের মতে, সমাজদর্শনের দুটি অংশ হল জ্ঞান বিষয়ক ও মূল্য বিষয়ক।


প্রশ্ন: সমাজদর্শনের কয়েকটি আলোচ্য বিষয় কী কী?

উত্তর: সমাজদর্শনের কয়েকটি আলোচ্য বিষয় হল সামাজিক সংগঠন, সামাজিক আদর্শ, মূল্যবোধ ইত্যাদি।


প্রশ্ন: সমাজবিজ্ঞান কোন প্রকারের বিজ্ঞান। 

উত্তর: সমাজবিজ্ঞান হল আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান।


প্রশ্ন:  সমাজদর্শনের গঠনমূলক কাজ কী?

উত্তর: সমাজদর্শনের গঠনমূলক কাজ হল সামাজিক আদর্শের সত্যতা ও যথার্থতা বিচার।


 প্রশ্ন: সমাজদর্শনের কাজ কী কী।

উত্তর: সমাজদর্শনের তিনপ্রকার কাজ হল- তত্বমূলক, বিচারমূলক ও সমম্বয়মূলক। 


প্রশ্ন: সমাজদর্শনের মূল আলোচ্য বিষয় কী? 

উত্তর: সমাজদর্শনের মূল আলোচ্য বিষয় হল জ্ঞান বিষয়ক এবং মূল্য বিষয়ক যথার্থ জ্ঞানের আলোকে সামাজিক আদর্শ, লক্ষ্য ও মূল্য আলোচনা করা।


প্রশ্ন: সমাজদর্শনকে কেন দশর্নের ওপর নির্ভর করতে হয়। 

উত্তর: মূল্যের স্বরূপ জানার জন্য সমাজদর্শনকে দর্শনের ওপর নির্ভর করতে হয়।


 73 সমাজবিজ্ঞান ও দর্শনের মিলনক্ষেত্র কাকে বলা হয়। 

উত্তর: সমাজদর্শনকে সমাজবিজ্ঞান ও দর্শনের মিলনক্ষেত্র বলা।


প্রশ্ন: যুক্তিবিদ্যা বা তর্কবিদ্যা শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

উত্তর: যুক্তিবিদ্যা বা তর্কবিদ্যা শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Logic


প্রশ্ন:  'Logic' শব্দটি কোন্ ইংরেজি প্রতিশব্দ থেকে এসেছে।

উত্তর: 'Logic' শব্দটি 'Logos' প্রতিশব্দ থেকে এসেছে।


প্রশ্ন: 'Logos' শব্দের দুটি অর্থ কী কী? 

উত্তর: 'Logos' শব্দের দুটি অর্থ হল চিন্তা ও ভাষা।


প্রশ্ন: যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে?

উত্তর: ভাষার প্রকাশিত চিন্তা বা অনুমান সম্পর্কে আলোচনা করে যে শাস্ত্র, সেই শাস্ত্রকে বলে যুক্তিবিদ্যা।


প্রশ্ন:  যুক্তিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় কী?

উত্তর: যুক্তিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় হল যুক্তি এবং বৈধতা ও আনুষঙ্গিক বিষয়।


প্রশ্ন:  সমাজদর্শনের জনক কে?

উত্তর: সমাজদর্শনের জনক হলেন দার্শনিক অগাস্ট কোঁৎ।


প্রশ্ন: যুক্তির গঠনগত একক কী?

উত্তর: যুক্তির গঠনগত একক হল বচন।


প্রশ্ন: ম্যাকেঞ্জির মতে নীতিবিদ্যা কী?

উত্তর: ম্যাকেঞ্জির মতে, "যে শাস্ত্র মানুষের অন্তর্নিহিত আদর্শের সাধারণ আলোচনা করে তা হল নীতিবিদ্যা”। 


প্রশ্ন: যুক্তিবিদ্যায় চিন্তা শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: যুক্তিবিদ্যায় চিন্তা শব্দটি সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত হয়।


প্রশ্ন: আরোহ যুক্তির কাজ কী?

উত্তর: আরোহ যুক্তির কাজ হল প্রকৃতির একরূপতা নিয়ম ও কার্যকারণ নিয়মের সাহায্যে বিশেষ বিশেষ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে একটি সার্বিক সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করা।


প্রশ্ন: অবরোহ যুক্তির কাজ কী? 

উত্তর: অবরোহ যুক্তির কাজ হল সার্বিক সত্য থেকে বিশেষ সত্যে উপনীত হওয়া।


প্রশ্ন:  দর্শনের কোন শাখা মানুষের চিন্তার বৈধতা নিয়ে আলোচনা করে? 

উত্তর: যুক্তিবিদ্যা মানুষের চিন্তার বৈধতা নিয়ে আলোচনা করে।


প্রশ্ন: আমাদের জীবনের তিনটি মৌলিক মূল্যবোধ কী কী? 

উত্তর: আমাদের জীবনের তিনটি মৌলিক মূল্যবোধ হল-সত্য, শিব ও সুন্দর।

Read More

Wednesday 8 December 2021

HS Philosophy (WBCHSE) নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তর ও তার ব্যাপ্যতা

Leave a Comment

  নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তরিত কর এবং সেই বচনগুলির কোন্ কোন্ পদ ব্যাপ্য বা অব্যাপ্য তা লিখ।


১। কেবলমাত্র পরিশ্রমী ব্যক্তিরাই সফল হয়।

L.F. : A - সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'সকল ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পর পরিশ্রমী অব্যাপ্য।


২। প্রায় সমস্ত প্রার্থীই শিক্ষিত।

L.F. : I. কোন কোন প্রার্থী হয় শিক্ষিত।

এই বচনটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় যথাক্রমে 'প্রার্থী' ও 'শিক্ষিত' কোন পদই ব্যাপ্য নয়।


৩। কোন কুকুর বিড়াল নয়।

L.F. : E - কোন কুকুর নয় বিড়াল।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'কুকুর' এবং বিধেয় পদ 'বিড়াল' উভয়ই ব্যাপ্য। 


৪। অধিকাংশ ছাত্র অঙ্কে ভাল নয়।

L.F. : O - কোন কোন ছাত্র নয় ছাত্র যারা অঙ্কে ভাল। 

এই বচনটির বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা অঙ্কে ভাল’ ব্যাপ্য কিন্তু উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র' ব্যাপ্য নয়।


৫। সবুজ হাতি নেই।

L.F. : E - কোন হাতি নয় সবুজ প্রাণী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'হাতি' এবং বিধেয় পদ ‘সবুজ প্রাণী'—এই দুটি পদই ব্যাপ্য।


৬। ধার্মিক ব্যক্তিরা একান্তভাবে ভাল লোক।

L.F. : A- সকল ধার্মিক ব্যক্তি হন ভালো লোক।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'ধার্মিক ব্যক্তি' ব্যাপ্য কিন্তু বিধেয় পদ 'ভাল লোক' অব্যাপ্য।


৭। লক্ষ্ণৌ উত্তরপ্রদেশের রাজধানী। 

L.F. : A- লক্ষ্ণৌ হয় উত্তরপ্রদেশের রাজধানী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'লক্ষ্ণৌ' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘উত্তরপ্রদেশের রাজধানী' অব্যাপ্য।


 ৮। কখনও প্রতারণা করো না।

L.F. : E - তোমার প্রতারণা করা নয় আমার অভিপ্রেত। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার প্রতারণা করা' ব্যাপ্য, এবং বিধেয় পদ ‘আমার অভিপ্রেত'ও ব্যাপ্য।


৯। সব লোক সৎ নয়।

L.F. : 0 - কোন কোন লোক নয় সৎ।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'লোক' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সং' ব্যাপ্য।


১০। দীর্ঘদিন বেঁচে থেকো।

L.F. : A - তোমার দীর্ঘদিন বেঁচে  থাকা হয় আমার কামনা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা' ব্যাপ্য আর বিধেয় পদ 'আমার কামনা অব্যাপ্য।


১১। কখনও কখনও মানুষ দিশেহারা। 

L.F. : I - কোন কোন মানুষ হয় দিশেহারা। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' ও বিধেয় পদ 'দিশেহারা' উভয়ই অব্যাপ্য।


১২। কয়েকটি ছাত্রী ছাড়া আর সকল ছাত্রীই কৃতকার্য হয়েছে।

L.F. : I - কোন কোন ছাত্রী হয় এমন যারা কৃতকার্য হয়েছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্রী' অব্যাপ্য এবং বিধেয় পদ 'এমন যারা কৃতকার্য হয়েছে' অব্যাপ্য। 


১৩। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে।

L.F. : A - পৃথিবী হয় একটি গ্রহ যা সূর্যের চারদিকে ঘোরে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'পৃথিবী' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'একটি গ্রহ যা সূর্যের চারিদিকে ঘোরে' অব্যাপ্য


১৪। বিশ্বাস টিকে থাকে।

L.F. : A - বিশ্বাস হয় বিষয় যা টিকে থাকে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বিশ্বাস' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘বিষয়' যা টিকে থাকে' অব্যাপ্য। 


১৫। কলেরা রোগ অনেক সময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।

L.F. : I - কোন কোন কলেরা রোগ হয় এমন যা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ উভয়ই অব্যাপ্য।


১৬। বাঙালীরা আবেগপ্রবণ।

L.F. : I - কোন কোন বাঙালী হয় আবেগপ্রবণ।

 এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বাঙালী' ও বিধেয় পদ 'আবেগপ্রবণ' উভয়ই অব্যাপ্য।


১৭। ছাত্ররা মাঝে মাঝে ঠিক পথে চলে না।

  L.F. : O - কোন কোন ছাত্র নয় ছাত্র যারা ঠিক পথে চলে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা ঠিক পথে চলে' ব্যাপ্য।


১৮। কলহপ্রিয়তা কখনও ভালো গুণ নয়। 

 L.F. : E - কলহপ্রিয়তা নয় ভালো গুণ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'কলহপ্রিয়তা' ও বিধেয় পদ 'ভালো গুণ'-—উভয়ই ব্যাপ্য। 


১৯। যে কোন লোক এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে।

L.F. : A -  সকল লোক হয় ব্যক্তি যারা এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'লোক' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি পারে' অব্যাপ্য।


২০। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। 

L.F. : I - কোন কোন ঘর পোড়া গরু হয় এমন গরু যারা সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়।

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় কোন পদই ব্যাপ্য নয়, অর্থাৎ অব্যাপ্য।


 ২১। দুই-এ দুই-এ চার হয়।

L.F. : A -  সকল দুই ও দুই-এর যোগফল হয় চার।

এখানে উদ্দেশ্য 'দুই ও দুই এর যোগফল ব্যাপ্য, বিধেয় 'চার' অব্যাপ্য।


২২। সব কথা বলার যোগ্য নয়।

L.F. : O -  কোন কোন কথা নয় বলার যোগ্য।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'কথা' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘বলার যোগ্য' ব্যাপ্য। 


২৩। বুদ্ধদেব ধ্যানমগ্নতার প্রতীক। 

L.F. : A -  বুদ্ধদেব হন ধ্যানমগ্নতার প্রতীক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বুদ্ধদেব' ব্যাপ্য এবং বিধেয় পদ ‘ধ্যানমগ্নতার প্রতীক' অব্যাপ্য।


২৪। প্রত্যেক সৈনিক দেশপ্রেমিক। 

L.F. : A -  সকল সৈনিক হন দেশপ্রেমিক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'সৈনিক' ব্যাপ্য, বিধেয় 'দেশপ্রেমিক' অব্যাপ্য।


২৫। খুব কম সংখ্যক মানুষ হিতৈষী।

L.F. : O -  কোন কোন মানুষ নয় হিতৈষী। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'হিতৈষী' ব্যাপ্য। 


২৬। যে কোন লোক এ কাজ করতে পারে।

L.F. : A -  সকল লোক হয় এমন যারা এ কাজ করতে পারে। 

এখানে ‘লোক’ উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য, 'এমন যারা এ কাজ করতে পারে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। 


২৭। শতকরা ৬০ ভাগ ছাত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

L.F. : I - কোন কোন ছাত্র হয় যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র ও বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে' অব্যপ্য।


২৮। তুমি দেশের কল্যাণ কর।

L.F. : A -  তোমার পক্ষে দেশের কল্যাণ করা হয় আমার ইচ্ছা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার পক্ষে দেশের কল্যাণ করা' ব্যাপ্য, আর বিধেয় পদ 'আমার ইচ্ছা' অব্যাপ্য। 


২৯। ব্যবসায়ীরা সচরাচর গৃহকোণে আবদ্ধ নয়।

L.F. : O -  কোন কোন ব্যবসায়ী নয় গৃহকোণে আবদ্ধ। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যবসায়ী' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘গৃহকোণে আবদ্ধ' ব্যাপ্য।


৩০। বেশীর ভাগ পুলিশ অফিসার স্মার্ট। 

 L.F. : I - কোন কোন পুলিশ অফিসার হয় স্মার্ট।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'পুলিশ অফিসার' ও বিধেয় পদ 'স্মার্ট' উভয়ই অব্যাপ্য।


৩১। একটি ধাতু কঠিন নয়।

L.F. : O - কোন কোন ধাতু নয় কঠিন। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ধাতু' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'কঠিন' ব্যাপ্য।


৩২। পাঁচ-ছটি বাদে সব আমই টক।

L.F. : I - কোন কোন আম হয় টক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'আম' ও বিধেয় পদ ‘টক' উভয়ই অব্যাপ্য।


৩৩। মানুষ কখনও পূর্ণ নয়।

 L.F. : E - কোন মানুষ নয় পূর্ণ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘মানুষ’ ও বিধেয় পদ 'পূর্ণ' উভয়ই ব্যাপ্য।


৩৪। ভদ্রতার মূল্য আছে।

 L.F. : A - ভদ্রতা হয় একটি গুণ যার মূল্য আছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ভদ্রতা' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'একটি  গুণ যার মূল্য  আছে' অব্যাপ্য।


৩৫। কেনা বড় হতে চায় ?

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি হয় ব্যক্তি যারা বড় হতে চায়। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি যারা বড় হতে চায়' অব্যাপ্য।


৩৬। ডাক্তাররা কবিও হতে পারেন।

L.F. : I - কোন কোন ডাক্তার হন কবি। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ যথাক্রমে 'ডাক্তার' ও 'কবি' উভয়ই অব্যাপ্য। 


৩৭। শুধুমাত্র ধনীরাই এরকম আচরণ করে।

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা এরকম আচরণ করে হয় ধনী। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা এরকম আচরণ করে' ব্যাপ্য, 'ধনী' অব্যাপ্য।


৩৮। কেবল ভীরুরাই ভয় পায়।

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা ভয় পায় হয় ভীরু। 

এখানে 'ব্যক্তি যারা ভয় পায়' উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য, 'ভীরু' বিধেয় পদ অব্যাপ্য।


৩৯। তিনি কখনও মিথ্যা কথা বলেন না।

L.F. : E - তিনি নন এমন ব্যক্তি যিনি মিথ্যা কথা বলেন।

 এখানে উদ্দেশ্য ও বিষেয় পদ উভয়ই ব্যাপা।


৪০। অধ্যাত্মবাদী হলেই ঈশ্বরবাদী হবেন। 

L.F. : A -  সকল অধ্যাত্মবাদী হন ঈশ্বরবাদী।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'অধ্যাত্মবাদী' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ঈশ্বরবাদী' অব্যাপ্য।


৪১। শিক্ষিত হলেই বিনয়ী হবে এমন কোন কথা নেই। 

L.F. : O - কোন কোন শিক্ষিত ব্যক্তি নয় বিনয়ী।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘শিক্ষিত ব্যক্তি' ব্যাপ্য নয় (অব্যাপ্য), বিধেয় পদ ‘বিনয়ী' ব্যাপ্য।


৪২। নারী পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

L.F. : E - কোন নারী নয় নারী যে পুরুষের চেয়ে কম।

 এখানে উদ্দেশ্য পদ 'নারী' ও বিধেয় পদ 'নারী যে পুরুষের চেয়ে কম' উভয়ই ব্যাপ্য। 


৪৩। পুরুষরা সাহসী।

L.F. : I - কোন কোন পুরুষ হয় সাহসী। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় (পুরুষ ও সাহসী) উভয় পদই অব্যাপ্য।


৪৪। সব বিখ্যাত ব্যক্তি নম্র নন।

L.F. : O - কোন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি নন নম্র। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘বিখ্যাত ব্যক্তি' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'নম্র' ব্যাপ্য।


৪৫। ভূত নেই।

L.F. : E -  কোন ভূত নয় অস্তিত্বশীল।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ভূত’, বিধেয় পদ 'অস্তিত্বশীল' উভয়ই ব্যাপ্য।


৪৬। ড্রাইভাররা কর্কশ।

L.F. : I - কোন কোন ড্রাইভার হয় কর্কশ। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় কোন পদই ব্যাপ্য নয়, অর্থাৎ অব্যাপ্য।


৪৭। কেবল গোলাপ সুন্দর।

L.F. : A - সকল সুন্দর বস্তু হয় গোলাপ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'সুন্দর' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'গোলাপ' অব্যাপ্য।


৪৮। অনেক ছাত্র ইংরাজীতে কাঁচা। 

L.F. : I - কোন কোন ছাত্র হয় যারা ইংরাজীতে কাঁচা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ছাত্র' ও বিধেয় পদ যারা ইংরাজীতে কাঁচা' উভয়ই অব্যাপ্য। 


৪৯। ঔরঙ্গজেব শাজাহানকে বন্দী করেছিল।

 L.F. : A - ঔরঙ্গজেব হয় সম্রাট যে শাজাহানকে বন্দী করেছিল।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ঔরঙ্গজেব' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সম্রাট যে শাহজাহানকে বন্দি করেছিল' অব্যাপ্য।


 ৫০। শিক্ষকের মাইনে বাড়ক অনেকে চায় না। 

 L.F. : O - কোন কোন ব্যক্তি নয় ব্যক্তি যারা চায় শিক্ষকের মাইনে বাড়ক। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ব্যাপ্য।


৫১। সবাই চলে গেছে। 

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি হয় ব্যক্তি যারা চলে গেছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি যারা চলে গেছে' অব্যাপ্য।


৫২। আমোদপ্রিয় লোকেরা প্রায়ই চঞ্চল। 

L.F. : I - কোন কোন আমোদপ্রিয় লোক হয় চঞ্চল।

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ উভয়ই অব্যাপ্য।


৫৩। সব স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনায়ক দেশের শত্রু। 

L.F. : A -  সকল স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনায়ক হয় দেশের শত্রু।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'স্বৈরাচারী রাষ্ট্র নায়ক' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ দেশের শত্রু' অব্যাপ্য। 


৫৪। পশু মাত্রই ক্ষিপ্র নয়। 

L.F. : O - কোন কোন পশু নয় ক্ষিপ্র জীব।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘পশু' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ক্ষিপ্র জীব' ব্যাপ্য।


৫৫। শুধু অজ্ঞ লোকরাই সংস্কারাচ্ছন্ন। 

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা সংস্কারাচ্ছন্ন হয় অজ্ঞ লোক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা সংস্কারাচ্ছন্ন' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'অজ্ঞ লোক' অব্যাপ্য। 


৫৬। যারা মিষ্ট কথা বলে, তারা সবাই মিষ্ট স্বভাবের নয়।

L.F. : O - কোন কোন ব্যক্তি যারা মিষ্ট কথা বলে নয় ব্যক্তি যারা মিষ্ট স্বভাবের। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা মিথ্যা কথা বলে'স্বভ অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘ব্যক্তি যারা মিষ্টি স্বভাবের' ব্যাপ্য।


৫৭। যে কোন দর্শনের ছাত্র ভাবুক। 

L.F. : A - সকল দর্শনের ছাত্র হয় ভাবুক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'দর্শনের ছাত্র' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ভাবুক' অব্যাপ্য।


৫৮। মানুষ কৃপণ।

L.F. : I -- কোন কোন মানুষ হয় কৃপণ। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ যথাক্রমে 'মানুষ', 'কৃপণ' অব্যাপ্য।


৫৯। ক্লাসে এস।

L.F. : A -  তোমার ক্লাসে আসা হয় আমার আদেশ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার ক্লাসে আসা' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'আমার আদেশ' অব্যাপ্য


৬০। এখন সকাল।

L.F. : A - সময়টি হয় সকাল। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘সময়টি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সকাল' অব্যাপ্য।


৬১। নিজে বড় হতে কেনা চায়? 

 L.F. : A - সকল মানুষ হয় এমন যারা বড় হতে চায়। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'এমন যারা বড় হতে চায়' অব্যাপ্য।


 ৬২। কেউই সঠিক উত্তর দাতা নয়।

L.F. : E - কোন ব্যক্তি নয় সঠিক উত্তর দাতা। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ও বিধেয় পদ ‘সঠিক উত্তরদাতা' উভয়ই ব্যাপ্য।

Read More

পাশ্চাত্য তর্কবিদ্যার প্রশ্নোত্তর (স্নাতক শ্রেণির জন্য)

Leave a Comment

 প্রশ্ন: সাদৃশ্যমূলক যুক্তির মূল্যায়নের মানদণ্ডগুলি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।(Explain with examples the criteria used for evaluating analogical arguments. ).


উত্তর : সাদৃশ্যমূলক যুক্তির ভিত্তি হল সাদৃশ্য। কাজেই তার সিদ্ধান্ত শধুই সম্ভাবনামমূলক। সম্ভাব্যতা হল কম-বেশীর ব্যাপার। কাজেই সাদৃশ্যমূলক অননুমানের মূল্য বিচারের সময় দেখতে হবে যে, অনুমানটি যে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করছে তার, সম্ভাব্যতার পরিমাণ কম বা বেশী। যেসব মানদণ্ড প্রয়োগ করে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সম্ভাব্যতার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে সেগুলি হল --


(১) সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সম্ভাব্যতা বিচারের প্রথম মানদন্ড হল যতগুলি বস্তুর মধ্যে সাদৃশ্যের কথা বলা হচ্ছে তাদের সংখ্যা নিরূপণ করা। ধরা যাক, আমি যে লন্ড্রীতে কাপড় কাচতে দিয়েছিলাম সেই লন্ড্রী কাপড় ভাল কাচেনি বলে আমাকে বলতে পারে যে, একবার কাপড় খারাপ কেঁচেছে বলে ওই লন্ড্রীকে বাতিল করে না দিয়ে আর একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। এর জবাবে আমি যদি দেখাতে পারি যে, শ্যাম, যদু, মধু রহিম, দীপক, হীরক এবং মানিকও ওই লন্ড্রীতে কাপড় কাচিয়েছিল এবং তাদের কাপড়ও খারাপ কেঁচেছে, তাহলে প্রথমে ওই লন্ড্রী সম্পর্কে আমি যে সিদ্ধান্ত করেছিলাম তার সম্ভাব্যতা অনেক বেশী পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং একটিমাত্র দৃষ্টান্তের ভিত্তিতে সাদশামূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা অপেক্ষা বেশীসংখ্যক দৃষ্টান্তের ভিত্তিতে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা বেশী।


(২) সাদশ্যমূলক যুক্তির মংল্যায়নের দ্বিতীয় মানদণ্ড হল—দুটি বস্তুর মধ্যে যতগুলি বিষয়ে সাদৃশ্য আছে তাদের সংখ্যার উপর সাদৃশ্যমলক যুক্তির সম্ভাব্যতার পরিমাণ নির্ভর করে। আমি যে দোকান থেকে এর আগে জুতো তৈরি করিয়েছিলাম এবং যা বেশ টেকসই হয়েছিল, এবারও সেই দোকান থেকেই জুতো তৈরি করিয়েছি, সুতরাং এবারের জুতো জোড়াও টেকসই হবে। এটি সাদৃশ্যমূলক যুক্তির উদাহরণ । কিন্তু এই সিদ্ধান্তটিরই সত্য হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী হবে যদি আশ্রয়বাক্যগুলি ঘোষণা করে যে, জুতো জোড়া শুধু যে একই দোকান থেকে তৈরি হয়েছে তা-ই নয়, যে লোকটি আগের জুতো জোড়া তৈরি করেছিল, সেই লোকই বর্তমান জুতো জোড়া তৈরি করেছে, আগের জুতো জোড়ার মতই এই জোড়াও বেশ দামী, দুয়েরই চামড়া একই মানের, সেলাইয়ের ব্যাপারেও একই ধরনের দক্ষতা দেখা গিয়েছে এবং আগের জুতো জোড়া আমি যেভাবে যত সময় পরেছি, এই জোড়াও সেইভাবে এবং সেই পরিমাণ সময় ব্যবহার করবো।


(৩) সাদৃশ্যমলেক মূল্যায়নের  তৃতীয় নীতি হল— যেসব আশ্রয়বাক্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেইসব আশ্রয়বাক্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তের শক্তি বিচার করা। ধরা যাক, শ্যাম একটি "নতুন" কেরোসিন স্টোভ কিনেছে এবং এক লিটার কেরোসিন তেলে সেই স্টোভ সাত ঘণ্টা জ্বলে। রাম ওই একই “নতুন” স্টোভ কিনে কিছুটা সম্ভাব্যতার সাথে অননুমান করতে পারে যে, তার স্টোভটি যেহেতু শ্যামের স্টোভের মতই, অতএব তার স্টোভও এক লিটার তেলে সাত ঘণ্টা জলবে। কিন্তু একই আশ্রয়বাক্যের ভিত্তিতে রাম ভিন্ন রকম সিদ্ধান্তেও আসতে পারে। যেমন—রাম যদি সিদ্ধান্ত করে যে তার স্টোভ এক লিটার তেলে পাঁচ ঘণ্টার বেশী জলবে তবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা হবে খুব বেশী। যদি সে সিদ্ধান্ত করে স্টোভটি এক লিটার তেলে ছয় ঘণ্টা জ্বলবে তবে সিদ্ধান্ত ততটা জোরালো হবে না। যদি রাম সিদ্ধান্ত করে যে তার স্টোভটিও শ্যামের স্টোভের মত এক লিটার তেলে ঠিক সাত ঘণ্টাই জলবে তাহলে তার সিদ্ধান্ত খুবই দুর্বল হবে।


(8) আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তগগুলির সাথে যে দৃষ্টান্তের সঙ্গে সিদ্ধান্তের সম্পর্ক আছে তার বৈসাদৃশ্যের সংখ্যা নিরূপণ করে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির মূল্যায়ণ করা যায়। ধরা যাক, শ্যাম যে “নতুন” স্টোভ কিনেছে তা এক লিটার কেরোসিন তেলে সাত ঘণ্টা জলে। রাম-ও "নতুন" স্টোভ কিনে সিদ্ধান্ত করলো যে, তার স্টোডও এক লিটার কেরোসিন তেলে সাত ঘণ্টা জ্বলবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা খুবই কমে যাবে যদি দেখা যায় যে শ্যাম যেখানে তার স্টোভের ফিতে সামান্য তুলে স্টোড জালাতো সেখানে রাম ফিতেগুলো খুব বেশী করে তুলে স্টোড জালাচ্ছে। এখানে আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তের এবং সিদ্ধান্তের মধ্যে বৈসাদৃশ্য সাদৃশ্যমূলক যুক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে এবং সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনাকেও কমিয়ে দিচ্ছে।


(৫) আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তগুলি পরস্পরের যত অসদৃশ হবে, সাদশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্ত তত জোরালো হবে। আশ্রয়বাক্যে যেসব দৃষ্টান্তের উল্লেখ থাকে তাদের সাথে সিদ্ধান্তের দৃষ্টান্তের বৈসাদৃশ্য কমাবার একটা উপায় হল, আশ্রয়বাক্যে এমন সব দৃষ্টান্ত পরস্পরের অসদৃশ্য, মানে যাদের মধ্যে মিল নেই। আশ্রয়বাক্যের দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে সাদৃশ্য যত কম হবে সিদ্ধান্তের দৃষ্টান্তের সঙ্গে তাদের সকলের অসদৃশ হবার সম্ভাবনা তত কমে যাবে।


রাম প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে বি-এ পাস করেছে, কাজেই সে এম-এ পরীক্ষাতেও কৃতিত্ব দেখাতে পারবে—এই সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা খুব বেশী। কেননা আরও পনের জন ছাত্র ওই একই কলেজ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে পাস করে এম-এ পরীক্ষাতে কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এই যুক্তি আরও জোরালো হবে যদি আমরা দেখাতে পারি যে, আশ্রয়বাক্যে যে পনের জন ছাত্রের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পারস্পরিক সাদৃশ্য খুবই কম। অর্থাৎ যদি আশ্রয়বাক্যে উল্লেখ করা থাকে যে, যে পনেরটি ছাত্র এম-এ পরীক্ষায় কৃতিত্ব দেখিয়েছে তাদের মধ্যে পরিবারগত, বিত্তগত, সম্প্রদায়গত, দেশগত ইত্যাদি নানা পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য আছে।


এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এই পঞ্চম নীতিটি প্রথম নিয়মের গুরুত্ব নির্দেশ করে। আমরা যত বেশী সংখ্যক দৃষ্টান্ত নেব, ততই দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে বৈসাদৃশ্যের সংখ্যা বেশী হবার ব্যাপারটি স্পষ্ট হবে।


(৬) আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্ত বা দৃষ্টান্তগুলি সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পক্ষে যত প্রাসঙ্গিক হবে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা তত বেশী হবে। একটি উদাহরণ নেওয়া যাক—রাম যে দোকান থেকে জুতো কিনেছিল এবং যা টেকসই হয়েছিল, শ্যামও সেই একই দোকান থেকে জুতো কিনে আশা করছে যে তার কেনা জুতোও টেকসই হবে। এই যুক্তি দুর্বল। কিন্তু শ্যাম যদি বলতে পারে যে রাম যে দোকান থেকে জুতো কিনেছে সেও সেই দোকান থেকে কিনেছে, রামের জুতো ও তার জুতো একই চামড়া দিয়ে তৈরি, একই নির্মাতার তৈরি এবং নির্মাণের ব্যাপারে দক্ষতার প্রকাশ উভয় ক্ষেত্রে একই রকম, তাহলে শ্যামের কেনা জুতোও টেকসই হবে— এই সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। এখানে যুক্তিটি বেশ জোরালো, কেননা আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত বিষয়গুলি সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রাসঙ্গিক। কিন্তু শ্যাম যদি সিদ্ধান্ত করে যে, রামের জুতোর মত তার জুতোও টেকসই হবে, কারণ রামের জুতোর মতই তার জুতোর রং, রামের জুতোর মতই তার জুতোও বেশ চকচকে, একই রকম কাগজের বাক্সে জুতোকে রাখা হয়েছে এবং একই লোক উভয় জোড়া জুতো বিক্রি করেছে, তাহলে তার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে খুবই দুর্বল হবে, কেননা সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পক্ষে উল্লিখিত বিষয়গুলি অপ্রাসঙ্গিক।


প্রশ্ন হতে পারে—সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোন কোন, সাদৃশ্য প্রাসঙ্গিক অথবা অপ্রাসঙ্গিক? কি দিয়ে প্রাসঙ্গিকতা বিচার করা হবে? এর উত্তরে বলা যায় যে, প্রাসঙ্গিকতার ব্যাপারটি কার্যকারণ সম্পর্কের দিক থেকেই ব্যাখ্যা করতে হবে। সাদৃশ্যমূলক যুক্তির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক সাদৃশ্য হল সেগুলি যেগুলি কার্যকারণ সম্পর্কে যুক্ত গুণ বা ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে।


সুতরাং দেখা যাচ্ছে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির মূল্যায়ন করতে গেলে কার্যকারণ সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতার সাহায্যে অর্থাৎ পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের সাহায্যে এই কার্যকারণ সম্পর্ক' আবিষ্কৃত হয়। 

  সাদৃশ্যমূলক যুক্তির ক্ষেত্রে আশ্রয়ে বাক্যে যে গুণের কথা বলা হয়েছে তার সাথে সিদ্ধান্তে উল্লিখিত গুন বা বিষয়ের কার্যকারণ সম্পর্ক থাকলে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সত্য হবার সম্ভাবনা খুব বেশি হবে এবং যুক্তিটিকে. সবল বলা হবে।

Read More

Wednesday 13 October 2021

একাদশ শ্রেণির দর্শন Class xi (wbchse) SAQ OF CONCEPT OF PHILOSOPHY

Leave a Comment

 একাদশ শ্রেণির দর্শন (Philosophy)

                      প্রথম অধ্যায়

দর্শনের ধারণা(Concept of Philosophy)

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর( SAQ)

প্রতিটি প্রশ্নের মান 1


প্রশ্ন:  'Philosophy' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কী?

উত্তর: Philosophy শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হল দর্শন।


প্রশ্ন: Philosophy শব্দটি কোন্ কোন্ শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে?

উত্তর: Philosophy শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ Philos এবং Sophia থেকে উৎপন্ন হয়েছে।


প্রশ্ন: 'Philosophy' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলো।

উত্তর: Philosophy' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ।


প্রশ্ন: ‘Philos' শব্দের আক্ষরিক অর্থ কী?

উত্তর: ‘Philos' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল অনুরাগ। 


প্রশ্ন: 'Sophia' শব্দের আক্ষরিক অর্থ বলো।

উত্তর: 'Sophia' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল জ্ঞান।


প্রশ্ন: 'দর্শন' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী? 

উত্তর: ‘দর্শন' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ‘চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ'।


প্রশ্ন: 'দর্শন' শব্দটি কীভাবে উৎপন্ন হয়?

উত্তর: ‘দৃশ' ধাতুর অনট প্রত্যয়যোগে দর্শন শব্দ উৎপন্ন হয়।


প্রশ্ন:  দর্শনের পদ্ধতি কী?

উত্তর: দর্শনের পদ্ধতি হল ধারণা-বিশ্লেষণ বা বিচারমূলক।


প্রশ্ন: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

উত্তর: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি হল অখন্ড বা সামগ্রিক


প্রশ্ন: দর্শনের বিষয়বস্তু কী? 

উত্তর: দর্শনের বিষয়বস্তু হল সমগ্র জগৎ, জীবন ও অভিজ্ঞতা।


প্রশ্ন: দর্শনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 

উত্তর: দর্শনের দুটি বৈশিষ্ট্য হল-দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি সমন্বয়মূলক এবং দর্শনের পদ্ধতি হল বিচারমূলক শাস্ত্র।


প্রশ্ন: দর্শনের পদ্ধতি কী?

উত্তর: দর্শনের পদ্ধতি বিচারমূলক।


প্রশ্ন: দর্শনের আলোচনার পরিধি ব্যাপক কেন?

উত্তর: দর্শনের আলোচনার পরিধি ব্যাপক, কেন-না দর্শন সমগ্র জগৎ ও জীবন সম্পর্কে জ্ঞান দেয়। 



প্রশ্ন: একজন ক্রিয়াবাদী দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: এয়ার, কারনাপ প্রমুখ হলেন ক্রিয়াবাদী দার্শনিক।


প্রশ্ন:  ক্রিয়াবাদী দার্শনিকগণের মতে দর্শনের কাজ কী?

উত্তর: ক্রিয়াবাদী দার্শনিকগণের মতে দর্শনের কাজ ভাষাবিশ্লেষণ।


প্রশ্ন: একজন জ্ঞানবাদী দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: প্লেটো, ব্রাডলি, কোঁতে প্রমুখ হলেন জ্ঞানবাদী দার্শনিক। 


প্রশ্ন: দার্শনিক কোঁত-এর মতে দর্শন কী?

উত্তর: দার্শনিক কোঁত-এর মতে দর্শন সকল বিজ্ঞানের সেরা বিজ্ঞান।


প্রশ্ন: কান্টের মতে দর্শন কী?

উত্তর: কান্টের মতে দর্শন হল 'জ্ঞান সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা।


প্রশ্ন: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শন কী?

উত্তর: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শন হল ভাষার সমালোচনা। 


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে দর্শন কী?

উত্তর: প্লেটোর মতে দর্শন হল 'বস্তুর স্বরূপের জ্ঞান।


প্রশ্ন: প্লেটো যে দুটি জগতের কথা বলেছেন সেগুলি কী কী?

উত্তর: প্লেটোর মতে দুটি জগৎ হল- (i) সামান্যের জগৎ বা

ধারণার জগৎ, (ii) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুর জগৎ।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে দর্শন কী?

উত্তর: প্লেটোর মতে, বিশ্বে যা কিছু আছে অর্থাৎ, যা কিছু সৎ তাদের অন্তর্নিহিত সামান্য সত্তার জ্ঞান হল দর্শন।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, দার্শনিক কীসের জ্ঞান অন্বেষণ করেন?

উত্তর: প্লেটোর মতে, দার্শনিক পরম তত্ত্বের জ্ঞান অন্বেষণ করেন।



প্রশ্ন: "বিস্ময় থেকে দর্শনের শুরু"- এ কথা কে বলেছেন?

উত্তর: প্লেটোর মতে, “বিস্ময় থেকে দর্শনের শুরু"। 


প্রশ্ন:  "The Republic" গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তর: The Republic' গ্রন্থের লেখক হলেন প্লেটো।


প্রশ্ন:  প্লেটোর একজন শিষ্যের নাম বলো।

উত্তর: প্লেটোর একজন শিষ্য হলেন অ্যারিস্টট্ল।


 প্রশ্ন:  অ্যারিস্টটলের মতে দর্শন কী?

উত্তর: অ্যারিস্টটলের মতে, দর্শন হল সত্তার বিজ্ঞান, পরম সত্তার স্বরূপত বিজ্ঞান।


প্রশ্ন:  কোন্ দার্শনিক দর্শনকে 'First Philosophy' বলেছেন?

উত্তর: অ্যারিস্টট্ল দর্শনকে ‘First Philosophy বলেছেন। 


প্রশ্ন:  পাশ্চাত্য দর্শনে সর্বপ্রথম কে তত্ত্ব ও অবভাসের পার্থক্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন?

উত্তর: পাশ্চাত্য দর্শনে প্লেটো সর্বপ্রথম তত্ত্ব ও অবভাসের পার্থক্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন। 


প্রশ্ন:  দর্শন ও অধিবিদ্যাকে কোন্ কোন্ দার্শনিক অভিন্ন বলেছেন?

উত্তর: প্লেটো, অ্যারিস্টট্ল, হেগেল, ব্রাডলি প্রমুখ দর্শন ও অধিবিদ্যাকে অভিন্ন বলেছেন।


প্রশ্ন: আলেকজান্ডারের মতে দর্শন ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক কীরূপ? 

উত্তর: আলেকজান্ডারের মতে, বিজ্ঞান যত অধিকতর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হয়, ততই তা দর্শনের নিকটবর্তী হয়। 


প্রশ্ন:  "দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ"-এ কথা কে বলেছেন?

উত্তর:দার্শনিক মারভিনের মতে, "দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ"। 


প্রশ্ন: সপ্তদশ শতাব্দীর তিনজন বিখ্যাত বুদ্ধিবাদী দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: সপ্তদশ শতাব্দীর তিনজন বিখ্যাত বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হলেন দেকার্ড, লাইবনিজ ও স্পিনোজা। 


প্রশ্ন: কোন্‌ দার্শনিককে আধুনিক দর্শনের জনক' বলা হয়?

উত্তর: রেনে দেকার্তকে 'আধুনিক দর্শনের জনক' বলা হয়। 


প্রশ্ন: পাশ্চাত্য দর্শনের প্রথম ও আদি দার্শনিক কে? 

উত্তর: পাশ্চাত্য দর্শনের প্রথম ও আদি দার্শনিক হলেন থেলস।


প্রশ্ন: থেলসের মতে জগতের মূল উপাদান কী? 

উত্তর: থেলসের মতে, জগতের মূল উপাদান হল জল।


প্রশ্ন:  কয়েকজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টট্ল প্রমুখ হলেন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক। 


প্রশ্ন: দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান বলেছেন কে?

উত্তর: রাসেল, স্পেনসার প্রমুখ দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান বলেছেন।


প্রশ্ন: বিজ্ঞান কী?

উত্তর: কোনো বিষয়ের সঠিক সুসংগত, ঐক্যবদ্ধ, সুবিন্যস্ত, সুশৃঙ্খল বা সুনিশ্চিত জ্ঞানই হল বিজ্ঞান।


প্রশ্ন: বিজ্ঞানের পদ্ধতি কী?

উত্তর: বিজ্ঞানের পদ্ধতি হল পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ।


প্রশ্ন: দর্শন ও বিজ্ঞানের পার্থক্য কী?

উত্তর: দর্শন হল সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ জ্ঞান। বিজ্ঞান হল অংশত ঐক্যবন্ধ জ্ঞান।

Or, বিজ্ঞান বস্তুর বাহারূপ বা অবভাস নিয়ে আলোচনা করে, কিন্তু দর্শন বস্তুর স্বরুপ নিয়ে আলোচনা করে।


প্রশ্ন: দর্শন পাঠের উপযোগিতা কী?

উত্তর: সমগ্র জগৎ ও জীবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা হল দশ পাঠের উপযোগিতা।


প্রশ্ন: অবভাস কী?

উত্তর: বস্তুর অনিত্য, নিয়ত পরিবর্তনশীল অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ বাহারূপ হল অবভাস।


প্রশ্ন: কান্টের মতে দর্শনের পদ্ধতি কী?

উত্তর: কাস্টের মতে দর্শনের পদ্ধতি হল বিচারমূলক।


প্রশ্ন: কোন্ দার্শনিককে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়?

 উত্তর: রেনে দেকার্তকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়।


প্রশ্ন: দেকার্তের মতে দর্শনের উৎপত্তি কী থেকে?

উত্তর: দেকার্তের মতে দর্শনের উৎপত্তি সংশয় থেকে।


প্রশ্ন: দর্শনে সার্বিক সংশয়ের কথা কে বলেছেন?

উত্তর: রেনে দেকার্ত দর্শনে সার্বিক সংশয়ের কথা বলেছেন।


প্রশ্ন: কোত-এর মতে দর্শন কী?

উত্তর: কোত-এর মতে দর্শন হল 'সব বিজ্ঞানের সেরা বিজ্ঞান'।


প্রশ্ন: সক্রেটিসের শিষ্যের নাম কী?

উত্তর: প্লেটো হলেন সক্রেটিসের শিষ্য।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, পরমতত্ত্বের জগৎ কোনটি?

উত্তর: প্লেটোর মতে ধারণার জগৎ হল পরমতত্ত্বের জগৎ।

 প্রশ্ন: জেমসের মতে, দর্শনের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে?

উত্তর: উইলিয়াম জেমসের মতে, “উপযোগিতা থেকে দর্শনের উৎপত্তি হয়েছে”।


প্রশ্ন: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শনের কাজ কী?

উত্তর: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শনের কাজ হল ভাষার বিশ্লেষণ ও সমালোচনা।


প্রশ্ন: একজন জার্মান দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: ইমানুয়েল কান্ট একজন জার্মান দার্শনিক।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, কোন্ জগতের প্রকৃত সত্তা নেই?

উত্তর: প্লেটোর মতে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের প্রকৃত সত্তা নেই।


প্রশ্ন: বস্তুসত্তা সম্পর্কে কান্টের অভিমত কী? 

উত্তর: কান্টের মতে, বস্তুমত্তা হল অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয়।


প্রশ্ন: রাসেলের মতে, দর্শনের কাজ কী? 

উত্তর: রাসেলের মতে দর্শনের কাজ হল বিভিন্ন সমস্যা


 প্রশ্ন: ডেমোক্রিটাসের মতে জগতের মূল উপাদান কী? 

উত্তর: ডেমোক্রিটাসের মতে জগতের মূল উপাদান পরমাণু।


প্রশ্ন: অ্যারিস্টলের মতে, সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান কী?

উত্তর: অ্যারিস্টটলের মতে, সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান হল প্রজ্ঞা।


প্রশ্ন: দেকার্ডের মতে প্রথম নিশ্চিত সত্য কী?

উত্তর: দেকার্তের মতে, প্রথম নিশ্চিত সত্য হল “আমি চিন্তা করি, অতএব আমি আছি।”


প্রশ্ন: বিজ্ঞান ক-প্রকার ও কী কী?

উত্তর: বিজ্ঞান দুই প্রকার, যা হল বস্তুনিষ্ঠ ও আদর্শনিষ্ঠ।


প্রশ্ন: সাধারণ জ্ঞান কীসের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে?

উত্তর: সাধারণ জ্ঞান গড়ে ওঠে লৌকিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে।


প্রশ্ন: মারভিনের মতে, দর্শন কী?

উত্তর: মারভিনের মতে, দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ। 


প্রশ্ন: সক্রেটিস কোন্ দেশের দার্শনিক?

উত্তর: সক্রেটিস ছিলেন গ্রিক দেশের দার্শনিক। 


প্রশ্ন: মানবজীবনের চরম মূল্যগুলি কী কী?

উত্তর: মানবজীবনের চরম মূল্যগুলি হল সত্য, শিব ও সুন্দর।


প্রশ্ন: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি কীরূপ?

 উত্তর: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি হল সামগ্রিক।


প্রশ্ন: একজন ফরাসি দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: রেনে দেকার্ত একজন ফরাসি দার্শনিক।


প্রশ্ন: একজন যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: এয়ার, কারনাপ হলেন যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী।


প্রশ্ন: পাশ্চাত্য দেশের প্রথম দার্শনিক কে?

উত্তর: পাশ্চাত্য দেশের প্রথম দার্শনিক হলেন থেলস।


 প্রশ্ন: 'Metaphysics' গ্রন্থটি কার লেখা? 

 উত্তর: গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টট্‌লের রচিত গ্রন্থ হল "Metaphysics' ।


প্রশ্ন: Philosophy' শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন? 

উত্তর: গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টট্ল প্রথম Philosophy শব্দটি ব্যবহার করেন।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের স্বরূপ কেমন? 

উত্তর: প্লেটোর মতে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ হল ধারণার জগতের ছায়া।


 প্রশ্ন: মধ্যযুগের একজন দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: সেন্ট অগাস্টিন, সেন্ট টমাস হলেন মধ্যযুগের দার্শনিক।


 প্রশ্ন: মধ্যযুগের দার্শনিকদের মতে, দর্শনের আলোচ্য বিষয় কী?

উত্তর: মধ্যযুগের দার্শনিকদের মতে, দর্শনের আলোচ্য বিষয় হল ঈশ্বর, আত্মা, অমরত্ব ইত্যাদি।


 প্রশ্ন: কান্টের মতে দর্শন কী?

উত্তর: কান্টের মতে, “দর্শন হল জ্ঞান সম্পর্কীয় বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা"। 

প্রশ্ন: আমাদের জীবনের তিনটি মৌলিক মূল্যবোধ কী?

আমাদের জীবনের তিনটি মৌলিক মূল্যবোধ হল সত্য, শিব ও সুন্দর।


প্রশ্ন: কান্টের মতে, দর্শনের মূল লক্ষ্য কী?

উত্তর: কান্টের মতে, দর্শনের মূল লক্ষ্য হল জ্ঞানের উৎপত্তি, সম্ভাবনা, শর্ত, সীমা ও বৈধতা ইত্যাদি বিচার করা।

প্রশ্ন: দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান কে বলেছেন?

 দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান বলেছেন দার্শনিক হার্বার্ট স্পেনসার।


 প্রশ্ন: "দর্শন হল নিত্য এবং অপরিহার্য বস্তুর স্বরূপ সম্পর্কীয় জ্ঞান"—এ কথা কে বলেছেন?

 উত্তর: দর্শন হল নিত্য এবং অপরিহার্য বস্তুর স্বরূপ সম্পৰ্কীয় জ্ঞান-এ কথা বলেছেন অ্যারিস্টট্ল।









Read More

Monday 11 October 2021

কয়েকজন বিখ্যাত পাশ্চাত্য দার্শনিকদের পরিচিতি (Class xi)

Leave a Comment

 কয়েকজন বিখ্যাত পাশ্চাত্য দার্শনিকদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়


নাম : সক্রেটিস

জন্ম : 470 খ্রিস্টপূর্বাব্দ 

মৃত্যু : 399 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

যুগ : প্রাচীন দর্শন

অবদান : সক্রেটীয় পদ্ধতি

ভাবগুরু : এথাক্সাগোরাস

বিখ্যাত উক্তি : “There is only one good, knowledge, and one evil ignorance."


সক্রেটিস (Socrates) (৪৭০-৩৯৯ খিস্টপূর্বাব্দ) : সক্রেটিস ৪৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসের অন্তর্গত এথেন্স  নগরে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৩৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসেই তাঁর মৃত্যু হয়। পিতা সফ্রোনিস্কাস ছিলেন দরিদ্র ভাস্কর শিল্পী এবং মাতা ফিনারেট ছিলেন একজন ধাত্রী। তিনি অসামান্য জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন এবং এই জ্ঞান তিনি নিজের চেষ্টাতেই অর্জন করেছিলেন। সক্রেটিস সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তত্ত্ব দর্শন প্রবর্তন করেননি, তিনি কেবল দর্শনের লক্ষ্য এবং আলোচনার পদ্ধতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, দর্শনের লক্ষ্য হল। সত্যজ্ঞান অনুসন্ধান এবং দর্শনের পদ্ধতি হল বুদ্ধি-বিচার বিশ্লেষণ। সক্রেটিসের পূর্বে গ্রিসের সোফিস্ট সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষকেই জ্ঞান বলতেন। কিন্তু সক্রেটিস সোফিস্টদের মত খণ্ডন করে বলেন—জান মাত্রেরই উৎস হল প্রত্যয় বা ধারণা এবং কেবল বুদ্ধির মাধ্যমেই প্রত্যয় বা সামান্য ধারণা গঠন করা সম্ভব। সক্রেটিস তাঁর দার্শনিক মতবাদকে লিপিবন্ধ করে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। সক্রেটিসের সুযোগ্য শিষ্য প্লেটোর রচনার মাধ্যমেই আমরা সক্রেটিসের তত্ত্ব দর্শন সম্পর্কে অবহিত। হই। মূলত বিশুদ্ধ বুদ্ধিলব্ধজ্ঞান, সততা ও ন্যায়পরায়ণতাকে জীবনের আদর্শরূপে গ্রহণ করে সক্রেটিস এথেন্সের যুবসমাজকে ওই আদর্শে দীক্ষিত করতে প্রয়াসী হন। লক্ষ্য ছিল ওই যুবকবৃন্দ দেশকে কুসংস্কার ও দুর্নীতি থেকে মুক্ত করে দেশের উন্নতি ঘটাতে সমর্থ হবে। এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে এথেন্সের শাসকবর্গ সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। অন্যায়ের কাছে নত না-হয়ে হেমলকের মতো তীব্র বিষ পান করে সক্রেটিস সানন্দে মৃত্যুবরণ করেন।

নাম:  প্লেটো

জন্ম:  427 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

মৃত্যু: 348 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

অবদান: প্লেটোনীয় বস্তুবাদ

ভাবগুরু:  সক্রেটিস

গ্রন্থ: The Republic, Meno, Protagoras, Theactetus 

বিখ্যাত উক্তি:  Knowledge without justice ought to be called cunning rather than wisdom.


প্লেটো (Plato) (৪২৭-৩৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ): সম্ভবত ৪২৭-৪২১ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে এথেন্সের এক অভিজাত পরিবারে প্লেটো জন্মগ্রহণ করেন এবং মাত্র ৮২ বৎসর বয়সে এথেঙ্গেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পিতার নাম অ্যারিস্টন (Ariston) ও মাতার নাম পরিকটাইওনি (Perictione)সের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক প্লেটো ৩৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এথেন্সে বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একাডেমির (Academy) প্রতিষ্ঠা করেন, যাকে পাশ্চাত্যের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়রূপে গণ্য করা - হয়। এই শিক্ষায়তনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সুসংবদ্ধভাবে দার্শনিক, গণিত এবং বৈজ্ঞানিক আলোচনা ও গবেষণা করা।

  প্লেটোর মতে, বস্তুস্বরূপের বা সারসত্তার জ্ঞানলাভ করাই হল দর্শনের লক্ষ্য। প্লেটো তাঁর দর্শনে দুটি জগতের উল্লেখ করেছেন। একটি হল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য চিরচঞ্চল বিশেষ বিশেষ বস্তু ও ব্যক্তির জগৎ। আর অন্যটি হল বিশুদ্ধ বুদ্ধিলব্ধ ইন্দ্রিয়াতীত শাশ্বত ধারণার জগৎ, যেটি নিত্য ও শাশ্বত সত্য। প্লেটো বলেন, জগতের প্রতিটি বস্তু বা ব্যক্তি কোনো না কোনো জাতির অন্তর্গত। ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও জাতির কোনো  পরিবর্তন হয় না। জাতিই হল সত্য। ব্যক্তি হল জাতির অনুলিপি বা দৃষ্টান্তমাত্র। অনেকের মধ্যে যা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে তাই হল জাতি বা সামান্য, যাকে বিশুদ্ধ বুদ্ধির মাধ্যমে উপলব্ধি করতে হয়। যেমন প্রতিটি মানুষ 'মনুষ্যত্ব' সামান্যের অনুলিপি। তাহলে জাতি বা ধারণা (ideas or concept) হল মূল আর চিরচঞ্চল জগতের সকল কিছুই সেই মূলের অনুলিপি। বস্তুজগৎ আসলে শাশ্বত ধারণা জগতের ছায়ামাত্র "তাই জগতের অন্তরালবর্তী চিরন্তন সত্যকে জানাই দর্শনের মুখ্য উদ্দেশ্য। প্লেটোই প্রাচীন গ্রিসের প্রথম দার্শনিক, যিনি তাঁর দার্শনিক চিন্তাসমূহ সুসংবন্ধভাবে গ্রন্থ আকারে লিখে গিয়েছেন। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলি হল- (i) The Republic', (ii) Theaetetus', (im) Protagoras (iv) 'Symposium (v) Phaedo', (vi) 'Meno' প্লেটো বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসাবে খ্যাত।


নাম: অ্যারিস্টটল

জন্ম:  384 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

মৃত্যু: 322 খ্রিস্টপূর্বাঙ্গ 

যুগ:  প্রাচীন দর্শন

অবদান:  দ্রব্য সম্পর্কে মতবাদ

ভাবগুর: প্লেটো

গ্ৰন্থ: Logic, Metaphysics, Ethics 

বিখ্যাত উক্তি: The roots of education are bitter, but the fruit is sweet.


অ্যারিস্টটল (Aristotle) (৩৮৪-৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ): ৩৮৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসের ম্যাসিডোনিয়াম অ্যারিস্টটল জন্মগ্রহণ করেন এবং ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মাত্র ৬২ বৎসর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। পিতা নিকোম্যাকাস (Nichoma chus) ছিলেন ম্যাসিডনের রাজপরিবারের একজন চিকিৎসক। শৈশবকালেই অ্যারিস্টটলকে তাঁর অভিভাবকগণ সর্বোত্তম শিক্ষালাভের জন্য প্লেটোর 'একাডেমি'-তে প্রেরণ করেন। প্লেটোর তত্ত্বাবধানে সেখানে তিনি ২০ বৎসর ধরে শিক্ষালাভ করেন। অ্যারিস্টটল ছিলেন একাধারে দার্শনিক, তর্কবিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক। জ্ঞানের এমন কোনো দিক ছিল না যার প্রতি তিনি আকৃষ্ট হননি। এজন্য তাঁকে 'সর্ববিশারদ মহাজ্ঞানী' আখ্যা দেওয়া হত।


প্লেটোকে অনুসরণ করে অ্যারিস্টটলও বলেছেন-দর্শন ও অধিবিদ্যার লক্ষ্য মূলত এক ও অভিন্ন। তাঁর মতে, দর্শনের উদ্দেশ্য হল সব পদার্থের অন্তর্নিহিত সারসত্তার স্বরূপ উদ্ঘাটন। 'দর্শন হল পরম সত্তার বা বিশুদ্ধ সত্তার বিজ্ঞান' (Philosophy is the Science being qua being)। দর্শনের স্বরূপ সম্পর্কে অ্যারিস্টটল প্লেটোর মতকে সমর্থন করলেও প্লেটোর দ্বিজাগতিক তত্ত্বকে (two world theory) অগ্রাহ্য করেছেন। অর্থাৎ, অ্যারিস্টটল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগত ও অতীন্দ্রিয় জগৎ নামক দুইটি জগতের ভেদ স্বীকার করেননি। অ্যারিস্টটলের মতে, 'জাতি' ও 'ব্যক্তি' অর্থাৎ আকার ও উপাদান পৃথক পৃথকভাবে অস্তিত্বশীল নয়। ব্যক্তিমানুষকে বাদ দিয়ে মনুষ্যত্বের অস্তিত্ব যেমন কল্পনা করা যায় না, তেমনি মনুষ্যত্ব নামক গুণটিকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিমানুষের অস্তিত্ব ভাবা যায় না। তাই তাঁর সিদ্ধান্ত হল, সমস্ত অস্তিত্বশীল পদার্থই সামান্য (জাতি) ও বিশেষের (ব্যক্তি) সমন্বয়।" অ্যারিস্টটল রচিত দর্শনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল- (i) "The Meteorology (ii) De Anima, (iii) The Problemata'. (iv) The Dialogue of Philosophy (v) 'Metaphysics', (vi) The Nicomachean Ethics' ইত্যাদি।


নাম:  সেন্ট টমাস আকুইনাস 

জন্ম: 1225 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1274 খ্রিস্টাব্দ

 যুগ:  মধ্যযুগ দর্শন

অবদান: ধর্মতত্ত্ব

ভাবগুরু : আলবার্ট দ্য গ্রেট


গ্রন্থ: Summa Theologica, Summa Contra Gentiles 

বিখ্যাত উক্তি:  By nature all men are equal in liberty, but not in other endowment.


নাম: সেন্ট অগাস্টিন

জন্ম : 354 খ্রিস্টাব্দ

 মৃত্যু: 430 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : মধ্যযুগীয় দর্শন

অবদান:  ধর্মতত্ত্ব

ভাবগুরু : সেন্ট অ্যামব্রোজ

গ্রন্থ: Confessions, The City of God 

বিখ্যাত উক্তি : Patience is the Companion of Wisdom


নাম: রেনে দেকার্ত 

জন্ম: 1596 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1650 খ্রিস্টাব্দ

 যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : কার্তেজীয়বাদ

ভাবগুরু: প্লেটো-অ্যারিস্টটল

গ্ৰন্থ: The Discourse of Method, The Principles of Philosophy. The Meditation 

বিখ্যাত উক্তি : Cagito ergo Sum


রেনে দেকার্ত (Rena Descartes) (১৫৯৬-১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ): ১৫৯৬ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ ফ্রান্সের তুরাইন প্রদেশের এক অভিজাত পরিবারে দেকার্ত জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি সুইডেনের স্টকহলমে তাঁর মৃত্যু হয়।

 দর্শনের প্রতি অনুরক্ত দেকার্ত শৈশব থেকেই অপরাপর পাঠ্যবিষয় অপেক্ষা গণিতশাস্ত্রের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং উপলব্ধি করেছিলেন যে, গাণিতিক জ্ঞানই প্রকৃষ্ট জ্ঞান, গাণিতিক পদ্ধতিই সর্বোত্তম পদ্ধতি। তাই দেকার্ত দর্শনের ক্ষেত্রে গাণিতিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে দর্শনকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।


পাশ্চাত্য দর্শনে দেকাতই সর্বপ্রথম দার্শনিক যিনি প্রতিষ্ঠিত যাবতীয় জ্ঞানকে সন্দেহ বা সংশয় পোষণ করেন। তিনি সার্বিক সংশয় পদ্ধতি প্রয়োগ করে এমন এক সংশয়াতীত জ্ঞানে বা বচনে উপনীত হতে প্রয়াসী হন যে জ্ঞান বা বচন থেকে অপরাপর সংশয়াতীত ও সুনিশ্চিত জ্ঞানকে নিষ্কাশন করা যায়। সংশয় পদ্ধতির প্রয়োগের মাধ্যমে দেকার্ত দর্শনের ক্ষেত্রে প্রথম যে সংশয়াতীত বচনটি লাভ করেন তা হল 'আমি চিন্তা করি, অতএব আমি আছি' (I think, therefore I exist)। এই সংশয়াতীত অস্তিত্বসূচক জ্ঞান থেকে অবরোহ পদ্ধতি প্রয়োগ করে তিনি ঈশ্বর ও জড়জগতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছেন। দেকার্তকে এজন্য আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনকরূপে গণ্য করা হয়। একজন বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসাবে দেকার্ত দেহ ও মনের মধ্যে যে বিরুদ্ধভাব প্রতিষ্ঠা করেছেন তা ‘দ্বৈতবাদ' নামে খ্যাত। দেকার্ত রচিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল- (i) The Discourse on Method (ii) 'The Meditation', (iii) The Principles of Philosophy' ইত্যাদি।

নাম: বেনেডিক্ট স্পিনোজা

জন্ম: 1632 খ্রিস্টাব্দ 

মৃত্যু: 1677 খ্রিস্টাব্দ

যুগ: আধুনিক দর্শনের যুগ 

অবদান:  সর্বেশ্বরবাদ

ভাবগুরু : দেকার্ত

গ্রন্থ: Ethica, Short Treatise on God, Man and Your patience Human Welfare, Thactus de Intellectus Emenditone 

বিখ্যাত উক্তি : Two things define you. Your patience when you have nothing, and your attitude when you have everything.


নাম : জন লক

জন্ম : 1632 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1704 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : অভিজ্ঞতাবাদ

 ভাবগুরু : ফ্রন্সিস বেকন

গ্রন্থ : Essay on Human Understanding, Thought on Education, Treatise on Government 

বিখ্যাত উক্তি : The discipline of desire is the background of character.


নাম : জর্জ বার্কলে

জন্ম : 1685 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1753 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : আত্মগত ভাববাদ 

ভাবগুরু : নিকোলাস মালিব্রাঞ্চ

গ্রন্থ : A Treastise Concerning the Principles of Human Knowledge, Three Dialogues between Hylas and Philonous 

বিখ্যাত উক্তি : We have first raised a dust and then complain we cannot see.


নাম : ডেভিড হিউম

জন্ম: 1711 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1776 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : কার্যকারণ তত্ত্ব

ভাবগুরু : জর্জ বার্কলে


গ্রন্থ : A Treatise of Human Nature, An Enquiry Concerning Human Understanding

 বিখ্যাত উক্তি : A wise man proportions his belief to the evidence.


নাম : ইম্যানুয়েল কান্ট

জন্ম: 1724 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু: 1804 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক যুগ

অবদান : বিচারবাদ

ভাবগুরু : লাইবনিজ

গ্রন্থ : The Critique of Pure Reason, The Critique of Practical Reason, The Critique of Judgement 

বিখ্যাত উক্তি : Science is organised knowledge, Wisdom is organised life.


<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>


Read More