কারণ (CAUSE)
Class- XII (wbchse)
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর [(SAQ) ( মান -1 ) ]
১) কার্য কী ও কারণ কী?
উঃ কার্য ও কারণ দুটি হল জাগতিক ঘটনা। যে ঘটনাটি আগে ঘটে তাকে বলে কারণ এবং কারণ দ্বারা যে ঘটনাটি উৎপন্ন হয় তাকে বলে কার্য।
দার্শনিক মিলের মতে, "যদি একটি ঘটনা শর্তহীনভাবে এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে অগ্রবর্তী কোন ঘটনা বা ঘটনার সংমিশ্রণকে অনুসরণ করে, তবে অগ্রবর্তী ঘটনাকে কারণ এবং অনুবর্তী ঘটনাকে কার্য বলা হবে।"
দার্শনিক কাৰ্ভেথ রিড - এর মতে, "গুণের দিক থেকে কারণ হল কার্যের অব্যবহিত, শর্তান্তরহীন, অপরিবর্তনীয়, পূর্ববর্তী ঘটনা এবং পরিমাণের দিক থেকে কারণ হলো কার্যের সমান।"
২) কাৰ্ভেৰ্থ রিড কারণেৱ কটি লক্ষণের উল্লেখ করেছেন ও কী?
উঃ কার্ভেথ রিড কারণের দুটি লক্ষণের উল্লেখ করেছেন -- (১) গুণগত লক্ষণ এবং (২) পরিমাণগত লক্ষণ।
৩) কারণের গুণগত লক্ষণগুলি লেখাে।
উঃ গুণের দিক থেকে কারণ হল কার্যের নিয়ত বা অপরিবর্তনীয়, শর্তান্তরহীন, অব্যবহিত পূর্ববর্তী ঘটনা। (Qualitatively, cause is the invariable, unconditional and immediate antecedent to the effect.)
৪) কারণের পরিমাণগত লক্ষণ লেখাে।
উঃ পরিমাণের দিক থেকে কারণ হল কার্যের সমান। (Quantitatively, the cause is equal to the effect.)
৫) স্থায়ী কারণ কী?
উঃ যেসব ঘটনাকে সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা সম্ভব নয়, দার্শনিক মিল তাদের নাম দিয়েছেন স্থায়ী কারণ। যেমন — উত্তাপ, বায়ুমণ্ডলীয় চাপ, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ইত্যাদি।
৬) কারণের পরিমাণগত লক্ষণের ভিত্তি কী?
উঃ কারণের পরিমাণগত লক্ষণের ভিত্তি হল— (১) জড়ের সংরক্ষণ নীতি এবং (২) শক্তির নিত্যতা নীতি ।
৭) কারণের পরিমাণগত লক্ষণটি কোন দুটি নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত ?
উঃ
(১) ভরের নিত্যতা সূত্র এবং (২) শক্তির নিত্যতা সূত্র ।
৮) কার্যকারণ সম্পর্ক আরােহ অনুমানের কীরূপ ভিত্তি ?
উঃ আকারগত ভিত্তি ।
৯) কারণ সম্পর্কে লৌকিক অভিমত কী?
উঃ কারণ সম্পর্কে লৌকিক অভিমত হল — কারণ হল এমন একটি পূর্ববর্তী ঘটনা, যা অন্য একটি ঘটনাকে ঘটতে সাহায্য করে।
১০) কারণ ও কার্যের মধ্যে কোনাে আবশ্যিক সম্বন্ধ নেই। এ কথা কে বলেন ?
উঃ ডেভিড হিউম।
১১) শক্তির নিত্যতা সূত্র কী ?
উঃ এই জগতে শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত। যে পরিবর্তন আমরা লক্ষ করি, তা হল শক্তির বিশেষ রূপের পরিবর্তন। যেমন— কয়লার দহনের ফলে তাপ সৃষ্টি হয়। আবার তাপ বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
Or,
উঃ শক্তির নিত্যতা সূত্র অনুসারে জগতে মােট শক্তির কোনাে হ্রাসবৃদ্ধি হয় না, শক্তির রূপান্তর ঘটে মাত্র। কারণ - শক্তি কার্য - শক্তিতে রূপান্তর হয় মাত্র।
১২) ভরের নিত্যতা নিয়মটি কী ?
উঃ ভরের নিত্যতা সূত্র অনুসারে জগতে মােট ভর সর্বদা একই থাকে, বাড়ে না, কমেও না। কারণ থেকে কার্যের রূপান্তর ঘটে, তখন কারণ ও কার্যের আকারগত পরিবর্তন হয় মাত্র। কারণের যা ভর ছিল কার্যেরও সেই ভর থাকবে। তাই পরিমাণের দিক থেকে কারণ ও কার্য সমান।
১৩) কারণের প্রকৃতি সম্পর্কে কার্ভেথ রিড কী বলেছেন ?
উঃ গুণের দিক থেকে কারণ হল , কার্যের অব্যবহিত শর্তান্তরহীন অপরিবর্তণীয় পূর্ববর্তী ঘটনা এবং পরিমাণের দিক থেকে কারণ হল কার্যের সমান ।
১৪) কারণ হল সদর্থক ও নঞর্থক শর্তের সমষ্টি ’ - কে বলেছেন ?
উঃ দার্শনিক মিল কারণকে সদর্থক ও নঞর্থক শর্তের সমষ্টি বলেছেন।
১৫) শর্ত কী ?
উঃ শর্ত হল কারণের এমন এক অপরিহার্য অংশ, যা কার্য সৃষ্টি করার পক্ষে একান্ত প্রয়ােজনীয়।
১৬) শর্ত কত প্রকার ও কী কী?
উঃ শর্ত দুই প্রকার। যথা— সদর্থক শর্ত ও নঞর্থক শর্ত।
১৭) কারণের সদর্থক শর্ত কাকে বলে ?
উঃ যে শর্ত উপস্থিত না থাকলে কার্যটি উৎপন্ন হতে পারে না, তাকে সদর্থক শর্ত বলা হয়। অর্থাৎ কোনো কার্যকে সংঘটিত করার জন্য যে সকল শর্তের উপস্থিতি প্রয়োজন, সেই শর্তগুলিকে বলা হয় সদর্থক শর্ত।
১৮) কারণের নঞর্থক শর্ত কাকে বলে ?
উঃ যে শর্ত উপস্থিত থাকলে কার্য উৎপন্ন হতে পারে না, তাকে নঞর্থক শর্ত বলা হয় । অর্থাৎ কোনো কার্যকে সংঘঠিত করার জন্যে যে সকল শর্তের অনুপস্থিতি প্রয়োজন হয় তাকে বলা হয় নঞর্থক শর্ত।
১৯) কারণ ও শর্তের সম্বন্ধ কী ?
উঃ কারণ হল শর্তের সমষ্টি এবং শর্ত হল কারণের অংশ।
২০) কারণ ও শর্তের মধ্যে পার্থক্য কী?
উঃ ১) কারণ হলো ঘটনার সংগঠন যা কার্যকে ঘটায়। অপরপক্ষে, শর্ত হল কারণের এমন এক অপরিহার্য অংশ, যা কার্য সৃষ্টির পক্ষে একান্ত প্রয়ােজনীয় ।
২) একটি কার্যের একটি কারণ থাকে। অপরপক্ষে, একটি কার্যের একাধিক শর্ত থাকতে পারে।
২১) 'কারণ’ কথাটি কী কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
উঃ 'কারণ’ কথাটি তিনটি অর্থে ব্যবহৃত হয়। যথা -- (১) আবশ্যিক অর্থে, (২) পর্যাপ্ত অর্থে, (৩) আবশ্যিক - পর্যাপ্ত অর্থে ।
২২) কারণের আবশ্যিক বা অনিবার্য শর্ত কাকে বলে?
উঃ যে শর্তটি অনুপস্থিত থাকলে আলোচ্য ঘটনাটি ঘটা সম্ভব নয়, সেই শর্তকে উক্ত ঘটনার আবশ্যিক শর্ত বলা হয়।
Or,
যে শর্ত অনুপস্থিত থাকলে কোনাে কার্য ঘটে না কিন্তু উপস্থিত থাকলে কার্যটি নাও ঘটতে পারে সেই শর্তকে বলা হয় আবশ্যিক শর্ত ।
সাংকেতিক আকার: যদি ক না ঘটে তাহলে খ ঘটে না, কিন্তু ক ঘটলে খ নাও ঘটতে পারে। সুতরাং, ক হলো খ- এর আবশ্যিক শর্ত।
বাস্তব উদাহরণ: অক্সিজেনের উপস্থিতি হল দহনক্রিয়ার আবশ্যিক শর্ত।
২৩) কারণের পর্যাপ্ত শর্ত কাকে বলে ?
উঃ যে শর্তটি উপস্থিত থাকলে আলোচ্য ঘটনাটি ঘটবেই, সেই শর্তকে উক্ত ঘটনার পর্যাপ্ত শর্ত বলা হয়।
Or,
কারণের যে শর্ত উপস্থিত থাকলে কার্য ঘটে কিন্তু অনুপস্থিত থাকলে কার্য ঘটতেও পারে সেই শর্তকে বলা হয় পর্যাপ্ত শর্ত।
সাংকেতিক আকার: যদি ক ঘটে তাহলে খ ঘটে কিন্তু ক না ঘটলেও খ ঘটতে পারে। সুতরাং ক হল খ - এর পর্যাপ্ত শর্ত।
বাস্তব উদাহরণ: বিষপান করা হল মৃত্যু ঘটার পর্যাপ্ত শর্ত।
২৪) আবশ্যিক শর্ত ও পর্যাপ্ত শর্তের একটি পার্থক্য দেখাও ।
উঃ যে শর্ত অনুপস্থিত থাকলে কোনাে বিশেষ কার্য ঘটে না এবং উপস্থিত থাকলে কার্যটি নাও ঘটতে পারে, তাকে আবশ্যিক শর্ত বলে। যেমন— অক্সিজেন না থাকলে আগুন জ্বলবে না, আবার অক্সিজেন থাকলেও আগুন নাও জ্বলতে পারে।
Or,
যে শর্ত উপস্থিত থাকলে কার্য ঘটে ও অনুপস্থিত থাকলেও কার্য ঘটতে পারে, তাকে পর্যাপ্ত শর্ত বলে। যেমন— বিষপান করলেই মৃত্যু হবে, আবার বিষপান না করলেও মৃত্যু হতে পারে।
২৫) আবশ্যিক শর্তরূপে কারণ কী?
উঃ কারণ হল এমন ঘটনা, যা না ঘটলে কাৰ্য ঘটে না।
২৬) পর্যাপ্ত শর্তরূপে কারণ কী?
উঃ কারণ হল এমন ঘটনা, যা ঘটলে কার্যটি অবশ্যই ঘটবে এবং যা না ঘটলেও কার্যটি ঘটতে পারে।
২৭) আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত কাকে বলে ? ( What is Necessary and Sufficient Condition )
উঃ “ যদি দুটি ঘটনার সম্বন্ধ এমন হয় যে , এদের প্রথমটি না ঘটলে দ্বিতীয়টি ঘটে না এবং প্রথমটি ঘটলেই দ্বিতীয়টি ঘটে, তাহলে প্রথম ঘটনাটিকে দ্বিতীয় ঘটনাটির আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত বলা হবে। ”
২৮) যুক্তিবিজ্ঞানী মিল কারণের গুণগত লক্ষণ কী দিয়েছেন ?
উঃ যুক্তিবিজ্ঞানী মিল কারণের গুণগত লক্ষণ সম্পর্কে বলেছেন যে , যদি একটি ঘটনা শর্তান্তরহীনভাবে ও অপরিবর্তনীয়ভাবে পূর্ববর্তী কোনাে ঘটনার অনুগমন করে তবে সেই পূর্ববর্তী ঘটনাকে কারণ ও অনুবর্তী ঘটনাকে কার্য বলা হয় ।
২৯। কার্ভেদ রিড কারণের গুণগত লক্ষণ ও পরিমাণগত লক্ষণ কী দিয়েছেন?
উঃ কার্ভেদ রিড কারণের গুণগত লক্ষণ ও পরিমাণগত লক্ষণ সম্পর্কে বলেছেন যে, গুণের দিক থেকে কারণ হল কার্যের অব্যবহিত, শর্তান্তরহীন, অপরিবর্তনীয় (নিয়ত) পূর্ববর্তী ঘটনা এবং পরিমাণের দিক থেকে কারণ হল কার্যের সমান।
৩০) শর্ত কত প্রকার ও কী কী ?
উঃ শর্ত তিনপ্রকার । যেমন – (১) আবশ্যিক শর্ত , (২) পর্যাপ্ত শর্ত এবং (৩) আবশ্যিক - পর্যাপ্ত শর্ত।
৩১) আবশ্যিক শর্তের একটি বাস্তব উদাহরণ দাও।
উঃ আবশ্যিক শর্তের একটি বাস্তব উদাহরণ হল – যদি অক্সিজেন না - থাকে তবে আগুন জ্বলবে না। কিন্তু যদি অক্সিজেন থাকে তবে আগুন নাও জ্বলতে পারে, তাই অক্সিজেন হল আগুন জ্বলার আবশ্যিক শর্ত।
৩২) A, B- এর আবশ্যিক শর্ত - এই কথার অর্থ কী?
উঃ A, B- এর আবশ্যিক শর্ত – এই কথার অর্থ হল – যদি A না - ঘটে তবে B ঘটবে না কিন্তু যদি A ঘটে তবে B নাও ঘটতে পারে।
৩৩) কারণকে আবশ্যিক শর্ত অর্থে গ্রহণ করলে কী অসুবিধা ?
উঃ যদি কারণকে আবশ্যিক শর্ত অর্থে ধরা হয় তবে কার্য থেকে কারণ অনুমান করা যায়, কিন্তু কারণ থেকে কার্য অনুমান করা যায় না।
৩৪) কোন্ দার্শনিক 'কারণ’ শব্দটিকে আবশ্যিক শর্ত অর্থে গ্রহণ করেছেন?
উঃ ডেভিড হিউম 'কারণ' শব্দটি আবশ্যিক শর্ত অর্থে গ্রহণ করেছেন।
৩৫) পর্যাপ্ত শর্তের একটি বাস্তব উদাহরণ দাও ।
উঃ পর্যাপ্ত শর্তের একটি বাস্তব উদাহরণ হল – যদি বৃষ্টি হয় তবে মাটি অবশ্যই ভিজবে । কিন্তু যদি বৃষ্টি না - হয় তবে মাটি ভিজতে পারে । তাই বৃষ্টিপাত হল মাটি ভেজা কার্যের পর্যাপ্ত শর্ত।
৩৬) A, B- এর পর্যাপ্ত শর্ত – এই কথার অর্থ কী?
উঃ A , B- এর পর্যাপ্ত শর্ত – এই কথার অর্থ হল - যদি A ঘটে তবে B ঘটবে। কিন্তু যদি A না - ঘটে তবে B ঘটতে পারে।
৩৭) যদি কারণকে পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে গ্রহণ করা হয় তবে কী অসুবিধা ?
উঃ 'কারণ' শব্দটিকে পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে গ্রহণ করলে কারণ থেকে কার্য অনুমান করা যায়। কিন্তু কার্য থেকে কারণ অনুমান করা যায় না।
৩৮) কোন্ দার্শনিক 'কারণ' শব্দটিকে পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে ব্যবহার করেছেন?
উঃ দার্শনিক মিল কারণ শব্দটিকে পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে ব্যবহার করেছেন ।
৩৯) বহুকারণবাদের একটি অসুবিধার উল্লেখ করাে।
উঃ বহুকারণবাদ স্বীকার করলে কারণ থেকে কার্য সঠিকভাবে অনুমান করা গেলেও কার্য থেকে কারণ অনুমান করা যায় না।
৪০) বহুকারণবাদ ও বহুকারণ সমন্বয়ের নীতি দুটি উল্লেখ করে।
উঃ বহুকারণবাদের নীতিটি হল – একটি কার্য অনেকগুলি কারণের দ্বারা উৎপন্ন হয়। বহুকারণ সমন্বয়ের নীতিটি হল – অনেকগুলি কারণ মিলিতভাবে একটি কার্যকে উৎপন্ন করে।
৪১) বহুকারণবাদ যদি যথার্থ মতবাদ না - হয় তবে এই মতবাদ সৃষ্টির কারণ কী?
উঃ বহুকারণবাদ একটি ভ্রান্ত মতবাদ। এই মতবাদে কার্যকে সামান্য অর্থে এবং কারণকে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করা হয়েছে বলে বহুকারণবাদ নামে এক ভ্রান্ত মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে।
৪২) বহুকারণবাদ থেকে মুক্তির উপা য় কী ?
উঃ বহুকারণবাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে যদি কারণ ও কার্য উভয়কে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করা হয় ।
৪৩) বিষপান হল মৃত্যুর কারণ। - এই বাক্যটিতে ‘কারণ’ শব্দটি কী শর্ত অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে ? [ সংসদ নমুনা প্রশ্ন '১৪ )
উঃ প্রশ্নে উদ্ধৃত বাক্যটিতে পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে কারণ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে ।
৪৪) 'আগুন হল ধোয়ার কারণ'।- এই বাক্যটিতে ‘কারণ' শব্দটি কী শর্ত আর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
উঃ প্রশ্নে উদ্ধৃত বাক্যটিতে আবশ্যিক শর্ত অর্থে ‘কারণ' শব্দটি ব্যবহার রা হয়েছে।
৪৫) 'মেঘ হল বৃষ্টির কারণ'। - এই বাক্যটিতে ‘কারণ' শব্দটি কী শর্ত অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
উঃ প্রশ্নে উদ্ধৃত বাক্যটিতে আবশ্যিক শর্ত অর্থে ‘ কারণ শব্দটি ব্যবহার রা হয়েছে ।
৪৬) 'জলপান তৃষ্ণা নিবারণের কারণ'। - এই বাক্যটিতে 'কারণ' শব্দটি কী শর্ত অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে ?
উঃ প্রশ্নে উদ্ধৃত বাক্যটিতে আবশ্যিক - পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে ‘কারণ ' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে ।
৪৮) 'ঘর্ষণ উত্তাপের কারণ'।- এই বাক্যে 'কারণ' শব্দটি কী শর্ত অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে ?
উঃ প্রশ্নে উদ্ধৃত বাক্যটিতে পর্যাপ্ত শর্ত অর্থে 'কারণ' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
৪৯) আবশ্যিক শর্ত হিসাবে কারণের বৈশিষ্ট্য কী?
উঃ আবশ্যিক শর্ত হিসাবে কারণের বৈশিষ্ট্য হল – কারণ হল কার্যের নিয়ত পূর্বগামী ঘটনা।
৫০) পর্যাপ্ত শর্ত হিসাবে কারণের বৈশিষ্ট্য কী?
উঃ পর্যাপ্ত শর্ত হিসাবে কারণের বৈশিষ্ট্য হল – কার্য হল কারণের নিয়ত অনুগামী ঘটনা।
৫১) একটি ঘটনার ক - টি পর্যাপ্ত শর্ত থাকতে পারে?
উঃ একটি ঘটনার একাধিক পর্যাপ্ত শর্ত থাকা সম্ভব।
৫২) একটি ঘটনার ক - টি আবশ্যিক শর্ত থাকতে পারে?
উঃ একটি ঘটনার একটি আবশ্যিক শর্ত থাকতে পারে।
৫৩) কারণ না থাকলে কার্য ঘটে না — 'কারণ’ কথাটি এখানে কী শর্তে ব্যবহৃত হয়েছে?
উঃ 'কারণ’ কথাটি এখানে আবশ্যিক শর্তরূপে গ্রহণ করা হয়েছে ।
৫৪) মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জল কীরূপ শর্ত?
উঃ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জল আবশ্যিক শর্ত।
৫৫) আবশ্যিক শর্তের একটি সাংকেতিক উদাহরণ দাও।
উঃ ‘ ক ’ না ঘটলে ‘ খ ’ ঘটে না। কিন্তু ক ঘটলে খ নাও ঘটতে পারে।
৫৬) এককারণবাদ কী ?
উঃ যে মতবাদ অনুসারে একটি কার্যের কেবল একটি কারণ থাকে, তাকে এককারণবাদ বলে।
৫৭) “যদি A ঘটে তবে B নামক ঘটনাটিও ঘটে। ” এখানে A , B- এর কীরূপ শর্ত ?
উঃ এখানে A, B- এর পর্যাপ্ত শর্ত।
৫৭) পর্যাপ্ত শর্ত হিসেবে কারণের একটি দৃষ্টান্ত দাও।
উঃ হৃৎপিণ্ডে গুলিবিদ্ধ হওয়া হল মৃত্যুর পর্যাপ্ত শর্ত।
৫৮) 'বিষপান মৃত্যুর কারণ’ — এক্ষেত্রে কারণ কথাটি কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উঃ এক্ষেত্রে 'কারণ’ কথাটি পর্যাপ্ত শর্তে ব্যবহৃত হয়েছে।
৫৯) এককারণবাদীরা কারণকে কীরূপ শর্তরূপে গ্রহণ করেন?
উঃ এককারণবাদীরা কারণকে আবশ্যিক - পর্যাপ্ত শর্তরূপে গ্রহণ করেন।
৬০) বহুকারণবাদীরা কারণকে কীরূপ শর্তরূপে গ্রহণ করেছেন?
উঃ বহুকারণবাদীরা কারণকে পর্যাপ্ত শর্তরূপে গ্রহণ করেছেন।
৬১) বহুকারণবাদীরা কারণ ও কার্যকে কীভাবে গ্রহণ করেন?
উঃ বহুকারণবাদীরা কারণকে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এবং কার্যকে সামান্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গ্রহণ করেন।
৬২)বহুকারণবাদ বলতে কী বােঝাে?
উঃ যে মতবাদ অনুসারে একটি কার্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণের দ্বারা উৎপন্ন হয় সেই মতবাদকে বলা হয় বহুকারণবাদ।
৬৩) বহুকারণবাদের একটি বাস্তব উদাহরণ দাও।
উঃ বহুকারণবাদের একটি বাস্তব উদাহরণ হল – মৃত্যু কার্যটি কখনও বিষপানে, কখনও - বা জলে ডুবে, কখনও - বা আগুনে পুড়ে, কখনও - বা রােগে প্রভৃতি কারণে ঘটতে পারে। তাই মৃত্যু কার্যটির বহুকারণ আছে।
৬৪) ক, খ - এর পর্যাপ্ত - আবশ্যিক শর্ত —এ কথার অর্থ কী?
উঃ এর অর্থ হল ‘ ক ’ ঘটলে ‘ খ ’ ঘটবে এবং ক ’ না ঘটলে ‘ খ ’ ও ঘটবে না।
৬৫) আবশ্যিক - পর্যাপ্ত শর্ত হিসেবে কারণের একটি দৃষ্টান্ত দাও।
উঃ ” ভিজে কাঠে অগ্নিসংযােগ ধূম উৎপাদনের আবশ্যিক - পর্যাপ্ত শর্ত।
৬৬) বহুকারণবাদের অর্থ কী?
উঃ একই কার্যের বহু কারণ থাকতে পারে।
৬৭) বহুকারণবাদের সমর্থক কারা?
উঃ জন স্টুয়ার্ট মিল ও বেইন বহুকরণবাদের সমর্থক।
৬৮) বহুকার সমন্বয় কী?
উঃ যখন একাধিক কারণ একত্রে মিলিত হয়ে একটি মিশ্র কার্য উৎপন্ন করে, তখন সেই মিশ্র কার্যের কারণকে বলা হয় বহুকারণ সমন্বয়। যেমন — জল উৎপাদনের জন্য হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয় প্রয়ােজন।
৬৯) বহুকারণবাদ এবং বহুকারণ সমন্বয় - এর নীতি দুটি লেখাে।
উঃ বহুকারণবাদ এবং বহুকারণ সমন্বয় - এর নীতি দুটি হল— (১) সমজাতীয় কার্য সংমিশ্রণ এবং (২) ভিন্নজাতীয় কার্য সংমিশ্রণ।
৭০) বহুকারণবাদের একটি অসুবিধা লেখাে।
উঃ বহুকারণবাদ মেনে নিলে কারণকে কার্যের অপরিবর্তনীয় পূর্ববর্তী ঘটনা বলা যাবে না।
৭১) বহুকারণবাদের সমস্যা দূর করার একটি উপায় লেখাে।
উঃ বহুকারণবাদে কারণ ও কার্য উভয়কে সামান্য অথবা বিশেষ অর্থে গ্রহণ করা হলে, বহুকারণবাদের সমস্যা দূর হবে।
৭২) কোন্ মতবাদকে কার্যকারণ বিরােধী মতবাদ বলা হয়?
উঃ বহুকারণবাদকে কার্যকারণ বিরােধী মতবাদ বলা হয়।
0 comments:
Post a Comment