Sunday 8 November 2020

HS Philosophy অধ্যায়: বচনের বিরােধিতা (wbchse)

Leave a Comment

 অধ্যায়: বচনের বিরােধিতা (দ্বাদশ শ্রেণী) (wbchse)

 অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( মান - ১)

১) বচনের বিরােধিতা কাকে বলে ?

  উঃ একই উদ্দেশ্য - বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি গুণ কিংবা পরিমাণ অথবা গুণ ও পরিমাণ উভয় ক্ষেত্রেই প্রভেদ থাকে, তাহলে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বচনের বিরােধিতা বলা হয় । A ও E বচনের মধ্যে এই সম্বন্ধ বর্তমান 

২) বচনের বিরােধিতা কত প্রকার ও কী কী?  

উঃ  বচনের বিরােধিতা চার প্রকার । যথা— (i) বিপরীত বিরােধিতা (ii) অধীন বিপরীত বিরােধিতা (iii) অসম বিরােধিতা ও (iv) বিরুদ্ধ বিরােধিতা। 

৩)  বিপরীত বিরােধিতা কাকে বলে ? 

 উঃ  একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি সামান্য বচনের মধ্যে যদি কেবল গুণের পার্থক্য থাকে, তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিপরীত বিরােধিতা বলা হয়। A ও E বচনের মধ্যে এই সম্বন্ধ বর্তমান।

৪)  অধীন - বিপরীত বিরােধিতা কাকে বলে?

উঃ একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি বিশেষ বচনের মধ্যে যদি কেবল গুণের পার্থক্য থাকে, তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধ কে অধীন বিপরীত বিরোধিতা বলা হয়। I এবং O বচনের মধ্যে এই সম্বন্ধে বর্তমান।

৫)  অসম বিরােধিতা কাকে বলে? 

উঃ একই উদ্দেশ্য, বিধেয় ও গুণযুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি কেবল পরিমাণের পার্থক্য থাকে তবে ওই বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে অসম বিরােধিতা বলা হয়। এই সম্বন্ধে যুক্ত বচন গুলি হল A -- I এবং E --- O।

৬) বিরুদ্ধ বিরােধিতা কাকে বলে?

 একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচন যখন গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে পৃথক হয়, তখন বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিরুদ্ধ বিরােধিতা বলা হয় । এই সম্বন্ধে যুক্ত বচনগুলি হল A - 0 ও E – I।

 ৭) বিপরীত বিরােধিতার উদাহরণ দাও।  

উঃ বিপরীত বিরােধিতা উদাহরণ-

A - সকল মানুষ হয় মরণশীল।

E -- কোনাে মানুষ নয় মরণশীল।

 ৮)  অধীন - বিপরীত বিরােধিতার একটি দৃষ্টান্ত দাও।

উঃ   অধীন - বিপরীত বিরােধিতার একটি দৃষ্টান্ত

  A - কোনাে কোনাে মানুষ হয় সৎ ব্যক্তি

  I -  কোনাে কোনাে মানুষ নয় সৎ ব্যক্তি ( O )

৯) 'কোনাে কোনাে মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব।' --  বচনটির অধীন - বিপরীত বিরােধী বচন উল্লেখ কর।

উঃ  বচনটির অধীন - বিপরীত বিরােধী বচন হল -

 O - কোনাে কোনাে মানুষ নয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন 

১০) বিরুদ্ধ বিরােধিতার দৃষ্টান্ত দাও।

উঃ 

দৃষ্টান্ত নং 1 

A- সকল শিশু হয় সরল 

O -  কোনাে কোনাে শিশু নয় সরল

দৃষ্টান্ত নং 2

E - কোনাে মানুষ নয় অমর

 I - কোনাে কোনাে মানুষ হয় অমর

১১)  লৌকিক অর্থে বচনের বিরােধিতা কাকে বলে ?

 উঃ লৌকিক অর্থে দুটি নিরপেক্ষ বচন একসঙ্গে সত্য এবং একসঙ্গে মিথ্যা না হলে, উক্ত বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বচনের বিরােধিতা বলা হয়।

 ১২) বচনের বিরােধিতার আবশ্যিক শর্ত কী? 

উঃ বিরােধী বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় অভিন্ন হবে এবং গুণ ও পরিমাণ পৃথক হবে। 

১৩)  প্রচলিত যুক্তিবিজ্ঞানে বিরােধিতার মাপকাঠি কী? 

 উঃ অভিন্ন উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের গুণ ও পরিমাণকেই প্রচলিত যুক্তিবিজ্ঞানে বিরােধিতার মাপকাঠি বলা হয়।

 ১৪) বিপরীত বিরােধিতা ও অধীন - বিপরীত বিরােধিতার মধ্যে মূলগত পার্থক্য কী ? 

উঃ বিপরীত বিরােধিতা হয় দুটি সামান্য বচনের মধ্যে , কিন্তু অধীন - বিপরীত বিরােধিতা হয় দুটি বিশেষ বচনের মধ্যে।

 ১৫) বিরােধানুমান কাকে বলে?

 উঃ বিরােধিতার সম্বন্ধে যুক্ত দুটি বচনের মধ্যে একটির সত্য বা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে অন্য বচনটির সত্য বা মিথ্যার অনুমানকে বিরােধানুমান বলা হয় ।

১৬) বিরোধানুমানকে কোন ধরনের অনুমান বলা হয়? 

উঃ বিরোধানুমানকে অবরোহমূলক অমাধ্যম  অনুমান বলা হয়।

১৭) বিরোধ চতুষ্কোণের কর্ণ দুটি দ্বারা কোন বিরোধিতা বোঝানো হয়? 

উঃ বিরোধ চতুষ্কোণের কর্ণ দুটি দ্বারা বিরুদ্ধ বিরোধিতাকে বোঝানো হয়।

১৮) অতিবর্তী বচন কাকে বলে?

উঃ বিপরীত বিরোধিতার ক্ষেত্রে সামান্য বচনকে (A,  E) বলা হয় অতিবর্তী বচন।

১৯) অনুবর্তী বচন কাকে বলে? 

উঃ অধীন-বিপরীত বিরোধিতার ক্ষেত্রে বিশেষ বচনকে ( I, O) বলা হয় অনুবর্তী বচন।

২০) অ্যারিস্টটলের মতে, বিরোধিতা কয় প্রকার ও কী কী? 

উঃ অ্যারিস্টটলের মতে, বিরোধিতা দুই প্রকার যথা - (1) বিপরীত বিরোধিতা ও (2) বিরুদ্ধ বিরোধিতা।

২১) অ্যারিস্টটল অধীন-বিপরীত বিরোধিতাকে বিরোধিতা বলে স্বীকার করেননি কেন?

উঃ  অ্যারিস্টটল অধীন-বিপরীত বিরোধিতাকে বিরোধিতা বলে স্বীকার করেননি। কারণ- তাঁর মতে,  'I' এবং 'O' বচন উভয়ই একসঙ্গে সত্য হতে পারে।

২২) অ্যারিস্টটল কেন অসম বিরোধিতাকে বিরোধিতা বলে স্বীকার করেননি?

উঃ অ্যারিস্টটল  অসম বিরোধিতাকে বিরোধিতা বলে স্বীকার করেননি। কারণ তিনি মনে করেন A এবং I,  E এবং O বচন উভয়ই একসঙ্গে সত্য হতে পারে।

২৩) অ্যারিস্টটলের মতে, সর্বাপেক্ষা তীব্র বিরােধিতার সম্বন্ধ কোনটি? 

উঃ অ্যারিস্টটলের মতে, সর্বাপেক্ষা তীব্র বিরােধিতার সম্বন্ধ হল বিপরীত বিরােধিতা। 

২৪)  বিপরীত বিরােধানুমানের নিয়ম কী?  

উঃ বিপরীত বিরােধানুমানের নিয়ম -

বিপরীত বিরােধানুমানে একটি বচন সত্য হলে অপরটি মিথ্যা হবে এবং একটি মিথ্যা হলে অপরটি অনিশ্চিত হবে। 

২৫) অধীন - বিপরীত বিরােধানুমানের নিয়ম কী? 

উঃ অধীন - বিপরীত বিরােধানুমানের নিয়ম -

 অধীন - বিপরীত বিরােধানুমানে একটি বচন মিথ্যা হলে তার অনুরূপ বচনটি সত্য হবে এবং একটি বচন সত্য হলে অনুরুপ বচনটি অনিশ্চিত হবে। 

২৬) বিরুদ্ধ বিরােধানুমানের নিয়ম কী? 

উঃ বিরুদ্ধ বিরােধানুমানের নিয়ম -

বিরুদ্ধ বিরােধানুমানে যদি একটি বচন সত্য হয়, তবে অনুরুপ বচনটি মিথ্যা হবে এবং একটি বচন যদি মিথ্যা হয় তবে অনুরূপ বচনটি সত্য হবে। 

২৭) কখন দুটি বচন পরস্পরবিরােধী হয়?

উঃ একই উদ্দেশ্য বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচন যখন গুণ কিংবা পরিমাণ অথবা গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে পৃথক হয়, তখন বচন দুটি পরস্পরবিরােধী হয়। 

২৮) বিরুদ্ধ বিরােধিতার ক্ষেত্রে সত্যমূল্যের নিয়ম কী? 

উঃ বিরুদ্ধ বিরােধিতার ক্ষেত্রে দুটি বচন একসঙ্গে সত্য হতে পারে না , আবার একসঙ্গে মিথ্যা হতে পারে না। 

২৯) অসম বিরােধিতায় বচন দুটির মধ্যে কীরূপ প্রভেদ থাকে?

উঃ অসম বিরােধী বচনগুলির মধ্যে কেবল পরিমাণের পার্থক্য থাকে। 

৩০) অনুসিদ্ধান্ত কী? 

কোন একটি সিদ্ধান্ত থেকে যদি অন্য কোন একটি সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়, তবে তাকে অনুসিদ্ধান্ত বলে।

৩১) বিপরীত বিরোধানুমানের মূল নিয়মের অনুসিদ্ধান্ত দুটি কী কী?

উঃ (১) A বচন সত্য হলে E বচন মিথ্যা হবে।

     (২) E বচন সত্য হলে A বচন মিথ্যা হবে।

৩২) অসম বিরোধিতার একটি দৃষ্টান্ত দাও।

উঃ অসম বিরোধিতার একটি দৃষ্টান্ত -

E - কোনো মানুষ নয় পূর্ণ।

O - কোনো কোনো মানুষ নয় পুর্ণ।

৩৩) বিপরীত বিরোধিতার একটি বচন সত্য হলে অপর বচন সত্য মূল্য কি হবে? 

উঃ মিথ্যা।

৩৪) দুটি বিরুদ্ধ বচন একসঙ্গে সত্য হয় না কেন? 

উঃ বিরোধী বচনগুলি গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে পৃথক হয় বলে বিরুদ্ধ বসনগুলি একসঙ্গে সত্য হয় না।

৩৫) 'সকল মানুষ হয় বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন জীব'' - বচনটির বিপরীত বিরোধী বচন কী হবে?

উঃ  কোন মানুষ নয় বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন জীব - (E)

৩৬) 'সকল কবি হয় কল্পনাপ্রবণ' - বচনটির বিপরীত বিরোধী বচন কী হবে?

উঃ প্রদত্ত বচন: সকল কবি হয় কল্পনাপ্রবণ (A)

বিপরীত-বিরোধী বচন: কোন কবি নয় কল্পনাপ্রবণ। ( E)

৩৭) ' মানুষ অসৎ হতে পারে' - অসম বিরোধী বচন নির্ণয় করো।

উঃ প্রদত্ত বচন: কোন কোন মানুষ হয় অসৎ। (I)

 অসম বিরোধী বচন: সকল মানুষ হয় অসৎ। (A) 


If You Enjoyed This, Take 5 Seconds To Share It

0 comments: