Thursday, 23 December 2021

HS শিক্ষাবিজ্ঞান( Education ) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন অধ্যায় থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment

 

    শিক্ষাবিজ্ঞান(Education )


             Class xii (wbchse)


বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন (১৯৪৮-৪৯ খ্রিস্টাব্দ)


অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ)     (মান-1)


প্রশ্ন ১: কার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠিত হয়েছিল?

উঃ ড. সর্বপল্লী রাধাকৃয়াণের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠিত হয়েছিল।


প্রশ্ন ২: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয় কত খ্রিস্টাব্দে?

উঃ ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছিল।


প্রশ্ন ৩: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের অপর নাম কী? 

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের অপর নাম রাধাকৃষ্ণন কমিশন (১৯৪৮-৪৯)।


প্রশ্ন ৪: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সম্পাদক কে ছিলেন? 

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সম্পাদক ছিলেন ড. নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত। 


 প্রশ্ন ৫: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সভাপতি কে ছিলেন?

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান।


  প্রশ্ন ৬: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য সংখ্যা কত ছিল?

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের মোট সদস্য ছিল ১০ জন। 


 প্রশ্ন ৭:  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের ভারতীয় সদস্য কারা ছিলেন? 

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে ৭ জন ভারতীয় সদস্য ছিলেন। এরা হলেন- ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ, ড. নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত, ড. মেঘনাদ সাহা, ড. এ লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়র, ড. তারাচাঁদ, ড. জাকির হোসেন এবং ড. কমল নারায়ণ বহল। 


 প্রশ্ন ৮: রাধাকৃয়াণ কমিশনের / বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের বিদেশি সদস্য কারা ছিলেন?

উঃ রাধাকৃষাণ কমিশনে বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে ৩ জন বিদেশি সদস্য ছিলেন। এঁরা হলেন- (i) ড. জেমস এফ ডাফ, (ii) ড আর্থার ই মরগ্যান এবং (iii) ড. জন টিগার্ট।


 প্রশ্ন ৯: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে কতগুলি সুপারিশ করা হয়েছিল? 

উ: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে ২০৭টি সুপারিশ করা হয়েছিল।


 প্রশ্ন ১০: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনটি কত পৃষ্ঠার ছিল?

 উ: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনটি ছিল ৭৪৭ পৃষ্ঠার। 


 প্রশ্ন ১১: কত খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন তার রিপোর্ট জমা দেয়?

উঃ ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন তার রিপোর্ট জমা দেয়।


 প্রশ্ন ১২: বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের উচ্চশিক্ষার একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য উল্লেখ করো।

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের উচ্চশিক্ষার একটি লক্ষ্য হল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হবে এমন যা দেশের রাজনীতি, সমাজ, প্রশাসন, শিল্প-বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের যোগ্যতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে।


প্রশ্ন ১৩: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন ক-টি ধারায় শিক্ষার পর্যালোচনা করে? 

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন আটটি ধারায় শিক্ষার লক্ষ্য, পর্যালোচনা করে। সেই ধারাগুলি হল- (i) New India বা নবভারত, (ii) Democracry বা গণতন্ত্র, (iii) Justice বা ন্যায়বিচার (iv) Liberty বা স্বাধীনতা, (v) Equality সাম্য, (vi) Fraternity বা ভ্রাতৃত্ববোধ, (vii) Uninterrupted Continuity of Indian Culture বা ভারতীয় সংস্কৃতি অবিরাম ধারা এবং (viii)  History of India বা ভারতে ইতিহাস।


প্রশ্ন ১৪: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন কীসের উপর ভিত্তি করে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে?

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন চারটি সমাজদর্শনের উপর ভিত্তি করে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। 

সেগুলি হল-- (i) সামাজিক ন্যায়বিচার, (ii) স্বাধীনতা, (iii) সমানাধিকার এবং (iv) সৌভ্রাতৃত্ববোধ।


প্রশ্ন ১৫: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গুণগত দিক থেকে ক-টি ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গুণগত দিক থেকে চার ভাগে ভাগ করেছে। এগুলি হল-- প্রফেসর, রিডার, লেকচারার, ইন্সস্ট্রাকটর। এ ছাড়াও থাকবে কিছু সংখ্যক গবেষক ও শিক্ষার্থী।


প্রশ্ন ১৬: উচ্চশিক্ষায় টিউটোরিয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা কে. কেন চালু করতে বলেছিলেন?

উঃ রাধাকৃষ্ণাণ কমিশন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করার জন্য উচ্চশিক্ষায় টিউটোরিয়াল ক্লাস চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল।


প্রশ্ন ১৭: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে উল্লিখিত যে-কোনো দুই ধরনের পেশাগত শিক্ষার নাম লেখো।


উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে উল্লিখিত পেশাগত শিক্ষাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- (i) কৃষিবিদ্যা শিক্ষা এবং (ii) চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষা। 


প্রশ্ন ১৮: কৃষিবিদ্যা শিক্ষার বিকাশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের কী কী সুপারিশ ছিল? 

উঃ কৃষিবিদ্যা শিক্ষার বিকাশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গ্রামাঞ্চলে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি কলেজ গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিল।


প্রশ্ন ১৯: কোন্ কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার সুপারিশ করে?

উঃ গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার সুপারিশ করে রাধাকৃষ্ণণ কমিশন (১৯৪৮-৪৯ খ্রি.)।


প্রশ্ন ২০: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার্থীদের ক-টি ভাষার সঙ্গে পরিচয়ের কথা বলেছিল?

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার্থীদের তিনটি ভাষার সঙ্গে পরিচিতির কথা বলেছিল। সেই তিনটি ভাষাহল মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা, রাষ্ট্রীয় ভাষা (হিন্দি) এবং ইংরেজি।


প্রশ্ন ২১: কোন্ কমিশন কী কারণে ছাত্রদের Students' Union গঠনের অধিকার দিয়েছিল? 

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন শিক্ষার্থীদের চরিত্রগঠন ও নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশের জন্য ছাত্র সংগঠন বা Students' Union গঠনের কথা বলেছিল।


প্রশ্ন ২২: কোন্ কমিশন NCC-এর প্রশিক্ষণের উপর জোর দিয়েছিল?

উঃ রাধাকৃষ্ণাণ কমিশন NCC-এর প্রশিক্ষণের উপর জোর দিয়েছিল। 


প্রশ্ন ২৩:  NCC- এর পুরো কথাটি কী?

উঃ  NCC-এর পুরো কথাটি হল – National Cadet Corps. 


প্রশ্ন ২৪: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন নারীশিক্ষার পাঠ্যক্রমে কী বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল?

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন নারীশিক্ষার পাঠ্যক্রমে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও পরিবার পরিচালনার শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিল।


প্রশ্ন ২৫: UGC কী?

উঃ  ভারতের সকল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়ভার বহনের জন্য যে কমিশনের হাতে অর্থবণ্টনের দায়িত্বভার ন্যস্ত থাকে, সেই কমিশনই UGC বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নামে পরিচিত।


প্রশ্ন ২৬:  UGC কথাটি কোন্ শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে 

যুক্ত? উঃ  UGC কথাটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত।


প্রশ্ন ২৭: UGC-এর পূর্ণরূপ কী?

উঃ  UGC-এর পূর্ণ রূপ হল University Grant Commission. 


প্রশ্ন ২৮: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গ্রামীণ শিক্ষাক্ষেত্রে কোন্ কোন্ স্তরের উল্লেখ করেছে?

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গ্রামীণ শিক্ষাক্ষেত্রে চারটি স্তরের উল্লেখ করেছে। যথা- প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, কলেজীয় শিক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা। 


প্রশ্ন ২৯: বিদ্যালয়ে মনীষীদের জীবনীপাঠ প্রথম কোন্ কমিশন সুপারিশ করেছিল?

 উঃ বিদ্যালয়ে মনীষীদের জীবনীপাঠের প্রথম সুপারিশ করেছিল রাধাকৃষ্ণাণ কমিশন (১৯৪৮-৪৯ খ্রি.)।


প্রশ্ন ৩০:  শ্রীনিকেতন কী ধরনের প্রতিষ্ঠান?

উঃ শ্রীনিকেতন হল পশ্চিমবঙ্গের Rural Institute বা অন্যতম একটি গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়।


প্রশ্ন ৩১: শ্রীনিকেতন কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন? 

 উঃ শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


প্রশ্ন ৩২:  NCRHE-এর পুরো কথাটি কী?

উঃ NCRHE-এর পুরো কথাটি হল- National Council for Rural Higher Education I


প্রশ্ন ৩৩:  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন যে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিল, তার নাম কী? 

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন যে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করেছিল তার নাম- National Council for Rural Higher Education বা গ্রামীণ উচ্চশিক্ষা জাতীয় পর্ষদ।


প্রশ্ন ৩৪: রাধাকৃয়াণের গ্রামীণ শিক্ষা পরিকল্পনা কার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল?

উঃ রাধাকৃষ্ণাণের গ্রামীণ শিক্ষার পরিকল্পনা ডেনমার্কের জনতা কলেজ, গান্ধিজির বুনিয়াদি শিক্ষা, রবীন্দ্রনাথের পল্লিসমাজ ও শ্রীনিকেতনের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল।


প্রশ্ন ৩৫: রাধাকৃষ্ণানের গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্তরের মেয়াদ কত বছরের?

 উঃ রাধাকৃষ্ণাণের গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্তরের মেয়াদ ছিল ৪ বছরের নিম্ন ও উচ্চ বুনিয়াদি শিক্ষা।


 প্রশ্ন ৩৬:  গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনায় মাধ্যমিক স্তর কত বছরের?

উঃ গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনায় মাধ্যমিক স্তর তিন বছরের। 


প্রশ্ন ৩৭:  রাধাকৃষ্ণাণ কমিশনের কলেজীয় শিক্ষার মেয়াদ কত বছর ছিল?

উঃ রাধাকৃষ্ণাণ কমিশনের কলেজীয় শিক্ষার মেয়াদ ছিল ৩ বছর। 


প্রশ্ন ৩৮: গ্রামীণ উচ্চশিক্ষা পরিষদ কবে গঠিত হয়? 

উঃ  গ্রামীণ উচ্চশিক্ষা পরিষদ গঠিত হয় ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে।


প্রশ্ন ৩৯: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে কোথায় গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানে তিন বছরের শিক্ষক-শিক্ষণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়?

উঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে গুজরাট গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানে তিন বছরের শিক্ষক-শিক্ষণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।


প্রশ্ন ৪০: গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি কর্মসূচি সম্পর্কে লেখো। 

উঃ গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির অন্তর্গত দুটি বিষয় হল

(i) সম্পূর্ণ আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং (ii) গ্রামীণ পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত শিক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও সমাজদর্শন সম্বন্ধে গবেষণার ব্যবস্থা করা।


 প্রশ্ন ৪১: কোন্ কোন্ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসুবিধার্থে সাম্প্রদায়িক সনদ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন?

উঃ বারাণসী বিশ্ববিদ্যালয় ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অসুবিধার জন্য সাম্প্রদায়িক সনদ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন।


প্রশ্ন ৪২: DPI এর সম্পূর্ণ নাম কী?

উঃ DPI এর সম্পূর্ণ নাম হল 'Director of Public Instruction' ।


প্রশ্ন ৪৩:  NCRHE কোন উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়?

উঃ ভারত সরকারকে গ্রামীণ উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে পরামর্শদানের উদ্দেশ্যে 1956 খ্রিস্টাব্দে NCRHE (National Council for RURAL Higher Education) গঠন করা হয়।


প্রশ্ন ৪৪: ভারতে প্রথম কবে জাতীয় শিক্ষার আন্দোলন হয়েছিল? 

উঃ ভারতে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম জাতীয় শিক্ষার আন্দোলন হয়েছিল।


প্রশ্ন ৪৫: ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী কে ছিলেন?

 উঃ ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।


<<<<<<<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>>>>>>

Read More

Wednesday, 22 December 2021

Write a paragraph on 'A Visit to a Place of Historic Interest.

Leave a Comment

 Write a paragraph on 'A Visit to a Place of Historic Interest. 

You may use the following points: date and time of departure-place of visit your companions/Friends and relations with you-Details of the journey/mode of transport-Date of visit-Interesting sights and scenes/worth-seeing place or places/Sight seeing-Your impressions-Conclusion.



A Visit to a Place of Historic Interest


Ans:

  I love to travel.  My parents encouraged me to travel.  I have been cherishing the dream of visiting the Taj Mahal for a long time.  My dream came true during the last Puja vacation.  I went to Agra with my parents.  I also had some friends with me.  On 7th October, at about 5 pm we started for New Delhi by the Rajdhani Express from Howrah.  As the speed of the train increased, I feasted my eyes on the passing charming scenes through the window.  Green fields, village huts, hills and trees greeted our eyes.  The next morning we reached Agra.  The marvelous Taj looks like a beautiful dream on a moonlit night.  What a wonderful architecture!  I had only heard of its majestic beauty earlier.  But this time with my own eyes I got boundless joy and thrill.  My friends were also amazed to see this majestic edifice.  In addition to the Taj, we visited Akbar's tomb at Sekundra and the deserted fort at Fatehpur Sikri.  Moti Masjid(Mosque), Red Fort, Jumma Masjid(Mosque) and Qutub Minar have fascinated us a lot.  We were simply fascinated by visiting Dewan-i-am and Dewan-i-Khas.  Agra casts a hypnotic spell on us with its old appearance and historical ruins.    One day my parents took us to Sangsad Bhaban, Shantiban, Rajghat and Vijayghat.  Such a tour is in fact a kind of discovery as well as history itself.  As I returned, I remembered Keats' line: 'A thing of beauty is a joy forever'.

Read More

Tuesday, 21 December 2021

HS Education || ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষা || সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment

    শিক্ষাবিজ্ঞান (Education)

        Class xii (wbchse)


ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষার ধারা    


অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (মান-1)

প্রশ্ন: সংবিধানে ভারতকে কীরূপ রাষ্ট্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে?

উঃ সংবিধানে ভারতকে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্র রাষ্ট্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। 


প্রশ্ন: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি কী?

উঃ  গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হল স্বাধীনতা, সাম্য, সৌভ্রাতৃত্ববোধ ও ন্যায়বিচার।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের খসড়া কত খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের খসড়া ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়।


প্রশ্ন: কার সভাপতিত্বে ভারতীয় সংবিধানের খসড়া রচিত হয়েছিল? অথবা, ভারতীয় সংবিধানের জনক কে? 

উঃ ড. বি. আর. আম্বেদকরের সভাপতিত্বে ভারতীয় সংবিধানের খসড়া রচিত হয়েছিল। 


প্রশ্ন: ভারতীয় গণপরিষদ কবে সংবিধানের খসড়াটি গ্রহণ করেছিল?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের খসড়াটি গণপরিষদ ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর গ্রহণ করেছিল।


প্রশ্ন:  ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয় কবে?

উঃ ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয় ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকারগুলি কী? 

উঃ ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকারগুলি হল- 

(i) সাম্যের অধিকার, (ii) স্বাধীনতার অধিকার, (iii) শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, (iv) ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, (v) সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার, (vi)  ৬ থেকে ১৪ বছরের বালকবালিকাদের অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার, (vii) সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার।


 প্রশ্ন: কততম সংশোধনীতে ভারতীয় সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ' ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ কথা দুটি যোগ করা হয়?

উঃ ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ৪২ তম সংশোধনীতে ভারতীয় সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক' কথা দুটি যোগ করা হয়।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের দুটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ  ভারতীয় সংবিধানের দুটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল—  

(i) এটি বিশ্বের বৃহত্তম লিখিত সংবিধান এবং (ii) এতে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি গৃহীত হয়েছে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধান রচনার সময় কতগুলি অধ্যায়, ধারা ও তপশিল সংবলিত ছিল?

উঃ ভারতীয় সংবিধান রচনার সময় মোট ২২টি অধ্যায়, ৩৯৫টি ধারা ও ৮টি তপশিল সংবলিত ছিল।


প্রশ্ন: কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বন্টনের ক্ষেত্রে কতগুলি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে? সেগুলি কী? 

উঃ  কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বন্টনের ক্ষেত্রে মোট তিনটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেগুলি হল— (i) কেন্দ্রীয় তালিকা,  (ii) রাজ্য তালিকা ও (iii) যুগ্ম তালিকা। 


প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় তালিকা ইউনিয়ন লিস্ট কী?

উঃ  যে সকল বিষয়ে আইন প্রণয়নের অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের তাকে কেন্দ্রীয় তালিকা বা ইউনিয়ন লিস্ট বা লিস্ট ১ বলে।


প্রশ্ন: রাজ্য তালিকা বা স্টেট লিস্ট বা লিস্ট 2 কী?

উঃ যে সকল বিষয়ে আইন প্রণয়নের অধিকার রাজ্য সরকারের, তাকে রাজ্য তালিকা বা স্টেট লিস্ট বা লিস্ট 2 বলে।


প্রশ্ন: যুগ্ম তালিকা বা কনকারেন্ট লিস্ট বা লিস্ট ৩ কী?

উঃ যে সকল বিষয়ে আইন প্রণয়নের অধিকার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উভয়ের, তাকে যুগ্ম তালিকা বা কনকারেন্ট লিস্ট বা লিস্ট ৩ বলে।


প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় তালিকায় কতগুলি বিষয় এবং রাজ্য তালিকায় কতগুলি বিষয় আছে?

উঃ কেন্দ্রীয় তালিকায় 97 টি বিষয় এবং রাজ্য তালিকায় 62 টি বিষয় আছে।


প্রশ্ন: শিক্ষার বিষয়টি কবে ভারতীয় সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়?

উঃ শিক্ষার বিষয়টি ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ডিসেম্বর সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত হয়।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কোন্ কোন্ ধারায় শিক্ষাসংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ২৮, ৩০, ৪৫, ৪৬, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৩৫০ প্রভৃতি ধারায় শিক্ষাসংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে।


 প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষাসংক্রান্ত যে কোনো দুটি ধারা বিবৃত করো।

উঃ ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষাসংক্রান্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হল--

 i) ২৮নং ধারা (Article 28):  সংবিধানের এই ধারায় বলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় নির্দেশনা দেওয়া যাবে না।

ii) ৬৪নং ধারা (Article 64): সংবিধানের এই ধারায় বলা হয়েছে যে, পার্লামেন্ট কর্তৃক ঘোষিত ভারত সরকারের আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত বিজ্ঞানমূলক ও প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলি জাতীয় মর্যাদা লাভ করবে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ৩০ (১) নং উপধারায় কী উল্লেখ আছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৩০(১) নং উপধারায় বলা হয়েছে যে, সরকার কর্তৃক পরিচালিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ম, বর্ণ বা ভাষার পার্থক্য শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে নির্দেশক নীতির ৪৫নং ধারার বিষয়বস্তু কী? অথবা, ভারতীয় সংবিধানের ৪৫নং ধারার মূল বক্তব্য কী?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৪৫নং ধারায় বলা হয়েছে যে, সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ১০ বছরের মধ্যে রাষ্ট্র ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত দেশের সকল শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করবে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ৪৬নং ধারাতে কী উল্লেখ আছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৪৬নং ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রকে সমাজের দুর্বল শ্রেণি বিশেষ করে তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের জন্য শিক্ষাগত ও আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকল প্রকার সামাজিক অন্যায় ও শোষণ থেকে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের রক্ষা করার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


প্রশ্ন: 21 ভারতীয় সংবিধানের ৩৫০ (ক) ধারায় কী বলা হয়েছে?

উঃ  ভারতীয় সংবিধানের ৩৫০ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিশুরা প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ৩৫১ ধারায় কী বলা হয়েছে?

 উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৩৫১ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, হিন্দি ভাষার উন্নতি ও বিস্তার ঘটানো ভারত সরকারের অন্যতম কর্তব্য।


প্রশ্ন: করে, কততম সংশোধনী বিলে সর্বসম্মতভাবে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে?

উঃ ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ ডিসেম্বর, ৬২তম সংবিধান সংশোধনী বিলে সর্বসম্মতভাবে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। 


প্রশ্ন: সংবিধানের ৯৩তম সংশোধনী বিল কত খ্রিস্টাব্দে পাস হয় এবং এই সংশোধনী বিলের বিষয়বস্তু কী ছিল?

উঃ সংবিধানের ৯৩তম সংশোধনী বিল ২০০১ খ্রিস্টাব্দে পাস হয়। এতে বলা হয়, ভারত রাষ্ট্র প্রতিটি ৬ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করবে।


প্রশ্ন: বাধ্যতামূলক শিক্ষা' বলতে কী বোঝো? 

উঃ সংবিধানের 45 নং ধারা অনুযায়ী 14 বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুকে অবশ্যই শিক্ষার আঙ্গিনায় আনাকে বাধ্যতামূলক শিক্ষা বলে।


 প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় শিশুদের জন্য অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৪৫ নম্বর ধারায় শিশুদের জন্য অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: ভারতের সংবিধানের শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষা সংক্রান্ত 45 নং ধারাটি বিবৃত করো। 

অথবা,  ভারতীয় সংবিধানে নির্দেশক নীতির 45 নং ধারার বিষয়বস্তু কী?

উঃ ভারতের সংবিধানের 45 নং ধারায় শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে-- সংবিধান প্রণয়নের 10 বছরের মধ্যে সব শিশুদের জন্য 14 বছর বয়স সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অবৈতনিক, বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করবে রাষ্ট্র।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কততম ধারায় সকলের জন্য সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে?"

উঃ  ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের (Part III) ১৪, ১৫ এবং ১৬নং ধারায় (Article) সকলের জন্য সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে সকলের জন্য সমানাধিকার বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ  ভারতীয় সংবিধানে সকলের জন্য সমানাধিকার বলতে বোঝানো হয়েছে যে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে আইনের চোখে সকলে সমান। এমনকি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও এই সমতাবিধান করা হবে বলে ভারতীয় সংবিধানে বলা হয়েছিল।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ১৪নং ধারায় কী বলা হয়েছে?” 

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৪নং ধারায় বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থিত কোনো ভারতীয় নাগরিককে রাষ্ট্র আইনের দ্বারা সমানভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না। 


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় নারীশিক্ষার কথা বলা হয়েছে? 

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৫ ও ১৬নং ধারায় নারীশিক্ষার কথা বলা হয়েছে। 


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ১৫নং ধারায় নাগরিকদের সমানাধিকার প্রসঙ্গে কী বলা হয়েছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৫নং ধারায় বলা হয়েছে যে,

(i)  জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, জন্মস্থান, লিঙ্গ প্রভৃতি বিষয় কখনো নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্যের কারণ হবে না।

(ii) সাধারণের জন্য ব্যবহৃত স্নানাগার, কুয়ো, রাস্তাঘাট, পান্থশালা, রেস্তোরাঁ প্রভৃতি সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। 

(iii) কখনো কখনো জনস্বার্থ রক্ষার্থে সরকার কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে; আর নারী ও শিশুদের জন্য কিছু বিশেষাধিকার সংরক্ষিত হতে পারে।


প্রশ্ন: শিক্ষায় সমসুযোগ বলতে কী বোঝায়? 

উঃ জাতি-ধর্ম-বর্ণ অর্থ নির্বিশেষে সকলের শিক্ষায় সমান অধিকারকে শিক্ষায় সমসুযোগ বলে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় শিক্ষায় সমসুযোগের কথা বলা হয়েছে? 

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ২৯ এবং ৪৫ নম্বর ধারায় শিক্ষায় সমসুযোগের কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: নারীদের সুযোগসুবিধার কথা সংবিধানের কত নং ধারায় বলা হয়েছে?

উঃ  নারীদের সুযোগসুবিধা প্রদান ও শিক্ষাদানের কথা সংবিধানের ১৫ ও ১৬নং ধারায় বলা হয়েছে। 


প্রশ্ন: জাতীয় নারীশিক্ষা পরিষদ কত খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়?

উঃ জাতীয় নারীশিক্ষা পর্ষদ গঠিত হয় ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে।


প্রশ্ন: মেয়েদের জন্য পৃথক কারিগরি বিদ্যালয় গঠনের কথা কে ঘোষণা করেন?

উঃ শ্রীমতী দুর্গাবাই দেশমুখ-এর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নারীশিক্ষা পরিষদ ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে নারীদের জন্য পৃথক কারিগরি বিদ্যালয় গঠনের কথা ঘোষণা করেন।


প্রশ্ন: শ্রীমতী হংস মেহেতা কমিটি কবে, কেন গঠিত হয়?

উঃ  ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে, মেয়েদের পৃথক পাঠ্যক্রমের সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় নারী শিক্ষা পরিষদের নেত্রী শ্রীমতি হংস মেহেতা একটি শিক্ষা কমিটি গঠন করেন।


প্রশ্ন: ভক্তবৎসলম কমিটি করে ও কেন গঠিত হয়?

উঃ ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে জনসাধারণের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কীভাবে গ্রামাঞ্চলে নারীশিক্ষার প্রসার ঘটানো যায়, সে সম্পর্কে আলোচনার জন্য ভক্তবৎসলম কমিটি গঠিত হয়।


প্রশ্ন: গ্রামাঞ্চলে নারীদের জন্য Teachers Training College গড়ে তোলার কথা কে বলেছিল?

 উঃ গ্রামাণ্ডলে নারীদের জন্য Teachers Training College গড়ে তোলার কথা বলেছিল শ্রীভক্তবৎসলম্ কমিটি।


প্রশ্ন: ভারতে বর্তমান নারীশিক্ষার হার কত? 

উঃ ভারতে বর্তমান নারীশিক্ষার হার শতকরা ৬৫.৪৬ (২০১১ খ্রিস্টাব্দ)


প্রশ্ন: নারীশিক্ষা বিস্তারের দুটি উপায় লেখো।

উঃ নারীশিক্ষা বিস্তারের জন্য- (i) শিক্ষিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, (ii) সদর্থক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।


প্রশ্ন: 'The Education' গ্রন্থটি কার লেখা? এর বিষয়বস্তু কী?

: 'The Education' গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন গান্ধিজি। এই গ্রন্থে গান্ধিজি ভারতের সামাজিক ও জাতীয় বিকাশে নারীদের শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন।


 প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ৪১ নং ধারায় কী বলা হয়েছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৪১ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র তার আর্থিক সামর্থ্য ও উন্নয়নের সীমার মধ্যে সব নাগরিকের জন্য কর্ম ও শিক্ষার ব্যবস্থা করবে এবং সেইসঙ্গে বেকার যুবক, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও অক্ষম মানুষদের সরকারি সাহায্য দান করবে।


প্রশ্ন: ভারতের সংবিধান অনুযায়ী তপশিলি জাতি কাদের বলা হয়? 

উঃ ভারতের সংবিধান অনুযায়ী আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অনুন্নত ও দুর্বল শ্রেণির মানুষকে তপশিলি জাতি বলা হয়। যেমন— কামার, ধোপা প্রভৃতি। 


প্রশ্ন: আমাদের দেশে ‘তপশিলি জাতি হিসেবে কারা পরিগণিত?

 উঃ আমাদের দেশ ভারতবর্ষে হিন্দুধর্মের রক্ষণশীলদের কাছে যারা 'অস্পৃশ্য' বলে পরিচিত ছিল এবং বর্তমানে ভারতীয় সংবিধান অনুসারে সামাজিক দিক থেকে যারা সুবিধাহীন শ্রেণি, তারাই ‘তপশিলি জাতি' বলে পরিগণিত।


প্রশ্ন: ভারতবর্ষে কাদের ‘তপশিলি উপজাতি' বলা হয়? 

উঃ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে বিভিন্ন রাজ্যের যেসব অনগ্রসর উপজাতির নাম নথিভুক্ত করা হয়, তাদের তপশিলি উপজাতি বলা হয়। যেমন—সাঁওতাল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে? 

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৫ এবং ৪৬ নং ধারায় তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: কার সভাপতিত্বে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের শিক্ষার জন্য কমিটি গঠিত হয়েছিল?

উঃ ইউ এন ধেবরের সভাপতিত্বে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের শিক্ষার জন্য কমিটি গঠিত হয়েছিল।


প্রশ্ন: সংখ্যালঘু' কারা?

উঃ ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের কার্লেকর কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী হিন্দু সমাজে একদা উচ্চবর্ণের মানুষের দ্বারা অত্যাচারিত শ্রেণির মানুষ, যারা পিছিয়ে যেতে যেতে একেবারে অনুন্নত শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে, তাদের বলা হয় সংখ্যালঘু। যেমন ছোটো কারিগর, পশুপালনকারী বা শিকারি সম্প্রদায়।


প্রশ্ন: সংখ্যালঘুদের শিক্ষাসংক্রান্ত সমানাধিকারের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের কোন ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে।

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ২৯ নং ধারায় সংখ্যালঘুদের শিক্ষাসংক্রান্ত সমানাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। 


প্রশ্ন: করে সম্পত্তির অধিকারের বিষয়টিকে মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়?

উঃ ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ৪৪ তম সংবিধান সংশোধনকালে সম্পত্তি অধিকারের বিষয়টিকে মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।


প্রশ্ন:  ভারতীয় সংবিধানে সাম্যের অধিকার সম্বন্ধীয় ধারাগুলির মধ্যে কোন্‌টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ?

উঃ  ভারতীয় সংবিধানে সাম্যের অধিকার সম্বন্ধীয় ধারা হল- ১৪-১৮ নং ধারা। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হল ১৪ নং ধারাটি, যাতে ভারত ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো ব্যক্তিকে আইনের দৃষ্টিতে সমানাধিকার ও আইনের দ্বারা সংরক্ষণের কথা বল হয়েছে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে কাদের জন্য বিশেষ সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে?" 

উঃ ভারতীয় সংবিধানে তপশিলি জাতি বা Scheduled Castes', তপশিলি উপজাতি বা 'Scheduled Tribes এবং অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি বা Other Backward Classes' (OBC)-এর জন্য বিশেষ সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


প্রশ্ন: সংবিধানের ৩৮ নং ধারায় বর্ণিত আর্থসামাজিক বিষয়ে দু নীতি উল্লেখ করো।

উঃ সংবিধানের ৩৮ নং ধারায় বর্ণিত আর্থসামাজিক বিষয়ের দুটি উল্লেখযোগ্য নীতি হল--

উঃ (i) সমাজের বস্তুগত সম্পদের উপর একচেটিয়া মালিকানা প্রতিহত করে তার সুষম বণ্টনের ব্যবস্থা করা। 

(ii) প্রতিটি শিশুকে শারীরিক ও নৈতিক শোষণের হাত থেকে রক্ষ করা ও তারা যাতে সুস্বাস্থ্য, সম্মান ও স্বাধীনতার অধিকারী হতে পারে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক কর্তব্যের সংখ্যা কত? 

উঃ ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক কর্তব্যের সংখ্যা ১১টি। 


 প্রশ্ন: কততম সংশোধনীতে ভারতীয় সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ' ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ কথা দুটি যোগ করা হয়?

উঃ ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ৪২ তম সংশোধনীতে ভারতীয় সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক' কথা দুটি যোগ করা হয়।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের দুটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ  ভারতীয় সংবিধানের দুটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল—  

(i) এটি বিশ্বের বৃহত্তম লিখিত সংবিধান এবং (ii) এতে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি গৃহীত হয়েছে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধান রচনার সময় কতগুলি অধ্যায়, ধারা ও তপশিল সংবলিত ছিল?

উঃ ভারতীয় সংবিধান রচনার সময় মোট ২২টি অধ্যায়, ৩৯৫টি ধারা ও ৮টি তপশিল সংবলিত ছিল।


প্রশ্ন: কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বন্টনের ক্ষেত্রে কতগুলি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে? সেগুলি কী? 

উঃ  কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বন্টনের ক্ষেত্রে মোট তিনটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেগুলি হল— (i) কেন্দ্রীয় তালিকা,  (ii) রাজ্য তালিকা ও (iii) যুগ্ম তালিকা। 


প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় তালিকা ইউনিয়ন লিস্ট কী?

উঃ  যে সকল বিষয়ে আইন প্রণয়নের অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের তাকে কেন্দ্রীয় তালিকা বা ইউনিয়ন লিস্ট বা লিস্ট ১ বলে।


প্রশ্ন: রাজ্য তালিকা বা স্টেট লিস্ট বা লিস্ট 2 কী?

উঃ যে সকল বিষয়ে আইন প্রণয়নের অধিকার রাজ্য সরকারের, তাকে রাজ্য তালিকা বা স্টেট লিস্ট বা লিস্ট 2 বলে।


প্রশ্ন: যুগ্ম তালিকা বা কনকারেন্ট লিস্ট বা লিস্ট ৩ কী?

উঃ যে সকল বিষয়ে আইন প্রণয়নের অধিকার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উভয়ের, তাকে যুগ্ম তালিকা বা কনকারেন্ট লিস্ট বা লিস্ট ৩ বলে।


প্রশ্ন: কেন্দ্রীয় তালিকায় কতগুলি বিষয় এবং রাজ্য তালিকায় কতগুলি বিষয় আছে?

উঃ কেন্দ্রীয় তালিকায় 97 টি বিষয় এবং রাজ্য তালিকায় 62 টি বিষয় আছে।


প্রশ্ন: শিক্ষার বিষয়টি কবে ভারতীয় সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়?

উঃ শিক্ষার বিষয়টি ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ডিসেম্বর সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ তালিকাভুক্ত হয়।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কোন্ কোন্ ধারায় শিক্ষাসংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ২৮, ৩০, ৪৫, ৪৬, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৩৫০ প্রভৃতি ধারায় শিক্ষাসংক্রান্ত আলোচনা রয়েছে।


 প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষাসংক্রান্ত যে কোনো দুটি ধারা বিবৃত করো।

উঃ ভারতীয় সংবিধানে শিক্ষাসংক্রান্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হল--

 i) ২৮নং ধারা (Article 28):  সংবিধানের এই ধারায় বলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা বা ধর্মীয় নির্দেশনা দেওয়া যাবে না।

ii) ৬৪নং ধারা (Article 64): সংবিধানের এই ধারায় বলা হয়েছে যে, পার্লামেন্ট কর্তৃক ঘোষিত ভারত সরকারের আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত বিজ্ঞানমূলক ও প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলি জাতীয় মর্যাদা লাভ করবে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ৩০ (১) নং উপধারায় কী উল্লেখ আছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৩০(১) নং উপধারায় বলা হয়েছে যে, সরকার কর্তৃক পরিচালিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ম, বর্ণ বা ভাষার পার্থক্য শিক্ষার্থীদের প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে নির্দেশক নীতির ৪৫নং ধারার বিষয়বস্তু কী? অথবা, ভারতীয় সংবিধানের ৪৫নং ধারার মূল বক্তব্য কী?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৪৫নং ধারায় বলা হয়েছে যে, সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ১০ বছরের মধ্যে রাষ্ট্র ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত দেশের সকল শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করবে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ৪৬নং ধারাতে কী উল্লেখ আছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৪৬নং ধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রকে সমাজের দুর্বল শ্রেণি বিশেষ করে তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষদের জন্য শিক্ষাগত ও আর্থিক সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে এবং সকল প্রকার সামাজিক অন্যায় ও শোষণ থেকে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের রক্ষা করার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


প্রশ্ন:  ভারতীয় সংবিধানের ৩৫০ (ক) ধারায় কী বলা হয়েছে?

উঃ  ভারতীয় সংবিধানের ৩৫০ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিশুরা প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারবে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ৩৫১ ধারায় কী বলা হয়েছে?

 উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৩৫১ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, হিন্দি ভাষার উন্নতি ও বিস্তার ঘটানো ভারত সরকারের অন্যতম কর্তব্য।


প্রশ্ন: করে, কততম সংশোধনী বিলে সর্বসম্মতভাবে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে?

উঃ ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ ডিসেম্বর, ৬২তম সংবিধান সংশোধনী বিলে সর্বসম্মতভাবে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। 


প্রশ্ন: সংবিধানের ৯৩তম সংশোধনী বিল কত খ্রিস্টাব্দে পাস হয় এবং এই সংশোধনী বিলের বিষয়বস্তু কী ছিল?

উঃ সংবিধানের ৯৩তম সংশোধনী বিল ২০০১ খ্রিস্টাব্দে পাস হয়। এতে বলা হয়, ভারত রাষ্ট্র প্রতিটি ৬ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করবে।


প্রশ্ন: বাধ্যতামূলক শিক্ষা' বলতে কী বোঝো? 

উঃ সংবিধানের 45 নং ধারা অনুযায়ী 14 বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুকে অবশ্যই শিক্ষার আঙ্গিনায় আনাকে বাধ্যতামূলক শিক্ষা বলে।


 প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় শিশুদের জন্য অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৪৫ নম্বর ধারায় শিশুদের জন্য অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: ভারতের সংবিধানের শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষা সংক্রান্ত 45 নং ধারাটি বিবৃত করো। 

অথবা,  ভারতীয় সংবিধানে নির্দেশক নীতির 45 নং ধারার বিষয়বস্তু কী?

উঃ ভারতের সংবিধানের 45 নং ধারায় শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে-- সংবিধান প্রণয়নের 10 বছরের মধ্যে সব শিশুদের জন্য 14 বছর বয়স সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অবৈতনিক, বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করবে রাষ্ট্র।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কততম ধারায় সকলের জন্য সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে?"

উঃ  ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ের (Part III) ১৪, ১৫ এবং ১৬নং ধারায় (Article) সকলের জন্য সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে সকলের জন্য সমানাধিকার বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ  ভারতীয় সংবিধানে সকলের জন্য সমানাধিকার বলতে বোঝানো হয়েছে যে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে আইনের চোখে সকলে সমান। এমনকি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও এই সমতাবিধান করা হবে বলে ভারতীয় সংবিধানে বলা হয়েছিল।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ১৪নং ধারায় কী বলা হয়েছে?” 

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৪নং ধারায় বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থিত কোনো ভারতীয় নাগরিককে রাষ্ট্র আইনের দ্বারা সমানভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না। 


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় নারীশিক্ষার কথা বলা হয়েছে? 

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৫ ও ১৬নং ধারায় নারীশিক্ষার কথা বলা হয়েছে। 


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ১৫নং ধারায় নাগরিকদের সমানাধিকার প্রসঙ্গে কী বলা হয়েছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৫নং ধারায় বলা হয়েছে যে,

(i)  জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, জন্মস্থান, লিঙ্গ প্রভৃতি বিষয় কখনো নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্যের কারণ হবে না।

(ii) সাধারণের জন্য ব্যবহৃত স্নানাগার, কুয়ো, রাস্তাঘাট, পান্থশালা, রেস্তোরাঁ প্রভৃতি সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। 

(iii) কখনো কখনো জনস্বার্থ রক্ষার্থে সরকার কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে; আর নারী ও শিশুদের জন্য কিছু বিশেষাধিকার সংরক্ষিত হতে পারে।


প্রশ্ন: শিক্ষায় সমসুযোগ বলতে কী বোঝায়? 

উঃ জাতি-ধর্ম-বর্ণ অর্থ নির্বিশেষে সকলের শিক্ষায় সমান অধিকারকে শিক্ষায় সমসুযোগ বলে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় শিক্ষায় সমসুযোগের কথা বলা হয়েছে? 

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ২৯ এবং ৪৫ নম্বর ধারায় শিক্ষায় সমসুযোগের কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: নারীদের সুযোগসুবিধার কথা সংবিধানের কত নং ধারায় বলা হয়েছে?

উঃ  নারীদের সুযোগসুবিধা প্রদান ও শিক্ষাদানের কথা সংবিধানের ১৫ ও ১৬নং ধারায় বলা হয়েছে। 


প্রশ্ন: জাতীয় নারীশিক্ষা পরিষদ কত খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়?

উঃ জাতীয় নারীশিক্ষা পর্ষদ গঠিত হয় ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে।


প্রশ্ন: মেয়েদের জন্য পৃথক কারিগরি বিদ্যালয় গঠনের কথা কে ঘোষণা করেন?

উঃ শ্রীমতী দুর্গাবাই দেশমুখ-এর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নারীশিক্ষা পরিষদ ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে নারীদের জন্য পৃথক কারিগরি বিদ্যালয় গঠনের কথা ঘোষণা করেন।


প্রশ্ন: শ্রীমতী হংস মেহেতা কমিটি কবে, কেন গঠিত হয়?

উঃ  ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে, মেয়েদের পৃথক পাঠ্যক্রমের সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় নারী শিক্ষা পরিষদের নেত্রী শ্রীমতি হংস মেহেতা একটি শিক্ষা কমিটি গঠন করেন।


প্রশ্ন: ভক্তবৎসলম কমিটি করে ও কেন গঠিত হয়?

উঃ ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে জনসাধারণের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কীভাবে গ্রামাঞ্চলে নারীশিক্ষার প্রসার ঘটানো যায়, সে সম্পর্কে আলোচনার জন্য ভক্তবৎসলম কমিটি গঠিত হয়।


প্রশ্ন: গ্রামাঞ্চলে নারীদের জন্য Teachers Training College গড়ে তোলার কথা কে বলেছিল?

 উঃ গ্রামাণ্ডলে নারীদের জন্য Teachers Training College গড়ে তোলার কথা বলেছিল শ্রীভক্তবৎসলম্ কমিটি।


প্রশ্ন: ভারতে বর্তমান নারীশিক্ষার হার কত? 

উঃ ভারতে বর্তমান নারীশিক্ষার হার শতকরা ৬৫.৪৬ (২০১১ খ্রিস্টাব্দ)


প্রশ্ন: নারীশিক্ষা বিস্তারের দুটি উপায় লেখো।

উঃ নারীশিক্ষা বিস্তারের জন্য- (i) শিক্ষিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে, (ii) সদর্থক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।


প্রশ্ন: 'The Education' গ্রন্থটি কার লেখা? এর বিষয়বস্তু কী?

উ: 'The Education' গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন গান্ধিজি। এই গ্রন্থে গান্ধিজি ভারতের সামাজিক ও জাতীয় বিকাশে নারীদের শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন।


 প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের ৪১ নং ধারায় কী বলা হয়েছে?

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ৪১ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্র তার আর্থিক সামর্থ্য ও উন্নয়নের সীমার মধ্যে সব নাগরিকের জন্য কর্ম ও শিক্ষার ব্যবস্থা করবে এবং সেইসঙ্গে বেকার যুবক, বৃদ্ধ, অসুস্থ ও অক্ষম মানুষদের সরকারি সাহায্য দান করবে।


প্রশ্ন: ভারতের সংবিধান অনুযায়ী তপশিলি জাতি কাদের বলা হয়? 

উঃ ভারতের সংবিধান অনুযায়ী আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অনুন্নত ও দুর্বল শ্রেণির মানুষকে তপশিলি জাতি বলা হয়। যেমন— কামার, ধোপা প্রভৃতি। 


প্রশ্ন: আমাদের দেশে ‘তপশিলি জাতি হিসেবে কারা পরিগণিত?

 উঃ আমাদের দেশ ভারতবর্ষে হিন্দুধর্মের রক্ষণশীলদের কাছে যারা 'অস্পৃশ্য' বলে পরিচিত ছিল এবং বর্তমানে ভারতীয় সংবিধান অনুসারে সামাজিক দিক থেকে যারা সুবিধাহীন শ্রেণি, তারাই ‘তপশিলি জাতি' বলে পরিগণিত।


প্রশ্ন: ভারতবর্ষে কাদের ‘তপশিলি উপজাতি' বলা হয়? 

উঃ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে বিভিন্ন রাজ্যের যেসব অনগ্রসর উপজাতির নাম নথিভুক্ত করা হয়, তাদের তপশিলি উপজাতি বলা হয়। যেমন—সাঁওতাল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানের কত নম্বর ধারায় তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে? 

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ১৫ এবং ৪৬ নং ধারায় তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের শিক্ষার বিষয়ে বলা হয়েছে।


প্রশ্ন: কার সভাপতিত্বে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের শিক্ষার জন্য কমিটি গঠিত হয়েছিল?

উঃ ইউ এন ধেবরের সভাপতিত্বে তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতিদের শিক্ষার জন্য কমিটি গঠিত হয়েছিল।


প্রশ্ন: সংখ্যালঘু' কারা?

উঃ ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের কার্লেকর কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী হিন্দু সমাজে একদা উচ্চবর্ণের মানুষের দ্বারা অত্যাচারিত শ্রেণির মানুষ, যারা পিছিয়ে যেতে যেতে একেবারে অনুন্নত শ্রেণিতে পরিণত হয়েছে, তাদের বলা হয় সংখ্যালঘু। যেমন ছোটো কারিগর, পশুপালনকারী বা শিকারি সম্প্রদায়।


প্রশ্ন: সংখ্যালঘুদের শিক্ষাসংক্রান্ত সমানাধিকারের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের কোন ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে।

উঃ ভারতীয় সংবিধানের ২৯ নং ধারায় সংখ্যালঘুদের শিক্ষাসংক্রান্ত সমানাধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। 


প্রশ্ন: করে সম্পত্তির অধিকারের বিষয়টিকে মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়?

উঃ ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে ৪৪ তম সংবিধান সংশোধনকালে সম্পত্তি অধিকারের বিষয়টিকে মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।


প্রশ্ন:  ভারতীয় সংবিধানে সাম্যের অধিকার সম্বন্ধীয় ধারাগুলির মধ্যে কোন্‌টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ?

উঃ  ভারতীয় সংবিধানে সাম্যের অধিকার সম্বন্ধীয় ধারা হল- ১৪-১৮ নং ধারা। এর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হল ১৪ নং ধারাটি, যাতে ভারত ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো ব্যক্তিকে আইনের দৃষ্টিতে সমানাধিকার ও আইনের দ্বারা সংরক্ষণের কথা বল হয়েছে।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে কাদের জন্য বিশেষ সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে?" 

উঃ ভারতীয় সংবিধানে তপশিলি জাতি বা Scheduled Castes', তপশিলি উপজাতি বা 'Scheduled Tribes এবং অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি বা Other Backward Classes' (OBC)-এর জন্য বিশেষ সুযোগসুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।


প্রশ্ন: সংবিধানের ৩৮ নং ধারায় বর্ণিত আর্থসামাজিক বিষয়ে দু নীতি উল্লেখ করো।

উঃ সংবিধানের ৩৮ নং ধারায় বর্ণিত আর্থসামাজিক বিষয়ের দুটি উল্লেখযোগ্য নীতি হল--

উঃ (i) সমাজের বস্তুগত সম্পদের উপর একচেটিয়া মালিকানা প্রতিহত করে তার সুষম বণ্টনের ব্যবস্থা করা। 

(ii) প্রতিটি শিশুকে শারীরিক ও নৈতিক শোষণের হাত থেকে রক্ষ করা ও তারা যাতে সুস্বাস্থ্য, সম্মান ও স্বাধীনতার অধিকারী হতে পারে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া।


প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক কর্তব্যের সংখ্যা কত? 

উঃ ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক কর্তব্যের সংখ্যা ১১টি।

Read More

Monday, 20 December 2021

An Editorial Letter

Leave a Comment

 Write a letter within 120 words to the Editor of an English daily about the harm that is caused to young minds due to excessive depiction of violence and crime on television.


Ans: 

To

The Editor

The Statesman

Kolkata-70001


       Sub.: Harm caused to young minds due to excessive depiction of violence and crime on television


 Sir,


     I shall be highly obliged if you kindly publish the following matter in your daily newspaper in the interest of common people.


        Television is a wonderful invention  of science.  It has an educational value, no doubt.  The whole world is now in our drawing room through the television screen.  With the advancement of science we can see a lot of satellite channels on our television screens.  It is one of the most powerful media now.  But now a lot of serials and films on crimes  are being shown on TV screens on different channels. Sex and violence are the main attractions of these serials.  The news of crime is also given more importance than other news.  These are causing great harm to the young minds.  There is a general tendency among young people to imitate these in real life situations.  These serials and films create aggression among the younger generation.  These are very harmful for our society.  These scenes have contributed a lot to the present social crimes of different types. It should be remembered that television is the only mode of entertainment to many people.  Therefore, strict action should be taken against such serials and films immediately.  Such programs should be censored for the welfare of the society.


        Under the above circumstances, I pray and hope that the government should take proper steps to solve this problem as soon as possible.



                                  Yours faithfully,

                               Pulak Bandopadhyay

Read More

Sunday, 19 December 2021

A question and answer of 'THE PROPOSAL' --- Anton Chekhov Class xii (wbchse)

Leave a Comment

 THE PROPOSAL --- Anton Chekhov

                  Class xii (wbchse)


Question"If you like, I'll make you a present of them."-Who is the speaker? Who is the person spoken to? What would the speaker make a present of? Why did the speaker say so? [বক্তা কে? কাকে এ কথা বলা হয়েছে? বক্তা কী/কাকে উপহার হিসেবে দিতে চায়? বক্তা কেন এ কথা বলেছিল?] [1+1+1+3] 


Ans

     In Chekhov's 'The Proposal' Lomov is the speaker.


    Lomov says this to Natalya.


    The speaker, Lombov wants to give Oxen Meadows as a gift.


    When Lombo repeatedly tells them that Oxen Meadows is theirs, Natalia thinks the claim is foolish. Lomov wants to show evidence, but Natalia denies everything. She insists that she does not want anything from Lomov and does not want to give up anything. At this stage of the argument, Lomov says this to justify his principle.


[চেকফের The Proposal'-এ লোমভ হল বক্তা।


লোমভ ঐ কথা নাতালিয়াকে বলে।


বক্তা লোমভ অক্সেন মেডোজকে উপহার হিসেবে দিতে চায়।


যখন লোমভ বারবার বলতে থাকে অক্সেন মেডোজ তাদের, নাতালিয়ার মনে হয় দাবিটা বোকা বোকা। লোমভ প্রমাণ দেখাতে চায়, কিন্তু নাতালিয়া সবকিছু অস্বীকার করে। সে জোর দিয়ে বলে যে সে লোমভের কোনোকিছু চায় না আর তার কোনো কিছুই ও ছাড়তে চায় না। তর্কাতর্কির এই পর্যায়ে লোমভ তার নীতির সপক্ষে এ কথা বলে ।]

<<<<<<<<<<<<<<×>>>>>>>>>>>>>>>

Read More

An important Letter for Class xii (wbchse)

Leave a Comment

 Write a letter to M.K. Electronics, Kolkata, requesting for repair or replacement of the M.K.TV Set which you had bought from them only 2 months ago as it has developed certain defects. [H.S. '15]


ANS.


To

M / s. M.K. Electronics, 

2 Lalbazar Street, 

Kolkata 700 001.


      Sub: Repair/Replacement of the TV Set


Sir,

      I am shocked to inform you that I had bought a M.K. TV Set from your showroom only two months ago. The number attached to the set is MP 202034. The manufacturing date is 30.11.2020. But unfortunately it is not functioning properly now.


       As it has developed certain defects within the guarantee period, I request you to make necessary arrangements either by repairing the defects or by replacing it with a new one.


        Photocopies of the cash memo and the guarantee card of the said TV set are attached herewith for your perusal and ready reference.


       Looking forward to your immediate action.


Thank you.


                                           Yours faithfully,

                                             Sagar Das 

                                              BG 21, Salt Lake 

                                               Kolkata- 700 064

 <<<<<<<               --+++++--                 >>>>>>>>>



Read More

Saturday, 18 December 2021

HS English : Describe the quarrel over the hunting dogs

Leave a Comment

 THE PROPOSAL --- Anton Chekhov

Class - xii (wbchse)


Question: Describe the quarrel over the hunting dogs. [শিকারি কুকুর নিয়ে বিবাদটি বর্ণনা করো।] 


Or, How does Natalya prove that her dog is better than Lomov's dog? How does Lomov contradict Natalya's points? [ নাতালিয়া কীভাবে প্রমাণ করে তার কুকুর লোমভের কুকুরের চেয়ে ভালো? লোমভ এর বিপক্ষে কী যুক্তি দেয়?]


Or, Explain the issue of second debate between Lomov and Natalya. [লোমভ ও নাতালিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বিতর্কটি কী বিষয় নিয়ে হয়েছিল ব্যাখ্যা করো।]


Ans. When Lomov returns, Natalia tries to behave politely with him. She starts talking about the shooting. And the subject of shooting brings up the issue of dogs. Natalia claims that her dog Squeezer is better than Lomov's Guess, although her dog's price is lower than Lomov's dog. Lomov immediately claims Squeezer is overshot, and because of that, it is a bad hunter. Natalia claims that Squeezer is thoroughbred, whereas the Guess is old and as ugly as a worn-out cab-horse. Chubukov exacerbated the conflict by saying that Guess is short in the muzzle. Thus Lomov, Natalia, and Shurakov became embroiled in a feud over dogs.


[লোমোভ ফিরে আসার পর নাতালিয়া তার সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে চেষ্টা করে। সে শিকার নিয়ে কথাবার্তা শুরু করে। আর শিকারের বিষয়টি কুকুরের প্রসঙ্গ টেনে আনে। নাতালিয়া দাবি করে তার কুকুর স্কুইজার লোমোভের গেসের চেয়ে ভালো, যদিও তার কুকুরের দাম লোমোভের কুকুরের চেয়ে কম। তক্ষুনি লোমোভ দাবি করে স্কুইজারের নীচের চোয়ালটি ছোটো, আর সেই কারণে, সেটি বাজে শিকারি। নাতালিয়া দাবি করে যে স্কুইজার বিশুদ্ধ বংশজাত, যেখানে গেস বৃদ্ধ আর গাড়ি-টানা জীর্ণ ঘোড়ার মতো কুৎসিত। শুবুকভ বিবাদটিকে আরও ভয়ংকর করে তোলেন এই বলে যে গেসের নাক ও চোয়াল খাটো। এইভাবে লোমোভ, নাতালিয়া ও শুবুকভ কুকুরদের কেন্দ্র করে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে।]

Read More

HS English - A question and answer of the play 'The Proposal'

Leave a Comment

THE PROPOSAL ------ Anton chekhov

                 Class xii (wbchse)


 Question:  “Oh, What burden, Lord, to be father of a grown-up daughter” Who is the father? Who is the daughter? Why is the daughter a burden to the father? [1+1+4] 


      Ans. Here Chubukov is the father in Chekhov's hilarious farce, 'The Proposal'.


      The daughter is Natalya. 


       In patriarchal societies, daughters are often seen as a liability. Finding a groom for a daughter is an uncomfortable thing for a father. He wants his daughter anyhow to get married. This will relieve him from the burden of being the father of an grown-up daughter. Chubukov is not only embarrassed by his father's responsibility, he cannot understand her daughter's whimsical attitude. Chubukov sends Natalia to settle the issue of marriage, but she starts furious quarrel. When this impudent man leaves their home, she is suddenly overwhelmed by his passion for him. Social pressure for his daughter's marriage, controlling the whims of a motherless girl and middle-class mentality combine together to  form such attitude.


বঙ্গানুবাদ: চেকভের দমফাটা হাসির গ্রহসন 'The Proposal'-এ পিতাটি হলেন চুবুকভ।


       মেয়েটি নাতালিয়া।


পিতৃতান্ত্রিক সমাজে কন্যাসন্তানকে প্রায়ই দায় হিসেবে মনে করা হয়। মেয়ের জন্য পাত্র খোঁজা বাবার কাছে একটি অস্বস্তিকর ব্যাপার। সে যে-কোনোভাবে তার মেয়ের বিয়ে দিতে চায়। এটা তাকে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বাবা হওয়ার বোঝা থেকে রেহাই দেবে। চুবুকভ শুধু বাবার এই দায়িত্ব নিয়েই বিব্রত নয়, সে তার মেয়ের খামখেয়ালি মনোভাব বুঝতে পারে না। চুবুকভ নাতালিয়াকে বিয়ের বিষয়টি ঠিকঠাক করতে পাঠায়, কিন্তু সে তীব্র বিবাদ শুরু করে দেয়। যখন এই উদ্ধত মানুষটি তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায় তখন সে হঠাৎ তার জন্য তাঁর আবেগে ভেসে যায়। মেয়ের বিয়ের জন্য সামাজিক চাপ, মা-হারা মেয়ের ঘামখেয়ালিপনা সামলানো, মধ্যবিত্তসুলভ মানসিকতা, সব কিছু মিলে চুবুকভের এমন মনোভাব গড়ে দিয়েছে।

Read More

Friday, 17 December 2021

HS English - The title of 'The Proposal'

Leave a Comment

THE PROPOSAL - 

                 ANTON CHEKHOV


Q: Comment on the aptness of the title 'The Proposal'. [The Proposal' নামকরণের যথার্থতা আলোচনা করো।] 


Or, Justify the title of the play 'The Proposal'. ['The Proposal' নাটকের শিরোনামের যথার্থতা বিচার করো।]


 Or, Discuss the appropriateness of the title of Chekhov's play 'The Proposal'. [চেকফের 'The Proposal' নাটকের শিরোনামের যথার্থতা আলোচনা করো।]


Or, Comment on the title of the play 'The Proposal'. [The Proposal' নাটকের শিরোনাম সম্পর্কে মন্তব্য করো।] 


Or, Comment upon the significance of the title 'The Proposal'. ['The Proposal' নাটকের শিরোনামের তাৎপর্য নিয়ে মন্তব্য করো]


Ans. In Anton Chekhov's one-act play 'The Proposal', all of the characters are some way or the other influenced by the marriage proposal. Lomov is now desperate for a wife. Natalia has not yet found  her man. Chubukov wants his daughter to get married soon. Lomov's intention makes Chubukov happy. Lomov, meanwhile, gets into a long-running feud with Natalia before proposing to her, first over a  disputed plot of land and then over their hunting dogs. So Natalia does not get any proposal from Lomov. The proposal is eventually fulfilled through a marriage due to Chubukov's presence of mind. This is why the title 'The Proposal' becomes more meaningful.


[আন্তন চেকফের একাঙ্ক নাটক 'The Proposal'-এ প্রতিটি চরিত্রই কোনো না কোনোভাবে বিবাহপ্রস্তাবটির দ্বারা প্রভাবিত হয়। লোমভ এখন বউয়ের জন্য মরিয়া। নাতালিয়া এখনও তার মনের মানুষ খুঁজে পায়নি। চুবুকফ চায় তার মেয়ের শীঘ্র বিয়ে হয়ে যাক। লোমভের উদ্দেশ্য তাকে আনন্দিত করে। এদিকে নাতালিয়ার কাছে বিবাহপ্রস্তাব পেশ করার আগেই লোমভ নাতালিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, প্রথমে একখণ্ড বিতর্কিত জমি নিয়ে এবং তারপর তাদের শিকারি কুকুর নিয়ে। তাই নাতালিয়া লোমভের কাছ থেকে কোনো প্রস্তাব পায় না। প্রস্তাবটি শেষপর্যন্ত একটি বিবাহের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় চুবুকফের উপস্থিত বুদ্ধির কারণে। এইজন্যই 'The Proposal' শিরোনামটি আরও অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।]

Read More

Thursday, 16 December 2021

HS Education (শিক্ষাবিজ্ঞান) শিক্ষায় রাশিবিজ্ঞান: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment

 শিক্ষাবিজ্ঞান || দ্বাদশ শ্রেণী                            (wbchse)  

 তৃতীয় অধ্যায়ঃ  শিক্ষায় রাশিবিজ্ঞান


অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (মান-1)


১। পরিসংখ্যানবিদ্যা বা রাশিবিজ্ঞান কাকে বলে? 

উঃ  যে বিজ্ঞানভিত্তিক গাণিতিক পদ্ধতির মাধ্যমে পরিমাণযোগ্য ডেটাগুলির সংগ্রহ, উপস্থাপন, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়, তাকে 'রাশিবিজ্ঞান' বা 'পরিসংখ্যানবিদ্যা' বা Statistics বলা হয়।


২। রাশিবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

 উঃ  ইংরেজি 'Statistics' শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে আমরা রাশিবিজ্ঞান কথাটি গ্রহণ করি।

 

৩। শিক্ষাগত রাশিবিজ্ঞান কাকে বলে?

উঃ যে রাশিবিজ্ঞান শিক্ষা প্রক্রিয়াকে কার্যকরী ও উন্নত করতে সাহায্য করে, তাকে শিক্ষাগত রাশিবিজ্ঞান বলা হয়।


৪। রাশিবিজ্ঞানে 'তথ্য' বলতে কী বোঝায়? 

উঃ রাশিবিজ্ঞানে তথ্য বলতে কোনো ব্যক্তি, বস্তু এবং ঘটনার প্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধকরণের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। যেমন বয়স, উচ্চতা, মেধা, সাফল্য ইত্যাদি। 


৫। তথ্য কী? বৈশিষ্ট্য অনুসারে তথ্যসমূহকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

উঃ তথ্য: তথ্য্য হলো কোন ব্যক্তি, বস্তু, ঘটনার প্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধকরণের প্রক্রিয়া। যেমন- মেধা, সাফল্য, বয়স, উচ্চতা ইত্যাদি।


বৈশিষ্ট্য অনুসারে তথ্যসমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় - (i) গুণগত তথ্য এবং (ii) পরিমাণগত তথ্য।


গুণগত তথ্য: যেসব তথ্যকে সংখ্যার সাহায্যে প্রকাশ করা যায় না, কিন্তু বিশেষ গুণ এর ভিত্তিতে পরস্পরের থেকে পৃথক করা যায়, তাকে গুণগত তথ্য বলে। যেমন-- বুদ্ধিমত্তা, মেধা, প্রত্যাশা ইত্যাদি।


পরিমাণগত তথ্য: যেসব তথ্যকে সংখ্যার দ্বারা প্রকাশ করা যায়, তাকে পরিমাণগত তথ্য বলে। যেমন-- ওজন, বয়স, উচ্চতা, আয় ইত্যাদি।


৬। রাশিবিজ্ঞানে 'বিন্যাসকরণ' বলতে কী বোঝো?

 উঃ রাশিবিজ্ঞানে বিন্যাসকরণ বলতে বোঝায় স্তম্ভ এবং সারির মধ্যে তথ্যগুলিকে যুক্তি ও নিয়মসম্মত উপায়ে এমনভাবে সংগঠিত করা, যাতে তথ্যের সহজতম উপস্থাপন এবং তুলনা করা সম্ভব হয়।


৭। 'পরিমাপ' কাকে বলে?

উঃ পরিমাপ হল একপ্রকার গাণিতিক কৌশল, যে পদ্ধতিতে কোনো বস্তু সম্পৰ্কীয় বিষয়কে সংখ্যাদ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন- কোনো বস্তুর উচ্চতা, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, কিংবা কোনো শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর।


৮।' 'রাশিতথ্য' কী? উদাহরণ দাও।” 

উঃ ব্যক্তিসমষ্টির কর্মদক্ষতা বা বস্তুসমষ্টি থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানমূলক তথ্যের সমষ্টি এবং গুণগত বৈশিষ্ট্যগুলি হল রাশিতথ্য। যেমন- শিক্ষার্থীর বয়স, ওজন ইত্যাদি। 


৯। ‘স্কোর' কাকে বলে?

উঃ ব্যক্তি বা বস্তুর কোনো ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যকে যখন গাণিতিক প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে স্কোর বলা হয়। যেমন– আমার বয়স ১৮ বছর ৩ মাস ১৮ দিন।

Or, সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত যেকোনো ধরনের পরিমাপকে রাশিবিজ্ঞানে স্কোর বলা হয়।


13 "স্কোর বিন্যাস' বা 'তথ্যবিন্যাস' বা 'Tabulation' কাকে বলে?*

উঃ রাশিবিজ্ঞানে তথ্যসমূহকে সংক্ষিপ্ত, নির্দিষ্ট এবং যৌক্তিক নিয়মে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় স্কোর বিন্যাস বা তথ্যের বিন্যাস।


১০। রাশিবিজ্ঞানে 'পরিসংখ্যান' বলতে কী বোঝো?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে পরিসংখ্যান হল একটি বিজ্ঞান, যেখানে বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা ও বর্ণনার উপর ভিত্তি করে সংখ্যামূলক তথ্যাবলির সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস, সারণিকরণ করা হয়।


১১। পরিসংখ্যামূলক ছক বা Statistical Table কাকে বলে? 

উঃ পরিমাপযোগ্য ডেটাগুলিকে যখন সারি এবং স্তম্ভে যথার্থ শিরোনাম দিয়ে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে বিন্যস্ত করা হয়, তাকে পরিসংখ্যামূলক ছক বা 'Statistical Table' বলা হয়।


১২। রাশিবিজ্ঞানে 'স্কেল' কী?'

উঃ সাধারণত ব্যক্তির পারদর্শিতা, বুদ্ধাংক ইত্যাদি কতগুলি  সমদুরত্ব বিশিষ্ট সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায়, এই সমদুরত্ব সম্পন্ন সংখ্যাগুলিকে যখন পাশাপাশি সাজানো যায়, তখন তাকে স্কেল বলে।


১৩। একক Unit কাকে বলে?

উঃ কোনো স্কেলের পাশাপাশি দুটি সংখ্যার বিয়োগফল থেকে প্রাপ্ত সংখ্যাকে একক বা 'Unit' বলা হয়। যেমন- বুদ্ধ্যঙ্ক 90, 100 বা 110,120 হলে যে কোনো দুটি সংখ্যার বিয়োগফল হবে 10, তাই এক্ষেত্রে একক হল 10। 


১৪। 'চল' (Variable) কাকে বলে?

উঃ যে-কোনো পরিবর্তনীয় মানই হল চল। অন্যভাবে বলা যায়, যেসব স্কোরকে গাণিতিক অর্থে পরিমাপের ফল হিসেবে উপস্থাপন করা হয় তাদের চল বলা হয়। 


১৫। 'বিচ্ছিন্ন চল' (Continuous Variable) কাকে বলে?*

উঃ যে ধরনের চলের স্কেলে ফাঁক থাকে, তাকে বিচ্ছিন্ন চল বলা হয়। যেমন— কোনো শ্রেণির ছাত্রসংখ্যা 50 থেকে 51 জন বললে বোঝায়, ছাত্রসংখ্যা হয় 30 বা 31 হবে। কিন্তু কখনো 30.2 বা 30.5 হবে না।


১৬। 'অবিচ্ছিন্ন চল' (Discrete Variable) কাকে বলে? 

উঃ  যে ধরনের চলের স্কেলে ফাঁক থাকে না বা যে চলের স্কেলে কোনো বিরাম বা ছেদ থাকে না, তাকে অবিচ্ছিন্ন চল বলে। যেমন— শিশুর দৈহিক বয়স, মানসিক বয়স প্রভৃতি। ধরা যাক, কোনো ক্লাসে ছাত্রীদের উচ্চতা 35, 35.5, 36, 36.5 – এখানে চলগুলির মধ্যবর্তী কোনো ফাঁক নেই তাই এরা অবিচ্ছিন্ন চল।


১৭।একটি অবিচ্ছিন্ন চলকের (Variable) উদাহরণ দাও।

উঃ সময়, বয়স ইত্যাদি হল অবিচ্ছিন্ন চলকের উদাহরণ। 


১৮। একটি বিচ্ছিন্ন চল ও একটি অবিচ্ছিন্ন চলের উদাহরণ দাও।

উঃ বিচ্ছিন্ন চল- ছাত্রসংখ্যা, অবিচ্ছিন্ন চল ছাত্রের উচ্চতা ওজন ইত্যাদি।


১৯। ট্যালি (Tally) চিহ্ন কাকে বলা হয়? 

উঃ অবিন্যস্ত তথ্যগুলি যখন ছকের মধ্যে বিন্যস্ত করে সাজানে হয় তখন প্রত্যেক স্কোরমানের পরিপ্রেক্ষিতে তালিকার পার্শ্ববর্তী স্তম্ভে একটি করে স্ল্যাশ (Slash)-এর ন্যায় দাগ চিহ্ন বসাতে হয়। 4টি দাগ উল্লম্ভভাবে (IIII) বসানো হয় এবং 5 নং দাগটি কোনাকুনিভাবে  (卌) বসানো হয়। একেই ট্যালি চিহ্ন বলে।


২০। পরিসংখ্যা বণ্টন গঠনের সময় ট্যালি চিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয়?

উঃ পরিসংখ্যা বণ্টনের সময় মূলত স্কোরবণ্টন নির্ভুল এবং সহজে মোট পরিসংখ্যা নির্ণয় করার জন্য ট্যালি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।


২১। 'বিচ্ছিন্ন শ্রেণি' (DIscrete Class) কাকে বলে?*

উঃ যে শ্রেণিতে দুটি স্কোরের মধ্যবর্তী ব্যবধানে কোনো ক্ষুদ্রতম অংশ থাকে না, তাকে বিচ্ছিন্ন শ্রেণি  বলা হয়। যেমন—

শ্রেণি         পরিসংখ্যা

12-16               8

 17-21             6

 ইত্যাদি।


২২। 'অবিচ্ছিন্ন শ্রেণি' (Continuous Class) কাকে বলে? 

যে শ্রেণিতে দুটি স্কোরের মধ্যবর্তী ব্যবধানে কোনো ক্ষুদ্রতম অংশ থাকে, তাকে বলা হয় অবিচ্ছিন্ন শ্রেণি। যেমন -

শ্রেণি           পরিসংখ্যা 

 5.5 - 10.5             9

10.5-15.5             10

ইত্যাদি। 


২৩। 'শ্রেণিসীমা' কী? (What Is Class Limit?) 

প্রত্যেক শ্রেণির দু-দিকের প্রান্তে একটি শুরু ও অপরটি শেষ অংশ থাকে এবং ওই দুটি সীমার মধ্যে ব্যবধান থাকে নির্দিষ্ট, এদের একটিকে ঊর্ধ্ব শ্রেণি সীমা (Upper Class Limit) এবং নিম্ন শ্রেণি সীমা (Lower Class Limit) বলে। যেমন-

 5-10, 11-15।


২৪। রাশিবিজ্ঞানে শ্রেণি ব্যবধান (Class Interval) বলতে কী বোঝো?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে যখন কোনো বৃহত্তর স্কোরগুচ্ছের বিস্তার অনেক দীর্ঘ হয়, তখন সেগুলিকে স্কোর মানের আকার অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করে নেওয়া হয়। এর ফলে প্রতিটি শ্রণির একটি নির্দিষ্ট বিরতি থাকে। একেই বলা হয় শ্রেণি বা শ্রেণি ব্যবধান। যেমন – নিম্ন 9.5 এবং ঊর্ধ্বসীমা 14.5 হলে, শ্রেণি প্রসার হবে 14.5 --9.5 = 51


২৫। নীচে প্রদত্ত শ্রেণি ব্যবধান দুটির (ক) নিম্ন প্রান্ত ও ঊর্ধ্ব প্রাপ্ত (খ) শ্রেণি ব্যবধানের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো : (i) 45-47, (íi) 80-89 

উঃ (i)45 47-এর নিম্ন প্রান্ত 44.5 এবং ঊর্ধ্ব প্রান্ত 47.5

শ্রেণি ব্যবধান 47.5 - 44.5 = 3

(ii) 80–89-এর নিম্ন প্রাপ্ত 79.5 এবং ঊর্ধ্ব প্রাপ্ত 89.5, শ্রেণি ব্যবধান 89.579.5 = 10


২৬। নিম্নলিখিত শ্রেণি ব্যবধানের ঊর্ধ্বসীমা ও নিম্নসীমা নির্ণয় করো (I) 45-47 (II) 160-164

 উঃ 45-47-এর নিম্নসীমা 44.5. এবং উচ্চসীমা 47.51 

 160 – 164-এর নিম্নসীমা 159.5 এবং ঊর্ধ্বসীমা 164.5


২৬। রাশিবিজ্ঞানে 'পরিসংখ্যা' (Frequency) বলতে কী বোঝায়? 

উঃ রাশিবিজ্ঞানে পরিসংখ্যা শব্দটির অর্থ হল পুনরাবৃত্তিমূলক সংখ্যা। অর্থাৎ কোনো রাশিবিন্যাসে কোনো স্কোর যতবার পুনরাবৃত্ত হচ্ছে, সেই সংখ্যাকে পরিসংখ্যা (Frequency) বলে। 

  শ্রেণিসীমা         পরিসংখ্যা 

 5-7                          3

8-10                         5


২৭। পরিসংখ্যান কাকে বলে?

উঃপরিসংখ্যান (Statistics) বলতে বোঝায় তথ্যাবলির সংকলন সারণিকরণ, উপস্থাপন ও তার বিশ্লেষণ। পরিসংখ্যান হল সেই বিজ্ঞান যা বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা, তুলনা, শ্রেণিবিন্যাস ও ব্যাখ্যা করে।

Lovit-এর মতে, “পরিসংখ্যান হল সেই বিজ্ঞান যা বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা, তাদের বর্ণনা এবং তুলনা করার জন্য আবশ্যিক সংখ্যামূলক তথ্যাবলি সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস ও সারণিকরণ করে।”


২৮। শিক্ষাক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের দুটি উপযোগিতা লেখো।

উঃ শিক্ষাক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের দুটি উপযোগিতা হল _-

(i) শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞানে পরীক্ষণ পদ্ধতির মূল বিষয়বস্তু হল শিক্ষার্থীর আচরণ। এক্ষেত্রে পূর্বগামী ঘটনার নিয়ন্ত্রণের কাজটি পরিসংখ্যানের প্রয়োগে যথার্থ কারণ নির্ণয় করা সম্ভব। হয়।

(ii) শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাথমিক ডেটা, মাধ্যমিক ডেটা এবং প্রান্ত ডেটা থেকে লব্ধ ফলের তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্লেষণে পরিসংখ্যানের অবদান অনস্বীকার্য।


২৯। পরিসংখ্যা বণ্টন (Frequency distribution) কী? অথবা, পরিসংখ্যা বিভাজন বলতে কী বোঝো?

উঃ পরিসংখ্যা বিভাজন হল একপ্রকার পরিসংখ্যানমূলক ছক, যা প্রাপ্ত স্কোরগুলির মানের ক্রম অনুসারে সজ্জিত করে একক স্কোরভিত্তিক বা শ্রেণিবন্ধ স্কোরভিত্তিক  মানের সাপেক্ষে তাদের পরিসংখ্যাগুলো উপস্থাপন করা হয়। যেমন-

স্কোর       পরিসংখ্যা

5                15

4                 8


৩০।পরিসংখ্যা বণ্টনের পদ্ধতিগুলি কী কী?

উঃ পরিসংখ্যা বণ্টনের পদ্ধতিগুলি হল- (i) একক স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন এবং (ii) শ্রেণিবন্ধ স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন।


৩১। রাশিবিজ্ঞানে 'লেখচিত্র' কাকে বলে?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে বিন্যস্ত স্কোরগুলিকে সহজবোধ্য করে তোলার জন্য যে বিশেষ ধরনের চিত্রের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হয়, তাকে লেখচিত্র বলা হয়।


৩২। যে-কোনো একটি লেখচিত্রের নাম লেখো যার সাহায্যে একটি পরিসংখ্যা বণ্টনকে পরিবেশন করা হয়

উঃ একটি পরিসংখ্যা বণ্টনকে পরিবেশন করা হয় এমন একটি লেখচিত্র হল- ছাত্রীদের শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বরের বণ্টন। 


৩৩। ‘আয়তলেখচিত্র’ বা ‘হিস্টোগ্রাম' (Histogram) কী?*

উঃ হিস্টোগ্রাম বা আয়তলেখচিত্র হল অনুভূমিক সরলরেখার উপর অঙ্কিত পাশাপাশি অবস্থিত একগুচ্ছ আয়তক্ষেত্র, যাদের প্রতিটির ক্ষেত্রফল অনুরূপ শ্রেণির পরিসংখ্যার সঙ্গে সমানুপাতিক।


 ৩৪। হিস্টোগ্রাম অঙ্কনের সময় কোন্ অক্ষে কী বসানো হয়?

উঃ হিস্টোগ্রাম অঙ্কনের সময় X অক্ষে প্রতিটি শ্রেণির নিম্নসীমা এবং Y অক্ষে পরিসংখ্যা বসানো হয়।


৩৫। পরিসংখ্যা বহুভুজ (Frequency Polygon) কাকে বলে?

উঃ পরিসংখ্যা বহুভুজ এক ধরনের রৈখিক লেখচিত্র, যেখানে পরিসংখ্যা বিভাজনের প্রত্যেক শ্রেণি ব্যবধানের মধ্যবিন্দুকে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিসূচক বিন্দু ধরে নিয়ে ছক কাগজে স্থাপন করতে হয়। এইভাবে বিন্দুগুলি যোগ করলে যে বহুভুজ পাওয়া যায়, তাকে পরিসংখ্যা বহুভুজ বলা হয়।


৩৬। পরিসংখ্যা বহুভুজে X ও Y অক্ষের দৈর্ঘ্যের অনুপাত কত হওয়া দরকার?

উঃ পরিসংখ্যা বহুভুজে X ও Y অক্ষের দৈর্ঘ্যের অনুপাত 4:3 হওয়া দরকার। এই নিয়মকে বলে 75% Rule ।

 

৩৭। পরিসংখ্যা বহুভুজ (Frequency Polygon) ও আয়তলেখ (Histogram) এর একটি পার্থক্য উল্লেখ করো।

উঃ পরিসংখ্যা বহুভুজে পরিসংখ্যা বসানো হয় শ্রেণি ব্যবধানের মধ্যবিন্দুর উপর, অন্যদিকে আয়তলেখে পরিসংখ্যা বসানো হয় শ্রেণি ব্যবধানের প্রকৃত নিম্নসীমার উপর।


 ৩৮। রাশিবিজ্ঞানে মধ্যবিন্দু বা মধ্যমান কাকে বলা হয়?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে কোনো শ্রেণি ব্যবধানের মধ্যবর্তী মানকে বলা হয় ওই শ্রেণির মধ্যমান বা Mid Point


৩৯। কেন্দ্রীয় প্রবণতা (Central Tendency) কাকে বলে?

উঃ কেন্দ্রীয় প্রবণতা এমন একটি বিষয়, যা সাংখ্যমানের প্রতিনিধি হিসেবে অবস্থান করে। এক্ষেত্রে সমগ্র স্কোরগুলির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও তাদের কেন্দ্রের দিকে বা মাঝামাঝি জায়গাতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, তাকে বলে কেন্দ্রীয় প্রবণতা। 


৪০। "বিস্তৃতি' বা 'প্রসার' (Range) কী?'

উঃ কোনো রাশিমালার বন্টনের ক্ষেত্রে উচ্চস্কোর ও নিম্নস্কোরের মধ্যে যে পার্থক্য পাওয়া যায়, তাকে বলে বিস্তৃতি (Range)।


৪১। কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ (Measures of Central Tendency) বলতে কী বোঝো? নীচের পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় প্রবণতার কোন্ পরিমাপটি যথাযথ? (i) কোনো দলের প্রাপ্ত স্কোরের মধ্যবিন্দু নির্ধারণে. (II) কোনো দলের গড় সাফল্য নির্ধারণে।

উঃ কেন্দ্রীয় ধরণতার পরিমাপ: কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ হল একটি সংখ্যাগত পরিমাপ। এক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় মানের চারদিকে সমগ্র রাশিতথ্যমালার বিস্তৃতি থাকে। অর্থাৎ কোনো একক সাংখ্যমানকে একগুচ্ছ সাংখ্যমানের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

Or, একক সংখ্যামানকে যখন একগুচ্ছ সংখ্যা মানের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন তাকে বলা হয় কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ।

 প্রশ্নে উল্লিখিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় প্রবণতার দুটি পরিমাপই যথাযথ। 


৪২। কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের ক-টি পদ্ধতি বর্তমানে রয়েছে

উঃ কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের তিনটি পদ্ধতি বর্তমানে রয়েছে। এগুলি হল- (i) গড় বা Mean. (ii) মধ্যমমান বা Median, (iii) ভূষিষ্টক বা Mode


৪৩। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ কোনটি? 

উঃ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ হল গড়।


৪৪। 'গড়' কী?'

উঃ কেন্দ্রীয় প্রবণতার একটি বিশেষ পরিমাপ হল গড়, যেখানে স্কোরের মোট যোগফলকে মোট স্কোরসংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়। 


৪৫। 'গড়' (Mean)-এর দুটি সুবিধা লেখো।

উঃ ‘গড়’-এর দুটি সুবিধা হল

(i)খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়। এক্ষেত্রে রাশিমালাকে সাজানোর প্রয়োজন হয় না।

 (ii)এটি নির্ণয় করার সময় যেহেতু রাশিমালার সমগ্র রাশিগুলিকে ব্যবহার করা হয়, তাই এটি অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার মান অপেক্ষা বেশি নির্ভরযোগ্য। 


৪৬। 'গড়'-এর দুটি অসুবিধা লেখো।

উঃ ‘গড়’-এর দুটি অসুবিধা হল--

(i) রাশিমালার সর্বোচ্চ মানের দ্বারা গড়ের মান প্রভাবিত হয়। 

(ii) কোনো একটি স্কোর অনুপস্থিত থাকলে গড় নির্ণয়েbঅসুবিধার সৃষ্টি হয়। 


৪৭। কল্পিত গড় কী?

উঃ অবিন্যস্ত স্কোরগুচ্ছ যখন বৃহৎ আয়তনের হয় অর্থাৎ যখন কোনো বন্টনে স্কোরের সংখ্যা অনেক হয় তখন স্কোরগুলির মধ্যে একটিকে কল্পিত গড় ধরে নিয়ে সেই গড়মান প্রত্যেক স্কোর থেকে বিয়োগ করা হয়। 

   অর্থাৎ যখন কোনো বন্টনে স্কোরের সংখ্যা অনেক, তখন এই স্কোরগুলির মধ্যে যে স্কোরটিকে অনুমেয় গড়মান ধরে, সেই গড়মানকে প্রত্যেক স্কোর থেকে বিয়োগ করা হয়, তাকে কল্পিত গড় বলা হয়। 


৪৮। 'চ্যুতি' কাকে বলে? 

উঃ প্রত্যেক স্কোর থেকে কল্পিত গড়ের বিয়োগফলকে চ্যুতি বলা হয়।


৪৯। নিম্নলিখিত শ্রেণি ব্যবধানটির মধ্যবিন্দু ও শ্রেণি দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো।

উঃ  70 - 79 শ্রেণি ব্যবধানটির মধ্যবিন্দু 74.5 এবং শ্রেণি দৈর্ঘ্য 79.5-69.5 = 10


৫০। 15-20 শ্রেণিটির মধ্যবিন্দু নির্ণয় করো।

উঃ 15-20 শ্রেণিটির মধ্যবিন্দু হল 17.5। 


৫১। মিনের সংক্ষিপ্ত সূত্রে C-এর অর্থ কী?*

উঃ মিনের সংক্ষিপ্ত সূত্রে C-এর অর্থ শুদ্ধিকরণ।


৫২। নিম্নলিখিত রাশিমালার গড় নির্ণয় করো : 

12, 8, 10, 5, 15, 20, 22

উঃ (12+8+10+5+15+20+22)÷ 7 = 13.14


৫৩। নিম্নলিখিত স্কোর শ্রেণি ব্যবধান দুটির মধ্যবিন্দু নির্ণয় করো:

 (i) 40 - 44, (ii) 110-119 

উঃ (i) 40 - 44 স্কোরের মধ্যবিন্দু হল- 42

(í) 110 - 119 স্কোরের মধ্যবিন্দু- 114.5


৫৪। মধ্যমমান বা মধ্যক কাকে বলে? অথবা, মিডিয়ান বলতে কী বোঝো? 

উঃ কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ পদ্ধতি হল মিডিয়ান বা মধ্যমমান বা মধ্যক। মধ্যমমান হল এমন একটি সাংখ্যমান, যা মানের উর্ধ্বক্রম বা নিম্নক্রম অনুসারে সাজালে বন্টনের স্কোরগুলিকে দুই ভাগে ভাগ করে।


৫৫।'মিডিয়ান' (Median)-এর দুটি ব্যবহার লেখ।

উঃ 'মিডিয়ান' (Median)-এর দুটি ব্যবহার হল 

(i) অসম্পূর্ণ বণ্টনের ক্ষেত্রে : যখন বন্টনটি অসম্পূর্ণ থাকে, তখন গড় নির্ণয় সম্ভব হয় না। সেই সময় Median ব্যবহৃত হয়।

(ii) প্রান্তীয় রাশির বিষমতা: প্রান্তীয় রাশিগুলির মধ্যে বিষমতা বেশি থাকলে Median ব্যবহৃত হয়।


৫৬। মোড (Mode) কাকে বলে?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে কোনো পরিসংখ্যা বণ্টনে যে সংখ্যাটি সবথেকে বেশি বার থাকে, তাকে সেই পরিসংখ্যাটির মোড বা ভূষিষ্টক বলা হয়।

৫৭। True Mode কী?

উঃ প্রকৃত ভূষিষ্টক হল কোন বন্টনের বৃহত্তম কেন্দ্রীয় বিন্দু বা মান।


৫৮। Crude Mode কী?

উঃ কোন রাশিমালার যে শ্রেণীতে সর্বাধিক পরিসংখ্যা রয়েছে সেই শ্রেণীটি হলো ভূষিষ্টক শ্রেণি। এই শ্রেণীবিভাগের মধ্যমান হলো   Crude Mode বা অপরিশোধিত ভূষিষ্টক।


৫৯। মোড (Mode) এর দুটি ব্যবহার লেখ।

উঃ (i) স্কোরের অবস্থান বেশিবার জানতে: রাশিমালার মধ্যে কোন স্কোরটি বেশিবার অবস্থান করছে তা জানতে মোড(Mode) ব্যবহার করা হয়।

(ii) দ্রুত কেন্দ্রীয় মান জানতে: কোন বন্টনের কেন্দ্রীয় মান দ্রুত জানতে বা পরিমাপ করতে মোড (Mode) ব্যবহার করা হয়।

Read More

Sunday, 12 December 2021

HS শিক্ষাবিজ্ঞান ( Education) অধ্যায়: শিখন -- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

Leave a Comment

 শিক্ষা বিজ্ঞান ( Education)

            শিখন (Learning)

     দ্বাদশ শ্রেণী (Class xii) (wbchse)


অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (মান-1)


১। 'শিখন' কী?

  উঃ অনুশীলন প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রাণীর কোনো আচরণের পরিবর্তনের ঘটনাই হল 'শিখন'।

অথবা,  

যে মানসিক প্রক্রিয়া অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রগতিশীল আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যক্তির দৈহিক ও মানসিক বিকাশ ঘটিয়ে তাকে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে সার্থকভাবে অভিযোজনে সাহায্য করে, তাই হল শিখন।


২। ‘শিখন’-এর একটি কার্যকরী সংজ্ঞা দাও।

 উঃ সক্রিয় অনুশীলন, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের প্রভাবে প্রাণীর মানসিক ও বাহ্যিক আচরণের পরিবর্তন সাধিত হয় যে প্রক্রিয়ায় তাকে 'শিখন' বলে।   

৩।  আধুনিক অর্থে ‘শিখন' বলতে কী বোঝায়?

 উঃ  যে শিক্ষালব্ধ পদ্ধতিতে অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কর্ম সম্পাদনের ক্ষমতালাভের মাধ্যমে প্রাণীর মানসিক ও দৈহিক আচরণে উৎকর্ষতা আসে, সেই পদ্ধতিই ‘শিখন' নামে পরিচিত।


৪। মনোবিজ্ঞানী জে পি গিলফোর্ড ‘'শিখন'-এর কী সংজ্ঞা দিয়েছেন?

 উঃ মনোবিজ্ঞানী জে পি গিলফোর্ড-এর মতে, “Learning is change in behaviour resulting from behaviour.” অর্থাৎ ‘শিখন’ হল আচরণ থেকে ফলজাত আচরণের পরিবর্তন প্রক্রিয়া। 


৫। থর্নডাইক ‘শিখন’ সম্বন্ধে কী বলেছেন? 

 উঃ মনোবিদ থর্নডাইক বলেছেন, 'শিখন' হল উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে যথার্থ ও কার্যকরী সম্বন্ধ স্থাপনের প্রক্রিয়া।


৬। ম্যাকডুগালের মতে ‘শিখন' কী?

 উঃ মনোবিদ ম্যাকডুগালের মতে, উদ্দেশ্যসাধনের উপযোগী উপায় নির্বাচনের ক্ষমতা অর্জন করাই হল শিখন।


৭। শিখনের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উঃ শিখনের প্রধান বৈশিষ্ট্য দুটি হল-

 ১) শিখন প্রক্রিয়া উদ্দেশ্যমুখী ও ক্রমবিকাশমান।

২) শিখন পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন করতে সহায়তা করে। 


৮। মনোবিদ রবার্ট এম গ্যাগনের মতানুসারে শিখনের শ্রেণিবিভাগ করো।

উঃ মনোবিদ রবার্ট এম গ্যাগনের মতানুসারে শিখনকে ৮টি ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল- 

(i)সংকেত শিখন,  (ii) উদ্দীপক-প্রতিক্রিয়া শিখন, (iii)সমস্যাসমাধানমূলক শিখন, (iv) ভাষাগত সংযোগসাধনমূলক শিখন, (v) শৃঙ্খলিতকরণ শিখন, (vi)ধারণা শিখন, (vii) নিয়ম শিখন এবং (viii) বৈষম্যমূলক শিখন।


৯। গ্যাগনের কোন গ্রন্থে শিখনের আটটি প্রকারের উল্লেখ পাওয়া যায়?

উঃ রবার্ট গ্যাগনে তাঁর The Conditions of Learning গ্রন্থে আট প্রকারের শিখনের উল্লেখ করেছেন।


১০। গ্যাগনের শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী সব থেকে উচ্চ পর্যায়ের শিখন কোন্‌টি? 

উঃ গ্যাগনের শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী সবথেকে উচ্চ পর্যায়ের শিখন হল সমস্যাসমাধানমূলক শিখন।


১১। 'প্রজ্ঞামূলক শিখন' কাকে বলে? 

উঃ যখন কোনো ব্যক্তির জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে শিখন সাধিত হয় তখন ওই শিখনকে বলা  'প্রজ্ঞামূলক শিখন'।


১২। দক্ষতামূলক শিখন' কী?

উঃ যে শিখনের দ্বারা ব্যক্তির দক্ষতা বা সামর্থ্যের বিকাশ ঘটে, তাকে দক্ষতামুলক শিখন বলে।


১৩। প্রক্ষোভমূলক শিখন' বলতে কী বোঝো?

উঃ শিশুর মধ্যে আদর্শগত প্রক্ষোভ গঠনের জন্য যে শিখন কার্য পরিচালিত হয়, তাকে প্রক্ষোভ মূলক শিখন বলে।


 ১৪। নৈতিক শিখন' বলতে কী বোঝো?

উঃ শিক্ষার্থীর চারিত্রিক সংগঠন ও মূল্যবোধের বিকাশের জন্য যে শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়, তাকে ‘নৈতিক শিখন' বলে।


১৫। 'দেহসঞ্চালনগত শিখন' কাকে বলে?

উঃ যে শিখন প্রক্রিয়ার দ্বারা শিশুর দেহসঞ্চালন ক্রিয়ার পরিবর্তন ও ক্রমোন্নয়ন ঘটে, সেই শিখন প্রক্রিয়াকে 'দেহসঞ্চালনগত শিখন' বলা হয়। 


১৬। স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র কোন্ শিখনকে নিয়ন্ত্রিত করে?

উঃ স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র স্মৃতিমূলক শিখন বা স্মরণক্রিয়ার দ্বারা শিখনকে নিয়ন্ত্রিত করে।


১৭। স্মৃতি' বা 'স্মরণক্রিয়া' কাকে বলে?

উঃ যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা পূর্বার্জিত ও সংরক্ষিত অভিজ্ঞতাকে প্রয়োজনমতো যথার্থ সময়ে সঠিক স্থানে স্মরণ করা যায়, সেই মানসিক প্রক্রিয়াকেই ‘স্মৃতি' বা 'স্মরণক্রিয়া' বলা হয়।


১৮। 'বিস্মৃতি' কী?

উঃ স্মৃতির অভাবই হল 'বিস্মৃতি'। এটি স্মরণক্রিয়ার বিপরীত একটি প্রক্রিয়া। এর সাধারণ অর্থ কোনো বিষয় ভুলে যাওয়া।


১৯। শিখনের পর্যায় বা স্তরগুলি কী কী?

 উঃ শিখনের স্তর বা পর্যায়গুলি হল তিন প্রকার। যথা- অভিজ্ঞতা অর্জন, সংরক্ষণ এবং পুনরুত্থাপন। এই শেষ পর্যায়টিকে অর্থাৎ পুনরুত্থাপনকে আবার দুটি স্তরে বিন্যস্ত করা হয়। যথা- পুর্নরুদ্রেক ও প্রত্যভিজ্ঞা। 


২০। সংরক্ষণ বা ধারণ বলতে কী বোঝো?

উঃ সংরক্ষণ' বা 'ধারণ' হল এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বাইরে থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে দীর্ঘকাল ধরে স্মৃতিতে ধরে রাখা যায় বা মনে রাখা যায়।


২১। পুনরুদ্রেক ও প্রত্যভিজ্ঞার মধ্যে প্রভেদ কোথায়?

উঃ যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা পূর্বে অর্জিত অভিজ্ঞতা সংরক্ষণের স্তর থেকে মানুষের চেতনায় আসে অর্থাৎ কোনো পুরোনো কথা মানুষের মনে পড়ে, তাকেই 'পুনরুদ্রেক' বলা হয়। অন্যদিকে, পূর্বে অর্জিত অভিজ্ঞতা যখন মানুষের সামনে কোনো মূর্ত প্রতিরূপের সাহায্যে পুনরুত্থাপিত হয়, তখন তাকে 'প্রত্যভিজ্ঞা' বলা হয়। 'প্রত্যভিজ্ঞা' কথার অর্থ হল পূর্ব অভিজ্ঞতাকে প্রত্যক্ষ করা বা চিনে নেওয়া। 


২২। পুনরুদ্রেক প্রক্রিয়াটির সঙ্গে কোন্ তিনটি বিষয় বিশেষভাবে যুক্ত? 

উঃ পুনরুদ্রেক প্রক্রিয়াটির সঙ্গে যে তিনটি বিষয় বিশেষভাবে যুক্ত, সেগুলি হল-  সান্নিধ্যের সূত্র, সাদৃশ্যের সূত্র এবং বৈসাদৃশ্যের সূত্র। 


২৩। সান্নিধ্যের সূত্রটি কী?

উঃ যে সূত্রের কারণে পুনরুদ্রেকের ক্ষেত্রে একটি ঘটনা আর-একটি ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়, তাকে সান্নিধ্যের সূত্র' বলা হয়।


২৪। সাদৃশ্যের সূত্রটি লেখো।

উঃ পুনরুদ্রেকের ক্ষেত্রে সাদৃশ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুটি বিষয়ের মধ্যে সাদৃশ্য থাকলে একটি মনে করলে অপরটিও মনে পড়ে যায়। একেই ‘সাদৃশ্যের সূত্র' হিসেবে ধরা হয়। 


২৫  বৈসাদৃশ্যের সূত্রটি কী?

উঃ পুনরুদ্রেকের ক্ষেত্রে বৈসাদৃশ্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুটি বিষয়ের মধ্যে বৈসাদৃশ্য থাকলে একটি মনে করলে অপরটিও মনে পড়ে যায়। একেই 'বৈসাদৃশ্যের সুত্র' ধরা হয়।


২৬। 'শিখন'-এর সংযোজনবাদী তত্ত্বের প্রবক্তা কে?

উঃ থর্নডাইক। 


২৭। 'শিখন'-এর গেস্টান্ট তত্ত্বের মূল দুজন প্রবক্তা কে ছিলেন?

উঃ 'শিখন'-এর গেস্টান্ট তত্ত্বের মূল দুই প্রবক্তা হলেন ম্যাক্স ওয়ারদাইমার এবং কফকা।


২৮। প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক কে? 

উঃ প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক হলেন মনোবিদ আইভান প্যাভলভ।


 ২৯। সক্রিয় অনুবর্তনের উদ্ভাবন করেন কে?

উঃ সক্রিয় অনুবর্তনের উদ্ভাবক হলেন মনোবিদ বি এফ স্কিনার।


৩০। 'শিখন'-এর মাত্রা কার উপর নির্ভর করে? 

উঃ ‘শিখন’-এর মাত্রা নির্ভর করে প্রচেষ্টার সংখ্যার উপর। প্রচেষ্টার সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, শিখনের হারও তত বৃদ্ধি পাবে। 


৩১। শিখন'-এর প্রকৃতি কীসের মাধ্যমে প্রকাশ পায় ?

উঃ ‘শিখন’-এর প্রকৃতি প্রকাশ পায় পরিণমনের মাধ্যমে। 


৩২। ‘শিখন'-এর দুটি সহজ উপায় লেখো।

উঃ শিখনের পদ্ধতিগুলির মধ্যে দুটি সহজ উপায় হল - আবৃত্তি পদ্ধতি এবং অর্থ অনুধাবন করে পাঠের পদ্ধতি।


৩৩। শিক্ষার্থীর শিখনে শিক্ষকের প্রধান ভূমিকা কী?

উঃ শিক্ষার্থীর শিখনে শিক্ষকের প্রধান ভূমিকা হল- শিক্ষার্থী শিখনকার্যকে সহজ করে তোলা বা facilitate করা; যার অর্থ হল to make a process easier. 


৩৪। 'Survey-Q-3R'  কী?

উঃ কোনো পাঠ্য বিষয়বস্তু মুখস্থ করার ক্ষেত্রে অধ্যাপক ফ্রান্সিস পি রবিনসন যে নিয়ম উদ্ভাবন করেছেন, তাকে 'Survey Q-3R' বলা হয়। এর সম্পূর্ণ কথাটি হল- Survey, Question, Read Recite, Review। অর্থাৎ কোনো বিষয়কে সহজে আয়ত্ত করার জন্য পর্যবেক্ষণ, প্রশ্নকরণ, পঠনপাঠন, আবৃত্তি পাঠ ও পর্যালোচনার প্রয়োজন।


৩৫। 'শিখন' ও 'শিক্ষণ'-এর মধ্যে মূল পার্থক্য কোথায়? 

উঃ 'শিখন' হল ব্যক্তির নিজের ও সমাজের কল্যাণসাধনের উদ্দেশ্যে কোনো বিষয়কে আয়ত্ত করা বা শেখা। আর 'শিক্ষণ' হল ব্যক্তির সহজাত সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জ্ঞান প্রদান করা অর্থাৎ শিক্ষাদান।


৩৬। শিখন'-এর উপাদানগুলি কী কী? অথবা, 'শিখন' কী কী বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়? 

উঃ শিখনের উপাদানগুলি হল পরিণমন, প্রেষণা, আগ্রহ, মনোযোগ ও সামর্থ্য। এই বিষয়গুলিই শিখনকে প্রভাবিত করে।


৩৭। 'পরিণমন' কী?

উঃ ‘পরিণমন' হল এমন একটি স্বাভাবিক জৈবিক বিকাশের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রাণীর জন্মগত সম্ভাবনাগুলির স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ ঘটে এবং সেইসঙ্গে তার আচরণের গুণগত ও পরিমাণগত উভয় ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়।

অথবা,

পরিণমন হল জন্মগত একটি স্বাভাবিক আচরণ পরিবর্তনের জৈবিক প্রক্রিয়া, যার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘটে থাকে।


 ৩৮। মনোবিদ ম্যাকগিয়ক ‘পরিণমন'-এর সংজ্ঞায় কী বলেছেন?

উঃ মনোবিদ ম্যাকগিয়ক-এর মতে, অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জৈবিক কারণে শিশুর আচরণ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া হল 'পরিণমন'।


৩৯। পরিণমনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।”

উঃ পরিণমনের দুটি বৈশিষ্ট্য হল – (ক) পরিণমন একটি স্বাভাবিক বিকাশ প্রক্রিয়া এবং (খ) পরিণমনের ফলে ব্যক্তির দৈহিক আচরণের পরিবর্তন ঘটে।


৪০। শিখন ও পরিণমনের দুটি সাদৃশ্য লেখো। শিখন ও পরিণমনের দুটি উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য হল

উঃ (i) শিখন ও পরিণমন উভয়ই ব্যক্তিনির্ভর প্রক্রিয়া। (ii) শিখন ও পরিণমন উভয়ই ব্যক্তির আচরণে পরিবর্তন ঘটায়।


 ৪১। শিখন ও পরিণমনের একটি পার্থক্য লেখো। 

উঃ শিখন ও পরিণমনের একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হল শিখন একটি অনুশীলননির্ভর কৃত্রিম প্রক্রিয়া; কিন্তু পরিণমন একটি স্বাভাবিক জৈবিক বিকাশের প্রক্রিয়া।


৪২।  'প্রেষণা' কী?' 

উঃ 'প্রেযণা' হল এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যা ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ কর্মউদ্দীপনাকে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য তার মধ্যে একটি তাগিদ সৃষ্টি করে এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।

অথবা,

প্রেষণা হল এমন এক মানসিক প্রক্রিয়া যা ব্যক্তির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কর্মোদ্দীপনা জাগ্রত করে এবং বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও সেটিকে নিয়ন্ত্রিত পথে পরিচালনার মাধ্যমে লক্ষ্যের অভিমুখে নিয়ে যায়।


৪৩।  'প্রেষণা' শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে?

উঃ 'প্রেষণা' শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল 'Motivation'। এই শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'Moveers' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'to move' অর্থাৎ 'চলনক্রিয়া'। 


৪৪। 'প্রেষণা চক্র' বলতে কী বোঝায়? অথবা, প্রেষণা চক্রের চারটি ধাপ কী কী? 

উঃ যে স্তরগুলি অতিক্রম করলে বা যে স্তরগুলি চক্রাকারে আবর্তিত হলে প্রেষণা সৃষ্টি হয়, সেই স্তরগুলির এই আবর্তনকে 'প্রেষণা চক্র' বলা হয়। প্রেষণা চক্রের মূল চারটি স্তর হল— চাহিদা, তাড়না, উদ্দেশ্যমুখী আচরণ এবং উদ্দেশ্যপুরণ।


৪৫। প্রেষণা চক্রের প্রথম ও শেষ স্তরগুলি কী কী?

উঃ প্রেষণা চক্রের প্রথম স্তর হল চাহিদা বা অভাববোধ এবং শেষ স্তর হল উদ্দেশ্যপুরণ।


৪৬। প্রেষণার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ প্রেষণার দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল—(i) শিখনে আগ্রহ বুদ্ধি করে এবং (ii) লক্ষ্যাভিমুখী আচরণ নির্দিষ্ট করে। 


৪৭। প্রেষণার শ্রেণিবিন্যাস করো।

উঃ প্রেষণাকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা— জৈবিক প্রেষণা, ব্যক্তিগত বা মানসিক প্রেষণা এবং সামাজিক প্রেষণা


৪৮। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টিতে শিক্ষকের কী কী কর্তব্য পালন করা উচিত?

উঃ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টির জন্য শিক্ষকের উচিত তাদের কর্মোদ্যোগী করে তোলা, প্রশংসার মাধ্যমে নতুন কাজে উৎসাহ দান করা, তাদের সফলতার জন্য পুরস্কার প্রদান করা ইত্যাদি।


৪৯। প্রেষণা হ্রাসের দুটি কারণ উল্লেখ করো।

উঃ প্রেষণা হ্রাসের দুটি কারণ হলো -- (i) কৌতুহল বা অনুরাগ এর অভাব এবং (ii) চাহিদা পূরণ না হওয়া।


৫০। মনোযোগ কী?

উঃ যে মানসিক প্রক্রিয়া ব্যক্তির চেতনার পরিধিকে সংকীর্ণ করে, তাকে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কেন্দ্রীভূত করে সেই মানসিক প্রক্রিয়া কে মনোযোগ বলে।


৫১। মনোযোগের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উঃ মনোযোগের একটি বৈশিষ্ট্য হল -- মনোযোগ একটি নির্বাচনধর্মী প্রক্রিয়া।


৫২। মনোযোগ এর মূল শর্ত বা নির্ধারকগুলি কী কী?

উঃ মনোযোগ এর মূল শর্ত বা নির্ধারক গুলি হল -- (i) বিষয়কেন্দ্রিক বা বস্তুগত শর্ত (ii) মনোগত শর্ত য়এবং (iii) দৈহিক বা বাহ্যিক শর্ত।


৫৩। মনোযোগের বিষয়কেন্দ্রিক শর্তগুলি কী কী?  অথবা মনোযোগের দুটি বস্তুগত নির্ধারকের নাম লেখ।

উঃ মনোযোগের বিষয়কেন্দ্রিক শর্তগুলি হল--- তীব্রতা, আকৃতি, পুনরাবৃত্তি, নতুনত্ব, গতিশীলতা, বৈপরীত্য ইত্যাদি।


৫৪। মনোযোগের মনোগত শর্তগুলি কী কী? অথবা মনোযোগের একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক এর নাম লেখ

উঃ মনোযোগের মনোগত শর্তগুলি হল -- আবেগ, অভ্যাস, আগ্রহ, প্রক্ষোভ, মানসিক প্রবণতা, আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি।


৫৫। মনোযোগের দৈহিক শর্ত গুলি কী কী? 

উঃ মনোযোগের দৈহিক শর্তগুলি হল --ইন্দ্রিয়সমূহের বিশেষ অবস্থা, আচরণের পরিবর্তন, ব্যক্তিগত বিশেষত্ব ইত্যাদি।


৫৬। মনোযোগ এর বিস্তারমাপক যন্ত্র টির নাম কী?

উঃ মনোযোগের বিস্তার মাপক যন্ত্র টির নাম ট্যাচিসটোস্কোপ ( Tachistoscope)।


৫৭। কোন যন্ত্রের সাহায্যে শ্রবণগত মনোযোগ এর বিস্তার মাপা হয়?

উঃ মেট্রোনোম (Metronome) নামক যন্ত্রের সাহায্যে শ্রবণ গত মনোযোগের বিস্তার পরিমাপ করা হয়।


৫৮। আগ্রহ বা অনুরাগ কী?

উঃ আগ্রহ বা অনুরাগ হল বাস্তব বা কাল্পনিক কোনো বস্তু, ঘটনা বা অবস্থার প্রতি এক বিশেষ কৌতূহল, অনুভূতি, যা ব্যক্তিকে ওই বিষয়টি সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে ও তাকে মনোযোগী করে তোলে।


৫৯। 'আগ্রহ' বা 'Interest' শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে? 

উঃ ‘আগ্রহ’-এর ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Interest’ একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হল ‘it concerns' or 'it matters'


 ৬০। কোন্ মনোবিদ আগ্রহকে ‘সুপ্ত মনোযোগ’ বলেছেন?

উঃ মনোবিদ ম্যাকডুগাল আগ্রহকে ‘সুপ্ত মনোযোগ’ বলেছেন। 


৬১। আগ্রহের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। অথবা, আগ্রহের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।”

উঃ আগ্রহের দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (i) আগ্রহ একটি অনুভূতিনির্ভর প্রক্রিয়া এবং (ii)মনোযোগের পূর্ব শর্ত বা প্রাথমিক শর্তই হল আগ্রহ।


৬২। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বটি প্রথম কত খ্রিস্টাব্দে, কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?

উঃ স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বটি প্রথম ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে 'আমেরিকান জার্নাল অফ সাইকোলজি'-তে প্রকাশিত হয়।


৬৩। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতার তত্ত্বটি কী নামে পরিচিত এবং এটি কোন্ প্রবন্ধাকারে প্রকাশ পায়।

উঃ স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতার তত্ত্বটি 'দ্বি-উপাদান তত্ত্ব' নামে পরিচিত এবং এটি 'General Intelligence Objectively Determined and Measured' নামক প্রবন্ধাকারে প্রকাশ পায়।

 

৬৪। সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বলতে কী বোঝো? অথবা, স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বে g উপাদান বলতে কী বোঝো? 

উঃ যে মানসিক ক্ষমতা জন্মগত ও সহজাত এবং যে-কোনো কাজেই কমবেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাকে সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বলে। স্পিয়ারম্যান তাঁর তত্ত্বে এই ক্ষমতাকে 'G-factor' বা g-উপাদান বলে উল্লেখ করেছেন। 


৬৫। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বে উল্লিখিত সাধারণ উপাদানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বে উল্লিখিত সাধারণ উপাদানের দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল -- (i) সাধারণ উপাদান হল জন্মগত ও (ii) এই উপাদান সর্বজনীন।


৬৬। বিশেষ মানসিক ক্ষমতা কী?*

উঃ যখন কোনো একটি কাজের জন্য ব্যক্তির সাধারণ মানসিক ক্ষমতার পাশাপাশি কোনো বিশেষ সামর্থ্যের প্রয়োজন হয়। এবং ওই কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে তা ব্যবহৃত হয় না, তাকে 'বিশেষ মানসিক ক্ষমতা' বলে। স্পিয়ারম্যান তাঁর তত্ত্বে এই ক্ষমতাকে 'S-factor' বলেছেন। 


৬৭। বিশেষ ক্ষমতার যে-কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ বিশেষ ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য দুটি বৈশিষ্ট্য হল – (i) বিশেষ উপাদানের সংখ্যা একাধিক এবং (ii)বিশেষ উপাদান ব্যক্তিকেন্দ্রিক।


 ৬৮। সাধারণ মানসিক ক্ষমতার সঙ্গে বিশেষ মানসিক ক্ষমতার দুটি পার্থক্য দেখাও। 

উঃ (i)সাধারণ মানসিক ক্ষমতা একটি সর্বজনীন ক্ষমতা; কিন্তু বিশেষ মানসিক ক্ষমতা বিশিষ্ট ক্ষমতা, সর্বজনীন নয়।

(ii) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা জন্মগত; আর বিশেষ মানসিক ক্ষমতা অর্জিত।


৬৯। 'সহগতি' বলতে কী বোঝো?

উঃ রাশিবিজ্ঞানের ভাষায়, দুই বা ততোধিক চলের মধ্যে শিখন পারস্পরিক যে সম্বন্ধ, তাকেই 'সহগতি' বলা হয়। যেমন বৃষ্টি ও জলস্তর হ্রাসবৃদ্ধির সম্বন্ধ। 


৭০। ‘শূন্য সহগতি' কাকে বলে? 

উঃ যখন দুটি পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত চলরাশির একটির হ্রাস বা বৃদ্ধি অপরটির উপর কোনো প্রভাব ফেলে না, তখন ওই দুটি চলের মধ্যে যে সম্বন্ধ থাকে, তাকে 'শূন্য সহগতি' বলা হয়। যেমন- কোনো ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্র বিদ্যুৎ চলে যাওয়া।


৭১।  'সহগতির সহগাঙ্ক' বলতে কী বোঝায়?

উঃ যে সাংখ্যমান দ্বারা দুটি পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত চলরাশির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়, তাকে 'সহগতির সহগাঙ্ক' বলে। সহগতির সহগাঙ্ককে স্পিয়ারম্যান তাঁর তত্ত্বে 'r' দ্বারা প্রকাশ করেছেন। 


৭২। টেট্রাড সমীকরণের ক্ষেত্রে r, a, b, p. q-এর মাধ্যমে কোন্ কোন্ বিষয়কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে? 

অথবা, স্পিয়ারম্যানের টেট্রাড সমীকরণে ‘r' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ টেট্রাড সমীকরণের ক্ষেত্রে 'r' হল সহগতির সহগাঙ্ক, 'a' হল বৈপরীত্য, ‘b’ হল পার্থক্যকরণ, 'p' হল সম্পূর্ণকরণ এবং 'q' হল বাতিলকরণ।


৭৩। প্রাথমিক বা দলগত উপাদান তত্ত্বটি কবে, কোন্ গ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত হয়?

উঃ প্রাথমিক বা দলগত উপাদান তত্ত্বটি ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে 'The Nature of Intelligence' গ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত হয়।


৭৪। থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বে ক-টি মৌলিক সামর্থ্যের উল্লেখ পাওয়া যায় ও কী কী? অথবা,  তত্ত্ব অনুযায়ী যে-কোনো দুটি প্রাথমিক মানসিক ক্ষমতার নাম লেখো।" 

উঃ  থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বে সাতটি মৌলিক সামর্থ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। 

সেগুলি হল- (i)আঙ্কিক বা সংখ্যাগত সামর্থ্য বা N. (ii) স্থানগত সম্বন্ধ নির্ণয়ের সামর্থ্য বা S (iii) স্মৃতি বা স্মরণক্রিয়ার সামর্থ্য বা M. (iv) বাচনিক সামর্থ্য বা V. (v) নির্ভুল প্রত্যক্ষণের সামর্থ্য বা P,  (vi) যুক্তি বা বিচারক্ষমতার সামর্থ্য বা R এবং (vii) উপযুক্ত বাক্য বা শব্দ ব্যবহারের সামর্থ্য বা W।


 ৭৫। থার্স্টোনের বহু উপাদান তত্ত্বে 's' বলতে কী বোঝানো হয়?

উঃ থার্স্টোনের বহু উপাদান তত্ত্বে 's' বলতে স্থানগত নির্ণয়ের সামর্থ্যকে বোঝানো হয়।


৭৬। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্ব ও থার্স্টোনের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বের মধ্যে দুটি পার্থক্য ব্যক্ত করো।

উঃ দ্বি-উপাদান তত্ত্ব ও দলগত উপাদান তত্ত্বের পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ :

 (i) দ্বি-উপাদান তত্ত্বে দুটি মানসিকক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দলগত উপাদান তত্ত্বে  সাতটি প্রাথমিক ক্ষমতা বা উপাদানের কথা বলা হয়েছে।

(ii) দ্বি-উপাদান তত্ত্বে  জন্মগত ও  অর্জিত উভয় ধরনের মানসিক ক্ষমতাই কার্যকরী হয়।  কিন্তু দলগত উপাদান তত্ত্বের প্রতিটি মানসিক ক্ষমতা জন্মগত।


৭৭। কত খ্রিস্টাব্দে কোন বইতে মনোবিদ গার্ডেনার তার সাতটি বুদ্ধির কথা প্রচার করেন?

উঃ ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে 'Theory of Intelligence নামক বইতে মনোবিদ গার্ডেনার তাঁর সাতটি বুদ্ধির কথা প্রচার করেন।


৭৮। 'কার্যকরী বুদ্ধি’ বলতে কী বোঝো? 

উঃ দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবমুখী কাজ করার ক্ষমতা বা সামর্থ্যকেই অনেক মনোবিদ 'কার্যকরী বুদ্ধি’ বলেছেন।


৭৯। বুদ্ধির একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ বুদ্ধির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল- বুদ্ধি হল ব্যক্তির একটি সহজাত বা মৌলিক ক্ষমতা, যা অনুশীলন দ্বারা কার্যকরী হয়ে থাকে। 


৮০। বুদ্ধির অভীক্ষা কী?*

উঃ বুদ্ধি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত কৌশলগুলিকে বুদ্ধির অভীক্ষা বলা হয়। 


৮১।  বুদ্ধ্যঙ্ক কী?

উঃ বুদ্ধ্যঙ্ক হল কোনো ব্যক্তির বুদ্ধির মান নির্দেশক একক। কোনো ব্যক্তির বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয়ের জন্য তার মানসিক বয়স ও তার জন্মবয়সের অনুপাত নির্ণয় করা প্রয়োজন।


৮২।  বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয়ের সমীকরণটি লেখো।” 

উঃ বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয়ের সমীকরণটি হল

                মানসিক বয়স

বুদ্ধ্যঙ্ক =    -------------------            x 100

                     জন্মবয়স


[ বুদ্ধ্যঙ্কের মান যাতে ভগ্নাংশে না হয়, সেজন্য এই অনুপাতকে 100 দিয়ে গুণ করতে হয়।]


৮৩। বুদ্ধ্যঙ্ক বা Intelligence Quotient-এর উদ্ভাবক কে?

উঃ বুদ্ধ্যঙ্ক বা Intelligence Quotient বা IQ-এর উদ্ভাবক ছিলেন মনোবিদ উইলিয়ম স্টার্ন।


৮৪। বুদ্ধির বাছাই তত্ত্ব বা Sampling Theory-এর প্রবক্তা হলেন।

উঃ মনোবিদ থম্পসন।














Read More

Wednesday, 8 December 2021

HS Philosophy (WBCHSE) নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তর ও তার ব্যাপ্যতা

Leave a Comment

  নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তরিত কর এবং সেই বচনগুলির কোন্ কোন্ পদ ব্যাপ্য বা অব্যাপ্য তা লিখ।


১। কেবলমাত্র পরিশ্রমী ব্যক্তিরাই সফল হয়।

L.F. : A - সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'সকল ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পর পরিশ্রমী অব্যাপ্য।


২। প্রায় সমস্ত প্রার্থীই শিক্ষিত।

L.F. : I. কোন কোন প্রার্থী হয় শিক্ষিত।

এই বচনটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় যথাক্রমে 'প্রার্থী' ও 'শিক্ষিত' কোন পদই ব্যাপ্য নয়।


৩। কোন কুকুর বিড়াল নয়।

L.F. : E - কোন কুকুর নয় বিড়াল।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'কুকুর' এবং বিধেয় পদ 'বিড়াল' উভয়ই ব্যাপ্য। 


৪। অধিকাংশ ছাত্র অঙ্কে ভাল নয়।

L.F. : O - কোন কোন ছাত্র নয় ছাত্র যারা অঙ্কে ভাল। 

এই বচনটির বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা অঙ্কে ভাল’ ব্যাপ্য কিন্তু উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র' ব্যাপ্য নয়।


৫। সবুজ হাতি নেই।

L.F. : E - কোন হাতি নয় সবুজ প্রাণী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'হাতি' এবং বিধেয় পদ ‘সবুজ প্রাণী'—এই দুটি পদই ব্যাপ্য।


৬। ধার্মিক ব্যক্তিরা একান্তভাবে ভাল লোক।

L.F. : A- সকল ধার্মিক ব্যক্তি হন ভালো লোক।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'ধার্মিক ব্যক্তি' ব্যাপ্য কিন্তু বিধেয় পদ 'ভাল লোক' অব্যাপ্য।


৭। লক্ষ্ণৌ উত্তরপ্রদেশের রাজধানী। 

L.F. : A- লক্ষ্ণৌ হয় উত্তরপ্রদেশের রাজধানী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'লক্ষ্ণৌ' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘উত্তরপ্রদেশের রাজধানী' অব্যাপ্য।


 ৮। কখনও প্রতারণা করো না।

L.F. : E - তোমার প্রতারণা করা নয় আমার অভিপ্রেত। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার প্রতারণা করা' ব্যাপ্য, এবং বিধেয় পদ ‘আমার অভিপ্রেত'ও ব্যাপ্য।


৯। সব লোক সৎ নয়।

L.F. : 0 - কোন কোন লোক নয় সৎ।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'লোক' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সং' ব্যাপ্য।


১০। দীর্ঘদিন বেঁচে থেকো।

L.F. : A - তোমার দীর্ঘদিন বেঁচে  থাকা হয় আমার কামনা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা' ব্যাপ্য আর বিধেয় পদ 'আমার কামনা অব্যাপ্য।


১১। কখনও কখনও মানুষ দিশেহারা। 

L.F. : I - কোন কোন মানুষ হয় দিশেহারা। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' ও বিধেয় পদ 'দিশেহারা' উভয়ই অব্যাপ্য।


১২। কয়েকটি ছাত্রী ছাড়া আর সকল ছাত্রীই কৃতকার্য হয়েছে।

L.F. : I - কোন কোন ছাত্রী হয় এমন যারা কৃতকার্য হয়েছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্রী' অব্যাপ্য এবং বিধেয় পদ 'এমন যারা কৃতকার্য হয়েছে' অব্যাপ্য। 


১৩। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে।

L.F. : A - পৃথিবী হয় একটি গ্রহ যা সূর্যের চারদিকে ঘোরে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'পৃথিবী' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'একটি গ্রহ যা সূর্যের চারিদিকে ঘোরে' অব্যাপ্য


১৪। বিশ্বাস টিকে থাকে।

L.F. : A - বিশ্বাস হয় বিষয় যা টিকে থাকে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বিশ্বাস' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘বিষয়' যা টিকে থাকে' অব্যাপ্য। 


১৫। কলেরা রোগ অনেক সময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।

L.F. : I - কোন কোন কলেরা রোগ হয় এমন যা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ উভয়ই অব্যাপ্য।


১৬। বাঙালীরা আবেগপ্রবণ।

L.F. : I - কোন কোন বাঙালী হয় আবেগপ্রবণ।

 এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বাঙালী' ও বিধেয় পদ 'আবেগপ্রবণ' উভয়ই অব্যাপ্য।


১৭। ছাত্ররা মাঝে মাঝে ঠিক পথে চলে না।

  L.F. : O - কোন কোন ছাত্র নয় ছাত্র যারা ঠিক পথে চলে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা ঠিক পথে চলে' ব্যাপ্য।


১৮। কলহপ্রিয়তা কখনও ভালো গুণ নয়। 

 L.F. : E - কলহপ্রিয়তা নয় ভালো গুণ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'কলহপ্রিয়তা' ও বিধেয় পদ 'ভালো গুণ'-—উভয়ই ব্যাপ্য। 


১৯। যে কোন লোক এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে।

L.F. : A -  সকল লোক হয় ব্যক্তি যারা এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'লোক' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি পারে' অব্যাপ্য।


২০। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। 

L.F. : I - কোন কোন ঘর পোড়া গরু হয় এমন গরু যারা সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়।

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় কোন পদই ব্যাপ্য নয়, অর্থাৎ অব্যাপ্য।


 ২১। দুই-এ দুই-এ চার হয়।

L.F. : A -  সকল দুই ও দুই-এর যোগফল হয় চার।

এখানে উদ্দেশ্য 'দুই ও দুই এর যোগফল ব্যাপ্য, বিধেয় 'চার' অব্যাপ্য।


২২। সব কথা বলার যোগ্য নয়।

L.F. : O -  কোন কোন কথা নয় বলার যোগ্য।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'কথা' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘বলার যোগ্য' ব্যাপ্য। 


২৩। বুদ্ধদেব ধ্যানমগ্নতার প্রতীক। 

L.F. : A -  বুদ্ধদেব হন ধ্যানমগ্নতার প্রতীক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বুদ্ধদেব' ব্যাপ্য এবং বিধেয় পদ ‘ধ্যানমগ্নতার প্রতীক' অব্যাপ্য।


২৪। প্রত্যেক সৈনিক দেশপ্রেমিক। 

L.F. : A -  সকল সৈনিক হন দেশপ্রেমিক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'সৈনিক' ব্যাপ্য, বিধেয় 'দেশপ্রেমিক' অব্যাপ্য।


২৫। খুব কম সংখ্যক মানুষ হিতৈষী।

L.F. : O -  কোন কোন মানুষ নয় হিতৈষী। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'হিতৈষী' ব্যাপ্য। 


২৬। যে কোন লোক এ কাজ করতে পারে।

L.F. : A -  সকল লোক হয় এমন যারা এ কাজ করতে পারে। 

এখানে ‘লোক’ উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য, 'এমন যারা এ কাজ করতে পারে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। 


২৭। শতকরা ৬০ ভাগ ছাত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

L.F. : I - কোন কোন ছাত্র হয় যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র ও বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে' অব্যপ্য।


২৮। তুমি দেশের কল্যাণ কর।

L.F. : A -  তোমার পক্ষে দেশের কল্যাণ করা হয় আমার ইচ্ছা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার পক্ষে দেশের কল্যাণ করা' ব্যাপ্য, আর বিধেয় পদ 'আমার ইচ্ছা' অব্যাপ্য। 


২৯। ব্যবসায়ীরা সচরাচর গৃহকোণে আবদ্ধ নয়।

L.F. : O -  কোন কোন ব্যবসায়ী নয় গৃহকোণে আবদ্ধ। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যবসায়ী' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘গৃহকোণে আবদ্ধ' ব্যাপ্য।


৩০। বেশীর ভাগ পুলিশ অফিসার স্মার্ট। 

 L.F. : I - কোন কোন পুলিশ অফিসার হয় স্মার্ট।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'পুলিশ অফিসার' ও বিধেয় পদ 'স্মার্ট' উভয়ই অব্যাপ্য।


৩১। একটি ধাতু কঠিন নয়।

L.F. : O - কোন কোন ধাতু নয় কঠিন। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ধাতু' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'কঠিন' ব্যাপ্য।


৩২। পাঁচ-ছটি বাদে সব আমই টক।

L.F. : I - কোন কোন আম হয় টক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'আম' ও বিধেয় পদ ‘টক' উভয়ই অব্যাপ্য।


৩৩। মানুষ কখনও পূর্ণ নয়।

 L.F. : E - কোন মানুষ নয় পূর্ণ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘মানুষ’ ও বিধেয় পদ 'পূর্ণ' উভয়ই ব্যাপ্য।


৩৪। ভদ্রতার মূল্য আছে।

 L.F. : A - ভদ্রতা হয় একটি গুণ যার মূল্য আছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ভদ্রতা' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'একটি  গুণ যার মূল্য  আছে' অব্যাপ্য।


৩৫। কেনা বড় হতে চায় ?

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি হয় ব্যক্তি যারা বড় হতে চায়। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি যারা বড় হতে চায়' অব্যাপ্য।


৩৬। ডাক্তাররা কবিও হতে পারেন।

L.F. : I - কোন কোন ডাক্তার হন কবি। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ যথাক্রমে 'ডাক্তার' ও 'কবি' উভয়ই অব্যাপ্য। 


৩৭। শুধুমাত্র ধনীরাই এরকম আচরণ করে।

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা এরকম আচরণ করে হয় ধনী। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা এরকম আচরণ করে' ব্যাপ্য, 'ধনী' অব্যাপ্য।


৩৮। কেবল ভীরুরাই ভয় পায়।

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা ভয় পায় হয় ভীরু। 

এখানে 'ব্যক্তি যারা ভয় পায়' উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য, 'ভীরু' বিধেয় পদ অব্যাপ্য।


৩৯। তিনি কখনও মিথ্যা কথা বলেন না।

L.F. : E - তিনি নন এমন ব্যক্তি যিনি মিথ্যা কথা বলেন।

 এখানে উদ্দেশ্য ও বিষেয় পদ উভয়ই ব্যাপা।


৪০। অধ্যাত্মবাদী হলেই ঈশ্বরবাদী হবেন। 

L.F. : A -  সকল অধ্যাত্মবাদী হন ঈশ্বরবাদী।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'অধ্যাত্মবাদী' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ঈশ্বরবাদী' অব্যাপ্য।


৪১। শিক্ষিত হলেই বিনয়ী হবে এমন কোন কথা নেই। 

L.F. : O - কোন কোন শিক্ষিত ব্যক্তি নয় বিনয়ী।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘শিক্ষিত ব্যক্তি' ব্যাপ্য নয় (অব্যাপ্য), বিধেয় পদ ‘বিনয়ী' ব্যাপ্য।


৪২। নারী পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

L.F. : E - কোন নারী নয় নারী যে পুরুষের চেয়ে কম।

 এখানে উদ্দেশ্য পদ 'নারী' ও বিধেয় পদ 'নারী যে পুরুষের চেয়ে কম' উভয়ই ব্যাপ্য। 


৪৩। পুরুষরা সাহসী।

L.F. : I - কোন কোন পুরুষ হয় সাহসী। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় (পুরুষ ও সাহসী) উভয় পদই অব্যাপ্য।


৪৪। সব বিখ্যাত ব্যক্তি নম্র নন।

L.F. : O - কোন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি নন নম্র। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘বিখ্যাত ব্যক্তি' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'নম্র' ব্যাপ্য।


৪৫। ভূত নেই।

L.F. : E -  কোন ভূত নয় অস্তিত্বশীল।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ভূত’, বিধেয় পদ 'অস্তিত্বশীল' উভয়ই ব্যাপ্য।


৪৬। ড্রাইভাররা কর্কশ।

L.F. : I - কোন কোন ড্রাইভার হয় কর্কশ। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় কোন পদই ব্যাপ্য নয়, অর্থাৎ অব্যাপ্য।


৪৭। কেবল গোলাপ সুন্দর।

L.F. : A - সকল সুন্দর বস্তু হয় গোলাপ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'সুন্দর' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'গোলাপ' অব্যাপ্য।


৪৮। অনেক ছাত্র ইংরাজীতে কাঁচা। 

L.F. : I - কোন কোন ছাত্র হয় যারা ইংরাজীতে কাঁচা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ছাত্র' ও বিধেয় পদ যারা ইংরাজীতে কাঁচা' উভয়ই অব্যাপ্য। 


৪৯। ঔরঙ্গজেব শাজাহানকে বন্দী করেছিল।

 L.F. : A - ঔরঙ্গজেব হয় সম্রাট যে শাজাহানকে বন্দী করেছিল।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ঔরঙ্গজেব' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সম্রাট যে শাহজাহানকে বন্দি করেছিল' অব্যাপ্য।


 ৫০। শিক্ষকের মাইনে বাড়ক অনেকে চায় না। 

 L.F. : O - কোন কোন ব্যক্তি নয় ব্যক্তি যারা চায় শিক্ষকের মাইনে বাড়ক। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ব্যাপ্য।


৫১। সবাই চলে গেছে। 

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি হয় ব্যক্তি যারা চলে গেছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি যারা চলে গেছে' অব্যাপ্য।


৫২। আমোদপ্রিয় লোকেরা প্রায়ই চঞ্চল। 

L.F. : I - কোন কোন আমোদপ্রিয় লোক হয় চঞ্চল।

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ উভয়ই অব্যাপ্য।


৫৩। সব স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনায়ক দেশের শত্রু। 

L.F. : A -  সকল স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনায়ক হয় দেশের শত্রু।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'স্বৈরাচারী রাষ্ট্র নায়ক' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ দেশের শত্রু' অব্যাপ্য। 


৫৪। পশু মাত্রই ক্ষিপ্র নয়। 

L.F. : O - কোন কোন পশু নয় ক্ষিপ্র জীব।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘পশু' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ক্ষিপ্র জীব' ব্যাপ্য।


৫৫। শুধু অজ্ঞ লোকরাই সংস্কারাচ্ছন্ন। 

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা সংস্কারাচ্ছন্ন হয় অজ্ঞ লোক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা সংস্কারাচ্ছন্ন' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'অজ্ঞ লোক' অব্যাপ্য। 


৫৬। যারা মিষ্ট কথা বলে, তারা সবাই মিষ্ট স্বভাবের নয়।

L.F. : O - কোন কোন ব্যক্তি যারা মিষ্ট কথা বলে নয় ব্যক্তি যারা মিষ্ট স্বভাবের। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা মিথ্যা কথা বলে'স্বভ অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘ব্যক্তি যারা মিষ্টি স্বভাবের' ব্যাপ্য।


৫৭। যে কোন দর্শনের ছাত্র ভাবুক। 

L.F. : A - সকল দর্শনের ছাত্র হয় ভাবুক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'দর্শনের ছাত্র' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ভাবুক' অব্যাপ্য।


৫৮। মানুষ কৃপণ।

L.F. : I -- কোন কোন মানুষ হয় কৃপণ। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ যথাক্রমে 'মানুষ', 'কৃপণ' অব্যাপ্য।


৫৯। ক্লাসে এস।

L.F. : A -  তোমার ক্লাসে আসা হয় আমার আদেশ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার ক্লাসে আসা' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'আমার আদেশ' অব্যাপ্য


৬০। এখন সকাল।

L.F. : A - সময়টি হয় সকাল। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘সময়টি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সকাল' অব্যাপ্য।


৬১। নিজে বড় হতে কেনা চায়? 

 L.F. : A - সকল মানুষ হয় এমন যারা বড় হতে চায়। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'এমন যারা বড় হতে চায়' অব্যাপ্য।


 ৬২। কেউই সঠিক উত্তর দাতা নয়।

L.F. : E - কোন ব্যক্তি নয় সঠিক উত্তর দাতা। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ও বিধেয় পদ ‘সঠিক উত্তরদাতা' উভয়ই ব্যাপ্য।

Read More