Friday, 21 November 2025

Phimosis এর হোমিও ও বায়োমেট চিকিৎসা

Leave a Comment

 ✅ Phimosis কী , এর হোমিও ও বায়োমেট চিকিৎসা


Phimosis হলো এমন অবস্থা যেখানে লিঙ্গের অগ্রচর্ম (foreskin) পিছনে টানা যায় না বা খুব কষ্টে টানা যায়।

এটি শিশু, কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্ক—সব বয়সেই হতে পারে।



---


✅ Phimosis এর প্রধান কারণ


🔹 ১) জন্মগত (Physiological Phimosis)


শিশুর ক্ষেত্রে সাধারণ, বয়স বাড়লে নিজে থেকেই সেরে যায় (৪–৭ বছর পর্যন্ত)।



🔹 ২) সংক্রমণ ও প্রদাহ (Balanitis / Balanoposthitis)


অপরিষ্কার যৌনাঙ্গ


ফাঙ্গাল ইনফেকশন (Candida)


ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন



🔹 ৩) আঘাত বা জোর করে টানার কারণে স্কার টিস্যু


ছোটবেলায় বা যৌন সম্পর্কে ফাটল → স্কার → চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়া।



🔹 ৪) Diabetes (সুগার)


সঙ্ক্রমণ বারবার হয় → foreskin শক্ত হয়ে যায়।



🔹 ৫) Dermatological রোগ


Lichen sclerosus (Balanitis xerotica obliterans – BXO) — চামড়া সাদা হয়ে শক্ত হয়ে যায়।




---


✅ Phimosis এর লক্ষণ


মূল লক্ষণ


অগ্রচর্ম পিছনে টানতে না পারা


টানলে ব্যথা


আগায় টান টানভাব


প্রস্রাবের সময় ব্যথা



অন্যান্য লক্ষণ


প্রস্রাব পাতলা ধারায় বের হওয়া


প্রস্রাব জমে বেলুনের মতো ফুলে ওঠা


চুলকানি


দুর্গন্ধ


বারবার ইনফেকশন


সেক্স করলে ব্যথা




---


⚠️ জরুরি লক্ষণ (ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন)


Paraphimosis – চামড়া পিছনে গিয়ে আটকে গেছে, সামনে ফিরছে না (জরুরি)


প্রস্রাব একেবারে বের না হওয়া


অগ্রচর্মে সাদা দাগ, শক্ত হয়ে যাওয়া


বারবার সংক্রমণ




---


🧪 Phimosis নির্ণয়ের মেডিকেল টেস্ট


সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা করলেই নিশ্চিত হওয়া যায়।

তবে কিছু ক্ষেত্রে নিচের টেস্ট করা হয়—


1) Urine R/M


ইনফেকশন বোঝার জন্য।


2) Blood Sugar Test


ডায়াবেটিস আছে কি না।


3) Swab Test


ফাঙ্গাল বা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন নির্ণয়।


4) Biopsy (বিশেষ ক্ষেত্রে)


লাইকেন স্ক্লেরোসিস (BXO) সন্দেহ হলে।



---


🏥 চিকিৎসা (Medical Treatment)


✔ অ-অস্ত্রোপচারের চিকিৎসা


1. Topical steroid cream (Betamethasone 0.05%)


দিনে ২ বার ৪–৬ সপ্তাহ


ধীরে ধীরে চামড়া নরম হয়




2. Antifungal cream



3. টানার অনুশীলন


জোর করে নয়


হালকা মৃদু টান দিনে ২–৩ বার





✔ শল্যচিকিৎসা (Circumcision / Preputioplasty)


যখন সম্পূর্ণ শক্ত হয়ে যায় / ইনফেকশন বারবার হয়।



---


🌿 Phimosis এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


⚠️ লক্ষণভেদে ওষুধ নির্বাচন জরুরি।


⭐ ১) Graphites 30 / 200


ফোরস্কিন মোটা, শক্ত, আঠালো স্রাব


ফাঙ্গাল ধরনের ইনফেকশন

ডোজ: 30 → দিনে ১–২ বার

200 → সপ্তাহে ১ বার



⭐ ২) Thuja Occidentalis 30 / 200


অগ্রচর্ম মোটা ও টানটান


HPV related warts থাকলে

ডোজ: 30 → দিনে ১ বার

200 → সপ্তাহে ১ বার



⭐ ৩) Nitric Acid 30


প্রস্রাবের মুখে ফাটল


টানলে রক্ত আসে

ডোজ: দিনে ১ বার



⭐ ৪) Merc Sol 30


স্রাব, দুর্গন্ধ, ইনফেকশন


চুলকানি

ডোজ: দিনে ১–২ বার



⭐ ৫) Sulphur 30


বারবার ইনফেকশন রিল্যাপ্স


ফাঙ্গাল tendency

ডোজ: সকালে ১ বার



⭐ ৬) Borax 30 (শিশুদের জন্য)


শিশুদের জন্মগত phimosis

ডোজ: দিনে ১ বার




---


🧴 বাহ্যিক ব্যবহার (External Care)


✔ Calendula Q (5–10 drops in lukewarm water)


দিনে ১–২ বার ওয়াশ।


✔ Tea tree oil (1 drop in coconut oil)


অ্যান্টিফাংগাল।


✔ Vaseline / coconut oil


চামড়া নরম রাখে।



---


🔰 অতিরিক্ত সাবধানতা/আনুষঙ্গিক বিষয়


জোর করে foreskin টানা যাবে না


গরম পানিতে স্নান


যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখা


ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণ করা


যৌন সম্পর্কে সুরক্ষা ব্যবহার


ইনফেকশন থাকলে যৌন সম্পর্ক করবেন না


tight underwear এড়িয়ে চলা




---


⚠️ ডিসক্লেমার


এই তথ্য সাধারণ শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে দেওয়া।

এটি ডাক্তারি পরামর্শ নয়।

ফোরস্কিন শক্ত হয়ে গিয়ে প্রস্রাব বাধা, রক্ত, ব্যথা, সাদা দাগ থাকলে অবশ্যই Specialist Urologist এর পরামর্শ নিতে হবে।

Read More

Saturday, 8 November 2025

Scabies (স্ক্যাবিস / খোসপাঁচড়া হোমিও এবং বায়োকেমিক চিকিৎসা

Leave a Comment

 🧫 রোগের নাম: Scabies (স্ক্যাবিস / খোসপাঁচড়া হোমিও এবং বায়োকেমিক চিকিৎসা


---


🔍 কারণ


এটি একটি সংক্রামক ত্বকের রোগ, যা হয় Sarcoptes scabiei নামের অণুবীক্ষণিক পরজীবী (mite) দ্বারা।


পরজীবীটি ত্বকের নিচে ঢুকে ডিম পাড়ে ও বংশবিস্তার করে।


ছড়ায়:


আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি ত্বক সংস্পর্শে আসলে


আক্রান্ত ব্যক্তির জামা, বিছানা, তোয়ালে ইত্যাদি ব্যবহার করলে





---


⚠️ লক্ষণ (Symptoms)


1. তীব্র চুলকানি, বিশেষ করে রাতে বেশি হয়



2. গুটির মতো ফুসকুড়ি, সাধারণত নিচের জায়গাগুলোতে বেশি:


আঙুলের ফাঁকে


কবজি, কনুই, কোমর


বগল, বুকের নিচে


যৌনাঙ্গের চারপাশে




3. শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ, মাথা, হাত-পায়েও দেখা যায়



4. দীর্ঘদিন untreated থাকলে ত্বকে খোসা, ঘা, ইনফেকশন হতে পারে





---


🧪 মেডিকেল টেস্ট


সাধারণত চিকিৎসক ত্বক পরীক্ষা করলেই নিশ্চিত হন। প্রয়োজনে—


Skin scraping test: আক্রান্ত স্থান থেকে চামড়ার সামান্য অংশ নিয়ে মাইক্রোস্কোপে Sarcoptes scabiei দেখা হয়।




---


💊 হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা


🔹 1. Sulphur 30 / 200


প্রধান স্ক্যাবিসের ওষুধ।


তীব্র চুলকানি, গরমে বাড়ে, রাতে অস্থিরতা — এই লক্ষণে কার্যকর।



🔹 2. Psorinum 200 / 1M


পুরনো, বারবার ফিরে আসা স্ক্যাবিসে।


নোংরা চামড়া, দুর্গন্ধ, খুব চুলকানি।



🔹 3. Graphites 30 / 200


ঘা বা ফাটার সাথে আঠালো পুঁজ বের হলে।



🔹 4. Arsenicum album 30


চুলকানি ও জ্বালাভাব একসাথে।


পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কিন্তু বারবার চুলকায়।



🔹 5. Hepar sulph 30


পুঁজ জমা বা সেকেন্ডারি ইনফেকশন হলে।




---


⚖️ বায়োকেমিক চিকিৎসা


(প্রতি ডোজ ৪টি ট্যাবলেট দিনে ৩ বার – উষ্ণ জলে)


1. Calc sulph 6x – ত্বকের ঘা শুকাতে সাহায্য করে



2. Nat mur 6x – ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি কমায়



3. Silicea 6x – সংক্রমণ নির্মূল করে




👉 মিকচার:

Calc sulph 6x + Nat mur 6x + Silicea 6x

দিনে ৩ বার ৪টি করে ট্যাবলেট উষ্ণ জলে



---


🧴 আনুষঙ্গিক বিষয়


আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের সবাইকে চিকিৎসা দিতে হয়


জামা, বিছানা, তোয়ালে গরম জলে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে


নখ ছোট রাখতে হবে


শিশুদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়




---


⚕️ ডিসক্লেমার


এই তথ্যটি সাধারণ শিক্ষা ও সচেতনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।

এটি কোনো চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়।

স্ক্যাবিস হলে সঠিক চিকিৎসার জন্য রেজিস্টার্ড হোমিও বা ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।


Read More

Friday, 7 November 2025

Diabetic Retinopathy (ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি) এর লক্ষণ কারণ মেডিকেল টেস্ট এবং হোমিও ও বায়োমেট চিকিৎসা

Leave a Comment

 👁️ Diabetic Retinopathy (ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি) এর লক্ষণ, কারণ, মেডিকেল টেস্ট এবং হোমিও ও বায়োমেট চিকিৎসা



---


🔹 লক্ষণ


দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া,

চোখে ভাসমান দাগ বা ছায়া (floaters) দেখা,

দৃষ্টির মধ্যে অন্ধকার বা ফাঁকা অংশ,

রাতে দেখা কঠিন হওয়া,

চোখে মাঝে মাঝে ব্যথা বা চাপ অনুভব,

দৃষ্টিশক্তি ক্রমে কমে যাওয়া।



---


🔹 বিবরণ


ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হলো একটি চোখের জটিলতা,

যা দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস (রক্তে শর্করা বৃদ্ধি) এর কারণে ঘটে।

এই অবস্থায় চোখের রেটিনার ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলো দুর্বল হয়ে যায়,

কখনও লিকেজ বা রক্তক্ষরণ ঘটে, আবার কখনও নতুন কিন্তু অস্বাভাবিক রক্তনালী তৈরি হয়।

এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে।



---


🔹 বায়োকেমিক চিকিৎসা


বায়োকেমিক চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো —

রেটিনার রক্তনালী মজবুত করা,

রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা,

অতিরিক্ত তরল বা রক্ত লিকেজ কমানো,

এবং প্রদাহ ও টিস্যুর দুর্বলতা হ্রাস করা।



---


🔹 ঔষধ ১


Calc fluor 6x


কাজ

রেটিনার রক্তনালী ও টিস্যু মজবুত করে।

রক্তনালীর ফাটল বা দুর্বলতা প্রতিরোধ করে।

দীর্ঘমেয়াদি রেটিনোপ্যাথিতে চোখের কোষের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে।


ডোজ

৪টি ট্যাবলেট, দিনে ২ বার।

জিহ্বার নিচে রেখে গলিয়ে খেতে হবে।



---


🔹 ঔষধ ২


Ferrum phos 6x


কাজ

রেটিনায় প্রদাহ ও congestion কমায়।

রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।

চোখের টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে।


ডোজ

৪টি ট্যাবলেট, দিনে ৩ বার।



---


🔹 ঔষধ ৩


Kali mur 6x


কাজ

রেটিনার রক্তক্ষরণ ও ফোলাভাব কমায়।

রেটিনায় জমে থাকা তরল শোষণে সাহায্য করে।

রেটিনাল কোষের পুনর্গঠনে সহায়ক।


ডোজ

৪টি ট্যাবলেট, দিনে ৩ বার।



---


🔹 ঔষধ ৪


Natrum sulph 6x


কাজ

রক্ত ও টিস্যুর অতিরিক্ত তরল নির্গমনে সাহায্য করে।

রেটিনায় জমে থাকা তরল ও প্রদাহ কমায়।

চোখ ভারি বা ফুলে গেলে উপকারী।


ডোজ

৪টি ট্যাবলেট, দিনে ২ বার।



---


🔹 ঔষধ ৫


Silicea 6x


কাজ

রেটিনার কোষ পুনর্গঠন করে।

দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহে টিস্যুর শক্তি ও প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

চোখের টিস্যু পুনরুদ্ধারে সহায়ক।


ডোজ

৪টি ট্যাবলেট, দিনে ১ থেকে ২ বার।



---


🔹 ঔষধ ৬


Calc phos 6x


কাজ

চোখের টিস্যু ও কোষে পুষ্টি জোগায়।

দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিসে দুর্বলতা প্রতিরোধ করে।

চোখের গঠন পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।


ডোজ

৪টি ট্যাবলেট, দিনে ২ বার।



---


🔹 আনুষঙ্গিক নির্দেশনা


১. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

২. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করে নিয়ন্ত্রণ করুন।

৩. প্রতি ৬ মাসে একবার চক্ষু পরীক্ষা (Fundus / OCT) করান।

৪. অতিরিক্ত মিষ্টি, তেল ও ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।

৫. চোখে বিশ্রাম দিন, পর্যাপ্ত ঘুম নিন।

৬. ধূমপান ও মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করুন।



---


🔹 ডিসক্লেইমার


এই চিকিৎসা শুধুমাত্র সহায়ক ও তথ্যগত উদ্দেশ্যে।

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি একটি গুরুতর ও ক্রমবর্ধমান রোগ।

দৃষ্টিশক্তি রক্ষার জন্য অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিতে হবে।

নিজে নিজে ওষুধ পরিবর্তন বা বন্ধ করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

Read More

Retinal Edema (রেটিনাল ফোলাভাব) এর লক্ষণ, কারণ, পরীক্ষা, হোমিও ও বায়োকেমিক চিকিৎসা

Leave a Comment

 Retinal Edema (রেটিনাল ফোলাভাব) এর লক্ষণ, কারণ, পরীক্ষা, হোমিও ও বায়োকেমিক চিকিৎসা



---


👁️ সংজ্ঞা (Definition)


Retinal Edema বা রেটিনাল ফোলাভাব হলো চোখের রেটিনার টিস্যুতে (বিশেষত macula বা কেন্দ্রীয় অংশে) তরল জমে যাওয়া বা সেল ফোলা অবস্থা।

এর ফলে দৃষ্টি ঝাপসা, বিকৃত বা অস্পষ্ট হয়ে যায়।


👉 এটি অনেক সময় ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, ভাস্কুলার লিকেজ বা প্রদাহের কারণে হয়।



---


⚠️ কারণ (Causes)


রেটিনাল ফোলাভাব সাধারণত নিচের প্রধান কারণগুলো থেকে হয় —


1. Diabetic Retinopathy — রক্তে শর্করা বেশি থাকলে রেটিনার কেশিক নালিগুলো ফুটো হয়ে তরল বেরিয়ে আসে।



2. Retinal Vein Occlusion (RVO) — চোখের রক্তনালী ব্লক হয়ে রক্ত ও তরল জমে যায়।



3. Hypertension (উচ্চ রক্তচাপ)



4. Post-surgical বা Inflammatory causes — চোখের সার্জারি বা প্রদাহের পর।



5. Central Serous Retinopathy (CSR)



6. Injury বা Trauma



7. Age-related Macular Degeneration (AMD)





---


🌫️ লক্ষণ (Symptoms)


প্রধান লক্ষণ বিবরণ


👁️ দৃষ্টি ঝাপসা বা বিকৃত জিনিস বাঁকা বা বাকা দেখা যায়

🔆 রঙ ফিকে বা ম্লান দেখা কালার পার্থক্য বোঝা কমে

⚫ কেন্দ্রে অন্ধকার দাগ (dark spot) Macular edema-র সময় বেশি হয়

💡 আলোতে ঝলকানি বা glare আলো সহ্য হয় না

📖 পড়তে কষ্ট অক্ষর বিকৃত বা ডাবল দেখা

🕶️ চোখ ভারি বা টান লাগে রেটিনাল চাপ বেড়ে গেলে




---


🧪 মেডিকেল টেস্ট (Diagnostic Tests)


রেটিনাল এডিমা শনাক্ত করতে নিম্নলিখিত পরীক্ষা করা হয় 👇


1. OCT (Optical Coherence Tomography)

➜ রেটিনার স্তরে তরল কতটা জমেছে তা নির্দিষ্টভাবে দেখা যায়।



2. Fundus Examination

➜ চোখের পেছনের অংশে ফোলাভাব দেখা যায়।



3. Fluorescein Angiography

➜ রক্তনালির ফুটো বা লিকেজ শনাক্ত হয়।



4. Blood Sugar & Blood Pressure Test

➜ কারণ নির্ণয়ে সাহায্য করে।





---


🌿 হোমিও চিকিৎসা (Homeopathic Remedies)


হোমিও চিকিৎসায় মূল লক্ষ্য হলো —

🔹 রেটিনার তরল শোষণ,

🔹 প্রদাহ কমানো,

🔹 ও রক্তনালির প্রাচীর মজবুত করা।


নিচে কিছু প্রমাণিত রেমেডি দেওয়া হলো 👇



---


1️⃣ Apis mellifica 30 / 200


রেটিনায় ফোলাভাব, জল জমা


চোখে জ্বালা, পোড়া অনুভূতি


ঠান্ডা জিনিসে আরাম, গরমে বাড়ে

💧 ৫ ফোঁটা, দিনে ২ বার




---


2️⃣ Phosphorus 30 / 200


আলো দেখলে ঝলসায়, রঙ ফিকে দেখা


রেটিনার সেল দুর্বলতা বা ক্ষয় হলে

💧 দিনে ১ বার, রাতে ঘুমের আগে




---


3️⃣ Belladonna 30


চোখ লাল, ব্যথা, আলো সহ্য না হওয়া


তীব্র প্রদাহ থাকলে উপকারী

💧 দিনে ৩ বার




---


4️⃣ Gelsemium sempervirens 200


মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণে দৃষ্টি ঝাপসা


চোখ ভারি লাগে

💧 দিনে ১ বার (বিকেলে)




---


5️⃣ Arnica montana 30


আঘাত বা চাপে রেটিনার ক্ষতি হলে

💧 দিনে ২ বার




---


💊 বায়োকেমিক চিকিৎসা (Biochemic Remedies)


ওষুধ কাজ ডোজ


Kali mur 6x ফোলাভাব কমায় ও তরল শোষণ ঘটায় ৪ ট্যাবলেট, দিনে ৩ বার

Natrum sulph 6x টিস্যুতে জমে থাকা জল দূর করে ৪ ট্যাবলেট, দিনে ২ বার

Calc fluor 6x রেটিনার কোষ ও টিস্যু মজবুত করে ৪ ট্যাবলেট, দিনে ২ বার



👉 সবগুলো একসঙ্গে নেওয়া যেতে পারে; খাবার থেকে ৩০ মিনিট আগে বা পরে।



---


🌸 আনুষঙ্গিক নির্দেশনা (Adjunct Measures)


1. চোখের বিশ্রাম দিন — দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনে তাকানো এড়িয়ে চলুন।



2. রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।



3. লবণ ও ক্যাফেইন কমান।



4. ধূমপান, মদ্যপান সম্পূর্ণ পরিহার করুন।



5. পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক বিশ্রাম নিন।



6. চোখের বিশেষজ্ঞের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ (OCT follow-up) করুন।





---


⚖️ ডিসক্লেইমার (Disclaimer)


এই তথ্যটি শুধুমাত্র শিক্ষা ও তথ্যগত উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।

এটি কোনোভাবে চিকিৎসকের বিকল্প নয়।

Retinal edema একটি সংবেদনশীল চোখের সমস্যা, যা দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি করতে পারে —

তাই চিকিৎসা শুরু করার আগে ও চলাকালীন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও হোমিও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান অপরিহার্য।

নিজে নিজে ওষুধ পরিবর্তন বা বন্ধ করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

Read More

Central Serous Retinopathy (CSR) এর— সংজ্ঞা, কারণ, লক্ষণ, মেডিকেল টেস্ট, হোমিও ও বায়োকেমিক চিকিৎসা

Leave a Comment

 Central Serous Retinopathy (CSR) সম্পর্কে সম্পূর্ণ বাংলা বিবরণ দেওয়া হলো — সংজ্ঞা, কারণ, লক্ষণ, মেডিকেল টেস্ট, হোমিও ও বায়োকেমিক চিকিৎসা


🩸 সংজ্ঞা (Definition)


Central Serous Retinopathy (CSR) হলো এক ধরনের রেটিনার রোগ, যেখানে রেটিনার নিচে (Retinal pigment epithelium এর নিচে) তরল জমে গিয়ে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।

এটি সাধারণত রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশ (macula)-কে প্রভাবিত করে, যেখানে চোখের সবচেয়ে সূক্ষ্ম দৃষ্টি হয়।



---


👁️ লক্ষণ (Symptoms)


CSR-এর প্রধান লক্ষণগুলো হলো:


1. দৃষ্টির ঝাপসা বা বিকৃতি (Blurring or distorted vision)



2. চোখে সোজা রেখা বাঁকা দেখা যায়



3. কোনো অংশে অন্ধকার দাগ (Dark or grey spot)



4. জিনিস ছোট বা বড় দেখা (micro- বা macropsia)



5. আলো সহ্য না হওয়া



6. রঙ ফিকে দেখা



7. কখনও কখনও এক চোখেই বেশি সমস্যা দেখা দেয়





---


⚠️ কারণ (Causes)


CSR সাধারণত স্ট্রেস ও হরমোনাল ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে যুক্ত। প্রধান কারণগুলো হলো —


1. মানসিক চাপ বা উদ্বেগ (Stress, anxiety)



2. Cortisol হরমোন বেড়ে যাওয়া (স্ট্রেস হরমোন)



3. দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়া (inhaler, cream, tablet)



4. ঘুমের সমস্যা / ঘুমের অভাব



5. উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস



6. ধূমপান ও মদ্যপান



7. Type-A ব্যক্তিত্ব (অতিরিক্ত পরিশ্রমী, স্ট্রেসপ্রবণ মানুষ)





---


🧪 মেডিকেল টেস্ট ও নির্ণয় (Diagnosis)


CSR নিশ্চিত করতে নিচের পরীক্ষা দরকার হয়:


1. OCT (Optical Coherence Tomography)

→ রেটিনার স্তরে তরল কোথায় জমেছে, কতটা, তা দেখা যায়।



2. Fundus Examination

→ চোখের পেছনের অংশে ফোলাভাব দেখা যায়।



3. Fluorescein Angiography

→ রেটিনার রক্তনালির ফুটো বা লিকেজ দেখা হয়।





---


🌿 হোমিও চিকিৎসা (Homeopathic Remedies)


CSR সাধারণত মানসিক চাপ বা স্নায়বিক ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে যুক্ত, তাই হোমিও চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রিত মানসিক শান্তি ও রেটিনার তরল শোষণ — এই দুই দিকেই জোর দেওয়া হয়।


1️⃣ Gelsemium sempervirens 200


মানসিক চাপ বা ভয়, উদ্বেগ থেকে চোখে সমস্যা


দৃষ্টি ঝাপসা, চোখ ভারি লাগে

💧 ৫ ফোঁটা, দিনে ২ বার



2️⃣ Phosphorus 30 / 200


রেটিনার কোষ দুর্বল বা ফোলাভাবের প্রবণতা


আলো সহ্য হয় না, রঙ ফিকে দেখা

💧 দিনে ১ বার



3️⃣ Arnica montana 30


চোখে আঘাত বা পরিশ্রমজনিত ফোলাভাব

💧 দিনে ২ বার



4️⃣ Belladonna 30


চোখ লাল, ব্যথা, আলোতে অসুবিধা

💧 দিনে ৩ বার



5️⃣ Nux vomica 200


অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অফিস বা কাজের স্ট্রেস, অনিদ্রা

💧 রাতে ঘুমের আগে ৫ ফোঁটা




---


💊 বায়োকেমিক রেমেডি (Biochemic Medicines)


1️⃣ Kali mur 6x


রেটিনায় জমে থাকা তরল শোষণে সহায়তা করে

💊 ৪টি ট্যাবলেট, দিনে ৩ বার



2️⃣ Natrum sulph 6x


শরীরে ও টিস্যুতে জল জমার প্রবণতা দূর করে

💊 ৪টি ট্যাবলেট, দিনে ২ বার



3️⃣ Calc fluor 6x


রেটিনার কোষ ও টিস্যু শক্ত করে

💊 ৪টি ট্যাবলেট, দিনে ২ বার




---


🌼 আনুষঙ্গিক পরামর্শ (Adjunct Measures)


1. মানসিক চাপ কমান — মেডিটেশন, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন করুন।



2. পর্যাপ্ত ঘুম নিন (৬–৮ ঘণ্টা)।



3. স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শে বন্ধ করুন।



4. চোখে অতিরিক্ত আলো বা স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকা এড়িয়ে চলুন।



5. পরিমিত জলপান করুন ও লবণ কমান।



6. নিয়মিত eye specialist এর ফলো-আপ করুন।





---


⚖️ ডিসক্লেইমার (Disclaimer)


এই তথ্যটি শুধুমাত্র শিক্ষা ও তথ্যগত উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।

এটি কোনও চিকিৎসা প্রেসক্রিপশন নয়।

CSR একটি সূক্ষ্ম চক্ষু-রোগ — তাই চোখের অবস্থা ও রিপোর্ট অনুযায়ী

চিকিৎসা শুধুমাত্র যোগ্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শে শুরু করা উচিত।

Read More

Papular Itching (প্যাপুলার ইচিং) এর লক্ষণ কারণ মেডিকেল টেস্ট হোমিও এবং বায়োকেমিক চিকিৎসা

Leave a Comment

 Papular Itching (প্যাপুলার ইচিং) এর লক্ষণ কারণ মেডিকেল টেস্ট হোমিও এবং বায়োকেমিক চিকিৎসা 


বাংলা নাম: গুটিকাযুক্ত চুলকানি


⚠️ লক্ষণ (Symptoms):


ত্বকে ছোট ছোট গুটি (papules) ওঠে


প্রচণ্ড চুলকানি হয়, বিশেষ করে রাতে বা গরমে


গুটি চুলকালে ঘা বা দাগ হয়ে যায়


জায়গাটি লাল, ফোলা বা গরম অনুভূত হয়


দীর্ঘদিনে জায়গাটি কালো বা মোটা হয়ে যায় (lichenification)


সাধারণত হাত, পা, পিঠ, ঘাড়, বুক বা কোমরে বেশি দেখা যায়




---


🧬 কারণ (Causes):


অ্যালার্জি (খাবার, পোশাক, ডিটারজেন্ট, ধুলো, ঘাম ইত্যাদি থেকে)


ইনসেক্ট বাইট বা পোকামাকড়ের কামড়


শুষ্ক ত্বক বা একজিমার প্রবণতা


লিভার বা কিডনির সমস্যা (অভ্যন্তরীণ চুলকানি)


মানসিক স্ট্রেস বা উদ্বেগ


রক্তে ইউরিয়া বা বিলিরুবিন বৃদ্ধি


কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া




---


🧪 মেডিকেল টেস্ট (Medical Tests):


(রোগ দীর্ঘদিন থাকলে বা সার না হলে করানো উচিত)


1. CBC – সংক্রমণ বা অ্যালার্জির ইঙ্গিত পেতে



2. LFT (Liver Function Test) – লিভারজনিত চুলকানি বুঝতে



3. RFT (Renal Function Test) – কিডনি সমস্যা থাকলে



4. Allergy Test / IgE Test – অ্যালার্জির উৎস জানার জন্য



5. Skin Scraping / Biopsy – সন্দেহজনক ত্বকের ক্ষেত্রে



🌿 হোমিওপ্যাথি ঔষধসমূহ


1️⃣ Sulphur 30 / 200


লক্ষণ:

ত্বকে পুরোনো চুলকানি, খোঁচালে জ্বালা বা জ্বালাপোড়া হয়, গরমে চুলকানি বাড়ে, ত্বক শুকনো ও রুক্ষ।

ডোজ:


30 potency → ৩ ফোঁটা করে দিনে ২ বার


200 potency → সপ্তাহে ১ দিন ১ ডোজ




---


2️⃣ Graphites 30


লক্ষণ:

ত্বক মোটা, শুকনো, ফেটে যায়, খোসা ওঠে ও আঠালো নিঃসরণ হয়, রাতে চুলকানি বাড়ে।

ডোজ:

৩ ফোঁটা করে দিনে ২ বার



---


3️⃣ Rhus Toxicodendron 30


লক্ষণ:

স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বা ঘাম হওয়ার পর চুলকানি বাড়ে, ছোট ছোট গুটি ও ফুসকুড়ি দেখা যায়, চুলকালে আরাম লাগে।

ডোজ:

৩ ফোঁটা করে দিনে ২ বার



---


4️⃣ Arsenicum Album 30


লক্ষণ:

রাতে চুলকানি বেশি, জ্বালাপোড়া সহ চুলকানি, ঘামলে বা ঠান্ডা লাগলে বাড়ে, অস্থিরতা ও ঘুমের ব্যাঘাত হয়।

ডোজ:

৩ ফোঁটা করে দিনে ২ বার



---


5️⃣ Mezereum 30


লক্ষণ:

ত্বকে ছোট ছোট ফোসকার মতো র‍্যাশ, শুকালে খোসা পড়ে যায়, চুলকালে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হয়।

ডোজ:

৩ ফোঁটা করে দিনে ২ বার



---


6️⃣ Psorinum 200


লক্ষণ:

দীর্ঘদিনের বা পুনঃপুন চুলকানি, শরীর ময়লা বা দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম হয়, অ্যালার্জি প্রবণ ত্বকে বেশি হয়।

ডোজ:

সপ্তাহে ১ দিন ১ ডোজ (রাতে ঘুমের আগে)



---


💊 বায়োকেমিক ঔষধসমূহ


1️⃣ Natrum Mur 6x


লক্ষণ:

শুষ্ক ত্বক, অ্যালার্জিজনিত চুলকানি, রোদ বা গরমে বাড়ে।

ডোজ:

৪টা ট্যাবলেট করে দিনে ৩ বার, উষ্ণ জলে।



---


2️⃣ Calcarea Sulph 6x


লক্ষণ:

ফুসকুড়ি বা ঘা থেকে পুঁজ বের হয়, ত্বক ফুলে থাকে বা দাগ হয়।

ডোজ:

৪টা ট্যাবলেট করে দিনে ৩ বার।



---


3️⃣ Ferrum Phos 6x


লক্ষণ:

ত্বকের প্রদাহ, লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া কমায়।

ডোজ:

৪টা ট্যাবলেট করে দিনে ৩ বার।



---


4️⃣ Kali Mur 6x


লক্ষণ:

ত্বকের গুটি বা র‍্যাশ ধীরে ধীরে শুকাতে সাহায্য করে।

ডোজ:

৪টা ট্যাবলেট করে দিনে ৩ বার।



---


5️⃣ Silicea 6x


লক্ষণ:

পুরোনো চুলকানি, কালো দাগ বা শুকনো ঘা সারাতে সাহায্য করে।

ডোজ:

৪টা ট্যাবলেট করে দিনে ৩ বার।



---


🩺 আনুষঙ্গিক নির্দেশ:


ত্বক পরিষ্কার রাখুন, অতিরিক্ত সাবান বা গরম জল ব্যবহার করবেন না


আঁটসাঁট বা সিন্থেটিক পোশাক পরবেন না


অ্যালার্জি বাড়ায় এমন খাবার (ডিম, গরুর মাংস, চিংড়ি, তেল-মসলা) পরিহার করুন


প্রচুর জল পান করুন




⚖️ ডিসক্লেইমার:


এই তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।

নিজের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণের আগে যোগ্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


Read More

Monday, 3 November 2025

Ganglion Cyst beside Achilles Tendon –এর হোমিও ও বায়োকেমিক চিকিৎসা

Leave a Comment

 



🩺 Ganglion Cyst beside Achilles Tendon –(অ্যাকিলিস টেন্ডনের পাশে গ্যাংলিয়ন সিস্ট / তরলভরা গাঁট) হোমিও ও বায়োকেমিক চিকিৎসা


🧬 কারণ (Causes):


1️⃣ Repeated strain বা ঘর্ষণ:


Achilles tendon বা গোড়ালিতে বারবার চাপ, হাঁটা, দৌড়ানো, বা শক্ত জুতো পরা।



2️⃣ Injury বা micro-trauma:


ছোটখাটো ইনজুরি বা আঘাতের পর টিস্যু থেকে তরল জমে যায়।



3️⃣ Tendon sheath বা joint capsule-এর দুর্বলতা:


আশেপাশের টিস্যুর ভিতরের জেলি-সদৃশ তরল বাইরে বেরিয়ে থলির মতো cyst তৈরি করে।



4️⃣ Chronic inflammation:


দীর্ঘদিনের প্রদাহে বা যেকোনো soft tissue degeneration-এ cyst গঠন।




---


🩹 লক্ষণ (Symptoms):


সাধারণ লক্ষণ বর্ণনা


ফোলাভাব গোড়ালির পেছনে বা পাশে গোল বা ডিম্বাকার গাঁট

নরম/কঠিন অনুভূতি শুরুতে নরম, পরে একটু শক্ত লাগে

ব্যথা চাপ দিলে ব্যথা হতে পারে বা হাঁটলে টান লাগে

নড়াচড়ায় অসুবিধা টান পড়লে গোড়ালির নড়াচড়ায় অস্বস্তি

ত্বকে লালচে ভাব কখনো হালকা প্রদাহ হলে দেখা যায়




---


🧪 চিকিৎসা-পূর্ব মেডিকেল টেস্ট (Medical Tests):


1️⃣ Ultrasound (USG):


cyst-এর ভেতরে তরল আছে কিনা, solid অংশ আছে কিনা বোঝা যায়।

(আপনার রিপোর্টে যেমন solid + cystic lesion দেখা গেছে)



2️⃣ MRI (Magnetic Resonance Imaging):


গাঁটের প্রকৃতি, tendon involvement, ও পার্শ্ববর্তী টিস্যুর অবস্থা জানতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।



3️⃣ FNAC (Fine Needle Aspiration Cytology):


প্রয়োজনে সূচ ঢুকিয়ে তরল বের করে microscopic পরীক্ষা করা হয়, benign বা অন্য কিছু বোঝার জন্য।



🌿 হোমিও ঔষধ (Homeopathic Medicines)



---


🧴 1️⃣ Thuja occidentalis Q


কাজ:

– cyst, wart, fibroma বা যেকোনো টিস্যু বৃদ্ধি শোষণ করে।

– ganglion-এর তরল শুকাতে সাহায্য করে ও পুনরায় না হতে দেয়।

ডোজ:

– ১০ ফোঁটা ½ কাপ জলে মিশিয়ে দিনে ২ বার (সকাল ও বিকেলে), খাবারের ৩০ মিনিট আগে।



---


🌿 2️⃣ Ruta graveolens Q


কাজ:

– tendon, ligament ও হাড়ের সংযোগস্থলে প্রদাহ কমায়।

– আঘাতজনিত বা strain-জনিত টান ও ব্যথায় উপকারী।

ডোজ:

– ১০ ফোঁটা ½ কাপ জলে দিনে ২ বার, খাবারের পরে।



---


🌿 3️⃣ Symphytum officinale Q


কাজ:

– আঘাতের পর টিস্যু পুনর্গঠন করে।

– নরম টিস্যু বা হাড়ের আশেপাশে ক্ষত দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।

ডোজ:

– ৫ ফোঁটা ½ কাপ জলে দিনে ২ বার, খাবারের পরে।



---


🌿 4️⃣ Conium maculatum 30


কাজ:

– ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা শক্ত গাঁট বা lump-এ কার্যকর।

– ব্যথাহীন বা সামান্য শক্ত ফোলা নরম করে দেয়।

ডোজ:

– ৫ ফোঁটা দিনে ২ বার (সকাল ও রাতে) ১৫ দিন পর্যন্ত।



---


🌿 5️⃣ Silicea 30 / 12x


কাজ:

– cyst বা abscess শুকিয়ে দিতে সাহায্য করে।

– টিস্যুতে জমে থাকা তরল নিষ্কাশনে উপকারী।

ডোজ:

– ৫ ফোঁটা দিনে ২ বার, বা ট্যাবলেট হলে ৪টি দিনে ২ বার।



---


⚖️ বায়োকেমিক চিকিৎসা (Biochemic Remedies)



---


💊 1️⃣ Calcarea fluorica 6x


কাজ:

– শক্ত গাঁট, cyst, বা হাড়ের পাশে জমাট টিস্যু নরম করে।

– টেন্ডনের শক্তভাব কমায়।

ডোজ:

– ৪টি ট্যাবলেট দিনে ৩ বার (সকাল, দুপুর, রাত)।



---


💊 2️⃣ Silicea 6x


কাজ:

– তরলভরা cyst শুকিয়ে দেয়, টিস্যুর পরিশোধন করে।

– পুরনো পুঁজ বা প্রদাহও বের করে আনে।

ডোজ:

– ৪টি ট্যাবলেট দিনে ২ বার (সকাল ও বিকেলে)।



---


💊 3️⃣ Natrum sulphuricum 6x


কাজ:

– শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত তরল শোষণ করে।

– প্রদাহ কমায় ও cyst shrink করতে সহায়তা করে।

ডোজ:

– ৪টি ট্যাবলেট রাতে ১ বার।



---


💊 (বিকল্পভাবে)


এই তিনটি (Calc. fluor 6x + Silicea 6x + Nat. sulph 6x)

একসাথে একটি মিশ্রণ হিসেবে খাওয়া যায় —

প্রতিটির ৪টি ট্যাব একসাথে দিনে ২ বার (সকাল ও সন্ধ্যা)।



---


💧 হোমিও মিকচার (১৫ দিনের কোর্স)


একটি ৩০ মি.লি. বোতলে নিচের মাদার টিংচারগুলো মিশিয়ে নিনঃ


Thuja Q — 10 ml


Ruta Q — 10 ml


Symphytum Q — 5 ml



ডোজ:

১৫ ফোঁটা ½ কাপ জলে মিশিয়ে দিনে ২ বার (সকাল-বিকেল) খাবারের আধা ঘণ্টা আগে।



---


🧘‍♂️ আনুষঙ্গিক বিষয়:


পায়ে অতিরিক্ত চাপ বা দৌড়ানো বন্ধ রাখুন।


নরম ও heel-cushion দেওয়া জুতো পরুন।


গরম সেঁক দেবেন না।


কুসুম গরম জলে হালকা ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার রাখুন।


ব্যথা থাকলে বিশ্রাম দিন।


⚠️ Disclaimer 


> এই চিকিৎসা-পরামর্শটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।

এটি কোনোভাবে নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথ বা চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়।

ফোলা হঠাৎ বাড়লে, ব্যথা বা লালভাব দেখা দিলে, বা গাঁট শক্ত হলে

MRI / FNAC করে নিশ্চিত রোগনির্ণয় জরুরি।



Read More