🧠 মাথায় আঘাতের পর ধাপে ধাপে হোমিও চিকিৎসা পরিকল্পনা
🩹 ১️⃣ প্রথম ধাপ – আঘাতের পরপর (তাজা আঘাত)
ঔষধ: Arnica montana 30C বা 200C
লক্ষণ:
মাথা বা শরীরে ধাক্কা, ফোলা, ব্যথা, অজ্ঞান হওয়া বা আঘাতের ধাক্কা।
“সব ঠিক আছে” মনে হলেও ভিতরে ক্লান্তি বা ঘুম ঘুম ভাব।
ডোজ:
30C হলে প্রতি ২–৩ ঘণ্টা অন্তর ১ ডোজ (৩–৪ বার পর্যন্ত)।
200C হলে দিনে ২ বার, ২ দিন।
ফোলা বা ব্যথা কমে গেলে বন্ধ করুন।
---
🤢 ২️⃣ দ্বিতীয় ধাপ – বমি, বমি ভাব বা মাথা ঘোরা দেখা দিলে
ঔষধ: Ipecacuanha 30C
লক্ষণ:
বমি হচ্ছে বা লাগছে, কিন্তু বমির পরও আরাম হচ্ছে না।
মুখে জল, জিহ্বা পরিষ্কার, দুর্বলতা নেই।
Arnica খাওয়ার পরও বমি হয়েছে বা পেট খারাপ লাগছে।
ডোজ:
১ ডোজ (২–৩ ফোঁটা বা ২টি গ্লোবিউল)
দিনে ২ বার পর্যন্ত।
বমি বন্ধ হলে ওষুধ বন্ধ করুন।
বিকল্প: যদি বমির সঙ্গে পেটের জ্বালা, খিটখিট ভাব, বা হজমের সমস্যা থাকে → Nux vomica 30C ভালো কাজ করে।
---
😵 ৩️⃣ তৃতীয় ধাপ – মাথা ভার, মাথা ঘোরা বা অস্পষ্ট ভাব
ঔষধ: Cocculus indicus 30C
লক্ষণ:
মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো, চোখে অন্ধকার দেখা।
চলাফেরা করলে বমি লাগে।
ডোজ: দিনে ২ বার ১ ডোজ করে ২–৩ দিন।
---
😴 ৪️⃣ চতুর্থ ধাপ – আঘাতের পরে ঘুম ঘুম ভাব বা সাড়া কমে যাওয়া
ঔষধ: Opium 30C বা Natrum sulph 30C
লক্ষণ:
হালকা অচেতনতা বা মনোযোগ কম, কথা ধীরে ধীরে আসে, বাচ্চা ঘুমাতে চায়।
আঘাতের ১–২ দিন পরও মন ভারী লাগে।
ডোজ: দিনে ১–২ বার, ২ দিন পর্যন্ত।
---
💧 ৫️⃣ সহায়ক যত্ন:
শিশুকে শান্ত জায়গায় বিশ্রামে রাখুন।
জোর আলো, শব্দ, মোবাইল, টিভি বন্ধ রাখুন।
ওআরএস বা জল অল্প অল্প করে দিন।
মাথায় বরফ ঠান্ডা ভেজা কাপড় দিতে পারেন (যদি ফোলা থাকে)।
---
⚠️ ডাক্তার দেখানোর জরুরি লক্ষণ:
👉 নিচের যেকোনোটি হলে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যান:
বারবার বমি বা বমির সঙ্গে ঘুম ঘুম ভাব
চোখ কটমট করা বা চোখে স্থির দৃষ্টি
অজ্ঞান হওয়া বা কথা অস্পষ্ট হওয়া
হাত-পা কাঁপা, খিঁচুনি
আচরণ বদলে যাওয়া বা খুব চুপচাপ হয়ে যাওয়া
🏷️ সারাংশ:
Arnica – আঘাতের প্রথম ধাপে
Ipecac – বমির জন্য
Nux vomica / Cocculus – মাথা ঘোরা বা অস্বস্তির জন্য
Opium / Natrum sulph – মনোযোগ বা ঘুম ঘুম ভাবের জন্য
---
ডিসক্লেইমার:
এই তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে। গুরুতর আঘাত বা বমি, অচেতনতা, খিঁচুনি, দৃষ্টির সমস্যা ইত্যাদি হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।