প্রশ্ন: মিলের অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
[সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত ,সুবিধা (দুটি), অসুবিধা (দুটি) ] ১+২+১+২+২= ৮
অথবা,
"যখনই আমি সকালে বেড়াতে যাই তখনই আমার ডান্ডা লাগে, আর যখন আমি বেড়াতে যাই না তখন আমার ঠান্ডা লাগে না। সুতরাং সকালে বেড়াতে যাওয়াই আমার ঠান্ডা লাগার কারণ।" - এই যুক্তিটিতে মিলের কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে ? পদ্ধতিটির ব্যাখ্যা কর।
(চিহ্নিতকরণ, সংজ্ঞা, আকার, সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি) ১+২+১+২+২=৮
[সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত ,সুবিধা (দুটি), অসুবিধা (দুটি) ] ১+২+১+২+২= ৮
অথবা,
"যখনই আমি সকালে বেড়াতে যাই তখনই আমার ডান্ডা লাগে, আর যখন আমি বেড়াতে যাই না তখন আমার ঠান্ডা লাগে না। সুতরাং সকালে বেড়াতে যাওয়াই আমার ঠান্ডা লাগার কারণ।" - এই যুক্তিটিতে মিলের কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে ? পদ্ধতিটির ব্যাখ্যা কর।
(চিহ্নিতকরণ, সংজ্ঞা, আকার, সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি) ১+২+১+২+২=৮
উত্তর:
চিহ্নিতকরণ: প্রশ্নে উদ্বৃত যুক্তিটিতে মিলের সংযুক্ত পদ্ধতি অর্থাৎ অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
সংজ্ঞা: "আলোচ্য ঘটনাটি উপস্থিত আছে এমন দুই বা ততোধিক সদর্থক দৃষ্টান্তে যদি একটিমাত্র ঘটনা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে এবং আলোচ্য ঘটনাটি উপস্থিত নেই এমন দুই বা ততোধিক নঞর্থক দৃষ্টান্তে যদি সেই সাধারণ ঘটনাটি অনুপস্থিত থাকে তাহলেই কেবল যে সাধারণ ঘটনাটির জন্য দুই প্রকার দৃষ্টান্ত গুচ্ছের মধ্যে পার্থক্য থাকে তবে সেই সাধারণ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কারণ বা কার্য বা কারণের অনিবার্য অংশ।"
অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতির আকার:
সদর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছ
দৃষ্টান্ত পূর্ববর্তী ঘটনা অনুবর্তী ঘটনা
১ নং ABC abc
২ নং ACD acd
৩ নং. ADE ade
নঞর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছ
দৃষ্টান্ত পূর্ববর্তী ঘটনা পরবর্তী ঘটনা
১ নং BCD bcd
২ নং. DEF def
৩ নং EFG efg
সুতরাং A হল a -এর কারণ।
অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতির দৃষ্টান্ত: অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতির বাস্তব উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত হলো:
সদর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছ
দৃষ্টান্ত পূর্ববর্তী ঘটনা পরবর্তী ঘটনা
১নং সকালে বেড়াতে ঠান্ডা লেগেছে
গিয়েছি , বর্ষাকাল,
মেঘলা আকাশ
২নং সকালে বেড়াতে ঠান্ডা লেগেছে
গিয়েছি, শরৎকাল,
আকাশ পরিষ্কার
৩নং সকালেই বেড়াতে ঠান্ডা লেগেছে
গিয়েছি, আকাশ পরিষ্কার,
শীতকাল
নঞর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছ
দৃষ্টান্ত পূর্ববর্তী ঘটনা পরবর্তী ঘটনা
১নং সকালে বেড়াতে যাইনি ঠান্ডা লাগেনি
২নং সকালে বেড়াতে যাইনি ঠান্ডা লাগেনি
৩নং সকালে বেড়াতে যাইনি ঠান্ডা লাগেনি
সুতরাং সকালে বেড়াতে যাওয়া হল ঠান্ডা লাগার কারণ।
অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধা: এই পদ্ধতির দুটি সুবিধা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(১) যেসব ক্ষেত্রে ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না সেই সব ক্ষেত্রে অন্বয়ী- ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত গঠন করা যায়।
(২) এই পদ্ধতির সাহায্যে যেমন কার্য থেকে কারণকে অনুমান করা যায় তেমনি কারণ থেকে কার্যকেও অনুমান করা যায়।
অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতির অসুবিধা: এই পদ্ধতির দুটি অসুবিধা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(১) এই পদ্ধতির সাহায্যে অপ্রয়োজনীয় ঘটনাসমূহকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণ বা বর্জন করা সম্ভব হয় না। তাই আসল কারণটি দৃষ্টির অন্তরালে লুকিয়ে থাকতে পারে, ফলে এক্ষেত্রে অ-পর্যবেক্ষণ দোষ দেখা দিতে পারে।
(২) এই পদ্ধতির নঞর্থক দৃষ্টান্তগুলিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে এবং সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে না পারলে বহু কারণ দোষের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
মূল্যায়ন: অন্বয়ী-ব্যতিরেকী পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ-নির্ভর হওয়ায় এর নানারকম ত্রুটি-বিচ্যুতি বর্তমান। তবুও এর সম্পর্কে বলা যায়, যেহেতু এখানে সদর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছের পাশাপাশি একাধিক নঞর্থক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় তাই এই পদ্ধতি অনেক বেশি সুনিশ্চিত।
#
0 comments:
Post a Comment