Sunday, 10 June 2018

৯। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment
 প্রশ্ন: গ্রামীণ সমাজ ও নগর সমাজের পার্থক্য নির্নয় করা। 
উঃ
 গ্রামীণ সমাজ ও নগর সমাজের পার্থক্য:

     ১)  নগর সমাজ বলতে এমন স্থানকে বোঝানো হয়, যেখানে অধিকাংশ মানুষ অকৃষিজ পেশায় জড়িত এবং আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। অপরদিকে, কৃষিকাজকে কেন্দ্র করে যে মানববসতি গড়ে ওঠে, তা-ই গ্রামীণ সমাজ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। 

     ২) গ্রামের মানুষ অর্থনৈতিক দিক থেকে নগরের মানুষের চেয়ে কম সম্পদশালী। নগরের একটি অংশ উচ্চবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। বাকি একটি অংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণি। কিন্তু গ্রামে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা খুবই কম।
 নগরে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন দিকে যেমন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, গ্রামীণ জীবনে তা নেই।

      ৩) নগরজীবন অনেকটা প্রযুক্তিনির্ভর ও উন্নত কিন্তু গ্রামে প্রযুক্তির ব্যবহার কম।

    ৪) প্রথাগত সম্পর্কই গ্রামীণ সমাজের ভিত্তি। অন্যদিকে, নগর মানুষের মধ্যে মূলত যৌক্তিক সম্পর্ক বিদ্যমান।

    ৫) গ্রামে ঐতিহ্যবাহী যৌথ পরিবার দেখা গেলেও শহরে এ ধরনের পরিবারের পরিবর্তে অণু পরিবার দেখা যায়।

  ৬) গ্রামে বিবাহবিচ্ছেদ কম হলেও শহরে বিবাহবিচ্ছেদের হার বেশি। 

    ৭) গ্রামের মানুষ নগরের মানুষের তুলনায় ধর্মপ্রাণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ, গ্রামীণ জীবনে ধর্মের প্রভাব অত্যধিক। কিন্তু নগরজীবনে এর প্রভাব কম।

     ৮) গ্ৰামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু শহরে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিমালিকানাধীন বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধিক্য রয়েছে।

    সার্বিকভাবে বললে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, ঘরবাড়ি, আসবাব, চিত্ত-বিনোদন প্রভৃতি ক্ষেত্রেও গ্রাম ও নগর জীবনে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
                            <<<<<>>>>>
Read More

৮। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্ন এবং উত্তর

Leave a Comment
প্রশ্ন: ভারতীয় নগর সমাজে মিউনিসিপ্যালিটির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উঃ
      নগর সমাজ: কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাভাষী ও নানা বৃত্তির মানুষ যখন পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে একত্রে বসবাস করি এবং সেই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য, নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, শিক্ষা সংস্কৃতির প্রসার ঘটে ও জনবসতির বিস্তার ঘটে তখন সেটিকে বলা হয় নগর সমাজ।

       ভারতীয় নগর সমাজে মিউনিসিপ্যালিটির ভূমিকা: ভারতে কয়েকটি ছোট নগরে স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যালিটির দ্বারা পরিচালিত হয়। শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের স্থানীয় সমস্যা সমাধানে পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যালিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যম। নিম্নে এর কার্যাবলি বর্ণনা করা হলো---

     বাধ্যতামূলক কার্যাবলী: পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি পৌরসভার বাধ্যতামূলক আজ হলো প্রশাসনিক উন্নয়নমূলক জনস্বার্থমূলক এবং জনকল্যাণমূলক। পৌরসভার বাধ্যতামূলক কাজের তালিকায় 49 টি বিষয়ে আছে। যেমন-- রাস্তায় আলো লাগানো, জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, পার্ক ও উদ্যান গড়ে তোলা, বৃক্ষরোপণ, বস্তি অঞ্চলের রাস্তা সংস্কার, ব্যাধি প্রতিরোধ, জন্ম-মৃত্যুর হিসাব রক্ষা, ঐতিহাসিক ক্ষেত্র সংরক্ষণ ইত্যাদি।

      স্বেচ্ছাধীন কার্যাবলী: পৌরসভার স্বেচ্ছাধীন কাজের তালিকায় অন্যতম বিষয় হলো --- পানীয় জল সরবরাহ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, দাতব্য চিকিৎসালয়, প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ, শিশু কল্যাণে ব্যবস্থা গ্রহণ, খাদ্য ও ঔষধ বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ, পাঠাগার স্থাপন, সামাজিক শিক্ষার প্রসার, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন ইত্যাদি।
অর্পিত কার্যাবলী: রাজ্য সরকার কিছু কাজ কর্মের দায়িত্ব পৌরসভাকে দিতে পারে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-- স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, অসামরিক প্রতিরক্ষা, খাদ্যসামগ্রী নিয়ন্ত্রণ, যুব কল্যাণ ইত্যাদি।

   উপরোক্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি পৌরসভায় প্রচুর অর্থের দরকার হয়। এই অর্থ নানা উপায়ে সংগৃহীত হয়। আয়ের মূল উৎস কর। জমি ও বাড়ির উপর ধার্য কর, জল সরবরাহ এবং পথঘাট আলোকিত করার ধার্য কর, যানবাহনের উপর ধার্য কর, বৃত্তি ও পেশার উপর আরোপিত কর ইত্যাদি। এছাড়া পৌরসভা রাজ্য সরকার থেকে ঋণ পেয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যেক পৌরসভাকে অজস্র দায়িত্ব পালন করতে হয়।
                        <<<<<>>>>>
Read More

Friday, 8 June 2018

৭। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment
শিল্প সামাজের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

উঃ শিল্প সমাজ: শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে অর্থনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাঠামোতেও আসে পরিবর্তন। নতুন কলেবরে গড়ে ওঠে মানবসমাজ। এটাই শিল্প সমাজ বলে পরিচিত। 

     বৈশিষ্ট্য: শিল্প সমাজের কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। যেমন---

     (১) শিল্প সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বড় আকারের কলকারখানা, নতুন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। সাবেকি পরিবারকেন্দ্রিক শিল্পের পরিবর্তে শিল্প সমাজে গড়ে তোলা হলো বৃহদায়তন কল-কারখানা।

   (২) বৃহদায়তন শিল্প-প্রতিষ্ঠানে মালিকানা ও পরিচালন গোষ্ঠী আলাদা। শেয়ার বিক্রয় করে মূলধন জোগাড় করা হয়। শেয়ার ক্রেতাদের নিয়েই গড়ে ওঠে কলকারখানার মালিক গোষ্ঠী। শিল্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন পেশাদার বিশেষজ্ঞগণ। এরাঁ বেতনের বিনিময়ে পরিষেবা প্রদান করেন।

      (৩) বৃহদায়তন শিল্প কারখানায় শ্রমিক বিভাজনকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এখানে শ্রমের বিশেষায়ণ ঘটে। এখানে পরিচালন ক্ষেত্রেও দায়িত্ব ভাগ হয়ে যায়।

   (৪) বৃত্তিগত বিশেষীকরণ এর জন্য শিল্পসমাজে বিভিন্ন পেশার মানুষদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন মনোভাব তৈরি হয়। গড়ে ওঠে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ। এভাবে সমাজ বিভিন্ন অপসংস্কৃতিতে বিভাজিত হয়ে যায়।

     (৫) নারী স্বাধীনতা শিল্প সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাক শিল্প সমাজে নারী ছিল অন্তঃপুরবাসিনী। শিল্প সমাজে কাজের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় মেয়েদের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসে।

                               <<<<<>>>>>
Read More

Thursday, 7 June 2018

৬। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment
প্রশ্ন: সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার মধ্যে পার্থক্য লেখ।

উঃ সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার পার্থক্য:

       প্রথমত, সহযোগিতা একপ্রকার সামাজিক কর্মপদ্ধতি যার দ্বারা ব্যক্তিগণ যৌথভাবে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রয়াসে সামিল হয়। অপরদিকে, প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে একতরফাভাবে অন্যকে টপকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়।

      দ্বিতীয়ত, সহযোগিতা একটি সমবেত কার্যপ্রক্রিয়া। কিন্তু প্রতিযোগিতা একক কার্যপ্রক্রিয়া।

        তৃতীয়ত, সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম পদ্ধতি নেই। কিন্তু প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকে যা প্রতিযোগীদের মানতেই হয়।

     চতুর্থত, সহযোগিতা মানুষের মনে সন্তোষ ও আত্মতৃপ্তি জাগায়। কিন্তু প্রতিযোগিতা এর পাশাপাশি হতাশা ও নৈরাশ্যের সৃষ্টি করে।

    পঞ্চমত, সহযোগিতা ব্যক্তিবর্গের মধ্যে গভীর মনোভাব গড়ে তোলে। কিন্তু প্রতিযোগিতা ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রেষারেষি ও মানসিক বিভাজন সৃষ্টি করে।

      ষষ্ঠত, সহযোগিতা মূলত ইতিবাচক ফল দেয়। কিন্তু প্রতিযোগিতা ইতিবাচক ফল প্রধানের সঙ্গে বেশ কিছু নেতিবাচক ফলও প্রদান করে।

        সপ্তমত, সামাজিক স্থায়িত্ব রক্ষায় সহযোগিতা খুবই জরুরী। অপরদিকে, সামাজিক পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা জরুরি।
              <<<<<>>>>>
Read More

Wednesday, 6 June 2018

HS দর্শনের (Philosophy) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর {(অমাধ্যম অনুমান) (Immediate Inference)}

Leave a Comment
অমাধ্যম অনুমান ( Immediate Inference)
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। (SAQ)              (মান - 1)

১) অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে?
উঃ যে অবরোহ অনুমানে  সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে অমাধ্যম অনুমান বলে।

২) মাধ্যম অনুমান কাকে বলে? 
উঃ যে অবরোহ অনুমানে সিদ্ধান্তটি একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে মাধ্যম অনুমান বলে।

৩) অমাধ্যম অনুমান এর একটি উদাহরণ দাও।
উঃ  (A)সকল মানুষ হয় মরনশীল জীব। (আবর্তনীয়)
   .:   (I) কোন কোন মরণশীল জীব হয় মানুষ (আবর্ত)

) মাধ্যম অনুমানের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ মাধ্যম অনুমানের উদাহরণ:
          (A) সকল মানুষ হয় মরনশীল জীব।
         (A) সকল কবি হয় মানুষ।
      .:  (A) সকল কবি হয় মরণশীল জীব।

৫) অমাধ্যম এবং মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্য কী?
উঃ অমাধ্যম অনুমানে সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র আশ্রয় বাক্য থেকে নিঃসৃত হয়। কিন্তু মাধ্যম অনুমানে দুই বা ততোধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়।

৬) মাধ্যম ও অমাধ্যম অনুমান এর একটি সাদৃশ্য লেখ।
উঃ মাধ্যম ও অমাধ্যম উভই অনুমানই অবরোহ অনুমান।

৭) আবর্তন কাকে বলে?
উঃ যে অমাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ ন্যায়সঙ্গতভাবে যথাক্রমে সিদ্ধান্তের বিধেয় ও উদ্দেশ্য হয় এবং গুণ অপরিবর্তিত থাকে, তাকে আবর্তন বলে।

৮) আবর্তন কত প্রকার ও কী কী?
উঃ আবর্তন দুই প্রকার-- (১) সরল বা সমআবর্তন এবং (২)  অ-সরল বা সীমিত আবর্তন।

৯) সরল আবর্তন কাকে বলে?
উঃ যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে তাকে সরল আবর্তন বলে। E বচনের আবর্তন এবং  I বচনের আবর্তন সরল আবর্তন।

১০) অ-সরল বা অসম বা সীমিত আবর্তন কাকে বলে?
উঃ যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের পরিমাণ ভিন্ন হয় তাকেই অ-সরল আবর্তন বলা হয়। A বচনের আবর্তন হল অ- সরল আবর্তন।

১১) A বচনের একটি সরল আবর্তনের উদাহরণ দাও।
উঃ              (A) সকল উদ্ভিদ হয় গাছ  (আবর্তনীয়)
               .:  (A) সকল গাছ হয় উদ্ভিদ  (আবর্ত)

১২) সরল ও অ- সরল আবর্তনের একটি পার্থক্য লেখ।
উঃ সরল আবর্তনের ক্ষেত্রে আবর্তনীয় ও আবর্তিত বচনের পরিমাণ এক হয়, কিন্তু  অ-সরল আবর্তনের ক্ষেত্রে আবর্তনীয় ও আবর্তিত বচনের পরিমাণ ভিন্ন হয়।

১৩) কোন্ ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব?
উঃ যেসব ক্ষেত্রে প্রদত্ত A বচনের উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদ সমব্যাপক বা সমার্থক হয়, সেই ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব।

১৪) A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব নয় কেন? 
উঃ  A বচনের সরল আবর্তন করলে আবর্তনের চতুর্থ নিয়ম অর্থাৎ ব্যাপ্যতার নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়। তাই A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব নয়।

১৫) আবর্তনের ব্যাপ্যতার নিয়মটি কী ?
উঃ ব্যাপ্যতার নিয়মটি হল: যে পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না।

১৬) O বচনের আবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ O বচনের আবর্তন সম্ভব নয়।

১৭) নিষেধমূলক আবর্তন কাকে বলে?
উঃ কোন কোন তর্কবিদ্ আবর্তন করার জন্য এক বিশেষ পদ্ধতি অনুসারে O বচনের বিধেয়টির আগে এক নিষেধমূলক চিহৃ যোগ করে বচনটিকে I বচনে পরিণত করে, I বচনের আবর্তন করেন। একেই নিষেধমূলক আবর্তন বলে।

১৮) নিষেধমূলক আবর্তনের উদাহরণ দাও।
উঃ         ( O) কোন কোন মানুষ নয় লেখক।
              (O) কোন কোন মানুষ হয় অ-লেখক।
              (O) কোন কোন অ- লেখক হয় মানুষ।

১৯) A  বচনের আবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ I বচন।

২০) E বচনের আবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ E বচন।

২১) I বচনের আবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ I বচন।

২২) আবর্তনের প্রথম নিয়মটি কী ? 
উঃ আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদটি সিদ্ধান্তের বিধেয় পদ হবে।

২৩) আবর্তনের দ্বিতীয় নিয়মটি কী ?
উঃ আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদটি সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হবে।

২৪) আবর্তনের তৃতীয় নিয়মটি কী?
উঃ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুন অভিন্ন হবে। অর্থাৎ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে এবং আশ্রয়বাক্য নঞথর্থক হলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে।

২৫) O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন?
উঃ O বচনের আবর্তন করলে আবর্তনের চতুর্থ নিয়ম অর্থাৎ ব্যাপ্যতার নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়। তাই O বচনের আবর্তন সম্ভব নয়।

২৬) বিবর্তন বা ব্যবর্তন বা প্রতিবর্তন কাকে বলে? 
উঃ যে অমাধ্যম অনুমানে প্রদত্ত বচনের গুণের পরিবর্তন করে এবং সেই বচনটির বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্তের বিধেয়রূপে গ্রহণ করা হয়, তাকে ব্যবর্তন বা প্রতিবর্তন বা বিবর্তন বলে।

২৭) বস্তুগত বিবর্তন কাকে বলে?
উঃ যে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত বচনের আকারগত বিবর্তন না করে তার অর্থের উপর বিশেষভাবে নির্ভর করা হয় এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সাহায্যে প্রদত্ত বচনটিকে বিবর্তিত করা হয় তাকে বস্তুগত বিবর্তন বলে।

২৮) বস্তুগত বিবর্তনের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ বস্তুগত বিবর্তনের উদাহরণ:
           যুদ্ধ হয় অমঙ্গলসূচক।
           শান্তি  হয় মঙ্গলসূচক।

২৯) বস্তুগত বিবর্তনকে কি প্রকৃত বিবর্তন বলা যায়?
 বস্তুগত বিবর্তনকে প্রকৃত বিবর্তন বলা যায় না। কারণ, বস্তুগত বিবর্তন যৌক্তিক বিবর্তনের উদ্দেশ্য পদের নিয়ম, গুনের নিয়ম, আকারগত নিয়ম মেনে চলে না।

৩০) বস্তুগত বিবর্তনের স্রষ্টা কে? 
উঃ তর্কবিদ্ বেইন।

৩১) বিরুদ্ধ পদ / পরিপূরক পদ কী?
উঃ কোন পদের সকল বিপরীত পদের সমষ্টিকে বিরুদ্ধ পদ বলে। অর্থাৎ একটি পদের সবকটি বিপরীত পদকে একত্র করে তৈরি হয় ওই পদের বিরুদ্ধ পদ। যেমন-- 'গাছ' এর বিরুদ্ধ  পদ হল 'অ- গাছ'

৩২) বিপরীত পদ কাকে বলে?
উঃ কোন পদের বিপরীত অর্থ যুক্ত পদকে তার বিপরীত পদ বলে। যেমন-- সাদা পদটির বিপরীত পদ হলো কাল, লাল, সবুজ ইত্যাদি যে-কোনো সাদা ভিন্ন রং।

৩৩) "সকল মানুষ হয় বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জীব" --- বচনটির আবর্তন কর।
উঃ  L.F. :
(A)সকল মানুষ হয় বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জীব (আবর্তনীয়) .:  (A) সকল বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জীব হয় মানুষ (আবর্ত)

৩৪) "সকল মানুষ হয় অ - পূর্ণ জীব" --- বচনটির বিবর্তিত বচন কী?
উঃ L.F. :  
    (A)  সকল মানুষ হয় অ - পূর্ণ জীব ( বিবর্তনীয়)
 .:  (E) কোনো মানুষ নয় পূর্ণ জীব (বিবর্ত)

৩৫) বিবর্তনের বৈধতার গুন সংক্রান্ত নিয়মটি কী?
উঃ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুন ভিন্ন হবে। অর্থাৎ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হবে এবং আশ্রয় বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে।

৩৬) বিবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি কী?
উঃ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ অভিন্ন হবে।

৩৭) A বচনের বিবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ E বচন।

৩৮) E বচনের বিবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ A বচন।

৩৯) I বচনের বিবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ O বচন।

৪০) O বচনের বিবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ I বচন।
                              <<<<<>>>>>

Read More

Tuesday, 5 June 2018

৫। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্ন এবং উত্তর।

Leave a Comment
প্রশ্নজাতি এবং শ্রেণীর তুলনামূলক আলোচনা কর।
উঃ
         সামাজিক শ্রেণী ও জাতি: সামাজিক শ্রেণী ও জাতি উভয় ক্ষেত্রে উঁচু-নিচু ভাবে স্তর বিভাগ হলেও তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। যথা---

      প্রথমত, সামাজিক শ্রেণী সচল, কিন্তু জাতি সাধারণত নিশ্চল। সমাজের নিম্নস্তরভুক্ত মানুষ যদি তার দক্ষতা ও যোগ্যতার জন্য অর্থ, বিত্ত ও মান মর্যাদার অধিকারী হয়ে উচ্চস্তরভুক্ত মানুষের আচার-আচরণ ও জীবনধারকে অনুসরণ করি তাহলে সে ক্রমশই উচ্চস্তরে উন্নীত হয়। তেমনি, উচ্চস্তরের মানুষ যদি তার যোগ্যতার অভাব এর জন্য উচ্চস্তরের মানুষের আচার-আচরণ ও জীবনধারন প্রণালীকে অনুসরণ করতে না পারে তাহলে সে নিম্নস্তরে অবনত হয়। কিন্তু জাতিভেদ প্রথার ক্ষেত্রে জাতি-চলাচল, বিশেষ করে নিম্নতর জাতি থেকে উচ্চতর জাতিতে উন্নতি হওয়া সাধারণভাবে সম্ভব হয়না। তাই, সামাজিক শ্রেণী সচল, কিন্তু জাতি সাধারণত নিশ্চল।

       দ্বিতীয়ত, জাতির ক্ষেত্রে স্বজাতিবিবাহ স্বাস্থ্যসম্মত, উঁচু জাতির সঙ্গে নিচু জাতির বিবাহ শাস্ত্র নিষিদ্ধ। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, বিবাহাদি সম্পর্ক স্বজাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ব্রাহ্মণ সন্তান যদি শূদ্রের কন্যাকে বিবাহ করে তাহলে শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে তাকে জাতিচ্যুত হতে হয়। কিন্তু সামাজিক শ্রেণীর ক্ষেত্রে এমন কোন শাস্ত্রীয় বিধান নেই। শ্রেণী ব্যবস্থায় উচ্চস্তর ভুক্ত মানুষের নিম্নস্তর ভুক্ত মানুষের সঙ্গে বিবাহাদি সম্পর্ক রীতি-বিরুদ্ধ নয়।

         তৃতীয়ত, জাতিভেদ প্রথার শাস্ত্রীয় বা ধর্মীয় ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও সামাজিক শ্রেণীভেদের কেবল ঐতিহাসিক ব্যাখ্যাই দেওয়া হয়।শাস্ত্রমতে, জাতি বা বর্ণ চারটি। যথা-- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। অপরদিকে, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের ইতিহাসকেই সামাজিক শ্রেণীভেদের কারণরূপে গণ্য করা হয়। সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুসারে শ্রমবিভাগ, বৃত্তি বিভাগ, সম্পত্তির বন্টন ইত্যাদি প্রয়োজনীয়রূপে দেখা দেয় এবং শ্রম, বৃত্তি, সম্পত্তি ইত্যাদির পরিমাণ অনুসারে মানুষ কমবেশি সামাজিক ও রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা লাভ করে। 

       এভাবে, সমাজের ঐতিহাসিক পরিবর্তনের ফলেই  সামাজিক স্তর বিভাগ বা শ্রেণীবিভাগের প্রচলন হয়।
                               <<<<<>>>>>
Read More

৪। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্ন এবং উত্তর।

Leave a Comment
 সমাজতত্ত্ব ও দর্শনের সম্পর্ক লেখ।              5 নম্বর
উঃ
 সমাজতত্ত্ব ও দর্শনের সম্পর্ক: সমাজতত্ত্ব ও দর্শনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে পার্থক্য থাকলেও তাদের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়ে সাদৃশ্য রয়েছে।

      প্রথমত, সমাজতত্ত্বের আলোচনার একমাত্র বিষয়বস্তু সমাজে বসবাসকারী মানুষ ও সমাজ। দর্শন অনুরূপভাবে সমাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন-- এর উদ্দেশ্য কি? সমাজ ও ব্যক্তির সম্পর্ক কি? প্রভৃতি উত্তর খুঁজতে সমাজের দার্শনিক আলোচনায় সচেষ্ট।

      দ্বিতীয়ত, সমাজতত্ত্ব হল সমাজে বসবাসকারী মানুষের পারস্পরিক আচার-আচরণের বিজ্ঞান। অনুরূপভাবে সমাজের দার্শনিক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দর্শনেও সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে মানুষের আচরণের তাৎপর্য বিচার করা হয়।

         তৃতীয়ত, মানুষের নানাবিধ ও জাগতিক কর্মকাণ্ড সমাজতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়বস্তু; এগুলিকে ব্যক্তির মনোজগতের বাহ্যিক প্রকাশ হিসেবে মনে করা হয়। তাই ব্যক্তির মনের পর্যালোচনাও সমাজতত্ত্বের আলোচনায় এসে যায়। একইভাবে বিশ্বদর্শন হিসাবে দর্শনের আলোচনাতেও ব্যক্তির মন কে প্রাধান্য দেওয়া হয়।

       চতুর্থত, সমাজতত্ত্বের বিভিন্ন বিষয় আলোচনার ক্ষেত্রে যেমনভাবে যুক্তি ও বুদ্ধিগ্ৰাহ্য বিচারপদ্ধতি অনুসৃত হয়, তেমনই দর্শন একই পদ্ধতিতে জগৎ ও জীবনের স্বরূপ ব্যাখ্যা করে।
Read More