Wednesday, 6 November 2019

বি এ তৃতীয় বর্ষের (গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষা বিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন ও উত্তর

Leave a Comment
প্রশ্ন: রচনাধর্মী পরীক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ। রচনাধর্মী পরীক্ষার সংস্কার কিভাবে করা যায়?

উঃ
      ভূমিকা: সুস্পষ্ট উদ্দেশ্যের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সময়ব্যাপী প্রশিক্ষণের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হওয়াকে বলা হয় পারদর্শিতা। আর এই পরিমাপের কৌশলকে বলে পারদর্শিতার অভীক্ষা। পারদর্শিতার অভীক্ষগুলি শিক্ষক নির্মিত হয়। এই অভিক্ষা কখনও লিখিত কখনও মৌখিক হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল রচনাধর্মী পরীক্ষা।

     রচনাধর্মী পরীক্ষা: রচনাধর্মী পরীক্ষা হল এমন এক ধরনের লিখিত পরীক্ষা যার মধ্যে রচনা বা প্রবন্ধ লেখার প্রবণতা ও প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্ন পত্র রচনা করা হয় এবং সেই রচনাধর্মী প্রশ্নের প্রবন্ধ বা রচনানির্ভর উত্তর লিখনকে মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

      রচনাধর্মী পরীক্ষার বৈশিষ্ট্য: রচনাধর্মী পরীক্ষার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ -

  ১) নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ শিক্ষাকালকে গুরুত্ব দিয়ে  পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শিক্ষার্থীর শিখন ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে নয়।

  ২) এই পরীক্ষা সাধারণত শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয় কেন্দ্রিক জ্ঞান পরিমাপ করার চেষ্টা করা হয়। শিক্ষার্থীদের শিখনের মাধ্যমে পরিমাপ করার চেষ্টা করা হয়।

  ৩) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে খুব সীমিত সংখ্যক প্রশ্ন থাকে এবং তার মধ্যেও পরীক্ষার্থীকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়। হয়তো আটটি প্রশ্ন দিয়ে পাঁচটি লিখতে বলা হয়। অনেক সময় বিশেষ বিশেষ প্রশ্নের সঙ্গেও বিকল্প প্রশ্ন থাকে।

  ৪) প্রদত্ত প্রশ্নগুলির উত্তরে, পরীক্ষার্থীকে এক একটি করে প্রবন্ধ রচনা করতে হয়।

  ৫) এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা এবং চিন্তন ক্ষমতার বিকাশ ঘটে।

  ৬) এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভাষা মূলক জ্ঞান ও ভাষা ব্যবহারের দক্ষতার বিকাশ ঘটে।

 ৭) রচনাধর্মী পরীক্ষার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা আগে থেকে ঠিক করা থাকে। শিক্ষার্থীকে সেই সময়ের মধ্যে সবকয়টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়।

  ৮) রচনাধর্মী পরীক্ষা হল এক ধরনের শিক্ষক নির্মিত অভিক্ষা।

   রচনাধর্মী পরীক্ষার সংস্কার সাধন: শিক্ষাবিদগণ রচনাধর্মী পরীক্ষার সংস্কারের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

  ১) এই পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রশ্নপত্র রচনার পূর্বে পরীক্ষক বা শিক্ষক নির্দিষ্ট বিষয় পাঠের উদ্দেশ্যগুলি নির্ধারণ করবেন।

  ২) প্রশ্নপত্রের প্রশ্নের সংখ্যা যত বেশি হবে পরিমাপের নির্ভরযোগ্যতা তত বেশি বাড়বে। তবে সময়সীমার কথা চিন্তা করে রচনাধর্মী পরীক্ষায় খুব বেশি সংখ্যক প্রশ্ন দেওয়া সম্ভব নয়।

  ৩) পরিমাপের নির্ভরযোগ্যতার বৃদ্ধির জন্য প্রশ্নপত্রে প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা দরকার। এমন প্রশ্ন করা হবে না যার উত্তর আংশিকভাবে অন্য প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে মিলে যায়।

  ৪) প্রশ্নের ভাষা সাধারণ পরীক্ষার্থীদের বোধগম্য হওয়া উচিত এবং বিশেষধর্মী হওয়া উচিত। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের ভাষা বুঝতে পারে না বলে, জানা সত্ত্বেও উত্তর লিখতে পারে না। তাই প্রশ্নের ভাষা সহজ ও সরল হওয়া দরকার।

  ৫) রচনাধর্মী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রচনার সঙ্গে উত্তরের মান নির্ণয়ের পদ্ধতিটি যদি ঠিক করা যায়, তাহলে এর অনেক ত্রুটি দূর  দূর হয়।

  ৬) রচনাধর্মী পরীক্ষাকে পরীক্ষকের ব্যক্তিগত প্রভাব মুক্ত করার জন্য উত্তরপত্র একজন পরীক্ষককে দিয়ে বিচার না করিয়ে অন্ততঃপক্ষে দুইজন পরীক্ষককে দিয়ে বিচার করানো উচিত।

  ৭) পরীক্ষার্থীদের উত্তর বিচার করার সময় পরীক্ষকরা যদি এক একটি প্রশ্নের উত্তর পর্যায়ক্রমে সকলের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে বিচার করেন, তাহলে রচনাধর্মী পরীক্ষার ফলাফলের স্থিরতা বৃদ্ধি পায়।

  ৮) এই পরীক্ষা ব্যবস্থায় সংখ্যাগত মান নানা রকমের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং তা সব সময় তুলনাযোগ্য নয়। এই ত্রুটি দূর করার জন্য সংখ্যাগত মানের পরিবর্তে গুনগত মান অক্ষর মান দেওয়ার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

  মন্তব্য: রচনাধর্মী প্রশ্নের উন্নতিসাধন করতে হলে, অভীক্ষাপদ নির্বাচনের সময় উপরিউক্ত নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে, রচনাধর্মী প্রশ্নের অনেক ত্রুটি, বিশেষভাবে তাদের নৈর্ব্যক্তিকতার অভাব দূর করা সম্ভব হবে।

Translation

Q: Write the characteristics of the compositional test.  How to reform the compositional test?



 A.

       Introduction: After periodic training on a specific subject in the context of a clear objective, the skill is called the implementation of that objective among the students.  And this is the measurement technique called observational study.  Expertise studies are created by teachers.  This practice is sometimes written and sometimes verbal.  Among the written tests is the compositional test.



      Compositional Examination: Compositional Examination is a type of written examination in which a question paper is taken to emphasize the tendency and necessity of writing an essay or essay, and arrangements are made to evaluate the essay or compositional answer to that compositional question.



       Characteristics of Compositional Examination: The main main features of the composing test are as follows:



   1) This test is taken at certain intervals.  That is, the decision is taken to take the exam seriously, not in terms of the learning ability of the student.



   2) This test is usually an attempt to measure students' central knowledge of the subject.  The learners try to measure through learning.



   3) Examination question paper has a very limited number of questions and in it the examiner is given the opportunity of selection.  Maybe asked to write five with eight questions.  Sometimes there are alternative questions with special questions.



   4) In answer to the given questions, the examiner has to write essays one by one.



   5) Through this test the student's creativity and thinking ability develops.



   6) Through this test, the learner develops language knowledge and language use skills.



  7) A certain timeframe is set in advance for compositional examination.  The student has to answer all the questions in that period.



   8) Writing tests is a kind of teacher-created practice.



    Improving Compositional Examination: Academics have suggested the following steps for reforming the compositions exam.



   1) Before writing the question paper for taking this test, the examiner or teacher will determine the objectives of the specific subject lesson.



   2) The higher the number of question papers, the higher the reliability of the measurement will be.  However, considering the timeframe, it is not possible to give too many questions in compositional tests.



   3) In order to increase the reliability of the measurements, it is necessary to stop repeating the question in the question paper.  There will be no question whose answer partially matches the answer of the other question.



   4) The language of the question should be understandable to the general examiner and should be special.  Many times students do not understand the language of the question, but do not write answers despite knowing.  Therefore, the language of the question needs to be simple and straightforward.



   5) If the method of determining the answer can be corrected with the composition of the written test paper, many of its errors are eliminated.



   6) The written test should be done by at least two testers, not by judging one examiner to release the personal effects of the exam.



   7) While examining the answers of the examiners, if the examiner compares the answers to one question in a comparative manner to all others, then the stability of the results of the compositional tests increases.



   8) The numerical values ​​in this test system cause many confusion and are not always comparable.  To eliminate this error, we need to introduce qualitative character instead of numeric values.



   Note: In order to improve the compositional question, the above rules should be followed during the presidential election.  Following these rules, it will be possible to overcome many of the shortcomings of the compositional questions, especially their lack of objectivity.

 <<<<<<<<<< >>>>>>>>>

<<<<<<<<<<>>>>>>>>>
Read More

Sunday, 3 November 2019

HS (wbchse) Philosophy Question & Answer

Leave a Comment
মন্দ উপমা দোষ ব্যাখ্যা ও বিচার কর।
উঃ

মন্দ উপমা যুক্তি বা দুষ্ট উপমা যুক্তি বা ভ্রান্ত সাদৃশ্যমূলক দোষ: দুটি বস্তু বা ব্যক্তি বা ঘটনার মধ্যে কিছু বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ্য করে তাদের মধ্যে কোন একটিতে একটি অতিরিক্ত গুন লক্ষ করে যদি অনুমান করা হয় যে অপরটিতেও ওই অতিরিক্ত গুণটি থাকবে তাহলে সেই যুক্তিকে উপমা যুক্তি বলা হয়। এইরূপ উপমা যুক্তি ভালো বা মন্দ হতে পারে। যে উপমা যুক্তিতে যে সমস্ত সাদৃশ্যের ভিত্তিতে অনুমান করা হয়, সেই সাদৃশ্যের বিষয়গুলি যদি প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে সেই যুক্তিকে ভালো বা উত্তম উপমা যুক্তি বলে। অন্যদিকে যে উপমা যুক্তির ভিত্তি স্বরূপ সাদৃশ্যের বিষয়গুলি অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন হয় তাকে মন্দ উপমা যুক্তি বলে। কাজেই উপমা যুক্তির ভিত্তি হিসেবে যে সমস্ত সাদৃশ্য লক্ষ্য করা হয় সেগুলি অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন হলেই উপমা যুক্তি সংক্রান্ত দোষ ঘটে।
উদাহরণ: মানুষের মতো উদ্ভিদের জন্ম, বৃদ্ধি ও ধ্বংস আছে। অতএব মানুষের মতো উদ্ভিদের চিন্তা শক্তি আছে।

যুক্তি বিশ্লেষণ:

মানুষ ( A) এবং উদ্ভিদ(B)         এর মধ্যে জন্ম((p), 
                                                 বৃদ্ধি (q), ধ্বংস(r) 
                                              বিষয়ে সাদৃশ্য আছে
মানুষের(A)                            চিন্তাশক্তি (z)আছে 
.........................................................................
উদ্ভিদের(B)                            চিন্তাশক্তি (z)আছে 

দোষ: এটি মন্দ উপমা যুক্তির দৃষ্টান্ত।

ব্যাখ্যা: এটি আরোহ অনুমানের দৃষ্টান্ত। এই যুক্তিটি ভ্রান্ত সাদৃশ্যমূলক দোষে দুষ্ট। কেননা, এই যুক্তিতে মানুষের সঙ্গে উদ্ভিদের কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য দেখে সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে মানুষ ও উদ্ভিদের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক সাদৃশ্যের ভিত্তিতে এরূপ অনুমান করা হয়েছে। মানুষের মন আছে এবং মনের ধর্ম হল চিন্তা শক্তি। অপরদিকে, উদ্ভিদের মন নেই, তাই উদ্ভিদের চিন্তাশক্তি থাকার প্রশ্নই নেই। অথচ এখানে জন্ম ও বৃদ্ধির সাদৃশ্যের ভিত্তিতে উদ্ভিদের চিন্তাশক্তি অনুমান করা হয়েছে। ফলে  যুক্তিটি উক্ত দোষে দুষ্ট হয়েছে।

Read More

HS (wbchse) Philosophy Question & Answer

Leave a Comment

টীকা লেখঅবৈধ সামান্যীকরণ দোষ।

উঃ

অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ: কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কারের চেষ্টা না করে কেবলমাত্র অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অল্পসংখ্যক দৃষ্টান্তে দুটি ঘটনার একত্র উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যদি সামান্যীকরণ করা হয় অর্থাৎ, সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে যুক্তিতে যে দোষ ঘটে তাকে অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ বলা হয়। প্রধানত লৌকিক আরোহ বা অপূর্ণ গণনামূলক আরোহের ক্ষেত্রে এই রূপ দোষ ঘটে থাকে। এ ক্ষেত্রে নঞথর্ক দৃষ্টান্ত বা বিরুদ্ধ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ না করে সিদ্ধান্ত গঠন করা হয় বা সামান্যীকরণ করা হয়।
বাস্তব উদাহরণ দৃষ্টান্ত: আমি এযাবত যত কাক দেখেছি সব কালো এবং অন্য কোন রংয়ের কাক দেখিনি। সুতরাং সব কাক নিশ্চয়ই কাল।
যুক্তি বিশ্লেষণ:
                      1 নং কাক কালো।
                       2 নং কাক কালো।
                      3 নং কাক কালো।
                  অন্য রংয়ের কাক দেখিনি।
                     সুতরাং সব কাক কালো।
বিচার: যুক্তিটি অবৈধ সামান্যীকরণ  দোষে দুষ্ট।
ব্যাখ্যা: এক্ষেত্রে অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কয়েকটি কাককে কালো বর্ণের হতে দেখে 'সকল কাক হয় কালো' এই রূপ সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায় কোন একজন ব্যক্তির পক্ষে পৃথিবীর সব কাক কালো পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। কাজেই এমন কোন কাক থাকতেই পারে যে কাল নয়। সুতরাং কাকের সঙ্গে কালো রঙ্গের কোন  কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় না করে এক্ষেত্রে সার্বিক সিদ্ধান্ত করা হয়েছে বলে যুক্তিযুক্ত দোষে দুষ্ট।
Read More

Wednesday, 30 October 2019

শিক্ষা বিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন ও উত্তর (সপ্তম পত্র - গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়)

1 comment
মূল্যায়নের কৌশল ও উপকরণ বলতে কী বোঝ? মূল্যায়নের জন্য যেসব কৌশল ও উপকরণ ব্যবহার করা হয় সেগুলি উল্লেখ কর।
উঃ
   ভূমিকা:  মূল্যায়ন হল একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। মূল্যায়নকে কাজে লাগাতে হলে বিপুল পরিমাণ তথ্যের প্রয়োজন। তাই মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী ও কৌশল ব্যবহার করা হয়। মূল্যায়নের এই সামগ্রী বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যথা- অভিক্ষা, নিরীক্ষণ, নিজস্ব মতামত প্রকাশ এবং প্রতিফলন পদ্ধতি।

মূল্যায়নের কৌশল: মূল্যায়ন একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া হাওয়ায় এর জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রয়োজন হয়। শিক্ষক শিক্ষার্থী সম্পর্ক যত বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন তত নির্ভুল হবে তার মূল্যায়ন। কোন ব্যক্তি বা বিষয় সম্পর্কে যে পদ্ধতিগুলির দ্বারা নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং সঠিক ও নির্ভরযোগ্য মূল্যায়ন করা হয় সেই সব পদ্ধতিগুলিকে মূল্যায়নের কৌশল বলা হয়।

মূল্যায়নের উপকরণ: সঠিক ও নির্ভরযোগ্য মূল্যায়নের জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত শিক্ষামূলক ও মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষা গুলিকে মূল্যায়নের উপকরণ বলা হয়।

মূল্যায়নের কৌশল এর শ্রেণীবিভাগ: মূল্যায়নের কৌশলগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন - (ক) পরীক্ষামূলক কৌশল, (খ) আত্ম বিবৃতিমূলক কৌশল এবং (গ) পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক কৌশল।

(ক) পরীক্ষামূলক কৌশল: বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত রেখে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য যে কৌশলগুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাদের বলা হয় পরীক্ষামূলক কৌশল। যেমন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং বুদ্ধির অভিক্ষা বা রচনাধর্মী অভীক্ষা বা বস্তুধর্মী অভীক্ষা। 

(খ) আত্মবিবৃতিমূলক কৌশল: মূল্যায়নের অপর একটি কৌশল হিসেবে আত্মবিবৃতির কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীর নিজস্ব বিবৃতির মাধ্যমে তার সম্পর্কে মূল্যায়ন সংক্রান্ত তথ্যাবলী সংগ্রহের যে কৌশল ব্যবহার করা হয়, তাকেই বলা হয় আত্মবিবৃতিমূলক কৌশল। যেমন - সাক্ষাৎকার, প্রশ্নগুচ্ছ, অনুরাগের নির্ণায়ক অভীক্ষা, মনোভাব নির্ণায়ক অভীক্ষা।

(গ) পর্যবেক্ষণভিত্তিক কৌশল: শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যখন অপর ব্যক্তিদের মতামত গ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করা হয় তখন মূলত পর্যবেক্ষণমূলক কৌশলসমূহ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

       সাধারণত এই শ্রেণীর যেসব কৌশল গুলি মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল (১)  অতীত সংক্রান্ত তথ্য লিপি, (২) চেকলিস্ট, (৩) রেটিং স্কেল, (৪) সোসিও মেট্রিক কৌশল।

মূল্যায়নের উপকরণসমূহ: উপরোক্ত মূল্যায়ন কৌশলকে ব্যবহার করার জন্য উল্লেখযোগ্য যে উপকরণ সমূহের সাহায্য নেওয়া হয় তা হচ্ছে সাক্ষাৎকার। মূলত অসংগঠিত ও সংগঠিত এই দুই ধরনের সাক্ষাৎকার তালিকা তৈরি করে ব্যাক্তির আত্মবিবৃতিমূলক কৌশলকে বাস্তবে রূপ দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

   প্রথমতঃ শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে মূল্যায়নকারী প্রশ্নকারক নিজ পরিকল্পিত সাক্ষাত্কার তালিকা অনুসারে প্রশ্ন রেখে এবং তাদের উত্তর শুনে ও বুঝে কিছু প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

দ্বিতীয়ত তথ্য সংগ্রহের অপর উপকরণটি হচ্ছে প্রশ্নগুচ্ছ। এখানে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো প্রশ্নগুচ্ছের প্রশ্নানুসারে প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ পর্যালোচনা করে তাদের আগ্রহ ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।

তৃতীয়তঃ উপকরণ হিসাবে ব্যবহারিক পরীক্ষাকে ব্যবহার করে অনেক বিষয়ের ব্যবহারিক দিকের দক্ষতার ও প্রয়োগক্ষমতাকে মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

চতুর্থতঃ পর্যবেক্ষণকে মূল্যায়নের একটি উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ভাবগত এবং বুদ্ধিগত পরিণতি ও তাদের সামাজিক সংগতিশীল দক্ষতাকে পরিমাপ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

পঞ্চমতঃ শিক্ষার্থীদের নির্মিত বিভিন্ন উপাদান সামগ্রী ও অনেক সময় শিক্ষার্থীদের আচরণের উৎকর্ষতা-অপকর্ষতা নির্ধারণে ও নিরুপনে উল্লেখযোগ্য উপকরণ হিসেবে কাজ করে।

ষষ্ঠতঃ শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ডায়রি রাখার ব্যবস্থা রেখে তা থেকে এবং শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংরক্ষিত বিভিন্ন রেকর্ড, কেসহিস্ট্রি থেকে বিভিন্ন বিষয় যথা শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, উৎসাহ, দৃষ্টিভঙ্গি, নানান ব্যক্তিগত সামাজিক সমস্যা, এমনকি তাদের ব্যক্তিত্ব মূল্যায়ন করা সম্ভব হতে পারে।

সপ্তমতঃ বিজ্ঞানের পরীক্ষাগারে, খেলার মাঠে, পাঠাগারে এবং আর্টকক্ষে প্রদর্শিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আচরণ ধারা পরীক্ষা করেও শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্বের, আগ্রহের ও কর্মকুশলতার পরিচয় নেওয়া যেতে পারে।

মন্তব্য:  পরিশেষে তাই বলতে হয় যে মূল্যায়ন করার নানান কৌশল ও উপকরণ দিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের সামাজিক, সুষম ও সর্বোত্তম বিকাশকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে।
<<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>>
Read More

Friday, 25 October 2019

A question and answer of 'Strong Roots' --Dr. APJ Abdul Kalam

1 comment
Describe the locality where Dr. APJ Abdul Kalam lived in his childhood.(এপিজে আবদুল কালাম শৈশবে যেখানে বাস করতেন সেই এলাকাটির বর্ণনা দিন। )

 ANS.
       In his autobiographical narrative "Strong Roots", APJ Abdul Kalam has given a description of his locality. He was born in Rameshwaram, an island town. He lived in their ancestral house on the Mosque Street. Rameswaram was very famous to the pilgrims for the Shiva temple which was about ten minutes walk from their house. The locality was predominantly Muslim community. But a lot of Hindu families also lived there. The Hindu and Muslim families lived together amicably in his locality. In the locality, there was a very old mosque where his father would take him for evening prayers.

বঙ্গানুবাদ: এপিজে আবদুল কালাম তাঁর আত্মজীবনীমূলক রচনা "স্ট্রং রুটস" এ তাঁর লোকালয়ের বর্ণনা দিয়েছেন।  তিনি দ্বীপ শহর রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।  তিনি মস্কো স্ট্রিটে তাঁদের পৈতৃক বাড়িতে থাকতেন।   শিব মন্দিরের জন্য  রামেশ্বরম তীর্থযাত্রীদের কাছে খুব বিখ্যাত ছিল  যেটি তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় দশ মিনিটের হাঁটা পথ ছিল।  এলাকাটি ছিল প্রধানত মুসলিম অধ্যুষিত।  তবে প্রচুর হিন্দু পরিবারও সেখানে বাস করত।  হিন্দু ও মুসলমান পরিবারগুলি তাঁর লোকালয়ে মাতামাতিপূর্ণভাবে বসবাস করত।  লোকালয়ে খুব পুরানো একটি মসজিদ ছিল যেখানে তাঁর বাবা তাকে সান্ধ্য প্রার্থনায় নিয়ে যেতেন।
Read More

একাদশ শ্রেণীর দর্শন( wbchse) নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন এবং উত্তর

1 comment
দ্বিতীয় অধ্যায়: জ্ঞানের স্বরূপ এবং জ্ঞান সম্পর্কিত তত্ত্ব ( Nature and Theory of Knowledge)

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর             [প্রতিটি প্রশ্নের মান 1]

১) বাচনিক জ্ঞানের আবশ্যিক শর্ত কয়টি? উঃ তিনটি

২) সত্যতা  বাচনিক জ্ঞানের কোন শর্ত? উঃ আবশ্যিক শর্ত।

৩) বিশ্বাসযোগ্যতা বাচনিক জ্ঞানের কিরূপ শর্ত? উঃ আবশ্যিক শর্ত।

৪) বাচনিক জ্ঞানের প্রথম শর্ত কি? উঃ সত্যতা।

৫) বাচনিক জ্ঞানের দ্বিতীয় শর্ত কি? উঃ বিশ্বাস।

৬) বাচনিক জ্ঞানের তৃতীয় শর্ত কি? উঃ বিশ্বাসের সমর্থনে পর্যাপ্ত যুক্তি।

৭) 'আমি সাঁতার কাটতে জানি'-- এখানে জানা ক্রিয়াপদটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? উঃ সামর্থ্য অর্থে বা কর্মকৌশল অর্থ।

৮) 'আমি সচিন তেন্ডুলকরকে জানি' - এটি কোন প্রকারের জ্ঞান? উঃ পরিচিতি জ্ঞান।

৯) 'আমি জানি যে, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী হল কলকাতা' - এখানে 'জানা' ক্রিয়াপদটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? উঃ বাচনিক অর্থে।

১০) সততা, বিশ্বাস এবং বিশ্বাসযোগ্যতা এই তিনটি একত্রে  বাচনিক জ্ঞানের কোন শর্ত? উঃ পর্যাপ্ত শর্ত।

১১) যে বাক্যের অর্থ বুঝলেই বাক্যটি সত্য না মিথ্যা তা বোঝা যায় তাকে বলে------- উঃ অবশ্যম্ভব বাক্য।

১২) যেসব বাক্যের সত্যতা বা মিথ্যাত্ব সম্বন্ধে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না তাদের বলে --------- উঃ আপতিক বাক্য।

১৩) যে বাক্যের সত্যতা নির্ধারণের জন্য প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করতে হয় তাকে বলে ------- উঃ পরতঃসাধ্য বাক্য।

১৪) যে বাক্যের সত্যতা ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার পূর্বেই সিদ্ধ তাকে বলে ------- উঃ পূর্বতঃসিদ্ধ বাক্য।

১৫) যে বাক্যের উদ্দেশ্য পদের ধারণাকে বিশ্লেষণ করলে বিধেয় পদের ধারণাকে পাওয়া যায় সেটি হলো -------- উঃ বিশ্লেষক বাক্য।

১৬) যে বাক্যের উদ্দেশ্য পদের ধারনাকে বিশ্লেষণ করলে বিধেয় পদের ধারণা পাওয়া যায় না সেটি হল ------- উঃ সংশ্লেষক বাক্য।

১৭) আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক কে? উঃ দেকার্ত।

১৮) 'গণিতের জ্ঞান হল আদর্শ জ্ঞান' - কে বলেছেন? উঃ দেকার্ত।

১৯) 'আমাদের কোন কোন ধারনা সহজাত' -- কোন দার্শনিক এর উক্তি? উঃ দেকার্ত।

২০) 'আমাদের সকল ধারনা সহজাত' - কে বলেছেন? উঃ লাইবনিজ।

২১) 'কোন ধারনাই সহজাত নয়'--কে বলেছেন? উঃ লক।

২২) ধারণা 3 প্রকার --- আগন্তুক, কৃত্রিম, সহজাত ---- কে বলেছেন? উঃ দেকার্ত।

২৩) 'আমি চিন্তা করি, অতএব আমি আছি' ---- কোন দার্শনিক এর সিদ্ধান্ত? উঃ দেকার্ত।

২৪) "বুদ্ধিতে এমন কিছু নেই যা পূর্বে ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ছিল না, কেবলমাত্র বুদ্ধি ছাড়া" ---কে বলেছেন? উঃ লাইবনিজ।

২৫) "বুদ্ধিতে এমন কিছু নেই যা পূর্বে ইন্দ্রিয়ের মধ্যে ছিল না" ---- কে বলেছেন? উঃ লক।

২৬) আধুনিক অভিজ্ঞতা বাদের প্রবর্তক কে? উঃ জন লক।

২৭) 'An Essay Concerning Human Understanding' গ্রন্থটির রচয়িতা কে? উঃ লক।

২৮) 'ধারণা গ্রহণের সময় আমাদের মন নিষ্ক্রিয় থাকে' --- কে বলেছেন? উঃ লক।

২৯) 'জন্মের সময় আমাদের মন থাকে একটি সাদা অলিখিত কাগজের মত' (Tabula Rasa) উক্তিটি কার? উঃ লকের।

৩০) ধারণা দুই প্রকার যথা সরল ধারণা ও জটিল ধারণা ---- কে বলেছেন? উঃ লক।

৩১) 'জ্ঞান হলো দুই বা ততোধিক ধারণার মধ্যে মিল ও অমিল প্রত্যক্ষ করা' -- এটি কোন দার্শনিক এর উক্তি? উঃ লক।

৩২) "অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ নির্ভর" -- কে বলেছেন? উঃ বার্কলে।

৩৩) 'আমাদের সমস্ত জ্ঞানের উদ্ভব হয় অভি মুদ্রণ এবং ধারণা থেকে' ----কে বলেছেন? উঃ হিউম।

৩৪) ইন্দ্রিয়জের তুলনায় ধারণা অধিকতর সজীব ও স্পষ্ট ----- কার উক্তি? উঃ হিউমের।

৩৫) ধারণাকে ইন্দ্রিয়জ এর প্রতিরোধ বলেছেন কে? উঃ হিউম।

৩৬) কোন দার্শনিক এর অভিমত সংশয়বাদ নামে পরিচিত? হিউম।

৩৭) বিমুর্ত সামান্য ধারণার খণ্ডন করেছেন কোন দার্শনিক? উঃ বার্কলে।

৩৮) কান্টের মতবাদ দর্শন কি নামে পরিচিত? উঃ বিচারবাদ।
৩৯) কোন দার্শনিক অভিজ্ঞতাবাদ ও বুদ্ধিবাদ এর মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন? উঃ দার্শনিক কান্ট।

৪০) কোন দার্শনিক এর মতে পূর্বতঃসিদ্ধ সংশ্লেষক বচন সম্ভব? উঃ কান্ট।

৪১) '৭+৫=১২' ---- এই বাক্যটি হলো ------- উঃ পূর্বতঃসিদ্ধ সংশ্লেষক।

৪২) কোন দার্শনিকদের মতে পূর্বতঃসিদ্ধ সংশ্লেষক বচন সম্ভব নয়? উঃ অভিজ্ঞতাবাদী।

৪৩) 'জ্ঞানে নতুনত্ব থাকা চাই' --- কে বলেছেন? উঃ কান্ট।

৪৪) কোন দার্শনিক এর মতে আমাদের সব জ্ঞান আপতিক? উঃ মিল।

৪৫) কার মতে মনাড হলো গবাক্ষহীন চিৎপরমানু? উঃ লাইবনিজ।

Translation

Chapter 2: Nature and Theory of Knowledge



 1) What are the essential conditions of cognitive knowledge?  A. Three



 2) What is the condition of authentic knowledge?  A. Mandatory conditions.



 3) Credibility What is the condition of academic knowledge?  A. Mandatory conditions.



 4) What is the first condition of cognitive knowledge?  A. The truth.



 5) What is the second condition of cognitive knowledge?  A. Faith.



 6) What is the third condition of cognitive knowledge?  A. Adequate reasoning in support of faith.



 7) 'I know how to swim' - In what sense is the verb known here?  A. Capacity means or operational meaning.



 8) 'I know Sachin Tendulkar' - what kind of knowledge is this?  A. Introduction to knowledge.



 9) 'I know that the capital of West Bengal is Kolkata' - in what sense is the verb 'know' here?  A. In the botanical sense.



 10. What are the three conditions of honesty, trust and credibility?  A. Adequate conditions.



 11) The sentence which can be understood as true or false without understanding its meaning ------- A. It is an impossible sentence.



 12) Says those words which cannot be definitively stated as true or false --------- accidental sentences.



 13) To determine the truth of a sentence, one has to rely on direct experience ------- A. The most difficult sentence.



 14) The truth of a sentence is said before the experience of the senses ------- A. Pre-perfected sentence.



 15) The purpose of the sentence is to analyze the concept of the word when the purpose of the sentence is to be -------- A. Analyst sentence.



 16) The purpose of a sentence when analyzing the meaning of a sentence does not make sense.



 17) Who is the father of modern Western philosophy?  A. Descartes.



 18) Who said 'knowledge of mathematics is ideal knowledge'?  A. Descartes.



 19) 'Some of our ideas are innate' - the motto of which philosopher?  A. Descartes.



 20) Who says 'all our ideas are innate'?  A. Leibniz.



 21) Who says 'no ideas are innate'?  A. Lock.



 22) Ideas 3 Types - Newcomers, Artificial, Inherent - Who said?  A. Descartes.



 23) 'I think, therefore I am' ---- Which philosopher's decision?  A. Descartes.



 24) "There is nothing in the intellect that was not in the sense before, only without the intellect"?  A. Leibniz.



 25) "There is nothing in the intellect that has not been in the senses before" ---- who says?  A. Lock.



 26) Who is the promoter of modern experience Bad?  A. John Locke.



27) Who is the author of the book 'An Essay Concerning Human Understanding'?  A. Lock.



 28) Who says "our mind is inactive when it comes to ideas"?  A. Lock.



 29) At birth we have a mind like a white unwritten paper (Tabula Rasa).  A. Locker.



 30) There are two types of ideas, namely simple ideas and complex ideas ---- who said that?  A. Lock.



 31) "Knowledge is the realization of similarities and differences between two or more concepts" - which is the statement of a philosopher?  A. Lock.



 32) Who says "existence is directly dependent"?  A. Berkeley.



 33) Who says "All our knowledge originates from print and concept"?  A. Hume.



 34) The idea is more vibrant and clear than the senses ----- whose words?  A. Hume.



 35) Who has said the resistance of the concept to the senses?  A. Hume.



 36) Which philosopher's opinion is known as skepticism?  Hume.



 37) Which philosopher has disputed the notion of abstraction?  A. Berkeley.



38) What is known as Kant's philosophy of philosophy?  A. Judaism.

 39) Which philosopher coordinates between empiricism and intellectualism?  A. The philosopher Kant.



 40) According to which philosopher is it possible to make pre-synthesized syntheses?  A. Kant.



 41) '1 + 1 = 12' ---- This sentence is ------- A. A pre-synthesizer.



 42) According to which philosophers, it is not possible to make a pre-synthesized synthesizer?  A. Empiricist.



 43) Who wants to have "innovation in knowledge"?  A. Kant.



 44) Which philosopher believes that all our knowledge is accidental?  A. Mill.



 45) According to whom the monad is a voiceless voice?  A. Leibniz.


Read More

একাদশ শ্রেণীর দর্শনের প্রশ্ন উত্তর (wbchse) অধ্যায়ঃ জ্ঞানের স্বরূপ ও জ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন মতবাদ

1 comment
জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে লাইবনিজের মতবাদ সবিচার আলোচনা কর।

উত্তর:

      প্রাচীন বুদ্ধিবাদী দার্শনিকদের মধ্যে পারমিনাইডিস, সক্রেটিস এবং প্লেটোর নাম উল্লেখযোগ্য। আর আধুনিককালের উল্লেখযোগ্য বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হলেন - ডেকার্ট, স্পিনোজা, লাইবনিজ প্রমূখ।

   নিম্নে জ্ঞানের উৎপত্তি সম্পর্কে আধুনিক বুদ্ধিবাদী  দার্শনিক লাইবনিজের মতবাদ আলোচনা করা হলো -

   লাইবনিজ-এর মতবাদ: দেকার্তের পরবর্তী এবং স্পিনোজার সমসাময়িক জার্মান দার্শনিক লাইবনিজ বুদ্ধিবাদী হওয়া সত্ত্বেও দেকার্ত ও স্পিনোজা থেকে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেন। দেকার্ত ও স্পিনোজার মতে আমাদের কোন কোন ধারনা সহজাত। কিন্তু লাইবনিজ বলেন,  'আমাদের সকল ধারনাই সহজাত বা অন্তর ধারনা'। উল্লেখ্য, এখানে সহজাত বলতে লাইবনিজ বুঝিয়েছেন -- আমাদের মনের মধ্যেই সমস্ত জ্ঞানের সম্ভাবনা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। একখণ্ড প্রস্তরের মধ্যে যেমন মর্মর মূর্তি সুপ্ত অবস্থায় থাকে, মানুষের মনের সমস্ত ধারণা ঠিক তেমনি ভাবে মনের মধ্যে সুপ্ত থাকে। মনের ক্রিয়ার মাধ্যমেই সেগুলি ব্যক্ত হয়। আমাদের এই জড়জগৎ মনের সহজাত ধারণার মূর্ত প্রকাশ মাত্র।

 লাইবনিজ দুই প্রকার জ্ঞানের কথা বলেছেন- জাগতিক বিষয় সংক্রান্ত সত্য এবং বুদ্ধি লব্ধ সত্য। তাঁর মতে জাগতিক বিষয় সংক্রান্ত সত্য হলো অভিজ্ঞতালব্ধ এবং সেই কারণে তার সার্বিক ও স্বতঃসিদ্ধরূপে গণ্য নয়। কিন্তু বুদ্ধি লব্ধ সত্যটি অবশ্যই বুদ্ধি লব্ধ এবং সেই কারণেই তা সার্বিক ও স্বতঃসিদ্ধরূপে গণ্য। সুতরাং, কেবলমাত্র বুদ্ধি বা প্রজ্ঞার দ্বারাই নিয়ত, সার্বিক, শাশ্বত জ্ঞানের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে লাইবনিজ মনে করেন ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান ও বুদ্ধিজাত জ্ঞান -- এদুটি বিজাতীয় জ্ঞান নয়। পার্থক্য এই যে, ইন্দ্রিয়লব্ধ জ্ঞান বুদ্ধি দ্বারা প্রাপ্ত জ্ঞান অপেক্ষা অস্পষ্ট ও কম প্রামাণ্য যুক্ত হয়। ইন্দ্রিয় বুদ্ধিরই এক অনুন্নত রূপ মাত্র। কিন্তু ইন্দ্রিয় কখনোই সার্বিক ও আবশ্যিক জ্ঞান যোগাতে পারে না। লাইবনিজ এ প্রসঙ্গে লকের জ্ঞানতত্ত্বকে খন্ডন করে যথার্থই বলেছেন - "বুদ্ধিতে এমন কিছু নেই যা, পূর্বে ইন্ডিয়ার মধ্যে ছিল না, কেবলমাত্র বুদ্ধি ছাড়া"।

   লাইবনিজের মতে, এই বিশ্ব জগত হলো অসংখ্য চিৎপরমাণু বা চিদনুর  সমন্বয়। সেখানে জড় বলে বাস্তবিক কিছুই নেই। প্রতিটি চিৎপরমাণু বা মনাড চেতন গুণসম্পন্ন এক একটি আত্মা এবং এই আত্মা বা মনাড সংখ্যায় অসংখ্য বা বহু। লাইবনিজ বলেন, মনাড বা চিৎপরমাণু হলো আধ্যাত্মিক দ্রব্য, যেখানে চেতনা সুপ্ত  অবস্থায় নিহিত থাকে। আধ্যাত্বিক দ্রব্য হিসেবে প্রতিটি মনাড সমগ্র বিশ্বজগতকে প্রতিবিম্বিত করে। প্রতিটি মনাড এক একটি জীবন্ত দর্পণ এবং নিজে নিজে ক্রিয়াশীল। প্রতিটি মনাড স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় তা গবাক্ষহীন এবং নিশ্চিদ্র হওয়ায় কোন কিছু যেমন মনাড থেকে নির্গত হতে পারে না, তেমনি বাইরে থেকে কোন কিছু মনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেনা। কাজেই, সমস্ত ধারণা অন্তর বা সহজাত, বহিরাগত ধারণা বলে কিছু নেই। এইরূপ মত পোষণ করার জন্য লাইবনিজকে অনেকে চরমপন্থী বুদ্ধিবাদী বলে থাকেন। তবে লাইবনিজকে নরমপন্থী বুদ্ধিবাদী বলাই সঙ্গত।

সমালোচনা:

১) লাইবনিজ যে চিৎপরমাণুর উল্লেখ করেছেন তার অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করা যায় না। কেননা, চিৎপরমাণু প্রত্যক্ষ গ্রাহ্য নয়।

২) লাইবনিজের মতে, জড় বা জড়জগৎ বলে কিছু নেই। জড়জগতের প্রত্যক্ষ ভ্রমাত্মক। কিন্তু নিশ্চেতন জগতের অস্তিত্বকে এই ভাবে অস্বীকার করা যায় না।

৩) লাইবনিজ আত্মা বা মনাডকে বহু বলেছেন কিন্তু বহুর মধ্যে কোন ঐক্য বিধায়ক শক্তির উল্লেখ করতে পারেননি। ফলে তাঁর মতবাদ চরম বহুত্ববাদে পর্যবসিত হয়েছে।
Read More