দ্রব্য
               একাদশ শ্রেণি
নীচের প্রশ্নগুলি অতিসংক্ষেপে দু একটি বাক্যে উত্তর দাও:
প্রতিটি প্রশ্নের মান ১
১) অ্যারিস্টটল তাঁর 'Metaphysics' গ্রন্থে কতপ্রকার দ্রব্যের উল্লেখ করেছেন ও কী কী ?
 উঃ অ্যারিস্টট্স তাঁর 'Metaphysics' গ্রন্থে তিনপ্রকার দ্রব্যের উল্লেখ করেছেন: (ক) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অনিত্যদ্রব্য, যেমন—মানুষ, বৃক্ষ ইত্যাদি। (খ) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নিত্যদ্রব্য, যেমন—গ্রহনক্ষত্র ইত্যাদি। (গ) অতীন্দ্রিয় নিত্যদ্রব্য, যেমন—ঈশ্বর, আত্মা ইত্যাদি।
২) দ্ৰব্য সম্পর্কে লৌকিক মতটি কী ? 
উঃ লৌকিক মত অনুসারে, যা সৃষ্ট বস্তুর উপাদান, যা গুণের আধার, যা গতি ও শক্তির উৎস, যা অপরিবর্তনীয় সত্তা, যা স্বনির্ভর সত্তা তা-ই হল দ্রব্য ।
৩) অ্যারিস্টটলের মতে দ্রব্য কী ?
উঃ  অ্যারিস্টটলের মতে সামান্যবিশিষ্ট বিশেষ হল দ্রব্য। যেমন, 'মনুষ্যত্ব'-বিশিষ্ট মানুষই দ্রব্য।
৪) দেকার্ত 'দ্রব্য' বলতে কী বুঝিয়েছেন ?
উঃ দেকার্ত দ্রব্যের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন, "দ্রব্য হল তা-ই যা নিজের অস্তিত্বের জন্য অন্য কিছুর ওপর নির্ভর করে না।” সুতরাং, দ্রব্য হল স্বনির্ভর সত্তা। 
৫) দেকার্তের মতে দ্রব্য কত প্রকার ও কী কী?
উঃ দেকার্তের মতে দ্রব্য দু-প্রকার--- (ক) নিরপেক্ষ বা স্বনিভর দ্রব্য- ঈশ্বর। (খ) সাপেক্ষ দ্রব্য বা পরনির্ভর দ্রব্য -- মন ও জড়দ্রব্য । 
৬) দেকার্তর মতে দ্রব্য মোট ক-টি ও কী কী ?
উঃ  দেকার্তের মতে দ্রব্য তিনটি—ঈশ্বর, মন ও জড় দ্রব্য।
৭) স্পিনোজার মতে দ্রব্যের সংজ্ঞা দাও।
উঃ  যা স্বনির্ভর ও স্ববেদ্য বস্তু, এক, অনন্ত, শাশ্বত, নিত্য, অপরিণামী, স্বাধীন তা-ই দ্রব্য।
৮) লাইবনিজের মতে দ্রব্য কাকে বলে ? 
উঃ লাইবনিজের মতে, জগতের মৌলিক উপাদান হল দ্রব্য। তিনি দ্রব্যের নাম দিয়েছেন চিৎপরমাণু বা মনাড। মনাড হল চেতনদ্ৰব্য বা আধ্যাত্মিক দ্রব্য ।
৯)  লাইবনিজের মতে মনাড-এর সংজ্ঞা দাও । 
উঃ  লাইবনিজের মতে, “যা আত্মসক্রিয়, যা নিরংশ, যা বিস্তৃতিহীন, যা মৌলিক, তাকে বলা হয় দ্রব্য বা মনাড।
১০)  লাইবনিজের মতে মনাডের বৈশিষ্ট্য কী ? 
 উঃ  লাইবনিজের মতে মনাডের বৈশিষ্ট্য মনাড হল আত্মসক্রিয়, নিরংশ, অবিভাজ্য, বিস্তৃতিহীন, আধ্যাত্মিক ও অজড়াত্মক। মনাড গবাক্ষহীন।
১১) লাইবনিজ চেতন পরমাণুকে কী নাম দিয়েছেন ? 
উঃ লাইবনিজ চেতন পরমাণুকে নাম দিয়েছেন মনাড বা চিৎ পরমাণু।
১২) লক দ্রব্যের কীরূপ সংজ্ঞা দিয়েছেন ? অথবা, লকের মতে দ্রব্য কী ? 
উঃ লকের মতে 'দ্রব্য' হল মুখ্য গুণের অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয় আধার।
১৩)  লক কত প্রকার দ্রব্য স্বীকার করেছেন ? 
উঃ  লক তিনপ্রকার দ্রব্য স্বীকার করেছেন। যেমন জড়দ্রব্য, মন ও ঈশ্বর।
 
১৪) লকের মতে গুণ কতপ্রকার ও কী কী ?
উঃ  লকের মতে গুণ দুই প্রকার। যেমন—মুখ্য গুণ ও গৌণ গুণ ।
১৫) মুখ্য গুণ বলতে লক কী বুঝিয়েছেন ?
উঃ যে-গুণগুলি সার্বিক, আবশ্যিক, অপরিবর্তনশীল, দ্রব্য থেকে অবিচ্ছেদ্য, মন-নিরপেক্ষ, বস্তুগত সেই গুণগুলিকে লক মুখ্য গুণ বুঝিয়েছেন।
১৬)  লকের মতে গৌণ গুণের সংজ্ঞা দাও ।
উঃ যে গুণগুলি সার্বিক নয়, আবশ্যিক নয়, পরিবর্তনশীল, মনসাপেক্ষ, বস্তুগত নয় সেই গুণগুলিকে লক গৌণ গুণ বলেছেন।
অথবা,
যে গুণগুলি প্রকৃতপক্ষে বস্তুতে বর্তমান থাকে না অথচ ব্যক্তিমন বস্তুতে আরোপ করে, সেই গুণগুলিকে গৌণ গুণ বলে। যেমন- রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, স্বাদ ইত্যাদি।
১৭) দ্রব্য বলতে বার্কলে কী বুঝিয়েছেন ? 
উঃ 'দ্রব্য' বলতে বার্কলে বুঝিয়েছেন, “দ্রব্য হল ধারণার প্রত্যক্ষ আধার।
১৮)  বার্কলের মতে দ্রব্য কতপ্রকার ও কী কী ? 
উঃ  বার্কলের মতে দ্রব্য দু-প্রকার। যথা—জীবাত্মা ও পরমাত্মা।
১৯)  হিউম দ্রব্য' বলতে কী বুঝিয়েছেন ? 
উঃ  হিউমের মতে “দ্রব্য হল গুণসমষ্টি ।”
২০) হিউম কি আত্মাকে স্বীকার করেছেন ? 
উঃ না, হিউম মন বা আত্মাকে স্বীকার করেননি।
২১) দেকার্তের মতে জড় ও মনের গুণ বা ধর্ম কী কী ? 
উঃ  দেকার্তের মতে জড়ের ধর্ম বা গুণ হল বিস্তৃতি এবং মনের গুণ বা ধর্ম হল চেতনা।
২২) গুণের সঙ্গে দ্রব্যের সম্পর্ক কী ?
উঃ  দ্রব্য হল গুণের আধার। দ্রব্যকে গুণ থেকে পৃথকরূপে চিন্তা করা হলেও দ্রব্য ও গুণ পরস্পর অবিচ্ছেদ্য ভাবে সম্পর্কিত।
২৩) লাইবনিজের মতে, মনাডগুলি পরস্পর বিচ্ছিন্ন হলেও তাদের মধ্যে কীভাবে সামঞ্জসা রক্ষিত হয় ? 
উঃ  লাইবনিজ এই প্রশ্নের উত্তরে পূর্বপ্রতিষ্ঠিত সামঞ্জস্য নীতির কথা বলেন। এই মতানুসারে ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করার সময়ে প্রত্যেক চিদণুর ভিতর কোন্ সংবেদন উৎপন্ন হবে তা চিরকালের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
২৪) দেকার্তের দেহ-মনের দ্বৈতবাদের অপর নাম কী ? 
উঃ  দেকার্ডের দেহ-মনের দ্বৈতবাদের অপর নাম ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াবাদ বা মিথস্ক্রিয়াবাদ।
২৫) "ঈশ্বরই একমাত্র দ্রব্য"-- কে বলেছেন ? 
উঃ "ঈশ্বরই একমাত্র ধব্য”- বলেছেন স্পিনোজা।
২৬) অ্যারিস্টটলকে অনুসরণ করে দ্রব্য' শব্দের যে কোনো দুটি অর্থ লেখো।
উঃ  দ্রব্য শব্দের অর্থ (১) যা স্বনির্ভর তা-ই দ্রব্য। (২) দ্রব্য হল সামান্য ও বিশেষের সমন্বয়।
২৭)  কোন্ দার্শনিক জড়দ্রব্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন কিন্তু আত্মাকে স্বীকার করেছেন ?
উঃ দার্শনিক বার্কলে জড়দ্রব্যের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন কিন্তু আত্মাকে স্বীকার করেছেন।
২৮)  দ্রব্যকে স্বয়ংক্রিয় এবং নিবংশ কে বলেছেন ?
উঃ  দ্রব্যকে স্বয়ংক্রিয় এবং নিরংশ বলেছেন লাইবনিজ।
২৯)  “গুণের অতিরিক্ত কোনো দ্রব্যের মুদ্রণ আমাদের হয় না'- কার উক্তি ? 
উঃ “গুণের অতিরিক্ত কোনো দ্রব্যের মুদ্রণ আমাদের হয় না”-- উক্তিটি হিউম-এর।
৩০) অ্যারিস্টটল 'দ্রব্য' শব্দটি ক-টি অর্থে ব্যবহার করেছেন ? 
উঃ  অ্যারিস্টটল 'দ্রব্য' শব্দটি চারটি অর্থে ব্যবহার করেছেন।
৩১) স্পিনোজার মতে দ্রব্য কী ? 
উঃ স্পিনোজার মতে দ্রব্য হল ঈশ্বর।
৩২) স্পিনোজা প্রদত্ত দ্রব্যের সমীকরণটি উল্লেখ করো। 
উঃ দ্রব্য = ঈশ্বর = প্রকৃতি।
৩৩) অ্যারিস্টটলকে লক্ষ করে দ্রব্য শব্দের অর্থ লেখো ? 
উঃ অ্যারিস্টটল দ্রব্য শব্দটিকে চারটি অর্থে প্রয়োগ করেছেন— (১) দ্রব্য হল মূর্ত বিশিষ্ট বস্তু, (২) দ্রব্য হল যা স্বনির্ভর, (৩) দ্রব্য হল জাতি ও প্রজাতি, (৪) দ্রব্য হল সবরকম ক্রিয়া ও পরিবর্তনের উৎস।
৩৪) "গুণগুচ্ছই দ্রব্য"। কে বলেছেন ? 
উঃ হিউমের মতে “গুণগুচ্ছই দ্রব্য।”
৩৫)  "গুণের অতিরিক্ত কোনো দ্রব্যের মুদ্রণ আমাদের হয় না" - কার উক্তি? 
উঃ উদ্ধৃত উক্তিটি ডেভিড হিউমের।
৩৬)  “অধ্যাত্ম দ্রব্য দু-প্রকার—জীবাত্মা ও পরমাত্মা।” -কার মত? 
উঃ বার্কলের মত।
৩৭) "দ্রব্যের ধারণা উদ্ভট কল্পনা।"-কার উক্তি 
উঃ " দ্রব্যের ধারণা উদ্ভট কল্পনা।” উক্তিটি হিউম-এর।
৩৮) "জড় দ্রব্য বা অধ্যাত্ম দ্রব্য, কোনো দ্রব্যেরই অস্তিত্ব নেই।" কে বলেছেন ?
উঃ কথাটি বলেছেন হিউম।
 ৩৯) জড় দ্রব্য নেই, আত্মা নেই, ঈশ্বর নেই।" -এ কথা কে বলেছেন ?
 উঃ –এ কথা বলেছেন হিউম।
৪০)  "জড় দ্রব্য হল কতকগুলি গুণের সমষ্টি। অথবা দ্রব্য হল গুণের সমষ্টি।" -কে বলেছেন ? 
 উঃ  —বলেছেন হিউম।
৪১) “বস্তুর অস্তিত্ব জ্ঞাতার মনের ওপর নির্ভরশীল ।" -কে বলেছেন ?
উঃ  কথাটি বলেছেন বার্কলে।
৪২) "দ্রব্য হল ক্রিয়া বা শক্তির উৎস।" কার মত ? 
উঃ – এটি লৌকিক মত।
৪৩)  "জড় দ্রব্য বলে কিছু নেই।”-কোন্ দার্শনিকের মত? 
উঃ এটি দার্শনিক বার্কলের মত।
৪৪)  "যা স্বনির্ভর, তা-ই দ্রব্য " কে বলেছেন ? 
উঃ -এটি দেকার্ত বলেছেন।
৪৫)  "দ্রব্য নেই, আছে শুধু মন ও মনের ধারণা।" -এটি কার উক্তি ? 
উঃ  –এটি বার্কলের উক্তি ।
৪৬)  দ্রব্য - ঈশ্বর = প্রকৃতি।" -এ কথা কে বলেছেন ? 
উঃ –এ কথা স্পিনোজা বলেছেন।
৪৭)  “যা স্বনির্ভর, যার সত্তার উৎস অন্য সত্তা নয়, তা-ই দ্রব্য।" -কে বলেছেন ?
উঃ -দেকার্ত বলেছেন।
৪৮) “ঈশ্বর হল অন্যনিরপেক্ষ দ্রব্য, মন এবং জড় হল সৃষ্ট দ্রব্য।” –কার মত ? 
উঃ–এটি দেকার্ত-এর মত।
৪৯)  “দ্রব্য তিনটি। যথা-জড়, মন ও ঈশ্বর।” কার উক্তি ?
উঃ–এটি দেকার্ত-এর উক্তি ।
৫০) “স্বাধীন আত্মসক্রিয়তাই দ্রব্যের লক্ষণ।” –কার উক্তি ? 
উঃ–এটি লাইবনিজ-এর উক্তি।
৫১) "দ্রব্য হল সরল, অবিভাজ্য, আত্মক্রিয়াশীল চিৎ পরমাণু।"-কার উক্তি ?
উঃ লাইবনিজ-এর উক্তি।
৫২)  "মনাড একমাত্র দ্রব্য।” কার মত?
উঃ এটি দার্শনিক লাইবনিজ এর মত।
৫৩)  “দ্রব্য অসংখ্য চিৎ-পরমাণু।”-কে বলেছেন ? 
উঃ  লাইবনিজ বলেছেন।
৫৪) দ্রব্য সামান্য ও বিশেষের সমন্বয়।" -এটি কার উক্তি
উঃ– এটি অ্যারিস্টটল-এর উক্তি
৫৫)  "দ্রব্য হল গুণের আধার বা আশ্রায় ।" -এ কথা কে বলেছেন ? 
উঃ –এ কথা দেকার্ত বলেছেন।
৫৬) "দ্রব্য হল তা-ই যা স্বনির্ভর ও স্ব-বেদ্য।" -কার উক্তি ?
উঃ —উক্তিটি স্পিনোজা-এর।
৫৭)  “সব কিছুই ঈশ্বর এবং ঈশ্বরই সবকিছু।" -কে বলেছেন ?
উঃ  এটি স্পিনোজা বলেছেন।
৫৮) "দ্রব্য এক ও অনন্য।” –কোন্ দার্শনিকের উক্তি ?
 উঃ – দার্শনিক স্পিনোজার উক্তি ।
৫৯) "দ্রব্য স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অপরিণামী।” –কে বলেছেন ?
উঃ –এটি স্পিনোজা বলেছেন।
৬০) "দ্রব্য সরল ও অবিভাজ্য বা অংশহীন।”---এ কথা কে বলেছেন ? 
উঃ -এ কথা লাইবনিজ বলেছেন।
৬১) "দ্রব্য মৌলিক, অবিভাজ্য ও অসংখ্য।” -কার মত?
উঃ  লাইবনিজ-এর মত।
৬২) "গুণ দু-প্রকার মুখ্য গুণ ও গৌণ গুণ।” –কে বলেছেন ?
উঃ –এটি লক বলেছেন। 
৬৩)  “অস্তিত্ব প্রত্যক্ষ-নির্ভর।” কার উক্তি ?
উঃ  –এটি বার্কলের উক্তি।
৬৪) "Esse est percipi"-কে বলেছেন ? 
 উঃ এটি বার্কলে বলেছেন।
৬৫)  “আত্মা হল কতকগুলি মানসিক অবস্থার সমষ্টি।” -কার মত ? 
উঃ  -এটি হিউম-এর মত।
৬৬)   “ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ ধারণার অনুলিপি।” –কে বলেছেন ?
উঃ –এটি প্লেটো বলেছেন।
৬৭)" মনের সারধর্ম চিন্তন, জড়ের সারধর্ম বিস্তৃতি" কি বলেছেন? 
উঃ দেকার্ত বলেছেন।