Sunday 31 March 2024

এবিস নায়গ্রা (Abies Nigra) Homeo Remedy

Leave a Comment

 এবিস নায়গ্রা (Abies Nigra)


(আমেরিকার ঝাউগাছের মত একপ্রকার গাছের আঠা হইতে প্রস্তুত)

ক্রিয়া: ইহা একটি দীর্ঘক্রিয় ঔষধ এবং পাকস্থলীর উপরেই ইহার ক্রিয়া অধিক। কোনও পীড়ার সহিত বায়ু ও অম্লের লক্ষণ থাকিলে, বৃদ্ধদের অম্ল ও অজীর্ণ পীড়ার সহিত হৃৎপিণ্ডের কোনও পীড়া থাকিলে এবং অতিরিক্ত চা পান ও তামাক খাওয়ার জন্য ডিস্পেপসিয়া পীড়া হইলে- ইহাতে অধিক উপকার হয়। নার্ভাস, লেখাপড়ার কার্য্য বা চিন্তা করিবার ক্ষমতালোপ দিবসে নিদ্রালু-রাত্রিতে অনিদ্রা, কোষ্ঠবদ্ধতা, আহারের পর পেটে বেদনা, ভুক্তদ্রব্য পেটে গোলার মত হইয়া থাকা কিম্বা জড়াইয়া উঠা, বেদনা প্রভৃতি ইহার-চরিত্রগত লক্ষণ।


অম্লশূল-বেদনা-একটু পেট ভরিয়া আহার করিলেই পেটে এক- প্রকার যন্ত্রণাদায়ক বেদনা উপস্থিত হয়, মনে হয় পাকস্থলীর মুখে (in- cardia) যেন কি একটা গোলার মত শক্ত পদার্থ আটকাইয়া আছে। এবিসের রোগীর এক অদ্ভুত লক্ষণ-বেলা দ্বিপ্রহরে ও রাত্রিতে অত্যন্ত ক্ষুধা হয়, এমন কি ক্ষুধার জন্য নিদ্রা হয় না; কিন্তু প্রাতঃকালে কিছুমাত্র ক্ষুধা থাকে না।


হৃৎপিণ্ডের পীড়া-বুকের ভিতর একপ্রকার যন্ত্রণা হয় ও সেখানে বোধ হয় যেন কিছু আটকাইয়া আছে, রোগী তাহার জন্য পুনঃ পুনঃ কাশে, কাশির সময় মুখ দিয়া অনবরত জল উঠে, গলা যেন কেহ চাপিয়া ধরিয়াছে, তাহাতে দম বন্ধ হইয়া যাইবে এইরূপ বিবেচনা হয়। হৃৎপিণ্ডে তীক্ষ্ণ বেদনা, হৃৎপিণ্ড ভারী ও হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া ধীর হয়।


ঋতুস্রাব-দুই তিন মাস অন্তর হয় ও পুনরায় বন্ধ হইয়া যায়। 

সম্বন্ধ (complements) -ব্রায়োনিয়া, নক্স, থুজা, ক্যালি-কার্ব্ব। 

বৃদ্ধি (aggravation)-আহারের পরক্ষণেই।


শক্তিPotency)-১ম হইতে ৩০ শক্তি। 

প্রয়োগ: প্রতিদিন ৩/৪ বার





Read More

স্নায়ু দৌর্ব্বল্য (Nerve weakness ) এর হোমিও চিকিৎসা

Leave a Comment

 স্নায়ু দৌর্ব্বল্য (Nerve weakness )

স্নায়ু দৌর্ব্বল্য: মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বুক ধড়ফড় করা, ইন্দ্রিয় গণের অবসন্নতা, পেট ফাঁপা, অজীর্ণ, হাত পা ঝিমঝিম করা, স্মৃতিশক্তি লোপ, কোন বিষয়ে চিন্তা করতে না পারা, কথা কহিতে অনিচ্ছা, অনিদ্রা, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি এই পীড়ার লক্ষণ।


এসিড ফস 30/200: স্নায়ু-দৌৰ্ব্বল্য—মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, বুক ধড়ফড়, করা, ইন্দ্রিয়গণের অবসন্নতা, পেটফাপা, অজীর্ণ, হাত পা ঝিম-ঝিম করা, স্মৃতি- শক্তির লোপ, কোন বিষয় চিন্তা করিতে না পারা, কথা কহিতে অনিচ্ছা, অনিদ্রা, ভয়, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি এই পীড়ার লক্ষণ এবং এনাকার্ডিয়াম, আর্জেণ্ট-নাইট্রিকাম, এম্ব্রাগ্রেসিয়া এসিড-পিক্রিক, 'ক্যালি-ব্রোম, জিঙ্কাম, ফসফরাস, এসিড ফস, জেলসিমিয়ম, মস্কাস ইত্যাদি লক্ষণভেদে উহার সাধারণ ঔষধ। ফস্ফরিক এসিডের রোগী সাময়িক পরিশ্রমেই দুর্ব্বলতা অনুভব করে, রমণেচ্ছা অত্যন্ত প্রবল থাকে, অধিকক্ষণ লিঙ্গোদ্রেক—তাহাতে হয়ত সমস্ত রাত্রিই জাগিয়া থাকিতে হয়, পরে প্রচুর পরিমাণে রেতঃস্খলন হয়, অবসন্ন হইয়া পড়ে।

এসিড ফস প্রথমে মানসিক দৌর্বল্য পরে শরীর আক্রান্ত হয়, যে সকল যুবক শীঘ্র শীঘ্র বেড়ে ওঠে যাদেরকে অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করতে হয় ইহা তাদের পক্ষে অধিক উপযোগী। স্বাস্থ্যভঙ্গ, অতিরিক্ত দুঃখ, ভালোবাসায়  বঞ্চিত কিংবা শরীরের তেজস্কর পদার্থের ক্ষয়হেতু যখন শরীর নষ্ট হবার সম্ভাবনা তখনই ইহাকে স্মরণ করিবেন।

Antidote : ক্যামফর, কফি, স্ট্যাফি।

পরবর্তী ওষধ:  চায়না, ফেরম, সেলিনি, লাইকো, নক্স, সলফ, বেল, কষ্টি, আর্স।


এসিড-পিক্রিক—ডাঃ ন্যাস বলেন, স্নায়ু-দৌর্বল্যের যতগুলি ভাল ভাল ঔষধ আছে—“অতিশয় ইন্দ্রিয়চালনা" পীড়ার কারণ হইলে- পিক্রিক-এসিড প্রায় সকল ঔষধের শীর্ষস্থানীয়। যেখানে এই এসিডের প্রয়োজন তথায় রোগীর সর্বদাই মন মরা, কেবলমাত্র শুইয়া থাকিতে ইচ্ছা, উদাসীনতা, চক্ষে অন্ধকার দেখা, সকল কার্যেই স্পৃহাশূন্যতা, পা সর্বদাই ভারী বোধ এবং কোমরে বেদনা ও গায়ে জ্বালা অনুভব করা, কোন বিষয়ে মনসংযোগ করিতে না পারা, এই লক্ষণগুলি স্পষ্ট সমাবেশ দেখা যায়। ক্রম-- ষষ্ঠ হইতে সিএম শক্তি


স্ট্যানম: শারীরিক ও মানসিক অত্যধিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা, পক্ষাঘাতের মত দুর্বলতা গলা ও বক্ষস্থলের অত্যধিক দুর্বলতার জন্য কথা কহিতে হাসিতে জোরে পাঠ করিতে কষ্টবোধ। উপর হইতে নিচে নামিতে হইলে যেন মূর্চ্ছার মত হয় কিন্তু উপরে উঠিতে তত কষ্ট হয় না।


এনাকার্ডিয়ম: ডক্টর হিউজেস বলেন-- জ্ঞাতসারেই হোক অথবা অজ্ঞাতসারেই হোক ক্রমাগত শুক্রক্ষরণ বা বীর্যস্খলন হেতু স্নায়ু দুর্বলতা ও স্মৃতিশক্তির হ্রাস হইলে উপকারী। (প্রত্যহ প্রাতে সেবনে আশাতীত উপকার হয়।)

Antidote: ক্লিমেটিস, ক্রোটন, কফি, জগ- ল্যান্স রানান-বালবো, রাসটক্স,

 পরবর্তী ঔষধ:  লাইকো, প্ল্যাটিনা, পলস।

 ক্রম: ৬- ৩০ 

অম্লশূল বেদনায় ২০০ বা আরো উচ্চশক্তি উপকারী।

Read More