আর্জেন্ট মেটালিকাম (Argent Met.)
(খাঁটি রূপা হইতে প্রস্তুত হয়) মাহাত্মা হ্যানিম্যান ইহা প্রথমে পরীক্ষা করেন। হিষ্টিরিয়াগ্রস্তা, নার্ভাস-স্ত্রী ও যে সকল পুরুষ শুক্রক্ষয় করিয়া অত্যন্ত দুর্ব্বল হইয়া পড়িয়াছে তাহাদের ধাতুতে ইহা অধিক উপকারী। পরিপাক যন্ত্রের ও অন্যান্য স্থানের মিউকাস মেম্বেণের এবং হাড়, কার্টিলেজ, লিগামেন্ট, লেরিংস ও মূত্রযন্ত্রের উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া।
চরিত্রগত লক্ষণ:
১। রোগী-রোগা, লম্বা ও উত্তেজিত স্বভাবাপন্ন।
২। অণ্ডকোষে থেঁৎলাইয়া যাইবার মত বেদনাবোধ করিলে এবং লিঙ্গোত্থান না হইয়া অজ্ঞাতসারে শুক্রপাত বা স্বপ্নদোষ হইলে ইহাতে উপকার হইবে। পুরাতন গ্লীটরোগে ঘন স্রাব্ নির্গত হয়, বঙ্ হলদে বা সবুজ, জ্বালা যন্ত্রণা থাকে না (হাইড্র্যাস্টিস)।
৩। গায়ক ও বক্তাদের গলাধরা।
৪। কাশি-ফ্যারিংস, লেরিংস কিম্বা ব্রঙ্কাইয়ের কোন পুরাতন পীড়ায় জেলির মত শ্লেষ্মা জড়াইয়া থাকে, রোগী উহা পুনঃ পুনঃ কাশিয়া তুলিয়া ফেলিবার চেষ্টা করে। জোরে হাসিলে বা পাঠ করিলেই কাশি হয়।
৫। কাশিতে কিংবা গিলিতে গলায় বেদনা।
৬। জেলীর মত চট্টচটে সর্দি গলায় জমে; কিন্তু উহা সহজেই উঠিয়া যায়।
৭। নাসিকায় জলের মত তরুণ সর্দ্দিসহ হাঁচি।
৮। ঋতুলোপকালের বয়সে অত্যাধিক রজঃস্রাব।
৯। বাম ওভেরিতে বেদনা, বেদনাসহ জরায়ুর বহির্নিঃসরণ (ডান ওভেরিতে-প্যালেডিয়ম) Froded spongy cervix ।
১০। বামদিকের বক্ষে অত্যন্ত দুর্ব্বলতা অনুভব।
১১। অবসাদ-সর্বদা ঘুমাইবার ইচ্ছা।
ইহার রোগীর পা ফোলা থাকে, হাঁটুতে কিছুমাত্র বল থাকে না, প্রত্যেক দিন হেক্টিক-জরের মত-বেলা ১টায় জ্বর আসে এবং ২/১ ঘণ্টা থাকিয়া ছাড়িয়া যায়, স্মরণশক্তির লোপ হয়, কথা কহিতে কহিতে ভুলিয়া যায় ও চুপ করিয়া থাকে, প্রকৃত বয়স অপেক্ষা অনেক অধিক বয়স বলিয়া বোধ হয়, স্বভাব খিটখিটে, কাহারও সঙ্গে কথা কহিতে ভালবাসে না, অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তাবশতঃ এক স্থানে থাকিতে পারে না।
১২। বেদনা-শরীরের যে কোন স্থানে হউক বেদনা হইয়া (অধিকাংশ স্কুলে বাম দিকে) উহা ক্রমশঃ মস্তক পর্যন্ত উত্থিত হয়, বেদনা ধীরে ধীরে বাড়ে, চরম সীমায় উত্থিত হয়, পরে হঠাৎ কমিয়া যায়।
১৩। বাতে গাঁট, কনুই ও হাঁটু আক্রান্ত হয়। পায়ের ভীষণ দুর্ব্বলতা-পা কাঁপে, সম্মুখবাহুর আংশিক পক্ষাঘাত, গোড়ালির ফোলা, লেখকদিগের আঙুল কাঁপে (writer's cramp), পিঠে বেদনা, কুঁজো হইয়া চলে।
১৪। মিষ্টি গন্ধের প্রস্রাব অনবরত বেশি পরিমাণে হয়।
১৫। রোগী চিৎ হয়ে শুলে তার হৃদযন্ত্রের স্পন্দন ও ফরফড়ানি বেড়ে যায় তবে ব্যথা করে না।
বৃদ্ধি-স্পর্শে, দুই প্রহরে।
উপশম-খোলা বাতাসে, কাশিলে, কাশি রাত্রিতে শুইলে (হায়ো- সিয়ামসের বিপরীত লক্ষণ)।
পরবর্তী ঔষধ-ক্যাল্কে, পল্স, সিপি
শক্তি: ৬ -৩০ ও ২০০
প্রয়োগ: প্রতিদিন ৩-৪ বার।
অতি শীঘ্র পুন: প্রয়োগ নিষিদ্ধ।
Read More