Friday, 25 May 2018

1. Question & Answer of the story, "The Eyes Have It" written by Ruskin Bond. (XII of wbchse)

Leave a Comment
Question:  " ----then a girl got in."

(i)  At which station did the girl get in ? (ii) Who were present at the station to see the girl off?
(iii) What were their instructions for the comfort of the girl.                                                                                               (1+1+4)
1. "---- তারপর একটি মেয়ে উঠেছিল।"
(i) কোন স্টেশনে মেয়েটি  উঠেছিল?
(ii) মেয়েটিকে বিদায় জানাতে কারা স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন ?
 iii) মেয়েটির স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য তাদের নির্দেশাবলী কি ছিল?
Ans.
        (i)  The girl got in the train at Rohana station.

        (ii)  A couple, probably the parents of the girl, were present at the station to see the girl off.

    (iii) According to the narrator, the parents of the girl seemed very anxious about their daughter's safe journey. Because, the girl would travel alone. So, they, especially the mother instructed her as to where to keep her things. She advised her not to lean out of the windows. She also advised her how to avoid speaking to unknown passengers at the time of journey.

বঙ্গানুবাদ:
             (i) মেয়েটি রোহানা স্টেশনে  ট্রেনে উঠেছিল।
   
     (ii) একটি দম্পতি,সম্ভবত মেয়েটির বাবা-মা মেয়েটিকে বিদায় জানাতে স্টেশনটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন।

        (iii) গল্পকারের মতে, মেয়েটির বাবা-মা তাদের মেয়েদের নিরাপদ যাত্রা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন। কারণ, মেয়ে একা ভ্রমণ করবে। তাই, তারা, বিশেষতঃ মা তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কোথায় তার জিনিসপত্র রাখতে হবে।  তিনি তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন কখনো সে জানালা দিয়ে বাইরে ঝুঁকবে না। তিনি তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন যে যাত্রার সময় অজানা যাত্রীদের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন কিভাবে।
Read More

Wednesday, 23 May 2018

উপমা যুক্তি কাকে বলে? উপমা যুক্তির মূল্যায়নের মানদন্ডগুলি উদাহরণসহ আলোচনা কর। (Inductive Philosophy)

1 comment
প্রশ্ন: উপমা যুক্তি কাকে বলে? উপমা যুক্তি মূল্যায়নের মানদন্ডগুলি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

উঃ
        উপমা যুক্তি : দুটি বস্তুর মধ্যে কোন কোন বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ্য করে তারই ভিত্তিতে যখন উভয়ের মধ্যে অন্য কোন সাদৃশ্যের অনুমান করা হয় তখন তাকে উপমা যুক্তি বা সাদৃশ্যমূলক আরোহ অনুমান বলে।

    উদাহরণ: পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহে -- জল, মাটি, তাপ, মাধ্যাকর্ষণ ও একই ধরনের আবহাওয়ার দেখে এবং পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব দেখে যদি মঙ্গল গ্রহে উপরোক্ত সাদৃশ্যগুলির ভিত্তিতে অনুমান করি যে, সম্ভবত মঙ্গল গ্রহেও প্রাণী আছে তবে ওই যুক্তি বা অনুমানটিকে বলে উপমা যুক্তি।

           উপমা যুক্তির মূল্যায়নের মানদন্ড: উপমা যুক্তির মূল্যায়নের মানদন্ড গুলি হল--

     প্রথমত, উপমা যুক্তির আশ্রয় বাক্যে যে দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সাদৃশ্য থাকে সেই দৃষ্টান্তগুলির সংখ্যা যত বেশি  হয় সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা তত বেশি বেড়ে যায়। যেমন--- মানিকতলা বাজারে একজন ফলওয়ালার কাছ থেকে হিমসাগর আম কিনলাম এবং তা মিষ্টি লাগলো।  দ্বিতীয় দিনেও ওই ফলওয়ালার কাছ থেকে হিমসাগর আম কিনলাম এবং তা মিষ্টি লাগলো। এ থেকে যদি সিদ্ধান্ত করি ওই ফলওয়ালার সব আম মিষ্টি, তাহলে সিদ্ধান্তটির সম্ভাব্যতা খুবই কম হয়ে দাঁড়ায়। অপরপক্ষে, যদি 15/16 বার ওই ফলওয়ালার কাছ থেকে হিমসাগর আম কিনে দেখি যে তার ফল মিষ্টি এবং তারপর যদি সিদ্ধান্ত করি --- ভবিষ্যতেও ওই ফলওয়ালার হিমসাগর আম মিষ্টি হবে, সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হয়।

        দ্বিতীয়ত, হেতুবাক্যে জ্ঞাত সাদৃশ্যের সংখ্যা যত বেশি হবে,  উপমা যুক্তি সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত বেশি হবে। যেমন - পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের মধ্যে সাদৃশ্যের সংখ্যা বেশি এবং গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার জন্য 'পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহেও জীবের অস্তিত্ব আছে' - এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। অন্যদিকে, পৃথিবী ও চন্দ্রের মধ্যে সাদৃশ্যের সংখ্যা কম হওয়ার জন্য 'পৃথিবীর মতো চন্দ্রেও জীবের অস্তিত্ব আছে' - এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা খুবই কম।

        তৃতীয়ত, হেতুবাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে ব্যক্তিগত বৈসাদৃশ্য যত বেশি হবে, সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত বেশি হবে। যেমন- একটি বিদ্যালয় এর 10 জন ছাত্রকে পরীক্ষা করে দেখা গেল যে, তারা সবাই সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করেছে। রবিন ওই বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চমাধ্যমিক পাঠরত। কাজেই সিদ্ধান্ত করা যায় যে, রবিনও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা আরো বেশি হবে যদি আমরা উল্লিখিত দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে ব্যক্তিগত বৈসাদৃশ্য বেশি পর্যবেক্ষণ করি। যদি দেখা হয় তাদের মধ্যে কে ধনী বা নির্ধন, কে শহরের ছাত্র বা গ্রামের ছাত্র ইত্যাদি।

        চতুর্থত, জ্ঞাত গুণাবলীর তুলনায় যদি অজ্ঞাত গুণাবলীর সংখ্যা ও গুরুত্ব বেশি হয়, তাহলে উপমা যুক্তির সিদ্ধান্ত কম সম্ভাব্য হবে। এই বিষয়টিকে নিচের ভগ্নাংশের আকারে প্রকাশ করা যায়:
                                    সাদৃশ্য
                     ----------------------------------------
                       বৈশাদৃশ্য + অজ্ঞাত গুণাবলী

          এর অর্থ হল: উপমাযুক্তির ক্ষেত্রে বৈসাদৃশ্য ও অজ্ঞাত গুণাবলীর সংখ্যা যত বেশি হবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত কম হবে। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ সাদৃশ্যের সংখ্যা যত বেশি হবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত বেশি হবে।

           পঞ্চমত, উপমা যুক্তির মূল্যায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড হল  সাদৃশ্যের বিষয়গুলির প্রাসঙ্গিকতা। হেতুবাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তের সঙ্গে সিদ্ধান্তের যদি একটি মাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাদৃশ্য থাকে তাহলেও সেই যুক্তি অনেক বেশি সম্ভাব্য ও গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যদিকে, হেতুবাক্যে উল্লিখিত বেশ কয়েকটি কম গুরুত্বপূর্ণ বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের সঙ্গে সিদ্ধান্তের উল্লিখিত দৃষ্টান্তের মিল থাকলেও সিদ্ধান্তটি কম সম্ভাব্য হবে। যেমন- রামের রক্ত পরীক্ষা করে যদি যক্ষা রোগের জীবাণু পাওয়া যায় এবং শ্যামের রক্তেও যদি একই জীবাণু পাওয়া যায় এবং যদি তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত করা হয় রাম যে ওষুধ খেয়ে ভালো হয়েছে শ্যামও সেই ঔষধে ভালো হবে তবে সিদ্ধান্ত অনেক জোরালো হবে। অন্যদিকে, রাম ও শ্যামের মধ্যে ওজন, বর্ণ, উচ্চতা, বয়স ইত্যাদি নানা বিষয়ে সাদৃশ্য দেখে এবং রামকে একটি ঔষধে সুস্থ হতে দেখে যদি সিদ্ধান্ত করা হয় একই রোগে একই ওষুধে সুস্থ হবে তবে সিদ্ধান্তটি হবে খুবই দুর্বল।

                                   <<<<<>>>>>
Read More

বৈশেষিক দর্শন অনুসারে আত্মা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর। (Indian Philosophy)

Leave a Comment
     প্রশ্ন: বৈশেষিক দর্শন অনুসারে আত্মা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।

উঃ 
     বৈশেষিক মতে আত্মা: বৈশেষিক মতে আত্মা সর্বব্যাপী ও শাশ্বত। জ্ঞান বা চেতনার আধার হলো আত্মা। আত্মার স্বরূপ সম্পর্কে বৈশেষিকদের ধারণা নৈয়ায়িকদের ধারণার অনুরূপ। আত্মা দুই প্রকার -- জীবাত্মা ও পরমাত্মা। প্রত্যেক জীবের শরীরেই একটি করে আত্মা বিদ্যমান। তাই জীবাত্মা সংখ্যায় অনেক বা বহু, পরমাত্মা এক। ঈশ্বর হলেন পরমাত্মা। পরমাত্মা প্রত্যক্ষের বিষয় নয়। আমরা জগৎ কারণ-স্বরূপ পরমআত্মার অস্তিত্ব অনুমান করি। আবার সুখ, দুঃখ, বুদ্ধি, প্রযত্ন প্রভৃতি গুনের আশ্রয় রূপে আমরা জীবাত্মার অস্তিত্ব অনুমান করি। স্বরূপ অত আত্মা নির্ঘুম ও  নিষ্ক্রিয়। চৈতন্য আত্মার আগন্তুক গুণ, স্বাভাবিক গুণ নয়। 

       বৈশেষিক মতে, স্বরূপত আত্মা অচেতন দ্রব্য। আত্মা দেহের  সংস্পর্শে এলে চৈতন্য লাভ করে। আত্মার সঙ্গে দেহের সংযোগেই আত্মার বদ্ধাবস্থা হয়। জীব অজ্ঞানবসতঃ দেহ-মন ইন্দ্রিয়কে আত্মা মনে করে। আসলে জীব আত্মার প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে না। আত্মার প্রকৃত স্বরূপের জ্ঞান হলো তত্ত্ব জ্ঞান, যার সাহায্যে জীবের মোক্ষলাভ সম্ভব হয়। জীবাত্মা মোক্ষলাভ করলে ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্ম হতে পারেনা, ঈশ্বর সদৃশ্য হয়। আত্মার এক চৈতন্য হীন অবস্থায় মোক্ষাবস্থা, যে অবস্থায় জীবাত্মা  পরমাত্মায় লীন হয়ে যায় না।
                        <<<<<>>>>>>
Read More

প্রশ্ন: সাংখ্যদর্শনের বিবর্তনবাদ / পরিণামবাদ / অভিব্যক্তিবাদ আলোচনা কর।(Sankhya theory of Evolution)

Leave a Comment
প্রশ্ন: সাংখ্যদর্শনের বিবর্তনবাদ / পরিণামবাদ / অভিব্যক্তিবাদ আলোচনা কর।
উঃ

       সাংখ্য বিবর্তনবাদ: সাংখ্যদর্শন দ্বৈতবাদী। এই দর্শনে দুটি তত্ত্ব স্বীকার করা হয়েছে। একটি পুরুষ অপরটি প্রকৃতি। প্রকৃতি ও পুরুষের সংযোগের ফলে এই জগতের আবির্ভাব ঘটে। প্রকৃতি হতে এই জগতের আবির্ভাব। প্রকৃতিতে এই জগতের লয়। সত্ত্ব, রজঃ, তমো এই  গুণ তিনটির সাম্যবস্থা হল প্রকৃতি। প্রকৃতি পরিণামী। নিজ স্বভাহেতু প্রকৃতির নিয়মিত সৃষ্টি করে থাকে। এই পরিণাম দুই প্রকার -- স্বরূপ পরিণাম ও বিরূপ পরিণাম। প্রলয় কালে যে পরিনাম হয় তাকে স্বরূপ পরিণাম এবং সৃষ্টিদশায় যে পরিনাম হয় তাকে বিরূপ পরিণাম বলে।

      প্রকৃতির এই পরিণাম যান্ত্রিক নয়। প্রকৃতি জড়, অচেতন হলেও তার এই পরিনাম উদ্দেশ্যমূলক। প্রকৃতি পরিণামের দুটি উদ্দেশ্য -- একটি পুরুষের ভোগ, অপরটি মোক্ষ। পুরুষের ভোগের জন্য প্রকৃতির সৃষ্টিকার্য যেমন প্রয়োজন মোক্ষের জন্যও পুরুষের পক্ষে প্রকৃতির প্রয়োজন।

     সাংখ্য মতে প্রকৃতি জগতের উপাদান কারণ। উৎপত্তির পূর্বে কার্য কারণে সৎ। জগৎ, কার্য, প্রকৃতিতে অব্যক্ত রূপে থাকে। প্রকৃতির পরিণামের ফলে জগতের অভিব্যক্তি। চেতন পুরুষ ও সক্রিয় প্রকৃতির সংযোগের ফলে পরিণাম শুরু হয়। পুরুষ ও প্রকৃতির সংযোগের ফলে গুণত্রয়ের মধ্যে বিক্ষোভ ঘটে। তাদের সাম্যবস্থা নষ্ট হয়। এর ফলে প্রকৃতির মধ্যে প্রবল আলোড়ন শুরু হয়। প্রতিটি গুণ অপর দুটি গুণকে অভিভূত করতে চেষ্টা করে। এর ফলে বিভিন্ন পরিমাণে গুনগুলির বিন্যাস ঘটে। বিভিন্ন জাগতিক বস্তু এর ফলে সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি থেকে জড়জগতের ক্রমাভিব্যক্তি নিম্নরূপ:

                          পুরুষ + প্রকৃতি
                             মহৎ( বুদ্ধি)
                              অহংকার
                                     |
|-----------|--------------------------------------------|----
মন    পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়     পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়      পঞ্চতন্মাত্র
                                                                                                                                             পঞ্চমহাভূত

     মহৎ বা বুদ্ধি: মহৎ বা বুদ্ধি প্রকৃতির প্রথম পরিণাম। জাগতিক বস্তু সৃষ্টির বীজ বলে একে মহৎ বা বিরাট বলা হয়। মহৎ থেকেই সৃষ্টি শুরু। আবার জীবের মধ্যে বুদ্ধি রূপে প্রকাশিত হয় বলে এর অপর নাম বুদ্ধি। ধর্ম, জ্ঞান, বৈরাগ্য, বুদ্ধির সাত্ত্বিক রূপ; অধর্ম' অজ্ঞানতা, মোহ বুদ্ধির তামসরূপ। বুদ্ধি চেতন পুরুষ থেকে ভিন্ন। কিন্তু পুরুষের চৈতন্য বুদ্ধিতে প্রতিবিম্বিত হয়। ইন্দ্রিয়, মন, অংকার বুদ্ধির জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। বুদ্ধির জন্য প্রকৃতি ও পুরুষের ভেদ জ্ঞান হয়।  

         মন:    মনের সাহায্য ছাড়া কোন ইন্দ্রিয় কাজ করতে পারে না। মন জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয় উভয়ই -- পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়, ও মন এই হল একাদশ ইন্দ্রিয়। মন সূক্ষ্ম অথচ সাবয়ব। মন নিত্য ও পরমাণু পরিমাণ নয়। সাংখ্য মতে মন হলো অনিত্য।

       অহংকার: অহংকার প্রকৃতির দ্বিতীয় পরিণাম।  মহৎ বা বুদ্ধি থেকে প্রত্যক্ষভাবে অহংকারের আবির্ভাব হয়। আত্মাভিমান ও সমত্ববুদ্ধি অহংকারের ধর্ম। অহংকারের জন্য পুরুষ নিজেকে কর্তা ও ভোক্তা মনে করে। সত্ত্ব রজঃ ও তমোগুণের তারতম্য হেতু অহংকার তিনপ্রকার -- সাত্ত্বিক রাজস ও তামসা। সাত্ত্বিক অহংকার থেকে পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয় ও মনের আবির্ভাব হয়। তামস অহংকার থেকে পঞ্চতন্মাত্রের আবির্ভাব হয়।  রাজস অহঙ্কার উভয়ের উৎপত্তিতে সাহায্য করে।

         পঞ্চতন্মাত্র: রূপ, রস, গন্ধ, শব্দ ও স্পর্শ - এই পাঁচটি পঞ্চতন্মাত্র।  পঞ্চতন্মাত্র থেকে পঞ্চভূতের সৃষ্টি হয়। ক্ষিতি, অপ্,  তেজ, মরুৎ, ও ব্যোম্ -- এই পাঁচটি পঞ্চভূত। পঞ্চ তন্মাত্র থেকে পঞ্চ মহাভুতের আবির্ভাব নিম্নলিখিত উপায়ে হয়।

        (১) শব্দতন্মাত্র থেকে উৎপন্ন হয় ব্যোম আকাশ। শব্দ আকাশের গুণ।

     (২) শব্দতন্মাত্রের সঙ্গে স্পর্শতন্মাত্রের সংযোগের ফলে মরুৎ বা বায়ুর উৎপত্তি হয়। শব্দ ও স্পর্শ বায়ুর গুন।

     (৩)  রূপ তন্মাত্রের সঙ্গে শব্দ স্পর্শ তন্মাত্রের সংযোগে তেজের উৎপত্তি হয়। শব্দ, স্পর্শ, রূপ তেজের গুন।

        (৪) রস তন্মাত্র শব্দ, স্পর্শ ও রূপ তন্মাত্রের  মিলিত হলে অপ্ বা জলের উৎপত্তি হয়। শব্দ, স্পর্শ, রূপ ও রস জলের গুন।

      (৫) গন্ধ তন্মাত্র শব্দ, স্পর্শ, রূপ ও রস তন্মাত্রের সঙ্গে যুক্ত হলে ক্ষিতি বা  পৃথিবীর উৎপত্তি হয়। শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধ পৃথিবীর গুণ।

      মহৎ থেকে মহাভুত অবধি প্রকৃতির এই পরিণামমকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-- প্রত্যয় বা বুদ্ধি সর্গ এবং তন্মাত্র বা ভৌতিক সর্গ। প্রত্যয় সর্গের অন্তর্গত হল- মহৎ, অহংকার, মন, পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়। তন্মাত্র সর্গের অন্তর্গত হল পঞ্চ তন্মাত্র, পঞ্চভূত মহাভুত ও মহাভুত থেকে উৎপন্ন সকল দ্রব্য। মহৎ থেকে পঞ্চ মহাভুতের আবির্ভাবকে অনুলোম পরিণাম বলা হয়। এর বিপরীত পরিণামমকে অর্থাৎ প্রলয়কালে যে পরিণামম হয় তাকে প্রতিলোম পরিণামম বলে।
                                <<<<<>>>>>
                      
Read More

Tuesday, 22 May 2018

প্রশ্ন: বৈশেষিক দর্শন অনুসারে কর্ম পদার্থের একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর। (Indian Philosophy -বৈশেষিক দর্শন)

Leave a Comment
প্রশ্ন: বৈশেষিক দর্শন অনুসারে কর্ম পদার্থের একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।                ১০ নম্বর
উঃ

      কর্ম: কর্ম অর্থে গতি বোঝায়। কর্ম বা গতি বিশ্বের এক মূল তত্ত্ব, -  দ্রব্য ও গুনের অতিরিক্ত একটি দ্রব্য। কর্মের অর্থ গতি বা স্থান পরিবর্তন। দ্রব্য এবং গুণ থেকে একটি স্বতন্ত্র পদার্থ হল কর্ম। দ্রব্যকে আশ্রয় করেই কর্ম বিরাজ করে। দ্রব্য ছাড়া কর্ম থাকতে পারেনা। কর্মের কোন গুণ থাকতে পারেনা। সব রকমের দ্রব্যের মধ্যই কর্ম থাকেনা। কেবল অনিত্য মূর্ত দ্রব্যের মধ্যেই কর্ম বিরাজ করে। দ্রব্যের মধ্যে গুণ ও কর্ম উভয় বিরাজ করলেও গুণ ও কর্মের মধ্যে পার্থক্য আছে। গুন নিষ্ক্রিয় কিন্তু কর্ম সক্রিয়। গুণ হলো দ্রব্যের স্থায়ী লক্ষণ কিন্তু কর্ম হল অস্থায়ী। কাজেই কর্ম বা গতিকে একটি স্বতন্ত্র পদার্থ হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে।

    কর্ম পাঁচ প্রকার। যথা - (১) উৎক্ষেপন, (২) অবক্ষেপণ, (৩) আকুঞ্চন, (৪) প্রসারণ ও (৫) গমন।

     (১) উৎক্ষেপণ: যে কর্মের দ্বারা উপরের সঙ্গে কোন দ্রব্যের সংযোগ হয়, তাকে বলা হয় উৎক্ষেপণ। যেমন- আম পাড়তে গাছের উপর দিকে ঢিল ছুড়ে দেওয়া

  (২) অবক্ষেপণ: যে কর্মের দ্বারা নিচের দিকে কোন দ্রব্যকে নিক্ষেপ করা হয়, তাকে বলা হয় অবক্ষেপণ। যেমন- ছাদ থেকে নিচে কিছু ফেলে দেওয়া।

    (৩) আকুঞ্চন: কোন দ্রব্যের বিভিন্ন অংশগুলিকে সংকুচিত করাকেই আকুঞ্চন বলে। যেমন- হাত মুষ্টিবদ্ধ করে  হাতের আংগুল গুলিকে সংকুচিত করা।

       (৪) প্রসারণ: কোন দ্রব্যের সংযুক্ত অংশকে বিচ্ছিন্ন করাকেই প্রসারণ বলে। যেমন- মুষ্টির মধ্যে ধরা হাতের আঙ্গুলগুলি বিস্তার করা।

      (৫) গমন: এই চার প্রকার কর্ম বাদে অন্যসব কর্ম হলো গমন। যেমন- আগুনের ঊর্ধ্বগতি, বাতাসের তীব্র গতি প্রভৃতি গমনের অন্তর্গত।

        সবরকম কর্মকে প্রত্যক্ষ করা যায় না। পার্থিব দ্রব্যের কর্মকে প্রত্যক্ষ করা যায়, কিন্তু মনের কর্মকে প্রত্যক্ষ করা যায় না।
                                         <<<<<>>>>>

Read More

সাংখ্য দর্শনে পুরুষের স্বরূপ কি? পুরুষের অস্তিত্বের স্বপক্ষে যুক্তি গুলি কি কি? সাংখ্য মতে পুরুষ এক না বহু ?আলোচনা কর। (Indian philosophy: সাংখ্য দর্শন)

Leave a Comment
 প্রশ্ন: সাংখ্য দর্শনে পুরুষের স্বরূপ কি? পুরুষের অস্তিত্বের স্বপক্ষে যুক্তি গুলি কি কি? পুরুষ এক না বহু? আলোচনা কর।                   ২০ নম্বর
উঃ
     পুরুষ: প্রকৃতি তত্ত্ব ছাড়াও সাংখ্যদর্শনের দ্বিতীয় একটি তত্ত্ব স্বীকার করা হয়েছে সেটি হলো পুরুষ বা আত্মা। পুরুষ হলো সাংখ্যের দ্বিতীয় স্বীকৃত তত্ত্ব। আমরা পুরুষ বা আত্মার অস্তিত্ব অস্বীকার করতে পারি না। জগতের সবকিছুকে অস্বীকার করলেও আমার নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা অসম্ভব। আত্মার অস্তিত্ব স্ব-প্রকাশ, তাই সাংখ্য দার্শনিকগণ আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন। এই পুরুষ বা আত্মা সত্ত্ব, রজঃ ও তমোগুণের অতীত এবং তাদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মের আরেকটি শ্রেণীর দ্রব্য। পুরুষকে বর্জন করে জগতের ব্যাখ্যা হতে পারে না।

     সাংখ্য দার্শনিকদের মতে, পুরুষ বা আত্মা দেহ নয়, মন নয়, বুদ্ধি নয়, ইন্দ্রিয়ও নয়। আত্মা এদের থেকে স্বতন্ত্র। পুরুষ হচ্ছে এক সচেতন সত্তা যা সব সময় জ্ঞাতা কিন্তু কখনোই জ্ঞেয় বা জ্ঞানের বিষয় নয়। পুরুষ নির্বিকার জ্ঞান স্বরূপ। আত্মা শুদ্ধ চৈতন্য স্বরূপ, তাই পুরুষ বা আত্মার কোন পরিবর্তন বা বিকার হয়না। পুরুষ সনাতন - তার উৎপত্তি বা ধ্বংস নেই। পুরুষ পরিচ্ছিন্ন বা সীমিত নয়। পুরুষ বিভু বা সর্বব্যাপী। পুরুষ লোভ, মোহ, রাগ-বিরাগ মুক্ত। পুরুষ  অপরিণামী।

পুরুষ বা আত্মার অস্তিত্বের পক্ষে প্রমাণ: সাংখ্য দর্শনে পুরুষ বা আত্মার অস্তিত্বের স্বপক্ষে একাধিক যুক্তি দেখানো হয়েছে ও এইসব যুক্তি দ্বারা পুরুষ বা আত্মার আত্মার অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তিগুলি এইরকম -

      ক) সংঘাতপরার্থত্বাৎ: সংঘাত অর্থাৎ যৌগিক পদার্থ অপরের উদ্দেশ্য পূরণ করে থাকে। এইসব যৌগিক পদার্থের নিজস্ব কোন উদ্দেশ্য নেই। টেবিল চেয়ার ঘট পট প্রভৃতি সংঘাত দ্রব্য পর-প্রয়োজনে নিবেদিত। এইসব সংঘাত দ্রব্যগুলি কোন চেতন সত্তার প্রয়োজন মেটায়। এই চেতন সত্তাই পুরুষ।

    খ) ত্রিগুণাদি বিপর্যয়াৎ: সব জ্ঞেয় বস্তুই ত্রিগুণাত্মিকা অর্থাৎ সব জ্ঞেয় বস্তুরই সত্ত্ব রজঃ ও তমঃ এই তিনটি গুণ আছে। কাজেই এদের দ্রষ্টা হিসেবে এমন একটি সত্তার অস্তিত্ব থাকতে হবে যার মধ্যে শুধু চৈতন্য আছে, কিন্তু গুণত্রয় নেই। এই সত্তাই  হলো পুরুষ।

    গ) অধিষ্ঠানাৎ: যার অধিষ্ঠানের জন্য দেহ বুদ্ধি-অহংকার-মন বিশিষ্ট হয়ে চেতন পদার্থের মত মনে হয় এবং যার অভাবে দেহ বুদ্ধি- অহংকার-মনবিহীন হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে তাই পুরুষ বা আত্মা। সচেতন একজন রথী না থাকলে যেমন অচেতন রথ ঠিক পথে চলতে পারে না, তেমনি অচেতন প্রকৃতির কার্য যে নিয়ম শৃঙ্খলার সাথে ঘটতে দেখা যায় তাও কোন সচেতন সত্তার সাহায্য ছাড়া হতে পারে না। এই সচেতন সত্তাই পুরুষ।

      ঘ) ভক্তৃভাবাৎ: সুখ-দুঃখ ও বিষাদাত্মক ভোগ্যবস্তুর ভোক্তা রূপে চেতন পুরুষের অস্তিত্ব মানতে হবে। ভোগ্যবস্তুর অস্তিত্ব মেনে নিলে ভোক্তার অস্তিত্বকেও স্বীকার করতে হয়। সুখ, দুঃখ ও বিষাদ ইত্যাদি ভোগ্য। কোন জড় ও অচেতন দ্রব্যের পক্ষে ভোগ করা সম্ভব নয়। তাই ভোক্তা রূপে চেতন সত্তার অস্তিত্ব মানতেই হবে এবং চেতন সত্তাই পুরুষ।

      ঙ) কৈবল্যার্থং প্রবৃত্তেশ্চ:  অনেকের মধ্যে কৈবল্য বা মুক্তির চেষ্টা দেখা যায়। প্রকৃতি কিংবা প্রকৃতি থেকে উদ্ভূত বস্তু তো অচেতন এবং স্বভাবতই দুঃখযুক্ত। কাজেই তাদের পক্ষে দুঃখ থেকে মুক্তির প্রশ্ন ওঠেনা। তাহলে প্রকৃতি থেকে স্বতন্ত্র এক সচেতন সত্তার অস্তিত্ব স্বীকার করতে হয়, নইলে কৈবল্য লাভের চেষ্টার কোনো অর্থ হয় না। এই সচেতন সত্তাই পুরুষ।

      বহু পুরুষবাদ বা আত্মার বহুত্ববাদ : সাংখ্য মতে, পুরুষ বা আত্মাএক নয়, বহ। সাংখ্য কার নিম্নলিখিত যুক্তির সাহায্যে পুরুষের বহুত্ব প্রমাণ করেছেন:

        (ক) বিভিন্ন জীবের মধ্যে জন্ম, মৃত্যু, ইন্দ্রিয় বিষয়ে পার্থক্য দেখা যায়। এক ব্যক্তির জন্ম হলে অন্য ব্যক্তির জন্ম হয় না। একজন অন্ধ বা বধির হলে অন্যজন অন্ধ বা বধির হয়না। এরকম যখন বাস্তবে হয় না তখন আমাদের মানতেই হবে আত্মা এক নয়, বহু।

       (খ) সমস্ত জীবের মধ্যে এক আত্মা থাকলে সমস্ত জীবের প্রবৃত্তি যুগবৎ হত অর্থাৎ একজনের প্রবৃত্তিতে অন্যজনেরও একই প্রবৃত্তি জাগ্রত হত। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তা হয়না। যেমন- একজন যখন যাচ্ছে, আর একজন তখন আসছে। সুতরাং জীবের প্রবৃত্তিগত ভিন্নতাই আত্মার ভিন্নতা প্রমাণ করে। তাই  এক নয়, বহু।

       (গ) একথা আমরা স্বীকার করি যে মানুষ দেবতা নয়, আবার পশুও নয়। একই আত্মা যদি সকলের মধ্যে থাকতো তবে দেবতা মানুষ ও পশুপাখির কোন প্রভেদ থাকত না। কাজেই, আত্মার বহুত্ব স্বীকার করতে হবে।

    (ঘ) মৃত্যুর পর পূণ্যাত্মার স্বর্গবাস, পাপাত্মার নরকবাস। এর দ্বারাও প্রতিপন্ন হয় যে বিভিন্ন জীবের মধ্যে বিভিন্ন আত্মা বিরাজমান। সমস্ত জীবের মধ্যে এক আত্মা থাকলে একজনের মুক্তিতে অন্য সবাই মুক্তি লাভ করতো। সুতরাং আত্মা এক নয়, বহু।
                                  <<<<<>>>>>
Read More

Saturday, 19 May 2018

সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে? ব্যাপ্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ ভূমিকা আলোচনা কর।[ভারতীয় দর্শন(Indian philosophy)]

Leave a Comment
     প্রশ্ন: সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ কাকে বলে? ব্যাপ্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ ভূমিকা আলোচনা কর।

       সামান্যলক্ষণ প্রত্যক্ষ : কোন একটি শ্রেণী বা জাতির অন্তর্গত একটি ব্যক্তি বা বস্তুর সামান্য ধর্মের প্রত্যক্ষের ভিত্তিতে সেই জাতি বা শ্রেণীর অন্তর্গত সমস্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষকে সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ বলে। যেমন- মানুষ জাতির সামান্য ধর্ম হলো মনুষ্যত্ব। ন্যায় মতে, যখন আমরা একটি বিশেষ মানুষকে প্রত্যক্ষ করি তখন 'মনুষত্ব' নামক সামান্য ধর্মটিও প্রত্যক্ষ করি। এই 'মনুষত্ব' ধর্মের মাধ্যমে সকল মানুষকে প্রত্যক্ষ করাই হলো সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষ।

       ব্যাপ্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সামান্য লক্ষণ প্রত্যক্ষের ভূমিকা:  ন্যায়সম্মত ব্যাপ্তি নির্ণয়ের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো সামান্যলক্ষণ প্রত্যক্ষ। সামান্যলক্ষণ প্রত্যক্ষ একপ্রকার অলৌকিক প্রত্যক্ষ। যেমন আমরা পর্বত, পাকশালা প্রভৃতি কোন কোন ক্ষেত্রে ধূম ও বহ্নির ব্যাপ্তি প্রত্যক্ষ করতে পারি। কিন্তু ব্যাপ্তি সম্বন্ধ সার্বজনীন। তাই আমাদের বলার উদ্দেশ্য এরকম হয় না যে, শুধু পর্বতীয় ধূমের সঙ্গে পর্বতীয় বহ্নির ব্যাপ্তি আছে বা পাকশালার ধূমের সঙ্গে পাকশালার বহ্নির ব্যাপ্তি আছে। সকল ধূমের সঙ্গে সকল বহ্নির ব্যাপ্তিই আমরা জানতে চাই। কিন্তু সকল ধূম ও সকল বহ্নির সঙ্গে আমাদের ইন্দ্রিয়ের সাধারণ বা লৌকিক সন্নিকর্ষ সম্ভব নয়। তা সমাধানকল্পেই ন্যায়দর্শনে সামান্যলক্ষণ সন্নিকর্ষের দ্বারা সকল ধূম ও সকল বহ্নির ব্যাপ্তিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

         এই সামান্যলক্ষণ প্রত্যক্ষের সাহায্যে আমরা কোন একটি স্থানে ধূমকে প্রত্যক্ষ করার সময় ঐ ধূমের মাধ্যমে ধূমত্ব জাতিকে এবং ঐ ধূমত্ব জাতির মাধ্যমে সকল ধূমকে প্রত্যক্ষ করতে পারি। অনুরূপভাবে বহ্নিত্ব জাতির মাধ্যমে আমরা সকল বহ্নিকে প্রত্যক্ষ করতে পারি। ধূমত্ব ও বহ্নিত্বের প্রত্যক্ষকালে ধূমত্ব ও বহ্নিত্বের সম্বন্ধও আমাদের প্রত্যক্ষের বিষয় হয়। ধূমত্ব ও বহ্নিত্বের এই সম্বন্ধের সাহায্যে আমরা সামান্যত সকল ধূমের সঙ্গে সকল বহ্নির একটি সম্বন্ধ প্রত্যক্ষ করি। এই প্রত্যক্ষ হয় এক ধরনের অলৌকিক প্রত্যক্ষ। এটাই সামান্যলক্ষণ প্রত্যক্ষ। এইভাবে সামান্যলক্ষণ প্রত্যক্ষের সাহায্যে হেতু ও সাধ্যের মধ্যে ব্যাপ্তি নির্ণয় করা যেতে পারে।
                         <<<<<>>>>>
Read More