Thursday, 24 September 2020

HS Philosophy A বচনের সরল বা সীমিত আবর্তন সম্ভব কি? O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন?

Leave a Comment

তৃতীয় অধ্যায়:  অমাধ্যম অনুমান


প্রশ্ন: A বচনের সরল বা সীমিত আবর্তন সম্ভব কি? O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন?

উঃ   সাধারণত A- বচনের সরল বা সম আবর্তন সম্ভব নয়। আবর্তনের নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যে যে পদ ব্যাপ্য নয়, সিদ্ধান্তে সেই পদকে ব্যাপ্য হতে না। A বচনের সরল আবর্তন করলে, অর্থাৎ, A- বচনকে A বচনে আবর্তিত করা হলে ওই নিয়ম লঙ্ঘন করা হবে। 

দৃষ্টান্ত : 

A -সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।(আবর্তনীয়) 

A সকল মরণশীল জীব হয় মানুষ (আবর্তিত)

আবর্তনীয় বচনের বিধেয়পদ “মরণশীল” অব্যাপ্য। কিন্তু আবর্তিত A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে ওই পদ থাকায় তা ব্যাপ্য হয়। ফলে যুক্তিটি আবর্তনের নিয়ম লঙ্ঘন করে। এজন্য A বচনকে I- বচনে আবর্তিত করা হয়। এই আবর্তনকে সীমিত সরল আবর্তন বলে। 

তবে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে A- বচনের সরল আবর্তন সম্ভব বলে মনে করা হয়। এই ক্ষেত্রগুলি নিম্নরূপ : 

( ১ ) যদি A বচনের উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদের ব্যাক্তার্থ সমান হয়, অর্থাৎ উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদ যদি একই ব্যক্তি বা বস্তু নির্দেশক হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে A- বচনের সম আবর্তন করা যায়। যেমন – 

A – পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত হয় হিমালয় — আবর্তনীয় । 

A – হিমালয় হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত — আবর্তিত 

(2) যদি A বচনের বিধেয়পদটি উদ্দেশ্যপদের সংজ্ঞা হয় তবে সেক্ষেত্রে A বচনের সম আবর্তন করা যায়। যেমন-

 A - সকল ত্রিভুজ হয় ত্রিবাহুবেষ্টিত সামতলিক ক্ষেত্র — আবর্তনীয় 

A – সকল ত্রিবাহুবেষ্টিত সামতলিক ক্ষেত্র হয় ত্রিভুজ — আবর্তিত 

(৩) যদিA বচনের বিধেয়পদটি উদ্দেশ্যপদের সমার্থক হয় তবে সেই A বচনের সম আবর্তন সম্ভব। এক্ষেত্রে বিধেয়পদটি উদ্দেশ্যপদের পুনরুক্তি মাত্র। যেমন -

A - সকল মানুষ হয় মনুষ্যজাতীয় জীব – আবর্তনীয়।

A-  সকল মনষ্যজাতীয় জীব হয় মানুষ। আবর্তিত

 

 **0 বচনের আবর্তন করা সম্ভব নয়। কেন '0' বচনকে আবর্তন করা যায় না তা ব্যাখ্যা করা যাক--

 যেহেতু 'O' বচন নঞর্থক তাই তৃতীয় নিয়ম (গুণের নিয়ম) পালন করলে 0 বচনের আবর্তিত রূপ হবে হয় 0 অথবা E। এখন যদি 0 বচনের আবর্তন করে 0 পাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে -

 O—কোনাে কোনাে ফুল নয় সাদাবস্তু  ( আবর্তনীয় )। . 

: . O— কোনাে কোনাে সাদাবস্তু নয় ফুল । ( আবর্তিত ) । 

উক্ত অনুমানটি স্পষ্টতই অবৈধ । কেননা এখানে আবর্তনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নিয়ম পালন করলেও চতুর্থ নিয়মকে লঙ্ঘন করা হয়েছে । অর্থাৎ, এখানে আশ্রয়বাক্যে ‘ফুল' এই উদ্দেশ্যপদটি অব্যাপ্য হয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্তে ওই 'ফুল’ পদটি 0 বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। একারণে 0 বচনের আবর্তন করে 0 বচন পাওয়া যাবে না

একইভাবে যদি 0 বচনকে আবর্তন করে E পাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে--

 O—কোনাে কোনাে ফুল নয় সাদাবস্তু। ( আবর্তনীয় )। 

: . E— কোনাে সাদাবস্তু নয় ফুল । ( আবর্তিত )।

এখানেও আবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্যপদ (ফুল) 0 বচনের উদ্দেশ স্থানে থাকায় অব্যাপ্য হয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। এজন্য 0 বচনের আবর্তন করে E পাওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে E বচনকে আবর্তন করে ‘A’ করলে গুণের পরিবর্তন ঘটবে 

অর্থাৎ তৃতীয় নিয়ম লঙ্ঘন করবে। সুতরাং, 0 বচনের আবর্তন করে A বা E বা  বা 0 কোনাে বচনই পাওয়া যাবে না। তাই বলা যায়, 0 বচনের আবর্তন সম্ভব নয় ।

                     <<<<<<<<<<>>>>>>>

Read More

HS PHILOSOPHY আবর্তন কাকে বলে? আবর্তনের নিয়মগুলি উল্লেখ কর।

Leave a Comment

 তৃতীয় অধ্যায়

               অমাধ্যম অনুমান

প্রশ্ন: আবর্তন কাকে বলে? আবর্তনের নিয়মগুলি উল্লেখ করো।

উঃ

আবর্তন(Conversion): যে অবরােহমূলক অমাধ্যম অনুমান আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদকে সিদ্ধান্তে বিধেয় পদ করে এবং আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদকে সিদধান্তে উদ্দেশ্য পদ করে এবং আশ্রয়বাক্য ও সিদধান্তের গুণের কোনাে পরিবর্তন না করে সিদ্ধান্তটি আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্তটি কখনও আশ্রয়বাক্য থেকে ব্যাপকতর হয় না সেই অমাধ্যম অনুমানকে বলা হয় আবর্তন। 

অথবা

আবর্তন: যে অমাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হয় এবং আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হয় এবং আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের গুণ অপরিবর্তিত থাকে, তাকে আবর্তন বলে। আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্যকে আবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্তকে আবর্তিত বলে। যেমন, 

আশ্রয়বাক্য: E কোনাে পশু নয় কবি। (আবর্তনীয়) 

সিদ্ধান্ত:  E = কোনাে কবি নয় পশু। ( আবর্তিত ) 

**আবর্তনের নিয়ম ( Rules of Conversion ) : 

(১) আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্যপদ সিদ্ধান্তের বিধেয়পদ হবে। 

(২) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যপদ হবে। 

(৩) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ অভিন্ন হবে। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্য যদি সদর্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে এবং আশ্রয়বাক্যের গুণ নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তের গুণও নঞর্থক হবে। এই নিয়মটিকে বলা হয় আবর্তনের গুণের নিযম। 

(৪) যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য নয়, সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। এই নিয়মটিকে বলা হয় ব্যাপ্যতার নিয়ম।

Read More

Wednesday, 23 September 2020

HS Philosophy প্রশ্ন: অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে? মাধ্যম অনুমান কাকে বলে? অমাধ্যম অনুমান ও মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্য কর।

Leave a Comment

 তৃতীয় অধ্যায়

               অমাধ্যম অনুমান

প্রশ্ন: অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে? মাধ্যম অনুমান কাকে বলে? অমাধ্যম অনুমান ও মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্য কর।


অমাধ্যম অনুমান : যে অবরােহ অনুমানে একটিমাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে অনাধ্যম অনুমান বলে।

 উদাহরণ:

  E— কোনাে বৃত্ত নয় ত্রিভুজ । ( আশ্রয়বাক্য ) 

 : . E— কোনাে ত্রিভুজ নয় বৃত্ত । ( সিদ্ধান্ত ) ( আবর্তনের মাধ্যমে )

মাধ্যম অনুমান : যে অবরােহ অনুমানে একের বেশি অর্থাৎ, একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিন্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে মধ্যম অনুমান বলে। 

 উদাহরণ: 

A—সকল মানুষ হয় মরণশীল প্রাণী। ( আশ্রয়বাক্য )।

A— সকল কবি হয় মানুষ। ( আশ্রয়বাক্য ) 

 .'.A— সকল কবি হয় মরণশীল প্রাণী। ( সিদ্ধান্ত )।

অমাধ্যম অনুমান ও মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্য: অমাধ্যম ও মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল --

(১) আশ্রয়বাক্যের সংখ্যা : অমাধ্যম অনুমানের ক্ষেত্রে একটি মাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়। 

   অপরপক্ষে, মাধ্যম অনুমানে দুটি বা তার বেশি আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়।

(২) পদের সংখ্যা : অমাধ্যম অনুমানে দুটি পদ থাকে উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদ। এখানে দুটি পদই দুবার করে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে বিরুদ্ধ পদের ব্যবহার করা হয়।

     অপরপক্ষে, মাধ্যম অনুমানে তিনটি পদ থাকে। যথা— পক্ষপদ, সাধ্যপদ এবং হেতুপদ। এখানে তিনটি পদই দুবার করে ব্যবৃহত হয়। 

(৩) বচনের সংখ্যা : অমাধ্যম অনুমান দুটি বচন দ্বারা গঠিত হয়। এই দুটি বচনের একটিকে বলা হয় আশ্রয়বাক্য এবং অন্য বচনটিকে বলা হয় সিদ্ধান্ত। 

     পক্ষান্তরে, মাধ্যম অনুমান বা ন্যায় অনুমান তিনটি বচন দ্বারা গঠিত হয়। এই তিনটি বচনের মধ্যে দুটি হল আশ্রয়বাক্য এবং অন্যটি হয় সিদ্ধান্ত। 

(৪) সিদ্ধান্ত গঠনের পদ্ধতি : অমাধ্যম অনুমানের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটিকে সরাসরি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এক্ষেত্রে সাহায্যকারী বা মধ্যস্থতাকারী কোনাে বচনের প্রয়ােজন হয় না। এজন্য অমাধ্যম অনুমানকে অপরােক্ষ অনুমান বলে। 

      কিন্তু, মাধ্যম অনুমানের ক্ষেত্রে কোনাে একটি আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি কখনােই সরাসরি নিঃসৃত হয় না। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সাহায্যকারী বা মধ্যস্থকারী বচনের প্রয়ােজনীয়তা থাকবেই। এজন্য মাধ্যম অনুমানকে পরােক্ষ অনুমান বলা হয় ।

<<<<<<<<>>>>>>>>>

Read More

Tuesday, 22 September 2020

HS Philosophy প্রশ্ন: মিলের ব্যতিরেকী পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

Leave a Comment

 প্রশ্ন: মিলের ব্যতিরেকী পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

[সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি)]                             (মান 1 + 2 + 1 + 2 + 2)

অথবা, 

"থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে বাদ দিলে বুদ্ধি ভোতা হয়ে যায় । সুতরাং , থাইরয়েড গ্রন্থিই বুদ্ধির কারণ।" এখানে মিলের কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে? পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা কর।

[চিহ্নিতকরণ, সংজ্ঞা, আকার, সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি)]              (মান 1 + 2 + 1 + 2 + 2)


উঃ 

চিহ্নিতকরণ: এখানে মিলের ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।

মিল প্রদত্ত ব্যতিরেকী পদধতির সূত্র/ সংজ্ঞা: “যদি আলােচ্য ঘটনাটি একটিমাত্র দৃষ্টান্তে উপস্থিত থাকে এবং অপর একটি দৃষ্টান্তে অনুপস্থিত থাকে এবং এইরূপ দুটি দৃষ্টান্তে যদি একটিমাত্র ঘটনা ছাড়া আর সব বিষয়ে সম্পূর্ণ মিল থাকে, আর যে ঘটনাতে মিল নেই সেটি যদি শুধুমাত্র প্রথম দৃষ্টান্তে উপস্থিত থাকে তবে যে ঘটনাটির জন্য দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে পার্থক্য সেই ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কারণ (বা কাৰ্য) বা কারণের অনিবার্য অংশ।”

ব্যতিরেকী পদ্ধতির আকার বা সাংকেতিক উদাহরণ:

  1) দৃষ্টান্ত    অগ্রবর্তী ঘটনা         অনুবর্তী ঘটনা 

সদর্থক        ABC                              abc 

 নঞর্থক         BC                                bc 

. ' . A হল a- এর কারণ। 

 2)  দৃষ্টান্ত   অগ্রবর্তী ঘটনা         অনুবর্তী ঘটনা

 নঞর্থক   BC                                 bc 

সদর্থক    ABC                               abc 

. ' . A হল a- এর কারণ। 

ব্যাখ্যা: এখানে প্রথম উদাহরণে অগ্রবর্তী ঘটনা থেকে ‘A’- কে বাদ দেওয়ার ফলে অনুবর্তী ঘটনা থেকে ‘a' অন্তর্হিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় উদাহরণে অগ্রবর্তী ঘটনার সঙ্গে ‘A’- কে যােগ করার ফলে অনুবর্তী ঘটনাতে ‘a' আবির্ভূত হয়েছে। কিন্তু, অন্যান্য সকল আনুষঙ্গিক অবস্থা (অর্থাৎ, BC এবং bc ) দুটি ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণভাবে অপরিবর্তিত আছে। উভয় উদাহরণে দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে যেটুকু পার্থক্য তা হল 'A' এবং 'a'- কে নিয়ে। অর্থাৎ, উভয়ই একসঙ্গে উপস্থিত এবং উভয়ই একসঙ্গে অনুপস্থিত। কাজেই, দেখা গেল, অন্য সকল অবস্থা এক থাকা সত্ত্বেও ‘A’ নামক অগ্রবর্তী ঘটনাটি না ঘটলে ‘a' নামক অনুবর্তী ঘটনাটি ঘটছে না। অতএব ‘A’ হল ‘a'- এর কারণ।

দৃষ্টান্ত/বাস্তব উদাহরণ:  থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে বাদ দিলে বুদ্ধি ভোতা হয়ে যায় । সুতরাং , থাইরয়েড গ্রন্থিই বুদ্ধির কারণ । 

যুক্তি বিশ্লেষণ : 

  দৃষ্টান্ত    অগ্রবর্তী ঘটনা              অনুবর্তী ঘটনা 

সদর্থক থাইরয়েড গ্রন্থি থাকা  --   বুদ্ধি স্বাভাবিক থাকা । 

নঞর্থক থাইরয়েড গ্রন্থি না থাকা --- বুদ্ধি স্বাভাবিক না থাকা । 

: . থাইরয়েড গ্রন্থি = কারণ। 

                   বুদ্ধি = কার্য ।

ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধা:

( ১ ) ব্যতিরেকী পদ্ধতির প্রয়ােগ খুবই সহজ ও সরল। কেননা, এই পদ্ধতি প্রয়ােগের জন্য মাত্র দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়ােহন হয়। একটিমাত্র সদর্থক ও একটিমাত্র নঞর্থক দৃষ্টান্ত । 

( ২ ) ব্যতিরেকী পদ্ধতি পরীক্ষণের পদ্ধতি। অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়ােগ করে যে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা হয় এই পদ্ধতির সাহায্যে তা যাচাই বা প্রমাণ করা যায়। এইজন্যই মিল ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণের পদ্ধতি বলেছেন।

 (৩) মিল দাবি করেছেন যে, ব্যতিরেকী পদ্ধতির সাহায্যে কার্য থেকে কারণ এবং কারণ থেকে কার্য আবিস্কার করা যায়। তাই এ পদ্ধতির প্রয়ােগক্ষেত্র খুবই ব্যাপক ।

ব্যতিরেকী পদ্ধতির অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতা :

 (১) ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়ােগের জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়ােজন হয়। সাধারণ মানুষ এই পদ্ধতির অপপ্রয়ােগঘটাতে পারে। ফলে কাকতালীয় দোষ ঘটতে পারে।

 (২) ব্যতিরেকী পদ্ধতি মূলত পরীক্ষণ পদ্ধতি। তাই এই পদ্ধতি কারণ থেকে কার্য আবিষ্কার ও প্রমাণ করতে পারে কিন্তু কার্য থেকে কারণ আবিষ্কার ও প্রমাণ করতে পারে না।

মূল্যায়ন : পরীক্ষণ পদ্ধতি হিসেবে ব্যতিরেকী পদ্ধতির মূল্য অনস্বীকার্য। প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়ােগ করে বিজ্ঞানীরা সুনিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তাই এই পদ্ধতির সাফল্য বা ব্যর্থতার ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনেকটা নির্ভরশীল। এজন্য মিল এই পদ্ধতিকে সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি বলেছেন ।

                   <<<<<<<<<>>>>>>>>>

Read More

Monday, 21 September 2020

HS Philosophy বচন (MCQ with answers) Class xii (wbchse)

1 comment

 দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ বচন (Proposition)

দ্বাদশ শ্রেণী Class xii (wbchse)

MCQ (বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী) উত্তরসহ

১। সাধারণত বচন হল--

 ( a ) প্রশ্নসূচক ( b ) আদেশসূচক ( c ) ইচ্ছা প্রকাশক ( ✓d ) ঘােষক বাক্য।

২। বচনের উৎস কী? 

( a ) চিন্তা ( b ✓) বাক্য । ( c ) ইচ্ছা ( d ) যুক্তি 

৩।  বাক্যের মাধ্যম হল—

 ( a ) চিন্তা  (b) অনুমান ( c ) ইচ্ছা ( ✓d ) ভাষা 

৪।  বাক্যের অংশ কয়টি?

 ( a ✓) দুটি ( b ) তিনটি ( c ) একটি ( d ) চারটি 

*৫।  বচন বলতে বােঝায়--

 ( a ) শব্দসমষ্টি ( b ) উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয় আরােপ করে যে বাক্য ( c ✓) যুক্তিবিজ্ঞানে ব্যবহৃত বাক্যকে ( d ) একপ্রকার বাক্য 

৬। আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হল— 

 ( a ) দুটি ( b ) তিনটি  ( c ✓) চারটি (d) পাঁচটি

 ৭। সম্বন্ধ অনুসারে বচন কয়প্রকার ?

 ( a ) একপ্রকার ( ✓b ) দুইপ্রকার ( c ) তিনপ্রকার ( d ) চারপ্রকার

৮।  সংযােজক কার অংশ ?

 ( a ) বাক্যের ( b ✓) বচনের ( c ) যুক্তির ( d ) অনুমানের

৯।  ক্রিয়া যার অংশ তাকে বলা হয়--

 ( a✓ ) বাক্য ( b ) বচন ( c ) বস্তু ( d ) জ্ঞান । 

১০। গুণ ও পরিমাণ অনুসারে বচন কয় প্রকার ?

 ( a ) দুইপ্রকার ( b ) তিনপ্রকার । ( ✓c ) চারপ্রকার ( d ) পাঁচপ্রকার

 ১১। বচনের যে অংশ সম্বন্ধে কিছু বলা হয় , তাকে বলে --

( a ) মানক ( ✓b ) উদ্দেশ্যপদ ( c ) সংযােজক ( d ) বিধেয়পদ

 ১২।  উদ্দেশ্যের সঙ্গে বিধেয়কে যুক্ত করে যে চিহ্ন তা হল --

 ( a ) পরিমাণক ( b ) উদ্দেশ্যপদ ( c✓ ) সংযােজক ( d ) বিধেয়পদ 

১৩। কেবলমাত্র সত্য বা মিথ্যা হতে পারে কোনটি? 

( a ) পদ ( b✓ ) বচন । ( c ) যুক্তি ( d ) শব্দ

 ১৪। সত্য বা মিথ্যা হতে পারে না কোনটি ?

 ( a ✓) যুক্তি ( b ) বচন ( c ) পদ ( d ) শব্দ 

১৫। কোনটি পদ নয় ? 

( a ) শব্দ ( b✓ ) সংযােজক ( c ) উদ্দেশ্য ( d ) বিধেয়

 ১৬।  বচন হবে কেবলমাত্র ( a✓ ) ঘােষক বাক্য ( b ) সামান্য বাক্য ( c ) বিশেষ বাক্য ( d ) সদর্থক বাক্য 

১৭। যে বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে স্বীকার করা হয়, তা হল --

( a ) সামান্য বচন ( b ) বিশেষ বচন ( c✓ ) সদর্থক বচন ( d ) নঞর্থক বচন

১৮।  যে বচনে উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিধেয়কে অস্বীকার করা হয় , তা হল--

 ( a ) দির্থক বচন ( ✓b ) নঞর্থক বচন ( c ) সামান্য বচন ( d ) বিশেষ বচন 

১৯। নিরপেক্ষ বচন হল --

( a ) যে বচনে কোনাে সাধারণ ঘােষণা নেই

 ( b ) যে বচনে কয়েকটি শর্ত আছে  

( c✓ ) যে বচনে কোনাে সাধারণ ঘােষণা আছে । 

( d ) যে বচনে কোনাে শর্ত নেই । 

২০। সাপেক্ষ বচন হল—

 ( a ✓) যে বচনে একটিমাত্র শর্ত থাকে 

( b ) যে বচনে কোনাে ঘােষণা নেই

 ( c ) যে বচনে কোনাে শর্ত নেই ।

 ( d ) যে বচনের অর্থ আছে। 

২১। নিরপেক্ষ বচনের স্বরূপে যা থাকে , তা হল--

a ) শর্ত ( b ) বিস্ময় ( d ) জিজ্ঞাসা ( ✓c ) নিঃশর্ত ঘােষণা 

২২। সাপেক্ষ বচনের স্বরূপে যা থাকে , তা হল-

(a✓) শর্ত b ) জিজ্ঞাসা ( c ) নিঃশর্ত ঘােষণা d ) বিস্ময়

 ২৩। কোনাে চতুর্ভুজ নয় ত্রিভুজ — এটি কোন ধরনের ৰচন ?

 ( ✓a ) নিরপেক্ষ বচন । b ) সাপেক্ষ বচন ( c) মিশ্র বচন (d ) কোনােটিই নয়।

 ২৪। যদি সে আসে তাহলে আমি যাব — এটি কোন ধরনের বচন?

 ( a ) নিরপেক্ষ বচন ( b ) সাপেক্ষ বচন ( c✓) প্রাকল্পিক নিরপেক্ষ বচন ( d ) বৈকল্পিক নিরপেক্ষ বচন

 ২৫।  বচনাকারে থাকে -

 ( a ) সংযােজক ( b ) পরিমাণক ( c ) পদ ( d✓ ) যােজক ও গ্রাহক

 ২৬।. যৌগিক বচন হল - 

( a ) সরল বচন ( b ) নিরপেক্ষ বচন (c✓ ) যার অঙ্গবাক্যগুলি স্বতন্ত্রভাবে বচন হতে পারে ( d ) যার অঙ্গবাক্যগুলি স্বতন্ত্রভাবে বচন হতে পারে না 

২৭।  যৌগিক বচন-

( a ) দুইপ্রকার (b ) তিনপ্রকার ( c ) চারপ্রকার (✓d) পাঁচপ্রকার

 ২৮। যে যৌগিক বচনের অঙ্গবাক্যগুলি এবং শব্দ দ্বারা যুক্ত হয় , তা হল -

 ( a ) নিষেধক বচন ( b ✓) সংযৌগিক বচন ( c ) প্রাকল্পিক বচন ( d ) বৈকল্পিক বচন

 ২৯। যদি - তাহলে ’ শব্দ দ্বারা যুক্ত হয় যে বচন , তা হল 

( a ) দ্বিপ্রাকল্পিক বচন ( b ) নিরপেক্ষ বচন ( ✓c ) প্রাকল্পিক বচন ( d ) বৈকল্পিক বচন হয় অথবা

৩০। যে যৌগিক বচনের অঙ্গবাক্যগুলি হয় - অথবা ’ শব্দ দ্বারা যুক্ত তা হল -

( a ) নিরপেক্ষ ( b ) সংযৌগিক ( c ) প্রাকল্পিক ( d✓ ) বৈকল্পিক 

৩১। প্রাকল্পিক বচন হল—

 ( a ) অনিবার্য বচন ( b ) নিরপেক্ষ বচন ( c ✓) সাপেক্ষ বচন ( d ) সরল বচন 

৩২।  'হয় আমি স্কুলে যাবাে অথবা আমি বাজারে যাবাে' – এটি কোন প্রকার বচন? 

( a ✓) সাপেক্ষ বচন ( b ) নিরপেক্ষ বচন ( c ) সরল বচন ( d ) সামান্য বচন , 

৩৩। প্রাকল্পিক বচনের প্রথম অংশকে বলা হয় --

( a ✓) পূর্বগ ( b ) অনুগ । ( c ) প্রথম বিকল্প ( d ) দ্বিতীয় বিকল্প

৩৪। প্রাকল্পিক বচনের দ্বিতীয় অংশকে বলা হয়—

 ( a ) পূর্বগ ( b✓ ) অনুগ ( c ) প্রথম বিকল্প ( d ) দ্বিতীয় বিকল্প। 

৩৫। অনুগ কাকে বলে ? 

( a ) যেখানে শর্তের উল্লেখ থাকে 

( b✓ ) যে অংশে মূল ঘটনার উল্লেখ থাকে 

 ( c ) যে অংশে বিকল্পের উল্লেখ থাকে।

 ( d ) কোনােটিই নয় 

৩৬। বৈকল্পিক বচনের প্রথম অংশকে কী বলে ? 

( a ✓) প্রথম বিকল্প ( b ) দ্বিতীয় বিকল্প ( c ) পূর্বগ ( d ) অনুগ । 

৩৭। ব্যাপ্যতার অর্থ কী ?

 ( a ) গুণের উল্লেখ ( b✓ ) পরিপূর্ণ ব্যক্তার্থের উল্লেখ ( c ) আকারের উল্লেখ ( d ) আংশিক ব্যক্তার্থের উল্লেখ।

 ৩৮। ব্যাপ্যতা শব্দটি কার সঙ্গে যুক্ত ?

 ( a ) বাক্যের সঙ্গে ( b ) সংযােজকের সঙ্গে ( c ) শব্দের সঙ্গে ( d✓ ) পদের সঙ্গে 

৩৯। একটি বচন সর্বদা -

 ( a ) বৈধ-অবৈধ ( ✓b ) সত্য / মিথ্যা ( C ) নিশ্চিত /সম্ভাব্য ( d ) সবগুলি

*৪০। ব্যক্তার্থ শব্দটি যার সঙ্গে জড়িত তা হল-

 ( a ) বাক্যের সঙ্গে । ( b ) বচনের সঙ্গে ( c ) যুক্তির সঙ্গে ( d ✓) কোনােটির সঙ্গে নয়।

 ৪১। কেবলমাত্র উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্য হয় --

( a ✓) A বচনে ( b ) E বচনে ( c ) I বচনে ( d ) 0 বচনে 

৪২। যে বচনে কেবল বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয় তা হল--

( a ) A বচনে ( b ) E বচনে ( c ) I বচনে (✓ d ) 0 বচনে 

৪৩। কোন্ বচনে ব্যাপ্যতার বিষয়টি অনুপস্থিত ? 

( a ) E বচনে  ( b ) O বচনে  ( c ) A বচনে  ( d✓ ) I বচনে 

৪৪। কোন্ বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদই ব্যাপ্য ? 

 ( a ) সার্বিক সদর্থক বচনে ( b✓ ) সার্বিক নঞর্থক বচনে ( c ) বিশেষ সদর্থক বচনে ( d ) বিশেষ নঞর্থক বচনে

৪৫। 0 বচনের যে পদটি ব্যাপ্য হয় , তা হল -

 ( a ) উদ্দেশ্যপদ । ( b✓ ) বিধেয়পদ ( c ) উভয়পদ । ( d ) কোনােটিই নয় 

৪৬। কোন্ বচনের বিধেয়পদ অব্যাপ্য হয়? 

( a ) A বচনের ( b ) E বচনের ( C✓ ) I বচনের ( d ) 0 বচনের

৪৭। সামান্য সদর্থক ( A ) বচনে ব্যাপ্য হয়-

 (✓ a) উদ্দেশ্য পদ ( b ) বিধেয়পদ (c) উভয় পদ ( d ) কোনােটিই নয়।

৪৮। I বচনে ব্যাপ্য পদ হলো--

 ( a ) উদ্দেশ্যপদ ( b ) বিধেয়পদ ( c ) উভয়পদ (✓ d ) কোনােটিই নয়।

৪৯। E বচনের ব্যাপ্য পদ হল—

 ( a ) উদ্দেশ্যপদ (b) বিধেয় পদ ( c ✓) উভয়পদ ( d ) কোনােটিই নয় 

৫০। বিশেষ সদর্থক বচনটির সাংকেতিক রূপ হল—

 ( a ) A (b) E  ( ✓C ) I  (d) O

৫১। সর্বদাই বিধেয়পদ ব্যাপ্য হয়—

 ( a ✓) নঞর্থক বচনে ( b ) সদর্থক বচনে ( c ) সামান্য বচনে । ( d ) বিশেষ বচনে 

৫২। কেবলমাত্র বিধেয়পদ ব্যাপ্য হয়—

 ( a ) সামান্য সদর্থক বচনে ( b ) বিশেষ সদর্থক বচনে ( c ) সামান্য নঞর্থক বচনে ( d✓ ) বিশেষ নঞর্থক বচনে

 ৫৩।  সর্বদাই বিধেয় পদটি অব্যাপ্য হয়-  

( a✓ ) সদর্থক বচনে ( b ) নঞর্থক বচনে ( c ) সামান্য বচনে । ( d ) বিশেষ বচনে। 

৫৪। উদ্দেশ্যপদটি অব্যাপ্য হয় কোন বচনে? 

( a ) সামান্য বচনে ( ✓b ) বিশেষ বচনে ( c ) সদর্থক বচনে ( d ) নঞর্থক বচনে 

৫৫। উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্য হয় কোন বচনে? 

( a✓ ) সামান্য বচনে । ( b ) বিশেষ বচনে ( c ) সদর্থক বচনে ( d ) নঞর্থক বচনে । 

৫৬।  প্রাকল্পিক বচনের অংশ হল— ( a✓ ) দুইটি (b) তিনটি ( c ) চারটি

 ৫৭। পূর্বগ ও অনুগ — এই দুই - এর ব্যবহার হয়—

 ( a ) সরল বচনে ( b ) যৌগিক বচনে ( c✓ ) প্রাকল্পিক বচনে ( d ) নিরপেক্ষ বচনে

৫৮।  যুক্তির অংশ কোনটি ?

 ( a ) শব্দ ( b ) পদ ( c ) বাক্য ( d✓ ) বচন।

 ৫৯। নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ পরিকল্পনা কার সৃষ্টি? 

(a) সক্রেটিসের ( b ) প্লেটোর ( c✓ ) অ্যারিস্টটলের ( d ) জন ভেনের 

৬০।  ‘ সব বচনই বাক্য , কিন্তু সব বাক্য বচন নয় ’ — বাক্যটির সত্যমূল্য হবে—

 ( a✓ ) সত্য ( b ) মিথ্যা ( c ) সত্য - মিথ্যা উভয়ই ( d ) কোনােটিই নয়

Read More

Sunday, 20 September 2020

HS Philosophy, প্রথম অধ্যায়-- যুক্তি (Argument) SAQ With answers

Leave a Comment

 প্রথম অধ্যায়-- যুক্তি (Argument)

দ্বাদশ শ্রেণি / Class xii (wbchse)

SAQ(সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক প্রশ্নাবলী)

১। যুক্তি বিজ্ঞান কাকে বলে?

উঃ যে আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র যুক্তির গঠন ও প্রকৃতি বিষয়ে আলােচনা করে, বৈধ যুক্তির নিয়মাবলি নির্ধারণ করে এবং যার আলােকে যুক্তির বৈধতা বিচার করে বৈধ যুক্তিকে অবৈধ যুক্তি থেকে পৃথক করে সেই শাস্ত্রকে বলা হয় যুক্তিবিজ্ঞান ।

২। যুক্তিবিজ্ঞান এর প্রধান আলোচ্য বিষয় কী? 

উঃ যুক্তি।

৩। অনুমান কী?

উঃ এক বা একাধিক বচনের ভিত্তিতে এবং তার দ্বারা সমর্থিত হয়ে অপর একটি বচনে উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়াকে অনুমান প্রক্রিয়া বলে। অর্থাৎ, অনুমান হলো এক প্রকার মানসিক প্রক্রিয়া যার দ্বারা জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়া যায়।

৪। যুক্তি কাকে বলে? 

উঃ যুক্তি হল কতগুলি বচনের সমষ্টি যেখানে একটি বচন অপরাপর বচনগুলি থেকে নিঃসৃত হয় এবং অপরাপর বচন গুলিকে সেই বচনটির সত্যতার  ভিত্তি স্বরূপ গণ্য করা হয়।

অন্য ভাষায় বলা যায় -- যুক্তি হল কতগুলি বচনের সমষ্টি যেখানে একটি বচনের সত্যতা অপর এক বা একাধিক বচনের সত্যতার দ্বারা সমর্থিত হয় বা সমর্থিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

অথবা, ভাষায় প্রকাশিত অনুমান কে যুক্তি বলা হয়।

৫। যুক্তির অবয়ব কাকে বলে ?

 উঃ  যেসব বচন দিয়ে যুক্তি গঠিত হয়, তাদেরকে বলা হয় যুক্তির অবয়ব।

৬। যুক্তির কয়টি অংশ থাকে ও কী কী? 

উঃ দুটি অংশ। যথা--(i) আশ্রয় বাক্য বা হেতুবাক্য বা যুক্তিবাক্য এবং (ii) সিদ্ধান্ত।

৭। আশ্রয় বাক্য বা হেতুবাক্য কাকে বলে?

উঃ যে বচন বা বচনগুলির সাহায্যে সিদ্ধান্তের সত্যতা প্রমাণ করা হয়, সেই বচন বা বচনগুলিকে আশ্রয় বাক্য বা হেতুবাক্য বা যুক্তিবাক্য বলে।

৮। সিদ্ধান্ত কাকে বলে?

উঃ যুক্তির অন্তর্গত যে বচনটি সত্যতা প্রমাণ করা হয়, তাকে সিদ্ধান্ত বলে।

৯। যুক্তিকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী?

উঃ দুই ভাগে।  যথা- ((i)  অবরোহ যুক্তি এবং (ii) আরোহ যুক্তি

১০। অবরোহ যুক্তি কাকে বলে?

উঃ যে যুক্তিতে এক বা একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং যার সিদ্ধান্তটি কখনোই আশ্রয়ের তুলনায় বেশি ব্যাপক হয় না, তাকে অবরোহ যুক্তি বলে।

১১। আরোহ যুক্তি কাকে বলে? 

উঃ যে যুক্তিতে একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি নিঃসৃত  হয় কিন্তু অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় না এবং সিদ্ধান্ত কখনোই আশ্রয়ে বাক্য থেকে  বেশি ব্যাপক হয় না, তাকে আরোহ যুক্তি বলে।

অথবা,

যে যুক্তিতে একাধিক আশ্রয়বাক্যের উপর নির্ভর করে এবং প্রকৃতির একরূপতা নীতি ও কার্যকারণ নিয়মের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হিসেবে একটি সামান্য সংশ্লেষক বচন প্রতিষ্ঠা করা হয় তাকে আরোহ যুক্তি বলে।

১২।  যুক্তির আকার বলতে কী বােঝায় ?

 উঃ একাধিক বচন গ্রাহকের প্রতীকী কাঠামােকে যুক্তির আকার বলে। 

১৩। একটি যুক্তি কখন অবৈধ হয় ? 

উঃ কোনাে যুক্তির সিদ্ধান্ত যখন আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় না। তখন যুক্তি অবৈধ হয়। তা ছাড়া কোন যুক্তির আশ্রয়বাক্য সত্য এবং সিদ্ধান্ত মিথ্যা হলে সেই যুক্তি অবৈধ হবে। 

১৪। যুক্তির বৈধতা বলতে কী বােঝ ?

 উঃ যুক্তির বৈধতা বলতে আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তের অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হওয়াকে বােঝায়। বৈধ যুক্তিতে যুক্তিপদ্ধতির নিয়মগুলিকে যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় এবং বৈধ যুক্তির আশ্রয়বক্য সত্য হলে সিদ্ধান্ত কখনোই মিথ্যা হতে পারে না।

১৫। যুক্তির উপাদান কাকে বলে?

উঃ যুক্তির আকারে যখন বচন (বা পদ) প্রতিস্থাপন করা হয় তখন চুক্তি বাস্তবায়িত হয়। তাই বচন বা পদ হলো যুক্তির উপাদান যার সাহায্যে যুক্তি প্রকাশিত হয়।

অথবা,

 যুক্তি থেকে যদি যুক্তির আকার বাদ দেওয়া যায় তবে যা অবশিষ্ট থাকে তাকে বলা হয় যুক্তির উপাদান।

১৬। একটি বৈধ যুক্তির উদাহরণ দাও যার আশ্রয়বাক্য মিথ্যা। / একটি বৈধ যুক্তির উদাহরণ দাও যার সিদ্ধান্ত মিথ্যা।

উঃ 

A- সকল কুকুর হয় দ্বিপদ প্রাণী। ( মিথ্যা ) 

A- সকল তৃণভােজী প্রাণী হয় কুকুর। ( মিথ্যা )  

: . A- সকল তৃণভােজী প্রাণী হয় দ্বিপদ প্রাণী। ( মিথ্যা )

 ১৭। একটি অবৈধ যুক্তির উদাহরণ দাও যার আশ্রয়বাক্য সত্য সিদ্ধান্ত মিথ্যা ।

 উঃ  

A— সকল সাংবাদিক হয় মানুষ । ( সত্য )

 A— সকল শিশু হয় মানুষ । ( সত্য )

 : . A- সকল শিশু হয় সাংবাদিক । ( মিথ্যা ) 

১৮। সত্যতা কাকে বালে ? / যুক্তির বস্তুগত সত্যতা বলতে কী বােঝ? 

উঃ । সত্যতা বলতে বাস্তব আনুরুপ্যতাকে বােঝায়। অর্থাৎ, কোনাে যুক্তি যেসব বচন নিয়ে গঠিত হয়, সেই বচনগুলির  সঙ্গে বাস্তব বিষয়বস্তুর মিল বা অমিল বােঝায় । 

১৯। অনুমান ও যুক্তির পার্থক্য কী?

উঃ অনুমান হলো এক প্রকার মানসিক প্রক্রিয়া, যারা সাহায্যে জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়া যায়। আর, ভাষায় প্রকাশিত অনুমানকে যুক্তি বলে।


 ২০। একটি বৈধ যুক্তির উদাহরণ দাও যার সিধান্ত সত্য। 

A- সকল মানুষ হয়া মরণশীল প্রাণী। ( সত্য )

A- সকল কবি হয় মানুষ (সত্য)

: . A সকল কবি হয় মরণশীল প্রাণী (সত্য)

২১। দুটি বচনের উদাহরণ দাও যার আকার একই , উপাদান ভিন্ন ।

 উঃ 

A— সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব     

A- সকল বৃত্ত হয় গােলাকার ক্ষেত্র।

২২। দুটি বচনের উদাহরণ দাও যাদের উপাদান একই কিন্তু আকার ভিন্ন।

 উঃ । 

A- সকল মানুষ হয় দ্বিপদবিশিষ্ট প্রাণী 

I— কোনাে কোনাে মানুষ হয় দ্বিপদবিশিষ্ট প্রাণী।

 ২৩। নিবেশন দৃষ্টান্ত কাকে বলে ?

 উঃ যুক্তির আকারে বিষয়বস্তুর কাঠামাে বিন্যাসকে নিবেশন দৃষ্টান্ত বলে ।

 ২৪। যুক্তির বৈধতা কীসের ওপর নির্ভর করে ?

 উঃ যুক্তির আকারের ওপর। মূলত বৈধ যুক্তির ভিত্তি হল প্রসক্তি সম্বন্ধ।

Read More

A question and answer of "Upon Westminster Bridge"

Leave a Comment

 " A sight so touching in its majesty ' - What is the sight referred to here ? How does the poet describe the ' sight ' ?  [ 1 + 4 = 5 ] ( "একটি দৃশ্য যা তার রাজকীয়তায় এত মর্মস্পর্শী '’ — এখানে কোন্ দৃশ্যের উল্লেখ করা হয়েছে ? কবি কীভাবে দৃশ্যটি বর্ণনা করেছেন ? )


Ans: 


*The sight here refers to the beauty of the city of London from the Westminster Bridge that the poet William Wordsworth saw early one morning.


* The poet describes a huge cosmic image of the city of London.  In his mind it is the most beautiful scene in the world.  Ships floating in the the water of the river Thames, temples, domes, theaters, churches were all glistening in the bright rays of the sun floating in the morning air.  The river is flowing at its own sweet will and the houses of the big city seemes to be asleep.


বঙ্গানুবাদ:

* দৃশ্য বলতে এখানে ওয়েস্টমিনস্টার সেতুর ওপর থেকে লন্ডন শহরের সৌন্দর্য যা কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ একদিন সকালে দেখেছিলেন, সেটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 


*কবি লন্ডন শহরের বিশাল এক নিসর্গ চিত্রের বর্ণনা দিয়েছেন। তাঁর মনে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য। টেমসের জলে ভাসমান জাহাজ, মিনার, গম্বুজ, নাট্যশালা, গির্জা সবই সকালের  বাতাসে ভাসমান সূর্যের উজ্জ্বল কিরণে ঝলমল করছিল। নদী বয়ে চলেছে আপন গতিতে আর বড়াে শহরটির বাড়িগুলিকেও মনে হচ্ছিল যেন ঘুমিয়ে রয়েছে। )

Read More