Thursday 24 September 2020

HS Philosophy A বচনের সরল বা সীমিত আবর্তন সম্ভব কি? O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন?

Leave a Comment

তৃতীয় অধ্যায়:  অমাধ্যম অনুমান


প্রশ্ন: A বচনের সরল বা সীমিত আবর্তন সম্ভব কি? O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন?

উঃ   সাধারণত A- বচনের সরল বা সম আবর্তন সম্ভব নয়। আবর্তনের নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যে যে পদ ব্যাপ্য নয়, সিদ্ধান্তে সেই পদকে ব্যাপ্য হতে না। A বচনের সরল আবর্তন করলে, অর্থাৎ, A- বচনকে A বচনে আবর্তিত করা হলে ওই নিয়ম লঙ্ঘন করা হবে। 

দৃষ্টান্ত : 

A -সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।(আবর্তনীয়) 

A সকল মরণশীল জীব হয় মানুষ (আবর্তিত)

আবর্তনীয় বচনের বিধেয়পদ “মরণশীল” অব্যাপ্য। কিন্তু আবর্তিত A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে ওই পদ থাকায় তা ব্যাপ্য হয়। ফলে যুক্তিটি আবর্তনের নিয়ম লঙ্ঘন করে। এজন্য A বচনকে I- বচনে আবর্তিত করা হয়। এই আবর্তনকে সীমিত সরল আবর্তন বলে। 

তবে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে A- বচনের সরল আবর্তন সম্ভব বলে মনে করা হয়। এই ক্ষেত্রগুলি নিম্নরূপ : 

( ১ ) যদি A বচনের উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদের ব্যাক্তার্থ সমান হয়, অর্থাৎ উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদ যদি একই ব্যক্তি বা বস্তু নির্দেশক হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে A- বচনের সম আবর্তন করা যায়। যেমন – 

A – পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত হয় হিমালয় — আবর্তনীয় । 

A – হিমালয় হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত — আবর্তিত 

(2) যদি A বচনের বিধেয়পদটি উদ্দেশ্যপদের সংজ্ঞা হয় তবে সেক্ষেত্রে A বচনের সম আবর্তন করা যায়। যেমন-

 A - সকল ত্রিভুজ হয় ত্রিবাহুবেষ্টিত সামতলিক ক্ষেত্র — আবর্তনীয় 

A – সকল ত্রিবাহুবেষ্টিত সামতলিক ক্ষেত্র হয় ত্রিভুজ — আবর্তিত 

(৩) যদিA বচনের বিধেয়পদটি উদ্দেশ্যপদের সমার্থক হয় তবে সেই A বচনের সম আবর্তন সম্ভব। এক্ষেত্রে বিধেয়পদটি উদ্দেশ্যপদের পুনরুক্তি মাত্র। যেমন -

A - সকল মানুষ হয় মনুষ্যজাতীয় জীব – আবর্তনীয়।

A-  সকল মনষ্যজাতীয় জীব হয় মানুষ। আবর্তিত

 

 **0 বচনের আবর্তন করা সম্ভব নয়। কেন '0' বচনকে আবর্তন করা যায় না তা ব্যাখ্যা করা যাক--

 যেহেতু 'O' বচন নঞর্থক তাই তৃতীয় নিয়ম (গুণের নিয়ম) পালন করলে 0 বচনের আবর্তিত রূপ হবে হয় 0 অথবা E। এখন যদি 0 বচনের আবর্তন করে 0 পাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে -

 O—কোনাে কোনাে ফুল নয় সাদাবস্তু  ( আবর্তনীয় )। . 

: . O— কোনাে কোনাে সাদাবস্তু নয় ফুল । ( আবর্তিত ) । 

উক্ত অনুমানটি স্পষ্টতই অবৈধ । কেননা এখানে আবর্তনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নিয়ম পালন করলেও চতুর্থ নিয়মকে লঙ্ঘন করা হয়েছে । অর্থাৎ, এখানে আশ্রয়বাক্যে ‘ফুল' এই উদ্দেশ্যপদটি অব্যাপ্য হয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্তে ওই 'ফুল’ পদটি 0 বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। একারণে 0 বচনের আবর্তন করে 0 বচন পাওয়া যাবে না

একইভাবে যদি 0 বচনকে আবর্তন করে E পাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে--

 O—কোনাে কোনাে ফুল নয় সাদাবস্তু। ( আবর্তনীয় )। 

: . E— কোনাে সাদাবস্তু নয় ফুল । ( আবর্তিত )।

এখানেও আবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্যপদ (ফুল) 0 বচনের উদ্দেশ স্থানে থাকায় অব্যাপ্য হয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। এজন্য 0 বচনের আবর্তন করে E পাওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে E বচনকে আবর্তন করে ‘A’ করলে গুণের পরিবর্তন ঘটবে 

অর্থাৎ তৃতীয় নিয়ম লঙ্ঘন করবে। সুতরাং, 0 বচনের আবর্তন করে A বা E বা  বা 0 কোনাে বচনই পাওয়া যাবে না। তাই বলা যায়, 0 বচনের আবর্তন সম্ভব নয় ।

                     <<<<<<<<<<>>>>>>>

If You Enjoyed This, Take 5 Seconds To Share It

0 comments: