Saturday, 26 September 2020

HS Philosophy প্রশ্ন: বিবর্তন কাকে বলে? বিবর্তনের নিয়মগুলি কী কী? উদাহরণের সাহায্যে বিবর্তনের নিয়মগুলি ব্যাখ্যা কর।

Leave a Comment

               তৃতীয় অধ্যায়

অমাধ্যম অনুমান

দ্বাদশ শ্রেণী ( wbchse)

প্রশ্ন: বিবর্তন কাকে বলে? বিবর্তনের নিয়মগুলি কী কী? উদাহরণের সাহায্যে বিবর্তনের নিয়মগুলি ব্যাখ্যা কর।

উঃ

 বিবর্তন(Obversion):  যে অমাধ্যম অনুমানে প্রদত্ত আশ্রয়বাক্যের গুণ পরিবর্তন করে, কিন্তু অর্থ অপরিবর্তিত রেখে সিদ্ধান্তটি গঠিত হয় তাকে বিবর্তন বলে ।  বিবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্যকে 'বিবর্তনীয়' এবং সিদ্ধান্তকে 'বিবর্তিত' বলে।

বিবর্তনের নিয়ম :

 (১) উদ্দেশ্য:  আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য একই হবে। 

(2) বিধেয়: আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে।

( ৩ ) গুণ: আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ পৃথক হবে; অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্য যদি সদর্থক হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটি নঞর্থক হবে, এবং আশ্রয়বাক্য যদি নঞর্থক হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটি সদর্থক হবে। 

( ৪ ) পরিমাণ: আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ এক হবে। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্য যদি সামান্য হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটি সামান্য হবে এবং আশ্রয়বাক্য যদি বিশেষ হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটি বিশেষ হবে। 

উপযুক্ত চারিটি নিয়মের সাহায্যে এবার A , E , I , O— এই বচনগুলির বিবর্তন করা যাক।

 

প্রখ্যাত তর্কবিদ Welton বিবর্তনের নিয়মগুলিকে সংক্ষেপে এইভাবে প্রকাশ করেছেন “বিধেয়কে নঞর্থক করাে , গুণের পরিবর্তন করাে, কিন্তু পরিমাণের কোনাে পরিবর্তন কোরাে না । 

A বচনের বিবর্তন : 

আশ্রয়বাক্য: (A) সকল মানুষ হয় অপূর্ণ। (বিবর্তনীয়)

সিদ্ধান্ত: ( E ) কোনাে মানুষ নয় পূর্ণ ।(বিবর্তিত)

 উপরোক্ত উদাহরণে বিবর্তনের সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে। কেননা- আবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে, আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য 'মানুষ' একই। দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে, সিদ্ধান্তের বিধেয়টি (পূর্ণ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের (অপূর্ণ) বিরুদ্ধ পদ। তৃতীয় নিয়ম অনুযায়ী গুণের দিক থেকে বচন দুটি পৃথক কেননা, আশ্রয়বাক্য সদর্থক এবং সিদ্ধান্ত নঞর্থক। পরিমাণের দিক দিয়ে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্ত উভয়ই সামান্য বচন। আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের অর্থ এক ।

E বচনের বিবর্তন : 

আশ্রয় বাক্য: ( E ) কোনাে মানুষ পূর্ণ নয় ।  (বিবর্তনীয়)

সিদ্ধান্ত:  (A) সকল মানুষ হয় অপূর্ণ (বিবর্তিত)

উপরোক্ত উদাহরণে বিবর্তনের সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে। প্রথম নিয়ম অনুসারে, আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য (মানুষ) একই। দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে, সিদ্ধান্তের বিধেয়টি (অপূর্ণ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের (পূর্ণ) বিরুদ্ধ পদ। তৃতীয় নিয়ম অনুযায়ী গুণের দিক থেকে বচন দুটি পৃথক কেননা, আশ্রয়বাক্য নঞর্থক এবং সিদ্ধান্ত সদর্থক। পরিমাণের দিক দিয়ে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্ত উভয়ই সামান্য বচন। আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের অর্থ অপরিবর্তিত আছে। 

I বচনের বিবর্তন :

আশ্রয় বাক্য: (I) কোনাে কোনাে মানুষ হয় বিদ্বান।    (বিবর্তনীয়)

সিদ্ধান্ত: (O) কোনাে কোনাে মানুষ নয় অবিদ্বান। (বিবর্তিত)

উপরোক্ত উদাহরণে বিবর্তনের সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে। কেননা- আবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে, আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য (মানুষ) একই। দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে, সিদ্ধান্তের বিধেয়টি (অবিদ্বান) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের (বিদ্বান ) বিরুদ্ধ পদ। তৃতীয় নিয়ম অনুযায়ী গুণের দিক থেকে বচন দুটি পৃথক কেননা, আশ্রয়বাক্য সদর্থক এবং সিদ্ধান্ত  নঞর্থক । পরিমাণের দিক দিয়ে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্ত উভয়ই বিশেষ বচন। আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের অর্থ অপরিবর্তিত আছে।


0 বচনের বিবর্তন :

আশ্রয় বাক্য:( O ) কোনাে কোনাে ছাত্র নয় সৎ। (বিবর্তনীয়)

সিদ্ধান্ত: ( I) কোনাে কোনাে ছাত্র হয় অসৎ।(বিবর্তিত)


উপরোক্ত উদাহরণে বিবর্তনের সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে। কেননা- কেননা বিবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে, আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য (ছাত্র) একই। দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে, সিদ্ধান্তের বিধেয়টি (অসৎ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের (সৎ) বিরুদ্ধ পদ। তৃতীয় নিয়ম অনুযায়ী গুণের দিক থেকে বচন দুটি পৃথক কেননা, আশ্রয়বাক্য নঞর্থক এবং সিদ্ধান্ত সদর্থক। পরিমাণের দিক দিয়ে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্ত উভয়ই বিশেষ বচন। আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের অর্থ এক ।

সুতরাং-  

A বচনের বিবর্তিত রূপ E

E বচনের বিবর্তিত রূপ A

I বচনের বিবর্তিত রূপ O

O বচনের বিবর্তিত রূপ  I

                


If You Enjoyed This, Take 5 Seconds To Share It

0 comments: