Sunday, 27 May 2018

4. Question and answer of the story, "The Eyes Have It" written by Ruskin Bond.(xii of wbchse)

Leave a Comment
 Question: " Yes, October is the best time"
- Who said this and to whom? When did the speaker make this comment? Why is October the best time , according to the speaker?                                1+2+3=6 Marks. 

Answer:
            The narrator said this to the girl.
  
       The girl came to know from the narrator that he was going to Mussoorie.  She said that she loved the Hills of Mussoorie, especially in October. Then the speaker made this comment.

         According to the speaker, the hills of Mussoorie are covered with dahlias in October.  Then the sun is delicious and one can drink a little Brandy sitting in front of a log fire at night . Most of the tourists leave the hills at that times, and therefore, the roads remain quiet and deserted. So, October is the best time
Read More

Saturday, 26 May 2018

3. Question & Answer of the story, "The Eyes Have It" written by Ruskin Bond.(xii of wbchse)

Leave a Comment
    Question:  Describe the departure of the girl from the train. ( প্রশ্ন: ট্রেন  থেকে মেয়েটির প্রস্থানের বর্ণনা কর। )            6 Marks

Answer:
           The girl's journey came to an end. When the train reached the girl's station at Saharanpur, she bade the narrator Goodbye and left. The narrator wanted to raise his hand and touch her hair. But the girl moved away. Only the perfume of her hair lingered where she had stood. Just then another passenger entered the compartment and the narrator asked him about the hair style of the girl. The new passenger said that he did not notice her hair. He noticed only her beautiful eyes which were of no use to her as she was completely blind.
       
     বঙ্গানুবাদ
                 মেয়েটির যাত্রা শেষ হয়ে গেল। ট্রেনটি যখন সাহারানপুরে মেয়েটির স্টেশনে পৌঁছল, তখন সে কথককে বিদায় জানালো এবং চলে গেল। কথক তার হাত তুলতে চাইল এবং তার চুল স্পর্শ করতে। কিন্তু মেয়েটি চলে গেল।  শুধু তার চুলের সুগন্ধির রেশ রয়ে গেল যেখানে সে দাঁড়িয়ে ছিল। ঠিক তখন আরেকজন যাত্রী কামরায় প্রবেশ করল এবং কথক তাকে মেয়েটির চুলের ধরন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। নতুন যাত্রী বলল যে তিনি তার চুল লক্ষ্য করেন নি। তিনি কেবল তার সুন্দর চোখ দেখেছিলেন যেগুলি তার কাছে কোন কাজের ছিল না কারণ সে ছিল সম্পূর্ণ অন্ধ। 
Read More

2. Question & Answer of the story, "The Eyes Have It" written by Ruskin Bond. (xii of wbchse)

Leave a Comment
  Question:  "She was completely blind"  -who is the speaker?  Bring out the irony revealed here.                                       1+5=  6 Marks
2. "তিনি সম্পূর্ণ অন্ধ ছিল" - বক্তা কে? উদ্ধৃত লাইনটিতে যে পরিহাস প্রকাশ পেয়েছে তা ব্যাখ্যা করো।

    Ans.   The new passenger is the speaker here.      

             The narrator was totally blind. A girl got in his train compartment at Rohana. The narrator  tried to conceal his blindness from the girl. He gave her a short description about the beauty of Mussoorie Hills.  He boldly remarked that she had an interesting face. He was amazed to hear her voice and even tried to touch her hair. The girl departed at Saharanpur. A new passenger entered the compartment. The narrator asked him if the girl had kept her hair long or short. The man answered that he had noticed her eyes, not her hair. He said that she had beautiful eyes. But they were of no use to  her. Because she was completely blind. The irony of the situation is that the narrator was trying to hide his blindness from the girl who was also blind.

বঙ্গানুবাদ:   এখানে বক্তা হলেন নতুন যাত্রীটি।

                কথক সম্পূর্ণ অন্ধ ছিলেন। রোহানায় একটি মেয়ে  তার ট্রেন কামরায় উঠল। কথক মেয়েটির কাছ থেকে তার অন্ধত্ব গোপন করার চেষ্টা করল। তিনি তাকে মুসৌরি পাহাড়ের সৌন্দর্য সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিলেন। তিনি নির্ভীকভাবে মন্তব্য করেছিলেন যে তার একটি আকর্ষণীয় মুখ ছিল। তিনি তার কণ্ঠস্বর শুনে অভিভূত হয়ে গেলেন, এমনকি তার চুল স্পর্শ করার চেষ্টা করেছিলেন। মেয়েটি সাহারানপুর স্টেশনে নেমে গেল। একটি নতুন যাত্রী কামরায় প্রবেশ করলেন। কথক তাকে জিজ্ঞাসা করেন, মেয়েটির চুল লম্বা অথবা খাটো রেখেছে কিনা।  লোকটি উত্তর দেয় যে সে তার চোখ দুটি লক্ষ্য করেছে, তার চুল নয়। সে বলেছিল যে তার চোখদুটি সুন্দর। কিন্তু সেগুলি তার কাছে ব্যবহারের উপযোগী ছিল না। কারণ সে সম্পূর্ণ অন্ধ ছিল। পরিস্থিতির পরিহাস এই যে কথক যে মেয়েটির কাছ থেকে তার অন্ধত্ব গোপন করার চেষ্টা করেছিলেন সেও অন্ধ।
Read More

Friday, 25 May 2018

1. Question & Answer of the story, "The Eyes Have It" written by Ruskin Bond. (XII of wbchse)

Leave a Comment
Question:  " ----then a girl got in."

(i)  At which station did the girl get in ? (ii) Who were present at the station to see the girl off?
(iii) What were their instructions for the comfort of the girl.                                                                                               (1+1+4)
1. "---- তারপর একটি মেয়ে উঠেছিল।"
(i) কোন স্টেশনে মেয়েটি  উঠেছিল?
(ii) মেয়েটিকে বিদায় জানাতে কারা স্টেশনে উপস্থিত হয়েছিলেন ?
 iii) মেয়েটির স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য তাদের নির্দেশাবলী কি ছিল?
Ans.
        (i)  The girl got in the train at Rohana station.

        (ii)  A couple, probably the parents of the girl, were present at the station to see the girl off.

    (iii) According to the narrator, the parents of the girl seemed very anxious about their daughter's safe journey. Because, the girl would travel alone. So, they, especially the mother instructed her as to where to keep her things. She advised her not to lean out of the windows. She also advised her how to avoid speaking to unknown passengers at the time of journey.

বঙ্গানুবাদ:
             (i) মেয়েটি রোহানা স্টেশনে  ট্রেনে উঠেছিল।
   
     (ii) একটি দম্পতি,সম্ভবত মেয়েটির বাবা-মা মেয়েটিকে বিদায় জানাতে স্টেশনটিতে উপস্থিত হয়েছিলেন।

        (iii) গল্পকারের মতে, মেয়েটির বাবা-মা তাদের মেয়েদের নিরাপদ যাত্রা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন। কারণ, মেয়ে একা ভ্রমণ করবে। তাই, তারা, বিশেষতঃ মা তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কোথায় তার জিনিসপত্র রাখতে হবে।  তিনি তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন কখনো সে জানালা দিয়ে বাইরে ঝুঁকবে না। তিনি তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন যে যাত্রার সময় অজানা যাত্রীদের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন কিভাবে।
Read More

Wednesday, 23 May 2018

উপমা যুক্তি কাকে বলে? উপমা যুক্তির মূল্যায়নের মানদন্ডগুলি উদাহরণসহ আলোচনা কর। (Inductive Philosophy)

1 comment
প্রশ্ন: উপমা যুক্তি কাকে বলে? উপমা যুক্তি মূল্যায়নের মানদন্ডগুলি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

উঃ
        উপমা যুক্তি : দুটি বস্তুর মধ্যে কোন কোন বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ্য করে তারই ভিত্তিতে যখন উভয়ের মধ্যে অন্য কোন সাদৃশ্যের অনুমান করা হয় তখন তাকে উপমা যুক্তি বা সাদৃশ্যমূলক আরোহ অনুমান বলে।

    উদাহরণ: পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহে -- জল, মাটি, তাপ, মাধ্যাকর্ষণ ও একই ধরনের আবহাওয়ার দেখে এবং পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব দেখে যদি মঙ্গল গ্রহে উপরোক্ত সাদৃশ্যগুলির ভিত্তিতে অনুমান করি যে, সম্ভবত মঙ্গল গ্রহেও প্রাণী আছে তবে ওই যুক্তি বা অনুমানটিকে বলে উপমা যুক্তি।

           উপমা যুক্তির মূল্যায়নের মানদন্ড: উপমা যুক্তির মূল্যায়নের মানদন্ড গুলি হল--

     প্রথমত, উপমা যুক্তির আশ্রয় বাক্যে যে দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সাদৃশ্য থাকে সেই দৃষ্টান্তগুলির সংখ্যা যত বেশি  হয় সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা তত বেশি বেড়ে যায়। যেমন--- মানিকতলা বাজারে একজন ফলওয়ালার কাছ থেকে হিমসাগর আম কিনলাম এবং তা মিষ্টি লাগলো।  দ্বিতীয় দিনেও ওই ফলওয়ালার কাছ থেকে হিমসাগর আম কিনলাম এবং তা মিষ্টি লাগলো। এ থেকে যদি সিদ্ধান্ত করি ওই ফলওয়ালার সব আম মিষ্টি, তাহলে সিদ্ধান্তটির সম্ভাব্যতা খুবই কম হয়ে দাঁড়ায়। অপরপক্ষে, যদি 15/16 বার ওই ফলওয়ালার কাছ থেকে হিমসাগর আম কিনে দেখি যে তার ফল মিষ্টি এবং তারপর যদি সিদ্ধান্ত করি --- ভবিষ্যতেও ওই ফলওয়ালার হিমসাগর আম মিষ্টি হবে, সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হয়।

        দ্বিতীয়ত, হেতুবাক্যে জ্ঞাত সাদৃশ্যের সংখ্যা যত বেশি হবে,  উপমা যুক্তি সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত বেশি হবে। যেমন - পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের মধ্যে সাদৃশ্যের সংখ্যা বেশি এবং গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার জন্য 'পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহেও জীবের অস্তিত্ব আছে' - এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। অন্যদিকে, পৃথিবী ও চন্দ্রের মধ্যে সাদৃশ্যের সংখ্যা কম হওয়ার জন্য 'পৃথিবীর মতো চন্দ্রেও জীবের অস্তিত্ব আছে' - এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা খুবই কম।

        তৃতীয়ত, হেতুবাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে ব্যক্তিগত বৈসাদৃশ্য যত বেশি হবে, সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত বেশি হবে। যেমন- একটি বিদ্যালয় এর 10 জন ছাত্রকে পরীক্ষা করে দেখা গেল যে, তারা সবাই সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করেছে। রবিন ওই বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চমাধ্যমিক পাঠরত। কাজেই সিদ্ধান্ত করা যায় যে, রবিনও উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা আরো বেশি হবে যদি আমরা উল্লিখিত দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে ব্যক্তিগত বৈসাদৃশ্য বেশি পর্যবেক্ষণ করি। যদি দেখা হয় তাদের মধ্যে কে ধনী বা নির্ধন, কে শহরের ছাত্র বা গ্রামের ছাত্র ইত্যাদি।

        চতুর্থত, জ্ঞাত গুণাবলীর তুলনায় যদি অজ্ঞাত গুণাবলীর সংখ্যা ও গুরুত্ব বেশি হয়, তাহলে উপমা যুক্তির সিদ্ধান্ত কম সম্ভাব্য হবে। এই বিষয়টিকে নিচের ভগ্নাংশের আকারে প্রকাশ করা যায়:
                                    সাদৃশ্য
                     ----------------------------------------
                       বৈশাদৃশ্য + অজ্ঞাত গুণাবলী

          এর অর্থ হল: উপমাযুক্তির ক্ষেত্রে বৈসাদৃশ্য ও অজ্ঞাত গুণাবলীর সংখ্যা যত বেশি হবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত কম হবে। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ সাদৃশ্যের সংখ্যা যত বেশি হবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতাও তত বেশি হবে।

           পঞ্চমত, উপমা যুক্তির মূল্যায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড হল  সাদৃশ্যের বিষয়গুলির প্রাসঙ্গিকতা। হেতুবাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তের সঙ্গে সিদ্ধান্তের যদি একটি মাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাদৃশ্য থাকে তাহলেও সেই যুক্তি অনেক বেশি সম্ভাব্য ও গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যদিকে, হেতুবাক্যে উল্লিখিত বেশ কয়েকটি কম গুরুত্বপূর্ণ বা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের সঙ্গে সিদ্ধান্তের উল্লিখিত দৃষ্টান্তের মিল থাকলেও সিদ্ধান্তটি কম সম্ভাব্য হবে। যেমন- রামের রক্ত পরীক্ষা করে যদি যক্ষা রোগের জীবাণু পাওয়া যায় এবং শ্যামের রক্তেও যদি একই জীবাণু পাওয়া যায় এবং যদি তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত করা হয় রাম যে ওষুধ খেয়ে ভালো হয়েছে শ্যামও সেই ঔষধে ভালো হবে তবে সিদ্ধান্ত অনেক জোরালো হবে। অন্যদিকে, রাম ও শ্যামের মধ্যে ওজন, বর্ণ, উচ্চতা, বয়স ইত্যাদি নানা বিষয়ে সাদৃশ্য দেখে এবং রামকে একটি ঔষধে সুস্থ হতে দেখে যদি সিদ্ধান্ত করা হয় একই রোগে একই ওষুধে সুস্থ হবে তবে সিদ্ধান্তটি হবে খুবই দুর্বল।

                                   <<<<<>>>>>
Read More

বৈশেষিক দর্শন অনুসারে আত্মা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর। (Indian Philosophy)

Leave a Comment
     প্রশ্ন: বৈশেষিক দর্শন অনুসারে আত্মা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা কর।

উঃ 
     বৈশেষিক মতে আত্মা: বৈশেষিক মতে আত্মা সর্বব্যাপী ও শাশ্বত। জ্ঞান বা চেতনার আধার হলো আত্মা। আত্মার স্বরূপ সম্পর্কে বৈশেষিকদের ধারণা নৈয়ায়িকদের ধারণার অনুরূপ। আত্মা দুই প্রকার -- জীবাত্মা ও পরমাত্মা। প্রত্যেক জীবের শরীরেই একটি করে আত্মা বিদ্যমান। তাই জীবাত্মা সংখ্যায় অনেক বা বহু, পরমাত্মা এক। ঈশ্বর হলেন পরমাত্মা। পরমাত্মা প্রত্যক্ষের বিষয় নয়। আমরা জগৎ কারণ-স্বরূপ পরমআত্মার অস্তিত্ব অনুমান করি। আবার সুখ, দুঃখ, বুদ্ধি, প্রযত্ন প্রভৃতি গুনের আশ্রয় রূপে আমরা জীবাত্মার অস্তিত্ব অনুমান করি। স্বরূপ অত আত্মা নির্ঘুম ও  নিষ্ক্রিয়। চৈতন্য আত্মার আগন্তুক গুণ, স্বাভাবিক গুণ নয়। 

       বৈশেষিক মতে, স্বরূপত আত্মা অচেতন দ্রব্য। আত্মা দেহের  সংস্পর্শে এলে চৈতন্য লাভ করে। আত্মার সঙ্গে দেহের সংযোগেই আত্মার বদ্ধাবস্থা হয়। জীব অজ্ঞানবসতঃ দেহ-মন ইন্দ্রিয়কে আত্মা মনে করে। আসলে জীব আত্মার প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে না। আত্মার প্রকৃত স্বরূপের জ্ঞান হলো তত্ত্ব জ্ঞান, যার সাহায্যে জীবের মোক্ষলাভ সম্ভব হয়। জীবাত্মা মোক্ষলাভ করলে ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্ম হতে পারেনা, ঈশ্বর সদৃশ্য হয়। আত্মার এক চৈতন্য হীন অবস্থায় মোক্ষাবস্থা, যে অবস্থায় জীবাত্মা  পরমাত্মায় লীন হয়ে যায় না।
                        <<<<<>>>>>>
Read More

প্রশ্ন: সাংখ্যদর্শনের বিবর্তনবাদ / পরিণামবাদ / অভিব্যক্তিবাদ আলোচনা কর।(Sankhya theory of Evolution)

Leave a Comment
প্রশ্ন: সাংখ্যদর্শনের বিবর্তনবাদ / পরিণামবাদ / অভিব্যক্তিবাদ আলোচনা কর।
উঃ

       সাংখ্য বিবর্তনবাদ: সাংখ্যদর্শন দ্বৈতবাদী। এই দর্শনে দুটি তত্ত্ব স্বীকার করা হয়েছে। একটি পুরুষ অপরটি প্রকৃতি। প্রকৃতি ও পুরুষের সংযোগের ফলে এই জগতের আবির্ভাব ঘটে। প্রকৃতি হতে এই জগতের আবির্ভাব। প্রকৃতিতে এই জগতের লয়। সত্ত্ব, রজঃ, তমো এই  গুণ তিনটির সাম্যবস্থা হল প্রকৃতি। প্রকৃতি পরিণামী। নিজ স্বভাহেতু প্রকৃতির নিয়মিত সৃষ্টি করে থাকে। এই পরিণাম দুই প্রকার -- স্বরূপ পরিণাম ও বিরূপ পরিণাম। প্রলয় কালে যে পরিনাম হয় তাকে স্বরূপ পরিণাম এবং সৃষ্টিদশায় যে পরিনাম হয় তাকে বিরূপ পরিণাম বলে।

      প্রকৃতির এই পরিণাম যান্ত্রিক নয়। প্রকৃতি জড়, অচেতন হলেও তার এই পরিনাম উদ্দেশ্যমূলক। প্রকৃতি পরিণামের দুটি উদ্দেশ্য -- একটি পুরুষের ভোগ, অপরটি মোক্ষ। পুরুষের ভোগের জন্য প্রকৃতির সৃষ্টিকার্য যেমন প্রয়োজন মোক্ষের জন্যও পুরুষের পক্ষে প্রকৃতির প্রয়োজন।

     সাংখ্য মতে প্রকৃতি জগতের উপাদান কারণ। উৎপত্তির পূর্বে কার্য কারণে সৎ। জগৎ, কার্য, প্রকৃতিতে অব্যক্ত রূপে থাকে। প্রকৃতির পরিণামের ফলে জগতের অভিব্যক্তি। চেতন পুরুষ ও সক্রিয় প্রকৃতির সংযোগের ফলে পরিণাম শুরু হয়। পুরুষ ও প্রকৃতির সংযোগের ফলে গুণত্রয়ের মধ্যে বিক্ষোভ ঘটে। তাদের সাম্যবস্থা নষ্ট হয়। এর ফলে প্রকৃতির মধ্যে প্রবল আলোড়ন শুরু হয়। প্রতিটি গুণ অপর দুটি গুণকে অভিভূত করতে চেষ্টা করে। এর ফলে বিভিন্ন পরিমাণে গুনগুলির বিন্যাস ঘটে। বিভিন্ন জাগতিক বস্তু এর ফলে সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি থেকে জড়জগতের ক্রমাভিব্যক্তি নিম্নরূপ:

                          পুরুষ + প্রকৃতি
                             মহৎ( বুদ্ধি)
                              অহংকার
                                     |
|-----------|--------------------------------------------|----
মন    পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয়     পঞ্চকর্মেন্দ্রিয়      পঞ্চতন্মাত্র
                                                                                                                                             পঞ্চমহাভূত

     মহৎ বা বুদ্ধি: মহৎ বা বুদ্ধি প্রকৃতির প্রথম পরিণাম। জাগতিক বস্তু সৃষ্টির বীজ বলে একে মহৎ বা বিরাট বলা হয়। মহৎ থেকেই সৃষ্টি শুরু। আবার জীবের মধ্যে বুদ্ধি রূপে প্রকাশিত হয় বলে এর অপর নাম বুদ্ধি। ধর্ম, জ্ঞান, বৈরাগ্য, বুদ্ধির সাত্ত্বিক রূপ; অধর্ম' অজ্ঞানতা, মোহ বুদ্ধির তামসরূপ। বুদ্ধি চেতন পুরুষ থেকে ভিন্ন। কিন্তু পুরুষের চৈতন্য বুদ্ধিতে প্রতিবিম্বিত হয়। ইন্দ্রিয়, মন, অংকার বুদ্ধির জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে। বুদ্ধির জন্য প্রকৃতি ও পুরুষের ভেদ জ্ঞান হয়।  

         মন:    মনের সাহায্য ছাড়া কোন ইন্দ্রিয় কাজ করতে পারে না। মন জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয় উভয়ই -- পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়, ও মন এই হল একাদশ ইন্দ্রিয়। মন সূক্ষ্ম অথচ সাবয়ব। মন নিত্য ও পরমাণু পরিমাণ নয়। সাংখ্য মতে মন হলো অনিত্য।

       অহংকার: অহংকার প্রকৃতির দ্বিতীয় পরিণাম।  মহৎ বা বুদ্ধি থেকে প্রত্যক্ষভাবে অহংকারের আবির্ভাব হয়। আত্মাভিমান ও সমত্ববুদ্ধি অহংকারের ধর্ম। অহংকারের জন্য পুরুষ নিজেকে কর্তা ও ভোক্তা মনে করে। সত্ত্ব রজঃ ও তমোগুণের তারতম্য হেতু অহংকার তিনপ্রকার -- সাত্ত্বিক রাজস ও তামসা। সাত্ত্বিক অহংকার থেকে পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয় ও মনের আবির্ভাব হয়। তামস অহংকার থেকে পঞ্চতন্মাত্রের আবির্ভাব হয়।  রাজস অহঙ্কার উভয়ের উৎপত্তিতে সাহায্য করে।

         পঞ্চতন্মাত্র: রূপ, রস, গন্ধ, শব্দ ও স্পর্শ - এই পাঁচটি পঞ্চতন্মাত্র।  পঞ্চতন্মাত্র থেকে পঞ্চভূতের সৃষ্টি হয়। ক্ষিতি, অপ্,  তেজ, মরুৎ, ও ব্যোম্ -- এই পাঁচটি পঞ্চভূত। পঞ্চ তন্মাত্র থেকে পঞ্চ মহাভুতের আবির্ভাব নিম্নলিখিত উপায়ে হয়।

        (১) শব্দতন্মাত্র থেকে উৎপন্ন হয় ব্যোম আকাশ। শব্দ আকাশের গুণ।

     (২) শব্দতন্মাত্রের সঙ্গে স্পর্শতন্মাত্রের সংযোগের ফলে মরুৎ বা বায়ুর উৎপত্তি হয়। শব্দ ও স্পর্শ বায়ুর গুন।

     (৩)  রূপ তন্মাত্রের সঙ্গে শব্দ স্পর্শ তন্মাত্রের সংযোগে তেজের উৎপত্তি হয়। শব্দ, স্পর্শ, রূপ তেজের গুন।

        (৪) রস তন্মাত্র শব্দ, স্পর্শ ও রূপ তন্মাত্রের  মিলিত হলে অপ্ বা জলের উৎপত্তি হয়। শব্দ, স্পর্শ, রূপ ও রস জলের গুন।

      (৫) গন্ধ তন্মাত্র শব্দ, স্পর্শ, রূপ ও রস তন্মাত্রের সঙ্গে যুক্ত হলে ক্ষিতি বা  পৃথিবীর উৎপত্তি হয়। শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধ পৃথিবীর গুণ।

      মহৎ থেকে মহাভুত অবধি প্রকৃতির এই পরিণামমকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-- প্রত্যয় বা বুদ্ধি সর্গ এবং তন্মাত্র বা ভৌতিক সর্গ। প্রত্যয় সর্গের অন্তর্গত হল- মহৎ, অহংকার, মন, পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়। তন্মাত্র সর্গের অন্তর্গত হল পঞ্চ তন্মাত্র, পঞ্চভূত মহাভুত ও মহাভুত থেকে উৎপন্ন সকল দ্রব্য। মহৎ থেকে পঞ্চ মহাভুতের আবির্ভাবকে অনুলোম পরিণাম বলা হয়। এর বিপরীত পরিণামমকে অর্থাৎ প্রলয়কালে যে পরিণামম হয় তাকে প্রতিলোম পরিণামম বলে।
                                <<<<<>>>>>
                      
Read More