Friday, 8 June 2018

৭। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment
শিল্প সামাজের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।

উঃ শিল্প সমাজ: শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে অর্থনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাঠামোতেও আসে পরিবর্তন। নতুন কলেবরে গড়ে ওঠে মানবসমাজ। এটাই শিল্প সমাজ বলে পরিচিত। 

     বৈশিষ্ট্য: শিল্প সমাজের কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। যেমন---

     (১) শিল্প সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য বড় আকারের কলকারখানা, নতুন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। সাবেকি পরিবারকেন্দ্রিক শিল্পের পরিবর্তে শিল্প সমাজে গড়ে তোলা হলো বৃহদায়তন কল-কারখানা।

   (২) বৃহদায়তন শিল্প-প্রতিষ্ঠানে মালিকানা ও পরিচালন গোষ্ঠী আলাদা। শেয়ার বিক্রয় করে মূলধন জোগাড় করা হয়। শেয়ার ক্রেতাদের নিয়েই গড়ে ওঠে কলকারখানার মালিক গোষ্ঠী। শিল্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন পেশাদার বিশেষজ্ঞগণ। এরাঁ বেতনের বিনিময়ে পরিষেবা প্রদান করেন।

      (৩) বৃহদায়তন শিল্প কারখানায় শ্রমিক বিভাজনকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। এখানে শ্রমের বিশেষায়ণ ঘটে। এখানে পরিচালন ক্ষেত্রেও দায়িত্ব ভাগ হয়ে যায়।

   (৪) বৃত্তিগত বিশেষীকরণ এর জন্য শিল্পসমাজে বিভিন্ন পেশার মানুষদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন মনোভাব তৈরি হয়। গড়ে ওঠে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ। এভাবে সমাজ বিভিন্ন অপসংস্কৃতিতে বিভাজিত হয়ে যায়।

     (৫) নারী স্বাধীনতা শিল্প সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাক শিল্প সমাজে নারী ছিল অন্তঃপুরবাসিনী। শিল্প সমাজে কাজের সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় মেয়েদের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসে।

                               <<<<<>>>>>
Read More

Thursday, 7 June 2018

৬। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment
প্রশ্ন: সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার মধ্যে পার্থক্য লেখ।

উঃ সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার পার্থক্য:

       প্রথমত, সহযোগিতা একপ্রকার সামাজিক কর্মপদ্ধতি যার দ্বারা ব্যক্তিগণ যৌথভাবে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রয়াসে সামিল হয়। অপরদিকে, প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে একতরফাভাবে অন্যকে টপকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হয়।

      দ্বিতীয়ত, সহযোগিতা একটি সমবেত কার্যপ্রক্রিয়া। কিন্তু প্রতিযোগিতা একক কার্যপ্রক্রিয়া।

        তৃতীয়ত, সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম পদ্ধতি নেই। কিন্তু প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকে যা প্রতিযোগীদের মানতেই হয়।

     চতুর্থত, সহযোগিতা মানুষের মনে সন্তোষ ও আত্মতৃপ্তি জাগায়। কিন্তু প্রতিযোগিতা এর পাশাপাশি হতাশা ও নৈরাশ্যের সৃষ্টি করে।

    পঞ্চমত, সহযোগিতা ব্যক্তিবর্গের মধ্যে গভীর মনোভাব গড়ে তোলে। কিন্তু প্রতিযোগিতা ব্যক্তিবর্গের মধ্যে রেষারেষি ও মানসিক বিভাজন সৃষ্টি করে।

      ষষ্ঠত, সহযোগিতা মূলত ইতিবাচক ফল দেয়। কিন্তু প্রতিযোগিতা ইতিবাচক ফল প্রধানের সঙ্গে বেশ কিছু নেতিবাচক ফলও প্রদান করে।

        সপ্তমত, সামাজিক স্থায়িত্ব রক্ষায় সহযোগিতা খুবই জরুরী। অপরদিকে, সামাজিক পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা জরুরি।
              <<<<<>>>>>
Read More

Wednesday, 6 June 2018

HS দর্শনের (Philosophy) অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর {(অমাধ্যম অনুমান) (Immediate Inference)}

Leave a Comment
অমাধ্যম অনুমান ( Immediate Inference)
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। (SAQ)              (মান - 1)

১) অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে?
উঃ যে অবরোহ অনুমানে  সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে অমাধ্যম অনুমান বলে।

২) মাধ্যম অনুমান কাকে বলে? 
উঃ যে অবরোহ অনুমানে সিদ্ধান্তটি একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে মাধ্যম অনুমান বলে।

৩) অমাধ্যম অনুমান এর একটি উদাহরণ দাও।
উঃ  (A)সকল মানুষ হয় মরনশীল জীব। (আবর্তনীয়)
   .:   (I) কোন কোন মরণশীল জীব হয় মানুষ (আবর্ত)

) মাধ্যম অনুমানের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ মাধ্যম অনুমানের উদাহরণ:
          (A) সকল মানুষ হয় মরনশীল জীব।
         (A) সকল কবি হয় মানুষ।
      .:  (A) সকল কবি হয় মরণশীল জীব।

৫) অমাধ্যম এবং মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্য কী?
উঃ অমাধ্যম অনুমানে সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র আশ্রয় বাক্য থেকে নিঃসৃত হয়। কিন্তু মাধ্যম অনুমানে দুই বা ততোধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়।

৬) মাধ্যম ও অমাধ্যম অনুমান এর একটি সাদৃশ্য লেখ।
উঃ মাধ্যম ও অমাধ্যম উভই অনুমানই অবরোহ অনুমান।

৭) আবর্তন কাকে বলে?
উঃ যে অমাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ ন্যায়সঙ্গতভাবে যথাক্রমে সিদ্ধান্তের বিধেয় ও উদ্দেশ্য হয় এবং গুণ অপরিবর্তিত থাকে, তাকে আবর্তন বলে।

৮) আবর্তন কত প্রকার ও কী কী?
উঃ আবর্তন দুই প্রকার-- (১) সরল বা সমআবর্তন এবং (২)  অ-সরল বা সীমিত আবর্তন।

৯) সরল আবর্তন কাকে বলে?
উঃ যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে তাকে সরল আবর্তন বলে। E বচনের আবর্তন এবং  I বচনের আবর্তন সরল আবর্তন।

১০) অ-সরল বা অসম বা সীমিত আবর্তন কাকে বলে?
উঃ যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের পরিমাণ ভিন্ন হয় তাকেই অ-সরল আবর্তন বলা হয়। A বচনের আবর্তন হল অ- সরল আবর্তন।

১১) A বচনের একটি সরল আবর্তনের উদাহরণ দাও।
উঃ              (A) সকল উদ্ভিদ হয় গাছ  (আবর্তনীয়)
               .:  (A) সকল গাছ হয় উদ্ভিদ  (আবর্ত)

১২) সরল ও অ- সরল আবর্তনের একটি পার্থক্য লেখ।
উঃ সরল আবর্তনের ক্ষেত্রে আবর্তনীয় ও আবর্তিত বচনের পরিমাণ এক হয়, কিন্তু  অ-সরল আবর্তনের ক্ষেত্রে আবর্তনীয় ও আবর্তিত বচনের পরিমাণ ভিন্ন হয়।

১৩) কোন্ ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব?
উঃ যেসব ক্ষেত্রে প্রদত্ত A বচনের উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদ সমব্যাপক বা সমার্থক হয়, সেই ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব।

১৪) A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব নয় কেন? 
উঃ  A বচনের সরল আবর্তন করলে আবর্তনের চতুর্থ নিয়ম অর্থাৎ ব্যাপ্যতার নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়। তাই A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব নয়।

১৫) আবর্তনের ব্যাপ্যতার নিয়মটি কী ?
উঃ ব্যাপ্যতার নিয়মটি হল: যে পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য হয়নি, সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না।

১৬) O বচনের আবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ O বচনের আবর্তন সম্ভব নয়।

১৭) নিষেধমূলক আবর্তন কাকে বলে?
উঃ কোন কোন তর্কবিদ্ আবর্তন করার জন্য এক বিশেষ পদ্ধতি অনুসারে O বচনের বিধেয়টির আগে এক নিষেধমূলক চিহৃ যোগ করে বচনটিকে I বচনে পরিণত করে, I বচনের আবর্তন করেন। একেই নিষেধমূলক আবর্তন বলে।

১৮) নিষেধমূলক আবর্তনের উদাহরণ দাও।
উঃ         ( O) কোন কোন মানুষ নয় লেখক।
              (O) কোন কোন মানুষ হয় অ-লেখক।
              (O) কোন কোন অ- লেখক হয় মানুষ।

১৯) A  বচনের আবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ I বচন।

২০) E বচনের আবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ E বচন।

২১) I বচনের আবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ I বচন।

২২) আবর্তনের প্রথম নিয়মটি কী ? 
উঃ আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদটি সিদ্ধান্তের বিধেয় পদ হবে।

২৩) আবর্তনের দ্বিতীয় নিয়মটি কী ?
উঃ আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদটি সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হবে।

২৪) আবর্তনের তৃতীয় নিয়মটি কী?
উঃ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুন অভিন্ন হবে। অর্থাৎ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে এবং আশ্রয়বাক্য নঞথর্থক হলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে।

২৫) O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন?
উঃ O বচনের আবর্তন করলে আবর্তনের চতুর্থ নিয়ম অর্থাৎ ব্যাপ্যতার নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়। তাই O বচনের আবর্তন সম্ভব নয়।

২৬) বিবর্তন বা ব্যবর্তন বা প্রতিবর্তন কাকে বলে? 
উঃ যে অমাধ্যম অনুমানে প্রদত্ত বচনের গুণের পরিবর্তন করে এবং সেই বচনটির বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদকে সিদ্ধান্তের বিধেয়রূপে গ্রহণ করা হয়, তাকে ব্যবর্তন বা প্রতিবর্তন বা বিবর্তন বলে।

২৭) বস্তুগত বিবর্তন কাকে বলে?
উঃ যে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত বচনের আকারগত বিবর্তন না করে তার অর্থের উপর বিশেষভাবে নির্ভর করা হয় এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সাহায্যে প্রদত্ত বচনটিকে বিবর্তিত করা হয় তাকে বস্তুগত বিবর্তন বলে।

২৮) বস্তুগত বিবর্তনের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ বস্তুগত বিবর্তনের উদাহরণ:
           যুদ্ধ হয় অমঙ্গলসূচক।
           শান্তি  হয় মঙ্গলসূচক।

২৯) বস্তুগত বিবর্তনকে কি প্রকৃত বিবর্তন বলা যায়?
 বস্তুগত বিবর্তনকে প্রকৃত বিবর্তন বলা যায় না। কারণ, বস্তুগত বিবর্তন যৌক্তিক বিবর্তনের উদ্দেশ্য পদের নিয়ম, গুনের নিয়ম, আকারগত নিয়ম মেনে চলে না।

৩০) বস্তুগত বিবর্তনের স্রষ্টা কে? 
উঃ তর্কবিদ্ বেইন।

৩১) বিরুদ্ধ পদ / পরিপূরক পদ কী?
উঃ কোন পদের সকল বিপরীত পদের সমষ্টিকে বিরুদ্ধ পদ বলে। অর্থাৎ একটি পদের সবকটি বিপরীত পদকে একত্র করে তৈরি হয় ওই পদের বিরুদ্ধ পদ। যেমন-- 'গাছ' এর বিরুদ্ধ  পদ হল 'অ- গাছ'

৩২) বিপরীত পদ কাকে বলে?
উঃ কোন পদের বিপরীত অর্থ যুক্ত পদকে তার বিপরীত পদ বলে। যেমন-- সাদা পদটির বিপরীত পদ হলো কাল, লাল, সবুজ ইত্যাদি যে-কোনো সাদা ভিন্ন রং।

৩৩) "সকল মানুষ হয় বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জীব" --- বচনটির আবর্তন কর।
উঃ  L.F. :
(A)সকল মানুষ হয় বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জীব (আবর্তনীয়) .:  (A) সকল বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জীব হয় মানুষ (আবর্ত)

৩৪) "সকল মানুষ হয় অ - পূর্ণ জীব" --- বচনটির বিবর্তিত বচন কী?
উঃ L.F. :  
    (A)  সকল মানুষ হয় অ - পূর্ণ জীব ( বিবর্তনীয়)
 .:  (E) কোনো মানুষ নয় পূর্ণ জীব (বিবর্ত)

৩৫) বিবর্তনের বৈধতার গুন সংক্রান্ত নিয়মটি কী?
উঃ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুন ভিন্ন হবে। অর্থাৎ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্ত নঞর্থক হবে এবং আশ্রয় বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে।

৩৬) বিবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি কী?
উঃ আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ অভিন্ন হবে।

৩৭) A বচনের বিবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ E বচন।

৩৮) E বচনের বিবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ A বচন।

৩৯) I বচনের বিবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ O বচন।

৪০) O বচনের বিবর্তিত বচন কী হবে?
উঃ I বচন।
                              <<<<<>>>>>

Read More

Tuesday, 5 June 2018

৫। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্ন এবং উত্তর।

Leave a Comment
প্রশ্নজাতি এবং শ্রেণীর তুলনামূলক আলোচনা কর।
উঃ
         সামাজিক শ্রেণী ও জাতি: সামাজিক শ্রেণী ও জাতি উভয় ক্ষেত্রে উঁচু-নিচু ভাবে স্তর বিভাগ হলেও তাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। যথা---

      প্রথমত, সামাজিক শ্রেণী সচল, কিন্তু জাতি সাধারণত নিশ্চল। সমাজের নিম্নস্তরভুক্ত মানুষ যদি তার দক্ষতা ও যোগ্যতার জন্য অর্থ, বিত্ত ও মান মর্যাদার অধিকারী হয়ে উচ্চস্তরভুক্ত মানুষের আচার-আচরণ ও জীবনধারকে অনুসরণ করি তাহলে সে ক্রমশই উচ্চস্তরে উন্নীত হয়। তেমনি, উচ্চস্তরের মানুষ যদি তার যোগ্যতার অভাব এর জন্য উচ্চস্তরের মানুষের আচার-আচরণ ও জীবনধারন প্রণালীকে অনুসরণ করতে না পারে তাহলে সে নিম্নস্তরে অবনত হয়। কিন্তু জাতিভেদ প্রথার ক্ষেত্রে জাতি-চলাচল, বিশেষ করে নিম্নতর জাতি থেকে উচ্চতর জাতিতে উন্নতি হওয়া সাধারণভাবে সম্ভব হয়না। তাই, সামাজিক শ্রেণী সচল, কিন্তু জাতি সাধারণত নিশ্চল।

       দ্বিতীয়ত, জাতির ক্ষেত্রে স্বজাতিবিবাহ স্বাস্থ্যসম্মত, উঁচু জাতির সঙ্গে নিচু জাতির বিবাহ শাস্ত্র নিষিদ্ধ। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, বিবাহাদি সম্পর্ক স্বজাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। ব্রাহ্মণ সন্তান যদি শূদ্রের কন্যাকে বিবাহ করে তাহলে শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে তাকে জাতিচ্যুত হতে হয়। কিন্তু সামাজিক শ্রেণীর ক্ষেত্রে এমন কোন শাস্ত্রীয় বিধান নেই। শ্রেণী ব্যবস্থায় উচ্চস্তর ভুক্ত মানুষের নিম্নস্তর ভুক্ত মানুষের সঙ্গে বিবাহাদি সম্পর্ক রীতি-বিরুদ্ধ নয়।

         তৃতীয়ত, জাতিভেদ প্রথার শাস্ত্রীয় বা ধর্মীয় ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও সামাজিক শ্রেণীভেদের কেবল ঐতিহাসিক ব্যাখ্যাই দেওয়া হয়।শাস্ত্রমতে, জাতি বা বর্ণ চারটি। যথা-- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র। অপরদিকে, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের ইতিহাসকেই সামাজিক শ্রেণীভেদের কারণরূপে গণ্য করা হয়। সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুসারে শ্রমবিভাগ, বৃত্তি বিভাগ, সম্পত্তির বন্টন ইত্যাদি প্রয়োজনীয়রূপে দেখা দেয় এবং শ্রম, বৃত্তি, সম্পত্তি ইত্যাদির পরিমাণ অনুসারে মানুষ কমবেশি সামাজিক ও রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা লাভ করে। 

       এভাবে, সমাজের ঐতিহাসিক পরিবর্তনের ফলেই  সামাজিক স্তর বিভাগ বা শ্রেণীবিভাগের প্রচলন হয়।
                               <<<<<>>>>>
Read More

৪। সমাজবিদ্যার (Sociology) প্রশ্ন এবং উত্তর।

Leave a Comment
 সমাজতত্ত্ব ও দর্শনের সম্পর্ক লেখ।              5 নম্বর
উঃ
 সমাজতত্ত্ব ও দর্শনের সম্পর্ক: সমাজতত্ত্ব ও দর্শনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে পার্থক্য থাকলেও তাদের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়ে সাদৃশ্য রয়েছে।

      প্রথমত, সমাজতত্ত্বের আলোচনার একমাত্র বিষয়বস্তু সমাজে বসবাসকারী মানুষ ও সমাজ। দর্শন অনুরূপভাবে সমাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন-- এর উদ্দেশ্য কি? সমাজ ও ব্যক্তির সম্পর্ক কি? প্রভৃতি উত্তর খুঁজতে সমাজের দার্শনিক আলোচনায় সচেষ্ট।

      দ্বিতীয়ত, সমাজতত্ত্ব হল সমাজে বসবাসকারী মানুষের পারস্পরিক আচার-আচরণের বিজ্ঞান। অনুরূপভাবে সমাজের দার্শনিক বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দর্শনেও সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে মানুষের আচরণের তাৎপর্য বিচার করা হয়।

         তৃতীয়ত, মানুষের নানাবিধ ও জাগতিক কর্মকাণ্ড সমাজতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়বস্তু; এগুলিকে ব্যক্তির মনোজগতের বাহ্যিক প্রকাশ হিসেবে মনে করা হয়। তাই ব্যক্তির মনের পর্যালোচনাও সমাজতত্ত্বের আলোচনায় এসে যায়। একইভাবে বিশ্বদর্শন হিসাবে দর্শনের আলোচনাতেও ব্যক্তির মন কে প্রাধান্য দেওয়া হয়।

       চতুর্থত, সমাজতত্ত্বের বিভিন্ন বিষয় আলোচনার ক্ষেত্রে যেমনভাবে যুক্তি ও বুদ্ধিগ্ৰাহ্য বিচারপদ্ধতি অনুসৃত হয়, তেমনই দর্শন একই পদ্ধতিতে জগৎ ও জীবনের স্বরূপ ব্যাখ্যা করে।
Read More

Monday, 4 June 2018

2. Question & Answer of the poem, "On Killing a Tree" (Class xii of wbchse)

2 comments
Question. Justify the title of the poem "On Killing a Tree".
Ans:-
         “On Killing a Tree” is a satirical poem which describes the ceremonial task of mankind to kill a tree. The poet ironically shows that man is very insensitive to the trees. 

      The tree has grown slowly consuming nutrients from the earth and absorbing air, water and sunlight for years. It feeds upon the earth's crust and gains much strength. So the tree must be killed. But it is not an easy task. A simple jab of knife will not destroy it. From close to the ground it will rise up again. So the tree should be tied with a rope and pulled out entirely. Its white  root should be exposed. Then it should be browned, hardened, twisted and withered. Thus it is finally killed. So, the title of the poem is appropriate.
                                      <<<<<>>>>>
Read More

Sunday, 3 June 2018

1. Question & Answer of the poem, "On Killing a Tree" written by Gieve Patel.(Class xii of wbchse)

Leave a Comment
Question. Why does it take 'much time' to kill a tree? How is the tree finally killed? 3+3 =6 [কেন গাছকে হত্যা করতে অনেক সময় লাগে? গাছটিকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে মেরে ফেলা হয়?]

Ans
       The tree has grown slowly consuming nutrients from the earth and absorbing air, water and sunlight for years. It feeds upon the earth's crust and gains much strength. If a tree is struck hard with a knife, it does not die. The tree can overcome such blow. So, it takes 'much time' to kill a tree.

     According to the poet, a tree cannot be killed by a simple jab of a knife or by hacking or chopping it. To kill a tree its root is pulled out from the anchoring earth. After pulling out, it is kept in the sun and air to get scorched and choked. Next ,it is left in the sun to make it hard and brown. Then it is twisted and withered in the sun. Thus the tree is finally killed.

বঙ্গানুবাদ: মাটি থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে এবং বছরের পর বছর  বাতাস, জল আর সূর্যকিরণ শোষন করে গাছটি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠেছে। সেটি ভূত্বক থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে প্রচুর শক্তি অর্জন করেছে। একটি গাছকে যদি জোরালোভাবেও ছুরি দিয়ে আঘাত করা যায়, এটির মৃত্যু হয় না। এইরকম আঘাত গাছটি কাটিয়ে উঠতে পারে। তাই গাছকে মেরে ফেলতে প্রচুর সময় লাগে।

    কবির মতে, ছুরির সামান্য আঘাত বা কোপানো বা কুচানোর দ্বারা গাছকে হত্যা করা যায় না। গাছকে মেরে ফেলতে তার শিকড় মাটির গুহা থেকে টেনে তুলতে হয়। টেনে তোলার পর, তাকে দগ্ধ ও শ্বাস রুদ্ধ করার জন্য সূর্যের তাপে ও বাতাসে রাখা হয়। তারপর সেটিকে শক্ত ও বাদামি রং এ পরিণত করার জন্য রোদে ফেলে রাখা হয়। তারপর সেটিকে মোচড়ানো ও রোদে শুকিয়ে ফেলা হয়। এইভাবে গাছটিকে শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলা হয়।]
Read More