প্রশ্ন: প্রাচীন অনুবর্তন তথ্যটির শিক্ষাগত তাৎপর্য লেখ।
উত্তর:
প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্ব এর শিক্ষাগত তাৎপর্য: যে কোন প্রাণী থেকে শুরু করে মানব শিশুর শিখনে প্রাচীন অনুবর্তন শিখন কৌশলের উপযোগিতা লক্ষ করা যায়। তা হলো---
১। ভাষাগত বিকাশ: শিশুর ভাষাগত বিকাশের ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন কৌশলের যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। শিশুকে ভাষা শেখানোর সময় যখন কোনো বয়স্ক ব্যক্তি তার কাছে অর্থবোধক শব্দ বারবার উচ্চারণ করে তখন তারা তা অনুসরণ করে। এর ফলে তাদের মধ্যে ভাষার বিকাশ ঘটে।
২। সু-অভ্যাস গঠন: শিশুর সু-অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রাচীন অনুবর্তন কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন- সকালে ঘুম থেকে ওঠা দাঁত মাজা পড়তে বসা ইত্যাদি।
৩। কু-অভ্যাস দূর: শিশুর মধ্যে যে সকল কু অভ্যাস তৈরি হয়েছে সেগুলি দূরীকরণে এই শিখন কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪। প্রাক্ষোভিক বিকাশ: প্রাচীন অনুবর্তনের শিখন কৌশল শিশুর মধ্যে প্রাক্ষোভিক বিকাশে সাহায্য করে। অর্থাৎ শিক্ষার মধ্যে অহেতুক ভয় দূরীকরণ করে তাদের স্বাভাবিক শিক্ষামূলক অগ্রগতিতে সহায়তা করে।
৫। আগ্রহ সৃষ্টি: এই শিখন কৌশল এর সাহায্যে শিক্ষার্থীর নিকট শিক্ষনীয় বিষয় বারবার উপস্থাপনের মাধ্যমে তার মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়।
মন্তব্য: উপরোক্ত আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ইতর প্রাণী এবং শিশুদের শিখনের ক্ষেত্রে এই কৌশল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে মানুষের শিখনের পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দেওয়া প্রাচীন অনুবর্তন এর সাহায্যে সম্ভব নয়।
<<<<<>>>>>
0 comments:
Post a Comment