Sunday, 12 December 2021

HS শিক্ষাবিজ্ঞান ( Education) অধ্যায়: শিখন -- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

Leave a Comment

 শিক্ষা বিজ্ঞান ( Education)

            শিখন (Learning)

     দ্বাদশ শ্রেণী (Class xii) (wbchse)


অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (মান-1)


১। 'শিখন' কী?

  উঃ অনুশীলন প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রাণীর কোনো আচরণের পরিবর্তনের ঘটনাই হল 'শিখন'।

অথবা,  

যে মানসিক প্রক্রিয়া অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রগতিশীল আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যক্তির দৈহিক ও মানসিক বিকাশ ঘটিয়ে তাকে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে সার্থকভাবে অভিযোজনে সাহায্য করে, তাই হল শিখন।


২। ‘শিখন’-এর একটি কার্যকরী সংজ্ঞা দাও।

 উঃ সক্রিয় অনুশীলন, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের প্রভাবে প্রাণীর মানসিক ও বাহ্যিক আচরণের পরিবর্তন সাধিত হয় যে প্রক্রিয়ায় তাকে 'শিখন' বলে।   

৩।  আধুনিক অর্থে ‘শিখন' বলতে কী বোঝায়?

 উঃ  যে শিক্ষালব্ধ পদ্ধতিতে অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কর্ম সম্পাদনের ক্ষমতালাভের মাধ্যমে প্রাণীর মানসিক ও দৈহিক আচরণে উৎকর্ষতা আসে, সেই পদ্ধতিই ‘শিখন' নামে পরিচিত।


৪। মনোবিজ্ঞানী জে পি গিলফোর্ড ‘'শিখন'-এর কী সংজ্ঞা দিয়েছেন?

 উঃ মনোবিজ্ঞানী জে পি গিলফোর্ড-এর মতে, “Learning is change in behaviour resulting from behaviour.” অর্থাৎ ‘শিখন’ হল আচরণ থেকে ফলজাত আচরণের পরিবর্তন প্রক্রিয়া। 


৫। থর্নডাইক ‘শিখন’ সম্বন্ধে কী বলেছেন? 

 উঃ মনোবিদ থর্নডাইক বলেছেন, 'শিখন' হল উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে যথার্থ ও কার্যকরী সম্বন্ধ স্থাপনের প্রক্রিয়া।


৬। ম্যাকডুগালের মতে ‘শিখন' কী?

 উঃ মনোবিদ ম্যাকডুগালের মতে, উদ্দেশ্যসাধনের উপযোগী উপায় নির্বাচনের ক্ষমতা অর্জন করাই হল শিখন।


৭। শিখনের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উঃ শিখনের প্রধান বৈশিষ্ট্য দুটি হল-

 ১) শিখন প্রক্রিয়া উদ্দেশ্যমুখী ও ক্রমবিকাশমান।

২) শিখন পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন করতে সহায়তা করে। 


৮। মনোবিদ রবার্ট এম গ্যাগনের মতানুসারে শিখনের শ্রেণিবিভাগ করো।

উঃ মনোবিদ রবার্ট এম গ্যাগনের মতানুসারে শিখনকে ৮টি ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল- 

(i)সংকেত শিখন,  (ii) উদ্দীপক-প্রতিক্রিয়া শিখন, (iii)সমস্যাসমাধানমূলক শিখন, (iv) ভাষাগত সংযোগসাধনমূলক শিখন, (v) শৃঙ্খলিতকরণ শিখন, (vi)ধারণা শিখন, (vii) নিয়ম শিখন এবং (viii) বৈষম্যমূলক শিখন।


৯। গ্যাগনের কোন গ্রন্থে শিখনের আটটি প্রকারের উল্লেখ পাওয়া যায়?

উঃ রবার্ট গ্যাগনে তাঁর The Conditions of Learning গ্রন্থে আট প্রকারের শিখনের উল্লেখ করেছেন।


১০। গ্যাগনের শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী সব থেকে উচ্চ পর্যায়ের শিখন কোন্‌টি? 

উঃ গ্যাগনের শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী সবথেকে উচ্চ পর্যায়ের শিখন হল সমস্যাসমাধানমূলক শিখন।


১১। 'প্রজ্ঞামূলক শিখন' কাকে বলে? 

উঃ যখন কোনো ব্যক্তির জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে শিখন সাধিত হয় তখন ওই শিখনকে বলা  'প্রজ্ঞামূলক শিখন'।


১২। দক্ষতামূলক শিখন' কী?

উঃ যে শিখনের দ্বারা ব্যক্তির দক্ষতা বা সামর্থ্যের বিকাশ ঘটে, তাকে দক্ষতামুলক শিখন বলে।


১৩। প্রক্ষোভমূলক শিখন' বলতে কী বোঝো?

উঃ শিশুর মধ্যে আদর্শগত প্রক্ষোভ গঠনের জন্য যে শিখন কার্য পরিচালিত হয়, তাকে প্রক্ষোভ মূলক শিখন বলে।


 ১৪। নৈতিক শিখন' বলতে কী বোঝো?

উঃ শিক্ষার্থীর চারিত্রিক সংগঠন ও মূল্যবোধের বিকাশের জন্য যে শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়, তাকে ‘নৈতিক শিখন' বলে।


১৫। 'দেহসঞ্চালনগত শিখন' কাকে বলে?

উঃ যে শিখন প্রক্রিয়ার দ্বারা শিশুর দেহসঞ্চালন ক্রিয়ার পরিবর্তন ও ক্রমোন্নয়ন ঘটে, সেই শিখন প্রক্রিয়াকে 'দেহসঞ্চালনগত শিখন' বলা হয়। 


১৬। স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র কোন্ শিখনকে নিয়ন্ত্রিত করে?

উঃ স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র স্মৃতিমূলক শিখন বা স্মরণক্রিয়ার দ্বারা শিখনকে নিয়ন্ত্রিত করে।


১৭। স্মৃতি' বা 'স্মরণক্রিয়া' কাকে বলে?

উঃ যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা পূর্বার্জিত ও সংরক্ষিত অভিজ্ঞতাকে প্রয়োজনমতো যথার্থ সময়ে সঠিক স্থানে স্মরণ করা যায়, সেই মানসিক প্রক্রিয়াকেই ‘স্মৃতি' বা 'স্মরণক্রিয়া' বলা হয়।


১৮। 'বিস্মৃতি' কী?

উঃ স্মৃতির অভাবই হল 'বিস্মৃতি'। এটি স্মরণক্রিয়ার বিপরীত একটি প্রক্রিয়া। এর সাধারণ অর্থ কোনো বিষয় ভুলে যাওয়া।


১৯। শিখনের পর্যায় বা স্তরগুলি কী কী?

 উঃ শিখনের স্তর বা পর্যায়গুলি হল তিন প্রকার। যথা- অভিজ্ঞতা অর্জন, সংরক্ষণ এবং পুনরুত্থাপন। এই শেষ পর্যায়টিকে অর্থাৎ পুনরুত্থাপনকে আবার দুটি স্তরে বিন্যস্ত করা হয়। যথা- পুর্নরুদ্রেক ও প্রত্যভিজ্ঞা। 


২০। সংরক্ষণ বা ধারণ বলতে কী বোঝো?

উঃ সংরক্ষণ' বা 'ধারণ' হল এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বাইরে থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে দীর্ঘকাল ধরে স্মৃতিতে ধরে রাখা যায় বা মনে রাখা যায়।


২১। পুনরুদ্রেক ও প্রত্যভিজ্ঞার মধ্যে প্রভেদ কোথায়?

উঃ যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা পূর্বে অর্জিত অভিজ্ঞতা সংরক্ষণের স্তর থেকে মানুষের চেতনায় আসে অর্থাৎ কোনো পুরোনো কথা মানুষের মনে পড়ে, তাকেই 'পুনরুদ্রেক' বলা হয়। অন্যদিকে, পূর্বে অর্জিত অভিজ্ঞতা যখন মানুষের সামনে কোনো মূর্ত প্রতিরূপের সাহায্যে পুনরুত্থাপিত হয়, তখন তাকে 'প্রত্যভিজ্ঞা' বলা হয়। 'প্রত্যভিজ্ঞা' কথার অর্থ হল পূর্ব অভিজ্ঞতাকে প্রত্যক্ষ করা বা চিনে নেওয়া। 


২২। পুনরুদ্রেক প্রক্রিয়াটির সঙ্গে কোন্ তিনটি বিষয় বিশেষভাবে যুক্ত? 

উঃ পুনরুদ্রেক প্রক্রিয়াটির সঙ্গে যে তিনটি বিষয় বিশেষভাবে যুক্ত, সেগুলি হল-  সান্নিধ্যের সূত্র, সাদৃশ্যের সূত্র এবং বৈসাদৃশ্যের সূত্র। 


২৩। সান্নিধ্যের সূত্রটি কী?

উঃ যে সূত্রের কারণে পুনরুদ্রেকের ক্ষেত্রে একটি ঘটনা আর-একটি ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়, তাকে সান্নিধ্যের সূত্র' বলা হয়।


২৪। সাদৃশ্যের সূত্রটি লেখো।

উঃ পুনরুদ্রেকের ক্ষেত্রে সাদৃশ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুটি বিষয়ের মধ্যে সাদৃশ্য থাকলে একটি মনে করলে অপরটিও মনে পড়ে যায়। একেই ‘সাদৃশ্যের সূত্র' হিসেবে ধরা হয়। 


২৫  বৈসাদৃশ্যের সূত্রটি কী?

উঃ পুনরুদ্রেকের ক্ষেত্রে বৈসাদৃশ্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুটি বিষয়ের মধ্যে বৈসাদৃশ্য থাকলে একটি মনে করলে অপরটিও মনে পড়ে যায়। একেই 'বৈসাদৃশ্যের সুত্র' ধরা হয়।


২৬। 'শিখন'-এর সংযোজনবাদী তত্ত্বের প্রবক্তা কে?

উঃ থর্নডাইক। 


২৭। 'শিখন'-এর গেস্টান্ট তত্ত্বের মূল দুজন প্রবক্তা কে ছিলেন?

উঃ 'শিখন'-এর গেস্টান্ট তত্ত্বের মূল দুই প্রবক্তা হলেন ম্যাক্স ওয়ারদাইমার এবং কফকা।


২৮। প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক কে? 

উঃ প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক হলেন মনোবিদ আইভান প্যাভলভ।


 ২৯। সক্রিয় অনুবর্তনের উদ্ভাবন করেন কে?

উঃ সক্রিয় অনুবর্তনের উদ্ভাবক হলেন মনোবিদ বি এফ স্কিনার।


৩০। 'শিখন'-এর মাত্রা কার উপর নির্ভর করে? 

উঃ ‘শিখন’-এর মাত্রা নির্ভর করে প্রচেষ্টার সংখ্যার উপর। প্রচেষ্টার সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, শিখনের হারও তত বৃদ্ধি পাবে। 


৩১। শিখন'-এর প্রকৃতি কীসের মাধ্যমে প্রকাশ পায় ?

উঃ ‘শিখন’-এর প্রকৃতি প্রকাশ পায় পরিণমনের মাধ্যমে। 


৩২। ‘শিখন'-এর দুটি সহজ উপায় লেখো।

উঃ শিখনের পদ্ধতিগুলির মধ্যে দুটি সহজ উপায় হল - আবৃত্তি পদ্ধতি এবং অর্থ অনুধাবন করে পাঠের পদ্ধতি।


৩৩। শিক্ষার্থীর শিখনে শিক্ষকের প্রধান ভূমিকা কী?

উঃ শিক্ষার্থীর শিখনে শিক্ষকের প্রধান ভূমিকা হল- শিক্ষার্থী শিখনকার্যকে সহজ করে তোলা বা facilitate করা; যার অর্থ হল to make a process easier. 


৩৪। 'Survey-Q-3R'  কী?

উঃ কোনো পাঠ্য বিষয়বস্তু মুখস্থ করার ক্ষেত্রে অধ্যাপক ফ্রান্সিস পি রবিনসন যে নিয়ম উদ্ভাবন করেছেন, তাকে 'Survey Q-3R' বলা হয়। এর সম্পূর্ণ কথাটি হল- Survey, Question, Read Recite, Review। অর্থাৎ কোনো বিষয়কে সহজে আয়ত্ত করার জন্য পর্যবেক্ষণ, প্রশ্নকরণ, পঠনপাঠন, আবৃত্তি পাঠ ও পর্যালোচনার প্রয়োজন।


৩৫। 'শিখন' ও 'শিক্ষণ'-এর মধ্যে মূল পার্থক্য কোথায়? 

উঃ 'শিখন' হল ব্যক্তির নিজের ও সমাজের কল্যাণসাধনের উদ্দেশ্যে কোনো বিষয়কে আয়ত্ত করা বা শেখা। আর 'শিক্ষণ' হল ব্যক্তির সহজাত সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জ্ঞান প্রদান করা অর্থাৎ শিক্ষাদান।


৩৬। শিখন'-এর উপাদানগুলি কী কী? অথবা, 'শিখন' কী কী বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়? 

উঃ শিখনের উপাদানগুলি হল পরিণমন, প্রেষণা, আগ্রহ, মনোযোগ ও সামর্থ্য। এই বিষয়গুলিই শিখনকে প্রভাবিত করে।


৩৭। 'পরিণমন' কী?

উঃ ‘পরিণমন' হল এমন একটি স্বাভাবিক জৈবিক বিকাশের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রাণীর জন্মগত সম্ভাবনাগুলির স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ ঘটে এবং সেইসঙ্গে তার আচরণের গুণগত ও পরিমাণগত উভয় ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়।

অথবা,

পরিণমন হল জন্মগত একটি স্বাভাবিক আচরণ পরিবর্তনের জৈবিক প্রক্রিয়া, যার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘটে থাকে।


 ৩৮। মনোবিদ ম্যাকগিয়ক ‘পরিণমন'-এর সংজ্ঞায় কী বলেছেন?

উঃ মনোবিদ ম্যাকগিয়ক-এর মতে, অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জৈবিক কারণে শিশুর আচরণ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া হল 'পরিণমন'।


৩৯। পরিণমনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।”

উঃ পরিণমনের দুটি বৈশিষ্ট্য হল – (ক) পরিণমন একটি স্বাভাবিক বিকাশ প্রক্রিয়া এবং (খ) পরিণমনের ফলে ব্যক্তির দৈহিক আচরণের পরিবর্তন ঘটে।


৪০। শিখন ও পরিণমনের দুটি সাদৃশ্য লেখো। শিখন ও পরিণমনের দুটি উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য হল

উঃ (i) শিখন ও পরিণমন উভয়ই ব্যক্তিনির্ভর প্রক্রিয়া। (ii) শিখন ও পরিণমন উভয়ই ব্যক্তির আচরণে পরিবর্তন ঘটায়।


 ৪১। শিখন ও পরিণমনের একটি পার্থক্য লেখো। 

উঃ শিখন ও পরিণমনের একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হল শিখন একটি অনুশীলননির্ভর কৃত্রিম প্রক্রিয়া; কিন্তু পরিণমন একটি স্বাভাবিক জৈবিক বিকাশের প্রক্রিয়া।


৪২।  'প্রেষণা' কী?' 

উঃ 'প্রেযণা' হল এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যা ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ কর্মউদ্দীপনাকে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য তার মধ্যে একটি তাগিদ সৃষ্টি করে এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।

অথবা,

প্রেষণা হল এমন এক মানসিক প্রক্রিয়া যা ব্যক্তির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কর্মোদ্দীপনা জাগ্রত করে এবং বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও সেটিকে নিয়ন্ত্রিত পথে পরিচালনার মাধ্যমে লক্ষ্যের অভিমুখে নিয়ে যায়।


৪৩।  'প্রেষণা' শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে?

উঃ 'প্রেষণা' শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল 'Motivation'। এই শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'Moveers' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'to move' অর্থাৎ 'চলনক্রিয়া'। 


৪৪। 'প্রেষণা চক্র' বলতে কী বোঝায়? অথবা, প্রেষণা চক্রের চারটি ধাপ কী কী? 

উঃ যে স্তরগুলি অতিক্রম করলে বা যে স্তরগুলি চক্রাকারে আবর্তিত হলে প্রেষণা সৃষ্টি হয়, সেই স্তরগুলির এই আবর্তনকে 'প্রেষণা চক্র' বলা হয়। প্রেষণা চক্রের মূল চারটি স্তর হল— চাহিদা, তাড়না, উদ্দেশ্যমুখী আচরণ এবং উদ্দেশ্যপুরণ।


৪৫। প্রেষণা চক্রের প্রথম ও শেষ স্তরগুলি কী কী?

উঃ প্রেষণা চক্রের প্রথম স্তর হল চাহিদা বা অভাববোধ এবং শেষ স্তর হল উদ্দেশ্যপুরণ।


৪৬। প্রেষণার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ প্রেষণার দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল—(i) শিখনে আগ্রহ বুদ্ধি করে এবং (ii) লক্ষ্যাভিমুখী আচরণ নির্দিষ্ট করে। 


৪৭। প্রেষণার শ্রেণিবিন্যাস করো।

উঃ প্রেষণাকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা— জৈবিক প্রেষণা, ব্যক্তিগত বা মানসিক প্রেষণা এবং সামাজিক প্রেষণা


৪৮। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টিতে শিক্ষকের কী কী কর্তব্য পালন করা উচিত?

উঃ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টির জন্য শিক্ষকের উচিত তাদের কর্মোদ্যোগী করে তোলা, প্রশংসার মাধ্যমে নতুন কাজে উৎসাহ দান করা, তাদের সফলতার জন্য পুরস্কার প্রদান করা ইত্যাদি।


৪৯। প্রেষণা হ্রাসের দুটি কারণ উল্লেখ করো।

উঃ প্রেষণা হ্রাসের দুটি কারণ হলো -- (i) কৌতুহল বা অনুরাগ এর অভাব এবং (ii) চাহিদা পূরণ না হওয়া।


৫০। মনোযোগ কী?

উঃ যে মানসিক প্রক্রিয়া ব্যক্তির চেতনার পরিধিকে সংকীর্ণ করে, তাকে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কেন্দ্রীভূত করে সেই মানসিক প্রক্রিয়া কে মনোযোগ বলে।


৫১। মনোযোগের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উঃ মনোযোগের একটি বৈশিষ্ট্য হল -- মনোযোগ একটি নির্বাচনধর্মী প্রক্রিয়া।


৫২। মনোযোগ এর মূল শর্ত বা নির্ধারকগুলি কী কী?

উঃ মনোযোগ এর মূল শর্ত বা নির্ধারক গুলি হল -- (i) বিষয়কেন্দ্রিক বা বস্তুগত শর্ত (ii) মনোগত শর্ত য়এবং (iii) দৈহিক বা বাহ্যিক শর্ত।


৫৩। মনোযোগের বিষয়কেন্দ্রিক শর্তগুলি কী কী?  অথবা মনোযোগের দুটি বস্তুগত নির্ধারকের নাম লেখ।

উঃ মনোযোগের বিষয়কেন্দ্রিক শর্তগুলি হল--- তীব্রতা, আকৃতি, পুনরাবৃত্তি, নতুনত্ব, গতিশীলতা, বৈপরীত্য ইত্যাদি।


৫৪। মনোযোগের মনোগত শর্তগুলি কী কী? অথবা মনোযোগের একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক এর নাম লেখ

উঃ মনোযোগের মনোগত শর্তগুলি হল -- আবেগ, অভ্যাস, আগ্রহ, প্রক্ষোভ, মানসিক প্রবণতা, আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি।


৫৫। মনোযোগের দৈহিক শর্ত গুলি কী কী? 

উঃ মনোযোগের দৈহিক শর্তগুলি হল --ইন্দ্রিয়সমূহের বিশেষ অবস্থা, আচরণের পরিবর্তন, ব্যক্তিগত বিশেষত্ব ইত্যাদি।


৫৬। মনোযোগ এর বিস্তারমাপক যন্ত্র টির নাম কী?

উঃ মনোযোগের বিস্তার মাপক যন্ত্র টির নাম ট্যাচিসটোস্কোপ ( Tachistoscope)।


৫৭। কোন যন্ত্রের সাহায্যে শ্রবণগত মনোযোগ এর বিস্তার মাপা হয়?

উঃ মেট্রোনোম (Metronome) নামক যন্ত্রের সাহায্যে শ্রবণ গত মনোযোগের বিস্তার পরিমাপ করা হয়।


৫৮। আগ্রহ বা অনুরাগ কী?

উঃ আগ্রহ বা অনুরাগ হল বাস্তব বা কাল্পনিক কোনো বস্তু, ঘটনা বা অবস্থার প্রতি এক বিশেষ কৌতূহল, অনুভূতি, যা ব্যক্তিকে ওই বিষয়টি সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে ও তাকে মনোযোগী করে তোলে।


৫৯। 'আগ্রহ' বা 'Interest' শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে? 

উঃ ‘আগ্রহ’-এর ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Interest’ একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হল ‘it concerns' or 'it matters'


 ৬০। কোন্ মনোবিদ আগ্রহকে ‘সুপ্ত মনোযোগ’ বলেছেন?

উঃ মনোবিদ ম্যাকডুগাল আগ্রহকে ‘সুপ্ত মনোযোগ’ বলেছেন। 


৬১। আগ্রহের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। অথবা, আগ্রহের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।”

উঃ আগ্রহের দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (i) আগ্রহ একটি অনুভূতিনির্ভর প্রক্রিয়া এবং (ii)মনোযোগের পূর্ব শর্ত বা প্রাথমিক শর্তই হল আগ্রহ।


৬২। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বটি প্রথম কত খ্রিস্টাব্দে, কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?

উঃ স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বটি প্রথম ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে 'আমেরিকান জার্নাল অফ সাইকোলজি'-তে প্রকাশিত হয়।


৬৩। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতার তত্ত্বটি কী নামে পরিচিত এবং এটি কোন্ প্রবন্ধাকারে প্রকাশ পায়।

উঃ স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতার তত্ত্বটি 'দ্বি-উপাদান তত্ত্ব' নামে পরিচিত এবং এটি 'General Intelligence Objectively Determined and Measured' নামক প্রবন্ধাকারে প্রকাশ পায়।

 

৬৪। সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বলতে কী বোঝো? অথবা, স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বে g উপাদান বলতে কী বোঝো? 

উঃ যে মানসিক ক্ষমতা জন্মগত ও সহজাত এবং যে-কোনো কাজেই কমবেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাকে সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বলে। স্পিয়ারম্যান তাঁর তত্ত্বে এই ক্ষমতাকে 'G-factor' বা g-উপাদান বলে উল্লেখ করেছেন। 


৬৫। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বে উল্লিখিত সাধারণ উপাদানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বে উল্লিখিত সাধারণ উপাদানের দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল -- (i) সাধারণ উপাদান হল জন্মগত ও (ii) এই উপাদান সর্বজনীন।


৬৬। বিশেষ মানসিক ক্ষমতা কী?*

উঃ যখন কোনো একটি কাজের জন্য ব্যক্তির সাধারণ মানসিক ক্ষমতার পাশাপাশি কোনো বিশেষ সামর্থ্যের প্রয়োজন হয়। এবং ওই কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে তা ব্যবহৃত হয় না, তাকে 'বিশেষ মানসিক ক্ষমতা' বলে। স্পিয়ারম্যান তাঁর তত্ত্বে এই ক্ষমতাকে 'S-factor' বলেছেন। 


৬৭। বিশেষ ক্ষমতার যে-কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ বিশেষ ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য দুটি বৈশিষ্ট্য হল – (i) বিশেষ উপাদানের সংখ্যা একাধিক এবং (ii)বিশেষ উপাদান ব্যক্তিকেন্দ্রিক।


 ৬৮। সাধারণ মানসিক ক্ষমতার সঙ্গে বিশেষ মানসিক ক্ষমতার দুটি পার্থক্য দেখাও। 

উঃ (i)সাধারণ মানসিক ক্ষমতা একটি সর্বজনীন ক্ষমতা; কিন্তু বিশেষ মানসিক ক্ষমতা বিশিষ্ট ক্ষমতা, সর্বজনীন নয়।

(ii) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা জন্মগত; আর বিশেষ মানসিক ক্ষমতা অর্জিত।


৬৯। 'সহগতি' বলতে কী বোঝো?

উঃ রাশিবিজ্ঞানের ভাষায়, দুই বা ততোধিক চলের মধ্যে শিখন পারস্পরিক যে সম্বন্ধ, তাকেই 'সহগতি' বলা হয়। যেমন বৃষ্টি ও জলস্তর হ্রাসবৃদ্ধির সম্বন্ধ। 


৭০। ‘শূন্য সহগতি' কাকে বলে? 

উঃ যখন দুটি পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত চলরাশির একটির হ্রাস বা বৃদ্ধি অপরটির উপর কোনো প্রভাব ফেলে না, তখন ওই দুটি চলের মধ্যে যে সম্বন্ধ থাকে, তাকে 'শূন্য সহগতি' বলা হয়। যেমন- কোনো ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্র বিদ্যুৎ চলে যাওয়া।


৭১।  'সহগতির সহগাঙ্ক' বলতে কী বোঝায়?

উঃ যে সাংখ্যমান দ্বারা দুটি পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত চলরাশির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়, তাকে 'সহগতির সহগাঙ্ক' বলে। সহগতির সহগাঙ্ককে স্পিয়ারম্যান তাঁর তত্ত্বে 'r' দ্বারা প্রকাশ করেছেন। 


৭২। টেট্রাড সমীকরণের ক্ষেত্রে r, a, b, p. q-এর মাধ্যমে কোন্ কোন্ বিষয়কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে? 

অথবা, স্পিয়ারম্যানের টেট্রাড সমীকরণে ‘r' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ টেট্রাড সমীকরণের ক্ষেত্রে 'r' হল সহগতির সহগাঙ্ক, 'a' হল বৈপরীত্য, ‘b’ হল পার্থক্যকরণ, 'p' হল সম্পূর্ণকরণ এবং 'q' হল বাতিলকরণ।


৭৩। প্রাথমিক বা দলগত উপাদান তত্ত্বটি কবে, কোন্ গ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত হয়?

উঃ প্রাথমিক বা দলগত উপাদান তত্ত্বটি ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে 'The Nature of Intelligence' গ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত হয়।


৭৪। থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বে ক-টি মৌলিক সামর্থ্যের উল্লেখ পাওয়া যায় ও কী কী? অথবা,  তত্ত্ব অনুযায়ী যে-কোনো দুটি প্রাথমিক মানসিক ক্ষমতার নাম লেখো।" 

উঃ  থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বে সাতটি মৌলিক সামর্থ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। 

সেগুলি হল- (i)আঙ্কিক বা সংখ্যাগত সামর্থ্য বা N. (ii) স্থানগত সম্বন্ধ নির্ণয়ের সামর্থ্য বা S (iii) স্মৃতি বা স্মরণক্রিয়ার সামর্থ্য বা M. (iv) বাচনিক সামর্থ্য বা V. (v) নির্ভুল প্রত্যক্ষণের সামর্থ্য বা P,  (vi) যুক্তি বা বিচারক্ষমতার সামর্থ্য বা R এবং (vii) উপযুক্ত বাক্য বা শব্দ ব্যবহারের সামর্থ্য বা W।


 ৭৫। থার্স্টোনের বহু উপাদান তত্ত্বে 's' বলতে কী বোঝানো হয়?

উঃ থার্স্টোনের বহু উপাদান তত্ত্বে 's' বলতে স্থানগত নির্ণয়ের সামর্থ্যকে বোঝানো হয়।


৭৬। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্ব ও থার্স্টোনের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বের মধ্যে দুটি পার্থক্য ব্যক্ত করো।

উঃ দ্বি-উপাদান তত্ত্ব ও দলগত উপাদান তত্ত্বের পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ :

 (i) দ্বি-উপাদান তত্ত্বে দুটি মানসিকক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দলগত উপাদান তত্ত্বে  সাতটি প্রাথমিক ক্ষমতা বা উপাদানের কথা বলা হয়েছে।

(ii) দ্বি-উপাদান তত্ত্বে  জন্মগত ও  অর্জিত উভয় ধরনের মানসিক ক্ষমতাই কার্যকরী হয়।  কিন্তু দলগত উপাদান তত্ত্বের প্রতিটি মানসিক ক্ষমতা জন্মগত।


৭৭। কত খ্রিস্টাব্দে কোন বইতে মনোবিদ গার্ডেনার তার সাতটি বুদ্ধির কথা প্রচার করেন?

উঃ ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে 'Theory of Intelligence নামক বইতে মনোবিদ গার্ডেনার তাঁর সাতটি বুদ্ধির কথা প্রচার করেন।


৭৮। 'কার্যকরী বুদ্ধি’ বলতে কী বোঝো? 

উঃ দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবমুখী কাজ করার ক্ষমতা বা সামর্থ্যকেই অনেক মনোবিদ 'কার্যকরী বুদ্ধি’ বলেছেন।


৭৯। বুদ্ধির একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ বুদ্ধির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল- বুদ্ধি হল ব্যক্তির একটি সহজাত বা মৌলিক ক্ষমতা, যা অনুশীলন দ্বারা কার্যকরী হয়ে থাকে। 


৮০। বুদ্ধির অভীক্ষা কী?*

উঃ বুদ্ধি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত কৌশলগুলিকে বুদ্ধির অভীক্ষা বলা হয়। 


৮১।  বুদ্ধ্যঙ্ক কী?

উঃ বুদ্ধ্যঙ্ক হল কোনো ব্যক্তির বুদ্ধির মান নির্দেশক একক। কোনো ব্যক্তির বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয়ের জন্য তার মানসিক বয়স ও তার জন্মবয়সের অনুপাত নির্ণয় করা প্রয়োজন।


৮২।  বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয়ের সমীকরণটি লেখো।” 

উঃ বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয়ের সমীকরণটি হল

                মানসিক বয়স

বুদ্ধ্যঙ্ক =    -------------------            x 100

                     জন্মবয়স


[ বুদ্ধ্যঙ্কের মান যাতে ভগ্নাংশে না হয়, সেজন্য এই অনুপাতকে 100 দিয়ে গুণ করতে হয়।]


৮৩। বুদ্ধ্যঙ্ক বা Intelligence Quotient-এর উদ্ভাবক কে?

উঃ বুদ্ধ্যঙ্ক বা Intelligence Quotient বা IQ-এর উদ্ভাবক ছিলেন মনোবিদ উইলিয়ম স্টার্ন।


৮৪। বুদ্ধির বাছাই তত্ত্ব বা Sampling Theory-এর প্রবক্তা হলেন।

উঃ মনোবিদ থম্পসন।














Read More

Wednesday, 8 December 2021

HS Philosophy (WBCHSE) নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তর ও তার ব্যাপ্যতা

Leave a Comment

  নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তরিত কর এবং সেই বচনগুলির কোন্ কোন্ পদ ব্যাপ্য বা অব্যাপ্য তা লিখ।


১। কেবলমাত্র পরিশ্রমী ব্যক্তিরাই সফল হয়।

L.F. : A - সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'সকল ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পর পরিশ্রমী অব্যাপ্য।


২। প্রায় সমস্ত প্রার্থীই শিক্ষিত।

L.F. : I. কোন কোন প্রার্থী হয় শিক্ষিত।

এই বচনটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় যথাক্রমে 'প্রার্থী' ও 'শিক্ষিত' কোন পদই ব্যাপ্য নয়।


৩। কোন কুকুর বিড়াল নয়।

L.F. : E - কোন কুকুর নয় বিড়াল।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'কুকুর' এবং বিধেয় পদ 'বিড়াল' উভয়ই ব্যাপ্য। 


৪। অধিকাংশ ছাত্র অঙ্কে ভাল নয়।

L.F. : O - কোন কোন ছাত্র নয় ছাত্র যারা অঙ্কে ভাল। 

এই বচনটির বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা অঙ্কে ভাল’ ব্যাপ্য কিন্তু উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র' ব্যাপ্য নয়।


৫। সবুজ হাতি নেই।

L.F. : E - কোন হাতি নয় সবুজ প্রাণী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'হাতি' এবং বিধেয় পদ ‘সবুজ প্রাণী'—এই দুটি পদই ব্যাপ্য।


৬। ধার্মিক ব্যক্তিরা একান্তভাবে ভাল লোক।

L.F. : A- সকল ধার্মিক ব্যক্তি হন ভালো লোক।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'ধার্মিক ব্যক্তি' ব্যাপ্য কিন্তু বিধেয় পদ 'ভাল লোক' অব্যাপ্য।


৭। লক্ষ্ণৌ উত্তরপ্রদেশের রাজধানী। 

L.F. : A- লক্ষ্ণৌ হয় উত্তরপ্রদেশের রাজধানী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'লক্ষ্ণৌ' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘উত্তরপ্রদেশের রাজধানী' অব্যাপ্য।


 ৮। কখনও প্রতারণা করো না।

L.F. : E - তোমার প্রতারণা করা নয় আমার অভিপ্রেত। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার প্রতারণা করা' ব্যাপ্য, এবং বিধেয় পদ ‘আমার অভিপ্রেত'ও ব্যাপ্য।


৯। সব লোক সৎ নয়।

L.F. : 0 - কোন কোন লোক নয় সৎ।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'লোক' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সং' ব্যাপ্য।


১০। দীর্ঘদিন বেঁচে থেকো।

L.F. : A - তোমার দীর্ঘদিন বেঁচে  থাকা হয় আমার কামনা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা' ব্যাপ্য আর বিধেয় পদ 'আমার কামনা অব্যাপ্য।


১১। কখনও কখনও মানুষ দিশেহারা। 

L.F. : I - কোন কোন মানুষ হয় দিশেহারা। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' ও বিধেয় পদ 'দিশেহারা' উভয়ই অব্যাপ্য।


১২। কয়েকটি ছাত্রী ছাড়া আর সকল ছাত্রীই কৃতকার্য হয়েছে।

L.F. : I - কোন কোন ছাত্রী হয় এমন যারা কৃতকার্য হয়েছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্রী' অব্যাপ্য এবং বিধেয় পদ 'এমন যারা কৃতকার্য হয়েছে' অব্যাপ্য। 


১৩। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে।

L.F. : A - পৃথিবী হয় একটি গ্রহ যা সূর্যের চারদিকে ঘোরে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'পৃথিবী' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'একটি গ্রহ যা সূর্যের চারিদিকে ঘোরে' অব্যাপ্য


১৪। বিশ্বাস টিকে থাকে।

L.F. : A - বিশ্বাস হয় বিষয় যা টিকে থাকে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বিশ্বাস' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘বিষয়' যা টিকে থাকে' অব্যাপ্য। 


১৫। কলেরা রোগ অনেক সময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।

L.F. : I - কোন কোন কলেরা রোগ হয় এমন যা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ উভয়ই অব্যাপ্য।


১৬। বাঙালীরা আবেগপ্রবণ।

L.F. : I - কোন কোন বাঙালী হয় আবেগপ্রবণ।

 এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বাঙালী' ও বিধেয় পদ 'আবেগপ্রবণ' উভয়ই অব্যাপ্য।


১৭। ছাত্ররা মাঝে মাঝে ঠিক পথে চলে না।

  L.F. : O - কোন কোন ছাত্র নয় ছাত্র যারা ঠিক পথে চলে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা ঠিক পথে চলে' ব্যাপ্য।


১৮। কলহপ্রিয়তা কখনও ভালো গুণ নয়। 

 L.F. : E - কলহপ্রিয়তা নয় ভালো গুণ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'কলহপ্রিয়তা' ও বিধেয় পদ 'ভালো গুণ'-—উভয়ই ব্যাপ্য। 


১৯। যে কোন লোক এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে।

L.F. : A -  সকল লোক হয় ব্যক্তি যারা এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'লোক' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি পারে' অব্যাপ্য।


২০। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। 

L.F. : I - কোন কোন ঘর পোড়া গরু হয় এমন গরু যারা সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়।

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় কোন পদই ব্যাপ্য নয়, অর্থাৎ অব্যাপ্য।


 ২১। দুই-এ দুই-এ চার হয়।

L.F. : A -  সকল দুই ও দুই-এর যোগফল হয় চার।

এখানে উদ্দেশ্য 'দুই ও দুই এর যোগফল ব্যাপ্য, বিধেয় 'চার' অব্যাপ্য।


২২। সব কথা বলার যোগ্য নয়।

L.F. : O -  কোন কোন কথা নয় বলার যোগ্য।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'কথা' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘বলার যোগ্য' ব্যাপ্য। 


২৩। বুদ্ধদেব ধ্যানমগ্নতার প্রতীক। 

L.F. : A -  বুদ্ধদেব হন ধ্যানমগ্নতার প্রতীক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বুদ্ধদেব' ব্যাপ্য এবং বিধেয় পদ ‘ধ্যানমগ্নতার প্রতীক' অব্যাপ্য।


২৪। প্রত্যেক সৈনিক দেশপ্রেমিক। 

L.F. : A -  সকল সৈনিক হন দেশপ্রেমিক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'সৈনিক' ব্যাপ্য, বিধেয় 'দেশপ্রেমিক' অব্যাপ্য।


২৫। খুব কম সংখ্যক মানুষ হিতৈষী।

L.F. : O -  কোন কোন মানুষ নয় হিতৈষী। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'হিতৈষী' ব্যাপ্য। 


২৬। যে কোন লোক এ কাজ করতে পারে।

L.F. : A -  সকল লোক হয় এমন যারা এ কাজ করতে পারে। 

এখানে ‘লোক’ উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য, 'এমন যারা এ কাজ করতে পারে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। 


২৭। শতকরা ৬০ ভাগ ছাত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

L.F. : I - কোন কোন ছাত্র হয় যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র ও বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে' অব্যপ্য।


২৮। তুমি দেশের কল্যাণ কর।

L.F. : A -  তোমার পক্ষে দেশের কল্যাণ করা হয় আমার ইচ্ছা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার পক্ষে দেশের কল্যাণ করা' ব্যাপ্য, আর বিধেয় পদ 'আমার ইচ্ছা' অব্যাপ্য। 


২৯। ব্যবসায়ীরা সচরাচর গৃহকোণে আবদ্ধ নয়।

L.F. : O -  কোন কোন ব্যবসায়ী নয় গৃহকোণে আবদ্ধ। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যবসায়ী' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘গৃহকোণে আবদ্ধ' ব্যাপ্য।


৩০। বেশীর ভাগ পুলিশ অফিসার স্মার্ট। 

 L.F. : I - কোন কোন পুলিশ অফিসার হয় স্মার্ট।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'পুলিশ অফিসার' ও বিধেয় পদ 'স্মার্ট' উভয়ই অব্যাপ্য।


৩১। একটি ধাতু কঠিন নয়।

L.F. : O - কোন কোন ধাতু নয় কঠিন। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ধাতু' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'কঠিন' ব্যাপ্য।


৩২। পাঁচ-ছটি বাদে সব আমই টক।

L.F. : I - কোন কোন আম হয় টক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'আম' ও বিধেয় পদ ‘টক' উভয়ই অব্যাপ্য।


৩৩। মানুষ কখনও পূর্ণ নয়।

 L.F. : E - কোন মানুষ নয় পূর্ণ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘মানুষ’ ও বিধেয় পদ 'পূর্ণ' উভয়ই ব্যাপ্য।


৩৪। ভদ্রতার মূল্য আছে।

 L.F. : A - ভদ্রতা হয় একটি গুণ যার মূল্য আছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ভদ্রতা' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'একটি  গুণ যার মূল্য  আছে' অব্যাপ্য।


৩৫। কেনা বড় হতে চায় ?

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি হয় ব্যক্তি যারা বড় হতে চায়। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি যারা বড় হতে চায়' অব্যাপ্য।


৩৬। ডাক্তাররা কবিও হতে পারেন।

L.F. : I - কোন কোন ডাক্তার হন কবি। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ যথাক্রমে 'ডাক্তার' ও 'কবি' উভয়ই অব্যাপ্য। 


৩৭। শুধুমাত্র ধনীরাই এরকম আচরণ করে।

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা এরকম আচরণ করে হয় ধনী। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা এরকম আচরণ করে' ব্যাপ্য, 'ধনী' অব্যাপ্য।


৩৮। কেবল ভীরুরাই ভয় পায়।

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা ভয় পায় হয় ভীরু। 

এখানে 'ব্যক্তি যারা ভয় পায়' উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য, 'ভীরু' বিধেয় পদ অব্যাপ্য।


৩৯। তিনি কখনও মিথ্যা কথা বলেন না।

L.F. : E - তিনি নন এমন ব্যক্তি যিনি মিথ্যা কথা বলেন।

 এখানে উদ্দেশ্য ও বিষেয় পদ উভয়ই ব্যাপা।


৪০। অধ্যাত্মবাদী হলেই ঈশ্বরবাদী হবেন। 

L.F. : A -  সকল অধ্যাত্মবাদী হন ঈশ্বরবাদী।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'অধ্যাত্মবাদী' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ঈশ্বরবাদী' অব্যাপ্য।


৪১। শিক্ষিত হলেই বিনয়ী হবে এমন কোন কথা নেই। 

L.F. : O - কোন কোন শিক্ষিত ব্যক্তি নয় বিনয়ী।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘শিক্ষিত ব্যক্তি' ব্যাপ্য নয় (অব্যাপ্য), বিধেয় পদ ‘বিনয়ী' ব্যাপ্য।


৪২। নারী পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

L.F. : E - কোন নারী নয় নারী যে পুরুষের চেয়ে কম।

 এখানে উদ্দেশ্য পদ 'নারী' ও বিধেয় পদ 'নারী যে পুরুষের চেয়ে কম' উভয়ই ব্যাপ্য। 


৪৩। পুরুষরা সাহসী।

L.F. : I - কোন কোন পুরুষ হয় সাহসী। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় (পুরুষ ও সাহসী) উভয় পদই অব্যাপ্য।


৪৪। সব বিখ্যাত ব্যক্তি নম্র নন।

L.F. : O - কোন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি নন নম্র। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘বিখ্যাত ব্যক্তি' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'নম্র' ব্যাপ্য।


৪৫। ভূত নেই।

L.F. : E -  কোন ভূত নয় অস্তিত্বশীল।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ভূত’, বিধেয় পদ 'অস্তিত্বশীল' উভয়ই ব্যাপ্য।


৪৬। ড্রাইভাররা কর্কশ।

L.F. : I - কোন কোন ড্রাইভার হয় কর্কশ। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় কোন পদই ব্যাপ্য নয়, অর্থাৎ অব্যাপ্য।


৪৭। কেবল গোলাপ সুন্দর।

L.F. : A - সকল সুন্দর বস্তু হয় গোলাপ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'সুন্দর' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'গোলাপ' অব্যাপ্য।


৪৮। অনেক ছাত্র ইংরাজীতে কাঁচা। 

L.F. : I - কোন কোন ছাত্র হয় যারা ইংরাজীতে কাঁচা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ছাত্র' ও বিধেয় পদ যারা ইংরাজীতে কাঁচা' উভয়ই অব্যাপ্য। 


৪৯। ঔরঙ্গজেব শাজাহানকে বন্দী করেছিল।

 L.F. : A - ঔরঙ্গজেব হয় সম্রাট যে শাজাহানকে বন্দী করেছিল।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ঔরঙ্গজেব' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সম্রাট যে শাহজাহানকে বন্দি করেছিল' অব্যাপ্য।


 ৫০। শিক্ষকের মাইনে বাড়ক অনেকে চায় না। 

 L.F. : O - কোন কোন ব্যক্তি নয় ব্যক্তি যারা চায় শিক্ষকের মাইনে বাড়ক। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ব্যাপ্য।


৫১। সবাই চলে গেছে। 

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি হয় ব্যক্তি যারা চলে গেছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি যারা চলে গেছে' অব্যাপ্য।


৫২। আমোদপ্রিয় লোকেরা প্রায়ই চঞ্চল। 

L.F. : I - কোন কোন আমোদপ্রিয় লোক হয় চঞ্চল।

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ উভয়ই অব্যাপ্য।


৫৩। সব স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনায়ক দেশের শত্রু। 

L.F. : A -  সকল স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনায়ক হয় দেশের শত্রু।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'স্বৈরাচারী রাষ্ট্র নায়ক' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ দেশের শত্রু' অব্যাপ্য। 


৫৪। পশু মাত্রই ক্ষিপ্র নয়। 

L.F. : O - কোন কোন পশু নয় ক্ষিপ্র জীব।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘পশু' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ক্ষিপ্র জীব' ব্যাপ্য।


৫৫। শুধু অজ্ঞ লোকরাই সংস্কারাচ্ছন্ন। 

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা সংস্কারাচ্ছন্ন হয় অজ্ঞ লোক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা সংস্কারাচ্ছন্ন' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'অজ্ঞ লোক' অব্যাপ্য। 


৫৬। যারা মিষ্ট কথা বলে, তারা সবাই মিষ্ট স্বভাবের নয়।

L.F. : O - কোন কোন ব্যক্তি যারা মিষ্ট কথা বলে নয় ব্যক্তি যারা মিষ্ট স্বভাবের। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা মিথ্যা কথা বলে'স্বভ অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘ব্যক্তি যারা মিষ্টি স্বভাবের' ব্যাপ্য।


৫৭। যে কোন দর্শনের ছাত্র ভাবুক। 

L.F. : A - সকল দর্শনের ছাত্র হয় ভাবুক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'দর্শনের ছাত্র' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ভাবুক' অব্যাপ্য।


৫৮। মানুষ কৃপণ।

L.F. : I -- কোন কোন মানুষ হয় কৃপণ। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ যথাক্রমে 'মানুষ', 'কৃপণ' অব্যাপ্য।


৫৯। ক্লাসে এস।

L.F. : A -  তোমার ক্লাসে আসা হয় আমার আদেশ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার ক্লাসে আসা' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'আমার আদেশ' অব্যাপ্য


৬০। এখন সকাল।

L.F. : A - সময়টি হয় সকাল। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘সময়টি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সকাল' অব্যাপ্য।


৬১। নিজে বড় হতে কেনা চায়? 

 L.F. : A - সকল মানুষ হয় এমন যারা বড় হতে চায়। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'এমন যারা বড় হতে চায়' অব্যাপ্য।


 ৬২। কেউই সঠিক উত্তর দাতা নয়।

L.F. : E - কোন ব্যক্তি নয় সঠিক উত্তর দাতা। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ও বিধেয় পদ ‘সঠিক উত্তরদাতা' উভয়ই ব্যাপ্য।

Read More

পাশ্চাত্য তর্কবিদ্যার প্রশ্নোত্তর (স্নাতক শ্রেণির জন্য)

Leave a Comment

 প্রশ্ন: সাদৃশ্যমূলক যুক্তির মূল্যায়নের মানদণ্ডগুলি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।(Explain with examples the criteria used for evaluating analogical arguments. ).


উত্তর : সাদৃশ্যমূলক যুক্তির ভিত্তি হল সাদৃশ্য। কাজেই তার সিদ্ধান্ত শধুই সম্ভাবনামমূলক। সম্ভাব্যতা হল কম-বেশীর ব্যাপার। কাজেই সাদৃশ্যমূলক অননুমানের মূল্য বিচারের সময় দেখতে হবে যে, অনুমানটি যে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করছে তার, সম্ভাব্যতার পরিমাণ কম বা বেশী। যেসব মানদণ্ড প্রয়োগ করে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সম্ভাব্যতার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে সেগুলি হল --


(১) সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সম্ভাব্যতা বিচারের প্রথম মানদন্ড হল যতগুলি বস্তুর মধ্যে সাদৃশ্যের কথা বলা হচ্ছে তাদের সংখ্যা নিরূপণ করা। ধরা যাক, আমি যে লন্ড্রীতে কাপড় কাচতে দিয়েছিলাম সেই লন্ড্রী কাপড় ভাল কাচেনি বলে আমাকে বলতে পারে যে, একবার কাপড় খারাপ কেঁচেছে বলে ওই লন্ড্রীকে বাতিল করে না দিয়ে আর একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। এর জবাবে আমি যদি দেখাতে পারি যে, শ্যাম, যদু, মধু রহিম, দীপক, হীরক এবং মানিকও ওই লন্ড্রীতে কাপড় কাচিয়েছিল এবং তাদের কাপড়ও খারাপ কেঁচেছে, তাহলে প্রথমে ওই লন্ড্রী সম্পর্কে আমি যে সিদ্ধান্ত করেছিলাম তার সম্ভাব্যতা অনেক বেশী পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং একটিমাত্র দৃষ্টান্তের ভিত্তিতে সাদশামূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা অপেক্ষা বেশীসংখ্যক দৃষ্টান্তের ভিত্তিতে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা বেশী।


(২) সাদশ্যমূলক যুক্তির মংল্যায়নের দ্বিতীয় মানদণ্ড হল—দুটি বস্তুর মধ্যে যতগুলি বিষয়ে সাদৃশ্য আছে তাদের সংখ্যার উপর সাদৃশ্যমলক যুক্তির সম্ভাব্যতার পরিমাণ নির্ভর করে। আমি যে দোকান থেকে এর আগে জুতো তৈরি করিয়েছিলাম এবং যা বেশ টেকসই হয়েছিল, এবারও সেই দোকান থেকেই জুতো তৈরি করিয়েছি, সুতরাং এবারের জুতো জোড়াও টেকসই হবে। এটি সাদৃশ্যমূলক যুক্তির উদাহরণ । কিন্তু এই সিদ্ধান্তটিরই সত্য হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী হবে যদি আশ্রয়বাক্যগুলি ঘোষণা করে যে, জুতো জোড়া শুধু যে একই দোকান থেকে তৈরি হয়েছে তা-ই নয়, যে লোকটি আগের জুতো জোড়া তৈরি করেছিল, সেই লোকই বর্তমান জুতো জোড়া তৈরি করেছে, আগের জুতো জোড়ার মতই এই জোড়াও বেশ দামী, দুয়েরই চামড়া একই মানের, সেলাইয়ের ব্যাপারেও একই ধরনের দক্ষতা দেখা গিয়েছে এবং আগের জুতো জোড়া আমি যেভাবে যত সময় পরেছি, এই জোড়াও সেইভাবে এবং সেই পরিমাণ সময় ব্যবহার করবো।


(৩) সাদৃশ্যমলেক মূল্যায়নের  তৃতীয় নীতি হল— যেসব আশ্রয়বাক্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেইসব আশ্রয়বাক্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তের শক্তি বিচার করা। ধরা যাক, শ্যাম একটি "নতুন" কেরোসিন স্টোভ কিনেছে এবং এক লিটার কেরোসিন তেলে সেই স্টোভ সাত ঘণ্টা জ্বলে। রাম ওই একই “নতুন” স্টোভ কিনে কিছুটা সম্ভাব্যতার সাথে অননুমান করতে পারে যে, তার স্টোভটি যেহেতু শ্যামের স্টোভের মতই, অতএব তার স্টোভও এক লিটার তেলে সাত ঘণ্টা জলবে। কিন্তু একই আশ্রয়বাক্যের ভিত্তিতে রাম ভিন্ন রকম সিদ্ধান্তেও আসতে পারে। যেমন—রাম যদি সিদ্ধান্ত করে যে তার স্টোভ এক লিটার তেলে পাঁচ ঘণ্টার বেশী জলবে তবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা হবে খুব বেশী। যদি সে সিদ্ধান্ত করে স্টোভটি এক লিটার তেলে ছয় ঘণ্টা জ্বলবে তবে সিদ্ধান্ত ততটা জোরালো হবে না। যদি রাম সিদ্ধান্ত করে যে তার স্টোভটিও শ্যামের স্টোভের মত এক লিটার তেলে ঠিক সাত ঘণ্টাই জলবে তাহলে তার সিদ্ধান্ত খুবই দুর্বল হবে।


(8) আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তগগুলির সাথে যে দৃষ্টান্তের সঙ্গে সিদ্ধান্তের সম্পর্ক আছে তার বৈসাদৃশ্যের সংখ্যা নিরূপণ করে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির মূল্যায়ণ করা যায়। ধরা যাক, শ্যাম যে “নতুন” স্টোভ কিনেছে তা এক লিটার কেরোসিন তেলে সাত ঘণ্টা জলে। রাম-ও "নতুন" স্টোভ কিনে সিদ্ধান্ত করলো যে, তার স্টোডও এক লিটার কেরোসিন তেলে সাত ঘণ্টা জ্বলবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা খুবই কমে যাবে যদি দেখা যায় যে শ্যাম যেখানে তার স্টোভের ফিতে সামান্য তুলে স্টোড জালাতো সেখানে রাম ফিতেগুলো খুব বেশী করে তুলে স্টোড জালাচ্ছে। এখানে আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তের এবং সিদ্ধান্তের মধ্যে বৈসাদৃশ্য সাদৃশ্যমূলক যুক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে এবং সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনাকেও কমিয়ে দিচ্ছে।


(৫) আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তগুলি পরস্পরের যত অসদৃশ হবে, সাদশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্ত তত জোরালো হবে। আশ্রয়বাক্যে যেসব দৃষ্টান্তের উল্লেখ থাকে তাদের সাথে সিদ্ধান্তের দৃষ্টান্তের বৈসাদৃশ্য কমাবার একটা উপায় হল, আশ্রয়বাক্যে এমন সব দৃষ্টান্ত পরস্পরের অসদৃশ্য, মানে যাদের মধ্যে মিল নেই। আশ্রয়বাক্যের দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে সাদৃশ্য যত কম হবে সিদ্ধান্তের দৃষ্টান্তের সঙ্গে তাদের সকলের অসদৃশ হবার সম্ভাবনা তত কমে যাবে।


রাম প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে বি-এ পাস করেছে, কাজেই সে এম-এ পরীক্ষাতেও কৃতিত্ব দেখাতে পারবে—এই সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা খুব বেশী। কেননা আরও পনের জন ছাত্র ওই একই কলেজ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে পাস করে এম-এ পরীক্ষাতে কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এই যুক্তি আরও জোরালো হবে যদি আমরা দেখাতে পারি যে, আশ্রয়বাক্যে যে পনের জন ছাত্রের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পারস্পরিক সাদৃশ্য খুবই কম। অর্থাৎ যদি আশ্রয়বাক্যে উল্লেখ করা থাকে যে, যে পনেরটি ছাত্র এম-এ পরীক্ষায় কৃতিত্ব দেখিয়েছে তাদের মধ্যে পরিবারগত, বিত্তগত, সম্প্রদায়গত, দেশগত ইত্যাদি নানা পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য আছে।


এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এই পঞ্চম নীতিটি প্রথম নিয়মের গুরুত্ব নির্দেশ করে। আমরা যত বেশী সংখ্যক দৃষ্টান্ত নেব, ততই দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে বৈসাদৃশ্যের সংখ্যা বেশী হবার ব্যাপারটি স্পষ্ট হবে।


(৬) আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্ত বা দৃষ্টান্তগুলি সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পক্ষে যত প্রাসঙ্গিক হবে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা তত বেশী হবে। একটি উদাহরণ নেওয়া যাক—রাম যে দোকান থেকে জুতো কিনেছিল এবং যা টেকসই হয়েছিল, শ্যামও সেই একই দোকান থেকে জুতো কিনে আশা করছে যে তার কেনা জুতোও টেকসই হবে। এই যুক্তি দুর্বল। কিন্তু শ্যাম যদি বলতে পারে যে রাম যে দোকান থেকে জুতো কিনেছে সেও সেই দোকান থেকে কিনেছে, রামের জুতো ও তার জুতো একই চামড়া দিয়ে তৈরি, একই নির্মাতার তৈরি এবং নির্মাণের ব্যাপারে দক্ষতার প্রকাশ উভয় ক্ষেত্রে একই রকম, তাহলে শ্যামের কেনা জুতোও টেকসই হবে— এই সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। এখানে যুক্তিটি বেশ জোরালো, কেননা আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত বিষয়গুলি সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রাসঙ্গিক। কিন্তু শ্যাম যদি সিদ্ধান্ত করে যে, রামের জুতোর মত তার জুতোও টেকসই হবে, কারণ রামের জুতোর মতই তার জুতোর রং, রামের জুতোর মতই তার জুতোও বেশ চকচকে, একই রকম কাগজের বাক্সে জুতোকে রাখা হয়েছে এবং একই লোক উভয় জোড়া জুতো বিক্রি করেছে, তাহলে তার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে খুবই দুর্বল হবে, কেননা সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পক্ষে উল্লিখিত বিষয়গুলি অপ্রাসঙ্গিক।


প্রশ্ন হতে পারে—সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোন কোন, সাদৃশ্য প্রাসঙ্গিক অথবা অপ্রাসঙ্গিক? কি দিয়ে প্রাসঙ্গিকতা বিচার করা হবে? এর উত্তরে বলা যায় যে, প্রাসঙ্গিকতার ব্যাপারটি কার্যকারণ সম্পর্কের দিক থেকেই ব্যাখ্যা করতে হবে। সাদৃশ্যমূলক যুক্তির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক সাদৃশ্য হল সেগুলি যেগুলি কার্যকারণ সম্পর্কে যুক্ত গুণ বা ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে।


সুতরাং দেখা যাচ্ছে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির মূল্যায়ন করতে গেলে কার্যকারণ সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতার সাহায্যে অর্থাৎ পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের সাহায্যে এই কার্যকারণ সম্পর্ক' আবিষ্কৃত হয়। 

  সাদৃশ্যমূলক যুক্তির ক্ষেত্রে আশ্রয়ে বাক্যে যে গুণের কথা বলা হয়েছে তার সাথে সিদ্ধান্তে উল্লিখিত গুন বা বিষয়ের কার্যকারণ সম্পর্ক থাকলে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সত্য হবার সম্ভাবনা খুব বেশি হবে এবং যুক্তিটিকে. সবল বলা হবে।

Read More

Friday, 19 November 2021

PROJECT: DRAMATIZATION OF KING ARTHUR'S TALE

Leave a Comment

 DRAMATIZATION OF KING ARTHUR'S TALE


Source: BLOSSOMS'-An English Text Book for Class -VIII by W.B.B.S.E.


                   CHARACTERS

Uther-Perdragon, King of Britain Igraine, Queen of the king. Counsellors-Merlin, Sir Ulfius, King Arthur. Son of Pendragon and Igraine, Barons, Peasants and courtiers. Place: A countryside of England hundreds of years ago. 

                             CURTAIN RISES

Entrance: A street, a few peasants in rustic attere


SCENE-1


Peasant 1: How fortunate we are! We are really fortunate to live in the reign of King Uther-Pendragon.


Peasant 2: Absolutely, King Uther is our God, not lord. 

Peasant 3: I can hardly remember the days we faced invasion from neighbouring kingdom.


Peasant 1: Had the king not been on the throne, we could hardly live in peace and prosperity. 

Peasant 3: Now we have no trouble to till the field and to graze the herds.


Peasant 1: Last year, I cultivated wheat in plenty and I am not worried at all even for this year.


Exit: all as


SCENE 2


(Kings Palace, the king, all the courtiers, noblemen look worried. They all held their chins on their palms but the king is restless.)


King:  Have you gathered any news, Batram?

Batram

(Courtier): No, your majesty. The attendants have not fetched any news yet.


King : Oh! Lord save me. How long do I have to suffer this? (A lady attendant comes running and bursts into screaming.)


King : What happened?


The lady :  [Still bewailing in loud noise your majesty....... How can I utter with my own lips?


 King : Speak out fast. What happened? Please tell me what has happened with the queen?


The Lady: (stammering) Our.... mother the queen... is no more. (Still mourning) But she has given a birth to a son. Your majesty, be calm.


King : Oh! My God, What have I heard!

(Sudden scream and the king falls on the floor of the palace.) 


Courtier 1 : Bring water, Help Help! Help the king!

Courtier 2: Where are you all? Save our king. Oh! God save our king. 

       (Everyone got involved in a scurry of commotion.) 

The Lady : Oh! God, Damn on us! What more do we have to witness? 


Courtier 1: Our king is no more!


Coutier 2 : We have now become orphans. God, Have mercy on us!


 Courtier 3 : Whem do we depend on to? We are now parentless children... God save us!

(Two Collors-Merlin and Sir Ulfius appear)


Merlin: We must do something in such a crisis. 


Ulfius: You are absolutely right, hon'ble prophet. We have to shift the newborn to somewhere else otherwise the baby's life would be at stake.


Merlin: The greedy barons would kill the baby for seizing the throne.


 Ulfius: Then we can hand the baby over to the custody of our loyal subject, Sir Ector...


 Merlin: I am also thinking so. So, we must not waste a moment now. We must set out right now


(They exit)


SCENE 3

(Sir Ector's House A cold windy night. Enter Merlin and Ulfius) with the baby in a red sheet of wrapper)


Merlin: Sir Ector We, the counsellors of the king Uther-Pendragon, are here to talk to you.

(Sir Ector comes out)


Sir Ector: Yes... yes... your honour. What can I do for you?


 Ulfius: Right... you have to do nothing. You have surely heard of the sad demise of our beloved king and queen.


 Sir Ector: I can hardly hold my tears and I could not believe my ears at first. It's really unbelieveable. It came to me just as a bolt from the blue.


Merlin: Now, we order you and your wife to bring up this child as though he were your own son. 

(Merlin hands the baby over to Sir Ector)


Ulfius: The boy is to be called Arthur.


Sir Ector: As your majesty pleases. I will surely carry out your order


(They exit)


 SCENE-4

(Sir Ector's House, Arthur is spending days in joy, safety and security ar Sir Ector)


Sir Ector: Arthur, you have spent eighteen springs and now you have been a gallant young man


Arthur: (laughs) Sir. you please stop jesting with me.

 Ector: No Arthur, Britain is being torn by rivalry over the possession of the throne. You need to come forward to rescue Britain from the state of lawlessness.


Arthur: I will put my best efforts to bring back peace and prosperity in Britain as it used to be in my father's regime.


Sir Ector: There on the churchyard, a magnificent sword has been found to be fixed on as stone and upon the stone it is written in gold letter. Who ever pulls out this sword is by right of birth, will become the king of England.


Arthur: Right... Sir... I am ready for the trial. I have heard that the barons are now fighting among themselves to capture the throne.


Sir Ector: Yes... They are like vultures. you do your own job. Best wishes to you my dear.


Arthur: Thank you.


(They exit)


SCENE-5

(ChurchyardA huge crowd with barons, commoners gathered there to witness the trial.)


 Baron 1: Now it is my turn. I will lift the sword and rule England. Ha...Ha...Ha...

(Baron I failed)


Baron 2: I am the future king of England because I can lift the sword easily. Do you have any doubt about it?

 (Crowd gave up loud yell but the Baron 2 also failed)


Baron 3: None of you could succeed. I am sure to succeed. (About to lift the sword but he fell upon his waist)


Arthur: Since all the respected Barons failed to pull the sword, I should give it a try. 

      (As Arthur lifted the sword, an ovation from the crowd, filled the air and they hailed the new king warmly.)


SCENE-6

(Arthur's Palace, a few years later)


Merlin: Why are you looking worried, king? Are you worried over the lost sword? Please be thoughtful. It was destined to get lost.


Arthur: No... Wise Merlin. I am thinking about another reason...I want to abolish the acts of thefts and robberies which are taking place these days.


Merlin: Your excellency... You have got the Excaliber. Only a fearless and honest knight like you can possess that sword. I believe with that sword you will remove every evil from our land.


Arthur: (in awe) I shall never use this sword for any personal objective. I will pay true dignity to this enchanted sword.


SCENE-7

(A richly guilded Pavilion with a huge, round, oak table, richly carved at the centre)

Enter King Arthur, his queen, Knights, Warriors

King Arthur: Then we all are going to take an oath that we would always extend our helping hands to the needy and punish the culprits. This is the message from this solemn ceremony.


Warriors: (In chorus) Yes, your majesty. We are ready to undertake perilous adventures for the sake of the common men of our country. We would not be afraid of death. 


King Arthur: (Clapping) Bravo! Bravo! I expected that. I am really proud of you.


Warrior 1 : My Lord.... Please give us command. 


Warrior 2: We are on our toe to protect Britain from right now.


King Arthur: The feast is ready. Let's relish the feast tonight and after that we all take an oath to fight against the enemies of the people.


Warriors: (In chorus) Certainly your majesty.

(Music is heard, light slowly fades out. A chorus of 'Long live King Arthur' overlaps the music.)

                  CURTAIN





Read More

Wednesday, 13 October 2021

একাদশ শ্রেণির দর্শন Class xi (wbchse) SAQ OF CONCEPT OF PHILOSOPHY

Leave a Comment

 একাদশ শ্রেণির দর্শন (Philosophy)

                      প্রথম অধ্যায়

দর্শনের ধারণা(Concept of Philosophy)

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর( SAQ)

প্রতিটি প্রশ্নের মান 1


প্রশ্ন:  'Philosophy' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কী?

উত্তর: Philosophy শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হল দর্শন।


প্রশ্ন: Philosophy শব্দটি কোন্ কোন্ শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে?

উত্তর: Philosophy শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ Philos এবং Sophia থেকে উৎপন্ন হয়েছে।


প্রশ্ন: 'Philosophy' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলো।

উত্তর: Philosophy' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ।


প্রশ্ন: ‘Philos' শব্দের আক্ষরিক অর্থ কী?

উত্তর: ‘Philos' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল অনুরাগ। 


প্রশ্ন: 'Sophia' শব্দের আক্ষরিক অর্থ বলো।

উত্তর: 'Sophia' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল জ্ঞান।


প্রশ্ন: 'দর্শন' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী? 

উত্তর: ‘দর্শন' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ‘চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ'।


প্রশ্ন: 'দর্শন' শব্দটি কীভাবে উৎপন্ন হয়?

উত্তর: ‘দৃশ' ধাতুর অনট প্রত্যয়যোগে দর্শন শব্দ উৎপন্ন হয়।


প্রশ্ন:  দর্শনের পদ্ধতি কী?

উত্তর: দর্শনের পদ্ধতি হল ধারণা-বিশ্লেষণ বা বিচারমূলক।


প্রশ্ন: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

উত্তর: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি হল অখন্ড বা সামগ্রিক


প্রশ্ন: দর্শনের বিষয়বস্তু কী? 

উত্তর: দর্শনের বিষয়বস্তু হল সমগ্র জগৎ, জীবন ও অভিজ্ঞতা।


প্রশ্ন: দর্শনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 

উত্তর: দর্শনের দুটি বৈশিষ্ট্য হল-দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি সমন্বয়মূলক এবং দর্শনের পদ্ধতি হল বিচারমূলক শাস্ত্র।


প্রশ্ন: দর্শনের পদ্ধতি কী?

উত্তর: দর্শনের পদ্ধতি বিচারমূলক।


প্রশ্ন: দর্শনের আলোচনার পরিধি ব্যাপক কেন?

উত্তর: দর্শনের আলোচনার পরিধি ব্যাপক, কেন-না দর্শন সমগ্র জগৎ ও জীবন সম্পর্কে জ্ঞান দেয়। 



প্রশ্ন: একজন ক্রিয়াবাদী দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: এয়ার, কারনাপ প্রমুখ হলেন ক্রিয়াবাদী দার্শনিক।


প্রশ্ন:  ক্রিয়াবাদী দার্শনিকগণের মতে দর্শনের কাজ কী?

উত্তর: ক্রিয়াবাদী দার্শনিকগণের মতে দর্শনের কাজ ভাষাবিশ্লেষণ।


প্রশ্ন: একজন জ্ঞানবাদী দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: প্লেটো, ব্রাডলি, কোঁতে প্রমুখ হলেন জ্ঞানবাদী দার্শনিক। 


প্রশ্ন: দার্শনিক কোঁত-এর মতে দর্শন কী?

উত্তর: দার্শনিক কোঁত-এর মতে দর্শন সকল বিজ্ঞানের সেরা বিজ্ঞান।


প্রশ্ন: কান্টের মতে দর্শন কী?

উত্তর: কান্টের মতে দর্শন হল 'জ্ঞান সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা।


প্রশ্ন: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শন কী?

উত্তর: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শন হল ভাষার সমালোচনা। 


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে দর্শন কী?

উত্তর: প্লেটোর মতে দর্শন হল 'বস্তুর স্বরূপের জ্ঞান।


প্রশ্ন: প্লেটো যে দুটি জগতের কথা বলেছেন সেগুলি কী কী?

উত্তর: প্লেটোর মতে দুটি জগৎ হল- (i) সামান্যের জগৎ বা

ধারণার জগৎ, (ii) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুর জগৎ।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে দর্শন কী?

উত্তর: প্লেটোর মতে, বিশ্বে যা কিছু আছে অর্থাৎ, যা কিছু সৎ তাদের অন্তর্নিহিত সামান্য সত্তার জ্ঞান হল দর্শন।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, দার্শনিক কীসের জ্ঞান অন্বেষণ করেন?

উত্তর: প্লেটোর মতে, দার্শনিক পরম তত্ত্বের জ্ঞান অন্বেষণ করেন।



প্রশ্ন: "বিস্ময় থেকে দর্শনের শুরু"- এ কথা কে বলেছেন?

উত্তর: প্লেটোর মতে, “বিস্ময় থেকে দর্শনের শুরু"। 


প্রশ্ন:  "The Republic" গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তর: The Republic' গ্রন্থের লেখক হলেন প্লেটো।


প্রশ্ন:  প্লেটোর একজন শিষ্যের নাম বলো।

উত্তর: প্লেটোর একজন শিষ্য হলেন অ্যারিস্টট্ল।


 প্রশ্ন:  অ্যারিস্টটলের মতে দর্শন কী?

উত্তর: অ্যারিস্টটলের মতে, দর্শন হল সত্তার বিজ্ঞান, পরম সত্তার স্বরূপত বিজ্ঞান।


প্রশ্ন:  কোন্ দার্শনিক দর্শনকে 'First Philosophy' বলেছেন?

উত্তর: অ্যারিস্টট্ল দর্শনকে ‘First Philosophy বলেছেন। 


প্রশ্ন:  পাশ্চাত্য দর্শনে সর্বপ্রথম কে তত্ত্ব ও অবভাসের পার্থক্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন?

উত্তর: পাশ্চাত্য দর্শনে প্লেটো সর্বপ্রথম তত্ত্ব ও অবভাসের পার্থক্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন। 


প্রশ্ন:  দর্শন ও অধিবিদ্যাকে কোন্ কোন্ দার্শনিক অভিন্ন বলেছেন?

উত্তর: প্লেটো, অ্যারিস্টট্ল, হেগেল, ব্রাডলি প্রমুখ দর্শন ও অধিবিদ্যাকে অভিন্ন বলেছেন।


প্রশ্ন: আলেকজান্ডারের মতে দর্শন ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক কীরূপ? 

উত্তর: আলেকজান্ডারের মতে, বিজ্ঞান যত অধিকতর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হয়, ততই তা দর্শনের নিকটবর্তী হয়। 


প্রশ্ন:  "দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ"-এ কথা কে বলেছেন?

উত্তর:দার্শনিক মারভিনের মতে, "দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ"। 


প্রশ্ন: সপ্তদশ শতাব্দীর তিনজন বিখ্যাত বুদ্ধিবাদী দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: সপ্তদশ শতাব্দীর তিনজন বিখ্যাত বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হলেন দেকার্ড, লাইবনিজ ও স্পিনোজা। 


প্রশ্ন: কোন্‌ দার্শনিককে আধুনিক দর্শনের জনক' বলা হয়?

উত্তর: রেনে দেকার্তকে 'আধুনিক দর্শনের জনক' বলা হয়। 


প্রশ্ন: পাশ্চাত্য দর্শনের প্রথম ও আদি দার্শনিক কে? 

উত্তর: পাশ্চাত্য দর্শনের প্রথম ও আদি দার্শনিক হলেন থেলস।


প্রশ্ন: থেলসের মতে জগতের মূল উপাদান কী? 

উত্তর: থেলসের মতে, জগতের মূল উপাদান হল জল।


প্রশ্ন:  কয়েকজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টট্ল প্রমুখ হলেন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক। 


প্রশ্ন: দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান বলেছেন কে?

উত্তর: রাসেল, স্পেনসার প্রমুখ দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান বলেছেন।


প্রশ্ন: বিজ্ঞান কী?

উত্তর: কোনো বিষয়ের সঠিক সুসংগত, ঐক্যবদ্ধ, সুবিন্যস্ত, সুশৃঙ্খল বা সুনিশ্চিত জ্ঞানই হল বিজ্ঞান।


প্রশ্ন: বিজ্ঞানের পদ্ধতি কী?

উত্তর: বিজ্ঞানের পদ্ধতি হল পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ।


প্রশ্ন: দর্শন ও বিজ্ঞানের পার্থক্য কী?

উত্তর: দর্শন হল সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ জ্ঞান। বিজ্ঞান হল অংশত ঐক্যবন্ধ জ্ঞান।

Or, বিজ্ঞান বস্তুর বাহারূপ বা অবভাস নিয়ে আলোচনা করে, কিন্তু দর্শন বস্তুর স্বরুপ নিয়ে আলোচনা করে।


প্রশ্ন: দর্শন পাঠের উপযোগিতা কী?

উত্তর: সমগ্র জগৎ ও জীবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা হল দশ পাঠের উপযোগিতা।


প্রশ্ন: অবভাস কী?

উত্তর: বস্তুর অনিত্য, নিয়ত পরিবর্তনশীল অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ বাহারূপ হল অবভাস।


প্রশ্ন: কান্টের মতে দর্শনের পদ্ধতি কী?

উত্তর: কাস্টের মতে দর্শনের পদ্ধতি হল বিচারমূলক।


প্রশ্ন: কোন্ দার্শনিককে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়?

 উত্তর: রেনে দেকার্তকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়।


প্রশ্ন: দেকার্তের মতে দর্শনের উৎপত্তি কী থেকে?

উত্তর: দেকার্তের মতে দর্শনের উৎপত্তি সংশয় থেকে।


প্রশ্ন: দর্শনে সার্বিক সংশয়ের কথা কে বলেছেন?

উত্তর: রেনে দেকার্ত দর্শনে সার্বিক সংশয়ের কথা বলেছেন।


প্রশ্ন: কোত-এর মতে দর্শন কী?

উত্তর: কোত-এর মতে দর্শন হল 'সব বিজ্ঞানের সেরা বিজ্ঞান'।


প্রশ্ন: সক্রেটিসের শিষ্যের নাম কী?

উত্তর: প্লেটো হলেন সক্রেটিসের শিষ্য।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, পরমতত্ত্বের জগৎ কোনটি?

উত্তর: প্লেটোর মতে ধারণার জগৎ হল পরমতত্ত্বের জগৎ।

 প্রশ্ন: জেমসের মতে, দর্শনের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে?

উত্তর: উইলিয়াম জেমসের মতে, “উপযোগিতা থেকে দর্শনের উৎপত্তি হয়েছে”।


প্রশ্ন: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শনের কাজ কী?

উত্তর: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শনের কাজ হল ভাষার বিশ্লেষণ ও সমালোচনা।


প্রশ্ন: একজন জার্মান দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: ইমানুয়েল কান্ট একজন জার্মান দার্শনিক।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, কোন্ জগতের প্রকৃত সত্তা নেই?

উত্তর: প্লেটোর মতে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের প্রকৃত সত্তা নেই।


প্রশ্ন: বস্তুসত্তা সম্পর্কে কান্টের অভিমত কী? 

উত্তর: কান্টের মতে, বস্তুমত্তা হল অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয়।


প্রশ্ন: রাসেলের মতে, দর্শনের কাজ কী? 

উত্তর: রাসেলের মতে দর্শনের কাজ হল বিভিন্ন সমস্যা


 প্রশ্ন: ডেমোক্রিটাসের মতে জগতের মূল উপাদান কী? 

উত্তর: ডেমোক্রিটাসের মতে জগতের মূল উপাদান পরমাণু।


প্রশ্ন: অ্যারিস্টলের মতে, সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান কী?

উত্তর: অ্যারিস্টটলের মতে, সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান হল প্রজ্ঞা।


প্রশ্ন: দেকার্ডের মতে প্রথম নিশ্চিত সত্য কী?

উত্তর: দেকার্তের মতে, প্রথম নিশ্চিত সত্য হল “আমি চিন্তা করি, অতএব আমি আছি।”


প্রশ্ন: বিজ্ঞান ক-প্রকার ও কী কী?

উত্তর: বিজ্ঞান দুই প্রকার, যা হল বস্তুনিষ্ঠ ও আদর্শনিষ্ঠ।


প্রশ্ন: সাধারণ জ্ঞান কীসের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে?

উত্তর: সাধারণ জ্ঞান গড়ে ওঠে লৌকিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে।


প্রশ্ন: মারভিনের মতে, দর্শন কী?

উত্তর: মারভিনের মতে, দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ। 


প্রশ্ন: সক্রেটিস কোন্ দেশের দার্শনিক?

উত্তর: সক্রেটিস ছিলেন গ্রিক দেশের দার্শনিক। 


প্রশ্ন: মানবজীবনের চরম মূল্যগুলি কী কী?

উত্তর: মানবজীবনের চরম মূল্যগুলি হল সত্য, শিব ও সুন্দর।


প্রশ্ন: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি কীরূপ?

 উত্তর: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি হল সামগ্রিক।


প্রশ্ন: একজন ফরাসি দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: রেনে দেকার্ত একজন ফরাসি দার্শনিক।


প্রশ্ন: একজন যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: এয়ার, কারনাপ হলেন যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী।


প্রশ্ন: পাশ্চাত্য দেশের প্রথম দার্শনিক কে?

উত্তর: পাশ্চাত্য দেশের প্রথম দার্শনিক হলেন থেলস।


 প্রশ্ন: 'Metaphysics' গ্রন্থটি কার লেখা? 

 উত্তর: গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টট্‌লের রচিত গ্রন্থ হল "Metaphysics' ।


প্রশ্ন: Philosophy' শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন? 

উত্তর: গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টট্ল প্রথম Philosophy শব্দটি ব্যবহার করেন।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের স্বরূপ কেমন? 

উত্তর: প্লেটোর মতে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ হল ধারণার জগতের ছায়া।


 প্রশ্ন: মধ্যযুগের একজন দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: সেন্ট অগাস্টিন, সেন্ট টমাস হলেন মধ্যযুগের দার্শনিক।


 প্রশ্ন: মধ্যযুগের দার্শনিকদের মতে, দর্শনের আলোচ্য বিষয় কী?

উত্তর: মধ্যযুগের দার্শনিকদের মতে, দর্শনের আলোচ্য বিষয় হল ঈশ্বর, আত্মা, অমরত্ব ইত্যাদি।


 প্রশ্ন: কান্টের মতে দর্শন কী?

উত্তর: কান্টের মতে, “দর্শন হল জ্ঞান সম্পর্কীয় বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা"। 

প্রশ্ন: আমাদের জীবনের তিনটি মৌলিক মূল্যবোধ কী?

আমাদের জীবনের তিনটি মৌলিক মূল্যবোধ হল সত্য, শিব ও সুন্দর।


প্রশ্ন: কান্টের মতে, দর্শনের মূল লক্ষ্য কী?

উত্তর: কান্টের মতে, দর্শনের মূল লক্ষ্য হল জ্ঞানের উৎপত্তি, সম্ভাবনা, শর্ত, সীমা ও বৈধতা ইত্যাদি বিচার করা।

প্রশ্ন: দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান কে বলেছেন?

 দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান বলেছেন দার্শনিক হার্বার্ট স্পেনসার।


 প্রশ্ন: "দর্শন হল নিত্য এবং অপরিহার্য বস্তুর স্বরূপ সম্পর্কীয় জ্ঞান"—এ কথা কে বলেছেন?

 উত্তর: দর্শন হল নিত্য এবং অপরিহার্য বস্তুর স্বরূপ সম্পৰ্কীয় জ্ঞান-এ কথা বলেছেন অ্যারিস্টট্ল।









Read More

Monday, 11 October 2021

কয়েকজন বিখ্যাত পাশ্চাত্য দার্শনিকদের পরিচিতি (Class xi)

Leave a Comment

 কয়েকজন বিখ্যাত পাশ্চাত্য দার্শনিকদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়


নাম : সক্রেটিস

জন্ম : 470 খ্রিস্টপূর্বাব্দ 

মৃত্যু : 399 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

যুগ : প্রাচীন দর্শন

অবদান : সক্রেটীয় পদ্ধতি

ভাবগুরু : এথাক্সাগোরাস

বিখ্যাত উক্তি : “There is only one good, knowledge, and one evil ignorance."


সক্রেটিস (Socrates) (৪৭০-৩৯৯ খিস্টপূর্বাব্দ) : সক্রেটিস ৪৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসের অন্তর্গত এথেন্স  নগরে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৩৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসেই তাঁর মৃত্যু হয়। পিতা সফ্রোনিস্কাস ছিলেন দরিদ্র ভাস্কর শিল্পী এবং মাতা ফিনারেট ছিলেন একজন ধাত্রী। তিনি অসামান্য জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন এবং এই জ্ঞান তিনি নিজের চেষ্টাতেই অর্জন করেছিলেন। সক্রেটিস সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তত্ত্ব দর্শন প্রবর্তন করেননি, তিনি কেবল দর্শনের লক্ষ্য এবং আলোচনার পদ্ধতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, দর্শনের লক্ষ্য হল। সত্যজ্ঞান অনুসন্ধান এবং দর্শনের পদ্ধতি হল বুদ্ধি-বিচার বিশ্লেষণ। সক্রেটিসের পূর্বে গ্রিসের সোফিস্ট সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষকেই জ্ঞান বলতেন। কিন্তু সক্রেটিস সোফিস্টদের মত খণ্ডন করে বলেন—জান মাত্রেরই উৎস হল প্রত্যয় বা ধারণা এবং কেবল বুদ্ধির মাধ্যমেই প্রত্যয় বা সামান্য ধারণা গঠন করা সম্ভব। সক্রেটিস তাঁর দার্শনিক মতবাদকে লিপিবন্ধ করে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। সক্রেটিসের সুযোগ্য শিষ্য প্লেটোর রচনার মাধ্যমেই আমরা সক্রেটিসের তত্ত্ব দর্শন সম্পর্কে অবহিত। হই। মূলত বিশুদ্ধ বুদ্ধিলব্ধজ্ঞান, সততা ও ন্যায়পরায়ণতাকে জীবনের আদর্শরূপে গ্রহণ করে সক্রেটিস এথেন্সের যুবসমাজকে ওই আদর্শে দীক্ষিত করতে প্রয়াসী হন। লক্ষ্য ছিল ওই যুবকবৃন্দ দেশকে কুসংস্কার ও দুর্নীতি থেকে মুক্ত করে দেশের উন্নতি ঘটাতে সমর্থ হবে। এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে এথেন্সের শাসকবর্গ সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। অন্যায়ের কাছে নত না-হয়ে হেমলকের মতো তীব্র বিষ পান করে সক্রেটিস সানন্দে মৃত্যুবরণ করেন।

নাম:  প্লেটো

জন্ম:  427 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

মৃত্যু: 348 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

অবদান: প্লেটোনীয় বস্তুবাদ

ভাবগুরু:  সক্রেটিস

গ্রন্থ: The Republic, Meno, Protagoras, Theactetus 

বিখ্যাত উক্তি:  Knowledge without justice ought to be called cunning rather than wisdom.


প্লেটো (Plato) (৪২৭-৩৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ): সম্ভবত ৪২৭-৪২১ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে এথেন্সের এক অভিজাত পরিবারে প্লেটো জন্মগ্রহণ করেন এবং মাত্র ৮২ বৎসর বয়সে এথেঙ্গেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পিতার নাম অ্যারিস্টন (Ariston) ও মাতার নাম পরিকটাইওনি (Perictione)সের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক প্লেটো ৩৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এথেন্সে বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একাডেমির (Academy) প্রতিষ্ঠা করেন, যাকে পাশ্চাত্যের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়রূপে গণ্য করা - হয়। এই শিক্ষায়তনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সুসংবদ্ধভাবে দার্শনিক, গণিত এবং বৈজ্ঞানিক আলোচনা ও গবেষণা করা।

  প্লেটোর মতে, বস্তুস্বরূপের বা সারসত্তার জ্ঞানলাভ করাই হল দর্শনের লক্ষ্য। প্লেটো তাঁর দর্শনে দুটি জগতের উল্লেখ করেছেন। একটি হল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য চিরচঞ্চল বিশেষ বিশেষ বস্তু ও ব্যক্তির জগৎ। আর অন্যটি হল বিশুদ্ধ বুদ্ধিলব্ধ ইন্দ্রিয়াতীত শাশ্বত ধারণার জগৎ, যেটি নিত্য ও শাশ্বত সত্য। প্লেটো বলেন, জগতের প্রতিটি বস্তু বা ব্যক্তি কোনো না কোনো জাতির অন্তর্গত। ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও জাতির কোনো  পরিবর্তন হয় না। জাতিই হল সত্য। ব্যক্তি হল জাতির অনুলিপি বা দৃষ্টান্তমাত্র। অনেকের মধ্যে যা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে তাই হল জাতি বা সামান্য, যাকে বিশুদ্ধ বুদ্ধির মাধ্যমে উপলব্ধি করতে হয়। যেমন প্রতিটি মানুষ 'মনুষ্যত্ব' সামান্যের অনুলিপি। তাহলে জাতি বা ধারণা (ideas or concept) হল মূল আর চিরচঞ্চল জগতের সকল কিছুই সেই মূলের অনুলিপি। বস্তুজগৎ আসলে শাশ্বত ধারণা জগতের ছায়ামাত্র "তাই জগতের অন্তরালবর্তী চিরন্তন সত্যকে জানাই দর্শনের মুখ্য উদ্দেশ্য। প্লেটোই প্রাচীন গ্রিসের প্রথম দার্শনিক, যিনি তাঁর দার্শনিক চিন্তাসমূহ সুসংবন্ধভাবে গ্রন্থ আকারে লিখে গিয়েছেন। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলি হল- (i) The Republic', (ii) Theaetetus', (im) Protagoras (iv) 'Symposium (v) Phaedo', (vi) 'Meno' প্লেটো বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসাবে খ্যাত।


নাম: অ্যারিস্টটল

জন্ম:  384 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

মৃত্যু: 322 খ্রিস্টপূর্বাঙ্গ 

যুগ:  প্রাচীন দর্শন

অবদান:  দ্রব্য সম্পর্কে মতবাদ

ভাবগুর: প্লেটো

গ্ৰন্থ: Logic, Metaphysics, Ethics 

বিখ্যাত উক্তি: The roots of education are bitter, but the fruit is sweet.


অ্যারিস্টটল (Aristotle) (৩৮৪-৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ): ৩৮৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসের ম্যাসিডোনিয়াম অ্যারিস্টটল জন্মগ্রহণ করেন এবং ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মাত্র ৬২ বৎসর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। পিতা নিকোম্যাকাস (Nichoma chus) ছিলেন ম্যাসিডনের রাজপরিবারের একজন চিকিৎসক। শৈশবকালেই অ্যারিস্টটলকে তাঁর অভিভাবকগণ সর্বোত্তম শিক্ষালাভের জন্য প্লেটোর 'একাডেমি'-তে প্রেরণ করেন। প্লেটোর তত্ত্বাবধানে সেখানে তিনি ২০ বৎসর ধরে শিক্ষালাভ করেন। অ্যারিস্টটল ছিলেন একাধারে দার্শনিক, তর্কবিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক। জ্ঞানের এমন কোনো দিক ছিল না যার প্রতি তিনি আকৃষ্ট হননি। এজন্য তাঁকে 'সর্ববিশারদ মহাজ্ঞানী' আখ্যা দেওয়া হত।


প্লেটোকে অনুসরণ করে অ্যারিস্টটলও বলেছেন-দর্শন ও অধিবিদ্যার লক্ষ্য মূলত এক ও অভিন্ন। তাঁর মতে, দর্শনের উদ্দেশ্য হল সব পদার্থের অন্তর্নিহিত সারসত্তার স্বরূপ উদ্ঘাটন। 'দর্শন হল পরম সত্তার বা বিশুদ্ধ সত্তার বিজ্ঞান' (Philosophy is the Science being qua being)। দর্শনের স্বরূপ সম্পর্কে অ্যারিস্টটল প্লেটোর মতকে সমর্থন করলেও প্লেটোর দ্বিজাগতিক তত্ত্বকে (two world theory) অগ্রাহ্য করেছেন। অর্থাৎ, অ্যারিস্টটল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগত ও অতীন্দ্রিয় জগৎ নামক দুইটি জগতের ভেদ স্বীকার করেননি। অ্যারিস্টটলের মতে, 'জাতি' ও 'ব্যক্তি' অর্থাৎ আকার ও উপাদান পৃথক পৃথকভাবে অস্তিত্বশীল নয়। ব্যক্তিমানুষকে বাদ দিয়ে মনুষ্যত্বের অস্তিত্ব যেমন কল্পনা করা যায় না, তেমনি মনুষ্যত্ব নামক গুণটিকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিমানুষের অস্তিত্ব ভাবা যায় না। তাই তাঁর সিদ্ধান্ত হল, সমস্ত অস্তিত্বশীল পদার্থই সামান্য (জাতি) ও বিশেষের (ব্যক্তি) সমন্বয়।" অ্যারিস্টটল রচিত দর্শনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল- (i) "The Meteorology (ii) De Anima, (iii) The Problemata'. (iv) The Dialogue of Philosophy (v) 'Metaphysics', (vi) The Nicomachean Ethics' ইত্যাদি।


নাম:  সেন্ট টমাস আকুইনাস 

জন্ম: 1225 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1274 খ্রিস্টাব্দ

 যুগ:  মধ্যযুগ দর্শন

অবদান: ধর্মতত্ত্ব

ভাবগুরু : আলবার্ট দ্য গ্রেট


গ্রন্থ: Summa Theologica, Summa Contra Gentiles 

বিখ্যাত উক্তি:  By nature all men are equal in liberty, but not in other endowment.


নাম: সেন্ট অগাস্টিন

জন্ম : 354 খ্রিস্টাব্দ

 মৃত্যু: 430 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : মধ্যযুগীয় দর্শন

অবদান:  ধর্মতত্ত্ব

ভাবগুরু : সেন্ট অ্যামব্রোজ

গ্রন্থ: Confessions, The City of God 

বিখ্যাত উক্তি : Patience is the Companion of Wisdom


নাম: রেনে দেকার্ত 

জন্ম: 1596 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1650 খ্রিস্টাব্দ

 যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : কার্তেজীয়বাদ

ভাবগুরু: প্লেটো-অ্যারিস্টটল

গ্ৰন্থ: The Discourse of Method, The Principles of Philosophy. The Meditation 

বিখ্যাত উক্তি : Cagito ergo Sum


রেনে দেকার্ত (Rena Descartes) (১৫৯৬-১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ): ১৫৯৬ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ ফ্রান্সের তুরাইন প্রদেশের এক অভিজাত পরিবারে দেকার্ত জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি সুইডেনের স্টকহলমে তাঁর মৃত্যু হয়।

 দর্শনের প্রতি অনুরক্ত দেকার্ত শৈশব থেকেই অপরাপর পাঠ্যবিষয় অপেক্ষা গণিতশাস্ত্রের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং উপলব্ধি করেছিলেন যে, গাণিতিক জ্ঞানই প্রকৃষ্ট জ্ঞান, গাণিতিক পদ্ধতিই সর্বোত্তম পদ্ধতি। তাই দেকার্ত দর্শনের ক্ষেত্রে গাণিতিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে দর্শনকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।


পাশ্চাত্য দর্শনে দেকাতই সর্বপ্রথম দার্শনিক যিনি প্রতিষ্ঠিত যাবতীয় জ্ঞানকে সন্দেহ বা সংশয় পোষণ করেন। তিনি সার্বিক সংশয় পদ্ধতি প্রয়োগ করে এমন এক সংশয়াতীত জ্ঞানে বা বচনে উপনীত হতে প্রয়াসী হন যে জ্ঞান বা বচন থেকে অপরাপর সংশয়াতীত ও সুনিশ্চিত জ্ঞানকে নিষ্কাশন করা যায়। সংশয় পদ্ধতির প্রয়োগের মাধ্যমে দেকার্ত দর্শনের ক্ষেত্রে প্রথম যে সংশয়াতীত বচনটি লাভ করেন তা হল 'আমি চিন্তা করি, অতএব আমি আছি' (I think, therefore I exist)। এই সংশয়াতীত অস্তিত্বসূচক জ্ঞান থেকে অবরোহ পদ্ধতি প্রয়োগ করে তিনি ঈশ্বর ও জড়জগতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছেন। দেকার্তকে এজন্য আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনকরূপে গণ্য করা হয়। একজন বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসাবে দেকার্ত দেহ ও মনের মধ্যে যে বিরুদ্ধভাব প্রতিষ্ঠা করেছেন তা ‘দ্বৈতবাদ' নামে খ্যাত। দেকার্ত রচিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল- (i) The Discourse on Method (ii) 'The Meditation', (iii) The Principles of Philosophy' ইত্যাদি।

নাম: বেনেডিক্ট স্পিনোজা

জন্ম: 1632 খ্রিস্টাব্দ 

মৃত্যু: 1677 খ্রিস্টাব্দ

যুগ: আধুনিক দর্শনের যুগ 

অবদান:  সর্বেশ্বরবাদ

ভাবগুরু : দেকার্ত

গ্রন্থ: Ethica, Short Treatise on God, Man and Your patience Human Welfare, Thactus de Intellectus Emenditone 

বিখ্যাত উক্তি : Two things define you. Your patience when you have nothing, and your attitude when you have everything.


নাম : জন লক

জন্ম : 1632 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1704 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : অভিজ্ঞতাবাদ

 ভাবগুরু : ফ্রন্সিস বেকন

গ্রন্থ : Essay on Human Understanding, Thought on Education, Treatise on Government 

বিখ্যাত উক্তি : The discipline of desire is the background of character.


নাম : জর্জ বার্কলে

জন্ম : 1685 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1753 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : আত্মগত ভাববাদ 

ভাবগুরু : নিকোলাস মালিব্রাঞ্চ

গ্রন্থ : A Treastise Concerning the Principles of Human Knowledge, Three Dialogues between Hylas and Philonous 

বিখ্যাত উক্তি : We have first raised a dust and then complain we cannot see.


নাম : ডেভিড হিউম

জন্ম: 1711 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1776 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : কার্যকারণ তত্ত্ব

ভাবগুরু : জর্জ বার্কলে


গ্রন্থ : A Treatise of Human Nature, An Enquiry Concerning Human Understanding

 বিখ্যাত উক্তি : A wise man proportions his belief to the evidence.


নাম : ইম্যানুয়েল কান্ট

জন্ম: 1724 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু: 1804 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক যুগ

অবদান : বিচারবাদ

ভাবগুরু : লাইবনিজ

গ্রন্থ : The Critique of Pure Reason, The Critique of Practical Reason, The Critique of Judgement 

বিখ্যাত উক্তি : Science is organised knowledge, Wisdom is organised life.


<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>


Read More

Sunday, 10 October 2021

HS English : 4 Descriptive Type Questions of 'The Eyes Have It' - Ruskin Bond

Leave a Comment

 The Eyes Have It

                             Ruskin Bond

Descriptive Type Questions

1. What guesses did the narrator make about the girl before he started exchanging talks in the train compartment? Why did the narrator have to guess?[ ট্রেনের কামরায় মেয়েটির সঙ্গে বাক্যালাপ শুরুর আগে গল্পকারের অনুমানগুলি কী কী ছিল? গল্পকারকে কেন অনুমান করতে হয়েছিল?]   (5+1)

Ans:

The narrator was alone in the train compartment up to Rohana. A girl got in at Rohana station. The narrator could guess that the  parents of the girl  came to see her off.  After leaving the train, he was able to guess that the girl  wore slippers, as they slapped against her heels. He wanted to guess  the  looks of the girl.  These were the guessed that the narrator could make about the girl before he started exchanging talks in the train compartment

* The narrator had to guess, because he was completely blind at that time.

[ গল্পকার রোহানা পর্যন্ত ট্রেনের কামরায় একাই ছিলেন। রোহানা স্টেশনে একটি মেয়ে উঠল। গল্পকার অনুমান করতে পেরেছিলেন যে মেয়েটির পিতা-মাতা তাকে বিদায় জানাতে এসেছিলেন। ট্রেনটি ছাড়ার পর তিনি অনুমান করতে পেরেছিলেন যে মেয়েটি চটি পরেছিল, যেহেতু তার গোড়ালিতে চটাস চটাস শব্দ হয়েছিল। তিনি মেয়েটি দেখতে কেমন তা অনুমান করতে চেয়েছিলেন। মেয়েটির সঙ্গে বাক্যালাপ শুরুর আগে তিনি এই অনুমানগুলি করতে পেরেছিলেন।


গল্পকারকে অনুমান করতে হয়েছিল, কারণ সেই সময় তিনি পুরোপুরি অন্ধ ছিলেন।]

2. “I was prepared to sit there for almost any length of time." Who felt so? Why do you think she/ he felt so? [কে এমন অনুভব করেছিলেন? কেন তখন তিনি এমন অনুভব করেছিলেন বলে তোমার মনে হয়?] [1+5]

Ans:

The blind narrator in Ruskin Bond's short story 'The Eyes Have It' felt so. 

The narrator was traveling alone in a train compartment. At Rohana, a girl joined him. He started a conversation with the girl. The narrator will go to Mussoorie. The girl also liked Mussoorie, especially in October. The man admired the girl's attractive face. The girl also praised his bravery. Apparently the girl's temperament touched the narrator's heart. Being blind, he could not see the girl's face, but the girl's presence reduced his loneliness. He wanted to talk to her, wanted to listen to her talking. The girl's voice had the sparkle of a mountain stream. The girl's voice charmed him. He didn’t want to lose these charming moments. So he prepared to sit in the train  for almost any length of time just to hear the girl's voice.

[রাস্কিন বন্ডের গল্প 'The Eyes Have It'-এ দৃষ্টিহীন কথক এমন অনুভব করেছিলেন।

কথক একা একা একটি ট্রেনের কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। রোহানায় একটি মেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগদান করল। তিনি মেয়েটির সাথে কথোপকথন শুরু করলেন। কথক মুসৌরিতে যাবেন। মেয়েটিও মুসৌরি পছন্দ করত, বিশেষত অক্টোবর মাসে। লোকটি মেয়েটির আকর্ষণীয় মুখের প্রশংসা করেছিল। মেয়েটিও তাঁর সাহসিকতাকে বাহবা জানিয়ে দিয়েছিল। স্পষ্টতই মেয়েটির স্বভাব কথকের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। অন্ধ হওয়ায় তাঁর পক্ষে মেয়েটির চেহারা জানা সম্ভব হয়নি, কিন্তু মেয়েটির উপস্থিতি তাঁর একাকিত্ব কমিয়ে দিয়েছিল। তিনি তার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন, তার কথা শুনতে চেয়েছিলেন। মেয়েটির কণ্ঠস্বরে পাহাড়ি নদীর উচ্ছ্বাস ছিল। মেয়েটির কন্ঠস্বর তাঁকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছিল। তিনি এই অনিন্দ্যসুন্দর মুহূর্তগুলিকে হারাতে চাইছিলেন না। তাই তিনি যে-কোনো সময়কাল ধরে সেই ট্রেনে বসে থাকতে রাজি ছিলেন শুধু মেয়েটির গলা শোনার জন্য ।]

3. "The voice had the sparkle of a mountain stream."Who thinks so ? Whose voice is referred to here? Why did the voice become so special? [কে এমনটি ভাবছে? কার কন্ঠস্বরের কথা বলা হয়েছে? কন্ঠস্বরটি এত বিশেষ হয়ে উঠল কেন?) [1+1+4]

Ans:

   The narrator of Ruskin Bond's short story 'The Eyes Have It' thinks so.

   The voice of the girl who talks to the narrator while traveling in the train is referred to here.

   The narrator could not see the girl as he was blind.  He only felt her  presence through her voice. He liked the girl's voice very much. Her voice is so sweet that the narrator was ready to sit there for almost any length of time just to listen to her talking. The narrator felt her voice was as lively and joyful as the sparkle of a mountain stream.

[রাস্কিন বন্ডের ছোটগল্প 'The Eyes Have It এর কথক এমনটি ভাবছে।

ট্রেনে ভ্রমণকালে কথকের সঙ্গে যে মেয়েটির আলাপ হয়, সেই মেয়েটির কন্ঠস্বরকে এখানে বোঝানো হয়েছে। কথক দৃষ্টিহীন হওয়ায় তিনি মেয়েটিকে দেখতে পাননি। শুধু তার স্বর শুনে তার উপস্থিতি অনুভব করেছেন। মেয়েটির কন্ঠস্বর তাঁর খুবই ভালো লেগেছে। তার কন্ঠস্বর এত সুমিষ্ট যে কথক তাঁর কথা শোনার জন্য যে-কোনো সময়কাল ধরে সেখানে বসে থাকতে প্রস্তুত | কথক মনে করেন তার কন্ঠস্বর পাহাড়ি নদীর মতো প্রাণবন্ত এবং আনন্দদায়ক ।]




4. “She would forget our brief encounter"-Who said this and about whom? What is the 'brief encounter' referred to here? Why did the speaker think so? [ কে কার বিষয়ে একথা বলেছে? 'Brief encounter' বলতে এখানে কী বোঝান হয়েছে? কেন বক্তা এ কথা বলেছেন?  [1+1+2+2] 

Ans. The narrator in Ruskin Bond's short story 'The Eyes Have It' said this about the girl with whom he was travelling.


The 'brief encounter' refers to the light-hearted conversation between the narrator and the girl in the train.

The speaker was very impressed by the melodious voice of the girl. He longed for the company of the girl till the end of his journey, but when he came to learn that the girl would  get down at Saharanpur, he was very upset. The girl's appearance made a deep impression on his mind. Simultaneously he assumed in his mind that this short interview would be taken lightly by the girl and would soon be erased from her mind.]

[রাস্কিন বন্ডের ছোটোগল্প The Eyes Have It'-এর কথক যে মেয়েটির সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন তাঁর বিষয়ে এ কথা বলেছেন।

 'Brief encounter' বলতে এখানে কথক ও মেয়েটির মধ্যে ট্রেনে যে হালকা কথোপকথন হয়েছিল সেটিকে বোঝান হয়েছে। 

বক্তা মেয়েটির সুরেলা কণ্ঠস্বরে খুবই চমৎকৃত হয়েছিলেন। তিনি তাঁর যাত্রাপথের শেষ অবধি মেয়েটির সাহচর্য কামনা করেছিলেন, কিন্তু যখন তিনি জানতে পারলেন যে, মেয়েটি সাহারানপুরে নেমে যাবে তখন তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হলেন। মেয়েটির অবয়ব তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে। যুগপৎ তিনি মনে মনে ধরে নিয়েছিলেন যে, এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার মেয়েটি হালকাভাবে নেবে এবং শীঘ্রই সেটি তার মন থেকে মুছে যাবে।]


Read More