Saturday, 18 December 2021

HS English - A question and answer of the play 'The Proposal'

Leave a Comment

THE PROPOSAL ------ Anton chekhov

                 Class xii (wbchse)


 Question:  “Oh, What burden, Lord, to be father of a grown-up daughter” Who is the father? Who is the daughter? Why is the daughter a burden to the father? [1+1+4] 


      Ans. Here Chubukov is the father in Chekhov's hilarious farce, 'The Proposal'.


      The daughter is Natalya. 


       In patriarchal societies, daughters are often seen as a liability. Finding a groom for a daughter is an uncomfortable thing for a father. He wants his daughter anyhow to get married. This will relieve him from the burden of being the father of an grown-up daughter. Chubukov is not only embarrassed by his father's responsibility, he cannot understand her daughter's whimsical attitude. Chubukov sends Natalia to settle the issue of marriage, but she starts furious quarrel. When this impudent man leaves their home, she is suddenly overwhelmed by his passion for him. Social pressure for his daughter's marriage, controlling the whims of a motherless girl and middle-class mentality combine together to  form such attitude.


বঙ্গানুবাদ: চেকভের দমফাটা হাসির গ্রহসন 'The Proposal'-এ পিতাটি হলেন চুবুকভ।


       মেয়েটি নাতালিয়া।


পিতৃতান্ত্রিক সমাজে কন্যাসন্তানকে প্রায়ই দায় হিসেবে মনে করা হয়। মেয়ের জন্য পাত্র খোঁজা বাবার কাছে একটি অস্বস্তিকর ব্যাপার। সে যে-কোনোভাবে তার মেয়ের বিয়ে দিতে চায়। এটা তাকে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বাবা হওয়ার বোঝা থেকে রেহাই দেবে। চুবুকভ শুধু বাবার এই দায়িত্ব নিয়েই বিব্রত নয়, সে তার মেয়ের খামখেয়ালি মনোভাব বুঝতে পারে না। চুবুকভ নাতালিয়াকে বিয়ের বিষয়টি ঠিকঠাক করতে পাঠায়, কিন্তু সে তীব্র বিবাদ শুরু করে দেয়। যখন এই উদ্ধত মানুষটি তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যায় তখন সে হঠাৎ তার জন্য তাঁর আবেগে ভেসে যায়। মেয়ের বিয়ের জন্য সামাজিক চাপ, মা-হারা মেয়ের ঘামখেয়ালিপনা সামলানো, মধ্যবিত্তসুলভ মানসিকতা, সব কিছু মিলে চুবুকভের এমন মনোভাব গড়ে দিয়েছে।

Read More

Friday, 17 December 2021

HS English - The title of 'The Proposal'

Leave a Comment

THE PROPOSAL - 

                 ANTON CHEKHOV


Q: Comment on the aptness of the title 'The Proposal'. [The Proposal' নামকরণের যথার্থতা আলোচনা করো।] 


Or, Justify the title of the play 'The Proposal'. ['The Proposal' নাটকের শিরোনামের যথার্থতা বিচার করো।]


 Or, Discuss the appropriateness of the title of Chekhov's play 'The Proposal'. [চেকফের 'The Proposal' নাটকের শিরোনামের যথার্থতা আলোচনা করো।]


Or, Comment on the title of the play 'The Proposal'. [The Proposal' নাটকের শিরোনাম সম্পর্কে মন্তব্য করো।] 


Or, Comment upon the significance of the title 'The Proposal'. ['The Proposal' নাটকের শিরোনামের তাৎপর্য নিয়ে মন্তব্য করো]


Ans. In Anton Chekhov's one-act play 'The Proposal', all of the characters are some way or the other influenced by the marriage proposal. Lomov is now desperate for a wife. Natalia has not yet found  her man. Chubukov wants his daughter to get married soon. Lomov's intention makes Chubukov happy. Lomov, meanwhile, gets into a long-running feud with Natalia before proposing to her, first over a  disputed plot of land and then over their hunting dogs. So Natalia does not get any proposal from Lomov. The proposal is eventually fulfilled through a marriage due to Chubukov's presence of mind. This is why the title 'The Proposal' becomes more meaningful.


[আন্তন চেকফের একাঙ্ক নাটক 'The Proposal'-এ প্রতিটি চরিত্রই কোনো না কোনোভাবে বিবাহপ্রস্তাবটির দ্বারা প্রভাবিত হয়। লোমভ এখন বউয়ের জন্য মরিয়া। নাতালিয়া এখনও তার মনের মানুষ খুঁজে পায়নি। চুবুকফ চায় তার মেয়ের শীঘ্র বিয়ে হয়ে যাক। লোমভের উদ্দেশ্য তাকে আনন্দিত করে। এদিকে নাতালিয়ার কাছে বিবাহপ্রস্তাব পেশ করার আগেই লোমভ নাতালিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, প্রথমে একখণ্ড বিতর্কিত জমি নিয়ে এবং তারপর তাদের শিকারি কুকুর নিয়ে। তাই নাতালিয়া লোমভের কাছ থেকে কোনো প্রস্তাব পায় না। প্রস্তাবটি শেষপর্যন্ত একটি বিবাহের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় চুবুকফের উপস্থিত বুদ্ধির কারণে। এইজন্যই 'The Proposal' শিরোনামটি আরও অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।]

Read More

Thursday, 16 December 2021

HS Education (শিক্ষাবিজ্ঞান) শিক্ষায় রাশিবিজ্ঞান: সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Leave a Comment

 শিক্ষাবিজ্ঞান || দ্বাদশ শ্রেণী                            (wbchse)  

 তৃতীয় অধ্যায়ঃ  শিক্ষায় রাশিবিজ্ঞান


অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (মান-1)


১। পরিসংখ্যানবিদ্যা বা রাশিবিজ্ঞান কাকে বলে? 

উঃ  যে বিজ্ঞানভিত্তিক গাণিতিক পদ্ধতির মাধ্যমে পরিমাণযোগ্য ডেটাগুলির সংগ্রহ, উপস্থাপন, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়, তাকে 'রাশিবিজ্ঞান' বা 'পরিসংখ্যানবিদ্যা' বা Statistics বলা হয়।


২। রাশিবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

 উঃ  ইংরেজি 'Statistics' শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে আমরা রাশিবিজ্ঞান কথাটি গ্রহণ করি।

 

৩। শিক্ষাগত রাশিবিজ্ঞান কাকে বলে?

উঃ যে রাশিবিজ্ঞান শিক্ষা প্রক্রিয়াকে কার্যকরী ও উন্নত করতে সাহায্য করে, তাকে শিক্ষাগত রাশিবিজ্ঞান বলা হয়।


৪। রাশিবিজ্ঞানে 'তথ্য' বলতে কী বোঝায়? 

উঃ রাশিবিজ্ঞানে তথ্য বলতে কোনো ব্যক্তি, বস্তু এবং ঘটনার প্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধকরণের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। যেমন বয়স, উচ্চতা, মেধা, সাফল্য ইত্যাদি। 


৫। তথ্য কী? বৈশিষ্ট্য অনুসারে তথ্যসমূহকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

উঃ তথ্য: তথ্য্য হলো কোন ব্যক্তি, বস্তু, ঘটনার প্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধকরণের প্রক্রিয়া। যেমন- মেধা, সাফল্য, বয়স, উচ্চতা ইত্যাদি।


বৈশিষ্ট্য অনুসারে তথ্যসমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় - (i) গুণগত তথ্য এবং (ii) পরিমাণগত তথ্য।


গুণগত তথ্য: যেসব তথ্যকে সংখ্যার সাহায্যে প্রকাশ করা যায় না, কিন্তু বিশেষ গুণ এর ভিত্তিতে পরস্পরের থেকে পৃথক করা যায়, তাকে গুণগত তথ্য বলে। যেমন-- বুদ্ধিমত্তা, মেধা, প্রত্যাশা ইত্যাদি।


পরিমাণগত তথ্য: যেসব তথ্যকে সংখ্যার দ্বারা প্রকাশ করা যায়, তাকে পরিমাণগত তথ্য বলে। যেমন-- ওজন, বয়স, উচ্চতা, আয় ইত্যাদি।


৬। রাশিবিজ্ঞানে 'বিন্যাসকরণ' বলতে কী বোঝো?

 উঃ রাশিবিজ্ঞানে বিন্যাসকরণ বলতে বোঝায় স্তম্ভ এবং সারির মধ্যে তথ্যগুলিকে যুক্তি ও নিয়মসম্মত উপায়ে এমনভাবে সংগঠিত করা, যাতে তথ্যের সহজতম উপস্থাপন এবং তুলনা করা সম্ভব হয়।


৭। 'পরিমাপ' কাকে বলে?

উঃ পরিমাপ হল একপ্রকার গাণিতিক কৌশল, যে পদ্ধতিতে কোনো বস্তু সম্পৰ্কীয় বিষয়কে সংখ্যাদ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমন- কোনো বস্তুর উচ্চতা, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, কিংবা কোনো শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর।


৮।' 'রাশিতথ্য' কী? উদাহরণ দাও।” 

উঃ ব্যক্তিসমষ্টির কর্মদক্ষতা বা বস্তুসমষ্টি থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানমূলক তথ্যের সমষ্টি এবং গুণগত বৈশিষ্ট্যগুলি হল রাশিতথ্য। যেমন- শিক্ষার্থীর বয়স, ওজন ইত্যাদি। 


৯। ‘স্কোর' কাকে বলে?

উঃ ব্যক্তি বা বস্তুর কোনো ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যকে যখন গাণিতিক প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে স্কোর বলা হয়। যেমন– আমার বয়স ১৮ বছর ৩ মাস ১৮ দিন।

Or, সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত যেকোনো ধরনের পরিমাপকে রাশিবিজ্ঞানে স্কোর বলা হয়।


13 "স্কোর বিন্যাস' বা 'তথ্যবিন্যাস' বা 'Tabulation' কাকে বলে?*

উঃ রাশিবিজ্ঞানে তথ্যসমূহকে সংক্ষিপ্ত, নির্দিষ্ট এবং যৌক্তিক নিয়মে উপস্থাপন করার প্রক্রিয়াকেই বলা হয় স্কোর বিন্যাস বা তথ্যের বিন্যাস।


১০। রাশিবিজ্ঞানে 'পরিসংখ্যান' বলতে কী বোঝো?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে পরিসংখ্যান হল একটি বিজ্ঞান, যেখানে বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা ও বর্ণনার উপর ভিত্তি করে সংখ্যামূলক তথ্যাবলির সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস, সারণিকরণ করা হয়।


১১। পরিসংখ্যামূলক ছক বা Statistical Table কাকে বলে? 

উঃ পরিমাপযোগ্য ডেটাগুলিকে যখন সারি এবং স্তম্ভে যথার্থ শিরোনাম দিয়ে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে বিন্যস্ত করা হয়, তাকে পরিসংখ্যামূলক ছক বা 'Statistical Table' বলা হয়।


১২। রাশিবিজ্ঞানে 'স্কেল' কী?'

উঃ সাধারণত ব্যক্তির পারদর্শিতা, বুদ্ধাংক ইত্যাদি কতগুলি  সমদুরত্ব বিশিষ্ট সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায়, এই সমদুরত্ব সম্পন্ন সংখ্যাগুলিকে যখন পাশাপাশি সাজানো যায়, তখন তাকে স্কেল বলে।


১৩। একক Unit কাকে বলে?

উঃ কোনো স্কেলের পাশাপাশি দুটি সংখ্যার বিয়োগফল থেকে প্রাপ্ত সংখ্যাকে একক বা 'Unit' বলা হয়। যেমন- বুদ্ধ্যঙ্ক 90, 100 বা 110,120 হলে যে কোনো দুটি সংখ্যার বিয়োগফল হবে 10, তাই এক্ষেত্রে একক হল 10। 


১৪। 'চল' (Variable) কাকে বলে?

উঃ যে-কোনো পরিবর্তনীয় মানই হল চল। অন্যভাবে বলা যায়, যেসব স্কোরকে গাণিতিক অর্থে পরিমাপের ফল হিসেবে উপস্থাপন করা হয় তাদের চল বলা হয়। 


১৫। 'বিচ্ছিন্ন চল' (Continuous Variable) কাকে বলে?*

উঃ যে ধরনের চলের স্কেলে ফাঁক থাকে, তাকে বিচ্ছিন্ন চল বলা হয়। যেমন— কোনো শ্রেণির ছাত্রসংখ্যা 50 থেকে 51 জন বললে বোঝায়, ছাত্রসংখ্যা হয় 30 বা 31 হবে। কিন্তু কখনো 30.2 বা 30.5 হবে না।


১৬। 'অবিচ্ছিন্ন চল' (Discrete Variable) কাকে বলে? 

উঃ  যে ধরনের চলের স্কেলে ফাঁক থাকে না বা যে চলের স্কেলে কোনো বিরাম বা ছেদ থাকে না, তাকে অবিচ্ছিন্ন চল বলে। যেমন— শিশুর দৈহিক বয়স, মানসিক বয়স প্রভৃতি। ধরা যাক, কোনো ক্লাসে ছাত্রীদের উচ্চতা 35, 35.5, 36, 36.5 – এখানে চলগুলির মধ্যবর্তী কোনো ফাঁক নেই তাই এরা অবিচ্ছিন্ন চল।


১৭।একটি অবিচ্ছিন্ন চলকের (Variable) উদাহরণ দাও।

উঃ সময়, বয়স ইত্যাদি হল অবিচ্ছিন্ন চলকের উদাহরণ। 


১৮। একটি বিচ্ছিন্ন চল ও একটি অবিচ্ছিন্ন চলের উদাহরণ দাও।

উঃ বিচ্ছিন্ন চল- ছাত্রসংখ্যা, অবিচ্ছিন্ন চল ছাত্রের উচ্চতা ওজন ইত্যাদি।


১৯। ট্যালি (Tally) চিহ্ন কাকে বলা হয়? 

উঃ অবিন্যস্ত তথ্যগুলি যখন ছকের মধ্যে বিন্যস্ত করে সাজানে হয় তখন প্রত্যেক স্কোরমানের পরিপ্রেক্ষিতে তালিকার পার্শ্ববর্তী স্তম্ভে একটি করে স্ল্যাশ (Slash)-এর ন্যায় দাগ চিহ্ন বসাতে হয়। 4টি দাগ উল্লম্ভভাবে (IIII) বসানো হয় এবং 5 নং দাগটি কোনাকুনিভাবে  (卌) বসানো হয়। একেই ট্যালি চিহ্ন বলে।


২০। পরিসংখ্যা বণ্টন গঠনের সময় ট্যালি চিহ্ন কেন ব্যবহার করা হয়?

উঃ পরিসংখ্যা বণ্টনের সময় মূলত স্কোরবণ্টন নির্ভুল এবং সহজে মোট পরিসংখ্যা নির্ণয় করার জন্য ট্যালি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।


২১। 'বিচ্ছিন্ন শ্রেণি' (DIscrete Class) কাকে বলে?*

উঃ যে শ্রেণিতে দুটি স্কোরের মধ্যবর্তী ব্যবধানে কোনো ক্ষুদ্রতম অংশ থাকে না, তাকে বিচ্ছিন্ন শ্রেণি  বলা হয়। যেমন—

শ্রেণি         পরিসংখ্যা

12-16               8

 17-21             6

 ইত্যাদি।


২২। 'অবিচ্ছিন্ন শ্রেণি' (Continuous Class) কাকে বলে? 

যে শ্রেণিতে দুটি স্কোরের মধ্যবর্তী ব্যবধানে কোনো ক্ষুদ্রতম অংশ থাকে, তাকে বলা হয় অবিচ্ছিন্ন শ্রেণি। যেমন -

শ্রেণি           পরিসংখ্যা 

 5.5 - 10.5             9

10.5-15.5             10

ইত্যাদি। 


২৩। 'শ্রেণিসীমা' কী? (What Is Class Limit?) 

প্রত্যেক শ্রেণির দু-দিকের প্রান্তে একটি শুরু ও অপরটি শেষ অংশ থাকে এবং ওই দুটি সীমার মধ্যে ব্যবধান থাকে নির্দিষ্ট, এদের একটিকে ঊর্ধ্ব শ্রেণি সীমা (Upper Class Limit) এবং নিম্ন শ্রেণি সীমা (Lower Class Limit) বলে। যেমন-

 5-10, 11-15।


২৪। রাশিবিজ্ঞানে শ্রেণি ব্যবধান (Class Interval) বলতে কী বোঝো?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে যখন কোনো বৃহত্তর স্কোরগুচ্ছের বিস্তার অনেক দীর্ঘ হয়, তখন সেগুলিকে স্কোর মানের আকার অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করে নেওয়া হয়। এর ফলে প্রতিটি শ্রণির একটি নির্দিষ্ট বিরতি থাকে। একেই বলা হয় শ্রেণি বা শ্রেণি ব্যবধান। যেমন – নিম্ন 9.5 এবং ঊর্ধ্বসীমা 14.5 হলে, শ্রেণি প্রসার হবে 14.5 --9.5 = 51


২৫। নীচে প্রদত্ত শ্রেণি ব্যবধান দুটির (ক) নিম্ন প্রান্ত ও ঊর্ধ্ব প্রাপ্ত (খ) শ্রেণি ব্যবধানের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো : (i) 45-47, (íi) 80-89 

উঃ (i)45 47-এর নিম্ন প্রান্ত 44.5 এবং ঊর্ধ্ব প্রান্ত 47.5

শ্রেণি ব্যবধান 47.5 - 44.5 = 3

(ii) 80–89-এর নিম্ন প্রাপ্ত 79.5 এবং ঊর্ধ্ব প্রাপ্ত 89.5, শ্রেণি ব্যবধান 89.579.5 = 10


২৬। নিম্নলিখিত শ্রেণি ব্যবধানের ঊর্ধ্বসীমা ও নিম্নসীমা নির্ণয় করো (I) 45-47 (II) 160-164

 উঃ 45-47-এর নিম্নসীমা 44.5. এবং উচ্চসীমা 47.51 

 160 – 164-এর নিম্নসীমা 159.5 এবং ঊর্ধ্বসীমা 164.5


২৬। রাশিবিজ্ঞানে 'পরিসংখ্যা' (Frequency) বলতে কী বোঝায়? 

উঃ রাশিবিজ্ঞানে পরিসংখ্যা শব্দটির অর্থ হল পুনরাবৃত্তিমূলক সংখ্যা। অর্থাৎ কোনো রাশিবিন্যাসে কোনো স্কোর যতবার পুনরাবৃত্ত হচ্ছে, সেই সংখ্যাকে পরিসংখ্যা (Frequency) বলে। 

  শ্রেণিসীমা         পরিসংখ্যা 

 5-7                          3

8-10                         5


২৭। পরিসংখ্যান কাকে বলে?

উঃপরিসংখ্যান (Statistics) বলতে বোঝায় তথ্যাবলির সংকলন সারণিকরণ, উপস্থাপন ও তার বিশ্লেষণ। পরিসংখ্যান হল সেই বিজ্ঞান যা বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা, তুলনা, শ্রেণিবিন্যাস ও ব্যাখ্যা করে।

Lovit-এর মতে, “পরিসংখ্যান হল সেই বিজ্ঞান যা বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা, তাদের বর্ণনা এবং তুলনা করার জন্য আবশ্যিক সংখ্যামূলক তথ্যাবলি সংগ্রহ, শ্রেণিবিন্যাস ও সারণিকরণ করে।”


২৮। শিক্ষাক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের দুটি উপযোগিতা লেখো।

উঃ শিক্ষাক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের দুটি উপযোগিতা হল _-

(i) শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞানে পরীক্ষণ পদ্ধতির মূল বিষয়বস্তু হল শিক্ষার্থীর আচরণ। এক্ষেত্রে পূর্বগামী ঘটনার নিয়ন্ত্রণের কাজটি পরিসংখ্যানের প্রয়োগে যথার্থ কারণ নির্ণয় করা সম্ভব। হয়।

(ii) শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাথমিক ডেটা, মাধ্যমিক ডেটা এবং প্রান্ত ডেটা থেকে লব্ধ ফলের তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্লেষণে পরিসংখ্যানের অবদান অনস্বীকার্য।


২৯। পরিসংখ্যা বণ্টন (Frequency distribution) কী? অথবা, পরিসংখ্যা বিভাজন বলতে কী বোঝো?

উঃ পরিসংখ্যা বিভাজন হল একপ্রকার পরিসংখ্যানমূলক ছক, যা প্রাপ্ত স্কোরগুলির মানের ক্রম অনুসারে সজ্জিত করে একক স্কোরভিত্তিক বা শ্রেণিবন্ধ স্কোরভিত্তিক  মানের সাপেক্ষে তাদের পরিসংখ্যাগুলো উপস্থাপন করা হয়। যেমন-

স্কোর       পরিসংখ্যা

5                15

4                 8


৩০।পরিসংখ্যা বণ্টনের পদ্ধতিগুলি কী কী?

উঃ পরিসংখ্যা বণ্টনের পদ্ধতিগুলি হল- (i) একক স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন এবং (ii) শ্রেণিবন্ধ স্কোরভিত্তিক পরিসংখ্যা বণ্টন।


৩১। রাশিবিজ্ঞানে 'লেখচিত্র' কাকে বলে?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে বিন্যস্ত স্কোরগুলিকে সহজবোধ্য করে তোলার জন্য যে বিশেষ ধরনের চিত্রের সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হয়, তাকে লেখচিত্র বলা হয়।


৩২। যে-কোনো একটি লেখচিত্রের নাম লেখো যার সাহায্যে একটি পরিসংখ্যা বণ্টনকে পরিবেশন করা হয়

উঃ একটি পরিসংখ্যা বণ্টনকে পরিবেশন করা হয় এমন একটি লেখচিত্র হল- ছাত্রীদের শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বরের বণ্টন। 


৩৩। ‘আয়তলেখচিত্র’ বা ‘হিস্টোগ্রাম' (Histogram) কী?*

উঃ হিস্টোগ্রাম বা আয়তলেখচিত্র হল অনুভূমিক সরলরেখার উপর অঙ্কিত পাশাপাশি অবস্থিত একগুচ্ছ আয়তক্ষেত্র, যাদের প্রতিটির ক্ষেত্রফল অনুরূপ শ্রেণির পরিসংখ্যার সঙ্গে সমানুপাতিক।


 ৩৪। হিস্টোগ্রাম অঙ্কনের সময় কোন্ অক্ষে কী বসানো হয়?

উঃ হিস্টোগ্রাম অঙ্কনের সময় X অক্ষে প্রতিটি শ্রেণির নিম্নসীমা এবং Y অক্ষে পরিসংখ্যা বসানো হয়।


৩৫। পরিসংখ্যা বহুভুজ (Frequency Polygon) কাকে বলে?

উঃ পরিসংখ্যা বহুভুজ এক ধরনের রৈখিক লেখচিত্র, যেখানে পরিসংখ্যা বিভাজনের প্রত্যেক শ্রেণি ব্যবধানের মধ্যবিন্দুকে সংশ্লিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিসূচক বিন্দু ধরে নিয়ে ছক কাগজে স্থাপন করতে হয়। এইভাবে বিন্দুগুলি যোগ করলে যে বহুভুজ পাওয়া যায়, তাকে পরিসংখ্যা বহুভুজ বলা হয়।


৩৬। পরিসংখ্যা বহুভুজে X ও Y অক্ষের দৈর্ঘ্যের অনুপাত কত হওয়া দরকার?

উঃ পরিসংখ্যা বহুভুজে X ও Y অক্ষের দৈর্ঘ্যের অনুপাত 4:3 হওয়া দরকার। এই নিয়মকে বলে 75% Rule ।

 

৩৭। পরিসংখ্যা বহুভুজ (Frequency Polygon) ও আয়তলেখ (Histogram) এর একটি পার্থক্য উল্লেখ করো।

উঃ পরিসংখ্যা বহুভুজে পরিসংখ্যা বসানো হয় শ্রেণি ব্যবধানের মধ্যবিন্দুর উপর, অন্যদিকে আয়তলেখে পরিসংখ্যা বসানো হয় শ্রেণি ব্যবধানের প্রকৃত নিম্নসীমার উপর।


 ৩৮। রাশিবিজ্ঞানে মধ্যবিন্দু বা মধ্যমান কাকে বলা হয়?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে কোনো শ্রেণি ব্যবধানের মধ্যবর্তী মানকে বলা হয় ওই শ্রেণির মধ্যমান বা Mid Point


৩৯। কেন্দ্রীয় প্রবণতা (Central Tendency) কাকে বলে?

উঃ কেন্দ্রীয় প্রবণতা এমন একটি বিষয়, যা সাংখ্যমানের প্রতিনিধি হিসেবে অবস্থান করে। এক্ষেত্রে সমগ্র স্কোরগুলির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও তাদের কেন্দ্রের দিকে বা মাঝামাঝি জায়গাতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, তাকে বলে কেন্দ্রীয় প্রবণতা। 


৪০। "বিস্তৃতি' বা 'প্রসার' (Range) কী?'

উঃ কোনো রাশিমালার বন্টনের ক্ষেত্রে উচ্চস্কোর ও নিম্নস্কোরের মধ্যে যে পার্থক্য পাওয়া যায়, তাকে বলে বিস্তৃতি (Range)।


৪১। কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ (Measures of Central Tendency) বলতে কী বোঝো? নীচের পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় প্রবণতার কোন্ পরিমাপটি যথাযথ? (i) কোনো দলের প্রাপ্ত স্কোরের মধ্যবিন্দু নির্ধারণে. (II) কোনো দলের গড় সাফল্য নির্ধারণে।

উঃ কেন্দ্রীয় ধরণতার পরিমাপ: কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ হল একটি সংখ্যাগত পরিমাপ। এক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় মানের চারদিকে সমগ্র রাশিতথ্যমালার বিস্তৃতি থাকে। অর্থাৎ কোনো একক সাংখ্যমানকে একগুচ্ছ সাংখ্যমানের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

Or, একক সংখ্যামানকে যখন একগুচ্ছ সংখ্যা মানের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন তাকে বলা হয় কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ।

 প্রশ্নে উল্লিখিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় প্রবণতার দুটি পরিমাপই যথাযথ। 


৪২। কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের ক-টি পদ্ধতি বর্তমানে রয়েছে

উঃ কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের তিনটি পদ্ধতি বর্তমানে রয়েছে। এগুলি হল- (i) গড় বা Mean. (ii) মধ্যমমান বা Median, (iii) ভূষিষ্টক বা Mode


৪৩। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ কোনটি? 

উঃ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ হল গড়।


৪৪। 'গড়' কী?'

উঃ কেন্দ্রীয় প্রবণতার একটি বিশেষ পরিমাপ হল গড়, যেখানে স্কোরের মোট যোগফলকে মোট স্কোরসংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয়। 


৪৫। 'গড়' (Mean)-এর দুটি সুবিধা লেখো।

উঃ ‘গড়’-এর দুটি সুবিধা হল

(i)খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়। এক্ষেত্রে রাশিমালাকে সাজানোর প্রয়োজন হয় না।

 (ii)এটি নির্ণয় করার সময় যেহেতু রাশিমালার সমগ্র রাশিগুলিকে ব্যবহার করা হয়, তাই এটি অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রবণতার মান অপেক্ষা বেশি নির্ভরযোগ্য। 


৪৬। 'গড়'-এর দুটি অসুবিধা লেখো।

উঃ ‘গড়’-এর দুটি অসুবিধা হল--

(i) রাশিমালার সর্বোচ্চ মানের দ্বারা গড়ের মান প্রভাবিত হয়। 

(ii) কোনো একটি স্কোর অনুপস্থিত থাকলে গড় নির্ণয়েbঅসুবিধার সৃষ্টি হয়। 


৪৭। কল্পিত গড় কী?

উঃ অবিন্যস্ত স্কোরগুচ্ছ যখন বৃহৎ আয়তনের হয় অর্থাৎ যখন কোনো বন্টনে স্কোরের সংখ্যা অনেক হয় তখন স্কোরগুলির মধ্যে একটিকে কল্পিত গড় ধরে নিয়ে সেই গড়মান প্রত্যেক স্কোর থেকে বিয়োগ করা হয়। 

   অর্থাৎ যখন কোনো বন্টনে স্কোরের সংখ্যা অনেক, তখন এই স্কোরগুলির মধ্যে যে স্কোরটিকে অনুমেয় গড়মান ধরে, সেই গড়মানকে প্রত্যেক স্কোর থেকে বিয়োগ করা হয়, তাকে কল্পিত গড় বলা হয়। 


৪৮। 'চ্যুতি' কাকে বলে? 

উঃ প্রত্যেক স্কোর থেকে কল্পিত গড়ের বিয়োগফলকে চ্যুতি বলা হয়।


৪৯। নিম্নলিখিত শ্রেণি ব্যবধানটির মধ্যবিন্দু ও শ্রেণি দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো।

উঃ  70 - 79 শ্রেণি ব্যবধানটির মধ্যবিন্দু 74.5 এবং শ্রেণি দৈর্ঘ্য 79.5-69.5 = 10


৫০। 15-20 শ্রেণিটির মধ্যবিন্দু নির্ণয় করো।

উঃ 15-20 শ্রেণিটির মধ্যবিন্দু হল 17.5। 


৫১। মিনের সংক্ষিপ্ত সূত্রে C-এর অর্থ কী?*

উঃ মিনের সংক্ষিপ্ত সূত্রে C-এর অর্থ শুদ্ধিকরণ।


৫২। নিম্নলিখিত রাশিমালার গড় নির্ণয় করো : 

12, 8, 10, 5, 15, 20, 22

উঃ (12+8+10+5+15+20+22)÷ 7 = 13.14


৫৩। নিম্নলিখিত স্কোর শ্রেণি ব্যবধান দুটির মধ্যবিন্দু নির্ণয় করো:

 (i) 40 - 44, (ii) 110-119 

উঃ (i) 40 - 44 স্কোরের মধ্যবিন্দু হল- 42

(í) 110 - 119 স্কোরের মধ্যবিন্দু- 114.5


৫৪। মধ্যমমান বা মধ্যক কাকে বলে? অথবা, মিডিয়ান বলতে কী বোঝো? 

উঃ কেন্দ্রীয় প্রবণতা পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ পদ্ধতি হল মিডিয়ান বা মধ্যমমান বা মধ্যক। মধ্যমমান হল এমন একটি সাংখ্যমান, যা মানের উর্ধ্বক্রম বা নিম্নক্রম অনুসারে সাজালে বন্টনের স্কোরগুলিকে দুই ভাগে ভাগ করে।


৫৫।'মিডিয়ান' (Median)-এর দুটি ব্যবহার লেখ।

উঃ 'মিডিয়ান' (Median)-এর দুটি ব্যবহার হল 

(i) অসম্পূর্ণ বণ্টনের ক্ষেত্রে : যখন বন্টনটি অসম্পূর্ণ থাকে, তখন গড় নির্ণয় সম্ভব হয় না। সেই সময় Median ব্যবহৃত হয়।

(ii) প্রান্তীয় রাশির বিষমতা: প্রান্তীয় রাশিগুলির মধ্যে বিষমতা বেশি থাকলে Median ব্যবহৃত হয়।


৫৬। মোড (Mode) কাকে বলে?

উঃ রাশিবিজ্ঞানে কোনো পরিসংখ্যা বণ্টনে যে সংখ্যাটি সবথেকে বেশি বার থাকে, তাকে সেই পরিসংখ্যাটির মোড বা ভূষিষ্টক বলা হয়।

৫৭। True Mode কী?

উঃ প্রকৃত ভূষিষ্টক হল কোন বন্টনের বৃহত্তম কেন্দ্রীয় বিন্দু বা মান।


৫৮। Crude Mode কী?

উঃ কোন রাশিমালার যে শ্রেণীতে সর্বাধিক পরিসংখ্যা রয়েছে সেই শ্রেণীটি হলো ভূষিষ্টক শ্রেণি। এই শ্রেণীবিভাগের মধ্যমান হলো   Crude Mode বা অপরিশোধিত ভূষিষ্টক।


৫৯। মোড (Mode) এর দুটি ব্যবহার লেখ।

উঃ (i) স্কোরের অবস্থান বেশিবার জানতে: রাশিমালার মধ্যে কোন স্কোরটি বেশিবার অবস্থান করছে তা জানতে মোড(Mode) ব্যবহার করা হয়।

(ii) দ্রুত কেন্দ্রীয় মান জানতে: কোন বন্টনের কেন্দ্রীয় মান দ্রুত জানতে বা পরিমাপ করতে মোড (Mode) ব্যবহার করা হয়।

Read More

Sunday, 12 December 2021

HS শিক্ষাবিজ্ঞান ( Education) অধ্যায়: শিখন -- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

Leave a Comment

 শিক্ষা বিজ্ঞান ( Education)

            শিখন (Learning)

     দ্বাদশ শ্রেণী (Class xii) (wbchse)


অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (মান-1)


১। 'শিখন' কী?

  উঃ অনুশীলন প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রাণীর কোনো আচরণের পরিবর্তনের ঘটনাই হল 'শিখন'।

অথবা,  

যে মানসিক প্রক্রিয়া অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রগতিশীল আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ব্যক্তির দৈহিক ও মানসিক বিকাশ ঘটিয়ে তাকে পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে সার্থকভাবে অভিযোজনে সাহায্য করে, তাই হল শিখন।


২। ‘শিখন’-এর একটি কার্যকরী সংজ্ঞা দাও।

 উঃ সক্রিয় অনুশীলন, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের প্রভাবে প্রাণীর মানসিক ও বাহ্যিক আচরণের পরিবর্তন সাধিত হয় যে প্রক্রিয়ায় তাকে 'শিখন' বলে।   

৩।  আধুনিক অর্থে ‘শিখন' বলতে কী বোঝায়?

 উঃ  যে শিক্ষালব্ধ পদ্ধতিতে অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কর্ম সম্পাদনের ক্ষমতালাভের মাধ্যমে প্রাণীর মানসিক ও দৈহিক আচরণে উৎকর্ষতা আসে, সেই পদ্ধতিই ‘শিখন' নামে পরিচিত।


৪। মনোবিজ্ঞানী জে পি গিলফোর্ড ‘'শিখন'-এর কী সংজ্ঞা দিয়েছেন?

 উঃ মনোবিজ্ঞানী জে পি গিলফোর্ড-এর মতে, “Learning is change in behaviour resulting from behaviour.” অর্থাৎ ‘শিখন’ হল আচরণ থেকে ফলজাত আচরণের পরিবর্তন প্রক্রিয়া। 


৫। থর্নডাইক ‘শিখন’ সম্বন্ধে কী বলেছেন? 

 উঃ মনোবিদ থর্নডাইক বলেছেন, 'শিখন' হল উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে যথার্থ ও কার্যকরী সম্বন্ধ স্থাপনের প্রক্রিয়া।


৬। ম্যাকডুগালের মতে ‘শিখন' কী?

 উঃ মনোবিদ ম্যাকডুগালের মতে, উদ্দেশ্যসাধনের উপযোগী উপায় নির্বাচনের ক্ষমতা অর্জন করাই হল শিখন।


৭। শিখনের প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উঃ শিখনের প্রধান বৈশিষ্ট্য দুটি হল-

 ১) শিখন প্রক্রিয়া উদ্দেশ্যমুখী ও ক্রমবিকাশমান।

২) শিখন পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন করতে সহায়তা করে। 


৮। মনোবিদ রবার্ট এম গ্যাগনের মতানুসারে শিখনের শ্রেণিবিভাগ করো।

উঃ মনোবিদ রবার্ট এম গ্যাগনের মতানুসারে শিখনকে ৮টি ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল- 

(i)সংকেত শিখন,  (ii) উদ্দীপক-প্রতিক্রিয়া শিখন, (iii)সমস্যাসমাধানমূলক শিখন, (iv) ভাষাগত সংযোগসাধনমূলক শিখন, (v) শৃঙ্খলিতকরণ শিখন, (vi)ধারণা শিখন, (vii) নিয়ম শিখন এবং (viii) বৈষম্যমূলক শিখন।


৯। গ্যাগনের কোন গ্রন্থে শিখনের আটটি প্রকারের উল্লেখ পাওয়া যায়?

উঃ রবার্ট গ্যাগনে তাঁর The Conditions of Learning গ্রন্থে আট প্রকারের শিখনের উল্লেখ করেছেন।


১০। গ্যাগনের শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী সব থেকে উচ্চ পর্যায়ের শিখন কোন্‌টি? 

উঃ গ্যাগনের শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী সবথেকে উচ্চ পর্যায়ের শিখন হল সমস্যাসমাধানমূলক শিখন।


১১। 'প্রজ্ঞামূলক শিখন' কাকে বলে? 

উঃ যখন কোনো ব্যক্তির জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে শিখন সাধিত হয় তখন ওই শিখনকে বলা  'প্রজ্ঞামূলক শিখন'।


১২। দক্ষতামূলক শিখন' কী?

উঃ যে শিখনের দ্বারা ব্যক্তির দক্ষতা বা সামর্থ্যের বিকাশ ঘটে, তাকে দক্ষতামুলক শিখন বলে।


১৩। প্রক্ষোভমূলক শিখন' বলতে কী বোঝো?

উঃ শিশুর মধ্যে আদর্শগত প্রক্ষোভ গঠনের জন্য যে শিখন কার্য পরিচালিত হয়, তাকে প্রক্ষোভ মূলক শিখন বলে।


 ১৪। নৈতিক শিখন' বলতে কী বোঝো?

উঃ শিক্ষার্থীর চারিত্রিক সংগঠন ও মূল্যবোধের বিকাশের জন্য যে শিখন প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়, তাকে ‘নৈতিক শিখন' বলে।


১৫। 'দেহসঞ্চালনগত শিখন' কাকে বলে?

উঃ যে শিখন প্রক্রিয়ার দ্বারা শিশুর দেহসঞ্চালন ক্রিয়ার পরিবর্তন ও ক্রমোন্নয়ন ঘটে, সেই শিখন প্রক্রিয়াকে 'দেহসঞ্চালনগত শিখন' বলা হয়। 


১৬। স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র কোন্ শিখনকে নিয়ন্ত্রিত করে?

উঃ স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র স্মৃতিমূলক শিখন বা স্মরণক্রিয়ার দ্বারা শিখনকে নিয়ন্ত্রিত করে।


১৭। স্মৃতি' বা 'স্মরণক্রিয়া' কাকে বলে?

উঃ যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা পূর্বার্জিত ও সংরক্ষিত অভিজ্ঞতাকে প্রয়োজনমতো যথার্থ সময়ে সঠিক স্থানে স্মরণ করা যায়, সেই মানসিক প্রক্রিয়াকেই ‘স্মৃতি' বা 'স্মরণক্রিয়া' বলা হয়।


১৮। 'বিস্মৃতি' কী?

উঃ স্মৃতির অভাবই হল 'বিস্মৃতি'। এটি স্মরণক্রিয়ার বিপরীত একটি প্রক্রিয়া। এর সাধারণ অর্থ কোনো বিষয় ভুলে যাওয়া।


১৯। শিখনের পর্যায় বা স্তরগুলি কী কী?

 উঃ শিখনের স্তর বা পর্যায়গুলি হল তিন প্রকার। যথা- অভিজ্ঞতা অর্জন, সংরক্ষণ এবং পুনরুত্থাপন। এই শেষ পর্যায়টিকে অর্থাৎ পুনরুত্থাপনকে আবার দুটি স্তরে বিন্যস্ত করা হয়। যথা- পুর্নরুদ্রেক ও প্রত্যভিজ্ঞা। 


২০। সংরক্ষণ বা ধারণ বলতে কী বোঝো?

উঃ সংরক্ষণ' বা 'ধারণ' হল এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বাইরে থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে দীর্ঘকাল ধরে স্মৃতিতে ধরে রাখা যায় বা মনে রাখা যায়।


২১। পুনরুদ্রেক ও প্রত্যভিজ্ঞার মধ্যে প্রভেদ কোথায়?

উঃ যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা পূর্বে অর্জিত অভিজ্ঞতা সংরক্ষণের স্তর থেকে মানুষের চেতনায় আসে অর্থাৎ কোনো পুরোনো কথা মানুষের মনে পড়ে, তাকেই 'পুনরুদ্রেক' বলা হয়। অন্যদিকে, পূর্বে অর্জিত অভিজ্ঞতা যখন মানুষের সামনে কোনো মূর্ত প্রতিরূপের সাহায্যে পুনরুত্থাপিত হয়, তখন তাকে 'প্রত্যভিজ্ঞা' বলা হয়। 'প্রত্যভিজ্ঞা' কথার অর্থ হল পূর্ব অভিজ্ঞতাকে প্রত্যক্ষ করা বা চিনে নেওয়া। 


২২। পুনরুদ্রেক প্রক্রিয়াটির সঙ্গে কোন্ তিনটি বিষয় বিশেষভাবে যুক্ত? 

উঃ পুনরুদ্রেক প্রক্রিয়াটির সঙ্গে যে তিনটি বিষয় বিশেষভাবে যুক্ত, সেগুলি হল-  সান্নিধ্যের সূত্র, সাদৃশ্যের সূত্র এবং বৈসাদৃশ্যের সূত্র। 


২৩। সান্নিধ্যের সূত্রটি কী?

উঃ যে সূত্রের কারণে পুনরুদ্রেকের ক্ষেত্রে একটি ঘটনা আর-একটি ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়, তাকে সান্নিধ্যের সূত্র' বলা হয়।


২৪। সাদৃশ্যের সূত্রটি লেখো।

উঃ পুনরুদ্রেকের ক্ষেত্রে সাদৃশ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুটি বিষয়ের মধ্যে সাদৃশ্য থাকলে একটি মনে করলে অপরটিও মনে পড়ে যায়। একেই ‘সাদৃশ্যের সূত্র' হিসেবে ধরা হয়। 


২৫  বৈসাদৃশ্যের সূত্রটি কী?

উঃ পুনরুদ্রেকের ক্ষেত্রে বৈসাদৃশ্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুটি বিষয়ের মধ্যে বৈসাদৃশ্য থাকলে একটি মনে করলে অপরটিও মনে পড়ে যায়। একেই 'বৈসাদৃশ্যের সুত্র' ধরা হয়।


২৬। 'শিখন'-এর সংযোজনবাদী তত্ত্বের প্রবক্তা কে?

উঃ থর্নডাইক। 


২৭। 'শিখন'-এর গেস্টান্ট তত্ত্বের মূল দুজন প্রবক্তা কে ছিলেন?

উঃ 'শিখন'-এর গেস্টান্ট তত্ত্বের মূল দুই প্রবক্তা হলেন ম্যাক্স ওয়ারদাইমার এবং কফকা।


২৮। প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক কে? 

উঃ প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক হলেন মনোবিদ আইভান প্যাভলভ।


 ২৯। সক্রিয় অনুবর্তনের উদ্ভাবন করেন কে?

উঃ সক্রিয় অনুবর্তনের উদ্ভাবক হলেন মনোবিদ বি এফ স্কিনার।


৩০। 'শিখন'-এর মাত্রা কার উপর নির্ভর করে? 

উঃ ‘শিখন’-এর মাত্রা নির্ভর করে প্রচেষ্টার সংখ্যার উপর। প্রচেষ্টার সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, শিখনের হারও তত বৃদ্ধি পাবে। 


৩১। শিখন'-এর প্রকৃতি কীসের মাধ্যমে প্রকাশ পায় ?

উঃ ‘শিখন’-এর প্রকৃতি প্রকাশ পায় পরিণমনের মাধ্যমে। 


৩২। ‘শিখন'-এর দুটি সহজ উপায় লেখো।

উঃ শিখনের পদ্ধতিগুলির মধ্যে দুটি সহজ উপায় হল - আবৃত্তি পদ্ধতি এবং অর্থ অনুধাবন করে পাঠের পদ্ধতি।


৩৩। শিক্ষার্থীর শিখনে শিক্ষকের প্রধান ভূমিকা কী?

উঃ শিক্ষার্থীর শিখনে শিক্ষকের প্রধান ভূমিকা হল- শিক্ষার্থী শিখনকার্যকে সহজ করে তোলা বা facilitate করা; যার অর্থ হল to make a process easier. 


৩৪। 'Survey-Q-3R'  কী?

উঃ কোনো পাঠ্য বিষয়বস্তু মুখস্থ করার ক্ষেত্রে অধ্যাপক ফ্রান্সিস পি রবিনসন যে নিয়ম উদ্ভাবন করেছেন, তাকে 'Survey Q-3R' বলা হয়। এর সম্পূর্ণ কথাটি হল- Survey, Question, Read Recite, Review। অর্থাৎ কোনো বিষয়কে সহজে আয়ত্ত করার জন্য পর্যবেক্ষণ, প্রশ্নকরণ, পঠনপাঠন, আবৃত্তি পাঠ ও পর্যালোচনার প্রয়োজন।


৩৫। 'শিখন' ও 'শিক্ষণ'-এর মধ্যে মূল পার্থক্য কোথায়? 

উঃ 'শিখন' হল ব্যক্তির নিজের ও সমাজের কল্যাণসাধনের উদ্দেশ্যে কোনো বিষয়কে আয়ত্ত করা বা শেখা। আর 'শিক্ষণ' হল ব্যক্তির সহজাত সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জ্ঞান প্রদান করা অর্থাৎ শিক্ষাদান।


৩৬। শিখন'-এর উপাদানগুলি কী কী? অথবা, 'শিখন' কী কী বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হয়? 

উঃ শিখনের উপাদানগুলি হল পরিণমন, প্রেষণা, আগ্রহ, মনোযোগ ও সামর্থ্য। এই বিষয়গুলিই শিখনকে প্রভাবিত করে।


৩৭। 'পরিণমন' কী?

উঃ ‘পরিণমন' হল এমন একটি স্বাভাবিক জৈবিক বিকাশের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে প্রাণীর জন্মগত সম্ভাবনাগুলির স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ ঘটে এবং সেইসঙ্গে তার আচরণের গুণগত ও পরিমাণগত উভয় ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়।

অথবা,

পরিণমন হল জন্মগত একটি স্বাভাবিক আচরণ পরিবর্তনের জৈবিক প্রক্রিয়া, যার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘটে থাকে।


 ৩৮। মনোবিদ ম্যাকগিয়ক ‘পরিণমন'-এর সংজ্ঞায় কী বলেছেন?

উঃ মনোবিদ ম্যাকগিয়ক-এর মতে, অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জৈবিক কারণে শিশুর আচরণ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া হল 'পরিণমন'।


৩৯। পরিণমনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।”

উঃ পরিণমনের দুটি বৈশিষ্ট্য হল – (ক) পরিণমন একটি স্বাভাবিক বিকাশ প্রক্রিয়া এবং (খ) পরিণমনের ফলে ব্যক্তির দৈহিক আচরণের পরিবর্তন ঘটে।


৪০। শিখন ও পরিণমনের দুটি সাদৃশ্য লেখো। শিখন ও পরিণমনের দুটি উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য হল

উঃ (i) শিখন ও পরিণমন উভয়ই ব্যক্তিনির্ভর প্রক্রিয়া। (ii) শিখন ও পরিণমন উভয়ই ব্যক্তির আচরণে পরিবর্তন ঘটায়।


 ৪১। শিখন ও পরিণমনের একটি পার্থক্য লেখো। 

উঃ শিখন ও পরিণমনের একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হল শিখন একটি অনুশীলননির্ভর কৃত্রিম প্রক্রিয়া; কিন্তু পরিণমন একটি স্বাভাবিক জৈবিক বিকাশের প্রক্রিয়া।


৪২।  'প্রেষণা' কী?' 

উঃ 'প্রেযণা' হল এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যা ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ কর্মউদ্দীপনাকে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য তার মধ্যে একটি তাগিদ সৃষ্টি করে এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।

অথবা,

প্রেষণা হল এমন এক মানসিক প্রক্রিয়া যা ব্যক্তির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কর্মোদ্দীপনা জাগ্রত করে এবং বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও সেটিকে নিয়ন্ত্রিত পথে পরিচালনার মাধ্যমে লক্ষ্যের অভিমুখে নিয়ে যায়।


৪৩।  'প্রেষণা' শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে?

উঃ 'প্রেষণা' শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হল 'Motivation'। এই শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'Moveers' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'to move' অর্থাৎ 'চলনক্রিয়া'। 


৪৪। 'প্রেষণা চক্র' বলতে কী বোঝায়? অথবা, প্রেষণা চক্রের চারটি ধাপ কী কী? 

উঃ যে স্তরগুলি অতিক্রম করলে বা যে স্তরগুলি চক্রাকারে আবর্তিত হলে প্রেষণা সৃষ্টি হয়, সেই স্তরগুলির এই আবর্তনকে 'প্রেষণা চক্র' বলা হয়। প্রেষণা চক্রের মূল চারটি স্তর হল— চাহিদা, তাড়না, উদ্দেশ্যমুখী আচরণ এবং উদ্দেশ্যপুরণ।


৪৫। প্রেষণা চক্রের প্রথম ও শেষ স্তরগুলি কী কী?

উঃ প্রেষণা চক্রের প্রথম স্তর হল চাহিদা বা অভাববোধ এবং শেষ স্তর হল উদ্দেশ্যপুরণ।


৪৬। প্রেষণার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ প্রেষণার দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল—(i) শিখনে আগ্রহ বুদ্ধি করে এবং (ii) লক্ষ্যাভিমুখী আচরণ নির্দিষ্ট করে। 


৪৭। প্রেষণার শ্রেণিবিন্যাস করো।

উঃ প্রেষণাকে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা— জৈবিক প্রেষণা, ব্যক্তিগত বা মানসিক প্রেষণা এবং সামাজিক প্রেষণা


৪৮। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টিতে শিক্ষকের কী কী কর্তব্য পালন করা উচিত?

উঃ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেষণা সৃষ্টির জন্য শিক্ষকের উচিত তাদের কর্মোদ্যোগী করে তোলা, প্রশংসার মাধ্যমে নতুন কাজে উৎসাহ দান করা, তাদের সফলতার জন্য পুরস্কার প্রদান করা ইত্যাদি।


৪৯। প্রেষণা হ্রাসের দুটি কারণ উল্লেখ করো।

উঃ প্রেষণা হ্রাসের দুটি কারণ হলো -- (i) কৌতুহল বা অনুরাগ এর অভাব এবং (ii) চাহিদা পূরণ না হওয়া।


৫০। মনোযোগ কী?

উঃ যে মানসিক প্রক্রিয়া ব্যক্তির চেতনার পরিধিকে সংকীর্ণ করে, তাকে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কেন্দ্রীভূত করে সেই মানসিক প্রক্রিয়া কে মনোযোগ বলে।


৫১। মনোযোগের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উঃ মনোযোগের একটি বৈশিষ্ট্য হল -- মনোযোগ একটি নির্বাচনধর্মী প্রক্রিয়া।


৫২। মনোযোগ এর মূল শর্ত বা নির্ধারকগুলি কী কী?

উঃ মনোযোগ এর মূল শর্ত বা নির্ধারক গুলি হল -- (i) বিষয়কেন্দ্রিক বা বস্তুগত শর্ত (ii) মনোগত শর্ত য়এবং (iii) দৈহিক বা বাহ্যিক শর্ত।


৫৩। মনোযোগের বিষয়কেন্দ্রিক শর্তগুলি কী কী?  অথবা মনোযোগের দুটি বস্তুগত নির্ধারকের নাম লেখ।

উঃ মনোযোগের বিষয়কেন্দ্রিক শর্তগুলি হল--- তীব্রতা, আকৃতি, পুনরাবৃত্তি, নতুনত্ব, গতিশীলতা, বৈপরীত্য ইত্যাদি।


৫৪। মনোযোগের মনোগত শর্তগুলি কী কী? অথবা মনোযোগের একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক এর নাম লেখ

উঃ মনোযোগের মনোগত শর্তগুলি হল -- আবেগ, অভ্যাস, আগ্রহ, প্রক্ষোভ, মানসিক প্রবণতা, আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি।


৫৫। মনোযোগের দৈহিক শর্ত গুলি কী কী? 

উঃ মনোযোগের দৈহিক শর্তগুলি হল --ইন্দ্রিয়সমূহের বিশেষ অবস্থা, আচরণের পরিবর্তন, ব্যক্তিগত বিশেষত্ব ইত্যাদি।


৫৬। মনোযোগ এর বিস্তারমাপক যন্ত্র টির নাম কী?

উঃ মনোযোগের বিস্তার মাপক যন্ত্র টির নাম ট্যাচিসটোস্কোপ ( Tachistoscope)।


৫৭। কোন যন্ত্রের সাহায্যে শ্রবণগত মনোযোগ এর বিস্তার মাপা হয়?

উঃ মেট্রোনোম (Metronome) নামক যন্ত্রের সাহায্যে শ্রবণ গত মনোযোগের বিস্তার পরিমাপ করা হয়।


৫৮। আগ্রহ বা অনুরাগ কী?

উঃ আগ্রহ বা অনুরাগ হল বাস্তব বা কাল্পনিক কোনো বস্তু, ঘটনা বা অবস্থার প্রতি এক বিশেষ কৌতূহল, অনুভূতি, যা ব্যক্তিকে ওই বিষয়টি সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করে ও তাকে মনোযোগী করে তোলে।


৫৯। 'আগ্রহ' বা 'Interest' শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে? 

উঃ ‘আগ্রহ’-এর ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Interest’ একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হল ‘it concerns' or 'it matters'


 ৬০। কোন্ মনোবিদ আগ্রহকে ‘সুপ্ত মনোযোগ’ বলেছেন?

উঃ মনোবিদ ম্যাকডুগাল আগ্রহকে ‘সুপ্ত মনোযোগ’ বলেছেন। 


৬১। আগ্রহের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। অথবা, আগ্রহের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।”

উঃ আগ্রহের দুটি বৈশিষ্ট্য হল— (i) আগ্রহ একটি অনুভূতিনির্ভর প্রক্রিয়া এবং (ii)মনোযোগের পূর্ব শর্ত বা প্রাথমিক শর্তই হল আগ্রহ।


৬২। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বটি প্রথম কত খ্রিস্টাব্দে, কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?

উঃ স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বটি প্রথম ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে 'আমেরিকান জার্নাল অফ সাইকোলজি'-তে প্রকাশিত হয়।


৬৩। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতার তত্ত্বটি কী নামে পরিচিত এবং এটি কোন্ প্রবন্ধাকারে প্রকাশ পায়।

উঃ স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতার তত্ত্বটি 'দ্বি-উপাদান তত্ত্ব' নামে পরিচিত এবং এটি 'General Intelligence Objectively Determined and Measured' নামক প্রবন্ধাকারে প্রকাশ পায়।

 

৬৪। সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বলতে কী বোঝো? অথবা, স্পিয়ারম্যানের দ্বি-উপাদান তত্ত্বে g উপাদান বলতে কী বোঝো? 

উঃ যে মানসিক ক্ষমতা জন্মগত ও সহজাত এবং যে-কোনো কাজেই কমবেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে, তাকে সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বলে। স্পিয়ারম্যান তাঁর তত্ত্বে এই ক্ষমতাকে 'G-factor' বা g-উপাদান বলে উল্লেখ করেছেন। 


৬৫। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বে উল্লিখিত সাধারণ উপাদানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বে উল্লিখিত সাধারণ উপাদানের দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল -- (i) সাধারণ উপাদান হল জন্মগত ও (ii) এই উপাদান সর্বজনীন।


৬৬। বিশেষ মানসিক ক্ষমতা কী?*

উঃ যখন কোনো একটি কাজের জন্য ব্যক্তির সাধারণ মানসিক ক্ষমতার পাশাপাশি কোনো বিশেষ সামর্থ্যের প্রয়োজন হয়। এবং ওই কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে তা ব্যবহৃত হয় না, তাকে 'বিশেষ মানসিক ক্ষমতা' বলে। স্পিয়ারম্যান তাঁর তত্ত্বে এই ক্ষমতাকে 'S-factor' বলেছেন। 


৬৭। বিশেষ ক্ষমতার যে-কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ বিশেষ ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য দুটি বৈশিষ্ট্য হল – (i) বিশেষ উপাদানের সংখ্যা একাধিক এবং (ii)বিশেষ উপাদান ব্যক্তিকেন্দ্রিক।


 ৬৮। সাধারণ মানসিক ক্ষমতার সঙ্গে বিশেষ মানসিক ক্ষমতার দুটি পার্থক্য দেখাও। 

উঃ (i)সাধারণ মানসিক ক্ষমতা একটি সর্বজনীন ক্ষমতা; কিন্তু বিশেষ মানসিক ক্ষমতা বিশিষ্ট ক্ষমতা, সর্বজনীন নয়।

(ii) সাধারণ মানসিক ক্ষমতা জন্মগত; আর বিশেষ মানসিক ক্ষমতা অর্জিত।


৬৯। 'সহগতি' বলতে কী বোঝো?

উঃ রাশিবিজ্ঞানের ভাষায়, দুই বা ততোধিক চলের মধ্যে শিখন পারস্পরিক যে সম্বন্ধ, তাকেই 'সহগতি' বলা হয়। যেমন বৃষ্টি ও জলস্তর হ্রাসবৃদ্ধির সম্বন্ধ। 


৭০। ‘শূন্য সহগতি' কাকে বলে? 

উঃ যখন দুটি পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত চলরাশির একটির হ্রাস বা বৃদ্ধি অপরটির উপর কোনো প্রভাব ফেলে না, তখন ওই দুটি চলের মধ্যে যে সম্বন্ধ থাকে, তাকে 'শূন্য সহগতি' বলা হয়। যেমন- কোনো ব্যক্তির বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্র বিদ্যুৎ চলে যাওয়া।


৭১।  'সহগতির সহগাঙ্ক' বলতে কী বোঝায়?

উঃ যে সাংখ্যমান দ্বারা দুটি পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত চলরাশির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়, তাকে 'সহগতির সহগাঙ্ক' বলে। সহগতির সহগাঙ্ককে স্পিয়ারম্যান তাঁর তত্ত্বে 'r' দ্বারা প্রকাশ করেছেন। 


৭২। টেট্রাড সমীকরণের ক্ষেত্রে r, a, b, p. q-এর মাধ্যমে কোন্ কোন্ বিষয়কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে? 

অথবা, স্পিয়ারম্যানের টেট্রাড সমীকরণে ‘r' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ টেট্রাড সমীকরণের ক্ষেত্রে 'r' হল সহগতির সহগাঙ্ক, 'a' হল বৈপরীত্য, ‘b’ হল পার্থক্যকরণ, 'p' হল সম্পূর্ণকরণ এবং 'q' হল বাতিলকরণ।


৭৩। প্রাথমিক বা দলগত উপাদান তত্ত্বটি কবে, কোন্ গ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত হয়?

উঃ প্রাথমিক বা দলগত উপাদান তত্ত্বটি ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে 'The Nature of Intelligence' গ্রন্থে প্রথম প্রকাশিত হয়।


৭৪। থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বে ক-টি মৌলিক সামর্থ্যের উল্লেখ পাওয়া যায় ও কী কী? অথবা,  তত্ত্ব অনুযায়ী যে-কোনো দুটি প্রাথমিক মানসিক ক্ষমতার নাম লেখো।" 

উঃ  থার্স্টোনের দলগত উপাদান তত্ত্বে সাতটি মৌলিক সামর্থ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। 

সেগুলি হল- (i)আঙ্কিক বা সংখ্যাগত সামর্থ্য বা N. (ii) স্থানগত সম্বন্ধ নির্ণয়ের সামর্থ্য বা S (iii) স্মৃতি বা স্মরণক্রিয়ার সামর্থ্য বা M. (iv) বাচনিক সামর্থ্য বা V. (v) নির্ভুল প্রত্যক্ষণের সামর্থ্য বা P,  (vi) যুক্তি বা বিচারক্ষমতার সামর্থ্য বা R এবং (vii) উপযুক্ত বাক্য বা শব্দ ব্যবহারের সামর্থ্য বা W।


 ৭৫। থার্স্টোনের বহু উপাদান তত্ত্বে 's' বলতে কী বোঝানো হয়?

উঃ থার্স্টোনের বহু উপাদান তত্ত্বে 's' বলতে স্থানগত নির্ণয়ের সামর্থ্যকে বোঝানো হয়।


৭৬। স্পিয়ারম্যানের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্ব ও থার্স্টোনের মানসিক ক্ষমতা সংক্রান্ত তত্ত্বের মধ্যে দুটি পার্থক্য ব্যক্ত করো।

উঃ দ্বি-উপাদান তত্ত্ব ও দলগত উপাদান তত্ত্বের পার্থক্যগুলি নিম্নরূপ :

 (i) দ্বি-উপাদান তত্ত্বে দুটি মানসিকক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দলগত উপাদান তত্ত্বে  সাতটি প্রাথমিক ক্ষমতা বা উপাদানের কথা বলা হয়েছে।

(ii) দ্বি-উপাদান তত্ত্বে  জন্মগত ও  অর্জিত উভয় ধরনের মানসিক ক্ষমতাই কার্যকরী হয়।  কিন্তু দলগত উপাদান তত্ত্বের প্রতিটি মানসিক ক্ষমতা জন্মগত।


৭৭। কত খ্রিস্টাব্দে কোন বইতে মনোবিদ গার্ডেনার তার সাতটি বুদ্ধির কথা প্রচার করেন?

উঃ ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে 'Theory of Intelligence নামক বইতে মনোবিদ গার্ডেনার তাঁর সাতটি বুদ্ধির কথা প্রচার করেন।


৭৮। 'কার্যকরী বুদ্ধি’ বলতে কী বোঝো? 

উঃ দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবমুখী কাজ করার ক্ষমতা বা সামর্থ্যকেই অনেক মনোবিদ 'কার্যকরী বুদ্ধি’ বলেছেন।


৭৯। বুদ্ধির একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ বুদ্ধির একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল- বুদ্ধি হল ব্যক্তির একটি সহজাত বা মৌলিক ক্ষমতা, যা অনুশীলন দ্বারা কার্যকরী হয়ে থাকে। 


৮০। বুদ্ধির অভীক্ষা কী?*

উঃ বুদ্ধি পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত কৌশলগুলিকে বুদ্ধির অভীক্ষা বলা হয়। 


৮১।  বুদ্ধ্যঙ্ক কী?

উঃ বুদ্ধ্যঙ্ক হল কোনো ব্যক্তির বুদ্ধির মান নির্দেশক একক। কোনো ব্যক্তির বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয়ের জন্য তার মানসিক বয়স ও তার জন্মবয়সের অনুপাত নির্ণয় করা প্রয়োজন।


৮২।  বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয়ের সমীকরণটি লেখো।” 

উঃ বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয়ের সমীকরণটি হল

                মানসিক বয়স

বুদ্ধ্যঙ্ক =    -------------------            x 100

                     জন্মবয়স


[ বুদ্ধ্যঙ্কের মান যাতে ভগ্নাংশে না হয়, সেজন্য এই অনুপাতকে 100 দিয়ে গুণ করতে হয়।]


৮৩। বুদ্ধ্যঙ্ক বা Intelligence Quotient-এর উদ্ভাবক কে?

উঃ বুদ্ধ্যঙ্ক বা Intelligence Quotient বা IQ-এর উদ্ভাবক ছিলেন মনোবিদ উইলিয়ম স্টার্ন।


৮৪। বুদ্ধির বাছাই তত্ত্ব বা Sampling Theory-এর প্রবক্তা হলেন।

উঃ মনোবিদ থম্পসন।














Read More

Wednesday, 8 December 2021

HS Philosophy (WBCHSE) নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তর ও তার ব্যাপ্যতা

Leave a Comment

  নিম্নলিখিত বাক্যগুলিকে নিরপেক্ষ বচনে রূপান্তরিত কর এবং সেই বচনগুলির কোন্ কোন্ পদ ব্যাপ্য বা অব্যাপ্য তা লিখ।


১। কেবলমাত্র পরিশ্রমী ব্যক্তিরাই সফল হয়।

L.F. : A - সকল সফল ব্যক্তি হয় পরিশ্রমী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'সকল ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পর পরিশ্রমী অব্যাপ্য।


২। প্রায় সমস্ত প্রার্থীই শিক্ষিত।

L.F. : I. কোন কোন প্রার্থী হয় শিক্ষিত।

এই বচনটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় যথাক্রমে 'প্রার্থী' ও 'শিক্ষিত' কোন পদই ব্যাপ্য নয়।


৩। কোন কুকুর বিড়াল নয়।

L.F. : E - কোন কুকুর নয় বিড়াল।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'কুকুর' এবং বিধেয় পদ 'বিড়াল' উভয়ই ব্যাপ্য। 


৪। অধিকাংশ ছাত্র অঙ্কে ভাল নয়।

L.F. : O - কোন কোন ছাত্র নয় ছাত্র যারা অঙ্কে ভাল। 

এই বচনটির বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা অঙ্কে ভাল’ ব্যাপ্য কিন্তু উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র' ব্যাপ্য নয়।


৫। সবুজ হাতি নেই।

L.F. : E - কোন হাতি নয় সবুজ প্রাণী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'হাতি' এবং বিধেয় পদ ‘সবুজ প্রাণী'—এই দুটি পদই ব্যাপ্য।


৬। ধার্মিক ব্যক্তিরা একান্তভাবে ভাল লোক।

L.F. : A- সকল ধার্মিক ব্যক্তি হন ভালো লোক।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'ধার্মিক ব্যক্তি' ব্যাপ্য কিন্তু বিধেয় পদ 'ভাল লোক' অব্যাপ্য।


৭। লক্ষ্ণৌ উত্তরপ্রদেশের রাজধানী। 

L.F. : A- লক্ষ্ণৌ হয় উত্তরপ্রদেশের রাজধানী।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'লক্ষ্ণৌ' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘উত্তরপ্রদেশের রাজধানী' অব্যাপ্য।


 ৮। কখনও প্রতারণা করো না।

L.F. : E - তোমার প্রতারণা করা নয় আমার অভিপ্রেত। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার প্রতারণা করা' ব্যাপ্য, এবং বিধেয় পদ ‘আমার অভিপ্রেত'ও ব্যাপ্য।


৯। সব লোক সৎ নয়।

L.F. : 0 - কোন কোন লোক নয় সৎ।

এই বচনটির উদ্দেশ্য পদ 'লোক' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সং' ব্যাপ্য।


১০। দীর্ঘদিন বেঁচে থেকো।

L.F. : A - তোমার দীর্ঘদিন বেঁচে  থাকা হয় আমার কামনা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা' ব্যাপ্য আর বিধেয় পদ 'আমার কামনা অব্যাপ্য।


১১। কখনও কখনও মানুষ দিশেহারা। 

L.F. : I - কোন কোন মানুষ হয় দিশেহারা। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' ও বিধেয় পদ 'দিশেহারা' উভয়ই অব্যাপ্য।


১২। কয়েকটি ছাত্রী ছাড়া আর সকল ছাত্রীই কৃতকার্য হয়েছে।

L.F. : I - কোন কোন ছাত্রী হয় এমন যারা কৃতকার্য হয়েছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্রী' অব্যাপ্য এবং বিধেয় পদ 'এমন যারা কৃতকার্য হয়েছে' অব্যাপ্য। 


১৩। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে।

L.F. : A - পৃথিবী হয় একটি গ্রহ যা সূর্যের চারদিকে ঘোরে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'পৃথিবী' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'একটি গ্রহ যা সূর্যের চারিদিকে ঘোরে' অব্যাপ্য


১৪। বিশ্বাস টিকে থাকে।

L.F. : A - বিশ্বাস হয় বিষয় যা টিকে থাকে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বিশ্বাস' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘বিষয়' যা টিকে থাকে' অব্যাপ্য। 


১৫। কলেরা রোগ অনেক সময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে।

L.F. : I - কোন কোন কলেরা রোগ হয় এমন যা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ উভয়ই অব্যাপ্য।


১৬। বাঙালীরা আবেগপ্রবণ।

L.F. : I - কোন কোন বাঙালী হয় আবেগপ্রবণ।

 এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বাঙালী' ও বিধেয় পদ 'আবেগপ্রবণ' উভয়ই অব্যাপ্য।


১৭। ছাত্ররা মাঝে মাঝে ঠিক পথে চলে না।

  L.F. : O - কোন কোন ছাত্র নয় ছাত্র যারা ঠিক পথে চলে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা ঠিক পথে চলে' ব্যাপ্য।


১৮। কলহপ্রিয়তা কখনও ভালো গুণ নয়। 

 L.F. : E - কলহপ্রিয়তা নয় ভালো গুণ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'কলহপ্রিয়তা' ও বিধেয় পদ 'ভালো গুণ'-—উভয়ই ব্যাপ্য। 


১৯। যে কোন লোক এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে।

L.F. : A -  সকল লোক হয় ব্যক্তি যারা এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পারে। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'লোক' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি পারে' অব্যাপ্য।


২০। ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। 

L.F. : I - কোন কোন ঘর পোড়া গরু হয় এমন গরু যারা সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়।

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় কোন পদই ব্যাপ্য নয়, অর্থাৎ অব্যাপ্য।


 ২১। দুই-এ দুই-এ চার হয়।

L.F. : A -  সকল দুই ও দুই-এর যোগফল হয় চার।

এখানে উদ্দেশ্য 'দুই ও দুই এর যোগফল ব্যাপ্য, বিধেয় 'চার' অব্যাপ্য।


২২। সব কথা বলার যোগ্য নয়।

L.F. : O -  কোন কোন কথা নয় বলার যোগ্য।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'কথা' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘বলার যোগ্য' ব্যাপ্য। 


২৩। বুদ্ধদেব ধ্যানমগ্নতার প্রতীক। 

L.F. : A -  বুদ্ধদেব হন ধ্যানমগ্নতার প্রতীক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'বুদ্ধদেব' ব্যাপ্য এবং বিধেয় পদ ‘ধ্যানমগ্নতার প্রতীক' অব্যাপ্য।


২৪। প্রত্যেক সৈনিক দেশপ্রেমিক। 

L.F. : A -  সকল সৈনিক হন দেশপ্রেমিক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'সৈনিক' ব্যাপ্য, বিধেয় 'দেশপ্রেমিক' অব্যাপ্য।


২৫। খুব কম সংখ্যক মানুষ হিতৈষী।

L.F. : O -  কোন কোন মানুষ নয় হিতৈষী। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'হিতৈষী' ব্যাপ্য। 


২৬। যে কোন লোক এ কাজ করতে পারে।

L.F. : A -  সকল লোক হয় এমন যারা এ কাজ করতে পারে। 

এখানে ‘লোক’ উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য, 'এমন যারা এ কাজ করতে পারে বিধেয় পদ অব্যাপ্য। 


২৭। শতকরা ৬০ ভাগ ছাত্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

L.F. : I - কোন কোন ছাত্র হয় যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ছাত্র ও বিধেয় পদ ‘ছাত্র যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে' অব্যপ্য।


২৮। তুমি দেশের কল্যাণ কর।

L.F. : A -  তোমার পক্ষে দেশের কল্যাণ করা হয় আমার ইচ্ছা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার পক্ষে দেশের কল্যাণ করা' ব্যাপ্য, আর বিধেয় পদ 'আমার ইচ্ছা' অব্যাপ্য। 


২৯। ব্যবসায়ীরা সচরাচর গৃহকোণে আবদ্ধ নয়।

L.F. : O -  কোন কোন ব্যবসায়ী নয় গৃহকোণে আবদ্ধ। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যবসায়ী' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘গৃহকোণে আবদ্ধ' ব্যাপ্য।


৩০। বেশীর ভাগ পুলিশ অফিসার স্মার্ট। 

 L.F. : I - কোন কোন পুলিশ অফিসার হয় স্মার্ট।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'পুলিশ অফিসার' ও বিধেয় পদ 'স্মার্ট' উভয়ই অব্যাপ্য।


৩১। একটি ধাতু কঠিন নয়।

L.F. : O - কোন কোন ধাতু নয় কঠিন। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ধাতু' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'কঠিন' ব্যাপ্য।


৩২। পাঁচ-ছটি বাদে সব আমই টক।

L.F. : I - কোন কোন আম হয় টক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'আম' ও বিধেয় পদ ‘টক' উভয়ই অব্যাপ্য।


৩৩। মানুষ কখনও পূর্ণ নয়।

 L.F. : E - কোন মানুষ নয় পূর্ণ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘মানুষ’ ও বিধেয় পদ 'পূর্ণ' উভয়ই ব্যাপ্য।


৩৪। ভদ্রতার মূল্য আছে।

 L.F. : A - ভদ্রতা হয় একটি গুণ যার মূল্য আছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ভদ্রতা' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'একটি  গুণ যার মূল্য  আছে' অব্যাপ্য।


৩৫। কেনা বড় হতে চায় ?

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি হয় ব্যক্তি যারা বড় হতে চায়। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি যারা বড় হতে চায়' অব্যাপ্য।


৩৬। ডাক্তাররা কবিও হতে পারেন।

L.F. : I - কোন কোন ডাক্তার হন কবি। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ যথাক্রমে 'ডাক্তার' ও 'কবি' উভয়ই অব্যাপ্য। 


৩৭। শুধুমাত্র ধনীরাই এরকম আচরণ করে।

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা এরকম আচরণ করে হয় ধনী। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা এরকম আচরণ করে' ব্যাপ্য, 'ধনী' অব্যাপ্য।


৩৮। কেবল ভীরুরাই ভয় পায়।

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা ভয় পায় হয় ভীরু। 

এখানে 'ব্যক্তি যারা ভয় পায়' উদ্দেশ্য পদ ব্যাপ্য, 'ভীরু' বিধেয় পদ অব্যাপ্য।


৩৯। তিনি কখনও মিথ্যা কথা বলেন না।

L.F. : E - তিনি নন এমন ব্যক্তি যিনি মিথ্যা কথা বলেন।

 এখানে উদ্দেশ্য ও বিষেয় পদ উভয়ই ব্যাপা।


৪০। অধ্যাত্মবাদী হলেই ঈশ্বরবাদী হবেন। 

L.F. : A -  সকল অধ্যাত্মবাদী হন ঈশ্বরবাদী।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'অধ্যাত্মবাদী' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ঈশ্বরবাদী' অব্যাপ্য।


৪১। শিক্ষিত হলেই বিনয়ী হবে এমন কোন কথা নেই। 

L.F. : O - কোন কোন শিক্ষিত ব্যক্তি নয় বিনয়ী।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘শিক্ষিত ব্যক্তি' ব্যাপ্য নয় (অব্যাপ্য), বিধেয় পদ ‘বিনয়ী' ব্যাপ্য।


৪২। নারী পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

L.F. : E - কোন নারী নয় নারী যে পুরুষের চেয়ে কম।

 এখানে উদ্দেশ্য পদ 'নারী' ও বিধেয় পদ 'নারী যে পুরুষের চেয়ে কম' উভয়ই ব্যাপ্য। 


৪৩। পুরুষরা সাহসী।

L.F. : I - কোন কোন পুরুষ হয় সাহসী। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় (পুরুষ ও সাহসী) উভয় পদই অব্যাপ্য।


৪৪। সব বিখ্যাত ব্যক্তি নম্র নন।

L.F. : O - কোন কোন বিখ্যাত ব্যক্তি নন নম্র। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘বিখ্যাত ব্যক্তি' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'নম্র' ব্যাপ্য।


৪৫। ভূত নেই।

L.F. : E -  কোন ভূত নয় অস্তিত্বশীল।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ভূত’, বিধেয় পদ 'অস্তিত্বশীল' উভয়ই ব্যাপ্য।


৪৬। ড্রাইভাররা কর্কশ।

L.F. : I - কোন কোন ড্রাইভার হয় কর্কশ। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় কোন পদই ব্যাপ্য নয়, অর্থাৎ অব্যাপ্য।


৪৭। কেবল গোলাপ সুন্দর।

L.F. : A - সকল সুন্দর বস্তু হয় গোলাপ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'সুন্দর' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'গোলাপ' অব্যাপ্য।


৪৮। অনেক ছাত্র ইংরাজীতে কাঁচা। 

L.F. : I - কোন কোন ছাত্র হয় যারা ইংরাজীতে কাঁচা।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ছাত্র' ও বিধেয় পদ যারা ইংরাজীতে কাঁচা' উভয়ই অব্যাপ্য। 


৪৯। ঔরঙ্গজেব শাজাহানকে বন্দী করেছিল।

 L.F. : A - ঔরঙ্গজেব হয় সম্রাট যে শাজাহানকে বন্দী করেছিল।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘ঔরঙ্গজেব' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সম্রাট যে শাহজাহানকে বন্দি করেছিল' অব্যাপ্য।


 ৫০। শিক্ষকের মাইনে বাড়ক অনেকে চায় না। 

 L.F. : O - কোন কোন ব্যক্তি নয় ব্যক্তি যারা চায় শিক্ষকের মাইনে বাড়ক। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ব্যাপ্য।


৫১। সবাই চলে গেছে। 

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি হয় ব্যক্তি যারা চলে গেছে।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ব্যক্তি যারা চলে গেছে' অব্যাপ্য।


৫২। আমোদপ্রিয় লোকেরা প্রায়ই চঞ্চল। 

L.F. : I - কোন কোন আমোদপ্রিয় লোক হয় চঞ্চল।

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ উভয়ই অব্যাপ্য।


৫৩। সব স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনায়ক দেশের শত্রু। 

L.F. : A -  সকল স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনায়ক হয় দেশের শত্রু।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'স্বৈরাচারী রাষ্ট্র নায়ক' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ দেশের শত্রু' অব্যাপ্য। 


৫৪। পশু মাত্রই ক্ষিপ্র নয়। 

L.F. : O - কোন কোন পশু নয় ক্ষিপ্র জীব।

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘পশু' অব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ক্ষিপ্র জীব' ব্যাপ্য।


৫৫। শুধু অজ্ঞ লোকরাই সংস্কারাচ্ছন্ন। 

L.F. : A -  সকল ব্যক্তি যারা সংস্কারাচ্ছন্ন হয় অজ্ঞ লোক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা সংস্কারাচ্ছন্ন' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'অজ্ঞ লোক' অব্যাপ্য। 


৫৬। যারা মিষ্ট কথা বলে, তারা সবাই মিষ্ট স্বভাবের নয়।

L.F. : O - কোন কোন ব্যক্তি যারা মিষ্ট কথা বলে নয় ব্যক্তি যারা মিষ্ট স্বভাবের। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি যারা মিথ্যা কথা বলে'স্বভ অব্যাপ্য, বিধেয় পদ ‘ব্যক্তি যারা মিষ্টি স্বভাবের' ব্যাপ্য।


৫৭। যে কোন দর্শনের ছাত্র ভাবুক। 

L.F. : A - সকল দর্শনের ছাত্র হয় ভাবুক।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'দর্শনের ছাত্র' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'ভাবুক' অব্যাপ্য।


৫৮। মানুষ কৃপণ।

L.F. : I -- কোন কোন মানুষ হয় কৃপণ। 

এখানে উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ যথাক্রমে 'মানুষ', 'কৃপণ' অব্যাপ্য।


৫৯। ক্লাসে এস।

L.F. : A -  তোমার ক্লাসে আসা হয় আমার আদেশ।

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'তোমার ক্লাসে আসা' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'আমার আদেশ' অব্যাপ্য


৬০। এখন সকাল।

L.F. : A - সময়টি হয় সকাল। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ ‘সময়টি' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'সকাল' অব্যাপ্য।


৬১। নিজে বড় হতে কেনা চায়? 

 L.F. : A - সকল মানুষ হয় এমন যারা বড় হতে চায়। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'মানুষ' ব্যাপ্য, বিধেয় পদ 'এমন যারা বড় হতে চায়' অব্যাপ্য।


 ৬২। কেউই সঠিক উত্তর দাতা নয়।

L.F. : E - কোন ব্যক্তি নয় সঠিক উত্তর দাতা। 

এখানে উদ্দেশ্য পদ 'ব্যক্তি' ও বিধেয় পদ ‘সঠিক উত্তরদাতা' উভয়ই ব্যাপ্য।

Read More

পাশ্চাত্য তর্কবিদ্যার প্রশ্নোত্তর (স্নাতক শ্রেণির জন্য)

Leave a Comment

 প্রশ্ন: সাদৃশ্যমূলক যুক্তির মূল্যায়নের মানদণ্ডগুলি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।(Explain with examples the criteria used for evaluating analogical arguments. ).


উত্তর : সাদৃশ্যমূলক যুক্তির ভিত্তি হল সাদৃশ্য। কাজেই তার সিদ্ধান্ত শধুই সম্ভাবনামমূলক। সম্ভাব্যতা হল কম-বেশীর ব্যাপার। কাজেই সাদৃশ্যমূলক অননুমানের মূল্য বিচারের সময় দেখতে হবে যে, অনুমানটি যে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করছে তার, সম্ভাব্যতার পরিমাণ কম বা বেশী। যেসব মানদণ্ড প্রয়োগ করে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সম্ভাব্যতার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে সেগুলি হল --


(১) সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সম্ভাব্যতা বিচারের প্রথম মানদন্ড হল যতগুলি বস্তুর মধ্যে সাদৃশ্যের কথা বলা হচ্ছে তাদের সংখ্যা নিরূপণ করা। ধরা যাক, আমি যে লন্ড্রীতে কাপড় কাচতে দিয়েছিলাম সেই লন্ড্রী কাপড় ভাল কাচেনি বলে আমাকে বলতে পারে যে, একবার কাপড় খারাপ কেঁচেছে বলে ওই লন্ড্রীকে বাতিল করে না দিয়ে আর একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। এর জবাবে আমি যদি দেখাতে পারি যে, শ্যাম, যদু, মধু রহিম, দীপক, হীরক এবং মানিকও ওই লন্ড্রীতে কাপড় কাচিয়েছিল এবং তাদের কাপড়ও খারাপ কেঁচেছে, তাহলে প্রথমে ওই লন্ড্রী সম্পর্কে আমি যে সিদ্ধান্ত করেছিলাম তার সম্ভাব্যতা অনেক বেশী পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং একটিমাত্র দৃষ্টান্তের ভিত্তিতে সাদশামূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা অপেক্ষা বেশীসংখ্যক দৃষ্টান্তের ভিত্তিতে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা বেশী।


(২) সাদশ্যমূলক যুক্তির মংল্যায়নের দ্বিতীয় মানদণ্ড হল—দুটি বস্তুর মধ্যে যতগুলি বিষয়ে সাদৃশ্য আছে তাদের সংখ্যার উপর সাদৃশ্যমলক যুক্তির সম্ভাব্যতার পরিমাণ নির্ভর করে। আমি যে দোকান থেকে এর আগে জুতো তৈরি করিয়েছিলাম এবং যা বেশ টেকসই হয়েছিল, এবারও সেই দোকান থেকেই জুতো তৈরি করিয়েছি, সুতরাং এবারের জুতো জোড়াও টেকসই হবে। এটি সাদৃশ্যমূলক যুক্তির উদাহরণ । কিন্তু এই সিদ্ধান্তটিরই সত্য হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী হবে যদি আশ্রয়বাক্যগুলি ঘোষণা করে যে, জুতো জোড়া শুধু যে একই দোকান থেকে তৈরি হয়েছে তা-ই নয়, যে লোকটি আগের জুতো জোড়া তৈরি করেছিল, সেই লোকই বর্তমান জুতো জোড়া তৈরি করেছে, আগের জুতো জোড়ার মতই এই জোড়াও বেশ দামী, দুয়েরই চামড়া একই মানের, সেলাইয়ের ব্যাপারেও একই ধরনের দক্ষতা দেখা গিয়েছে এবং আগের জুতো জোড়া আমি যেভাবে যত সময় পরেছি, এই জোড়াও সেইভাবে এবং সেই পরিমাণ সময় ব্যবহার করবো।


(৩) সাদৃশ্যমলেক মূল্যায়নের  তৃতীয় নীতি হল— যেসব আশ্রয়বাক্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেইসব আশ্রয়বাক্যের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তের শক্তি বিচার করা। ধরা যাক, শ্যাম একটি "নতুন" কেরোসিন স্টোভ কিনেছে এবং এক লিটার কেরোসিন তেলে সেই স্টোভ সাত ঘণ্টা জ্বলে। রাম ওই একই “নতুন” স্টোভ কিনে কিছুটা সম্ভাব্যতার সাথে অননুমান করতে পারে যে, তার স্টোভটি যেহেতু শ্যামের স্টোভের মতই, অতএব তার স্টোভও এক লিটার তেলে সাত ঘণ্টা জলবে। কিন্তু একই আশ্রয়বাক্যের ভিত্তিতে রাম ভিন্ন রকম সিদ্ধান্তেও আসতে পারে। যেমন—রাম যদি সিদ্ধান্ত করে যে তার স্টোভ এক লিটার তেলে পাঁচ ঘণ্টার বেশী জলবে তবে সিদ্ধান্তের সম্ভাব্যতা হবে খুব বেশী। যদি সে সিদ্ধান্ত করে স্টোভটি এক লিটার তেলে ছয় ঘণ্টা জ্বলবে তবে সিদ্ধান্ত ততটা জোরালো হবে না। যদি রাম সিদ্ধান্ত করে যে তার স্টোভটিও শ্যামের স্টোভের মত এক লিটার তেলে ঠিক সাত ঘণ্টাই জলবে তাহলে তার সিদ্ধান্ত খুবই দুর্বল হবে।


(8) আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তগগুলির সাথে যে দৃষ্টান্তের সঙ্গে সিদ্ধান্তের সম্পর্ক আছে তার বৈসাদৃশ্যের সংখ্যা নিরূপণ করে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির মূল্যায়ণ করা যায়। ধরা যাক, শ্যাম যে “নতুন” স্টোভ কিনেছে তা এক লিটার কেরোসিন তেলে সাত ঘণ্টা জলে। রাম-ও "নতুন" স্টোভ কিনে সিদ্ধান্ত করলো যে, তার স্টোডও এক লিটার কেরোসিন তেলে সাত ঘণ্টা জ্বলবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা খুবই কমে যাবে যদি দেখা যায় যে শ্যাম যেখানে তার স্টোভের ফিতে সামান্য তুলে স্টোড জালাতো সেখানে রাম ফিতেগুলো খুব বেশী করে তুলে স্টোড জালাচ্ছে। এখানে আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তের এবং সিদ্ধান্তের মধ্যে বৈসাদৃশ্য সাদৃশ্যমূলক যুক্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে এবং সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনাকেও কমিয়ে দিচ্ছে।


(৫) আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্তগুলি পরস্পরের যত অসদৃশ হবে, সাদশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্ত তত জোরালো হবে। আশ্রয়বাক্যে যেসব দৃষ্টান্তের উল্লেখ থাকে তাদের সাথে সিদ্ধান্তের দৃষ্টান্তের বৈসাদৃশ্য কমাবার একটা উপায় হল, আশ্রয়বাক্যে এমন সব দৃষ্টান্ত পরস্পরের অসদৃশ্য, মানে যাদের মধ্যে মিল নেই। আশ্রয়বাক্যের দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে সাদৃশ্য যত কম হবে সিদ্ধান্তের দৃষ্টান্তের সঙ্গে তাদের সকলের অসদৃশ হবার সম্ভাবনা তত কমে যাবে।


রাম প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে বি-এ পাস করেছে, কাজেই সে এম-এ পরীক্ষাতেও কৃতিত্ব দেখাতে পারবে—এই সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা খুব বেশী। কেননা আরও পনের জন ছাত্র ওই একই কলেজ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে পাস করে এম-এ পরীক্ষাতে কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এই যুক্তি আরও জোরালো হবে যদি আমরা দেখাতে পারি যে, আশ্রয়বাক্যে যে পনের জন ছাত্রের উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পারস্পরিক সাদৃশ্য খুবই কম। অর্থাৎ যদি আশ্রয়বাক্যে উল্লেখ করা থাকে যে, যে পনেরটি ছাত্র এম-এ পরীক্ষায় কৃতিত্ব দেখিয়েছে তাদের মধ্যে পরিবারগত, বিত্তগত, সম্প্রদায়গত, দেশগত ইত্যাদি নানা পার্থক্য বা বৈসাদৃশ্য আছে।


এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এই পঞ্চম নীতিটি প্রথম নিয়মের গুরুত্ব নির্দেশ করে। আমরা যত বেশী সংখ্যক দৃষ্টান্ত নেব, ততই দৃষ্টান্তগুলির মধ্যে বৈসাদৃশ্যের সংখ্যা বেশী হবার ব্যাপারটি স্পষ্ট হবে।


(৬) আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত দৃষ্টান্ত বা দৃষ্টান্তগুলি সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পক্ষে যত প্রাসঙ্গিক হবে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা তত বেশী হবে। একটি উদাহরণ নেওয়া যাক—রাম যে দোকান থেকে জুতো কিনেছিল এবং যা টেকসই হয়েছিল, শ্যামও সেই একই দোকান থেকে জুতো কিনে আশা করছে যে তার কেনা জুতোও টেকসই হবে। এই যুক্তি দুর্বল। কিন্তু শ্যাম যদি বলতে পারে যে রাম যে দোকান থেকে জুতো কিনেছে সেও সেই দোকান থেকে কিনেছে, রামের জুতো ও তার জুতো একই চামড়া দিয়ে তৈরি, একই নির্মাতার তৈরি এবং নির্মাণের ব্যাপারে দক্ষতার প্রকাশ উভয় ক্ষেত্রে একই রকম, তাহলে শ্যামের কেনা জুতোও টেকসই হবে— এই সিদ্ধান্তের সত্য হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। এখানে যুক্তিটি বেশ জোরালো, কেননা আশ্রয়বাক্যে উল্লিখিত বিষয়গুলি সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রাসঙ্গিক। কিন্তু শ্যাম যদি সিদ্ধান্ত করে যে, রামের জুতোর মত তার জুতোও টেকসই হবে, কারণ রামের জুতোর মতই তার জুতোর রং, রামের জুতোর মতই তার জুতোও বেশ চকচকে, একই রকম কাগজের বাক্সে জুতোকে রাখা হয়েছে এবং একই লোক উভয় জোড়া জুতো বিক্রি করেছে, তাহলে তার সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে খুবই দুর্বল হবে, কেননা সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার পক্ষে উল্লিখিত বিষয়গুলি অপ্রাসঙ্গিক।


প্রশ্ন হতে পারে—সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোন কোন, সাদৃশ্য প্রাসঙ্গিক অথবা অপ্রাসঙ্গিক? কি দিয়ে প্রাসঙ্গিকতা বিচার করা হবে? এর উত্তরে বলা যায় যে, প্রাসঙ্গিকতার ব্যাপারটি কার্যকারণ সম্পর্কের দিক থেকেই ব্যাখ্যা করতে হবে। সাদৃশ্যমূলক যুক্তির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক সাদৃশ্য হল সেগুলি যেগুলি কার্যকারণ সম্পর্কে যুক্ত গুণ বা ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে।


সুতরাং দেখা যাচ্ছে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির মূল্যায়ন করতে গেলে কার্যকারণ সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অভিজ্ঞতার সাহায্যে অর্থাৎ পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণের সাহায্যে এই কার্যকারণ সম্পর্ক' আবিষ্কৃত হয়। 

  সাদৃশ্যমূলক যুক্তির ক্ষেত্রে আশ্রয়ে বাক্যে যে গুণের কথা বলা হয়েছে তার সাথে সিদ্ধান্তে উল্লিখিত গুন বা বিষয়ের কার্যকারণ সম্পর্ক থাকলে সাদৃশ্যমূলক যুক্তির সত্য হবার সম্ভাবনা খুব বেশি হবে এবং যুক্তিটিকে. সবল বলা হবে।

Read More

Friday, 19 November 2021

PROJECT: DRAMATIZATION OF KING ARTHUR'S TALE

Leave a Comment

 DRAMATIZATION OF KING ARTHUR'S TALE


Source: BLOSSOMS'-An English Text Book for Class -VIII by W.B.B.S.E.


                   CHARACTERS

Uther-Perdragon, King of Britain Igraine, Queen of the king. Counsellors-Merlin, Sir Ulfius, King Arthur. Son of Pendragon and Igraine, Barons, Peasants and courtiers. Place: A countryside of England hundreds of years ago. 

                             CURTAIN RISES

Entrance: A street, a few peasants in rustic attere


SCENE-1


Peasant 1: How fortunate we are! We are really fortunate to live in the reign of King Uther-Pendragon.


Peasant 2: Absolutely, King Uther is our God, not lord. 

Peasant 3: I can hardly remember the days we faced invasion from neighbouring kingdom.


Peasant 1: Had the king not been on the throne, we could hardly live in peace and prosperity. 

Peasant 3: Now we have no trouble to till the field and to graze the herds.


Peasant 1: Last year, I cultivated wheat in plenty and I am not worried at all even for this year.


Exit: all as


SCENE 2


(Kings Palace, the king, all the courtiers, noblemen look worried. They all held their chins on their palms but the king is restless.)


King:  Have you gathered any news, Batram?

Batram

(Courtier): No, your majesty. The attendants have not fetched any news yet.


King : Oh! Lord save me. How long do I have to suffer this? (A lady attendant comes running and bursts into screaming.)


King : What happened?


The lady :  [Still bewailing in loud noise your majesty....... How can I utter with my own lips?


 King : Speak out fast. What happened? Please tell me what has happened with the queen?


The Lady: (stammering) Our.... mother the queen... is no more. (Still mourning) But she has given a birth to a son. Your majesty, be calm.


King : Oh! My God, What have I heard!

(Sudden scream and the king falls on the floor of the palace.) 


Courtier 1 : Bring water, Help Help! Help the king!

Courtier 2: Where are you all? Save our king. Oh! God save our king. 

       (Everyone got involved in a scurry of commotion.) 

The Lady : Oh! God, Damn on us! What more do we have to witness? 


Courtier 1: Our king is no more!


Coutier 2 : We have now become orphans. God, Have mercy on us!


 Courtier 3 : Whem do we depend on to? We are now parentless children... God save us!

(Two Collors-Merlin and Sir Ulfius appear)


Merlin: We must do something in such a crisis. 


Ulfius: You are absolutely right, hon'ble prophet. We have to shift the newborn to somewhere else otherwise the baby's life would be at stake.


Merlin: The greedy barons would kill the baby for seizing the throne.


 Ulfius: Then we can hand the baby over to the custody of our loyal subject, Sir Ector...


 Merlin: I am also thinking so. So, we must not waste a moment now. We must set out right now


(They exit)


SCENE 3

(Sir Ector's House A cold windy night. Enter Merlin and Ulfius) with the baby in a red sheet of wrapper)


Merlin: Sir Ector We, the counsellors of the king Uther-Pendragon, are here to talk to you.

(Sir Ector comes out)


Sir Ector: Yes... yes... your honour. What can I do for you?


 Ulfius: Right... you have to do nothing. You have surely heard of the sad demise of our beloved king and queen.


 Sir Ector: I can hardly hold my tears and I could not believe my ears at first. It's really unbelieveable. It came to me just as a bolt from the blue.


Merlin: Now, we order you and your wife to bring up this child as though he were your own son. 

(Merlin hands the baby over to Sir Ector)


Ulfius: The boy is to be called Arthur.


Sir Ector: As your majesty pleases. I will surely carry out your order


(They exit)


 SCENE-4

(Sir Ector's House, Arthur is spending days in joy, safety and security ar Sir Ector)


Sir Ector: Arthur, you have spent eighteen springs and now you have been a gallant young man


Arthur: (laughs) Sir. you please stop jesting with me.

 Ector: No Arthur, Britain is being torn by rivalry over the possession of the throne. You need to come forward to rescue Britain from the state of lawlessness.


Arthur: I will put my best efforts to bring back peace and prosperity in Britain as it used to be in my father's regime.


Sir Ector: There on the churchyard, a magnificent sword has been found to be fixed on as stone and upon the stone it is written in gold letter. Who ever pulls out this sword is by right of birth, will become the king of England.


Arthur: Right... Sir... I am ready for the trial. I have heard that the barons are now fighting among themselves to capture the throne.


Sir Ector: Yes... They are like vultures. you do your own job. Best wishes to you my dear.


Arthur: Thank you.


(They exit)


SCENE-5

(ChurchyardA huge crowd with barons, commoners gathered there to witness the trial.)


 Baron 1: Now it is my turn. I will lift the sword and rule England. Ha...Ha...Ha...

(Baron I failed)


Baron 2: I am the future king of England because I can lift the sword easily. Do you have any doubt about it?

 (Crowd gave up loud yell but the Baron 2 also failed)


Baron 3: None of you could succeed. I am sure to succeed. (About to lift the sword but he fell upon his waist)


Arthur: Since all the respected Barons failed to pull the sword, I should give it a try. 

      (As Arthur lifted the sword, an ovation from the crowd, filled the air and they hailed the new king warmly.)


SCENE-6

(Arthur's Palace, a few years later)


Merlin: Why are you looking worried, king? Are you worried over the lost sword? Please be thoughtful. It was destined to get lost.


Arthur: No... Wise Merlin. I am thinking about another reason...I want to abolish the acts of thefts and robberies which are taking place these days.


Merlin: Your excellency... You have got the Excaliber. Only a fearless and honest knight like you can possess that sword. I believe with that sword you will remove every evil from our land.


Arthur: (in awe) I shall never use this sword for any personal objective. I will pay true dignity to this enchanted sword.


SCENE-7

(A richly guilded Pavilion with a huge, round, oak table, richly carved at the centre)

Enter King Arthur, his queen, Knights, Warriors

King Arthur: Then we all are going to take an oath that we would always extend our helping hands to the needy and punish the culprits. This is the message from this solemn ceremony.


Warriors: (In chorus) Yes, your majesty. We are ready to undertake perilous adventures for the sake of the common men of our country. We would not be afraid of death. 


King Arthur: (Clapping) Bravo! Bravo! I expected that. I am really proud of you.


Warrior 1 : My Lord.... Please give us command. 


Warrior 2: We are on our toe to protect Britain from right now.


King Arthur: The feast is ready. Let's relish the feast tonight and after that we all take an oath to fight against the enemies of the people.


Warriors: (In chorus) Certainly your majesty.

(Music is heard, light slowly fades out. A chorus of 'Long live King Arthur' overlaps the music.)

                  CURTAIN





Read More