Friday, 13 November 2020

HS Education (শিক্ষাবিজ্ঞান) অধ্যায়: শিখন কৌশল -- সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর।

1 comment

 শিক্ষাবিজ্ঞান - দ্বাদশ শ্রেণী (wbchse)

অধ্যায়: শিখন কৌশল

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ (দু একটি বাক্যে উত্তর দিতে হবে।) মান - 1

১) শিখন তত্ত্ব বা শিখন কৌশল বলতে কী বােঝাে? 

উঃ যে পদ্ধতিতে শিখন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে শিখন তত্ত্ব বা ‘শিখন কৌশল’ বলা হয়। 

) শিখনের যে - কোনাে দুটি কৌশল উল্লেখ করাে। 

উঃ শিখনের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে মনােবিদগণ দুটি কৌশলকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন - (i) অনুবর্তন এবং (ii) সমস্যাসমাধান কৌশল । 

৩) 'অনুবর্তন’ বলতে কী বােঝাে ?

উঃ যে প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম উদ্দীপকের সাহায্যে  স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়, তাকে 'অনুবর্তন’বলে।

 ৪) অনুবর্তনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উঃ অনুবর্তনের উল্লেখযােগ্য দুটি বৈশিষ্ট্য হল— 

(i) এই প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম উদ্দীপকের সাহায্যে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করা হয়।

 (ii)  এই প্রক্রিয়ায় প্রাণীর আচরণের প্রকৃতি অনুশীলন করা হয়। 

৫) অনুবর্তন প্রক্রিয়ার অপর নাম কী?

উঃ অনুবর্তন প্রক্রিয়ার অপর নাম হল উদ্দীপক - প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া। 

) 'সংযােগাত্মক অনুবর্তন’ কাকে বলে? 

 উঃ কোনাে বিশেষ উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে কৃত্রিম সংযােগ থাপিত হওয়ার ফলে যে অনুবর্তন ঘটে, তাকে সংযােগাত্মক অনুবর্তন বলা হয়।

৭) বিয়ােগাত্মক অনুবর্তন ’ কাকে বলে? 

উঃ যখন বারবার পুনরাবৃত্তিতে বিরূপ ফললাভ করলে প্রাণী  উদ্দীপককে উপেক্ষা করতে থাকে, তখন তাকে 'বিয়ােগাত্মক অনুবর্তন’ বলে।

 ৮) অনুবর্তন প্রক্রিয়ার ‘পুনঃসংযােজন’ কী? 

উঃ অনুবর্তনকে সক্রিয় করে রাখতে হলে মাঝে মাঝে পূর্ব পরীক্ষামত তা পুনরাবৃত্তি করতে হবে, একেই ‘পুনঃসংযােজন’ বলে। 

৯) শিক্ষাক্ষেত্রে অনুবর্তন নীতির যে - কোনাে দুটি প্রয়ােগ লেখাে। 

অথবা, অনুবর্তনের একটি শিক্ষামূলক তাৎপর্য লেখাে। 

উঃ শিক্ষাক্ষেত্রে অনুবর্তন নীতির দুটি প্রয়োগ -

 (i) শিশুর কু - অভ্যাস দূর করা যায় এবং সু - অভ্যাস গঠন করা যায়।

 (ii)  শিশু বিভিন্ন শব্দ ও শব্দের সাহায্যে বস্তুর নাম শিখতে পারে। 

১০) অনুবর্তনকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? 

উঃ অনুবর্তনকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়— (1) প্রাচীন বা ক্ল্যাসিক্যাল  অনুবর্তন এবং (2) সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন।

১১) প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক কে? 

উঃ প্রাচীন অনুবর্তনের আবিষ্কারক হলেন রাশিয়ান বিজ্ঞানী আইভান প্যাভলভ। 

১২) অনাবর্তিত উদ্দীপক কাকে বলে? 

উঃ যে-কোনো উদ্দীপকের সঙ্গে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সংযোগকেই বলা হয় অনাবর্তিত  উদ্দীপক।

উদাহরণ: প্যাভলভের পরীক্ষার খাদ্যবস্তু হল অনাবর্তিত উদ্দীপক। 

১৩) অনুবর্তিত উদ্দীপক  কাকে বলে?

উঃ নতুন উদ্দীপকের সঙ্গে যে প্রতিক্রিয়াটি অনুবর্তিত, তাকেই বলা হয় অনুবর্তিত উদ্দীপক।


১৪) অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া বা Conditioning Response কী? 

উঃ প্রাণীর যে - কোনাে প্রকারের অভ্যাস বা মানসিক বৈশিষ্ট্যকে অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া বা Conditioning Response বলা। 

১৫) প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বে অপানুবর্তন  কখন ঘটে?

  অথবা, অপানুবর্তন কী? 

উঃ অনুবর্তনের পর অনুবর্তিত উদ্দীপকের (ঘণ্টাধ্বনি) পরই যদি স্বাভাবিক উদ্দীপক (খাদ্য) উপস্থাপন না করা হয়, তাহলে অনুবর্তন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। একেই ‘অপানুবর্তন’ বলে।

অথবা, অনুবর্তনের হ্রাস পাওয়াকে অপানুবর্তন বলে।

১৬) প্যাভলভের প্রাচীন অনুবর্তনে ‘cs' বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? 

উঃ প্যাভলভের প্রাচীন অনুবর্তনে সাপেক্ষ ও বিকল্প উদ্দীপককে ‘CS' বা 'Conditioned Stimulus' বলা হয়েছে। এখানে CS হল ‘ঘণ্টাধ্বন। 

১৭) প্যাভলভের অনুবর্তনে 'UR' বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? 

উঃ প্যাভলভের অনুবর্তনে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে 'UR' বা 'Unconditioned Response' বলা হয়েছে। এখানে UR হল লালাক্ষরণ। 

১৮) প্যাভলভের অনুবর্তনে ‘US' বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? 

উঃ প্যাভলভের অনুবর্তনে স্বাভাবিক উদ্দীপককে 'US' বা 'Unconditioned Stimulus ' বলা হয়েছে । এখানে US হল । ‘ খাদ্যদ্রব্য।

 ১৯) প্যাভলভের পরীক্ষায় কোন্ স্বাভাবিক উদ্দীপকটিকে কৃত্রিম উদ্দীপক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছিল?

 উঃ প্যাভলভের পরীক্ষায় ঘণ্টাধ্বনিকে কৃত্রিম উদ্দীপক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছিল?


২০) প্যাভলভের অনুবর্তনের পরীক্ষায় ব্যবহৃত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াটির নাম কী? 

উঃ প্যাভলভের পরীক্ষায় ব্যবহৃত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াটির নাম লালাক্ষরণ।

২১ 'কাইমােগ্রাফ’ কী? 

উঃ ‘কাইমােগ্রাফ’ একটি বিশেষ যন্ত্র, যেটি মনােবিদ প্যাভলভ সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ে গবেষণায় কুকুরের লালার পরিমাণ লিপিবদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করেছিলেন। 

২২) প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বের সাংগঠনিক রূপটি লেখ।



২৩)  স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র কোন্ শিখনকে নিয়ন্ত্রিত করে?

উঃ স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে। 

২৪) সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন কীসের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে? 

উঃ সক্রিয় বা অপারেন্ট অনুবর্তন প্রাণীর সক্রিয়তার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। 

২৫) স্কিনার কত খ্রিস্টাব্দে সক্রিয় অনুবর্তনের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিলেন? 

উঃ স্কিনার ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে সক্রিয় অনুবর্তনের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা করেছিলেন।

 ২৬) স্কিনার কোন দুটি শ্রেণির আচরণের কথা বলেছেন?

 উঃ স্কিনার যে দুটি শ্রেণির আচরণের উল্লেখ করেছেন, সেগুলি হল- (i) রেসপন্ডেন্ট আচরণ এবং (ii) অপারেন্ট আচরণ ।

২৭) ‘রেসপন্ডেন্ট’ বলতে কী বােঝাে?

 উঃ মনােবিদ স্কিনারের মতে, যেসব আচরণের নির্দিষ্ট উদ্দীপক আছে, তাদের রেসপন্ডেন্ট জাতীয় আচরণ বা ‘রেসপন্ডেন্ট: বলা হয়।

২৮)  ‘অপারেন্ট’ বলতে কী বােঝাে? 

উঃ যেসব প্রতিক্রিয়ার নির্দিষ্ট উদ্দীপক নেই, তাদের বলা হয় ‘অপারেন্ট ’ বা অপারেন্ট জাতীয় আচরণ। 

২৯) স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বে কী ধরনের উদ্দীপকের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে? 

উঃ মনােবিদ স্কিনারের  সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বে ফলপ্রাপ্তি বা পুরস্কার এবং শাস্তিদায়ক উদ্দীপক - এর উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

 ৩০) 'সক্রিয় আচরণ’ বলতে কী বােঝাে? 

উঃ যে আচরণের ক্ষেত্রে কোনাে সুনির্দিষ্ট উদ্দীপক থাকে না, যে - কোনাে উদ্দীপকের প্রভাবেই প্রাণী আচরণ করে, তাকে ‘সক্রিয় আচরণ’ বলা হয়। যেমন— স্কিনার বক্স পরীক্ষায় ইদুরের খাদ্যগ্রহণ। 

৩১) শিক্ষাক্ষেত্রে অপারেন্ট অনুবর্তনের দুটি প্রয়ােগ উল্লেখ।

উঃ শিক্ষাক্ষেত্রে অপারেন্ট অনুবর্তনের দুটি প্রয়ােগ হল— 

(i) এই তত্ত্বে শিক্ষার্থীর সক্রিয়তার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

(ii) ) প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আগ্রহী করে তােলার জন্য শ্রেণিকক্ষে পুনঃসংযােজন কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে। 

৩২) ‘প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ' কাকে বলে? 

উঃ যে - সমস্ত আচরণের উদ্দীপক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে, সেগুলিকে স্কিনার বলেছেন প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ। 

৩৩) স্কিনারের অপারেন্ট অনুবর্তন ও প্যাভলভের প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখাে। 

 উঃ অপারেন্ট অনুবর্তন ও প্রাচীন অনুবর্তনের মধ্যে দুটি পার্থক্য হল-

(i)  স্কিনার তার অপারেন্ট অনুবর্তনের গবেষণা চালিয়েছেন পায়রা ও ইদুরের উপর। অন্যদিকে প্যাভলভ তার প্রাচীন অনুবর্তনের গবেষণা চালিয়েছেন কুকুরের উপর। 

(ii) অপারেন্ট অনুবর্তন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়। অন্যদিকে প্রাচীন অনুবর্তনে প্রাণীর প্রতিক্রিয়া মূলত স্বতন্ত্র স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। 

৩৪) S- type এবং R - type অনুবর্তনের প্রবর্তক কে? 

উঃ মনােবিদ স্কিনার প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ এবং স্বতঃক্রিয়ামূলক আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যথাক্রমে S - type অনুবর্তন এবং R - type অনুবর্তনের কথা বলেন। 

৩৫) S - type অনুবর্তন কাকে বলে? 

উঃ নিরপেক্ষ উদ্দীপক দিয়ে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করাকে S - type walc 7 Stimulus type Conditioning বলা হয় ।

৩৬) R - type অনুবর্তন কাকে বলে? 

উঃ সুনির্দিষ্ট উদ্দীপকের সাহায্যে সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করাকেই R - type অনুবর্তন বা Response - type Conditioning বলা হয়। 

৩৭) সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের সাংগঠনিক রূপটি লেখ।

উঃ  




৩৮)  স্কিনার বক্স  কী?

উঃ সক্রিয় অনুবর্তন প্রতিক্রিয়ার পরীক্ষা করার জন্য মনোবিদ স্কিনার একটি যন্ত্র নির্মাণ করেন, যা স্কিনার বক্স নামে পরিচিত। এই বক্সে একটি লিভার থাকে। লিভারটিতে চাপ দিলে তার সামনে একটি ট্রেতে খাদ্যবস্তু এসে পড়ে। এ ছাড়া বক্সের মধ্যে থাকা প্রাণীর আচরণের প্রকৃতি রেকর্ড করার জন্য বিশেষ বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা থাকে। 

৩৯) শেপিং বা আচরণের রূপদান বলতে কী বােঝায়?

 উঃ বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে প্রাণী যে জটিল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, তাকে মনােবিদ স্কিনার শেপিং (Shaping) বা আচরণের রূপদান বলেছেন। 

 ৪০) স্কিনার প্রস্তাবিত সিডিউল  কী ?

উঃ মনোবিদ স্কিনার শক্তিদায়ক উদ্দীপককে উপস্থাপন করার জন্য যে চার ধরনের সময় নির্ধারণ করেছেন, সেগুলিকে সিডিউল বলা হয়। 

৪১) স্কিনারের উল্লিখিত সিডিউলগুলির মধ্যে যে - কোনাে দুটি  সিডিউলের উল্লেখ করাে। 

উঃ  মনােবিদ স্কিনার উল্লিখিত সিডিউলগুলি হল—(i)  নিরবচ্ছিন্ন সিডিউল এবং (ii) সময় অন্তর সিডিউল। 

৪২) শৃঙ্খল প্রক্রিয়া কী?  

উঃ অপারেন্ট প্রক্রিয়ার পূর্বে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়া পরবর্তী পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির জন্য উদ্দীপক সৃষ্টি করে। এই প্রক্রিয়াকেই শৃঙ্খল প্রক্রিয়া  বলা হয়।

 ৪৩) সমস্যাসমাধানমূলক শিখন কী? 

উঃ প্রত্যক্ষভাবে সমস্যাসমাধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর আচরণ ধারার যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে সমস্যাসমাধানমূলক শিখন বলে। 

৪৪) প্রচেষ্টা ও ভুলের কৌশল - এর প্রবক্তা কে ? 

উঃ প্রচেষ্টা ও ভুলের কৌশল তত্ত্বের প্রবক্তা আমেরিকার হলেন বিশিষ্ট মনােবিদ ই. এল. থর্নর্ডাইক। 

৪৫) কবে ও কোন্ বইতে থর্নড়াইকের শিখন সম্পর্কিত চিন্তাধারা প্রকাশিত হয়েছে? 

উঃ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে 'Animal Intelligence' নামক গ্রন্থে  থর্নড়াইকের শিখন সম্পর্কিত চিন্তাধারা প্রকাশিত হয়।

৪৬) প্রচেষ্টা ও ভুল শিখন কৌশলের অর্থ কী? 

উঃ  প্রচেষ্টা ও ভুল  শিখন কৌশলের অর্থ হল-- উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযােগ স্থাপনের মাধ্যমে শিখন সম্পন্ন হয়। আর এই সংযােগ বা বন্ধন সৃষ্টি হয় প্রচেষ্টা ও ভুল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

 ৪৭)  থর্নড্রাইক কোন্ কোন্ প্রাণীর উপর তার প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্বের প্রয়ােগ করেছিলেন? 

 উঃ মনােবিদ থর্নডাইক কুকুর, বিড়াল, ইদুর, বাঁদর, মাছ, মুরগি প্রভৃতি প্রাণীর উপর তাঁর প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্বের প্রয়ােগ করেছিলেন। 

৪৮) থর্নডাইকের মতবাদকে কেন সংযােজনবাদ বলা হয়? 

উঃ থর্নড়াইকের মতে, উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযোেগ স্থাপনের মাধ্যমে শিখন সম্পন্ন হয়। সেজন্য থর্নডাইকের মতবাদকে সংযােজনবাদ বলা হয়। 

৪৯) থর্নড়াইকের শিখন তত্ত্বে মুখ্য সূত্রগুলি কী কী ? 

উঃ থর্নডাইকের শিখন তত্ত্বের মুখ্য সূত্র তিনটি হল- (১) প্রস্তুতির সূত্র, (২) অনুশীলনের সূত্র এবং (৩) ফললাভের সূত্র। 

৫০) থর্নডাইকের শিখনে গৌণ সূত্রের সংখ্যা কয়টি ও কী কী? 

উঃ থর্নডাইকের শিখনে গৌণ সূত্রের সংখ্যা ৫ টি। এগুলি হল— (i) বহুমুখী প্রতিক্রিয়ার সূত্র, (ii) মানসিক প্রস্তুতির সূত্র, (ii)  আংশিক প্রতিক্রিয়ার সূত্র, (iv) আত্তীকরণের সূত্র এবং (v) অনুষঙ্গমূলক পরিবর্তনের সূত্র। 

৫১) থর্নডাইকের ফললাভের সূত্র সম্বন্ধে লেখ।  

উঃ শিখনের ক্ষেত্রে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার সম্বন্ধ স্থাপনের ক্ষেত্রে যদি সুখকর বা তৃপ্তিদায়ক ফল পাওয়া যায়, তবে ওই সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হয়, আর যদি ওই সংযােগ স্থাপনের মাধ্যমে বিরক্তিকর ফল পাওয়া যায়, তবে ওই সম্পর্কের বন্ধন শিথিল হয়। 

৫২) শ্রেণিকক্ষে থর্নডাইকের ফললাভের সূত্রের একটি প্রয়ােগ দেখাও।

উঃ  উপযুক্ত ফললাভ ছাড়া শিখন বাধাপ্রাপ্ত হয়। তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্জনে সহায়তা করে এবং তারা তুলনামূলকভাবে সহজে শিক্ষার্জনে সমর্থ হয়। সেইজন্য শ্রেণিকক্ষকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যাতে পাঠ্যবস্তু, শিখন পদ্ধতি এবং পরিস্থিতি শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা অনুযায়ী ও আনন্দদায়ক হয়। 

৫৩) থর্নড়াইকের অনুশীলন সূত্রকে কয়টি অংশে বিভক্ত করা যায় ও কী কী? 

উঃ থর্নডাইকের অনুশীলন সূত্রকে দুটি অংশে বিভক্ত করা যায়। যথা— অভ্যাসের সূত্র এবং অনভ্যাসের সূত্র। 

৫৪) শিক্ষাক্ষেত্রে থর্নডাইকের অনুশীলন সূত্রের একটি প্রয়ােগ লেখ। 

উঃ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষাদানের সময় প্রত্যক্ষ প্রয়ােগমূলক কাজের মাধ্যমে বিষয় অনুশীলন -এর ব্যবস্থা করবেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক। যেমন বিতর্ক সভা, শিক্ষামূলক ভ্রমণ ইত্যাদি। 

৫৫) শিক্ষাক্ষেত্রে থর্নডাইকের শিখনের প্রস্তুতি সূত্রের একটি প্রতিক্রিয়া লেখাে। 

উঃ শিক্ষাক্ষেত্রে শিখনের ক্ষেত্রে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার সার্থক সমন্বয় স্থাপনের ক্ষেত্রে তৃপ্তিদায়ক বা বিরক্তিকর অনুভূতি নির্ভর করে ব্যক্তির প্রস্তুতির উপর। তাই প্রস্তুতি শিখন প্রক্রিয়াকে সহজতর করে, সুতরাং শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণ প্রস্তুত করে তুলতে হবে। 

৫৬) ‘পাজল বক্স’ কী? 

উঃ মনােবিদ থর্নডাইক তাঁর শিখন কৌশল পরীক্ষার জন্য যে যান্ত্রিক উপকরণ ব্যবহার করেন তা 'পাজল বক্স: নামে পরিচিত।

 

৫৭) ‘টাইম কার্ভ’ কী? 

 উঃ থর্নডাইক পুনরাবৃত্তির সময়কে লেখচিত্রের সাহায্যে পরিবেশন করেন। পুনরাবৃত্তি সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই লেখ ক্রমশ নীচের দিকে নেমে আসে। একেই বলা হয় 'টাইম কার্ভ ' ( Time Curve ) । 

৫৮) গেস্টাল্ট মতবাদ কী?  

উঃ কোহলার, কফকা এবং ওয়ারদাইমার এই তিন জন বিখ্যাত মনােবিদদের প্রত্যক্ষণের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা পরীক্ষালব্ধ ফল থেকে যে মতবাদ সামগ্রিকভাবে পরিচিত, তাই গেস্টান্টবাদীদের শিখনের তত্ত্ব বা ‘ গেস্টান্ট মতবাদ নামে পরিচিত। 

৫৯) গেস্টান্ট মতবাদের প্রবক্তা কারা? 

 উঃ গেস্টান্ট মতবাদের প্রবক্তারা হলেন- কোহলার , কফকা এবং ওয়াদাইমার। 

৬০) অন্তদৃষ্টিমূলক শিখন প্রক্রিয়ার কোন দুটি মানসিক প্রক্রিয়া বিশেষভাবে কাজ করে? 

উঃ অন্তদৃষ্টিমূলক শিখন প্রক্রিয়ায় যে মানসিক প্রক্রিয়া দুটি বিশেষভাবে কাজ করে, সেগুলি হল— পৃথকীকরণ এবং সামান্যীকরণ। 

৬১) 'Mentality of Apes' গ্রন্থটির রচয়িতার নাম করো। 

উঃ 'Mentality of Apes' গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন  কোহলার এবং কুট কফকা। 

৬২) 'Pragnanz' কথাটির অর্থ কী? 

উঃ জার্মান শব্দ ‘Pragnanz'- এর অর্থ দৃঢ় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।

 ৬৩)  'Law of Pragnanz' বলতে কী বােঝায়?

 উঃ গেস্টান্টবাদী কফকার মতে, প্রত্যক্ষণের সূত্রের উপযােগিতা শিখনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রত্যক্ষণের সংগঠনমূলক প্রায়ােগিক নীতিই হল ‘Law of Pragnanz' ।


Read More

Wednesday, 11 November 2020

HS PHILOSOPHY (wbchse) | নিরপেক্ষ ন্যায় MCQ

Leave a Comment

 অধ্যায়ঃ নিরপেক্ষ ন্যায়

দ্বাদশ শ্রেণী (wbchse)

MCQ বহূবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর ( মান 1)

1. নিরপেক্ষ ন্যায় কোন ধরনের অনুমান? (a) লৌকিক অনুমান (b) আরােহ অনুমান (c) সাদৃশ্যমূলক অনুমান (d✓) অবরােহ অনুমান

2. নিরপেক্ষ ন্যায়ে প্রতিটি পদ ক-বার ব্যবহৃত হয় ?   (a) এক বার (b✓) দুই বার (c) তিন বার (d) চার বার। 

3. নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমান কয়টি পদ দ্বারা গঠিত? ( a ) একটি    ( b ) দুইটি ( c✓) তিনটি (d) চারটি।

 4. নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানে কয়টি বচন থাকে? ( a ) একটি ( b ) দুইটি (c✓) তিনটি ( d ) চারটি।

 নিরপেক্ষ ন্যায়ের সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্য থেকে নিঃসৃত হয়— (a✓) অনিবার্যভাবে (b) কাল্পনিকভাবে (c) সাধারণভাবে (d) সবকটিই ঠিক ।

 6. নিরপেক্ষ ন্যায়ের প্রধান আশ্রয়বাক্যে যে পদ থাকে সেটি হল— (a) হেতুপদ (b) পক্ষপদ (c) সাধ্যপদ (d✓) হেতুপদ ও সাধ্যপদ । 

7. নিরপেক্ষ ন্যায়ের প্রধান আশ্রয়বাক্যে যে পদ থাকে না— (a) সাধ্যপদ (b) হেতুপদ (c✓) পক্ষপদ (d) কোনােটিই নয়। 

8. নিরপেক্ষ ন্যায়ের অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে যে পদ থাকে— (a) পক্ষপদ (b) সাধ্যপদ (c) সাধ্যপদ ও হেতুপদ (d✓) কোনােটিই নয় ।

 9. নিরপেক্ষ ন্যায়ের অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে যে পদ থাকে না—  (a) হেতুপদ (b) পক্ষপদ (c✓) সাধ্যপদ (d) কোনােটিই নয়।

10. নিরপেক্ষ ন্যায়ের সিদ্ধান্তে যে পদ থাকে-- (a) হেতুপদ ও পক্ষদ (b✓) পক্ষপদ ও সাধ্যপদ (c) হেতুপদ ও সাধ্যপদ ( d ) কোনােটিই নয়। 

11. দুটি আশ্রয়বাক্যের গুণ ও পরিমাণ অনুসারে ন্যায়ের যে আকার পাওয়া যায়, সেগুলিকে বলা হয়— (a) সংস্থান (b✓) মূর্তি (c) যুক্তি (d) শ্রেণি।

 12. নিরপেক্ষ ন্যায়ের হেতুপদের সাংকেতিক চিহ্নটি কী?  (a) P (b✓) M (c) S (d) R।

13. নিরপেক্ষ ন্যায়ের পক্ষপদের সাংকেতিক চিহ্নটি হল- (a) P (b) Q (c) R (d✓) S

14. নিরপেক্ষ ন্যায়ের সাধ্যপদের সাংকেতিক চিহ্নটি হল— (a) Q (b) M (c✓) P (d) S 

15. নিরপেক্ষ ন্যায়ের সব সংস্থানেই বৈধ হয় কোন মূর্তিটি?  (a) AAA (b) EAE (c✓) EIO (d) AEE 

16. নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানে যে হেতুবাক্যে সাধ্যপদ থাকে, তাকে বলা হয়— (a) সাধ্য হেতুবাক্য (b) প্রধান হেতুবাক্য (c) প্রধান আশ্রয়বাক্য (d✓) সবকটিই ঠিক। 

17. নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানে যে হেতুবাক্যে পক্ষপদ থাকে, তাকে বলা হয়— (a) পক্ষ হেতুবাক্য (b) অপ্রধান হেতুবাক্য (c) অপ্রধান আশ্রয়বাক্য (d✓) সবকটিই ঠিক ।

18. নিরপেক্ষ ন্যায়ানুমানে হেতুপদটি থাকে - (a) প্রধান আশ্রয়বাক্যে (b) অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে (c✓) উভয় আশ্রয়বাক্যে (d) সিদ্ধান্তে। 

19. ন্যায় অনুমানে উভয় হেতু বাক্য যে পদটিকে অন্তত একবার ব্যাপ্য হতে হয়, তা হল- (a) পক্ষপদ (b) সাধ্যপদ (c✓) হেতুপদ (d) কোনােটিই নয়।

 20. পক্ষপদটি পক্ষ আশ্রয়বাক্য ছাড়াও অন্য যে স্থানে থাকে তা হল - (a) সিদ্ধান্তের বিধেয় স্থান (b) সাধ্য আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থান  (c✓) সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য স্থান (d) সাধ্য আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য স্থান। 

21. সাধ্যপদটি সাধ্য আশ্রয়বাক্য ছাড়াও অন্য যে স্থানে থাকে তা হল- (a✓) সিদ্ধান্তের বিধেয় স্থানে (b) পক্ষ আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থানে (c) সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য স্থানে (d) পক্ষ আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে। 

22.  নিরপেক্ষ ন্যায়ের সিদ্ধান্তে যে পদ থাকে না , তা হল - (a) পক্ষপদ (b) সাধ্যপদ (c✓) হেতুপদ (d✓) কোনােটিই নয়। 

23. সংস্থান বলতে বােঝায় কোনাে ন্যায় যুক্তিতে তিনটি বাক্যে মধ্যে (a) পক্ষপদের অবস্থান  (b) সাধ্যপদের অবস্থান (c✓) হেতুপদের অবস্থান  (d) সবকটিই ঠিক। 

24.  নিরপেক্ষ ন্যায়ের সংস্থানের সংখ্যা হল— (a) দুটি (c✓) চারটি (b) তিনটি (d) পাঁচটি।

 25. নিরপেক্ষন্যায়ের যে সংস্থানে হেতুপদটি প্রধান আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য ও অপ্রধান আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থানে থাকে, তা হল— (a✓) প্রথম সংস্থান (b) দ্বিতীয় সংস্থান (c) তৃতীয় সংস্থান (d) চতুর্থ সংস্থান। 

26. নিরপেক্ষ ন্যায়ের যে সংস্থানে হেতুপদটি উভয় আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থানে থাকে, তা হল-(a) প্রথম সংস্থান । (b✓) দ্বিতীয় সংস্থান (c) তৃতীয় সংস্থান (d) চতুর্থ সংস্থান। 

27. নিরপেক্ষ ন্যায়ের যে সংস্থানে হেতুপদটি প্রধান আশ্রয়বাক্যের বিধেয় এবং অপ্রধান আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে থাকে, তা হল - (a) প্রথম সংস্থান (b) দ্বিতীয় সংস্থান (c) তৃতীয় সংস্থান (d✓) চতুর্থ সংস্থান ।

28. নিরপেক্ষ ন্যায়ের যে সংস্থানে হেতুপদ অপ্রধান আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে থাকে, তা হল - (a) প্রথম সংস্থান (b) দ্বিতীয় সংস্থান (✓c) তৃতীয় ও  চতুর্থ সংস্থান (d) কোনােটিই নয় । 

29. নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানে সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য পদকে বলা হয় - (a✓) পক্ষপদ (b) সাধ্যপদ (c) হেতুপদ (d) কোনােটিই নয়।

 30.  নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানে যে পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় স্থানে বসে  তাকে বলে (a) হেতুপদ (✓b) সাধ্যপদ  (c) পক্ষপদ ( d ) কোনােটিই নয়। 

31. নিরপেক্ষ ন্যায়ে যে - সমস্ত সমস্যাগুলি সমাধানযােগ্য সেগুলিকে বলা হয় -- (a) উপপাদ্য (b✓) সম্পাদ্য (c) সংক্ষিপ্ত ন্যায় (d) কোনােটিই নয়। 

32. নিরপেক্ষ ন্যায়ের প্রধান আশ্রয়বাকর অন্য নাম  (a) সিদ্ধান্ত (b✓) সাধ বাক্য (c) পক্ষ বাক্য (d) সবকটিই ঠিক। 

33. নিরপেক্ষ ন্যায়ের সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যকে বলা হয়— (a) হেতুপদ (b✓) পক্ষপদ  (c) সাধ্যপদ (d) বিপরীত পদ। 

34. নিরপেক্ষ ন্যায়ের সিদ্ধান্তের বিধেয়কে বলা হয়— (a) হেতুপদ (b) পক্ষপদ (c✓) সাধ্যপদ (d) বিরুদ্ধ পদ। 

35. ন্যায়ের পক্ষ পদটি থাকে না— (✓a) প্রধান আশ্রয়বাক্যে (b) অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে  (c) উভয় আশ্রয়বাক্যে (d) সিদ্ধান্তে ।

36. ন্যায়ের হেতুপদটি থাকে না (a) প্রধান আশ্রাবাক্যে (b) অপ্রধান অশ্রাবাক্যে (c✓) সিদ্ধান্তে (d) উভয় আশ্রয়বাক্যে। 

37. ন্যায়ের সাধ্য পদটি থাকে না (a) প্রধান আশ্রয়বাক্যে (b✓) অপ্রধান আশ্রয়বাক্যে (c) উভয় আশ্রয়বাক্যে (d) সিদ্ধান্তে। 

38. নিরপেক্ষ ন্যায়ের মুর্তি নির্ধারিত হয়— (a) পক্ষপদের অবস্থানের দ্বারা (b) সাধ্যপদের অবস্থানের দ্বারা (c✓) হেতুপদের অবস্থানের দ্বারা (d) বচনের দ্বারা। 

39. নিরপেক্ষ ন্যায়ের বৈধ মুর্তির সংখ্যা (a) চারটি (b) যােলোটি (c✓) উনিশটি (d) বাইশটি। 

40. নিরপেক্ষ ন্যায়ানুমানের প্রথম সংস্থানে বৈধ মূর্তির সংখ্যা (a✓) চারটি (a) দুটি (c) চারটি (b) তিনটি (d) ছয়টি।

41.  নিরপেক্ষ ন্যায়ানুমানের দ্বিতীয় সংস্থানে বৈধ মূর্তির সংখ্যা  (a✓) চারটি (b) তিনটি  (c) ছয়টি  (d) পাচটি ।

 42. নিরপেক্ষ ন্যায়ানুমানের তৃতীয় সংস্থানে বৈধ মূর্তির সংখ্যা - (a) চারটি (b✓) ছয়টি (c) সাতটি (d) আটটি । 

43. নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের চতুর্থ সংস্থানে বৈধ মূর্তির সংখ্যা হল - (a) চারটি (b✓) পাঁচটি (c) ছয়টি (d) সাতটি । 

44. ন্যায়ের একটি হেতুবাক্য বিশেষ হলে অন্যটি অবশ্যই হবে (a✓) সার্বিক বচন (b) বিশেষ বচন (c) সদর্থক বচন (d) নঞর্থক বচন । 

45. ন্যায়ের পক্ষ হেতুবাক্য নঞর্থক হলে সাধ্য হেতুবাক্যটি হবে—(a✓) সদর্থক (b) নঞর্থক (c) বিশেষ (d) আপতিক

  46. EI আশ্রয়বাক্য থেকে বৈধ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় - (a) প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্থানে (b) তৃতীয় ও চতুর্থ সংস্থানে (c✓) সব সংস্থানে (d) কোনাে সংস্থানেই নয় । 

47. নিরপেক্ষ ন্যায়ের প্রথম সংস্থানের অপ্রধান হেতুবাক্যটি হয়— (a) সামান্য বচন   (b✓) সদর্থক বচন (c ) বিশেষ বচন (d) নঞর্থক বচন। 

48. নিরপেক্ষ ন্যায়ের তৃতীয় সংস্থানের অপ্রধান হেতুবাক্যটি - (a✓) সদর্থক বচন (b) বিশেষ বচন ( c ) নঞর্থক বচন ( d ) সদর্থক বচন ।। 

49. নিরপেক্ষ ন্যায় এর দুটি আশ্রয় বাক্যের গুণ ও পরিমাণ অনুসারে একটি সংস্থানে মূর্তির সংখ্যা হবে - (a✓) ১৬টি  (b) ২০টি  (c)  ৩২টি (d) ৬৪টি

50.  বৈধ নিরপেক্ষ ন্যায়ের দ্বিতীয় সংস্থানে প্রধান হেতুবাক্যটি হয়- ( b ) নঞর্থক ( c ✓) সামান্য বচন ( d ) বিশেষ বচন । ( a ) সদর্থক

51. দুটি যুক্তিবাক্য সামান্য হলে তাদের সম্ভাব্য জোড় হবে—  a) A - I (b) E - I (c✓) A - A (d) E - 0

52. দুটি যুক্তিবাক্য বিশেষ হলে তাদের সম্ভাব্য জোড়টি হবে— (a) I - A (b) 0 - A (c) E - I (d✓) I - I

53. নিরপেক্ষ ন্যায়ের একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ হলে সিদ্ধান্তটি -  (a✓) বিশেষ  ( b ) সামান্য (c) বৈকল্পিক (d) প্রাকল্পিক ।

54. নিরপেক্ষ ন্যায়ের একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তটি হবে— (a) A বচন (b) E বচন (c) বচন (d✓) 0 বচন ।

 55. প্রধান আশ্রয়বাক্য A এবং অপ্রধান আশ্রয়বাক্য E বচন হলে সিদ্ধান্তটি হওয়া উচিত (a) A বচন (b✓) E বচন  (c) বচন (d) 0 বচন  

56. প্রধান আশ্রয়বাক A এবং অপ্রধান আশ্রয়বাক্য 0 বচন হলে, সিদ্ধান্তটি হওয়া উচিত (a) A বচন ( b ) E বচন ( c ) | বচন ( d ) 0 বচন। 

57. প্রধান আশ্রয়বাক্য A এবং অপ্রধান আশ্রয়বক্য E বচন হলে সিদ্ধান্তটি হওয়া উচিত (a) A বচন (b✓) E বচন (c) I বচন ( d ) O বচন। 

58. প্রধান আশ্রয়বাক্য A বচন এবং অপ্রধান আশ্রয়বাক্য O বচন হলে সিদ্ধান্তটি হওয়া উচিত - (a) A বচন (b) E বচন (c) I বচন  (d✓) O বচন

59. প্রধান ও অপ্রধান উভয় আশ্রয় A বচন হলে, সিদ্ধান্তটি হওয়া উচিত- (a✓) A বচন (b) E বচন  (c) I বচন ( d ) O বচন।

60. চতুর্থ সংস্থানে যে - কোনাে একটি যুক্তিবাক্য নঞর্থক হলে অন্য যুক্তিবাক্যটি অবশ্যই হবে (a ✓) A বচন ( b ) E বচন c ) I বচন ( d )  O বচন।

 61. চতুর্থ সংস্থানে প্রধান যুক্তিবাক্য সদর্থক হলে অপ্রধান যুক্তিবাক্যটি অবশ্যই হবে— (✓a) A অথবা E  বচন (b) I অথবা O বচন ( c ) E অথবা I বচন ( d ) I অথবা 0 বচন । 

62. চতুর্থ সংস্থানে অপ্রধান যুক্তিবাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্তটি অবশ্যই হবে— ( a ) A অথবা I বচন (b✓) I অথবা 0  ( c ) A অথবা E বচন ( d ) E অথবা 0 বচন । 

63. নিরপেক্ষ ন্যায়ানুমানের যে যে সংস্থানে হেতুপদ প্রধান আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য স্থানে থাকে, তা হল—  (a✓) প্রথম ও তৃতীয় সংস্থান (b) দ্বিতীয় ও চতুর্থ সংস্থান (c) দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংস্থান (d) প্রথম ও চতুর্থ সংস্থান । 

64. দ্বিতীয় সংস্থানে প্রধান যুক্তিবাক্যটি অবশ্যই হবে— (a✓) সার্বিক বচন (b) বিশেষ বচন (c) সদর্থক বচন (d) নঞর্থক বচন ।

65. প্রথম সংস্থানে প্রধান যুক্তিবাক্যটি অবশ্যই হবে (a) সদর্থক বচন (b✓) সার্বিক বচন (c) নঞর্থক বচন (d) বিশেষ বচন ।। 

66. প্রথম সংস্থানে অপ্রধান যুক্তিবাক্যটি অবশ্যই হবে (a) সার্বিক বচন (b) বিশেষ বচন (✓c) সদর্থক বচন (d) নঞর্থক বচন ।। 

67. কোনাে বৈধ ন্যায়ের একটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক এবং অন্যটি বিশেষ হলে সিদ্ধান্তটি হবে— (a) সদর্থক (b) নঞর্থক (c) বিশেষ (✓d) বিশেষ নঞর্থক। 

68. কোনাে বৈধ ন্যায়ের সিদ্ধান্তটি সদর্থক হলে— (a✓) আশ্রয়বাক্য দুটি সদর্থক হবে (b) আশ্রয়বাক্য দুটি নঞর্থক হবে (c) আশ্রয়বাক্য দুটি বিশেষ হবে  (d) আশ্রয়বাক্য দুটির একটি সদর্থক ও একটি নঞর্থক হবে। 

69. কোনাে বৈধ ন্যায়ের সিদ্ধান্তটি নঞর্থক হলে— (a) আশ্রয়বাক্য দুটি নঞর্থক হবে (✓b) আশ্রয়বাক্য দুটির একটি নঞর্থক হবে  (c) কোনাে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না (d) সবকটিই ঠিক । 

70. দুটি আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তটি হবে— (a) বৈধ (b) অবৈধ (c) নঞর্থক (✓d) কোনাে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না ।

71. দুটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ হলে (a) সিদ্ধান্তটি বৈধ হবে (b) সিদ্ধান্তটি অবৈধ হবে  (c✓) কোনাে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না (d) সিদ্ধান্তটি বিশেষ হবে।

 72. কোনাে বৈধ ন্যায়ের একটি আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্তটি হবে— (a) সদর্থক (b) নঞর্থক (c✓) সদর্থক অথবা নঞর্থক (d) কোনােটিই নয় ।

 73. কোনাে বৈধ যুক্তির সিদ্ধান্ত A বচন হলে সংস্থানটি হবে—  (a✓) প্রথম (b) দ্বিতীয় (c) তৃতীয়  (d) চতুর্থ । 

74. কোনাে বৈধ যুক্তির প্রধান আশ্রয়বাক্য 0 বচন হলে সিদ্ধান্তটি - (a) A বচন  (b) E বচন (c) I বচন  (d✓) 0 বচন ।


75. কোনাে বৈধ যুক্তির সিদ্ধান্ত বিশেষ হলে - (a) দুটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ হবে (b) দুটি আশ্রয়বাক্য সামান্য হবে (✓c) একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ হবে (d) সবকটিই হতে পারে। 

76. কোনাে ন্যায় অনুমানে পক্ষপদ যদি অপ্রধান আশ্রাবাক্যে অব্যাপ্য হয়ে সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয়, তাহলে যে দোষ ঘটে তা হল (a✓) অবৈধ পক্ষ দোষ (b) অবৈধ সাধ্য দোষ (c) অব্যাপ্য হেতু দোষ (d) চারিপদঘটিত দোষ ।

 77. কোনাে ন্যায় অনুমানে সাধ্যপদটি প্রধান আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ না হয়ে যদি সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হয় তাহলে যে দোষ ঘটে, তা হল ( a ) অবৈধ পক্ষ দোষ ( b✓) অবৈধ সাধ্য দোষ । ( c ) অব্যাপ্য হেতু দোষ 

78. কোনাে ন্যায়ানুমানে একটি আশ্রয়বাক্য বিশেষ এবং অপর আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তটি হবে— (a) বৈধ (b) অবৈধ ( c ) নঞর্থক ( d ) নঞর্থক বাক্যজনিত দোষ । (d✓) কোনাে সিদ্ধান্তে আসা যাবে না । 

79.  নিরপেক্ষ ন্যায়ে তিনের অধিক বচন থাকলে যে দোষ হয়, তা হল— ( a) চারিপদঘটিত দোষ (b✓) ন্যায়শৃঙ্খলজনিত দোষ ( c ) সাধ্য দোষ । ( d ) পক্ষ দোষ ।

 80. কোনাে নিরপেক্ষ ন্যায়ে তিনের কম বচন থাকলে যে দোষ হয়, তা হল— (a) চারিপদঘটিত দোষ (b✓) অমাধ্যম অনুমানজনিত দোষ (c) পক্ষ দোষ ( d ) সাধ্য দোষ । 

81. যদি কোনাে পদ এক স্থানে এক অর্থে এবং অন্য স্থানে অন্য অর্থে ব্যবহৃত হয় তবে সেখানে যে দোষ ঘটে, তা হল ( a ) চারিপদঘটিত দোষ ( b✓) অনেকাৰ্থক দোষ ( c ) পদান্তর দোষ ( d ) অর্থান্তর দোষ । 

82. যদি কোনাে ন্যায়ানুমানে তিনটির বেশি অর্থাৎ চারটি পদ থাকে , তাহলে যুক্তিটির ( a ) পক্ষ দোষ ( b ) সাধ্য দোষ । ( c ) হেতু দোষ (d✓) চারিপদঘটিত দোষ হয় । 

83.  নিরপেক্ষ ন্যায়ে সম্ভাব্য মূর্তির সংখ্যা কয়টি? ( a ) ৪ টি ( b ) ৫৬ টি ( c ) ১৫৬ টি (d✓) ২৫৬ টি ।

84. নিরপেক্ষ ন্যায়ের যে সংস্থানে হেতুপদ উভয় আশ্রয়বাক্যের বিধেয় স্থানে থাকে, তা হল ( a ) প্রথম সংস্থান (b✓) দ্বিতীয় সংস্থান ( c ) তৃতীয় সংস্থান ( d ) চতুর্থ সংস্থান ।

 85. AAA মূর্তিটি বৈধ হয় - (a✓) প্রথম সংস্থানে ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে । 

86. নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানের আশ্রয়বাক্য দুটিতে হেতুপদ একবারও ব্যাপ্য না হলে , ন্যায়টিতে- ( a ) অবৈধ সাধ্যদোষ ( b ) অবৈধ পক্ষদোষ ( 2 ) (c✓) অব্যাপ্য হেতুদোষ ( d ) চারিপদঘটিত দোষ ঘটে ।

 87. ন্যায় অনুমানে আকারগত নিয়মগুলি অনুসরণ করে যুক্তি গঠন করলে যুক্তিটি— ( a ) পক্ষদোষে দুষ্ট হবে ( b ) সাধ্যদোষে দুষ্ট হবে ( c ) হেতুদোষে দুষ্ট হবে (d✓) বৈধ হবে ।

 88.  বৈধ নিরপেক্ষ ন্যায় অনুমানে মধ্যপদকে দুটি আশ্রয়বাক্যের অন্তত একটিতে ব্যাপ্য হতে হবে  এই বিধি লঙ্ঘন করলে যে দোষের উদ্ভব হয়, তা হল  ( a ) চারিপদঘটিত দোষ (b✓) অব্যাপ্য হেতুদোষ ( c ) অবৈধ সাধ্যদোষ ( d ) অবৈধ পক্ষদোষ ।

 89. ন্যায়ের প্রথম সংস্থানে প্রধান আশ্রয়বাক্যে হেতুপদটি কোন্ স্থানে থাকে?  (a✓) উদ্দেশ্য স্থানে  ( b ) বিধেয় স্থানে ( c ) যে - কোনাে স্থানে ( d ) কোনােটিই নয় । 

90. নিরপেক্ষ ন্যায়ের কোন সংস্থানে হেতুপদ উভয় আশ্রয়বাক্যের বিধেয়তে থাকে? (a) প্রথম সংস্থানে (b✓) দ্বিতীয় সংস্থানে (c) তৃতীয় সংস্থানে  (d) চতুর্থ সংস্থানে।

91. ন্যায় অনুমানে যে পদ উভয় হেতুবাক্যে উপস্থিত থাকে, কিন্তু সিদ্ধান্তে থাকে না , তার নাম (a) পক্ষপদ । ( b ) সাধ্যপদ (c✓) হেতুপদ (d) কোনােটিই নয়। 

92. যদি বৈধ নিরপেক্ষন্যায়ের হেতুপদ উভয় আশ্রয়বাক্যেই বিধেয় স্থানে থাকে, তবে সেটিকে বলা হয় ------ সংস্থান (a) প্রথম (b ✓) দ্বিতীয় (c) তৃতীয়( d ) চতুর্থ 

 93.  নিরপেক্ষ ন্যায়ের যে সংস্থানে হেতুপদ উভয় আশ্রয়বাক্যেই উদ্দেশ্য স্থানে থাকে— ( a ) প্রথম সংস্থানে ( b) দ্বিতীয় সংস্থানে  (✓c) তৃতীয় সংস্থানে (d) চতুর্থ সংস্থানে

94. AOO মূর্তিটি ( a ) কেবল প্রথম সংস্থানেই বৈধ (b✓) কেবল দ্বিতীয় সংস্থানেই বৈধ ( c ) কেবল তৃতীয় ও চতুর্থ সংস্থানে বৈধ ( d ) সব সংস্থানেই বৈধ। 

95. OAO মূর্তিটি  (a) কেবল প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্থানে বৈধ (b✓) কেবল তৃতীয় সংস্থানে বৈধ ( c ) কেবল চতুর্থ সংস্থানে বৈধ ( d ) সব সংস্থানেই বৈধ । 

96. BARBARA (AAA) মুর্তিটি বৈধ হয়— (a✓) প্রথম সংস্থানে ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে ।

 97. DARAPTI (AAI) মূর্তিটি বৈধ হয়— ( a ) প্রথম সংস্থানে ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে (c✓) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে 

98. BRAMANTIP (AAI) মূর্তিটি বৈধ হয়—  ( a ) প্রথম সংস্থানে ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে (d✓) চতুর্থ সংস্থানে ।

 99. FRESISON ( EIO ) মূর্তিটি বৈধ হয়— ( a ) প্রথম সংস্থানে । ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে (d✓) চতুর্থ সংস্থানে ।

 100  FERISON (EIO) ( a ) প্রথম সংস্থানে ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে (c✓) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে ।

101. BAROCO (A00) মূর্তিটি বৈধ হয়— ( a ) প্রথম সংস্থানে  (b✓) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে ।

 102. CELARENT (EAE) মূর্তিটি বৈধ হয়— (a✓) প্রথম সংস্থানে  ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে ।

 103 DATISI ( AII ) মূর্তিটি বৈধ হয়— ( a ) প্রথম সংস্থানে  ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে (c✓) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে।

 104. CAMESTRES (AEE) মূর্তিটি বৈধ হয়—  (a) প্রথম সংস্থানে (b✓) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে  ( d ) চতুর্থ সংস্থানে।

 105. DIMARIS (IAI) মূর্তিটি বৈধ হয়— ( a ) প্রথম সংস্থানে  ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে (d✓) চতুর্থ সংস্থানে।


106. FESAPO (EAO) মূর্তিটি বৈধ হয় ------সংস্থানে। ( a ) প্রথম ( b ) দ্বিতীয়  ( c ) তৃতীয় (d✓) চতুর্থ 

 107. BOCARDO (OAO) মুর্তিটি বৈধ হয়—  ( a ) প্রথম সংস্থানে ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c✓) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে। 

108. FELAPTON (EAO) মূর্তিটি বৈধ হয়—  ( a ) প্রথম সংস্থানে  ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে (c✓) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে। 

109. CESARE (EAE) মূর্তিটি বৈধ হয়— ( a ) প্রথম সংস্থানে (b✓) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে।

 110. DARII (AII) মূর্তিটি বৈধ হয়— (a✓) প্রথম সংস্থানে ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে। 

111. CAMENES (AEE) মূর্তিটি বৈধ হয়— ( a ) প্রথম সংস্থানে  ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে ( c ) তৃতীয় সংস্থানে  d✓) চতুর্থ সংস্থানে। 

112.  FERIO (EIO) মৃর্তিটি বৈধ হয়— (a✓) প্রথম সংস্থানে ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে  ( c ) তৃতীয় সংস্থানে  ( d ) চতুর্থ সংস্থানে। 

113. FESTINO (EIO) মূর্তিটি  বৈধ হয়— ( a ) প্রথম সংস্থানে  (b✓) দ্বিতীয় সংস্থানে  ( c ) তৃতীয় সংস্থানে ( d ) চতুর্থ সংস্থানে।

114. DISAMIS ( IAI ) মূর্তিটি বৈধ হয়-- ( a ) প্রথম সংস্থানে  ( b ) দ্বিতীয় সংস্থানে (c✓) তৃতীয় সংস্থানে  ( d ) চতুর্থ সংস্থানে।

<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>>>>>>

Read More

Monday, 9 November 2020

HS Education | অনুরাগ বা আগ্রহ কী? অনুরাগ বা আগ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ কর।

Leave a Comment

প্রশ্নঅনুরাগ বা আগ্রহ কী?  অনুরাগ বা আগ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলি  উল্লেখ কর।

উঃ

অনুরাগ বা আগ্রহ: অনুরাগ বা আগ্রহ হল মনের এমন একটি স্থায়ী প্রবণতা, যা ব্যক্তির সুপ্ত মনোযোগকে গতিশীল করার মাধ্যমে তাকে বস্তুধর্মী কর্ম সম্পাদনের দিকে অগ্রসর হতে উদ্বুদ্ধ করে।

অনুরাগ বা আগ্রহের বৈশিষ্ট্যসমূহ : আগ্রহ বা অনুরাগের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

 ১) তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি : আগ্রহ এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যেখানে কোনাে কাজ সম্পাদন করে তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি লাভ হয় এবং ওই কাজের প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি হয়। মােট কথা, যেখানে ফল বা অভিজ্ঞতার অনুভূতি সুখকর বা তৃপ্তিদায়ক, সেখানে আগ্রহ বাড়ে। 

২) পূর্ব বা প্রাথমিক শর্ত: মানুষের প্রতিটি প্রেষণামূলক কর্মের পিছনেই মানসিক কোনাে সংগঠন কাজ করে। মনােযােগের পিছনে যে মানসিক সংগঠন কাজ করে, তাই হল অনুরাগ বা আগ্রহ। এককথায় আগ্রহ বা অনুরাগ না জন্মালে কোনাে বিষয়েই মন দেওয়া যায় না। 

৩) প্রেষণামূলক: অনুরাগ বা আগ্রহ প্রেষণামূলক। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ করা যায়, ছাত্রছাত্রীর বহু বিষয় অজানা থাকে, ফলে ওইসব বিষয়ের প্রতি তার আগ্রহ থাকে না। ওইসব ক্ষেত্রে শিক্ষক - শিক্ষিকা বা পরিবারের লােকজন প্রেষণা অবলম্বন করে শিক্ষার্থীর তথা ছাত্রছাত্রীর মধ্যে অনুরাগ বা আগ্রহ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। 

৪) অর্জিত : নানা পরিবেশে ক্রিয়া - প্রতিক্রিয়ার দ্বারা অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী বা ব্যক্তির মধ্যে অনুরাগ বা আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এই কারণে আগ্রহকে অর্জিত বলা হয়। 

৫)  বিকাশনির্ভর : অনুরাগের বিকাশ ঘটানাে যায়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের অনুরাগ সৃষ্টি হয় এবং ব্যক্তিজীবনকে কেন্দ্র করেই নানারকম অনুরাগ গড়ে ওঠে। 


 ৬) চাহিদা নির্ভর: অনুরাগ সৃষ্টির মূল কারণ হল চাহিদা বা অভাববােধ। কেননা শিক্ষার্থী বা ব্যক্তি যখন কোনাে বিষয়ে অভাববােধ করে, তখনই তার মধ্যে ওই বিষয়টির প্রতি অনুরাগ বা আগ্রহ সৃষ্টি হয়। 

) অনুভূতিনির্ভর : বহুক্ষেত্রে লক্ষ করা যায় ব্যক্তি এমন সব অনুরাগ বা আগ্রহ দেখায়, যেগুলির মধ্যে অনুভূতি থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, প্রবাসী বাঙালিদের বাংলার প্রতি এবং বাংলা ভাষার প্রতি অনুরাগ। 

৮) সামাজিক পরিবেশনির্ভর: সামাজিক পরিবেশ ব্যক্তির অনুরাগ সৃষ্টিতে বা অনুরাগের বিভিন্নতার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কারণে পাশ্চাত্য দেশের কোনাে ব্যক্তির অনুরাগের ক্ষেত্রের সঙ্গে অন্যান্য দেশের ব্যক্তির অনুরাগের ক্ষেত্রে পার্থক্য লক্ষ করা যায়। 

৯) সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে অনুরাগ চিরস্থায়ী নয় : অনুরাগ বা আগ্রহ নানা সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে এবং তার জায়গায় নতুন অনুরাগ সৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণে আগ্রহ বা অনুরাগ কখনও চিরস্থায়ী নয়। 

১০) ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য : অনুরাগ বা আগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও আর্থসামাজিক উপাদান বিশেষভাবে সাহায্য করে। যেমন — ব্যক্তির ক্ষেত্রে শারীরিক বিকাশ, মানসিক বিকাশ, পরিবারের আর্থসামাজিক মর্যাদা, সাংস্কৃতিক উপাদান, সুযোগসুবিধা, পরিবেশ, সামর্থ্য ইত্যাদি উপাদান সাহায্য করে। 

১১) সক্রিয়তা : কোনাে ব্যক্তির মধ্যে অনুরাগ সৃষ্টি করতে হলে, ব্যক্তির সক্রিয়তা একান্তভাবে প্রয়ােজন। ব্যক্তির সক্রিয়তা ছাড়া আগ্রহ বা অনুরাগ সৃষ্টি সম্ভব হয় না। 

১২)  সুযােগসুবিধা দান : অনেক সময় কোনাে বিশেষ বিষয়ে কোনাে ব্যক্তিকে সুযােগসুবিধা দান করলে ব্যক্তির মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

মন্তব্য:  আলােচ্য বৈশিষ্ট্যগুলির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, অনুরাগ বা আগ্রহ হল একটি বিকাশধর্মী প্রবণতা। এটি মানুষের চাহিদার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। লিঙ্গ এবং সমাজভেদে এর মধ্যে বৈচিত্র্য দেখা যায়। এটি বস্তুগত বা ব্যক্তিগত হতে পারে। শিশু কৈশােরে পৌঁছেলে এটি তার মধ্যে পূর্ণতা লাভ করে।

Read More

HS Philosophy অমাধ্যম অনুমান অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( মান -1 )

Leave a Comment

 চতুর্থ অধ্যায়: অমাধ্যম অনুমান 

দ্বাদশ শ্রেণী ( wbchse)

 অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( মান -1 ) 

১) অবরােহ অনুমান কত প্রকার ও কী কী?

উঃ  অবরােহ অনুমান দুই প্রকার -- ( ১ ) অমাধ্যম অনুমান এবং ( ২ ) মাধ্যম অনুমান। 


) অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে? 

উঃ যে অবরােহ অনুমানে সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় , তাকে অমাধ্যম অনুমান বলে। 


)  মাধ্যম অনুমান কাকে বলে? 

উঃ যে অবরােহ অনুমানে সিদ্ধান্তটি একাধিক আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় , তাকে মাধ্যম অনুমান বলে। 


৪) অমাধ্যম অনুমানের একটি উদাহরণ দাও।

উঃ উদাহরণ : 

A —   সকল মানুষ হয় মরণশীল। (আবর্তনীয়)

I — কোনাে কোনো মরণশীল ব্যক্তি হয় মানুষ (আবর্তিত)


) মাধ্যম অনুমানের একটি উদাহরণ দাও।

উঃ  উদাহরণ : 

 E  -- কোনাে মানুষ নয় দেবতা ।

 A -- সকল মানুষ হয় প্রাণী ।

 E -- কোনাে প্রাণী নয় দেবতা।


 ৬) মাধ্যম অনুমানে কয়টি আশ্রয়বাক্য বা যুক্তিবাক্য বা হেতুবাক্য থাকে? 

উঃ মাধ্যম অনুমানে দুই বা ততােধিক আশ্রয়বাক্য বা যুক্তিবাক্য বা হেতুবাক্য থাকে। 


) অমাধ্যম অনুমানে কয়টি আশ্রয়বাক্য বা যুক্তিবাক্য বা হেতুবাক্য থাকে? 

উঃ অমাধ্যম অনুমানে একটি আশ্রয়বাক্য বা যুক্তিবাক্য বা হেতুবাক্য থাকে ।


)  মাধ্যম অনুমানে কয়টি পদ থাকে ও কী কী? 

উঃ মাধ্যম অনুমানে  তিনটি পদ থাকে— ( ১ ) পক্ষপদ, (২) সাধ্যপদ এবং (৩) হেতুপদ। 


) অমাধ্যম অনুমানে কটি পদ থাকে ও কী কী?

উঃ  অমাধ্যম অনুমানে দুটি পদ থাকে -- (১) উদ্দেশ্য পদ এবং (২) বিধেয় পদ। 


১০) মাধ্যম ও অমাধ্যম অনুমানের প্রধান পার্থক্য কী?

উঃ মাধ্যম ও অমাধ্যম অনুমানের প্রধান পার্থক্য হল --

   অনুমানে দুই বা ততােধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়। কিন্তু অমাধ্যম অনুমানে সিদ্ধান্তটি একটিমাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে নিঃসৃত হয়।


১১) মাধ্যম ও অমাধ্যম অনুমানের একটি সাদৃশ্য লেখো

উঃ মাধ্যম ও অমাধ্যম অনুমানের একটি সাদৃশ্য হল -- 

মাধ্যম ও অমাধ্যম উভয় অনুমানই অবরোহ অনুমান।


 ১২) আবর্তন কাকে বলে? 

উঃ  যে অমাধ্যম অনুমানে একটি বচনের গুণ অপরিবর্তিত রেখে উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে ন্যায়সংগতভাবে যথাক্রমে অন্য একটি বচনের বিধেয় ও উদ্দেশ্যে পরিণত করা হয় , তাকে আবর্তন বলে। 

অথবা 

যে অমাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ ন্যায়সঙ্গতভাবে  সিদ্ধান্তের যথাক্রমে বিধেয় ও উদ্দেশ্য পদ হয় এবং আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ অপরিবর্তিত থাকে তাকে আবর্তন বলে। আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্যকে আবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্তকে আবর্তিত বা আবর্ত বলে।

উদাহরণ:

আবর্তনীয়: সকল মানুষ হয় মরণশীল (A)

আবর্ত: কোন কোন মরণশীল জীব হয় মানুষ (I)



১৩)  ব্যাবর্তন বা বিবর্তন বা প্রতিবর্তন কাকে বলে ?

 উঃ যে অমাধ্যম অনুমানে প্রদত্ত বচনের গুণের পরিবর্তন করে এবং সেই বচনটির বিধেয়ের বিরুদ্ধপদকে সিদ্ধান্তের বিধেয়রুপে গ্রহণ করা হয়, তাকে ব্যাবর্তন বা প্রতিবর্তন বা বিবর্তন বলে। বিবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্যকে বিবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্তকে বিবর্তিত বা বিবর্ত বলে।

উদাহরণ:

বিবর্তনীয়: সকল মানুষ হয় মরণশীল। (A)

বিবর্ত: কোনো মানুষ নয় অ- মরণশীল। (E)


১৪)  বিরুদ্ধ পদ কী?

 উঃ একটি পদ ও তার পরিপূরক পদকে একত্রে বিরুদ্ধ পদ বলা হয়। 

যেমন— ভারতীয় + অ - ভারতীয় = বিরুদ্ধ পদ 

              ( পদ )              ( পরিপূরক পদ ) 


১৫)  বিপরীত পদ কী? 

 উঃ বিপরীত পদ হল এমন দুটি পদ, যে দুটি পদকে যুক্ত করলে  নির্দেশিত ব্যক্তি বা বস্তুর সমগ্র শ্রেণিকে পাওয়া যায় না । যেমন — সাদা ও কালাে ।


 ১৬)  ‘ মানুষ ’ পদের বিরুদ্ধপদ কী হবে? 

উঃ  ‘মানুষ’ পদের বিরুদ্ধপদ  হল অ - মানুষ। 


১৭)  আবর্তন কত প্রকার ও কী কী?  

উঃ  আবর্তন দুই প্রকার - (১) সরল আবর্তন এবং (২) অ - সরল আবর্তন 


১৮)  সরল আবর্তন কাকে বলে?

উঃ যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ও পরিমাণ অপরিবর্তিত রেখে উদ্দেশ্য ও বিধেয়কে ন্যায়সংগতভাবে স্থানপরিবর্তন করা হয়, তাকে সরল আবর্তন বলা হয়। E , এবং I বচনের সরল আবর্তন সম্ভব।

অথবা

যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ এক থাকে, তাকে সরল আবর্তন বলে।

উদাহরণ:

I - কোন কোন সাপ হয় বিষাক্ত (আবর্তনীয়)

I - কোন কোন বিষাক্ত জীব হয় সাপ (আবর্তিত)


১৯) অ-সরল আবর্তন কাকে বলে?

উঃ যে আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ ভিন্ন হয় তাকে  অ-সরল বা সীমিত আবর্তন বলে। A বচনের আবর্তন অ-সরল আবর্তন।

উদাহরণ

A - সকল মানুষ হয় মরণশীল (আবর্তনীয়)

I - কোন কোন মরণশীল জীব হয় মানুষ (আবর্তিত)


২০) একটি সরল আবর্তনের উদাহরণ দাও।

উঃ সরল আবর্তনের উদাহরণ:

(১)  A - সকল পুস্তক হয় গ্রন্থ। (আবর্তনীয়)

A- সকল গ্রন্থ হয় পুস্তক। (আবর্তিত)


(২)  A - সকল উদ্ভিদ হয় গাছ। (আবর্তনীয়)

      A- সকল গাছ হয় উদ্ভিদ। (আবর্তিত)


(৩) A- রবীন্দ্রনাথ হন গীতাঞ্জলীর লেখক। (আবর্তনীয়)

A- গীতাঞ্জলির লেখক হন রবীন্দ্রনাথ। (আবর্তিত)


২১) কোন ক্ষেত্রে A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব?

উঃ যেসব ক্ষেত্রে প্রদত্ত A বচনের উদ্দেশ্য পদ ও বিধেয় পদ সমব্যাপক বা সমার্থক হয়, সেই ক্ষেত্রে A বচনে সরল আবর্তন সম্ভব। 


২২) A বচনে সরল আবর্তন কেন সম্ভব নয়?

উঃ A বচনের সরল আবর্তন সম্ভব নয়। কারণ A বচনের সরল আবর্তন করলে আবর্তনে চতুর্থ নিয়ম অর্থাৎ ব্যাপ্যতার নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়।


২৩) আবর্তনের নিয়মগুলি কী কী?

উঃ আবর্তনের নিয়মগুলি হল -

প্রথম নিয়ম: আশ্রয়বাক্য বা হেতুবাক্যের উদ্দেশ্য পদটি সিদ্ধান্তের বিপদ হবে।

দ্বিতীয় নিয়ম: আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদটি সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য পদ হবে।

তৃতীয় নিয়ম: আশ্রয়বাক্য  এবং সিদ্ধান্তের গুণ অভিন্ন হবে। অর্থাৎ আশ্রয়বাক্য সদর্থক হলে সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে এবং আশ্রয়বাক্য নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে।

চতুর্থ নিয়ম বা ব্যাপ্যতার নিয়ম: যে পদ যুক্তিবাক্যে ব্যাপ্য হয়নি সেই পদ সিদ্ধান্ত ব্যাপ্য হতে পারবে না।


২৪) বিবর্তনের নিয়মগুলি কী কী?

উঃ বিবর্তনের নিয়মগুলি হলো -

প্রথম নিয়ম: আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য পদ অভিন্ন হবে।

দ্বিতীয় নিয়ম: আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে।

তৃতীয় নিয়ম: আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ ভিন্ন হবে।

চতুর্থ নিয়ম: আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ অভিন্ন হবে। অর্থাৎ আশ্রয়বাক্য সামান্য বচন হলে সিদ্ধান্তও সামান্য বচন হবে এবং আশ্রয়বাক্য বিশেষ বচন হলে সিদ্ধান্তও বিশেষ বচন হবে।


২৫) বস্তুগত বিবর্তন কাকে বলে?

উঃ যে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রদত্ত বচনের আকারগত বিবর্তন না করে তার অর্থের উপর বিশেষভাবে নির্ভর করা হয় এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সাহায্যে প্রদত্ত বচনটিকে. বিবর্তিত করা হয়, তাকে বস্তুগত বিবর্তন বলে।

উদাহরণ:

যুদ্ধ হয় অমঙ্গলসূচক।

শান্তি হয় মঙ্গলসূচক।


২৬) বস্তুগত বিবর্তনকে প্রকৃত বিবর্তন বলা হয় না কেন?

উঃ বস্তুগত বিবর্তন যৌক্তিক বিবর্তনের উদ্দেশ্য পদের নিয়ম, গুনের নিয়ম, আকারগত নিয়ম মেনে চলে না। এই কারণে বস্তুগত বিবর্তনকে প্রকৃত বিবর্তন বলা যায় না।


২৭) অন্তরাবর্তন কী? 

উঃ আবর্তন ও বিবর্তনের যুগ্ম প্রয়োগকেই  অন্তরাবর্তন বলে।

বি. দ্র. 

আবর্তনের নিয়ম অনুসারে--

A বচনের আবর্তিত রূপ -- I (ব্যতিক্রম: A)

E বচনের আবর্তিত রূপ -- E

I বচনের আবর্তিত রূপ -- I

O বচনের আবর্তিত রূপ --সম্ভব নয়।

বিবর্তনের নিয়ম অনুসারে --

A বচনের বিবর্তিত রূপ -- E

E বচনের  বিবর্তিত রূপ -- A

I বচনের বিবর্তিত রূপ -- O

O বচনের বিবর্তিত রূপ -- I



Read More

Sunday, 8 November 2020

HS Philosophy অধ্যায়: বচনের বিরােধিতা (wbchse)

Leave a Comment

 অধ্যায়: বচনের বিরােধিতা (দ্বাদশ শ্রেণী) (wbchse)

 অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ( মান - ১)

১) বচনের বিরােধিতা কাকে বলে ?

  উঃ একই উদ্দেশ্য - বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি গুণ কিংবা পরিমাণ অথবা গুণ ও পরিমাণ উভয় ক্ষেত্রেই প্রভেদ থাকে, তাহলে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বচনের বিরােধিতা বলা হয় । A ও E বচনের মধ্যে এই সম্বন্ধ বর্তমান 

২) বচনের বিরােধিতা কত প্রকার ও কী কী?  

উঃ  বচনের বিরােধিতা চার প্রকার । যথা— (i) বিপরীত বিরােধিতা (ii) অধীন বিপরীত বিরােধিতা (iii) অসম বিরােধিতা ও (iv) বিরুদ্ধ বিরােধিতা। 

৩)  বিপরীত বিরােধিতা কাকে বলে ? 

 উঃ  একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি সামান্য বচনের মধ্যে যদি কেবল গুণের পার্থক্য থাকে, তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিপরীত বিরােধিতা বলা হয়। A ও E বচনের মধ্যে এই সম্বন্ধ বর্তমান।

৪)  অধীন - বিপরীত বিরােধিতা কাকে বলে?

উঃ একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি বিশেষ বচনের মধ্যে যদি কেবল গুণের পার্থক্য থাকে, তবে বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধ কে অধীন বিপরীত বিরোধিতা বলা হয়। I এবং O বচনের মধ্যে এই সম্বন্ধে বর্তমান।

৫)  অসম বিরােধিতা কাকে বলে? 

উঃ একই উদ্দেশ্য, বিধেয় ও গুণযুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের মধ্যে যদি কেবল পরিমাণের পার্থক্য থাকে তবে ওই বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে অসম বিরােধিতা বলা হয়। এই সম্বন্ধে যুক্ত বচন গুলি হল A -- I এবং E --- O।

৬) বিরুদ্ধ বিরােধিতা কাকে বলে?

 একই উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচন যখন গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে পৃথক হয়, তখন বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বিরুদ্ধ বিরােধিতা বলা হয় । এই সম্বন্ধে যুক্ত বচনগুলি হল A - 0 ও E – I।

 ৭) বিপরীত বিরােধিতার উদাহরণ দাও।  

উঃ বিপরীত বিরােধিতা উদাহরণ-

A - সকল মানুষ হয় মরণশীল।

E -- কোনাে মানুষ নয় মরণশীল।

 ৮)  অধীন - বিপরীত বিরােধিতার একটি দৃষ্টান্ত দাও।

উঃ   অধীন - বিপরীত বিরােধিতার একটি দৃষ্টান্ত

  A - কোনাে কোনাে মানুষ হয় সৎ ব্যক্তি

  I -  কোনাে কোনাে মানুষ নয় সৎ ব্যক্তি ( O )

৯) 'কোনাে কোনাে মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব।' --  বচনটির অধীন - বিপরীত বিরােধী বচন উল্লেখ কর।

উঃ  বচনটির অধীন - বিপরীত বিরােধী বচন হল -

 O - কোনাে কোনাে মানুষ নয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন 

১০) বিরুদ্ধ বিরােধিতার দৃষ্টান্ত দাও।

উঃ 

দৃষ্টান্ত নং 1 

A- সকল শিশু হয় সরল 

O -  কোনাে কোনাে শিশু নয় সরল

দৃষ্টান্ত নং 2

E - কোনাে মানুষ নয় অমর

 I - কোনাে কোনাে মানুষ হয় অমর

১১)  লৌকিক অর্থে বচনের বিরােধিতা কাকে বলে ?

 উঃ লৌকিক অর্থে দুটি নিরপেক্ষ বচন একসঙ্গে সত্য এবং একসঙ্গে মিথ্যা না হলে, উক্ত বচন দুটির পারস্পরিক সম্বন্ধকে বচনের বিরােধিতা বলা হয়।

 ১২) বচনের বিরােধিতার আবশ্যিক শর্ত কী? 

উঃ বিরােধী বচনের উদ্দেশ্য ও বিধেয় অভিন্ন হবে এবং গুণ ও পরিমাণ পৃথক হবে। 

১৩)  প্রচলিত যুক্তিবিজ্ঞানে বিরােধিতার মাপকাঠি কী? 

 উঃ অভিন্ন উদ্দেশ্য ও বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচনের গুণ ও পরিমাণকেই প্রচলিত যুক্তিবিজ্ঞানে বিরােধিতার মাপকাঠি বলা হয়।

 ১৪) বিপরীত বিরােধিতা ও অধীন - বিপরীত বিরােধিতার মধ্যে মূলগত পার্থক্য কী ? 

উঃ বিপরীত বিরােধিতা হয় দুটি সামান্য বচনের মধ্যে , কিন্তু অধীন - বিপরীত বিরােধিতা হয় দুটি বিশেষ বচনের মধ্যে।

 ১৫) বিরােধানুমান কাকে বলে?

 উঃ বিরােধিতার সম্বন্ধে যুক্ত দুটি বচনের মধ্যে একটির সত্য বা মিথ্যার উপর ভিত্তি করে অন্য বচনটির সত্য বা মিথ্যার অনুমানকে বিরােধানুমান বলা হয় ।

১৬) বিরোধানুমানকে কোন ধরনের অনুমান বলা হয়? 

উঃ বিরোধানুমানকে অবরোহমূলক অমাধ্যম  অনুমান বলা হয়।

১৭) বিরোধ চতুষ্কোণের কর্ণ দুটি দ্বারা কোন বিরোধিতা বোঝানো হয়? 

উঃ বিরোধ চতুষ্কোণের কর্ণ দুটি দ্বারা বিরুদ্ধ বিরোধিতাকে বোঝানো হয়।

১৮) অতিবর্তী বচন কাকে বলে?

উঃ বিপরীত বিরোধিতার ক্ষেত্রে সামান্য বচনকে (A,  E) বলা হয় অতিবর্তী বচন।

১৯) অনুবর্তী বচন কাকে বলে? 

উঃ অধীন-বিপরীত বিরোধিতার ক্ষেত্রে বিশেষ বচনকে ( I, O) বলা হয় অনুবর্তী বচন।

২০) অ্যারিস্টটলের মতে, বিরোধিতা কয় প্রকার ও কী কী? 

উঃ অ্যারিস্টটলের মতে, বিরোধিতা দুই প্রকার যথা - (1) বিপরীত বিরোধিতা ও (2) বিরুদ্ধ বিরোধিতা।

২১) অ্যারিস্টটল অধীন-বিপরীত বিরোধিতাকে বিরোধিতা বলে স্বীকার করেননি কেন?

উঃ  অ্যারিস্টটল অধীন-বিপরীত বিরোধিতাকে বিরোধিতা বলে স্বীকার করেননি। কারণ- তাঁর মতে,  'I' এবং 'O' বচন উভয়ই একসঙ্গে সত্য হতে পারে।

২২) অ্যারিস্টটল কেন অসম বিরোধিতাকে বিরোধিতা বলে স্বীকার করেননি?

উঃ অ্যারিস্টটল  অসম বিরোধিতাকে বিরোধিতা বলে স্বীকার করেননি। কারণ তিনি মনে করেন A এবং I,  E এবং O বচন উভয়ই একসঙ্গে সত্য হতে পারে।

২৩) অ্যারিস্টটলের মতে, সর্বাপেক্ষা তীব্র বিরােধিতার সম্বন্ধ কোনটি? 

উঃ অ্যারিস্টটলের মতে, সর্বাপেক্ষা তীব্র বিরােধিতার সম্বন্ধ হল বিপরীত বিরােধিতা। 

২৪)  বিপরীত বিরােধানুমানের নিয়ম কী?  

উঃ বিপরীত বিরােধানুমানের নিয়ম -

বিপরীত বিরােধানুমানে একটি বচন সত্য হলে অপরটি মিথ্যা হবে এবং একটি মিথ্যা হলে অপরটি অনিশ্চিত হবে। 

২৫) অধীন - বিপরীত বিরােধানুমানের নিয়ম কী? 

উঃ অধীন - বিপরীত বিরােধানুমানের নিয়ম -

 অধীন - বিপরীত বিরােধানুমানে একটি বচন মিথ্যা হলে তার অনুরূপ বচনটি সত্য হবে এবং একটি বচন সত্য হলে অনুরুপ বচনটি অনিশ্চিত হবে। 

২৬) বিরুদ্ধ বিরােধানুমানের নিয়ম কী? 

উঃ বিরুদ্ধ বিরােধানুমানের নিয়ম -

বিরুদ্ধ বিরােধানুমানে যদি একটি বচন সত্য হয়, তবে অনুরুপ বচনটি মিথ্যা হবে এবং একটি বচন যদি মিথ্যা হয় তবে অনুরূপ বচনটি সত্য হবে। 

২৭) কখন দুটি বচন পরস্পরবিরােধী হয়?

উঃ একই উদ্দেশ্য বিধেয়যুক্ত দুটি নিরপেক্ষ বচন যখন গুণ কিংবা পরিমাণ অথবা গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে পৃথক হয়, তখন বচন দুটি পরস্পরবিরােধী হয়। 

২৮) বিরুদ্ধ বিরােধিতার ক্ষেত্রে সত্যমূল্যের নিয়ম কী? 

উঃ বিরুদ্ধ বিরােধিতার ক্ষেত্রে দুটি বচন একসঙ্গে সত্য হতে পারে না , আবার একসঙ্গে মিথ্যা হতে পারে না। 

২৯) অসম বিরােধিতায় বচন দুটির মধ্যে কীরূপ প্রভেদ থাকে?

উঃ অসম বিরােধী বচনগুলির মধ্যে কেবল পরিমাণের পার্থক্য থাকে। 

৩০) অনুসিদ্ধান্ত কী? 

কোন একটি সিদ্ধান্ত থেকে যদি অন্য কোন একটি সিদ্ধান্ত নিঃসৃত হয়, তবে তাকে অনুসিদ্ধান্ত বলে।

৩১) বিপরীত বিরোধানুমানের মূল নিয়মের অনুসিদ্ধান্ত দুটি কী কী?

উঃ (১) A বচন সত্য হলে E বচন মিথ্যা হবে।

     (২) E বচন সত্য হলে A বচন মিথ্যা হবে।

৩২) অসম বিরোধিতার একটি দৃষ্টান্ত দাও।

উঃ অসম বিরোধিতার একটি দৃষ্টান্ত -

E - কোনো মানুষ নয় পূর্ণ।

O - কোনো কোনো মানুষ নয় পুর্ণ।

৩৩) বিপরীত বিরোধিতার একটি বচন সত্য হলে অপর বচন সত্য মূল্য কি হবে? 

উঃ মিথ্যা।

৩৪) দুটি বিরুদ্ধ বচন একসঙ্গে সত্য হয় না কেন? 

উঃ বিরোধী বচনগুলি গুণ ও পরিমাণ উভয় দিক থেকে পৃথক হয় বলে বিরুদ্ধ বসনগুলি একসঙ্গে সত্য হয় না।

৩৫) 'সকল মানুষ হয় বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন জীব'' - বচনটির বিপরীত বিরোধী বচন কী হবে?

উঃ  কোন মানুষ নয় বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন জীব - (E)

৩৬) 'সকল কবি হয় কল্পনাপ্রবণ' - বচনটির বিপরীত বিরোধী বচন কী হবে?

উঃ প্রদত্ত বচন: সকল কবি হয় কল্পনাপ্রবণ (A)

বিপরীত-বিরোধী বচন: কোন কবি নয় কল্পনাপ্রবণ। ( E)

৩৭) ' মানুষ অসৎ হতে পারে' - অসম বিরোধী বচন নির্ণয় করো।

উঃ প্রদত্ত বচন: কোন কোন মানুষ হয় অসৎ। (I)

 অসম বিরোধী বচন: সকল মানুষ হয় অসৎ। (A) 


Read More

Saturday, 7 November 2020

প্রশ্ন: শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বলতে কী বোঝ? বৃদ্ধি ও বিকাশের সম্পর্ক আলোচনা কর এবং তাদের পার্থক্য কর।

Leave a Comment

 প্রশ্ন: শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বলতে কী বোঝ? বৃদ্ধি ও বিকাশের সম্পর্ক আলোচনা কর এবং তাদের পার্থক্য কর।

উত্তর

বৃদ্ধি: একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মানবশিশুর দেহের আকার বা আয়তন, ওজন ও উচ্চতার স্বতঃস্ফুর্ত ও স্থায়ী পরিবর্তন হলো বৃদ্ধি।

বিকাশ: বিকাশ হল ব্যক্তির সহজাত দৈহিক-মানসিক ক্ষমতা বা সামর্থ্যের  প্রকাশ ও বিস্তার, যা ব্যক্তিকে জটিল থেকে জটিলতর কর্ম সম্পাদন করতে সহায়তা করে। বৃদ্ধির মাধ্যমে বিকাশ অর্জিত হয়। কাজেই জন্মের পর থেকে শিশুর জীবনব্যাপী সামগ্রিক পরিবর্তনের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হল বিকাশ।

বৃদ্ধি ও বিকাশের সম্পর্ক: বৃদ্ধি ও বিকাশ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। বৃদ্ধি ছাড়া বিকাশ সম্ভব নয়। বৃদ্ধি হল দৈহিক আকার আকৃতির সর্বাঙ্গীণ পরিবর্তন কিন্তু বিকাশ বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে মানুষের সামগ্রিক পরিবর্তন সাধন করে। বৃদ্ধি ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার ঠিকই, তেমনি বিকাশও ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। অর্থাৎ ব্যক্তির শারীরিক, বৌদ্ধিক, সামাজিক, আবেগমূলক প্রভৃতি। সুতরাং বিকাশ বলতে আমাদের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির গুণগত পরিবর্তনকে বুঝে থাকি। আমরা জানি দৈহিক বিকাশের মত মানসিক বিকাশ ঘটে পর্যায়ক্রমে ছন্দবদ্ধভাবে। বিকাশ ধারা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশের বৈশিষ্ট্য এবং প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। তাই সক্রেটিস ও প্লেটো দুজনের বক্তব্যেরই মূল কথা – বিকাশই শিক্ষা। আমরা জানি প্রতিটি শিশু এক একক সত্তা বিশিষ্ট এবং প্রতিটি শিশুর মধ্যে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র বিদ্যমান। সেইদিক লক্ষ্য রেখে জীবনের শুরু থেকে গঠনগত ও প্রকৃতিগত পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। এই পরিবর্তন বিভিন্ন দিক থেকে ঘটতে পারে। দৈহিক দিক থেকে যেমন আয়তনগত বা দৈর্ঘ্যগত বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়, তেমনি মানসিক দিক থেকে বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন ঘটে। সুতরাং বৃদ্ধি ও বিকাশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকলেও আমরা আধুনিক শিক্ষা - চিন্তার বৃদ্ধি ও বিকাশের মধ্যে মূলগত কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।

বৃদ্ধি ও বিকাশের মধ্যে পার্থক্য:

(১) বৃদ্ধি বলতে সম্পূর্ণভাবে পরিমাণগত পরিবর্তনগুলিকে বােঝায়। যেমন- ব্যক্তির দৈহিক উচ্চতা ওজন ইত্যাদি। অপরদিকে,  বিকাশ হল ক্ৰমউন্নয়নশীল সামগ্রিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া । অর্থাৎ গুণগত প্রকাশ ব্যক্তির আচরণ বা প্রতিক্রিয়ার মধ্যে লক্ষ করা যায় ।

(২) বৃদ্ধি হল কারণ কিন্তু বিকাশ তার ফল।

 (৩) বৃদ্ধির পরিবর্তনকে আমরা নৈর্ব্যক্তিক   ভাবে বিচার করে থাকি। অপরদিকে, বিকাশ সম্পর্কিত ধারণা এই অর্থে ব্যক্তিকেন্দ্রিক

 (৪) বৃদ্ধি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া নয়। কারণ একটি নির্দিষ্ট সময়ে বৃদ্ধির সমাপ্তি ঘটে। অপরদিকে,  বিকাশ জীবনব্যাপী ঘটমান প্রক্রিয়া। যার শুরু ঘটে শিশুর জন্মমুহূর্ত থেকে এবং তা চলে ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত।

 (৫) বৃদ্ধি বলতে শুধুমাত্র দৈহিক বিকাশকেই বােঝান হয়। কিন্তু, বিকাশ বলতে আমরা দৈহিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক, সামাজিক, প্রাক্ষোভিক অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির গুণগত পরিবর্তনকে বােঝান হয়। 

(৬) বৃদ্ধি স্বতস্ফূর্ত, তবে  অনুশীলনের প্রভাব দেখা যায়। অপরদিকে,  পরিবেশের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ফলেই বিকাশ ঘটে অর্থাৎ ব্যক্তির সক্রিয়তা এবং অনুশীলন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।

(৭) বৃদ্ধির পরিমাপ করা হয় আধুনিক পরিমাপক কৌশল দ্বারা। অপরদিকে, বিকাশ পরিমাপযােগ্য যা পরিমাপ করা হয় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এবং আধুনিক নানা বৈজ্ঞানিক অভীক্ষার সাহায্যে।

(৮) বৃদ্ধি পরিমাণগত কিন্তু বিকাশ গুণগত।

<<<<<<<<>>>>>>


Read More

Friday, 6 November 2020

THE WISE SOLOMAN

Leave a Comment

 THE WISE SOLOMAN /  THE WISE JUDGE

 Once upon a time there lived a King called Soloman. He was famous for his wisdom.  He could solve any problem wisely. People praised him for his wisdom and intelligence. Once two women came to him with two babies . One of the babies was alive , and the other was dead . Both claimed the living one . King Soloman was a bit puzzled. After a while he called his men and said, "Cut the living child into two equal halves and give each of the women a half. "One woman readily agreed.   The other began to cry. She then prayed to the King, "Oh King ! I don't want the baby, give it to her.  "Now king Soloman realised who the real mother was. He then ordered his men to give the baby to the real mother. And the other was sent to jail. 

MORAL : Truth Always Triumphs.


জ্ঞানী বা পন্ডিত সোলেমান/ জ্ঞানী বিচারক

একদা  সোলোমান নামে একজন রাজা বাস করতেন।  তিনি তাঁর জ্ঞানের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।  তিনি যে কোনও সমস্যা বুদ্ধি করে সমাধান করতে পারতেন।  লোকেরা তাঁর জ্ঞান এবং বুদ্ধি জন্য প্রশংসা করতেন।  একবার দু'জন মহিলা দু'জন বাচ্চা নিয়ে  তাঁর কাছে এলেন।  একটি বাচ্চা বেঁচে ছিল এবং অন্যটি মারা গিয়েছিল।  দুজনেই জীবিতকে দাবি করলেন।  রাজা সলোমন কিছুটা বিস্মিত হয়ে গেলেন।  কিছুক্ষণ পরে তিনি তাঁর লোকদের ডেকে বললেন, "জীবিত শিশুটিকে দুটি  সমান ভাগে ভাগ কর   এবং প্রত্যেক মহিলাকে অর্ধেক দাও।" এক মহিলা অনায়াসেই রাজি হন।  অন্য জন কাঁদতে লাগল।  তারপরে তিনি রাজার কাছে প্রার্থনা করলেন, "ওহ রাজা! আমি বাচ্চা চাই না, তাকে দিয়ে দিন।" এখন রাজা সোলোমান বুঝতে পারলেন আসল মা কে।  তারপরে তিনি তাঁর লোকদের প্রকৃত  মাকে বাচ্চা দেওয়ার নির্দেশ দেন।  আর অপরকে কারাগারে প্রেরণ করা হল।

 নীতিকথা: সত্যের সর্বদা জয়।

Read More