Saturday, 23 June 2018

Story Writing: THE CROW AND THE PITCHER

4 comments
  Develop the following outline into an interesting story within 100 words. Give a title and add a moral to your story.

Outline:  A thirsty crow found water in a pitcher-water was too low down-it picked up stones and threw them into the pitcher the level of wate rose-the crow easly drank water.

                THE CROW AND THE PITCHER

        Once on a very hot and stuffy day, a crow became very thirsty. It flew about in search of water, but found no water anywhere. At last, it saw a pitcher in the distance and flew down there to drink
water. But the water was lying low at the bottom of the pitcher. It tried again and again to reach the water but all in vain. But the crow was very clever. It hit upon a plan. It looked round and saw some little pebbles near the pitcher. Then he dropped the pebbles one by one into the pitcher. At last, the level of water rose high up and the crow drank to his heart's content and flew away.

 Moral: Where there is will, there is a way. 

Or, Necessity is the mother of invention.

                          <<<<<<>>>>>
Read More

Tuesday, 19 June 2018

বুদ্ধি কি? বুদ্ধির বহু উপাদান তত্ত্ব আলোচনা কর। শিক্ষাক্ষেত্রে উপযোগিতা (শিক্ষাবিজ্ঞান/Education)

1 comment
প্রশ্ন:  বুদ্ধি কি? বুদ্ধির বহু উপাদান তত্ত্ব আলোচনা কর। শিক্ষাক্ষেত্রে বহু উপাদান তত্ত্বের / Thurstone এর তত্ত্বের উপযোগিতা লেখ।         ১৫

উত্তর:
          বুদ্ধি: বুদ্ধির সংজ্ঞা কি হবে তা নিয়ে মনোবিজ্ঞানের মধ্যে বিশেষ মতবিরোধ আছে। বিভিন্ন মনোবিদ বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বুদ্ধির সংজ্ঞা নির্দেশ করেছেন। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা দেওয়া হলো।
      কোনো কোনো মনোবিদ পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে সঙ্গতি সাধনের ক্ষমতাকেই বুদ্ধি বলে। মনোবিদ স্টার্ন বলেছেন, জীবনের নতুন সমস্যা বা পরিস্থিতির সঙ্গে অভিযোজন করার সাধারন মানসিক ক্ষমতাই হলো বুদ্ধি। মনোবিদ Paterson বলেন, বুদ্ধি হল এমন এক জৈবিক কৌশল যার সাহায্যে কোন জটিল  পরিস্থিতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে আমরা একক প্রতিক্রিয়া করতে পারি। Edwards বলেছেন-- পরিবর্তনশীল বহুমূখী প্রতিক্রিয়া করার ক্ষমতাই হলো বুদ্ধি। বাকিংহাম বলেছেন,  শিখনের ক্ষমতাই হলো বুদ্ধি। মনোবিদ ডিয়ারবোর্ণ বলেছেন,  বুদ্ধি হল অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হওয়ার ক্ষমতা। থর্নডাইক বলেন, অনুষঙ্গ বা বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে সংযোগ সাধনের ক্ষমতাই বুদ্ধি। থার্স্টোন বলেন, সহজাত প্রবৃত্তিগুলিকে সামাজিক দিক থেকে কার্যকর করে তোলাই হলো বুদ্ধির লক্ষণ। স্পিয়ারম্যানের মতে বুদ্ধি হল নিজের মনের প্রতিক্রিয়াগুলিকে লক্ষ্য করার ক্ষমতা,  জ্ঞানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সম্বন্ধ আবিষ্কারের ক্ষমতা, পারস্পরিক সম্বন্ধের ক্ষেত্রে কোনটি অনুরূপ বা কোনটি বিপরীত বলতে পারার ক্ষমতা। নাইট এবং নাইট বলেন, "বুদ্ধি হলো সব ধরনের মানসিক শক্তি বা ক্ষমতার সাধারণ উপাদান।"

         বহু উপাদান তত্ত্ব: মনোবিদ Thurstone এই বহু উপাদান তত্ত্বের প্রবক্তা। তিনি 'g' বা সাধারণ সামর্থ্য বলে কোনো একটি একক মানসিক শক্তির অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। তিনি বিশেষ এক পদ্ধতিতে বিভিন্ন মানসিক পরীক্ষার ফলাফলের উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখলেন যে, যদিও বিভিন্ন কাজের মধ্যে সহগতি আছে, কিন্তু তার পরিমাণ এত কম যে, তার থেকে তাদের মধ্যে একটি সাধারণ উপাদান আছে এই সিদ্ধান্ত করা যায় না।
         Thurstone দেখিয়েছেন মানুষ নানা ধরনের কাজ করে। বহু ধরনের কর্মসম্পাদনের ক্ষমতা রয়েছে মানুষের মধ্যে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে কতকগুলি কাজ আছে যেগুলি একটি দলগত শ্রেণীতে অবস্থান করে। যার নাম তিনি দিয়েছেন দলগত উপাদান। তিনিও তার গবেষণাকে একটি গাণিতিক যুক্তির দ্বারা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। তিনি সিদ্ধান্তে এলেন যে, একই দলভুক্ত যে কাজের ক্ষমতাগুলি রয়েছে, সেগুলি আসলে একই মানসিক ক্ষমতার পরিচায়ক। তিনি বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে এলেন যে, মানুষের মধ্যে যে সাধারণ মানসিক ক্ষমতা বা বুদ্ধি রয়েছে বলে মনোবিদ স্পিয়ারম্যান চিহ্নিত করেছেন তা আসলে কতগুলি পরস্পর নিরপেক্ষ স্বাধীন প্রাথমিক মানসিক উপাদানের সমবায়। তিনি এই ক্ষমতাকে বলেছেন দলগত উপাদান। এই দলগত উপাদানের উপর ভিত্তি করে তাঁর মতবাদ গড়ে উঠেছে বলে তার তত্ত্ব বা মতবাদকে বলা হয় বহু উপাদানে তত্ত্ব বা দলগত উপাদানে তত্ত্ব।

          থার্স্টোন 56 রকমের বিভিন্ন বুদ্ধির অভিক্ষা নিয়ে প্রায় 240 জন শিক্ষার্থীর ওপর নিরীক্ষা করেন। এই পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফল থেকে তিনি সিদ্ধান্ত করেন যে, বুদ্ধি কতগুলি পরস্পর নিরপেক্ষ স্বাধীন প্রাথমিক মানসিক উপাদান দ্বারা গঠিত। তিনি এইরকম সাতটি প্রাথমিক উপাদানের কথা বলেছেন। সেগুলি হল -

(i) স্থান প্রত্যক্ষণের ক্ষমতা [Special ability (S)]
(ii) সাধারণ প্রত্যক্ষণের ক্ষমতা [Perceptual ability (P)]
(iii) সংখ্যা নিয়ে কাজ করার ক্ষমতা [ Number (N)]
(iv) ভাষা বোধের ক্ষমতা [Verbal Comprehension (V)]
(v) স্মৃতি [(Memory (M)]
(vi) ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা [word fluency (W)]
(vii) যুক্তি শক্তি [Reasoning (R)]
  
           থার্স্টোন বলেছেন, এইসব প্রাথমিক উপাদানগুলি বিভিন্ন বৌদ্ধিক কাজের মধ্যে বিভিন্ন পরিমাণে থাকে। যেমন - 1 নং কাজ করার জন্য  স্থান প্রত্যক্ষণ (S), সংখ্যাগত (N), ভাষা বোধ (V) এবং স্মৃতি (M) - এই চারটি ক্ষমতার প্রয়োজন। 2 নং কাজের জন্য ভাষা বোধ (V), স্মৃতি (M) প্রত্যক্ষণ (P) এবং যুক্তি ( R) - এ চারটি ক্ষমতার প্রয়োজন। অন্যদিকে 3 নং কাজের জন্য ভাষা প্রয়োগ (W) ভাষা বোধ (V) এবং প্রত্যক্ষণ (P) - এই তিনটি ক্ষমতার প্রয়োজন হয়।

         যেকোনো ধরনের বৌদ্ধিক কাজে এই উপাদানগুলি কয়েকটি বা কোনো ক্ষেত্রে সবকটি প্রয়োজন হয়। তিনি বলেছেন এই কয়েকটি মৌলিক উপাদানের সমবায়ে বুদ্ধি গঠিত। যদিও পরবর্তীকালে অনেক মনোবিদ থার্স্টোনের প্রাথমিক ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবুও আজকাল অনেক বুদ্ধির অভীক্ষা এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে গঠন করা হচ্ছে।

       শিক্ষাক্ষেত্রে থার্স্টোনের তত্ত্বের উপযোগিতা:

         ১) মানুষের মানসিক ক্ষমতা পরিমাপের জন্য যে সমস্ত অভীক্ষা ব্যবহার করা হয় তাদের মধ্যে জনপ্রিয় অনেক অভীক্ষাই এই তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

        ২) এই তত্ত্বের দ্বারা মানুষ তার বিভিন্ন মানসিক ক্ষমতাগুলির বিকাশ ঘটিয়ে থাকে। থার্স্টোন (Thurston) এর এই তত্ত্ব বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী।

      সুতরাং, প্রাথমিক মানসিক উপাদানের তত্ত্ব থেকে বলা যায় যে, এখানে সাতটি প্রাথমিক মানসিক উপাদান বৌদ্ধিক কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সমবায়ের সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন বৌদ্ধিক কর্ম সম্পাদিত হয়ে থাকে। এই তত্ত্বের প্রয়োগ ক্ষেত্র বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি।
<<<<<<>>>>>>
Read More

SAQ of Leela's Friend (Class xi of wbchse)

7 comments
SAQ OF LEELA'S FRIEND
                      R. K. Narayan

1. Who was Leela? [লীলা কে?]

Ans. Leela was the five-year-old daughter of Mr. and Mrs. Sivasanker.[লীলা হল শিবশংকর বাবু এবং তাঁর স্ত্রীর 5 বছরের কন্যা।]

2. Who was Mr Sivasanker?[মিস্টার শিব শঙ্কর কে?]
Ans. Mr. Sivasanker was the father of the five-year-old little girl Leela.[শিব শংকর বাবু হলেন ৫ বছর বয়সের ছোট্ট মেয়ে লীলার পিতা।]

3. What kind of job did Sidda do in the Sivasanker's household?[শিব শংকর বাবুর সংসারে সিদ্দা কী ধরনের কাজ করতো?]

Ans. Siddha washed clothes, tended the garden, ran errands, chopped wood and  looked after Leela at Mr. Sivasanker's house.[শিব শংকর বাবুর বাড়িতে সিদ্ধা কাপড় কাচতে, বাগান পরিচর্যা করত, ফাইফরমাশ খাটত, কাঠ কাটত আর লীলার দেখাশোনা করত।]

4. Where did Leela's mother find the gold chain?[লীলার মা সোনার হারটিকে কোথায় পেলেন?]

Ans. Leela's mother finally found the gold chain from the tamarind pot in the kitchen. [লীলার মা শেষ পর্যন্ত রান্নাঘরে তেঁতুলের পাত্র থেকে সোনার হারটি খুঁজে পেলেন।]

6. Why did Leela ask for Sidda's company? [লীলা সিদ্দার সঙ্গ চাইতো কেন]

Ans. Leela asked for Sidda's company because it made her very happy. [লীলা সিদ্দার সঙ্গ চাইত কারণ সেটি তাকে খুবই খুশি করে তুলতো।]

7. Why did Sidda leave the old master's house?[সিদ্দা কেন তার পুরনো মনিবের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিল?]

Ans. Sidda left the old master's house because he had left the town. [সিদ্দা তার পুরনো মনিবের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিল কারণ তিনি শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।]

8. What is Mr Sivasanker's first impression of Sidda? [ সিদ্দা সম্পর্কে শিব শংকর বাবুর প্রথম ধারণাটি কেমন?]

Ans. Mr. Sivasanker's first impression of Sidda is that he was not a fellow of bad sort, and he looked tidy.[সিদ্দা সম্পর্কে শিব শংকর বাবু প্রথম ধারণাটি হলো যে সে মন্দ লোক নয়, আর তাকে পরিচ্ছন্ন দেখাচ্ছিলো।]

9. How, according to Sidda, could Leela touch the sky? [সিদ্দার মতে লীলা কিভাবে আকাশ স্পর্শ করতে পারবে?]

Ans. According to Sidda, Leela could touch the sky standing on a coconut tree.[ সিদ্দার মতে লীলা নারকেল গাছে দাঁড়িয়ে আকাশ স্পর্শ করতে পারবে।]

10. What was Leela's box filled with? [লীলার বাক্স কি দিয়ে ভর্তি ছিল?]

Ans. Leela's box was filled with catalogues, illustrated books and stumps of pencil.[লীলার বাক্স তালিকার মত সাজান বই, ছবির বই আর পেন্সিলের গোছায় ভর্তি ছিল।]

11. Why was Sidda arrested by the police?[পুলিশ কেন সিদ্দাকে গ্রেপ্তার করেছিল?]

Ans. The police arrested Sidda on suspicion of stealing Leela's gold chain.[লীলার সোনার হার চুরির সন্দেহে পুলিশ সিদ্দাকে গ্রেফতার করেছিল।]

12. Why did Leela appeal to the policemen to leave  Sidda?[লীলা সিদ্দাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানাল কেন?]

Ans. Leela appealed to the policemen to leave Sidda so that she could play with him.[লীলা সিদ্দাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানাল যাতে সে তার সঙ্গে খেলতে পারে।]

13. What kind of story did Leela want to hear from her mother? [লীলা তার মায়ের কাছ থেকে কি ধরনের গল্প শুনতে চেয়েছিল?]

Ans. Leela wanted to hear from her mother the story of the elephant.[নীলা তার মায়ের কাছ থেকে হাতির গল্প শুনতে চেয়েছিল।]

14. Why did Mr. Sivasanker go to the police station?[শিব শংকর বাবু থানায় গিয়েছিলেন কেন?]

Ans. Mr Sivasanker went to the police station to lodge a complaint against Sidda.[শিব শংকর বাবু সিদ্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার জন্য থানায় গিয়েছিলেন।]

15. Why did Sidda vanish from Leela's house?[সিদ্দা লীলাদের বাড়ি থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল কেন?]

Ans. Sidda had vanished because he was suspected of stealing Leela's gold chain.[সিদ্দা অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল কারণ তাকে লীলার সোনার হার চুরি করার ব্যাপারে সন্দেহ করা হয়েছিল।]

16. What were the stories that Sidda  told Leela at her bed time?[লীলার ঘুমের সময় সিদ্দা তাকে কি কি গল্প বলতো?]

Ans. Sidda told Leela the stories of animals in the jungle, gods in heaven and of great magicians.[সিদ্দা লীলাকে জঙ্গলের পশুদের গল্প, স্বর্গের দেবতাদের গল্প, আর বিখ্যাত জাদুকরদের গল্প বলতো।]

17. What was given to Sidda for his work at Mr. Sivasanker's house?[ শিব শংকর বাবুর বাড়িতে কাজ করার জন্য সিদ্দাকে কি দেওয়া হত?]

Ans. At Mr. Sivasanker's house Sidda was given two meals a day and gour rupees a month for his work.[শিব শংকর বাবুর বাড়িতে কাজ করার জন্য সিদ্দাকে  দিনে দুবেলা খাওয়া দেওয়া হত ও মাসে চার টাকা মাইনে দেয়া হতো।]

18. How was Leela's knowledge of education? [লীলার শিক্ষার জ্ঞান কেমন ছিল?]

Ans. Leela knew two or three letters of the alphabet and could draw a kind of a cat and crow in a way.[লীলা বর্ণমালার দু-তিনটি অক্ষর শিখেছিল আর কোনমতে বিড়াল ও কাক আঁকতে পারত।]

19. Why did Leela's mother give Leela a slap?[লীলার মা লীলাকে চড় কষালেন কেন?]

Ans. Leela's mother gave Leela a slap because Leela lost her gold chain.[লীলার মা লীলাকেক চড় কষালেন, কারণ লীলা তার সোনার হারটি হারিয়ে ফেলেছিল।]

20. Why did the police inspector stop Leela from going to Sidda?[পুলিশ ইন্সপেক্টর লীলাকে সিদ্দার কাছে যেতে নিষেধ করলো কেন?]

Ans. The police inspector stopped Leela from going to Sidda because he was a thief.[পুলিশ ইন্সপেক্টর লীলাকে সিদ্দার কাছে যেতে নিষেধ করলেন, কারণ সে ছিল একজন চোর।]

21. How many times had Sidda been jailed?

Ans. Sidda had been jailed at least half a dozen times.

22. Why was Leela’s mother unable to tell her stroy?

Ans. Leela’s mother was unable to tell her story because her mind was preoccupied with the thoughts of Sidda.


                             <<<<<>>>>>
Read More

Monday, 18 June 2018

শিক্ষাবিজ্ঞানের (Education) প্রশ্ন এবং উত্তর

Leave a Comment
   প্রশ্ন: প্রাচীন অনুবর্তন তথ্যটির শিক্ষাগত তাৎপর্য লেখ।
      উত্তর:
       প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্ব এর শিক্ষাগত তাৎপর্য: যে কোন প্রাণী থেকে শুরু করে মানব শিশুর শিখনে প্রাচীন অনুবর্তন শিখন কৌশলের উপযোগিতা লক্ষ করা যায়। তা হলো---

      ১। ভাষাগত বিকাশ: শিশুর ভাষাগত বিকাশের ক্ষেত্রে প্রাচীন অনুবর্তন কৌশলের যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। শিশুকে ভাষা শেখানোর সময় যখন কোনো বয়স্ক ব্যক্তি তার কাছে অর্থবোধক শব্দ বারবার উচ্চারণ করে তখন তারা তা অনুসরণ করে। এর ফলে তাদের মধ্যে ভাষার বিকাশ ঘটে।

         ২। সু-অভ্যাস গঠন: শিশুর সু-অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রাচীন অনুবর্তন কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন-  সকালে ঘুম থেকে ওঠা দাঁত মাজা পড়তে বসা ইত্যাদি।

       ৩। কু-অভ্যাস দূর: শিশুর মধ্যে যে সকল কু অভ্যাস তৈরি হয়েছে সেগুলি দূরীকরণে এই শিখন কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

     ৪। প্রাক্ষোভিক বিকাশ: প্রাচীন অনুবর্তনের শিখন কৌশল শিশুর মধ্যে প্রাক্ষোভিক বিকাশে সাহায্য করে। অর্থাৎ শিক্ষার মধ্যে অহেতুক ভয় দূরীকরণ করে তাদের স্বাভাবিক শিক্ষামূলক অগ্রগতিতে সহায়তা করে।

    ৫।  আগ্রহ সৃষ্টি: এই শিখন কৌশল এর সাহায্যে শিক্ষার্থীর নিকট শিক্ষনীয় বিষয় বারবার উপস্থাপনের মাধ্যমে তার মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করা যায়।

    মন্তব্য: উপরোক্ত আলোচনা পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ইতর প্রাণী এবং শিশুদের শিখনের ক্ষেত্রে এই কৌশল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে মানুষের শিখনের পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা দেওয়া প্রাচীন অনুবর্তন এর সাহায্যে সম্ভব নয়।
                <<<<<>>>>>

Read More

Saturday, 16 June 2018

শিক্ষাবিজ্ঞানের ( Education) প্রশ্ন এবং উত্তর ( থর্নডাইকের শিখন তত্ত্ব)

1 comment
     প্রশ্ন:  থর্নডাইকের প্রচেষ্টা এবং ভুল সংশোধন মতবাদ সম্বন্ধে যা জান লেখ।
     Or, শিখন সম্পর্কে থর্নডাইকের মতবাদটি ব্যাখ্যা কর।

     Ans. থর্নডাইকের তত্ত্ব: জীব কিভাবে শিক্ষা লাভ করে এই প্রশ্নটিকে কেন্দ্র করে তিনটি মতবাদ প্রচলিত আছে। থর্নডাইকের  মতবাদ তাদের মধ্যে অন্যতম। মতবাদটি প্রচেষ্টা ও ভুল সংশোধনের মতবাদ নামে খ্যাত। মানুষের আচরণে জটিলতা বেশি এবং তাদের আচরণগুলি থেকে শিক্ষণের সহজ-সরল স্বরূপটি খুঁজে পাওয়া দুঃসাধ্য বিবেচনা করে তিনি ইঁদুর ও বিড়ালকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন।

        পরীক্ষণের উদ্দেশ্যে তিনি একটি ক্ষুধার্ত বিড়ালকে খাঁচার মধ্যে বন্ধ করে রাখলেন এবং খাঁচার বাইরে এক টুকরো মাছ রাখলেন, যাতে মাছের টুকরোটি বিড়ালটির চোখে পড়ে। বিড়ালটি খাদ্য দেখে খাঁচার বাইরে আসার জন্য নানারূপ চেষ্টা করতে লাগলো। খাঁচার গায়ে ক্রমাগত আঁচড় কামড় দেওয়ার ফলে হঠাৎ খাচার দরজার ছিটকানিটা খুলে গেল এবং সে খাঁচার বাইরে এসে মাছের টুকরোটি লাভ করল। আবার তাকে ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাঁচাবদ্ধ করে বাইরে তার সামনে এক টুকরো মাছ রাখা হল। এইবারও বিড়ালটি খাদ্যটি পাবার জন্য ছটফট করতে লাগল এবং পূর্বের চেয়ে কম সময়ের মধ্যে খাঁচার দরজাটি খুলতে সমর্থ হল। এইভাবে পুনঃ পুনঃ পরীক্ষার ফলে দেখা গেল যে বিড়ালটি ক্রমশ তার ভুল সংশোধন করে ফেলেছে এবং খাদ্য দেখামাত্রই বিনা প্রচেষ্টাতেই খাঁচার দরজা খুলে আসতে পারে। এই পরীক্ষা থেকে থর্নডাইক সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে --

      (ক) শিখন হলো যান্ত্রিক প্রক্রিয়া।
(খ) শিখন প্রক্রিয়ায় বুদ্ধি বা মননের ও অন্তর্দৃষ্টিরকোন স্থান নেই।

    (গ) প্রাণী প্রত্যক্ষভাবে সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে শেখে।

    (ঘ)এই শিখনের প্রাণী অপ্রয়োজনীয় প্রচেষ্টাগুলি ধীরে ধীরে বর্জন করে এবং সঠিক প্রচেষ্টাগুলি গ্রহণ করে।

     (ঙ) এই পদ্ধতিতে  কেবলমাত্র ইতর প্রাণীই শিক্ষা লাভ করে না, মানুষও এই পদ্ধতিতে শিক্ষা লাভ করবে।
ইতর প্রাণীর শিখন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে Thorndike শিখন সম্পর্কে তিনটি প্রধান ও পাঁচটি অপ্রধান সূত্র প্রণয়ন করেছেন।
 
       প্রধান সূত্র:

     ১। ফললাভের সূত্র: উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ফল সুখদায়ক হলে সংযোগ দৃঢ় হয়, সুখদায়ক না হলে দৃঢ়তা কমে যায়।

    ২। অনুশীলনের সূত্র: অনুশীলনের মাধ্যমে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মধ্যে সংযোগ দৃঢ়  হয়, আবার অনুশীলনের অভাবে সংযোগ শিথিল হয়ে যায়।

   প্রস্তুতির সূত্র: যখন উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার সংযোগের মাধ্যমে প্রাণী কোন কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকে, তখন সেই কাজ করলে তৃপ্তি আসে, বাধাপ্রাপ্ত হলে বিরক্ত হয়।

অপ্রধান সূত্র:

          ১। একই উদ্দীপকের প্রতি বহু প্রতিক্রিয়া সূত্র: প্রাণী যখন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তখন একই উদ্দীপকের প্রতি সে বিভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া করে।

      ২। মানসিক অবস্থার সূত্র: একটি উদ্দীপক সম্বন্ধে প্রাণীর কিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে তা তার দেহ মনের অবস্থা ও প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে।

      ৩। আংশিক প্রতিক্রিয়া সূত্র: সমগ্র পরিস্থিতির একটি অংশ উপস্থিত থাকলে সম্পূর্ণ প্রতিক্রিয়াটি ঘটতে পারে।

      ৪। উপমানের সূত্র: একটি অবস্থায় যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, তা ওই অবস্থার সদৃশ্য অন্য অবস্থার দ্বারাও সৃষ্টি হতে পারে।

    ৫। অনুষঙ্গমুলক সঞ্চালনের সূত্র: যে অবস্থা স্বাভাবিক ভাবে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তার সহিত সংশ্লিষ্ট অন্য কোন অবস্থাও একই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
                     <<<<<<>>>>>

  
Read More

HS দর্শন(Philosophy of wbchse)- মিলের সহপরিবর্তন পদ্ধতি

3 comments
প্রশ্ন: " উত্তাপ যত বাড়ে পারদ স্তম্ভের উচ্চতা তত বাড়ে। উত্তাপ যত কমে পারদ স্তম্ভের উচ্চতা তত কমে। অতএব উত্তাপ বৃদ্ধি হল পারদ স্তম্ভের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণ।"    ------ এই দৃষ্টান্তে মিলের কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে? পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা কর।

[চিহ্নিতকরণ, সংজ্ঞা, আকার, সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি)]

                                   (মান 1 + 2 + 1 + 2 + 2)

অথবা, প্রশ্ন: মিলের সহপরিবর্তন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
[সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি)]

                                          (মান 1 + 2 + 1 + 2 + 2)
উঃ

    চিহ্নিতকরণ: উদ্ধৃত যুক্তিটিতে মিলের সহ পরিবর্তন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।

   সূত্র বা সংজ্ঞা: মিল প্রদত্ত সহপরিবর্তন পদ্ধতির সূত্র বা সংজ্ঞা হলো -- " যখন কোন একটি ঘটনা বিশেষ ভাবে পরিবর্তিত হয়, তখন যদি অপর একটি ঘটনাও একইভাবে পরিবর্তিত হয় তাহলে সেই (দ্বিতীয়) ঘটনাটি হবে অপর ঘটনার কারণ বা কার্য বা তার সঙ্গে কার্যকারণ সম্বন্ধে আবদ্ধ।"

    যুক্তি বিজ্ঞানী কফি (Coffey) এই পদ্ধতির ব্যাখ্যায় বলেছেন -- "যদি দুটি ঘটনা সর্বদাই একইভাবে বাড়ে ও কমে এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য ঘটনা একই রূপ অবস্থায় থাকে বা স্বাধীনভাবে বাড়ে ও কমে তাহলে ঘটনা দুটি সম্ভবত কার্যকারণ সম্পর্ক যুক্ত হবে।"

   সূত্রটির বিশ্লেষণ বা ব্যাখ্যা:  সহপরিবর্তন পদ্ধতির সূত্রটিকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় --- অগ্রবর্তী ও অনুবর্তী ঘটনা দুটির মধ্যে বিশেষ অনুপাতে (পরিমাণে) হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটলে ঘটনা দুটির মধ্যে কার্যকারণ সম্বন্ধে থাকবে।

  সহপরিবর্তন পদ্ধতির আকার বা সাংকেতিক উদাহরণ: 

অগ্রবর্তী ঘটনা( কারণ)              অনুবর্তী ঘটনা (কার্য)
        ABC                                         abc
        A1BC                                       a1bc
         A2BC                                       a2bc
         A3BC                                       a3bc

       সুতরাং , A হল  a- এর কারন। কেননা, এই দৃষ্টান্তে অগ্রবর্তী ঘটনায় A-এর বৃদ্ধির সঙ্গে অনুবর্তী ঘটনায় a -ও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানে অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা একই  আছে।

   দৃষ্টান্ত বা বাস্তব উদাহরণ: সহপরিবর্তন পদ্ধতির দৃষ্টান্ত বা বাস্তব উদাহরণ হল --

  অগ্রবর্তী ঘটনা(কারণ)             পূর্ববর্তী ঘটনা( কার্য)
উত্তাপ স্বাভাবিক (A)                  পারদ স্তম্ভের উচ্চতা
                                                          স্বাভাবিক(a)
উত্তাপ বাড়ানো হল(A1)              পারদস্তম্ভের উচ্চতা
                                                           বাড়ছে(a1)
উত্তাপ ক্রমশ বাড়ানো হল(A2)     পারদস্তম্ভের উচ্চতা
                                                      ক্রমশ বাড়ছে(a2)
উত্তাপ ক্রমশ বাড়ানো হল(A3)      পারদস্তম্ভের উচ্চতা
                                                      ক্রমশ বাড়ছে(a3)

. :  উত্তাপ বৃদ্ধি(A) হল পারদস্তম্ভের উচ্চতা বৃদ্ধির(a) কারণ।


সুবিধা বা গুণ:  সহপরিবর্তন পদ্ধতি দুটি সুবিধা বা গুণ হল --
(১) স্থায়ী কারণের ক্ষেত্রে কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কারের একমাত্র পদ্ধতি হল সহপরিবর্তন পদ্ধতি।

(২) সহপরিবর্তন পদ্ধতি ব্যতিরেকী পদ্ধতির বিকল্প। ব্যতিরেকী পদ্ধতির প্রয়োগ যেখানে সম্ভব নয় সেখানে সহপরিবর্তন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়।

অসুবিধা বা ত্রুটি: সহপরিবর্তন পদ্ধতির দুটি অসুবিধা হলো ----
(১) সহপরিবর্তন পদ্ধতি কার্য এবং কারণের পরিমাণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও গুণগত পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

(২) সহ পরিবর্তন পদ্ধতির প্রয়োগ ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ।

(৩) স্থিতিশীল ঘটনার ক্ষেত্রে সহপরিবর্তন পদ্ধতি অচল।

      মূল্যায়ন: মিলের সহপরিবর্তন পদ্ধতি প্রয়োগের  ক্ষেত্রে আমাদের প্রথমে জেনে নিতে হয় দুটি ঘটনার সহপরিবর্তনের সম্পর্কটি নিয়ত সম্পর্ক কিনা। আর তা যদি আগেই জানতে হয় তাহলে কারণ আবিষ্কার করার ক্ষেত্রে সহপরিবর্তন পদ্ধতির সার্থকতা কোথায়? তবে এই পদ্ধতির আসল  মূল্য হল, এর সাহায্যে অবান্তর ঘটনাবলী বর্জন করা যায় এবং এই পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি নেই, যার সাহায্যে আমরা কার্যকারণের পরিমাণগত স্বভাবের পরিচয় পেতে পারি।

   <<<<<<>>>>>>
                                                                                 

Read More

Thursday, 14 June 2018

HS দর্শন (Philosophy) of wbchse - মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি (The Method of Agreement )

4 comments
প্রশ্ন: মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি আলোচনা কর। [সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত, সুবিধা (২টি) অসুবিধা (২টী)]
                             মান (2 + 1 + 1 + 2 + 2)
অথবা, একটি বনভোজনে যারা যারা মাংস খেয়েছিল তাদের প্রত্যেকেই বদহজম হয়েছিল। সুতরাং মাংস খাওয়াই বদহজমের কারণ। ---- এই যুক্তিতে মিলের কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে? পদ্ধতিটির ব্যাখ্যা কর।
 [চিহ্নিতকরণ, সংজ্ঞা, আকার, সুবিধা (দুটি), অসুবিধা (দুটি)] 
                                 ( মান 1 + 2 + 1 + 2 + 2)
উঃ
চিহ্নিতকরণ: উদ্ধৃত যুক্তিটিতে মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।

সূত্র বা সংজ্ঞা: মিল প্রদত্ত অন্বয়ী পদ্ধতির সূত্র বা সংজ্ঞা হলো--- " আলোচ্য ঘটনার দুই বা ততোধিক দৃষ্টান্তে যদি একটি মাত্র ঘটনা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে এবং এই সাধারণ ঘটনার সম্বন্ধে যদি দৃষ্টান্ত গুলির মধ্যে মিল থাকে তাহলে সেই সাধারণ ঘটনাটি হবে আলোচ্য ঘটনার কারণ বা কার্য বা কারণের অপরিহার্য অংশ।"

সূত্রটির বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা: অন্বয়ী পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য দুই বা ততোধিক দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয় এবং দৃষ্টান্ত গুলি পর্যবেক্ষণের সাহায্যে সংগ্রহীত হয়। প্রতিটি দৃষ্টান্তেই অগ্রবর্তী এবং অনুবর্তী ঘটনায় একটি মাত্র বিষয়ের উপস্থিতির মিল থাকবে। আর ঐ একটি মাত্র বিষয়ের উপস্থিতি ছাড়া অন্য সব বিষয়ে দুটি ঘটনার মধ্যে অমিল থাকবে। এই উপস্থিতির মিল লক্ষ্য করে সিদ্ধান্ত করা হবে যে বিষয়ে দুটির মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক আছে।

সাংকেতিক উদাহরণ/ আকার: 
      অগ্রবর্তী ঘটনা                           অনুবর্তী ঘটনা
          ABC                                            abc
          ADE                                           ade
          AFG                                           afg   
  
         সুতরাং A হল a এর কারণ বা a হল A এর কার্য। কেননা, 'A' সকল দৃষ্টান্তই সমভাবে উপস্থিত এবং BCDEF প্রভৃতি ঘটনাগুলি কোন কোন দৃষ্টান্তে উপস্থিত আছে, আবার কোনো কোনো দৃষ্টান্ত উপস্থিত নেই।

      দৃষ্টান্ত /বাস্তব উদাহরণ: অন্বয়ী পদ্ধতির বাস্তব দৃষ্টান্ত হলো--
  দৃষ্টান্ত      অগ্রবর্তী ঘটনা              অনুবর্তী ঘটনা
 ১নং        মাংস+ ভাত +ডাল         বদহজম হওয়া
 ২নং        মাংস+রুটি +সবজি        বদহজম হওয়া
 ৩নং        মাংস+ নান +চাটনি        বদহজম হওয়া

      সুতরাং মাংস খাওয়া (A) হলো বদহজম হওয়ার ( a) কারণ। কেননা, বদ হজম হওয়া কার্যটির  অগ্রবর্তী ঘটনায় কেবল মাংস খাওয়া ঘটনাটি সকল দৃষ্টান্তে উপস্থিত আছে কিন্তু অন্যান্য আনুষঙ্গিক ঘটনাগুলি সব দৃষ্টান্ত উপস্থিত নেই।

অন্বয়ী পদ্ধতির সুবিধা: অন্বয়ী পদ্ধতির দুটি সুবিধা হল---

(১)  যে সকল ক্ষেত্রে পরীক্ষণ সম্ভব নয় সেই সকল ক্ষেত্রে কার্যকারণ সম্বন্ধ আবিষ্কারের  একমাত্র পদ্ধতি হলো অন্বয়ী পদ্ধতি। যেমন, ঝড়, ভূমিকম্প, মহামারী প্রভৃতি ঘটনার কারণ আবিষ্কারের একমাত্র পদ্ধতি হলো অন্বয়ী পদ্ধতি।

(২ অন্বয়ী পদ্ধতির সাহায্যে কারণ থেকে কার্য এবং কার্য থেকে কারণ আবিষ্কার করা যায়।

অসুবিধা / ত্রুটি: অন্বয়ী পদ্ধতির দুটি অসুবিধা হলো ---

(১) অন্বয়ী পদ্ধতি প্রয়োগের দ্বারা বহুকারণের সম্ভাবনাকে দূর করা যায় না; অর্থাৎ, অন্বয়ী পদ্ধতি বহু কারণবাদের দোষে দুষ্ট।

(২) অন্বয়ী পদ্ধতি পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভরশীল। তাই কারণ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রকৃত কারণ সর্বদা অপর্যবেক্ষণের সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ অন্বয়ী পদ্ধতি সর্বদা অপর্যবেক্ষণ দোষে দুষ্ট হতে পারে।

 মূল্যায়ন: মিল যদিও দাবি করেছেন অন্বয়ী পদ্ধতি কার্যকারণ সম্বন্ধ আবিষ্কারের ও প্রমাণের পদ্ধতি, তবুও উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় এই পদ্ধতি কার্যকারণ সম্বন্ধে ইঙ্গিত দেয় মাত্র, সুনিশ্চিতভাবে কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রমাণ করতে পারে না। তাই মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি নিঃসন্দেহে আবিষ্কারের পদ্ধতি কিন্তু কখনোই প্রমাণের পদ্ধতি নয়।

                                  <<<<<>>>>>

Read More