Saturday, 26 September 2020

HS Philosophy প্রশ্ন: বিবর্তন কাকে বলে? বিবর্তনের নিয়মগুলি কী কী? উদাহরণের সাহায্যে বিবর্তনের নিয়মগুলি ব্যাখ্যা কর।

Leave a Comment

               তৃতীয় অধ্যায়

অমাধ্যম অনুমান

দ্বাদশ শ্রেণী ( wbchse)

প্রশ্ন: বিবর্তন কাকে বলে? বিবর্তনের নিয়মগুলি কী কী? উদাহরণের সাহায্যে বিবর্তনের নিয়মগুলি ব্যাখ্যা কর।

উঃ

 বিবর্তন(Obversion):  যে অমাধ্যম অনুমানে প্রদত্ত আশ্রয়বাক্যের গুণ পরিবর্তন করে, কিন্তু অর্থ অপরিবর্তিত রেখে সিদ্ধান্তটি গঠিত হয় তাকে বিবর্তন বলে ।  বিবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্যকে 'বিবর্তনীয়' এবং সিদ্ধান্তকে 'বিবর্তিত' বলে।

বিবর্তনের নিয়ম :

 (১) উদ্দেশ্য:  আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য একই হবে। 

(2) বিধেয়: আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদের বিরুদ্ধ পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে।

( ৩ ) গুণ: আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ পৃথক হবে; অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্য যদি সদর্থক হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটি নঞর্থক হবে, এবং আশ্রয়বাক্য যদি নঞর্থক হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটি সদর্থক হবে। 

( ৪ ) পরিমাণ: আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ এক হবে। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্য যদি সামান্য হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটি সামান্য হবে এবং আশ্রয়বাক্য যদি বিশেষ হয়, তাহলে সিদ্ধান্তটি বিশেষ হবে। 

উপযুক্ত চারিটি নিয়মের সাহায্যে এবার A , E , I , O— এই বচনগুলির বিবর্তন করা যাক।

 

প্রখ্যাত তর্কবিদ Welton বিবর্তনের নিয়মগুলিকে সংক্ষেপে এইভাবে প্রকাশ করেছেন “বিধেয়কে নঞর্থক করাে , গুণের পরিবর্তন করাে, কিন্তু পরিমাণের কোনাে পরিবর্তন কোরাে না । 

A বচনের বিবর্তন : 

আশ্রয়বাক্য: (A) সকল মানুষ হয় অপূর্ণ। (বিবর্তনীয়)

সিদ্ধান্ত: ( E ) কোনাে মানুষ নয় পূর্ণ ।(বিবর্তিত)

 উপরোক্ত উদাহরণে বিবর্তনের সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে। কেননা- আবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে, আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য 'মানুষ' একই। দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে, সিদ্ধান্তের বিধেয়টি (পূর্ণ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের (অপূর্ণ) বিরুদ্ধ পদ। তৃতীয় নিয়ম অনুযায়ী গুণের দিক থেকে বচন দুটি পৃথক কেননা, আশ্রয়বাক্য সদর্থক এবং সিদ্ধান্ত নঞর্থক। পরিমাণের দিক দিয়ে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্ত উভয়ই সামান্য বচন। আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের অর্থ এক ।

E বচনের বিবর্তন : 

আশ্রয় বাক্য: ( E ) কোনাে মানুষ পূর্ণ নয় ।  (বিবর্তনীয়)

সিদ্ধান্ত:  (A) সকল মানুষ হয় অপূর্ণ (বিবর্তিত)

উপরোক্ত উদাহরণে বিবর্তনের সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে। প্রথম নিয়ম অনুসারে, আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য (মানুষ) একই। দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে, সিদ্ধান্তের বিধেয়টি (অপূর্ণ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের (পূর্ণ) বিরুদ্ধ পদ। তৃতীয় নিয়ম অনুযায়ী গুণের দিক থেকে বচন দুটি পৃথক কেননা, আশ্রয়বাক্য নঞর্থক এবং সিদ্ধান্ত সদর্থক। পরিমাণের দিক দিয়ে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্ত উভয়ই সামান্য বচন। আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের অর্থ অপরিবর্তিত আছে। 

I বচনের বিবর্তন :

আশ্রয় বাক্য: (I) কোনাে কোনাে মানুষ হয় বিদ্বান।    (বিবর্তনীয়)

সিদ্ধান্ত: (O) কোনাে কোনাে মানুষ নয় অবিদ্বান। (বিবর্তিত)

উপরোক্ত উদাহরণে বিবর্তনের সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে। কেননা- আবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে, আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য (মানুষ) একই। দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে, সিদ্ধান্তের বিধেয়টি (অবিদ্বান) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের (বিদ্বান ) বিরুদ্ধ পদ। তৃতীয় নিয়ম অনুযায়ী গুণের দিক থেকে বচন দুটি পৃথক কেননা, আশ্রয়বাক্য সদর্থক এবং সিদ্ধান্ত  নঞর্থক । পরিমাণের দিক দিয়ে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্ত উভয়ই বিশেষ বচন। আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের অর্থ অপরিবর্তিত আছে।


0 বচনের বিবর্তন :

আশ্রয় বাক্য:( O ) কোনাে কোনাে ছাত্র নয় সৎ। (বিবর্তনীয়)

সিদ্ধান্ত: ( I) কোনাে কোনাে ছাত্র হয় অসৎ।(বিবর্তিত)


উপরোক্ত উদাহরণে বিবর্তনের সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে। কেননা- কেননা বিবর্তনের প্রথম নিয়ম অনুসারে, আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য (ছাত্র) একই। দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে, সিদ্ধান্তের বিধেয়টি (অসৎ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়ের (সৎ) বিরুদ্ধ পদ। তৃতীয় নিয়ম অনুযায়ী গুণের দিক থেকে বচন দুটি পৃথক কেননা, আশ্রয়বাক্য নঞর্থক এবং সিদ্ধান্ত সদর্থক। পরিমাণের দিক দিয়ে আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্ত উভয়ই বিশেষ বচন। আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের অর্থ এক ।

সুতরাং-  

A বচনের বিবর্তিত রূপ E

E বচনের বিবর্তিত রূপ A

I বচনের বিবর্তিত রূপ O

O বচনের বিবর্তিত রূপ  I

                


Read More

Friday, 25 September 2020

HS Philosophy আবর্তন কাকে বলে? আবর্তনের নিয়মগুলি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

Leave a Comment

 তৃতীয় অধ্যায়

               অমাধ্যম অনুমান

আবর্তন কাকে বলে? আবর্তনের নিয়মগুলি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর। 

অথবা

আবর্তন কাকে বলে? আবর্তনের নিয়মগুলি কী কী? আবর্তনের নিয়মগুলি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর। O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন?  উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর। O বচনের নিষেধমূলক আবর্তন উদাহরণসহ আলোচনা কর।

উঃ

আবর্তন: যে অমাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হয় এবং আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হয় এবং আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের গুণ অপরিবর্তিত থাকে, তাকে আবর্তন বলে। আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্যকে আবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্তকে আবর্তিত বলে। যেমন, 

আশ্রয়বাক্য: E কোনাে পশু নয় কবি। (আবর্তনীয়) 

 সিদ্ধান্ত: E = কোনাে কবি নয় পশু। ( আবর্তিত ) 

*আবর্তনের নিয়ম ( Rules of Conversion ) : 

(১) আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্যপদ সিদ্ধান্তের বিধেয়পদ হবে। 

(২) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যপদ হবে। 

(৩) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ অভিন্ন হবে। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্য যদি সদর্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে এবং আশ্রয়বাক্যে নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তও নঞর্থক হবে। এই নিয়মটিকে বলা হয় আবর্তনের গুণের নিযম। 

(৪) যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য নয়, সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। এই নিয়মটিকে বলা হয় ব্যাপ্যতার নিয়ম।


 আবর্তনের নিয়মগুলির প্রয়ােগ: আবর্তনের নিয়মগুলি অনুসরণ করে A , E , I , O বচনকে  আবর্তন করা যাক- 

 ( i ) A বচনের আবর্তন ( Conversion of A ) :  

দৃষ্টান্ত:

A - সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব - আবর্তনীয় 

I - কোনাে কোনাে মরণশীল জীব হয় মানুষ —      আবর্তিত 

ব্যাখ্যা: এই অনুমানে হেতুবাক্যের উদ্দেশ্যপদ সিদ্ধান্তের বিধেয়পদ হয়েছে এবং হেতুবাক্যের বিধেয়পদ সিধান্ত্রে উদ্দেশ্যপদ হয়েছে । আবর্তনের তৃতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয় বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ এক হবে। দৃষ্টান্তে আবর্তনীয় ও আবর্তিত বচন উভয়ে সদর্থক । আবর্তনের চতুর্থ নিয়মে বলা হয়েছে, যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য নয় সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। দৃষ্টান্তে এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে। কারণ সিদ্ধান্ত 'I' বচনে কোনাে পদই ব্যাপ্য নয়। কারণ, যুক্তিটির আশ্রয়বাক্য সার্বিক কিন্তু সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন। কিন্তু যদি A- বচনকে A- বচনে আবর্তন করা হত তবে আবর্তনের তৃতীয় নিয়মটি লঙ্ঘন করা হত। 

সুতরাং A বচনের আবর্তিত রূপ I


(ii) E – বচনের আবর্তন  ঃ

 E - কোনাে ঘােড়া নয় গােরু — আবর্তনীয়

 E - কোনাে গােরু নয় ঘােড়া — আবর্তিত

ব্যাখ্যা: উল্লিখিত দৃষ্টান্তে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদ যথাক্রমে সিদ্ধান্তের বিধেয়পদ ও উদ্দেশ্যপদ হয়েছে। তৃতীয় নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্ত উভয় বচনই নঞর্থক। চতুর্থ নিয়ম যথাযথভাবে পালিত হয়েছে। কেননা, আশ্রয়বাক্যের দুটি পদ ব্যাপ্য এবং সিদ্ধান্তেরও দুটি পদ ব্যাপ্য। E বচনকে আবর্তিত করে 0 বচন করলে আবর্তনের কোনাে নিয়ম লঙ্ঘিত হয় না ঠিক। কিন্তু এই প্রসঙ্গে মনে রাখা দরকার যে, যেখানে সামান্য বচন থেকে সামান্য সিদ্ধান্ত সম্ভব, সেখানে বিশেষ সিদ্ধান্তে যাওয়া কাম্য নয় বলে ‘ E'- কে আবর্তন করে O বচন করা বাঞ্ছনীয় নয়। 

সুতরাং E বচনের আবর্তিত রূপ E


(iii) I বচনের আবর্তন : 

দৃষ্টান্ত: 

আবর্তনীয় : 'I' কোনাে কোনাে ছাত্র হয় পরিশ্রমী। 

আবর্ত:  'I' কোন কোন পরিশ্রমী ব্যক্তি হয় ছাত্র।

ব্যাখ্যা: উল্লিখিত দৃষ্টান্তে 'I' বচনের আবর্তন বৈধ। কারণ আবর্তনের কোনাে নিয়ম এই ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হয়নি। আবর্তনীয় ও আবর্তিত উভয় বচনই সদর্থক । দুটি বচনের কোনাে পদ ব্যাপ্য নয় । 

সুতরাং I বচনের আবর্তিত রূপ I


0 বচনের আবর্তন : O বচনকে আবর্তন করা যায় না। কেন 0 বচনের আবর্তন করা যায় না তার আলােচনা করা যাক। 

0 বচনটি নঞর্থক। কাজেই এর আবর্তিত বচন বা সিদ্ধান্তকে নঞর্থক হতেই হবে (৩ নং নিয়ম অনুসারে)। যেহেতু A এবং I সদর্থক বচন, সেহেতু O বচনকে আবর্তিত করে কোনােমতেই A বা I বচন পাওয়া যেতে পারে না । কাজেই O বচনকে আবর্তিত করলে E বা 0 বচন করা দরকার। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই সমস্যা একই। 0 বচনের উদ্দেশ্য অব্যাপ্য। 0 বচনকে আবর্তিত করে যদি E বচন করা হয় তাহলে 0 বচনের উদ্দেশ্যটি সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় হিসেবে ব্যাপ্য হবে। এর ফলে আবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি লঙ্ঘিত হবে। আবার, O বচনকে আবর্তিত করে যদি 0 বচন করা হয়, সেক্ষেত্রেও 'O' বচনের অব্যাপ্য উদ্দেশ্যটি সিদ্ধান্তে 0 বচনের বিধেয় হিসেবে ব্যাপ্য হবে এবং এর ফলে আবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি লঙ্ঘিত হবে । কাজেই 0 বচনের আবর্তন কোনাে মতেই সম্ভবপর নয়। 

0 বচনের নিষেধমূলক আবর্তন:  আমরা দেখেছি O, বচনকে আবর্তন করতে গেলে আবর্তনের নিয়ম লঙ্ঘন করতে হয়। কোনাে কোনাে তর্কবিদ একটি বিশেষ উপায়ে O বচনের আবর্তন করার চেষ্টা করেছেন । তাঁরা প্রথমে 0 বচনের নঞর্থক চিহ্নটিকে বিধেয়ের সঙ্গে যুক্ত করে বচনটিকে I বচনে পরিণত করেন এবং তারপর এই বচনটি আবর্তিত করেন। যেমন-

 O— কোনাে কোনাে মানুষ নয় সৎ

 I— কোনাে কোনাে মানুষ হয় অসৎ (আবর্তনীয়)

I— কোনাে কোনাে অসৎ ব্যক্তি হয় মানুষ (আবর্ত)

 এই রকমের আবর্তনকে নিষেধমূলক আবর্তন বলা হয়। কিন্তু গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় যে এ ধরনের আবর্তনকে আবর্তন বলা যায় না। আবর্তনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় নিয়ম এক্ষেত্রে মানা হয়নি। এখানে আবর্তনীয়ের বিধেয়কে আবর্তিতের উদ্দেশ্য করা হয়নি, বিধেয় পদের বিরুদ্ধপদকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এখানে গুণের পরিবর্তন করা হয়েছে — আবর্তনীয় নঞর্থক, কিন্তু আবর্তিত সদর্থক। এটা আবর্তনের তৃতীয় নিয়মের বিরােধী।

কাজেই O বচনের আবর্তন কোন মতেই সম্ভব নয়।

<<<<<<<<>>>>>>

Read More

Thursday, 24 September 2020

A question and answer of " The Eyes Have It" Class xii (wbchse)

Leave a Comment

 “Few girls can resist flattery." Who made the remark? Why did the speaker say so? How did the person spoken to accept the flattery? [ কে মন্তব্যটি করেছেন? বক্তা এরকম কথা কেন বলেছেন? যাকে উদ্দেশ করে মন্তব্যটি করা হয়েছে সে কীভাবে তােষামােদটি গ্রহণ করেছিল? ]       ( 1 + 3 + 2 )

Ans: The narrator of the story "The Eyes Have It" i.e.  Ruskin Bond made the remark.

 * In the train compartment, perhaps the narrator wanted to set up an intimate friendship with the girl.  He started talking to the girl about various issues.  Gradually he became quite daring.  Suddenly he made a risky comment that the girl's face was very attractive.  He said this because of the idea that very few girls could resist  flattery.

 *The girl was not dissatisfied with the narrator's flattery .  He accepted it with a clear and ringing laugh.  The girl informed that she was tired of hearing the praise of her beautiful face.  It was  nice to be told she had an interesting face.

বঙ্গানুবাদ:

উঃ "দ্য আইজ হ্যাভ ইট" গল্পটির বর্ণনাকারী অর্থাৎ রাসকিন বন্ড এই মন্তব্য করেছেন।

* ট্রেনের কামরায় গল্পকার মেয়েটির সঙ্গে মনে হয় অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি মেয়েটির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছিলেন। ক্রমশ তিনি খুবই সাহসী হয়ে উঠছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি ঝুঁকিপূর্ণ মন্তব্য করে বসলেন যে মেয়েটির মুখ খুবই আকর্ষণীয়। তিনি এরকম কথা বলেছেন এই ধারণা করে যে খুব কম মেয়েরাই তােষামােদ প্রতিহত করতে পারে। 

মেয়েটি গল্পকারের তােষামােদে অসন্তুষ্ট হয়নি। সে স্পষ্ট ও জোরালাে হেসে সেটি গ্রহণ করল। মেয়েটি জানাল যে তার সুন্দর মুখের প্রশংসা শুনে সে ক্লান্ত। তার মুখটি যে আকর্ষণীয় সে-কথা বলাটা বেশ সুন্দর। ]

Read More

HS Philosophy A বচনের সরল বা সীমিত আবর্তন সম্ভব কি? O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন?

Leave a Comment

তৃতীয় অধ্যায়:  অমাধ্যম অনুমান


প্রশ্ন: A বচনের সরল বা সীমিত আবর্তন সম্ভব কি? O বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন?

উঃ   সাধারণত A- বচনের সরল বা সম আবর্তন সম্ভব নয়। আবর্তনের নিয়ম অনুসারে আশ্রয়বাক্যে যে পদ ব্যাপ্য নয়, সিদ্ধান্তে সেই পদকে ব্যাপ্য হতে না। A বচনের সরল আবর্তন করলে, অর্থাৎ, A- বচনকে A বচনে আবর্তিত করা হলে ওই নিয়ম লঙ্ঘন করা হবে। 

দৃষ্টান্ত : 

A -সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব।(আবর্তনীয়) 

A সকল মরণশীল জীব হয় মানুষ (আবর্তিত)

আবর্তনীয় বচনের বিধেয়পদ “মরণশীল” অব্যাপ্য। কিন্তু আবর্তিত A বচনের উদ্দেশ্য স্থানে ওই পদ থাকায় তা ব্যাপ্য হয়। ফলে যুক্তিটি আবর্তনের নিয়ম লঙ্ঘন করে। এজন্য A বচনকে I- বচনে আবর্তিত করা হয়। এই আবর্তনকে সীমিত সরল আবর্তন বলে। 

তবে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে A- বচনের সরল আবর্তন সম্ভব বলে মনে করা হয়। এই ক্ষেত্রগুলি নিম্নরূপ : 

( ১ ) যদি A বচনের উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদের ব্যাক্তার্থ সমান হয়, অর্থাৎ উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদ যদি একই ব্যক্তি বা বস্তু নির্দেশক হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে A- বচনের সম আবর্তন করা যায়। যেমন – 

A – পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত হয় হিমালয় — আবর্তনীয় । 

A – হিমালয় হয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত — আবর্তিত 

(2) যদি A বচনের বিধেয়পদটি উদ্দেশ্যপদের সংজ্ঞা হয় তবে সেক্ষেত্রে A বচনের সম আবর্তন করা যায়। যেমন-

 A - সকল ত্রিভুজ হয় ত্রিবাহুবেষ্টিত সামতলিক ক্ষেত্র — আবর্তনীয় 

A – সকল ত্রিবাহুবেষ্টিত সামতলিক ক্ষেত্র হয় ত্রিভুজ — আবর্তিত 

(৩) যদিA বচনের বিধেয়পদটি উদ্দেশ্যপদের সমার্থক হয় তবে সেই A বচনের সম আবর্তন সম্ভব। এক্ষেত্রে বিধেয়পদটি উদ্দেশ্যপদের পুনরুক্তি মাত্র। যেমন -

A - সকল মানুষ হয় মনুষ্যজাতীয় জীব – আবর্তনীয়।

A-  সকল মনষ্যজাতীয় জীব হয় মানুষ। আবর্তিত

 

 **0 বচনের আবর্তন করা সম্ভব নয়। কেন '0' বচনকে আবর্তন করা যায় না তা ব্যাখ্যা করা যাক--

 যেহেতু 'O' বচন নঞর্থক তাই তৃতীয় নিয়ম (গুণের নিয়ম) পালন করলে 0 বচনের আবর্তিত রূপ হবে হয় 0 অথবা E। এখন যদি 0 বচনের আবর্তন করে 0 পাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে -

 O—কোনাে কোনাে ফুল নয় সাদাবস্তু  ( আবর্তনীয় )। . 

: . O— কোনাে কোনাে সাদাবস্তু নয় ফুল । ( আবর্তিত ) । 

উক্ত অনুমানটি স্পষ্টতই অবৈধ । কেননা এখানে আবর্তনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নিয়ম পালন করলেও চতুর্থ নিয়মকে লঙ্ঘন করা হয়েছে । অর্থাৎ, এখানে আশ্রয়বাক্যে ‘ফুল' এই উদ্দেশ্যপদটি অব্যাপ্য হয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্তে ওই 'ফুল’ পদটি 0 বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। একারণে 0 বচনের আবর্তন করে 0 বচন পাওয়া যাবে না

একইভাবে যদি 0 বচনকে আবর্তন করে E পাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে--

 O—কোনাে কোনাে ফুল নয় সাদাবস্তু। ( আবর্তনীয় )। 

: . E— কোনাে সাদাবস্তু নয় ফুল । ( আবর্তিত )।

এখানেও আবর্তনের চতুর্থ নিয়মটি লঙ্ঘিত হয়। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্যপদ (ফুল) 0 বচনের উদ্দেশ স্থানে থাকায় অব্যাপ্য হয়েছে কিন্তু সিদ্ধান্তে E বচনের বিধেয় স্থানে থাকায় ব্যাপ্য হয়েছে। এজন্য 0 বচনের আবর্তন করে E পাওয়া যাবে না। অনুরূপভাবে E বচনকে আবর্তন করে ‘A’ করলে গুণের পরিবর্তন ঘটবে 

অর্থাৎ তৃতীয় নিয়ম লঙ্ঘন করবে। সুতরাং, 0 বচনের আবর্তন করে A বা E বা  বা 0 কোনাে বচনই পাওয়া যাবে না। তাই বলা যায়, 0 বচনের আবর্তন সম্ভব নয় ।

                     <<<<<<<<<<>>>>>>>

Read More

HS PHILOSOPHY আবর্তন কাকে বলে? আবর্তনের নিয়মগুলি উল্লেখ কর।

Leave a Comment

 তৃতীয় অধ্যায়

               অমাধ্যম অনুমান

প্রশ্ন: আবর্তন কাকে বলে? আবর্তনের নিয়মগুলি উল্লেখ করো।

উঃ

আবর্তন(Conversion): যে অবরােহমূলক অমাধ্যম অনুমান আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদকে সিদ্ধান্তে বিধেয় পদ করে এবং আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদকে সিদধান্তে উদ্দেশ্য পদ করে এবং আশ্রয়বাক্য ও সিদধান্তের গুণের কোনাে পরিবর্তন না করে সিদ্ধান্তটি আশ্রয়বাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্তটি কখনও আশ্রয়বাক্য থেকে ব্যাপকতর হয় না সেই অমাধ্যম অনুমানকে বলা হয় আবর্তন। 

অথবা

আবর্তন: যে অমাধ্যম অনুমানে আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্য পদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হয় এবং আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হয় এবং আশ্রয়বাক্য এবং সিদ্ধান্তের গুণ অপরিবর্তিত থাকে, তাকে আবর্তন বলে। আবর্তনের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্যকে আবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্তকে আবর্তিত বলে। যেমন, 

আশ্রয়বাক্য: E কোনাে পশু নয় কবি। (আবর্তনীয়) 

সিদ্ধান্ত:  E = কোনাে কবি নয় পশু। ( আবর্তিত ) 

**আবর্তনের নিয়ম ( Rules of Conversion ) : 

(১) আশ্রয় বাক্যের উদ্দেশ্যপদ সিদ্ধান্তের বিধেয়পদ হবে। 

(২) আশ্রয়বাক্যের বিধেয়পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যপদ হবে। 

(৩) আশ্রয়বাক্য ও সিদ্ধান্তের গুণ অভিন্ন হবে। অর্থাৎ, আশ্রয়বাক্য যদি সদর্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্তও সদর্থক হবে এবং আশ্রয়বাক্যের গুণ নঞর্থক হলে সিদ্ধান্তের গুণও নঞর্থক হবে। এই নিয়মটিকে বলা হয় আবর্তনের গুণের নিযম। 

(৪) যে পদ আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ্য নয়, সেই পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ্য হতে পারবে না। এই নিয়মটিকে বলা হয় ব্যাপ্যতার নিয়ম।

Read More

Wednesday, 23 September 2020

HS Philosophy প্রশ্ন: অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে? মাধ্যম অনুমান কাকে বলে? অমাধ্যম অনুমান ও মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্য কর।

Leave a Comment

 তৃতীয় অধ্যায়

               অমাধ্যম অনুমান

প্রশ্ন: অমাধ্যম অনুমান কাকে বলে? মাধ্যম অনুমান কাকে বলে? অমাধ্যম অনুমান ও মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্য কর।


অমাধ্যম অনুমান : যে অবরােহ অনুমানে একটিমাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে অনাধ্যম অনুমান বলে।

 উদাহরণ:

  E— কোনাে বৃত্ত নয় ত্রিভুজ । ( আশ্রয়বাক্য ) 

 : . E— কোনাে ত্রিভুজ নয় বৃত্ত । ( সিদ্ধান্ত ) ( আবর্তনের মাধ্যমে )

মাধ্যম অনুমান : যে অবরােহ অনুমানে একের বেশি অর্থাৎ, একাধিক আশ্রয়বাক্য থেকে সিন্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়, তাকে মধ্যম অনুমান বলে। 

 উদাহরণ: 

A—সকল মানুষ হয় মরণশীল প্রাণী। ( আশ্রয়বাক্য )।

A— সকল কবি হয় মানুষ। ( আশ্রয়বাক্য ) 

 .'.A— সকল কবি হয় মরণশীল প্রাণী। ( সিদ্ধান্ত )।

অমাধ্যম অনুমান ও মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্য: অমাধ্যম ও মাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল --

(১) আশ্রয়বাক্যের সংখ্যা : অমাধ্যম অনুমানের ক্ষেত্রে একটি মাত্র আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়। 

   অপরপক্ষে, মাধ্যম অনুমানে দুটি বা তার বেশি আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়।

(২) পদের সংখ্যা : অমাধ্যম অনুমানে দুটি পদ থাকে উদ্দেশ্যপদ ও বিধেয়পদ। এখানে দুটি পদই দুবার করে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে বিরুদ্ধ পদের ব্যবহার করা হয়।

     অপরপক্ষে, মাধ্যম অনুমানে তিনটি পদ থাকে। যথা— পক্ষপদ, সাধ্যপদ এবং হেতুপদ। এখানে তিনটি পদই দুবার করে ব্যবৃহত হয়। 

(৩) বচনের সংখ্যা : অমাধ্যম অনুমান দুটি বচন দ্বারা গঠিত হয়। এই দুটি বচনের একটিকে বলা হয় আশ্রয়বাক্য এবং অন্য বচনটিকে বলা হয় সিদ্ধান্ত। 

     পক্ষান্তরে, মাধ্যম অনুমান বা ন্যায় অনুমান তিনটি বচন দ্বারা গঠিত হয়। এই তিনটি বচনের মধ্যে দুটি হল আশ্রয়বাক্য এবং অন্যটি হয় সিদ্ধান্ত। 

(৪) সিদ্ধান্ত গঠনের পদ্ধতি : অমাধ্যম অনুমানের ক্ষেত্রে আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটিকে সরাসরি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এক্ষেত্রে সাহায্যকারী বা মধ্যস্থতাকারী কোনাে বচনের প্রয়ােজন হয় না। এজন্য অমাধ্যম অনুমানকে অপরােক্ষ অনুমান বলে। 

      কিন্তু, মাধ্যম অনুমানের ক্ষেত্রে কোনাে একটি আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি কখনােই সরাসরি নিঃসৃত হয় না। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সাহায্যকারী বা মধ্যস্থকারী বচনের প্রয়ােজনীয়তা থাকবেই। এজন্য মাধ্যম অনুমানকে পরােক্ষ অনুমান বলা হয় ।

<<<<<<<<>>>>>>>>>

Read More

Tuesday, 22 September 2020

HS Philosophy প্রশ্ন: মিলের ব্যতিরেকী পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

Leave a Comment

 প্রশ্ন: মিলের ব্যতিরেকী পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

[সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি)]                             (মান 1 + 2 + 1 + 2 + 2)

অথবা, 

"থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে বাদ দিলে বুদ্ধি ভোতা হয়ে যায় । সুতরাং , থাইরয়েড গ্রন্থিই বুদ্ধির কারণ।" এখানে মিলের কোন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে? পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা কর।

[চিহ্নিতকরণ, সংজ্ঞা, আকার, সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি)]              (মান 1 + 2 + 1 + 2 + 2)


উঃ 

চিহ্নিতকরণ: এখানে মিলের ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।

মিল প্রদত্ত ব্যতিরেকী পদধতির সূত্র/ সংজ্ঞা: “যদি আলােচ্য ঘটনাটি একটিমাত্র দৃষ্টান্তে উপস্থিত থাকে এবং অপর একটি দৃষ্টান্তে অনুপস্থিত থাকে এবং এইরূপ দুটি দৃষ্টান্তে যদি একটিমাত্র ঘটনা ছাড়া আর সব বিষয়ে সম্পূর্ণ মিল থাকে, আর যে ঘটনাতে মিল নেই সেটি যদি শুধুমাত্র প্রথম দৃষ্টান্তে উপস্থিত থাকে তবে যে ঘটনাটির জন্য দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে পার্থক্য সেই ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কারণ (বা কাৰ্য) বা কারণের অনিবার্য অংশ।”

ব্যতিরেকী পদ্ধতির আকার বা সাংকেতিক উদাহরণ:

  1) দৃষ্টান্ত    অগ্রবর্তী ঘটনা         অনুবর্তী ঘটনা 

সদর্থক        ABC                              abc 

 নঞর্থক         BC                                bc 

. ' . A হল a- এর কারণ। 

 2)  দৃষ্টান্ত   অগ্রবর্তী ঘটনা         অনুবর্তী ঘটনা

 নঞর্থক   BC                                 bc 

সদর্থক    ABC                               abc 

. ' . A হল a- এর কারণ। 

ব্যাখ্যা: এখানে প্রথম উদাহরণে অগ্রবর্তী ঘটনা থেকে ‘A’- কে বাদ দেওয়ার ফলে অনুবর্তী ঘটনা থেকে ‘a' অন্তর্হিত হয়েছে এবং দ্বিতীয় উদাহরণে অগ্রবর্তী ঘটনার সঙ্গে ‘A’- কে যােগ করার ফলে অনুবর্তী ঘটনাতে ‘a' আবির্ভূত হয়েছে। কিন্তু, অন্যান্য সকল আনুষঙ্গিক অবস্থা (অর্থাৎ, BC এবং bc ) দুটি ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণভাবে অপরিবর্তিত আছে। উভয় উদাহরণে দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে যেটুকু পার্থক্য তা হল 'A' এবং 'a'- কে নিয়ে। অর্থাৎ, উভয়ই একসঙ্গে উপস্থিত এবং উভয়ই একসঙ্গে অনুপস্থিত। কাজেই, দেখা গেল, অন্য সকল অবস্থা এক থাকা সত্ত্বেও ‘A’ নামক অগ্রবর্তী ঘটনাটি না ঘটলে ‘a' নামক অনুবর্তী ঘটনাটি ঘটছে না। অতএব ‘A’ হল ‘a'- এর কারণ।

দৃষ্টান্ত/বাস্তব উদাহরণ:  থাইরয়েড গ্রন্থি কেটে বাদ দিলে বুদ্ধি ভোতা হয়ে যায় । সুতরাং , থাইরয়েড গ্রন্থিই বুদ্ধির কারণ । 

যুক্তি বিশ্লেষণ : 

  দৃষ্টান্ত    অগ্রবর্তী ঘটনা              অনুবর্তী ঘটনা 

সদর্থক থাইরয়েড গ্রন্থি থাকা  --   বুদ্ধি স্বাভাবিক থাকা । 

নঞর্থক থাইরয়েড গ্রন্থি না থাকা --- বুদ্ধি স্বাভাবিক না থাকা । 

: . থাইরয়েড গ্রন্থি = কারণ। 

                   বুদ্ধি = কার্য ।

ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধা:

( ১ ) ব্যতিরেকী পদ্ধতির প্রয়ােগ খুবই সহজ ও সরল। কেননা, এই পদ্ধতি প্রয়ােগের জন্য মাত্র দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়ােহন হয়। একটিমাত্র সদর্থক ও একটিমাত্র নঞর্থক দৃষ্টান্ত । 

( ২ ) ব্যতিরেকী পদ্ধতি পরীক্ষণের পদ্ধতি। অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়ােগ করে যে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা হয় এই পদ্ধতির সাহায্যে তা যাচাই বা প্রমাণ করা যায়। এইজন্যই মিল ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণের পদ্ধতি বলেছেন।

 (৩) মিল দাবি করেছেন যে, ব্যতিরেকী পদ্ধতির সাহায্যে কার্য থেকে কারণ এবং কারণ থেকে কার্য আবিস্কার করা যায়। তাই এ পদ্ধতির প্রয়ােগক্ষেত্র খুবই ব্যাপক ।

ব্যতিরেকী পদ্ধতির অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতা :

 (১) ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়ােগের জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়ােজন হয়। সাধারণ মানুষ এই পদ্ধতির অপপ্রয়ােগঘটাতে পারে। ফলে কাকতালীয় দোষ ঘটতে পারে।

 (২) ব্যতিরেকী পদ্ধতি মূলত পরীক্ষণ পদ্ধতি। তাই এই পদ্ধতি কারণ থেকে কার্য আবিষ্কার ও প্রমাণ করতে পারে কিন্তু কার্য থেকে কারণ আবিষ্কার ও প্রমাণ করতে পারে না।

মূল্যায়ন : পরীক্ষণ পদ্ধতি হিসেবে ব্যতিরেকী পদ্ধতির মূল্য অনস্বীকার্য। প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান বা অন্যান্য ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়ােগ করে বিজ্ঞানীরা সুনিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হন। তাই এই পদ্ধতির সাফল্য বা ব্যর্থতার ওপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনেকটা নির্ভরশীল। এজন্য মিল এই পদ্ধতিকে সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি বলেছেন ।

                   <<<<<<<<<>>>>>>>>>

Read More