Wednesday, 18 December 2019

B.A 3rd year (UGB) এর শিক্ষা বিজ্ঞানের প্রশ্ন ও উত্তর

Leave a Comment
প্রত্যক্ষ ও ও প্রত্যক্ষ পরামর্শদান বলতে কী বোঝ? এদের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা কর।
অথবা প্রত্যক্ষ ও প্রত্যক্ষ পরামর্শদানের পার্থক্য উল্লেখ কর।
       প্রত্যক্ষ পরামর্শদান: যে পরামর্শদানে পরামর্শগ্রহীতা অপেক্ষা পরামর্শ গ্রহীতার সমস্যার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তা সমাধানের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয় তাকেই প্রত্যক্ষ বা নির্দেশক পরামর্শদান বলে।
       অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদান: যে পরামর্শদান প্রক্রিয়ায় ব্যক্তির সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব না দিয়ে তার নিজস্ব ব্যক্তিসত্তা উপর বেশি ও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় তাকে অপ্রত্যক্ষ বা ও নির্দেশক পরামর্শদান বলে।
      প্রত্যক্ষ পরামর্শদানের বৈশিষ্ট্য: প্রত্যক্ষ পরামর্শদানের বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হল---
১) প্রত্যক্ষ পরামর্শদানে সুপরিকল্পিত পথে পরামর্শদান পরিচালিত হয়ে থাকে। এখানে পরামর্শ গ্রহীতার অস্বাভাবিক আচার-আচরণের বিশ্লেষণ, সমস্যার প্রকৃতি, গুরুত্ব ও অবস্থানের নির্ধারণ এবং সমস্যার প্রতিকারমূলক পন্থাপদ্ধতি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়।
২) এই পরামর্শদানে পরামর্শ গ্রহীতার বৌদ্ধিক এর উপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে তার বৌদ্ধিক সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে পরামর্শদানের ব্যবস্থা নিতে হয়।
৩) এই জাতীয় পরামর্শদানে একজন অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরামর্শদাতা ই পরামর্শ গ্রহীতার সমস্যার অনুধাবনে এবং সাবধানে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন বলে বিবেচনা করা হয়।
৪) এই জাতীয় পরামর্শদানের পরামর্শ গ্রহীতার সমস্যা উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে প্রদত্ত সমাধানের উপায় পরামর্শ গ্রহীতার পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব কিনা তা বিচার বিবেচনা করা হয় না।
৫) এই জাতীয় পরামর্শদানে পরামর্শ গ্রহীতার ভূমিকা কেবল গ্রাহক হিসাবেই সুনির্দিষ্ট থাকে। যেহেতু এখানে পরামর্শদাতার ভূমিকা সুনিয়ন্ত্রকের, তাই এই জাতীয় পরামর্শদানে তিনিই প্রধান এবং সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁরই ভূমিকা সর্বাধিক।
৬) পরামর্শদাতা পরামর্শদানে বিশেষ ভাবে সকল দিক থেকে সক্রিয় থাকেন এবং তুলনামূলকভাবে পরামর্শ গ্রহীতা এখানে নীরব ভূমিকা নিয়ে থাকেন।
অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদান এর বৈশিষ্ট্য: নিম্নে  অপ্রত্যক্ষ পরামর্শদানের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করা হল--
১) এই পরামর্শ দানে ব্যক্তির বা পরামর্শ গ্রহীতার ব্যক্তিসত্তা বিকাশের উপর বেশি গুরুত্ব থাকে।
২) এই জাতীয় পরামর্শদানের পরামর্শদাতা পরামর্শ গ্রহীতাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে নিজের বক্তব্য বলতে দেন এবং এতে পরামর্শ গ্রহীতা অনেকাংশে নিজস্ব মানসিক (জট মুক্তির) আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
৩) এই জাতীয় পরামর্শদানে পরামর্শ গ্রহীতা নিজেই নিজের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হোন এবং আত্মশক্তি জাগ্রত করে এবং আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব নিয়ে নিজস্ব সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হন।
৪) যেহেতু এই জাতীয় পরামর্শে পরামর্শ গ্রহীতার সমস্যার প্রকৃতি জানার ও সমস্যা সমাধানের উপর পরামর্শদাতাকে কোন গুরুত্ব দিতে হয় না সেহেতু তাকে পরামর্শ গ্রহীতার অতীত ইতিহাস জানার এবং তার উপর মনস্তাত্ত্বিক অভীক্ষা ব্যবহার করার কোন উদ্যোগ নিতে হয় না।
৫) এই জাতীয় পরামর্শদানের সমর্থকরা ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তার উপর আস্থাবান থাকেন এবং প্রতিটি ব্যক্তি নিজেই নিজের সমস্যা সমাধানে সক্ষম এই ধারণা পোষণ করেন। তাই এই জাতীয় পরামর্শদানে পরামর্শদাতা এমন একটি পরামর্শ প্রাপ্তির পরিবেশ রচনা করেন যাতে করে পরামর্শ গ্রহীতার মধ্যে স্বাধীনভাবে স্বেচ্ছায় সকল কাজ সম্পাদনের উৎসাহ দেখা দেয় এবং তিনি আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজস্ব সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের সমস্যা সমাধানে ব্রতী হতে পারেন।
৬) পরামর্শদাতার দ্বারা পরামর্শ গ্রহীতা এমন ভাবে উৎসাহিত হন যে তিনি নিজে থেকে সব রকম সমস্যার কথা ও অন্যান্য বিষয় খোলা মনে প্রকাশ করতে উদ্যত হন।
৭) পরামর্শ গ্রহীতা বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধারায় পরামর্শদাতার সাহায্য গ্রহণ করলেও চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণে তিনি নিজেই ব্যবস্থা নেন।
৮) এই জাতীয় পরামর্শদানে পরামর্শদাতার হৃদয়ে সঞ্চারিত আবেগের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
Read More

Wednesday, 11 December 2019

B.A. 3rd year এর শিক্ষা বিজ্ঞানের নোট (গৌড়বঙ্গ ইউনিভার্সিটি)

Leave a Comment
প্রশ্ন: আদর্শায়িত অভীক্ষা ও শিক্ষক নির্মিত বা অ-আদর্শায়িত বা সাধারণ অভীক্ষার পার্থক্য নিরূপণ কর।

উঃ

আদর্শায়িত অভীক্ষা: সাধারণভাবে যেসব অভীক্ষার পদ সংখ্যা, প্রয়োগ পদ্ধতি, গঠন পদ্ধতি এবং তাৎপর্য নির্ণয়ের পদ্ধতি সবই নিয়ন্ত্রিত থাকে, তাকে বলা হয় আদর্শায়িত অভীক্ষা।

শিক্ষক নির্মিত অভীক্ষা: শিক্ষক নির্মিত অভীক্ষা হচ্ছে সেই সমস্ত অভিক্ষা যেগুলি শিক্ষকেরা বিশেষ উদ্দেশ্যমুখী পরিমাপের স্বার্থে অভীক্ষা গঠনের নীতিসমূহকে আংশিকভাবে মেনে অভিক্ষা প্রস্তুত এর ব্যবস্থা নেন।

আদর্শায়িত অভীক্ষা ও শিক্ষক নির্মিত  অভীক্ষার পার্থক্য: আদর্শায়িত অভীক্ষা এবং শিক্ষক নির্মিত অভীক্ষাকে পাশাপাশি রেখে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে বেশ কয়েকটি পার্থক্য চোখে পড়ে। পার্থক্য গুলি নিম্নে আলোচনা করা হল - 

১) আদর্শায়িত অভীক্ষায় সাধারণধর্মী, শিক্ষাগত ও মানসিক বৈশিষ্ট্যাবলী পরিমাপ করা সম্ভব হয়। যেহেতু এই জাতীয় অভীক্ষাযেকোনো স্থানীয় অবস্থাভেদে সকলের উপর প্রয়োগ করা সম্ভব, সেতু উপরোক্ত ধরনের বৈশিষ্ট্যাবলী পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
অপরদিকে, সাধারণ অভীক্ষায় পদগুলি বিশেষ ধর্মী এবং এই জাতীয় অভীক্ষায় স্থানীয় অবস্থাভেদে শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা চিন্তা করে গঠন করার ব্যবস্থা নিতে হয়।

২) আদর্শায়িত অভীক্ষায় অভীক্ষা পদগুলি বিশেষজ্ঞের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অনুসারে নির্মিত এবং প্রয়োগের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্বাচিত। 

অন্যদিকে, সাধারণ অভীক্ষায় অভীক্ষা পদগুলিকে নির্বাচন করা হয় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবং এই জন্য এদের গুণগতমান পূর্বনির্ধারিত থাকেনা এবং মোটামুটি ভাবে অজানাই থাকে বলা যায়।

৩) আদর্শায়িত অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা বেশি থাকে এবং তার মান আদর্শ মান এর উপরেই থাকে। কিন্তু সাধারণ অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা জানা থাকে না।

৪) আদর্শায়িত অভীক্ষার প্রয়োগ পদ্ধতিও মূলত আদর্শায়িত এবং এর মান নির্ণয়ের পদ্ধতিও বেশ আগে থেকে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু শিক্ষক নির্মিত অভিক্ষায় পূর্বনির্ধারিত প্রয়োগ পদ্ধতি ব্যবহার করা হলেও উক্ত পদ্ধতি ইচ্ছানুসারে পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।

৫) আদর্শায়িত অভীক্ষা অভীক্ষা গঠনের সময় আদর্শমান নির্ধারণ করা হয় এবং তার ভিত্তিতে বিভিন্ন অর্জিত নম্বরের মধ্যে তুলনা করার সুবিধা হয়। কিন্তু শিক্ষক নির্মিত  অভীক্ষায় তাৎপর্য নির্ণয়ের পার্থক্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে এখানে আদর্শায়িত অভীক্ষার মত তুলনা করা অসুবিধাজনক হয়ে ওঠে।

 মন্তব্য: পরিশেষে বলা যায় যে, শিক্ষক নির্মিত অভীক্ষায় আদর্শায়িত অভীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে অগ্রসর হয়ে অভীক্ষা গঠনের রীতিনীতি মানা না হলেও শিক্ষার্থীদের সাধারণ পারদর্শিতা পরিমাপে এবং জ্ঞানের দক্ষতা উপলব্ধি প্রভৃতির সাধারণ পরিমাপে এই জাতীয় শিক্ষক নির্মিত অভিক্ষা শিক্ষাক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত।  তবে আদর্শায়িত অভীক্ষার গঠন প্রণালীর পর্যায়ক্রমিক ও প্রক্রিয়ামাফিক অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি যে খুব বিজ্ঞানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য তা অস্বীকার করা যায় না।
Read More

B.A. 3rd year শিক্ষাবিজ্ঞান এর নোট (Education) ugb

Leave a Comment
প্রশ্ন: সংগতি বিধানের গুরুত্ব আলোচনা কর।

উত্তর:

সংগতিবিধানের গুরুত্ব: সংগতিবিধান একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিনিয়ত সংগতিবিধান করার চেষ্টা করে। জন্মের সময় সে থাকে মা এবং বাবার অধীন। সে সময় তার জৈবিক চাহিদা পরিতৃপ্তির জন্য তাকে অন্যদের উপর নির্ভর করতে হয়। সে সময়ে বাহ্যিক জগত তার কাছে থাকে অস্পষ্ট ও ধোঁয়ার মতো। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে সংবেদন প্রত্যক্ষণ এবং ধারণা গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানগুলির সঙ্গে সংগতিবিধান করার চেষ্টা করে। পরিবেশের উপাদান গুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- জৈবিক উপাদান, মানসিক উপাদান এবং সামাজিক উপাদান। জৈবিক উপাদানগুলি হল জীবন ধারণের পক্ষে একান্ত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন চাহিদা। যেমন- জল, বায়ু, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি। মানুষ যেহেতু পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান জীব তাই তার মধ্যে অনেক ব্যক্তিগত মানসিক চাহিদাও দেখা দেয়। যেমন- আত্মপ্রকাশের চাহিদা, সক্রিয়তার চাহিদা, স্বাধীনতার চাহিদা, প্রাক্ষোভিক বিকাশের চাহিদা ইত্যাদি। এগুলি হল পরিবেশের মানসিক উপাদান। আবার সামাজিক মেলামেশার চাহিদা, দল গঠনের চাহিদা ইত্যাদি হল তার পরিবেশের সামাজিক উপাদান।

শিশু ধীরে ধীরে ওই উপাদানগুলির সাথে সংগতি বিধানের চেষ্টা করে এবং এর মাধ্যমে সে পরিবেশের মূর্ত ও অমূর্ত উপাদানগুলির সাথে পরিচিত হয়। এই সময় তাদের চাহিদা ও প্রবৃত্তিকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে শিশুর মধ্যে অপসংগতিমূলক আচরণগুলি দেখা যায়।

শিশু তার অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক চাহিদাগুলির মধ্যে মূলত তিনটি উপায় সংগতিবিধান করার চেষ্টা করে -

১) শিশু তার অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে দমন করতে বা সংশোধন করতে পারে।

২) সে তার বাহ্যিক পরিবেশ পরিবর্তন করে অভ্যন্তরীণ চাহিদার পরিতৃপ্তি ঘটাতে পারে।

৩) উন্নত মানসিক কৌশল ব্যবহার করে অন্তর দ্বন্দ্বমূলক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে পারে।

মনোবিদরা সংগতিবিধানকে দুই দিক থেকে ব্যাখ্যা করেছেন-

১) সংগতিবিধানকে প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিশু নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। খিদে পেলে খাবার জোগাড় করার চেষ্টা হল একটি প্রক্রিয়া।

২) যখন সংগতি বিধান একটি সাফল্য হিসেবে প্রকাশ পায় তখন তাকে সম্পাদিত কার্য হিসেবে দেখা হয়। শিক্ষার্থী পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করলে এক্ষেত্রে সংগতিবিধান হিসেবে পরিগণিত হয়।

অনেকে আবার একে একটি প্রক্রিয়া না বলে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন। কারণ এই প্রক্রিয়া ব্যক্তির জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চলতে থাকে।
Read More

Friday, 6 December 2019

B. A. education note (UGB)

Leave a Comment
প্রশ্ন: শিক্ষা জগতে মন্তেসরীর অবদান সম্পর্কে আলোচনা কর।

উত্তর:

 ভূমিকা: শিক্ষা জগতে এক অন্যতম উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হলেন মাদাম মারিয়া মন্তেসরী। পেশাগত দিক থেকে তিনি ছিলেন চিকিৎসক। তাঁর কর্মপ্রেরণার মূলে ছিল সেবামূলক মনোভাব। মানুষের সামগ্রিক মঙ্গল সাধনই ছিল তার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, মানুষের অজ্ঞতাই তার জীবনের সব রকম বিপর্যয়ের কারণ। তাই মানুষের সার্বিক উন্নতি করতে হলে তার উপযুক্ত শিক্ষার প্রয়োজন, এই ছিল তার জীবনের বিশ্বাস। জীবনের এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে তিনি জীবনের বেশি সময় শিশু শিক্ষার নীতি ও পদ্ধতি রচনায় ব্যয় করেন।

      শিক্ষাক্ষেত্রে মন্তেসরী অবদান:

 শিক্ষার লক্ষ্য: মন্তেসরী বিশ্বাস করতেন প্রত্যেক শিশুই তার একান্ত নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য ও ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। তাঁর মতে, শিশুর জন্মগত বৈশিষ্ট্য ও ক্ষমতাগুলি বিকাশ ধর্মী। প্রত্যেক শিশুই নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য অনুযায়ী অন্তর থেকে বিকাশ লাভ করবে। শিক্ষার লক্ষ্য হবে প্রত্যেক শিশুর আত্মবিকাশের প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা। অর্থাৎ, মন্তেসরীর শিক্ষাচিন্তা অনুযায়ী, শিক্ষা হল বিকাশের প্রক্রিয়া আর তার লক্ষ্য হল ব্যক্তি জীবনের স্বাতন্ত্র্যের পরিচায়ক বিকাশ ঘটানো।

পাঠ্যক্রম: মন্তেসরী কেবল শিশুর শিক্ষার পাঠক্রম সম্পর্কে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। নিয়মমাফিক পাঠ্যক্রমে তিনি শিশুদের জন্য লেখা, পড়া এবং গণিত এই তিনটি বিষয় রাখার কথা বলেছেন। এছাড়া জীবনের পক্ষে প্রয়োজনীয় কতগুলি অভ্যাস এবং দক্ষতা বিকাশের উপর তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। কিভাবে নিজের দেহের যত্ন নিতে হয়, কিভাবে ঘর পরিষ্কার করতে হয়, কিভাবে পোশাক ইত্যাদি পরিষ্কার রাখতে হয়, সে সংক্রান্ত অভ্যাস ও দক্ষতা গঠনের কথা তিনি বলেছেন। এছাড়া শৈশবে দৈহিক বিকাশে সহায়তা করার জন্য তিনি বয়সোপযোগী কিছু ব্যায়ামের কথাও উল্লেখ করেছেন।

শিক্ষণ পদ্ধতি: মন্তেসরী প্রবর্তিত শিক্ষণ পদ্ধতি মন্তেসরী পদ্ধতি নামে পরিচিত। এই পদ্ধতি তিনটি মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রথমত: ইন্দ্রিয় পরিমার্জন আর নীতি; দ্বিতীয়তঃ সক্রিয়তার নীতি বা স্বয়ং শিক্ষার নীতি; এবং তৃতীয়তঃ স্বাধীনতার নীতি।

মন্তেসরী বলেছেন, শিশুদের মানসিক অগ্রসরতার জন্য দায়ী হলো তাদের ইন্দ্রিয়গুলি।  ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমেই আমরা বাইরের জগত থেকে জ্ঞান আহরণ করি। তাই শিশুকে সার্থকভাবে শিক্ষা দিতে হলে প্রথমেই তার ইন্দ্রিয়গুলিকে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এই নীতি কে বলা হয় ইন্দ্রিয় পরিমার্জনার নীতি। এই উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরি করেন। এগুলিকে বলা হয় ডিড্যাকটিক এপারেটাস (Didactic Apparatus) এগুলির সহায়তায় শিশুরা সহজে  বিভিন্ন উদ্দীপকের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে, প্রতিক্রিয়া করতে পারি। মন্তেসরী তার পূর্বসূরিদের মত শিখনের ক্ষেত্রে শিশুর আত্মসক্রিয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। শিক্ষার্থীরা নিজের চেষ্টায় যা শিখবে, উদ্ভাবিত ডিড্যাকটিক অ্যাপারেটাসগুলিতে তাই শিক্ষার্থীদের ত্রুটি দূর করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এইভাবে আত্ম সক্রিয়তায় শেখার পদ্ধতিকে তিনি নাম দিয়েছেন স্বয়ং শিখন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের স্বয়ং শিখনের সুযোগ দিতে হলে স্বাধীনতার প্রয়োজন। তাই মন্তেসরী স্বাধীনতাকে শিক্ষার যোগ্য মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

মন্তেসরী শিক্ষণ পদ্ধতি সাধারণভাবে ছয় বছর পর্যন্ত শিশুদের শিক্ষার জন্য রচিত হয়েছিল। এই পদ্ধতিতে পাঠ্যক্রমে তিন দিক থেকে অনুশীলনের ব্যবস্থা আছে।

প্রথমত: শিশুদের জীবন যাপনের উপযোগী শিক্ষা দেওয়ার জন্য কাপড় কাচা, নখ কাটা, দাঁত মাজা, ঘর পরিষ্কার করা ইত্যাদির মত কাজ শেখানো হয়। এই ধরনের কাজের মধ্য দিয়ে একদিকে তাদের দৈহিক বিকাশে সহায়তা করা হয়, আবার অন্যদিকে তারা জীবনের প্রত্যক্ষ কার্যাবলীর সঙ্গে পরিচিত হয়।

দ্বিতীয়তঃ মন্তেসরী তার পদ্ধতিতে ডিড্যাকটিক অ্যাপারেটাস এর সাহায্যে শিশুদের ইন্দ্রিয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। যেমন বিভিন্ন আকারের কাঠের টুকরো, কাগজ,  আসবাবপত্র, বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা, পেন্সিল,  বিভিন্ন রঙের উল, বাক্স, ঘণ্টা, ঘনক ইত্যাদি এইসব বস্তু-সামগ্রীর মাধ্যমে শিশুদের আকার, আয়তন, রং, ওজন ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়ে থাকে।

তৃতীয়তঃ প্রথাগত লেখা, পড়া ও গণিত শিক্ষাদানের বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা এই পদ্ধতির মধ্যে আছে।

শিক্ষকের ধারণা: মন্তেসরী পদ্ধতিতে শিশুকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয় এবং তাদের স্বয়ং শিখনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই এই পদ্ধতিতে শিক্ষিকার ভূমিকাও বিশেষ ধরনের। তার প্রধান দায়িত্ব হল শিশুর শিখন প্রচেষ্টাকে নির্ধারিত পথে পরিচালনা করা। মন্তেসরী তার এই শিক্ষিকা বা পরিচালিকার প্রয়োজনীয় গুণাবলী সম্পর্কে বলেছেন - " Virtues and not words are the main qualifications of the teacher. She should be  partly a scientist, partly a doctor and completely religious." অর্থাৎ শিশুদের সামগ্রিক দিক থেকে সাহায্য করার জন্য সামগ্রিক দিক থেকে সাহায্য করার জন্য যত রকমের মানবিক গুণ থাকা প্রয়োজন, তা শিক্ষিকার থাকা উচিৎ। 

মন্তব্য: মন্তেসরীর শিক্ষা চিন্তা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে নানা দিক থেকে প্রভাবিত করেছে। বিশেষভাবে তাঁর প্রবর্তিত পদ্ধতি আধুনিককালে শিশু শিক্ষার ক্ষেত্রে এক স্থায়ী আসন অধিকার করেছে। তবে তার শিক্ষাচিন্তার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান হলো ব্যক্তি কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন। তিনি বলেছেন প্রত্যেক শিশুকে পৃথকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে পৃথকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করতে হবে। এই কারণে অনেকে মনে করেন মন্তেসরী শ্রেণী শিক্ষণ ব্যবস্থার মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছেন।

English version

Discuss the role of Montserri in the education world.

 Answer:

  Introduction: Madam Maria Montesri is one of the brightest astrologers in the world of education.  He was a doctor by profession.  At the core of his motivation was a serviceable attitude.  The main purpose of his life was to achieve the overall well-being of man.  He realized that ignorance of man was the cause of all the disasters in his life.  So in order to improve the people overall, he needed proper education, it was his belief in life.  In line with this belief in life, he spends most of his life writing policies and procedures for child education.

       Mantisari's contribution to education:

  Learning Objective: Montserri believed that every child was born with his own unique qualities and abilities.  According to him, it is religious to develop the child's innate traits and abilities.  Each child will develop from his or her own individuality.  The goal of education will be to help every child develop self-development.  That is to say, according to Montserri's teaching, education is the process of development and its purpose is to introduce the individual to the individual's life.

 Curriculum: Montessori only presented his commentary on the child's education curriculum.  In the regular curriculum, he tells the children to keep writing, reading and math in three subjects.  He also emphasized on developing certain habits and skills necessary for life.  He said that the habits and skills of how to take care of your body, how to clean your house, how to keep your clothes clean, etc.  He also mentioned some age-appropriate exercises to help with physical development in childhood.

 Teaching Methods: The teaching method introduced by the Montessori is known as the Montessori Method.  This method is based on three principles.  Firstly, the sense refinement and the principle;  Secondly, the principle of activism or self-education;  And thirdly, the principle of independence.

 Montesari says children's senses are responsible for their mental development.  It is through the senses that we acquire knowledge from the outside world.  Therefore, in order to properly teach a child, one must first educate his or her senses.  This principle is called sense refinement.  For this purpose he made a variety of materials.  These are called Didactic Apparatus, with the help of which children can easily distinguish between different stimuli and react.  Montesari, like his predecessors, emphasized the child's self-interest in learning.  Deductive apparatuses invented by students to learn what they were trying to do, so that students were eliminated in error.  In this way, he called the process of self-learning self-learning.  On the other hand, freedom is needed to give students the opportunity to learn for themselves.  That is why Montesari has accepted independence as a worthy medium of education.

 The Montessori teaching system was generally designed to educate children for up to six years.  In this way, there are three aspects of practice in the curriculum.

 In the first place, children are taught tasks like cutting, nailing, brushing their teeth, cleaning their house, etc.  This kind of work helps them develop their physical development on the one hand, and on the other hand they are introduced to the direct activities of life.

 Secondly, Montsari arranges for the training of children's senses with the help of Didactic Apparatus in his method.  Children of different sizes, such as pieces of paper, furniture, different types of coins, pencils, wools of different colors, boxes, bells, cube, etc. are given ideas about the size, volume, color, weight, etc. of the children.

 Thirdly, there are specialized systems for teaching formal writing, reading and mathematics.

 Teacher's idea: In the monastic system, children are given free freedom and emphasis is placed on their self-learning.  Therefore, the role of the educator in this method is also special.  Her main responsibility is to guide the child's learning efforts in the prescribed way.  Montessori describes the essential qualities of her teacher - "Virtues and not words are the main qualifications of the teacher. She must be a scientist, a doctor and completely religious."  That is, the teacher should have the kind of human qualities needed to help the children in the overall direction.

 Comment: Montserri's education has influenced the modern education system in many ways.  In particular, the method introduced by him has taken a permanent seat in the education of children in modern times.  However, the most significant contribution to his education is the introduction of a person-centered education system.  He said each child should be monitored individually and if necessary, the education system should be administered separately.  For this reason, many people think that Montserri has played the death knell for the classroom education system.
Read More

Friday, 29 November 2019

BA 3rd year (UGB) Education Note

Leave a Comment
শিক্ষাক্ষেত্রে জন ডিউই এর অবদান সম্বন্ধে আলোচনা করো।

ভূমিকা: জন ডিউই এর শিক্ষা চিন্তা আধুনিক যুগে পৃথিবীর সব দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে প্রভাবিত করেছে। তাঁর শিক্ষাদর্শন একদিকে যেমন আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রচিত তেমনি অন্যদিকে যন্ত্রসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সমতা রেখে তা সংগঠিত। তাঁর শিক্ষা দর্শনের মধ্যে এই দুই উপাদানের সার্থক সমন্বয় আমরা দেখতে পাই। তিনি যে শুধু শিক্ষার তাত্ত্বিক দিকের ওপর আলোকপাত করেছেন তাই নয়, পরীক্ষামূলক ভাবে তাঁর শিক্ষা চিন্তাকে প্রয়োগ করার চেষ্টাও করেছিলেন। ১৯০১ সালে তিনি তাঁর গবেষণামূলক বিদ্যালয় স্থাপন করে, সেখানে তাঁর শিক্ষামূলক চিন্তা-ভাবনাকে প্রয়োগ করেন।

শিক্ষা দর্শন: ডিউই এর ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি ও গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ সে সময় খুবই সাড়া জাগিয়েছিল। শিক্ষাকে জীবনের সমার্থক ভেবে এই দুয়ের মধ্যে এক বছর সম্পর্ক সৃষ্টি করেছেন তিনি এবং জীবনকে ঘিরে দর্শন ও শিক্ষার মধ্যে একটি নিবিড় বন্ধন স্থাপন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে আদর্শবাদ, প্রকৃতিবাদ ও অন্যান্য বিশেষ ধর্মীয় মতবাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত শিক্ষার ধারাকে সমপ্রসারণের মহান দায়িত্ব বহন করেছেন জন ডিউই। রুশোর পরে শিক্ষার প্রস্তুতি প্রণয়নে, শিক্ষার পাঠ্যক্রম, পন্থা পদ্ধতি ও প্রশাসনিক পরিচালনার নীতি নির্ধারণে ডিউই তাঁর নিজস্ব শিক্ষানীতি সাপেক্ষ পথ নির্দেশ দানে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উদঘাটনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেন।

শিক্ষার লক্ষ্য: জীবনের যেমন কোনো চিরস্থায়ী সত্য থাকতে পারে না, এমনি শিক্ষাতেও তেমন কোনো স্থায়ী লক্ষ্য নির্ধারণ করা যায় না। প্রতিটি শিশুর পৃথক পৃথক অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার সর্বাঙ্গীন, সুষম ও সর্বোত্তম বিকাশের জন্য শিক্ষা কাজের গুরুত্ব অনুধাবন করেন তিনি। তাই শিক্ষার স্থায়ী লক্ষ্যের কথা তিনি বলেননি। শিক্ষার্থীর জীবনব্যাপী প্রক্রিয়ার সাথে সংযোগ রেখে শিক্ষার লক্ষ্যকে তিনি আরো জ্ঞান, আরো বৃদ্ধি, বিকাশ, আরো সামাজিক দক্ষতা লাভ এবং আরো বেঁচে থেকে আরো অভিজ্ঞতা ও আরো শিক্ষা পাওয়ার সাথে সমান ভেবেছেন। তাঁর মতে, শিক্ষার কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ না থাকলেও শিক্ষার কাজ হবে সামাজিক পরিবেশে শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনার সর্বোত্তম বিকাশ।

পাঠ্যক্রম: পাঠ্যক্রম বলতে ডিউই সকল রকম অভিজ্ঞতাকে বুঝিয়েছেন। শিশু আত্মসচেতনভাবে যেসব কাজ করবে  এবং যতসব অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, তাই হবে তার পাঠ্যক্রম। তার মতে পাঠ্যক্রম বাইরের কোন ব্যক্তি বা সংস্থা দ্বারা শিশুর উপর আরোপিত জ্ঞানের সমষ্টি নয়। প্রত্যেক শিশু তার নিজের আগ্রহ ও প্রবণতা অনুযায়ী পাঠ্যক্রম রচনা করবে। এই কারণে তিনি শিক্ষার কোন স্তরের জন্য নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম রচনা করে দেননি।

ডিউই এর পাঠক্রম রচনার মৌলিক নীতিসমূহ: ডিউই পাঠক্রম সম্পর্কে কতগুলি মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যগুলি নিম্নরূপ--

১) পাঠক্রমের বিষয়বস্তু নির্ধারণের ক্ষেত্রে, তিনি বৃত্তিমূলক কাজ ও হাতের কাজের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। 

২) শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় চেতনাকে জাগ্রত করার জন্য উপযুক্ত কর্মসূচি পাঠ্যক্রমের মধ্যে রাখতে হবে।

৩) শিক্ষার্থীর পাঠ্যক্রমকে তার সমাজ জীবনের চাহিদার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত করতে হবে।

৪)  পাঠক্রম রচনার সময় শিশুর সামাজিক চাহিদা এবং তার মানসিক বৈশিষ্ট্য এই উভয় দিকের উপর সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

শিক্ষণ পদ্ধতি: ডিউই শিক্ষাকে মনোবিদ্যা সম্মত করারও পক্ষপাতি ছিলেন। তাই তিনি শিক্ষণ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশের সঙ্গে সমতা রেখে রচনা করার কথা বলেছেন। তিনি মানসিক বৈশিষ্ট্যের তারতম্য অনুযায়ী শিশুর জীবনকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন। শিশুর ৪ বছর বয়স থেকে ৮ বছর বয়স পর্যন্ত সময়কালকে তিনি বলেছেন - খেলা প্রাধান্য স্তর। এই সময় শিশুরা পরিবারের মধ্যে থেকে খেলার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে এবং ধীরে ধীরে তাদের এই সক্রিয়তা সামাজিক উপযোগিতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়।  শিশুর ৮ বছর থেকে ১২ বছর বয়স সীমাকে ডিউই নাম দিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্ত মনোযোগের স্তর। এই সময় শিশু তার লক্ষ্য ও উপায়ের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে এবং তাদের মন প্রত্যক্ষ সমস্যা সমাধানের উপযোগী হয়ে ওঠে। শিশুর ১২ বছর বয়সের পরবর্তী জীবন কালকে ডিউই বলেছেন - মননশীল মনোযোগের স্তর। এই বয়সে শিশুরা নিজেরাই নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং সেগুলি তারা নিজেরাই সমাধান করতে পারে। সুতরাং শিশুর এই বৈশিষ্ট্য বিভাজন থেকে দেখা যাচ্ছে, তার প্রথাগত শিক্ষা মূলতঃ সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে হবে।

শিক্ষকের দায়িত্ব: শিক্ষকের দায়িত্ব সম্পর্কে ডিউই  বলেছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীর বন্ধু, সহায়ক এবং যোগ্য নির্দেশকের কাজ করেন। তার উপর কখনোই নিজের প্রভাব প্রত্যক্ষভাবে প্রয়োগ করার চেষ্টা করবেন না।

শিক্ষালয়ের ধারণা: শিক্ষালয় বা বিদ্যালয় সম্পর্কেও ডিউই এর ধারণার মধ্যে অভিনবত্ব ছিল। শিক্ষা তাঁর কাছে ছিল জীবন, শিক্ষা ছিল বিকাশ, শিক্ষা ছিল সমাজ উন্নয়নের প্রক্রিয়া। তিনি শিক্ষার ধারণার মধ্যে ব্যক্তিতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক মতবাদের সমন্বয় ঘটিয়ে ছিলেন। তাই তিনি মনে করতেন সামাজিক অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে হলে, শিক্ষার্থীদের সমাজ অনুরূপ পরিবেশেই সক্রিয় করে তুলতে হবে। তবেই তারা তাদের অভিজ্ঞতার পুনর্গঠনের মাধ্যমে সামাজিক অগ্রগতিতে সহায়তা করতে পারবে।

মন্তব্য: ডিউই এর শিক্ষা চিন্তার মধ্যে আমরা আর চিন্তাশীল মননের একটি নিজস্ব বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই। আধুনিক শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষার প্রায় প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট্যই তাঁর শিক্ষাচিন্তার মধ্যে বর্তমান। তাঁর প্রগতি ধর্মী শিক্ষা চিন্তা ও শিক্ষাদর্শ শিক্ষার সমস্ত দিকে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। ডিউইকে 'শিক্ষার আধুনিক ভাবধারার প্রতীক পুরুষ' বলা হয়ে থাকে।

English version

Discuss John Dewey's contribution to education.

 Introduction: John Dewey's educational thinking has influenced the education system of all countries of the world in the modern age, directly or indirectly.  His teaching philosophy, on the one hand, is organized in harmony with modern democratic societies, and on the other hand it is organized in equilibrium with the development of machinism.  In his philosophy of education we can see the fine combination of these two elements.  Not only did he focus on the theoretical aspects of education, he tried to apply his teaching thinking in an experimental way.  In 7, he established his research school, and applied his educational thinking there.

 Education Philosophy: Dewey's widespread views and democratic protests were very responsive at that time.  He created a one-year relationship between education and life as synonymous with life, and he established a close bond between philosophy and education around life.  In fact, John Dewey has taken on the great responsibility of expanding the course of education governed by idealism, naturalism and other particular religious doctrines.  After Russo, Dewi took a leading role in formulating education, setting curriculum, approaches and administrative management policies, and directing the disclosure of necessary information.

 The goal of education: There can be no lasting truth in life, as no fixed goal can be set in education.  He understands the importance of education work to develop the full, balanced and optimal development of each child's individual inherent potential.  Therefore, he did not mention the enduring goal of education.  In line with the student's lifelong process, he equates the goal of education with more knowledge, more growth, development, more social skills, and more experience and more education from living.  According to him, education is the best development of the student's inherent potential in the social environment, even if there is no specific goal of education.

 Curriculum: The curriculum refers to all types of experiences.  The curriculum will be on the activities that the child will consciously do and the experiences he will gain.  According to him, the curriculum is not the sum of the knowledge imposed on a child by an outsider or organization.  Each child will design the syllabus according to his own interests and inclinations.  For this reason, he did not design specific courses for any level of education.

 Fundamentals of Dewey's curriculum: How many comments are made about the Dewey Curriculum.  The comments are as follows--

 1) In determining the content of the syllabus, he emphasizes on vocational work and handwork.

 2) Appropriate programs should be put in the curriculum to awaken the moral and religious consciousness of the students.

 3) The student's curriculum should be linked to the needs of his / her society.

 4) While designing the syllabus, equal importance should be given to both the social needs of the child and his / her mental characteristics.

 Teaching Method: Dewey was also biased in approving psychology of education.  Therefore, he said that the method of teaching should be in line with the student's mental development.  She divides her child's life into three stages according to her mental characteristics.  He tells the time period of the baby from the age of 4 to the age of 8 - the level of play priority.  During this time, children perform different tasks through play within the family, and gradually their activity becomes associated with socially useful activities.  Dewey has named the baby's age range from 8 years to 12 years as a level of spontaneous attention.  During this time the child can distinguish between his or her goals and ways, and their mind becomes useful in solving direct problems.  Dewey describes the baby's later life as 12 years - the level of meditative attention.  At this age, children can create new problems and solve problems on their own.  Therefore, it is evident from the division of this characteristic of the child, that his formal education will be primarily through problem solving.

 Teacher Responsibility: Dewey says that the teacher acts as a friend of the student, a helpful and competent instructor.  Never try to exert a direct influence on him.

Concept of school: There was a fancy in Dewey's conception of school or school.  Education was with him life, education was development, education was the process of social development.  He was combining individualist and socialist ideologies in the concept of education.  Therefore, he believed that in order to maintain social progress, the students should be active in a similar environment.  Only then  they will be able to help social progress by reconstructing their experiences.

 Comment: In Dewey's teaching thought, we no longer see a distinctive feature of thoughtful thinking.  Almost every feature of modern child-centered education is present in his thinking.  His progress has been able to change the thinking and teaching of religious education in all aspects of education.  Dewey is said to be the 'symbol of the modern spirit of education'.
Read More

Monday, 11 November 2019

Class xi English (wbchse) Nobel Lecture -- Mother Teresa

Leave a Comment
Narrate in your own words the experience of Mother Teresa in an old age home. মাদার টেরেজা একটি  বৃদ্ধাশ্রম পরিদর্শন করে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল তা নিজের ভাষায় লেখ।

Ans:
       Once Mother Teresa had an opportunity  to visit an old age home. She found a lot of old parents without any smile on their face. They all were gazing at the door. Being surprised, Mother asked the sister what the matter was.  Sister replied that they were eagerly waiting for their own sons and daughters. They were hoping that a son or daughter would come to visit them. But in reality, they were completely forgotten. They were really hurt. They would never be able to go back to the mainstream of their family life.

বঙ্গানুবাদ: 

একবার মাদার তেরেসার একটি বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল।  তিনি অনেক বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের মুখে কোনও হাসি ছাড়াই দেখেছিলেন।  তারা সবাই দরজার দিকে তাকিয়ে ছিল।  অবাক হয়ে মাদার বোনকে জিজ্ঞাসা করলেন বিষয়টি কী।  বোন জবাব দিয়েছিল যে তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের নিজেদেরর ছেলে মেয়েদের জন্য।  তারা আশা করেছিল যে কোনও ছেলে বা মেয়ে তাদের সাথে দেখা করতে আসবে।  কিন্তু বাস্তবে, তারা সম্পূর্ণরূপে ভুলে গিয়েছিল।  তারা সত্যিই আহত হয়েছিল।  তারা কখনও তাদের পারিবারিক জীবনের মূলধারায় ফিরে যেতে সক্ষম হবে না।
Read More

11 English (wbchse) Nobel Lecture - Mother Teresa

Leave a Comment
How does Mother Teresa fight against abortion? (মাদার টেরেজা কীভাবে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেন?)

Ans:

Mother Teresa thinks that abortion is the greatest destroyer of peace at present.   Because  a mother is directly involved in killing her child. Hence it may be called a direct war. So, Mother Teresa fights against abortion by adoption. She collects unwanted children from the street, hospital, police station , clinics. She appeals to all not to destroy the children. She shelters them in her Home. Her sisters nurse them with  loving care. Then they are handed to the childless  families.  Mother adopts another method of fighting against abortion. She teaches the beggars, the slum dwellers the necessity of natural family planning. She advises them to practice the natural way of abstaining. She teaches them the temperature meter. 

বঙ্গানুবাদ:

মাদার টেরেজা মনে করেন যে গর্ভপাত হ'ল বর্তমানে শান্তির সর্বশ্রেষ্ঠ ধ্বংসকারী।  কারণ একজন মা তার সন্তানকে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত।  সুতরাং এটিকে সরাসরি যুদ্ধ বলা যেতে পারে।  সুতরাং, মাদার তেরেসা দত্তক নিয়ে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।  তিনি রাস্তা, হাসপাতাল, থানা, ক্লিনিক থেকে অযাচিত বাচ্চাদের সংগ্রহ করেন।  তিনি শিশুদের ধ্বংস না করার জন্য সকলের কাছে আবেদন করেন।  সে তাদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেয়।  তার বোনরা তাদের যত্ন সহকারে যত্ন করে।  তারপরে তাদের নিঃসন্তান পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  মাদার গর্ভপাতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আরেকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন।  তিনি ভিক্ষুকদের শেখায়, বস্তিবাসীদের প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা।  তিনি তাদের বিরত থাকার প্রাকৃতিক উপায়ে অনুশীলন করার পরামর্শ দেন।  তিনি তাদের তাপমাত্রা মিটার শেখায়।
Read More

Friday, 8 November 2019

দর্শন একাদশ শ্রেণী (wbchse) Philosophy class 11

Leave a Comment
লক কিভাবে মুখ্য গুণ ও গৌণগুণের পার্থক্য করেছেন?

উঃ লক জড়বস্তুর দুটি গুণের উল্লেখ করেছেন। যথা - (১) মুখ্য গুণ এবং (২) গৌণ গুণ।

১) মুখ্য গুণ: লকের মতে, যে গুণগুলি প্রকৃতই বস্তুতে বর্তমান থাকে সেই গুণগুলিকে মুখ্য গুণ বলে। মুখ্য গুণগুলি বস্তুগত। যেমন- আকার, আয়তন, গতি, বিস্তৃতি ইত্যাদি।

২) গৌণ গুণ: যে গুণগুলি প্রকৃতপক্ষে বস্তুতে বর্তমান থাকে না অথচ ব্যক্তি মন বস্তুতে আরোপ করে, সেই গুনগুলিকে গৌণগুণ বলে। গৌণ গুণগুলি ব্যক্তিগত বা মনোগত। যেমন- রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, স্বাদ ইত্যাদি।

মুখ্য গুণ ও গৌণ গুণের পার্থক্য: লক মুখ্য গুণ ও গৌণ গুণের পার্থক্যের স্বপক্ষে নিম্নলিখিত যুক্তিগুলি দেখিয়েছেন।

      ১) মুখ্য গুণ বস্তুগত। এগুলি বস্তুর নিজস্ব গুণ। যেমন- আকার, আয়তন, গতি, বিস্তৃতি প্রভৃতি। ইন্দ্রিয়ের সাহায্য ছাড়া মুখ্য গুণগুলি থাকতে পারে। অপরদিকে, গৌণ গুণগুলি হল মনোগত বা ব্যক্তিগত। এগুলি বস্তুর নিজস্ব গুণ নয়। আমাদের ইন্দ্রিয় ছাড়া গৌণ গুণগুলি থাকতে পারে না। যেমন-  জিহ্বা ছাড়া স্বাদ, কর্ণ ছাড়া শব্দ, চক্ষু ছাড়া বর্ণ থাকতে পারে না।

২)  মুখ্য গুণগুলি পরিবর্তনশীল নয়।  কিন্তু, গৌণ গুণগুলি পরিবর্তনশীল। যেমন- একটি গোলাপ ফুলের লাল বর্ণ ও সুগন্ধ আছে। ফুলটি শুকিয়ে গেলেও তার একটি আকার বা বিস্তৃতি অর্থাৎ মুখ্য গুণ বর্তমান থাকে; কিন্তু ফুলটির বর্ণ এবং গন্ধ অর্থাৎ গৌণ গুণ উভয়েই বিনষ্ট হয়ে যায়।

৩) মুখ্য গুণগুলি ব্যক্তিভেদে পৃথক হয় না। যেমন কোন বস্তুর আকার, গতি, বিস্তৃতি প্রভৃতি গুণ সকলের কাছে একই রকম বলে অনুভূত হয়। কিন্তু গৌণ গুণগুলি ব্যক্তিভেদে পৃথক হয়। যেমন- একই খাবার কারো কাছে সুস্বাদু  আবার কারো কাছে বিস্বাদ বলে মনে হয়।

৪) মুখ্য গুণ হলো বস্তুর অবিচ্ছেদ্য গুন। অর্থাৎ, বস্তু থেকে মুখ্য গুণকে কোন ভাবেই বিচ্ছিন্ন করা যায় না। অপরদিকে গৌণ গুণ হল বিচ্ছেদ্য। অর্থাৎ গৌণ গুণকে বস্তু থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন বা বিলুপ্ত করা যায়।

৫)  মুখ্য গুণগুলি পরিমাপ করা যায়। কিন্তু গৌণ গুণগুলি  পরিমাপ করা যায় না।

৬) মুখ্য গুণের ধারণার সঙ্গে বস্তুর ধর্মের সাদৃশ্য বা অনুরূপতা আছে। কিন্তু গৌণ গুণের ধারণার সঙ্গে বস্তুর ধর্মের সাদৃশ্য থাকে না।

<<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>
Read More

বি এ শিক্ষা বিজ্ঞান (গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়) B.A. Education (UGB)

Leave a Comment
প্রশ্ন: শিক্ষা চিন্তায় ঋষি অরবিন্দের ভূমিকা আলোচনা কর

উত্তরঃ

ভূমিকা: ভারতীয় সংস্কৃতি ও সাধনার ক্ষেত্রে ঋষি অরবিন্দ এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। জীবনের বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তিনি জীবনের চরম লক্ষ্যে উপনীত হতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর প্রথাগত শিক্ষার বেশিরভাগ সময়কাল ইংল্যান্ডে কাটে। তাই তিনি ইউরোপীয় ধারণা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন। ভারতবর্ষে ফিরে এসে তিনি বরোদা কলেজে যোগ দেন। বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় তিনি ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। তিনি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনেও জড়িয়ে পড়েন। ১৯১০ সালে তিনি তার রাজনৈতিক কর্মধারা ত্যাগ করে পন্ডিচেরিতে চলে যান এবং পরবর্তী জীবনে সাধনার মাধ্যমে এক সমন্বয়ী মতাদর্শ গঠন করেন। শ্রী অরবিন্দের শিক্ষা চিন্তা, ওই সমন্বয়ী মতাদর্শেরই ফলশ্রুতি। 

শিক্ষার লক্ষ্য: অরবিন্দের শিক্ষা চিন্তার লক্ষ্য ছিল মানবজীবনের দিব্য জ্ঞানের জন্য প্রস্তুত করা, যে শিক্ষা ধারা অনুসরণ করে মানুষ একদিন দিব্য জ্ঞানের অধিকারী হবে। তাঁর মতে, "ব্যক্তি হলো প্রাকৃতিক পরিবেশের বিশ্ব আত্মার সচেতন বিকাশ ও প্রতিফলন" যা মানুষের আধ্যাত্মিক অগ্রগতির উন্নতিতে সাহায্য করবে এবং অতি মানবে পরিনত করবে।

 পাঠ্যক্রম: শ্রী অরবিন্দের শিক্ষা চিন্তায় পাঠক্রম সম্পর্কে নতুন কোন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। কিন্তু পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তু নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ব্যক্তির বিশ্ব চেতনার চারটি বিশেষ দিক আছে। যথা- প্রেম, জ্ঞান, শক্তি ও সৌন্দর্য। অর্থাৎ শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তিসত্তা সংঘটিত হবে, তার দ্বারা তার আত্মা প্রকৃত প্রেমানন্দে আপ্লুত হবে, মন হবে শাশ্বত জ্ঞানের অধিকারী, জীবন শক্তি গতিবান হবে এবং দেহের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং এই জাতীয় বিকাশে সহায়তা করতে হলে শিক্ষার্থীদের চতুর্মুখী অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করতে হবে। তাই চার শ্রেণীর অভিজ্ঞতাকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন--

১) শারীর শিক্ষা যার মাধ্যমে শিশুর দৈহিক বিকাশ হবে; (২) জীবন দায়ী শিক্ষা যার মাধ্যমে শিশুর প্রাক্ষোভিক ও সামাজিক বিকাশ ঘটবে বা তার জীবন শক্তির বিকাশ ঘটবে; (৩) মানসিক শিক্ষা যার মাধ্যমে শিশুর জ্ঞানমূলক বিকাশ হবে এবং (৪) আধ্যাত্মিক শিক্ষা যার মাধ্যমে শিশুর আত্মার বিকাশ ঘটবে। এছাড়া তিনি শিশুর পাঠ্যক্রমের মধ্যে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষপাতি ছিলেন। আশ্রম বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে সংগীত, শিল্পকলা, নাটক, অভিনয় ইত্যাদির মতো কার্যাবলীও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শিক্ষণ পদ্ধতি: ইউরোপীয় শিক্ষণ পদ্ধতিকে অরবিন্দ মনোবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলে মনে করেন নি। শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি কতগুলি নীতির উল্লেখ করেছেন যেগুলি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রথমত, শিক্ষকের কাজ শিক্ষা দেওয়া নয়, কারণ কিছুই শেখানো যায় না। শিক্ষকের কাজ হলো সাহায্য করা বা নির্দেশনা দেওয়া। অর্থাৎ যে শিক্ষণ পদ্ধতি শিক্ষার্থীকে আত্ম শিখনে সহায়তা করবে, তাই হবে আদর্শ পদ্ধতি।

দ্বিতীয়ত, শিক্ষণ পদ্ধতি অবশ্যই মনোবিজ্ঞান সম্মত হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার নিজস্ব প্রকৃতি অনুযায়ী বিকাশের সুযোগ দেবে যে পদ্ধতি তাই হবে আদর্শ শিক্ষন পদ্ধতি।

তৃতীয়ত, শিক্ষনের সময় শিক্ষার্থীকে নিকট থেকে দূরে অথবা জানা থেকে অজানার দিকে পরিচালিত করতে হবে। অর্থাৎ আদর্শ শিক্ষন পদ্ধতি তাকে বলা হবে, যা শিক্ষার্থীর বর্তমান কৃষ্টিমূলক অভিজ্ঞতাকে উপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে রচিত হবে।

শিক্ষকের দায়িত্ব: শ্রী অরবিন্দ তাঁর শিক্ষা চিন্তায়, শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। শিক্ষক নির্দেশদাতা হবেন না, তিনি সহায়ক ও নির্দেশকের ভূমিকা গ্রহণ করবেন। শিক্ষকের কাজ হল শিক্ষার্থীদের কাছে কোন কিছু প্রস্তাব করা; তাদের ওপর জোর করে তাঁর নিজের ধ্যান-ধারণা চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষকের দায়িত্ব নয়। নিজের মন ও ইন্দ্রিয়গুলিকে কিভাবে জ্ঞান আহরণের জন্য প্রস্তুত করতে হয়, তাই শিক্ষক শিক্ষার্থী জানাবেন, প্রত্যক্ষভাবে জ্ঞান সরবরাহ করবেন না। অরবিন্দের মতে, "শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকের কাজ হল শিক্ষার্থীদের কৌশল দিয়ে সাহায্য করা, যে কৌশলগুলি প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই জ্ঞান আহরণ করতে সক্ষম হয়।"

মন্তব্য: শ্রী অরবিন্দের শিক্ষানীতি পরিপূর্ণভাবে পরীক্ষামূলক স্তর অতিক্রম করেছে, একথা বলা যায় না। শিক্ষা সম্পর্কে তার ধারণা ও আধুনিক পাশ্চাত্য ধারনার মধ্যে বিশেষ বিরোধ নেই। পাশ্চাত্য শিক্ষার নীতির মধ্যে যে ত্রুটি ও বৈপরীত্য আছে, সেগুলি দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই অর্থে শ্রী অরবিন্দের শিক্ষা চিন্তা, আধুনিক শিক্ষা সম্পর্কিত ধারণার পরিপূরক।

Translation

Question: Discuss the role of Rishi Aurobindo in education thought.

Ans:

 Introduction: Sage Aurobindo is an unforgettable personality in the Indian culture and pursuit.  Through many different experiences in life, he was able to reach the ultimate goal of life.  Most of his formal education was spent in England.  So he was quite aware of European ideas.  Returning to India, he joined Baroda College.  He got his etymology in several Indian languages.  He was also involved in the partition of Bengal.  In 1910, he abandoned his political career and moved to Pondicherry, and in later life pursued a cohesive ideology.  The thought of Sri Aurobindo's education is the result of that cohesive ideology.

 Purpose of education: The aim of Aurobindo's education thought was to prepare for the cognition of human life, that following the education system, people will one day possess the knowledge of Divya.  According to him, "the person is the conscious development and reflection of the world spirit of the natural environment" which will help to improve the spiritual progress of the people and result in greater respect.

  Curriculum: There is no new explanation for the curriculum in Sri Aurobindo's educational thinking.  But he has expressed his views on choosing the content of the curriculum.  He says there are four special aspects of a person's world consciousness.  Namely - love, knowledge, energy and beauty.  That is, through education, individuality will take place, by which his soul will be implanted in true love, the mind will possess eternal knowledge, the life force will be accelerated and the beauty of the body will be increased.  So, to help with this national development, the students will have to experience the quadrilateral.  So it is important to include four classes of experience -

 1) physical education through which the child will develop physically;  (2) life-long education through which the child's retrospective and social development develops or his life force develops;  (3) the mental education through which the child's cognitive development will develop and (3) the spiritual education through which the child's soul develops.  In addition, he was biased to include vocational training in the child's curriculum.  The functions of music, art, drama, acting etc. are also included in the curriculum of the Ashram school.

 Teaching Methods: Aurobindo did not consider the European teaching method to be a psychological method.  He outlined several principles about the education system that are particularly important.

 First, the teacher's job is not to teach, because nothing can be taught.  The teacher's job is to help or to instruct.  That is, the teaching method that will assist the student in self-learning, would be the ideal method.

 Second, the teaching methodology must agree with psychology.  That will give each student the opportunity to develop according to his or her own nature.

 Thirdly, during the course of teaching, the student has to be drawn from near or unknown to unknown.  That is, he will be called the ideal teaching method, which will be tailored to the student's current agricultural experience.

 Teacher's Responsibility: Shri Aurobindo mentioned in his thought, teaching and responsibilities of the teacher.  The teacher will not be a mentor, he will assume the role of assistant and mentor.  The teacher's job is to offer something to the students;  It is not the responsibility of the teacher to force his own meditation on them.  How to prepare your mind and senses for the acquisition of knowledge, so the teacher will inform the students, do not provide knowledge directly.  According to Aurobindo, "the task of the teacher in the field is to help the students through the techniques, by applying the techniques that the students are able to draw on their own knowledge."

 Comment: It cannot be said that Sri Aurobindo's education policy has completely crossed the experimental level.  There is no special conflict between his ideas about education and the modern Western ideas.  Efforts have been made to eliminate the flaws and contradictions in Western education policy.  In this sense, Sri Aurobindo's education is complementary to the thinking of modern education.

<<<<<<<<>>>>>>>>
Read More

B. A. Education (Gour Banga University) বি. এ. শিক্ষা বিজ্ঞান (গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়)

Leave a Comment
প্রশ্ন: শিক্ষা চিন্তায় রবীন্দ্রনাথের অবদান মূল্যায়ন কর।

উঃ

ভূমিকা: রবীন্দ্রনাথ মূলত কবি। কিন্তু মানব জীবনের এমন কোন অভিজ্ঞতা নেই, যাকে তাঁর চিন্তার ছোঁয়া স্পর্শ করতে পারেনি। পাশ্চাত্য সভ্যতার, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভারতীয় আধ্যাত্মবাদের সার্থক সমন্বয় ঘটেছিল ঠাকুর পরিবারে। এই প্রভাব শৈশবেই রবীন্দ্রনাথের উপর পড়েছিল। তাছাড়া শৈশবকালে বিদ্যালয় সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং তার পারিবারিক প্রভাবে গঠিত জীবন দর্শন, পরবর্তীকালে তাঁর শিক্ষা চিন্তা কে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিল।
রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শ: রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন ভারতীয় উপনিষদের আদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন সমস্ত সৃষ্টির মূলে আছে সর্বব্যাপী আধ্যাত্মিক শক্তি। এই শক্তি বিশ্বজগতে সতত প্রকাশমান। একে তিনি বলেন বিশ্বচেতনা। রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শের মূল কথা হলো বিশ্ব বৈচিত্রের মধ্যে এক আধ্যাত্মিক শক্তি বিরাজমান। বহু বৈচিত্রের মাঝে এই শক্তির ঐক্যের যে নিয়ম, সেই নিয়মকে জেনে, আনন্দরূপে তাকে লাভ করাই মানুষের জীবনের লক্ষ্য ও সাধনা। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শ তাঁর এই দার্শনিক বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত। শিক্ষার আদর্শগত দিক নির্ধারণের জন্য তিনি ভাববাদী দর্শনের উপর নির্ভর করেছেন। তিনি বলেছেন, 'তাকেই শ্রেষ্ঠ শিক্ষা বলি, যা কেবল তথ্য পরিবেশন করে না, * তিনি শিক্ষাকে বাস্তবায়িত করার কথা চিন্তা করে বিশেষধর্মী কতগুলি উদ্দেশ্য বেছে নিয়েছিলেন। তাই তিনি বলেছেন, শিক্ষার বিশেষ ধর্মী উদ্দেশ্য হবে -

   ১) শিক্ষার্থীর জীবন বিকাশে সহায়তা করা।

  ২) শিক্ষার্থীর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি জাগিয়ে তুলতে সহায়তা করা, যার সাহায্যে শিক্ষার্থী বিশ্বের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করবে।

  ৩) শিক্ষার্থীর মনে ধর্মীয় মনোভাব জাগ্রত করা।

 ৪) শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক গুণ বিকাশে সহায়তা করা।

      রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন ব্যক্তিজীবনে পূর্বোক্ত উদ্দেশ্যগুলি চরিতার্থ হলে তবেই শিক্ষার প্রকৃত লক্ষে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই উদ্দেশ্যগুলি চরিতার্থ করার মাধ্যমে জীবনাদর্শ গড়ে ওঠে।

  পাঠ্যক্রম: রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিক্ষাদর্শের উপর ভিত্তি করে পাঠক্রম সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা শুরু। তিনি পাঠক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সামনে সংস্কৃতির পূর্ণরূপ তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তিনি বিদ্যালয়কে মানব সংস্কৃতির অনুশীলনের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। এইজন্য তিনি তার প্রস্তাবিত পাঠ্যক্রমের মধ্যে ভাষা, সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, শিল্পকলা, সংগীত, নৃত্য, পল্লী উন্নয়ন মূলক কাজ এবং অন্যান্য সামাজিক কর্মসূচিকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। ভাষা শিক্ষার ব্যাপারে তাঁর মতামত ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি মাতৃভাষা শিক্ষার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বিজ্ঞান আধুনিক সভ্যতার ভিত্তি, একথা স্বীকার করেও রবীন্দ্রনাথ উপলব্ধি করেছিলেন, মানুষের আত্মিক শক্তির বিকাশ করতে হলে বিজ্ঞানের সঙ্গে দার্শনিক আদর্শের সমন্বয় ঘটানো প্রয়োজন।

শিক্ষণ পদ্ধতি: রবীন্দ্রনাথ গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করতেন শিক্ষণ পদ্ধতি পরিস্থিতিভেদে বিভিন্ন রকম হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে শিক্ষণ সম্বন্ধে তিনি তিনটি নীতি অনুসরণ করার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।

    প্রথমত, শিক্ষণ হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন পরিবেশে। অর্থাৎ যে কোনো শিক্ষণ পদ্ধতি গ্রহণ করা হোক না কেন, তাতে যেন শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে। তিনি স্বাধীনতা বলতে স্বেচ্ছাচারকে মেনে নেন নি। তাঁর কাছে স্বাধীনতার অর্থ  আত্মকর্তৃত্ব। পূর্ণ স্বাধীনতার মধ্যে শিক্ষার্থী নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার অর্জন করলেই তার শিক্ষা সার্থক হবে।

দ্বিতীয়ত, আত্মকর্তৃত্বের প্রধান লক্ষণ হলো সৃজন। স্বাধীন মনোভাব থেকে সৃজন প্রতিভার বিকাশ হয়। অভিনয়, সংগীত ও হাতের কাজের উপর তাই তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

তৃতীয়ত, প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তিনি শিক্ষাদানের কথা বলেছেন। মানুষের জন্ম বিশ্ব প্রকৃতি ও মানব সমাজের মধ্যে। রবীন্দ্রনাথ এই দুই উপাদানকে শিক্ষাদানের অপরিহার্য অঙ্গ হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন। 

   শিক্ষক: রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা চিন্তায় শিক্ষকের ব্যক্তিত্বের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন শিক্ষক সম্পূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি অপরিহার্য অঙ্গ। তিনি বলেছেন শিক্ষকের সেবামূলক মনোভাব থাকা একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্কও আদর্শস্থানীয় দরকার। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক ছাড়া শিক্ষার কাজ চলতে পারে না। তাই শিক্ষককে শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁর কর্তব্য পালনের পরামর্শ দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।

   মন্তব্য: রবীন্দ্রনাথ তাঁর শিক্ষা সম্পর্কিত ধারণাগুলিকে শুধুমাত্র তাত্ত্বিক আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। তাই নীতিগুলি কে প্রয়োগ করার জন্য  ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম স্থাপন করেন। প্রাচীন ভারতীয় কৃষ্টির প্রতি আস্থা এবং নিজস্ব চিন্তার ফসল এই বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেছেন - "আমার একান্ত ইচ্ছা ছিল যে, এখানকার এই প্রভাতের আলো, শ্যামল প্রান্তর যেন শিশুদের চিত্ত স্পর্শ করতে পারে।" বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা চিন্তায় প্রাচীন ও নবীন, ব্যক্তি ও সমাজ, তত্ব ও কর্ম সবকিছুর মধ্যে এক সার্থক সমন্বয় ঘটেছিল।

Translation

Question: Evaluate Rabindranath's contribution to education thought.

 Introduction: Rabindranath is originally a poet.  But there is no experience of human life that could not be touched by his thoughts.  Western civilization, scientific perspectives and Indian spiritualism were the perfect combination of the Thakur family.  This influence came on Rabindranath in his childhood.  Moreover, his personal experiences about school during childhood and his family-influenced life philosophy, especially his later education, influenced him.

 Rabindranath's teachings: Rabindranath was influenced by the ideals of the ancient Indian colonies.  He believed that at the root of all creation is the universal spiritual power.  This power is ever-present in the world.  He called it world-consciousness.  The essence of Rabindranath's vision is that there is a spiritual power inherent in world diversity.  Knowing the rules of the unity of this energy among many variations, the goal and pursuit of human life is to achieve it individually.  Rabindranath's teachings were influenced by his philosophical beliefs.  He relied on the prophet's philosophy to determine the normative aspects of education.  He says, 'I call him the best education, which does not only serve information, * he has chosen a number of motives, especially as he thinks of implementing education.  So he says education will have a special religious purpose -

 1) To help develop the student's life.

 2) To help the student to awaken the scientific viewpoint with which the student will try to unravel the mystery of the world.

 3) To raise religious attitude in the mind of the student.

      4) To help the student develop various social qualities.

  Rabindranath believed that it was possible to achieve the true goals of education only if the aforementioned objectives were attainable in the individual's life.  He believed that by attaining these motives, life-forms developed.

 Curriculum: Rabindranath started thinking about the syllabus based on his teachings.  He wanted to highlight the culture in front of the students through the curriculum.  He regarded the school as a field of practice in human culture.  For this reason he wanted to include language, literature, philosophy, science, art, music, dance, rural development work and other social programs in his proposed curriculum.  His views on language education were significant.  He placed the most emphasis on mother tongue education.  Although Rabindranath acknowledged that science is the foundation of modern civilization, philosophical ideals need to be aligned with science in order to develop human spiritual power.

 Teaching Methods: Rabindranath criticizes traditional teaching methods.  He believed that teaching methods should be varied depending on the situation.  However, he specifically mentioned three principles for teaching.

     First, teaching will take place in a completely independent environment.  That is, whatever teaching method is adopted, the students have the opportunity to work independently.  He did not accept freedom of speech.  To him freedom means self-esteem.  Only if the student gains the right to control his or her mind in complete independence will his education be worthwhile.

 Second, creation is one of the main signs of self-realization.  From an independent attitude, the talent of creation is developed.  He emphasized on acting, music and hand work.

 Thirdly, he speaks of teaching by maintaining contact with the natural and social environment.  Humans are born into the world of nature and human society.  Rabindranath considered these two elements as essential components of education.

    Teacher: Rabindranath has placed special emphasis on the personality of the teacher in the thinking of education.  He believed that teachers were an essential part of the entire education system.  He says it is important to have a teacher's service attitude.  The teacher's relationship with the student is also exemplary.  Rabindranath believed that education could not continue without mutual respect.  Therefore, Rabindranath advised the teacher to perform his duties with respect and devotion.
    
Comment: Rabindranath did not confine his ideas of education to theoretical discussions.  Therefore, in order to apply the principles, he set up a Brahmacharyasam at Santiniketan in 1901.  Trusting in ancient Indian agriculture and cultivating its own thoughts, this school is.  Explaining the purpose of the school, he said - "I only wished that the light of this dawn, the shimmering area, could touch the hearts of children."  The thought of Rabindranath's teachings in the Vishvabharati was a perfect combination of all things, old and new, person and society, principle and action.
       <<<<<<<<>>>>>>>
Read More

Wednesday, 6 November 2019

HS English (wbchse) Shall I Compare Thee to a Summer's Day -- William Shakespeare

Leave a Comment
" ....... and this gives life to thee." --- what does 'this' refer to? Who is referred to by 'thee'? How does 'this' give life? এখানে 'this' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?  'thee' বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? কিভাবে 'this' জীবন দান করে?

Ans. Here 'this' refers to the sonnet No.18 composed by William Shakespeare.

In sonnet No.  18, 'thee' refers to the the poet's dear friend Mr. W.H., who is supposed to be the Earl of Southampton.

 In sonnet No.18, Shakespeare wants to compare his dear friend to the beauty of a summer's day. He thinks that his friend is lovelier and more gentle than the summer. During summer, rough winds shake  the darling buds of May. The sun shines brightly and sometimes goes behind the clouds. Finally the summer fades.  But his dear friend   enjoys eternal summer. So, the poet hesitates to compare his friend to a summer's day. He is sure that his friend will live forever through the eternal lines of his poetry.

বঙ্গানুবাদ:

উওর।  এখানে 'এটি' বলতে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রচিত সনেট নং -১৮ বোঝায়।

 18 নং সনেটে 'তুমি' কবির প্রিয় বন্ধু মিঃ ডব্লিউ এইচকে বোঝায়, যিনি সাউদাম্পটনের আর্ল বলে মনে করা হয়।

  সনেট নং -১৮-এ, শেক্সপিয়ার তার প্রিয় বন্ধুকে গ্রীষ্মের দিনের সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করতে চায়।  তিনি ভাবেন যে তার বন্ধু গ্রীষ্মের চেয়ে সুন্দর এবং বেশি শান্ত।  গ্রীষ্মের সময়, রুক্ষ বাতাস মে মাসের প্রিয় কুঁড়িগুলিকে কাঁপায়।  সূর্য উজ্জ্বলভাবে আলোকিত করে এবং কখনও কখনও মেঘের পিছনে যায়।  অবশেষে গ্রীষ্ম বিবর্ণ।  তবে তার প্রিয় বন্ধুটি চির গ্রীষ্ম উপভোগ করে।  সুতরাং, কবি গ্রীষ্মের দিনের সাথে তার বন্ধুর তুলনা করতে দ্বিধা করেন।  তিনি নিশ্চিত যে তাঁর বন্ধু তাঁর কবিতার চিরন্তন লাইনের মধ্য দিয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে।

Read More

HS ENGLISH (WBCHSE) Shall I Compare thee to a Summer's Day William Shakespeare

Leave a Comment
How does Shakespeare immortalize his friends beauty? কিভাবে সেক্সপিয়র তার বন্ধুর সৌন্দর্যকে অমরত্ব দান করেছেন?

Ans: In sonnet No.18, Shakespeare wants to compare his dear friend to the beauty of a summer's day. He thinks that his friend is lovelier and more gentle than the summer. During summer, rough winds shake  the darling buds of May. The sun shines brightly and sometimes goes behind the clouds. Finally the summer fades.  But his dear friend   enjoys eternal summer. So, the poet hesitates to compare his friend to a summer's day. He is sure that his friend will live forever through the eternal lines of his poetry.

বঙ্গানুবাদ: 

সনেট নং -১৮-এ, শেক্সপিয়ার তার প্রিয় বন্ধুকে গ্রীষ্মের দিনের সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করতে চায়।  তিনি ভাবেন যে তার বন্ধু গ্রীষ্মের চেয়ে সুন্দর এবং বেশি শান্ত।  গ্রীষ্মের সময়, রুক্ষ বাতাস মে মাসের প্রিয় কুঁড়িগুলিকে কাঁপায়।  সূর্য উজ্জ্বলভাবে আলোকিত করে এবং কখনও কখনও মেঘের পিছনে যায়।  অবশেষে গ্রীষ্ম বিবর্ণ।  তবে তার প্রিয় বন্ধুটি চির গ্রীষ্ম উপভোগ করে।  সুতরাং, কবি গ্রীষ্মের দিনের সাথে তার বন্ধুর তুলনা করতে দ্বিধা করেন।  তিনি নিশ্চিত যে তাঁর বন্ধু তাঁর কবিতার চিরন্তন লাইনের মধ্য দিয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে।
Read More

HS English (wbchse) The poetry of Earth ---- John Keats

Leave a Comment
Question: Identify the voices of the poetry in the poem " The Poetry of Earth" . How does Keats establish continuity through these voices? "দি পোয়েট্রি অফ আর্থ" কবিতায় গানের সুরগুলি চিহ্নিত কর। কিটস কিভাবে এই সুরগুলির মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা করেছেন?

Ans:    In the poem "The poetry of Earth", the voices of poetry are the voice of the  birds, the Grasshopper and the Cricket.

  In summer, the birds feel tired by the scorching heat of the sun. Then they take rest in the cool shadow of trees. But music of summer cannot be stopped. The grasshopper takes the lead by singing delightfully. It seems his delights never come to an end. when he gets tired, he takes rest beneath some pleasant weed. Then the cricket carries the music in winter. The song of the cricket introduces warmth in the forest. In this way, Keats establishes the continuity of nature's music through these voices. 

বঙ্গানুবাদ: 
উত্তর: "পৃথিবীর কবিতা" কবিতায় গানের সুরগুলি হ'ল পাখি,  ঘাসফড়িং এবং ঝিঁঝিঁপোকার সুর।

 গ্রীষ্মে, সূর্যের জ্বলন্ত উত্তাপে পাখিরা ক্লান্ত বোধ করে।  তারপরে তারা গাছের শীতল ছায়ায় বিশ্রাম নেয়।  তবে গ্রীষ্মের সংগীত থামানো যায় না।  ঘাস ফড়িং আনন্দে গান করে নেতৃত্ব দেয়।  মনে হয় তাঁর আনন্দ কখনও শেষ হয় নি।  যখন সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন সে কিছু মনোরম আগাছার নীচে বিশ্রাম নেয়।  তারপরে শীতকালে ঝিঁঝিঁ পোকা সঙ্গীত বহন করে।  ঝিঁঝিঁপোকার গান বনে উষ্ণতার পরিচয় দেয়।  এইভাবে, কিটস এই কণ্ঠস্বরগুলির মাধ্যমে প্রকৃতির সংগীতের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা করে।
Read More

বি এ তৃতীয় বর্ষ ( গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রশ্নোত্তর question and answer of education

Leave a Comment
 প্রশ্ন: পরিমাপ ও মূল্যায়ন এর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর।
উঃ ভূমিকা: শিক্ষকের উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত শিখন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা। শিক্ষা এবং শিখন হল দুটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মধ্যে কিছু পরিবর্তন আসে। পরিবর্তন যেভাবেই হোক না কেন, তার গতি, প্রকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানা শিক্ষকের পক্ষে একান্ত প্রয়োজনীয়। এই পরিবর্তনগুলি জানার কৌশল গুলির মধ্যে অন্যতম হল মূল্যায়ন ও পরিমাপ।

মূল্যায়ন: কোন ব্যক্তি-বিষয়ের পরিমাণগত ও গুণগত মূল্য নির্ধারণ বা বিচার করার প্রক্রিয়া হল মূল্যায়ন।
পরিমাপ: শিক্ষার্থীর মানসিক ক্ষমতা ও অর্জিত শিক্ষাগত জ্ঞানের পরিমাপ নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও পরিমাপ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কোন নির্দিষ্ট নিয়মানুযায়ী কোন বিষয়বস্তুর সংখ্যাগত মান নির্দেশ করাই হল পরিমাপ।

পরিমাপ ও মূল্যায়ন এর পার্থক্য: 

১) পরিমাপের পরিধি সংকীর্ণ। কিন্তু মূল্যায়নের পরিধি ব্যাপক।

২) পরিমাপ একটি তাৎক্ষণিক ও সমসাময়িক প্রক্রিয়া কিন্তু মূল্যায়ন একটি অবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া।

৩) পরিমাপে শিক্ষার্থীর ক্রমোন্নতি ও এর হার নির্ণয় করার পরিবর্তে অবস্থা নির্ণয় করা হয়ে থাকে। কিন্তু মূল্যায়নে শিক্ষার্থীর শুধুমাত্র ক্রমোন্নতি ও হার নির্ণয় করা যায়।

৪) পরিমাপে শিক্ষার্থীর কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্যের বিকাশের কেবলমাত্র পরিমাণগত দিকের বিচার প্রাধান্য পায়। কিন্তু মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের সকল বৈশিষ্ট্যের বিকাশের পরিমাণগত ও গুণগত উভয় দিকের বিচারই প্রাধান্য পেয়ে থাকে।

৫) পরিমাপ একটি সহজ প্রক্রিয়া এবং শিক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু মূল্যায়ন অপেক্ষাকৃত জটিল এবং সকলের সহযোগিতা অপরিহার্য্য।

৬) পরিমাপের প্রকাশিত ব্যক্তির কোন বৈশিষ্ট্যের পরিমাপ শিক্ষকদের দিক থেকে তাৎপর্য হবে কিনা বলা যায় না। কিন্তু মূল্যায়ন প্রক্রিয়া উদ্দেশ্যমুখীনতা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতনতা নিহিত থাকায় মূল্যায়ন প্রাপ্ত পরিমাপের উপর শিক্ষকদের পক্ষে মূল্যমান আরোপ করার সুযোগ থাকে।

৭) পরিমাপে শিক্ষার্থীর প্রধানত শিক্ষাগত দিক বিবেচনা করা হয়। কিন্তু মূল্যায়নে শিক্ষার্থীর শারীরিক,মানসিক, শিক্ষাগত, সামাজিক ইত্যাদি দিক বিবেচনা করা হয়।

মন্তব্য: পরিশেষে বলা যায় উপরোক্ত পার্থক্য সমূহের প্রেক্ষিতে শিক্ষায় মূল্যায়ন পরিমাপ থেকে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ, অনেক বেশি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, অনেক পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী গুনাধার এবং অনেক বেশি শিক্ষার উদ্দেশ্যমুখী অবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া হিসাবে গৃহীত হয়ে থাকে।

Translation

Question: Calculate the difference between measurement and evaluation.

 Ans.

  Introduction: The purpose of the teacher is to help the student's personal learning process.  Education and learning are the two processes by which some changes occur within the learner.  Whatever the change, it is absolutely necessary for the teacher to know the speed, nature, extent, and so on.  One of the strategies to know these changes is to evaluate and measure them.


 Evaluation: Evaluation is the process of determining or judging the quantitative and qualitative value of a person.

 Measurement: The term measurement is also used in determining the measurement of a student's mental ability and acquired academic knowledge.  The measure is to indicate the numerical value of a subject according to a certain rule.



 Differences in measurement and evaluation:

 1) The magnitude of the measurement is narrow.  But the magnitude of the assessment is wide.

2) Measurement is an immediate and contemporary process but evaluation is a continuous process.

3) The measure is used to determine the progress of the student and the rate rather than the rate.  But in the assessment only the progress and rate of the student can be determined.

4) Measuring only the quantitative aspects of the development of a particular trait of the student takes precedence.  But in the evaluation, both quantitative and qualitative aspects of the development of all the traits of the student are preferred.

 5) Measurement is a simple process and does not require the cooperation of all involved in education.  But evaluation is relatively complex and collaboration of all is essential.


6) It is not possible to say whether any measure of the person who published the measure would be of importance to the teacher.  But due to lack of awareness of the purpose and purpose of the evaluation process, teachers have the opportunity to impose value on the measurements received.

7) In the measure, the main aspect of the student is taken into consideration.  But in the assessment, the physical, mental, educational, social, etc. aspects are taken into consideration.


 Comment: Finally, in the context of the above differences, assessment in education is far more important than measurement, much more characteristic, indicative of many changes, and much more accepted as an uninterrupted process of learning.

Read More

বি এ তৃতীয় বর্ষের (গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষা বিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন ও উত্তর

Leave a Comment
প্রশ্ন: রচনাধর্মী পরীক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ। রচনাধর্মী পরীক্ষার সংস্কার কিভাবে করা যায়?

উঃ
      ভূমিকা: সুস্পষ্ট উদ্দেশ্যের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর সময়ব্যাপী প্রশিক্ষণের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হওয়াকে বলা হয় পারদর্শিতা। আর এই পরিমাপের কৌশলকে বলে পারদর্শিতার অভীক্ষা। পারদর্শিতার অভীক্ষগুলি শিক্ষক নির্মিত হয়। এই অভিক্ষা কখনও লিখিত কখনও মৌখিক হয়ে থাকে। লিখিত পরীক্ষার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল রচনাধর্মী পরীক্ষা।

     রচনাধর্মী পরীক্ষা: রচনাধর্মী পরীক্ষা হল এমন এক ধরনের লিখিত পরীক্ষা যার মধ্যে রচনা বা প্রবন্ধ লেখার প্রবণতা ও প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্ন পত্র রচনা করা হয় এবং সেই রচনাধর্মী প্রশ্নের প্রবন্ধ বা রচনানির্ভর উত্তর লিখনকে মূল্যায়ন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

      রচনাধর্মী পরীক্ষার বৈশিষ্ট্য: রচনাধর্মী পরীক্ষার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি নিম্নরূপ -

  ১) নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ শিক্ষাকালকে গুরুত্ব দিয়ে  পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, শিক্ষার্থীর শিখন ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে নয়।

  ২) এই পরীক্ষা সাধারণত শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবিষয় কেন্দ্রিক জ্ঞান পরিমাপ করার চেষ্টা করা হয়। শিক্ষার্থীদের শিখনের মাধ্যমে পরিমাপ করার চেষ্টা করা হয়।

  ৩) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে খুব সীমিত সংখ্যক প্রশ্ন থাকে এবং তার মধ্যেও পরীক্ষার্থীকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়। হয়তো আটটি প্রশ্ন দিয়ে পাঁচটি লিখতে বলা হয়। অনেক সময় বিশেষ বিশেষ প্রশ্নের সঙ্গেও বিকল্প প্রশ্ন থাকে।

  ৪) প্রদত্ত প্রশ্নগুলির উত্তরে, পরীক্ষার্থীকে এক একটি করে প্রবন্ধ রচনা করতে হয়।

  ৫) এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা এবং চিন্তন ক্ষমতার বিকাশ ঘটে।

  ৬) এই পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভাষা মূলক জ্ঞান ও ভাষা ব্যবহারের দক্ষতার বিকাশ ঘটে।

 ৭) রচনাধর্মী পরীক্ষার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি সময়সীমা আগে থেকে ঠিক করা থাকে। শিক্ষার্থীকে সেই সময়ের মধ্যে সবকয়টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়।

  ৮) রচনাধর্মী পরীক্ষা হল এক ধরনের শিক্ষক নির্মিত অভিক্ষা।

   রচনাধর্মী পরীক্ষার সংস্কার সাধন: শিক্ষাবিদগণ রচনাধর্মী পরীক্ষার সংস্কারের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

  ১) এই পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রশ্নপত্র রচনার পূর্বে পরীক্ষক বা শিক্ষক নির্দিষ্ট বিষয় পাঠের উদ্দেশ্যগুলি নির্ধারণ করবেন।

  ২) প্রশ্নপত্রের প্রশ্নের সংখ্যা যত বেশি হবে পরিমাপের নির্ভরযোগ্যতা তত বেশি বাড়বে। তবে সময়সীমার কথা চিন্তা করে রচনাধর্মী পরীক্ষায় খুব বেশি সংখ্যক প্রশ্ন দেওয়া সম্ভব নয়।

  ৩) পরিমাপের নির্ভরযোগ্যতার বৃদ্ধির জন্য প্রশ্নপত্রে প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা দরকার। এমন প্রশ্ন করা হবে না যার উত্তর আংশিকভাবে অন্য প্রশ্নের উত্তরের সঙ্গে মিলে যায়।

  ৪) প্রশ্নের ভাষা সাধারণ পরীক্ষার্থীদের বোধগম্য হওয়া উচিত এবং বিশেষধর্মী হওয়া উচিত। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের ভাষা বুঝতে পারে না বলে, জানা সত্ত্বেও উত্তর লিখতে পারে না। তাই প্রশ্নের ভাষা সহজ ও সরল হওয়া দরকার।

  ৫) রচনাধর্মী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রচনার সঙ্গে উত্তরের মান নির্ণয়ের পদ্ধতিটি যদি ঠিক করা যায়, তাহলে এর অনেক ত্রুটি দূর  দূর হয়।

  ৬) রচনাধর্মী পরীক্ষাকে পরীক্ষকের ব্যক্তিগত প্রভাব মুক্ত করার জন্য উত্তরপত্র একজন পরীক্ষককে দিয়ে বিচার না করিয়ে অন্ততঃপক্ষে দুইজন পরীক্ষককে দিয়ে বিচার করানো উচিত।

  ৭) পরীক্ষার্থীদের উত্তর বিচার করার সময় পরীক্ষকরা যদি এক একটি প্রশ্নের উত্তর পর্যায়ক্রমে সকলের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে বিচার করেন, তাহলে রচনাধর্মী পরীক্ষার ফলাফলের স্থিরতা বৃদ্ধি পায়।

  ৮) এই পরীক্ষা ব্যবস্থায় সংখ্যাগত মান নানা রকমের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এবং তা সব সময় তুলনাযোগ্য নয়। এই ত্রুটি দূর করার জন্য সংখ্যাগত মানের পরিবর্তে গুনগত মান অক্ষর মান দেওয়ার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

  মন্তব্য: রচনাধর্মী প্রশ্নের উন্নতিসাধন করতে হলে, অভীক্ষাপদ নির্বাচনের সময় উপরিউক্ত নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে, রচনাধর্মী প্রশ্নের অনেক ত্রুটি, বিশেষভাবে তাদের নৈর্ব্যক্তিকতার অভাব দূর করা সম্ভব হবে।

Translation

Q: Write the characteristics of the compositional test.  How to reform the compositional test?



 A.

       Introduction: After periodic training on a specific subject in the context of a clear objective, the skill is called the implementation of that objective among the students.  And this is the measurement technique called observational study.  Expertise studies are created by teachers.  This practice is sometimes written and sometimes verbal.  Among the written tests is the compositional test.



      Compositional Examination: Compositional Examination is a type of written examination in which a question paper is taken to emphasize the tendency and necessity of writing an essay or essay, and arrangements are made to evaluate the essay or compositional answer to that compositional question.



       Characteristics of Compositional Examination: The main main features of the composing test are as follows:



   1) This test is taken at certain intervals.  That is, the decision is taken to take the exam seriously, not in terms of the learning ability of the student.



   2) This test is usually an attempt to measure students' central knowledge of the subject.  The learners try to measure through learning.



   3) Examination question paper has a very limited number of questions and in it the examiner is given the opportunity of selection.  Maybe asked to write five with eight questions.  Sometimes there are alternative questions with special questions.



   4) In answer to the given questions, the examiner has to write essays one by one.



   5) Through this test the student's creativity and thinking ability develops.



   6) Through this test, the learner develops language knowledge and language use skills.



  7) A certain timeframe is set in advance for compositional examination.  The student has to answer all the questions in that period.



   8) Writing tests is a kind of teacher-created practice.



    Improving Compositional Examination: Academics have suggested the following steps for reforming the compositions exam.



   1) Before writing the question paper for taking this test, the examiner or teacher will determine the objectives of the specific subject lesson.



   2) The higher the number of question papers, the higher the reliability of the measurement will be.  However, considering the timeframe, it is not possible to give too many questions in compositional tests.



   3) In order to increase the reliability of the measurements, it is necessary to stop repeating the question in the question paper.  There will be no question whose answer partially matches the answer of the other question.



   4) The language of the question should be understandable to the general examiner and should be special.  Many times students do not understand the language of the question, but do not write answers despite knowing.  Therefore, the language of the question needs to be simple and straightforward.



   5) If the method of determining the answer can be corrected with the composition of the written test paper, many of its errors are eliminated.



   6) The written test should be done by at least two testers, not by judging one examiner to release the personal effects of the exam.



   7) While examining the answers of the examiners, if the examiner compares the answers to one question in a comparative manner to all others, then the stability of the results of the compositional tests increases.



   8) The numerical values ​​in this test system cause many confusion and are not always comparable.  To eliminate this error, we need to introduce qualitative character instead of numeric values.



   Note: In order to improve the compositional question, the above rules should be followed during the presidential election.  Following these rules, it will be possible to overcome many of the shortcomings of the compositional questions, especially their lack of objectivity.

 <<<<<<<<<< >>>>>>>>>

<<<<<<<<<<>>>>>>>>>
Read More

Sunday, 3 November 2019

HS (wbchse) Philosophy Question & Answer

Leave a Comment
মন্দ উপমা দোষ ব্যাখ্যা ও বিচার কর।
উঃ

মন্দ উপমা যুক্তি বা দুষ্ট উপমা যুক্তি বা ভ্রান্ত সাদৃশ্যমূলক দোষ: দুটি বস্তু বা ব্যক্তি বা ঘটনার মধ্যে কিছু বিষয়ে সাদৃশ্য লক্ষ্য করে তাদের মধ্যে কোন একটিতে একটি অতিরিক্ত গুন লক্ষ করে যদি অনুমান করা হয় যে অপরটিতেও ওই অতিরিক্ত গুণটি থাকবে তাহলে সেই যুক্তিকে উপমা যুক্তি বলা হয়। এইরূপ উপমা যুক্তি ভালো বা মন্দ হতে পারে। যে উপমা যুক্তিতে যে সমস্ত সাদৃশ্যের ভিত্তিতে অনুমান করা হয়, সেই সাদৃশ্যের বিষয়গুলি যদি প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে সেই যুক্তিকে ভালো বা উত্তম উপমা যুক্তি বলে। অন্যদিকে যে উপমা যুক্তির ভিত্তি স্বরূপ সাদৃশ্যের বিষয়গুলি অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন হয় তাকে মন্দ উপমা যুক্তি বলে। কাজেই উপমা যুক্তির ভিত্তি হিসেবে যে সমস্ত সাদৃশ্য লক্ষ্য করা হয় সেগুলি অপ্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বহীন হলেই উপমা যুক্তি সংক্রান্ত দোষ ঘটে।
উদাহরণ: মানুষের মতো উদ্ভিদের জন্ম, বৃদ্ধি ও ধ্বংস আছে। অতএব মানুষের মতো উদ্ভিদের চিন্তা শক্তি আছে।

যুক্তি বিশ্লেষণ:

মানুষ ( A) এবং উদ্ভিদ(B)         এর মধ্যে জন্ম((p), 
                                                 বৃদ্ধি (q), ধ্বংস(r) 
                                              বিষয়ে সাদৃশ্য আছে
মানুষের(A)                            চিন্তাশক্তি (z)আছে 
.........................................................................
উদ্ভিদের(B)                            চিন্তাশক্তি (z)আছে 

দোষ: এটি মন্দ উপমা যুক্তির দৃষ্টান্ত।

ব্যাখ্যা: এটি আরোহ অনুমানের দৃষ্টান্ত। এই যুক্তিটি ভ্রান্ত সাদৃশ্যমূলক দোষে দুষ্ট। কেননা, এই যুক্তিতে মানুষের সঙ্গে উদ্ভিদের কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য দেখে সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে মানুষ ও উদ্ভিদের মধ্যে অপ্রাসঙ্গিক সাদৃশ্যের ভিত্তিতে এরূপ অনুমান করা হয়েছে। মানুষের মন আছে এবং মনের ধর্ম হল চিন্তা শক্তি। অপরদিকে, উদ্ভিদের মন নেই, তাই উদ্ভিদের চিন্তাশক্তি থাকার প্রশ্নই নেই। অথচ এখানে জন্ম ও বৃদ্ধির সাদৃশ্যের ভিত্তিতে উদ্ভিদের চিন্তাশক্তি অনুমান করা হয়েছে। ফলে  যুক্তিটি উক্ত দোষে দুষ্ট হয়েছে।

Read More

HS (wbchse) Philosophy Question & Answer

Leave a Comment

টীকা লেখঅবৈধ সামান্যীকরণ দোষ।

উঃ

অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ: কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কারের চেষ্টা না করে কেবলমাত্র অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অল্পসংখ্যক দৃষ্টান্তে দুটি ঘটনার একত্র উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যদি সামান্যীকরণ করা হয় অর্থাৎ, সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে যুক্তিতে যে দোষ ঘটে তাকে অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ বলা হয়। প্রধানত লৌকিক আরোহ বা অপূর্ণ গণনামূলক আরোহের ক্ষেত্রে এই রূপ দোষ ঘটে থাকে। এ ক্ষেত্রে নঞথর্ক দৃষ্টান্ত বা বিরুদ্ধ দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ না করে সিদ্ধান্ত গঠন করা হয় বা সামান্যীকরণ করা হয়।
বাস্তব উদাহরণ দৃষ্টান্ত: আমি এযাবত যত কাক দেখেছি সব কালো এবং অন্য কোন রংয়ের কাক দেখিনি। সুতরাং সব কাক নিশ্চয়ই কাল।
যুক্তি বিশ্লেষণ:
                      1 নং কাক কালো।
                       2 নং কাক কালো।
                      3 নং কাক কালো।
                  অন্য রংয়ের কাক দেখিনি।
                     সুতরাং সব কাক কালো।
বিচার: যুক্তিটি অবৈধ সামান্যীকরণ  দোষে দুষ্ট।
ব্যাখ্যা: এক্ষেত্রে অবাধ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কয়েকটি কাককে কালো বর্ণের হতে দেখে 'সকল কাক হয় কালো' এই রূপ সিদ্ধান্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায় কোন একজন ব্যক্তির পক্ষে পৃথিবীর সব কাক কালো পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। কাজেই এমন কোন কাক থাকতেই পারে যে কাল নয়। সুতরাং কাকের সঙ্গে কালো রঙ্গের কোন  কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় না করে এক্ষেত্রে সার্বিক সিদ্ধান্ত করা হয়েছে বলে যুক্তিযুক্ত দোষে দুষ্ট।
Read More

Wednesday, 30 October 2019

শিক্ষা বিজ্ঞানের একটি প্রশ্ন ও উত্তর (সপ্তম পত্র - গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়)

1 comment
মূল্যায়নের কৌশল ও উপকরণ বলতে কী বোঝ? মূল্যায়নের জন্য যেসব কৌশল ও উপকরণ ব্যবহার করা হয় সেগুলি উল্লেখ কর।
উঃ
   ভূমিকা:  মূল্যায়ন হল একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। মূল্যায়নকে কাজে লাগাতে হলে বিপুল পরিমাণ তথ্যের প্রয়োজন। তাই মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী ও কৌশল ব্যবহার করা হয়। মূল্যায়নের এই সামগ্রী বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যথা- অভিক্ষা, নিরীক্ষণ, নিজস্ব মতামত প্রকাশ এবং প্রতিফলন পদ্ধতি।

মূল্যায়নের কৌশল: মূল্যায়ন একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া হাওয়ায় এর জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রয়োজন হয়। শিক্ষক শিক্ষার্থী সম্পর্ক যত বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন তত নির্ভুল হবে তার মূল্যায়ন। কোন ব্যক্তি বা বিষয় সম্পর্কে যে পদ্ধতিগুলির দ্বারা নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং সঠিক ও নির্ভরযোগ্য মূল্যায়ন করা হয় সেই সব পদ্ধতিগুলিকে মূল্যায়নের কৌশল বলা হয়।

মূল্যায়নের উপকরণ: সঠিক ও নির্ভরযোগ্য মূল্যায়নের জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত শিক্ষামূলক ও মনোবৈজ্ঞানিক অভীক্ষা গুলিকে মূল্যায়নের উপকরণ বলা হয়।

মূল্যায়নের কৌশল এর শ্রেণীবিভাগ: মূল্যায়নের কৌশলগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন - (ক) পরীক্ষামূলক কৌশল, (খ) আত্ম বিবৃতিমূলক কৌশল এবং (গ) পর্যবেক্ষণ ভিত্তিক কৌশল।

(ক) পরীক্ষামূলক কৌশল: বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত রেখে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য যে কৌশলগুলি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাদের বলা হয় পরীক্ষামূলক কৌশল। যেমন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং বুদ্ধির অভিক্ষা বা রচনাধর্মী অভীক্ষা বা বস্তুধর্মী অভীক্ষা। 

(খ) আত্মবিবৃতিমূলক কৌশল: মূল্যায়নের অপর একটি কৌশল হিসেবে আত্মবিবৃতির কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থীর নিজস্ব বিবৃতির মাধ্যমে তার সম্পর্কে মূল্যায়ন সংক্রান্ত তথ্যাবলী সংগ্রহের যে কৌশল ব্যবহার করা হয়, তাকেই বলা হয় আত্মবিবৃতিমূলক কৌশল। যেমন - সাক্ষাৎকার, প্রশ্নগুচ্ছ, অনুরাগের নির্ণায়ক অভীক্ষা, মনোভাব নির্ণায়ক অভীক্ষা।

(গ) পর্যবেক্ষণভিত্তিক কৌশল: শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যখন অপর ব্যক্তিদের মতামত গ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করা হয় তখন মূলত পর্যবেক্ষণমূলক কৌশলসমূহ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

       সাধারণত এই শ্রেণীর যেসব কৌশল গুলি মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হয় সেগুলি হল (১)  অতীত সংক্রান্ত তথ্য লিপি, (২) চেকলিস্ট, (৩) রেটিং স্কেল, (৪) সোসিও মেট্রিক কৌশল।

মূল্যায়নের উপকরণসমূহ: উপরোক্ত মূল্যায়ন কৌশলকে ব্যবহার করার জন্য উল্লেখযোগ্য যে উপকরণ সমূহের সাহায্য নেওয়া হয় তা হচ্ছে সাক্ষাৎকার। মূলত অসংগঠিত ও সংগঠিত এই দুই ধরনের সাক্ষাৎকার তালিকা তৈরি করে ব্যাক্তির আত্মবিবৃতিমূলক কৌশলকে বাস্তবে রূপ দিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

   প্রথমতঃ শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে মূল্যায়নকারী প্রশ্নকারক নিজ পরিকল্পিত সাক্ষাত্কার তালিকা অনুসারে প্রশ্ন রেখে এবং তাদের উত্তর শুনে ও বুঝে কিছু প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

দ্বিতীয়ত তথ্য সংগ্রহের অপর উপকরণটি হচ্ছে প্রশ্নগুচ্ছ। এখানে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো প্রশ্নগুচ্ছের প্রশ্নানুসারে প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ পর্যালোচনা করে তাদের আগ্রহ ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।

তৃতীয়তঃ উপকরণ হিসাবে ব্যবহারিক পরীক্ষাকে ব্যবহার করে অনেক বিষয়ের ব্যবহারিক দিকের দক্ষতার ও প্রয়োগক্ষমতাকে মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

চতুর্থতঃ পর্যবেক্ষণকে মূল্যায়নের একটি উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ভাবগত এবং বুদ্ধিগত পরিণতি ও তাদের সামাজিক সংগতিশীল দক্ষতাকে পরিমাপ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

পঞ্চমতঃ শিক্ষার্থীদের নির্মিত বিভিন্ন উপাদান সামগ্রী ও অনেক সময় শিক্ষার্থীদের আচরণের উৎকর্ষতা-অপকর্ষতা নির্ধারণে ও নিরুপনে উল্লেখযোগ্য উপকরণ হিসেবে কাজ করে।

ষষ্ঠতঃ শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ডায়রি রাখার ব্যবস্থা রেখে তা থেকে এবং শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংরক্ষিত বিভিন্ন রেকর্ড, কেসহিস্ট্রি থেকে বিভিন্ন বিষয় যথা শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, উৎসাহ, দৃষ্টিভঙ্গি, নানান ব্যক্তিগত সামাজিক সমস্যা, এমনকি তাদের ব্যক্তিত্ব মূল্যায়ন করা সম্ভব হতে পারে।

সপ্তমতঃ বিজ্ঞানের পরীক্ষাগারে, খেলার মাঠে, পাঠাগারে এবং আর্টকক্ষে প্রদর্শিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আচরণ ধারা পরীক্ষা করেও শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্বের, আগ্রহের ও কর্মকুশলতার পরিচয় নেওয়া যেতে পারে।

মন্তব্য:  পরিশেষে তাই বলতে হয় যে মূল্যায়ন করার নানান কৌশল ও উপকরণ দিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের সামাজিক, সুষম ও সর্বোত্তম বিকাশকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়ে থাকে।
<<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>>
Read More