Wednesday, 13 October 2021

একাদশ শ্রেণির দর্শন Class xi (wbchse) SAQ OF CONCEPT OF PHILOSOPHY

Leave a Comment

 একাদশ শ্রেণির দর্শন (Philosophy)

                      প্রথম অধ্যায়

দর্শনের ধারণা(Concept of Philosophy)

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর( SAQ)

প্রতিটি প্রশ্নের মান 1


প্রশ্ন:  'Philosophy' শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কী?

উত্তর: Philosophy শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হল দর্শন।


প্রশ্ন: Philosophy শব্দটি কোন্ কোন্ শব্দ থেকে উৎপন্ন হয়েছে?

উত্তর: Philosophy শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ Philos এবং Sophia থেকে উৎপন্ন হয়েছে।


প্রশ্ন: 'Philosophy' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলো।

উত্তর: Philosophy' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ।


প্রশ্ন: ‘Philos' শব্দের আক্ষরিক অর্থ কী?

উত্তর: ‘Philos' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল অনুরাগ। 


প্রশ্ন: 'Sophia' শব্দের আক্ষরিক অর্থ বলো।

উত্তর: 'Sophia' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল জ্ঞান।


প্রশ্ন: 'দর্শন' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী? 

উত্তর: ‘দর্শন' শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ‘চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ'।


প্রশ্ন: 'দর্শন' শব্দটি কীভাবে উৎপন্ন হয়?

উত্তর: ‘দৃশ' ধাতুর অনট প্রত্যয়যোগে দর্শন শব্দ উৎপন্ন হয়।


প্রশ্ন:  দর্শনের পদ্ধতি কী?

উত্তর: দর্শনের পদ্ধতি হল ধারণা-বিশ্লেষণ বা বিচারমূলক।


প্রশ্ন: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

উত্তর: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি হল অখন্ড বা সামগ্রিক


প্রশ্ন: দর্শনের বিষয়বস্তু কী? 

উত্তর: দর্শনের বিষয়বস্তু হল সমগ্র জগৎ, জীবন ও অভিজ্ঞতা।


প্রশ্ন: দর্শনের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 

উত্তর: দর্শনের দুটি বৈশিষ্ট্য হল-দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি সমন্বয়মূলক এবং দর্শনের পদ্ধতি হল বিচারমূলক শাস্ত্র।


প্রশ্ন: দর্শনের পদ্ধতি কী?

উত্তর: দর্শনের পদ্ধতি বিচারমূলক।


প্রশ্ন: দর্শনের আলোচনার পরিধি ব্যাপক কেন?

উত্তর: দর্শনের আলোচনার পরিধি ব্যাপক, কেন-না দর্শন সমগ্র জগৎ ও জীবন সম্পর্কে জ্ঞান দেয়। 



প্রশ্ন: একজন ক্রিয়াবাদী দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: এয়ার, কারনাপ প্রমুখ হলেন ক্রিয়াবাদী দার্শনিক।


প্রশ্ন:  ক্রিয়াবাদী দার্শনিকগণের মতে দর্শনের কাজ কী?

উত্তর: ক্রিয়াবাদী দার্শনিকগণের মতে দর্শনের কাজ ভাষাবিশ্লেষণ।


প্রশ্ন: একজন জ্ঞানবাদী দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: প্লেটো, ব্রাডলি, কোঁতে প্রমুখ হলেন জ্ঞানবাদী দার্শনিক। 


প্রশ্ন: দার্শনিক কোঁত-এর মতে দর্শন কী?

উত্তর: দার্শনিক কোঁত-এর মতে দর্শন সকল বিজ্ঞানের সেরা বিজ্ঞান।


প্রশ্ন: কান্টের মতে দর্শন কী?

উত্তর: কান্টের মতে দর্শন হল 'জ্ঞান সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা।


প্রশ্ন: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শন কী?

উত্তর: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শন হল ভাষার সমালোচনা। 


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে দর্শন কী?

উত্তর: প্লেটোর মতে দর্শন হল 'বস্তুর স্বরূপের জ্ঞান।


প্রশ্ন: প্লেটো যে দুটি জগতের কথা বলেছেন সেগুলি কী কী?

উত্তর: প্লেটোর মতে দুটি জগৎ হল- (i) সামান্যের জগৎ বা

ধারণার জগৎ, (ii) ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুর জগৎ।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে দর্শন কী?

উত্তর: প্লেটোর মতে, বিশ্বে যা কিছু আছে অর্থাৎ, যা কিছু সৎ তাদের অন্তর্নিহিত সামান্য সত্তার জ্ঞান হল দর্শন।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, দার্শনিক কীসের জ্ঞান অন্বেষণ করেন?

উত্তর: প্লেটোর মতে, দার্শনিক পরম তত্ত্বের জ্ঞান অন্বেষণ করেন।



প্রশ্ন: "বিস্ময় থেকে দর্শনের শুরু"- এ কথা কে বলেছেন?

উত্তর: প্লেটোর মতে, “বিস্ময় থেকে দর্শনের শুরু"। 


প্রশ্ন:  "The Republic" গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তর: The Republic' গ্রন্থের লেখক হলেন প্লেটো।


প্রশ্ন:  প্লেটোর একজন শিষ্যের নাম বলো।

উত্তর: প্লেটোর একজন শিষ্য হলেন অ্যারিস্টট্ল।


 প্রশ্ন:  অ্যারিস্টটলের মতে দর্শন কী?

উত্তর: অ্যারিস্টটলের মতে, দর্শন হল সত্তার বিজ্ঞান, পরম সত্তার স্বরূপত বিজ্ঞান।


প্রশ্ন:  কোন্ দার্শনিক দর্শনকে 'First Philosophy' বলেছেন?

উত্তর: অ্যারিস্টট্ল দর্শনকে ‘First Philosophy বলেছেন। 


প্রশ্ন:  পাশ্চাত্য দর্শনে সর্বপ্রথম কে তত্ত্ব ও অবভাসের পার্থক্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন?

উত্তর: পাশ্চাত্য দর্শনে প্লেটো সর্বপ্রথম তত্ত্ব ও অবভাসের পার্থক্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন। 


প্রশ্ন:  দর্শন ও অধিবিদ্যাকে কোন্ কোন্ দার্শনিক অভিন্ন বলেছেন?

উত্তর: প্লেটো, অ্যারিস্টট্ল, হেগেল, ব্রাডলি প্রমুখ দর্শন ও অধিবিদ্যাকে অভিন্ন বলেছেন।


প্রশ্ন: আলেকজান্ডারের মতে দর্শন ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক কীরূপ? 

উত্তর: আলেকজান্ডারের মতে, বিজ্ঞান যত অধিকতর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হয়, ততই তা দর্শনের নিকটবর্তী হয়। 


প্রশ্ন:  "দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ"-এ কথা কে বলেছেন?

উত্তর:দার্শনিক মারভিনের মতে, "দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ"। 


প্রশ্ন: সপ্তদশ শতাব্দীর তিনজন বিখ্যাত বুদ্ধিবাদী দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: সপ্তদশ শতাব্দীর তিনজন বিখ্যাত বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হলেন দেকার্ড, লাইবনিজ ও স্পিনোজা। 


প্রশ্ন: কোন্‌ দার্শনিককে আধুনিক দর্শনের জনক' বলা হয়?

উত্তর: রেনে দেকার্তকে 'আধুনিক দর্শনের জনক' বলা হয়। 


প্রশ্ন: পাশ্চাত্য দর্শনের প্রথম ও আদি দার্শনিক কে? 

উত্তর: পাশ্চাত্য দর্শনের প্রথম ও আদি দার্শনিক হলেন থেলস।


প্রশ্ন: থেলসের মতে জগতের মূল উপাদান কী? 

উত্তর: থেলসের মতে, জগতের মূল উপাদান হল জল।


প্রশ্ন:  কয়েকজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: সক্রেটিস, প্লেটো, অ্যারিস্টট্ল প্রমুখ হলেন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক। 


প্রশ্ন: দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান বলেছেন কে?

উত্তর: রাসেল, স্পেনসার প্রমুখ দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান বলেছেন।


প্রশ্ন: বিজ্ঞান কী?

উত্তর: কোনো বিষয়ের সঠিক সুসংগত, ঐক্যবদ্ধ, সুবিন্যস্ত, সুশৃঙ্খল বা সুনিশ্চিত জ্ঞানই হল বিজ্ঞান।


প্রশ্ন: বিজ্ঞানের পদ্ধতি কী?

উত্তর: বিজ্ঞানের পদ্ধতি হল পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ।


প্রশ্ন: দর্শন ও বিজ্ঞানের পার্থক্য কী?

উত্তর: দর্শন হল সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ জ্ঞান। বিজ্ঞান হল অংশত ঐক্যবন্ধ জ্ঞান।

Or, বিজ্ঞান বস্তুর বাহারূপ বা অবভাস নিয়ে আলোচনা করে, কিন্তু দর্শন বস্তুর স্বরুপ নিয়ে আলোচনা করে।


প্রশ্ন: দর্শন পাঠের উপযোগিতা কী?

উত্তর: সমগ্র জগৎ ও জীবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা হল দশ পাঠের উপযোগিতা।


প্রশ্ন: অবভাস কী?

উত্তর: বস্তুর অনিত্য, নিয়ত পরিবর্তনশীল অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ বাহারূপ হল অবভাস।


প্রশ্ন: কান্টের মতে দর্শনের পদ্ধতি কী?

উত্তর: কাস্টের মতে দর্শনের পদ্ধতি হল বিচারমূলক।


প্রশ্ন: কোন্ দার্শনিককে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়?

 উত্তর: রেনে দেকার্তকে আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনক বলা হয়।


প্রশ্ন: দেকার্তের মতে দর্শনের উৎপত্তি কী থেকে?

উত্তর: দেকার্তের মতে দর্শনের উৎপত্তি সংশয় থেকে।


প্রশ্ন: দর্শনে সার্বিক সংশয়ের কথা কে বলেছেন?

উত্তর: রেনে দেকার্ত দর্শনে সার্বিক সংশয়ের কথা বলেছেন।


প্রশ্ন: কোত-এর মতে দর্শন কী?

উত্তর: কোত-এর মতে দর্শন হল 'সব বিজ্ঞানের সেরা বিজ্ঞান'।


প্রশ্ন: সক্রেটিসের শিষ্যের নাম কী?

উত্তর: প্লেটো হলেন সক্রেটিসের শিষ্য।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, পরমতত্ত্বের জগৎ কোনটি?

উত্তর: প্লেটোর মতে ধারণার জগৎ হল পরমতত্ত্বের জগৎ।

 প্রশ্ন: জেমসের মতে, দর্শনের উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে?

উত্তর: উইলিয়াম জেমসের মতে, “উপযোগিতা থেকে দর্শনের উৎপত্তি হয়েছে”।


প্রশ্ন: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শনের কাজ কী?

উত্তর: যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদীদের মতে দর্শনের কাজ হল ভাষার বিশ্লেষণ ও সমালোচনা।


প্রশ্ন: একজন জার্মান দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: ইমানুয়েল কান্ট একজন জার্মান দার্শনিক।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, কোন্ জগতের প্রকৃত সত্তা নেই?

উত্তর: প্লেটোর মতে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের প্রকৃত সত্তা নেই।


প্রশ্ন: বস্তুসত্তা সম্পর্কে কান্টের অভিমত কী? 

উত্তর: কান্টের মতে, বস্তুমত্তা হল অজ্ঞাত ও অজ্ঞেয়।


প্রশ্ন: রাসেলের মতে, দর্শনের কাজ কী? 

উত্তর: রাসেলের মতে দর্শনের কাজ হল বিভিন্ন সমস্যা


 প্রশ্ন: ডেমোক্রিটাসের মতে জগতের মূল উপাদান কী? 

উত্তর: ডেমোক্রিটাসের মতে জগতের মূল উপাদান পরমাণু।


প্রশ্ন: অ্যারিস্টলের মতে, সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান কী?

উত্তর: অ্যারিস্টটলের মতে, সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান হল প্রজ্ঞা।


প্রশ্ন: দেকার্ডের মতে প্রথম নিশ্চিত সত্য কী?

উত্তর: দেকার্তের মতে, প্রথম নিশ্চিত সত্য হল “আমি চিন্তা করি, অতএব আমি আছি।”


প্রশ্ন: বিজ্ঞান ক-প্রকার ও কী কী?

উত্তর: বিজ্ঞান দুই প্রকার, যা হল বস্তুনিষ্ঠ ও আদর্শনিষ্ঠ।


প্রশ্ন: সাধারণ জ্ঞান কীসের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে?

উত্তর: সাধারণ জ্ঞান গড়ে ওঠে লৌকিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে।


প্রশ্ন: মারভিনের মতে, দর্শন কী?

উত্তর: মারভিনের মতে, দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ। 


প্রশ্ন: সক্রেটিস কোন্ দেশের দার্শনিক?

উত্তর: সক্রেটিস ছিলেন গ্রিক দেশের দার্শনিক। 


প্রশ্ন: মানবজীবনের চরম মূল্যগুলি কী কী?

উত্তর: মানবজীবনের চরম মূল্যগুলি হল সত্য, শিব ও সুন্দর।


প্রশ্ন: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি কীরূপ?

 উত্তর: দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গি হল সামগ্রিক।


প্রশ্ন: একজন ফরাসি দার্শনিকের নাম বলো।

উত্তর: রেনে দেকার্ত একজন ফরাসি দার্শনিক।


প্রশ্ন: একজন যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: এয়ার, কারনাপ হলেন যৌক্তিক প্রত্যক্ষবাদী।


প্রশ্ন: পাশ্চাত্য দেশের প্রথম দার্শনিক কে?

উত্তর: পাশ্চাত্য দেশের প্রথম দার্শনিক হলেন থেলস।


 প্রশ্ন: 'Metaphysics' গ্রন্থটি কার লেখা? 

 উত্তর: গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টট্‌লের রচিত গ্রন্থ হল "Metaphysics' ।


প্রশ্ন: Philosophy' শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন? 

উত্তর: গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টট্ল প্রথম Philosophy শব্দটি ব্যবহার করেন।


প্রশ্ন: প্লেটোর মতে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের স্বরূপ কেমন? 

উত্তর: প্লেটোর মতে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ হল ধারণার জগতের ছায়া।


 প্রশ্ন: মধ্যযুগের একজন দার্শনিকের নাম বলো। 

উত্তর: সেন্ট অগাস্টিন, সেন্ট টমাস হলেন মধ্যযুগের দার্শনিক।


 প্রশ্ন: মধ্যযুগের দার্শনিকদের মতে, দর্শনের আলোচ্য বিষয় কী?

উত্তর: মধ্যযুগের দার্শনিকদের মতে, দর্শনের আলোচ্য বিষয় হল ঈশ্বর, আত্মা, অমরত্ব ইত্যাদি।


 প্রশ্ন: কান্টের মতে দর্শন কী?

উত্তর: কান্টের মতে, “দর্শন হল জ্ঞান সম্পর্কীয় বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা"। 

প্রশ্ন: আমাদের জীবনের তিনটি মৌলিক মূল্যবোধ কী?

আমাদের জীবনের তিনটি মৌলিক মূল্যবোধ হল সত্য, শিব ও সুন্দর।


প্রশ্ন: কান্টের মতে, দর্শনের মূল লক্ষ্য কী?

উত্তর: কান্টের মতে, দর্শনের মূল লক্ষ্য হল জ্ঞানের উৎপত্তি, সম্ভাবনা, শর্ত, সীমা ও বৈধতা ইত্যাদি বিচার করা।

প্রশ্ন: দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান কে বলেছেন?

 দর্শনকে ব্যাপকতর বিজ্ঞান বলেছেন দার্শনিক হার্বার্ট স্পেনসার।


 প্রশ্ন: "দর্শন হল নিত্য এবং অপরিহার্য বস্তুর স্বরূপ সম্পর্কীয় জ্ঞান"—এ কথা কে বলেছেন?

 উত্তর: দর্শন হল নিত্য এবং অপরিহার্য বস্তুর স্বরূপ সম্পৰ্কীয় জ্ঞান-এ কথা বলেছেন অ্যারিস্টট্ল।









Read More

Monday, 11 October 2021

কয়েকজন বিখ্যাত পাশ্চাত্য দার্শনিকদের পরিচিতি (Class xi)

Leave a Comment

 কয়েকজন বিখ্যাত পাশ্চাত্য দার্শনিকদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়


নাম : সক্রেটিস

জন্ম : 470 খ্রিস্টপূর্বাব্দ 

মৃত্যু : 399 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

যুগ : প্রাচীন দর্শন

অবদান : সক্রেটীয় পদ্ধতি

ভাবগুরু : এথাক্সাগোরাস

বিখ্যাত উক্তি : “There is only one good, knowledge, and one evil ignorance."


সক্রেটিস (Socrates) (৪৭০-৩৯৯ খিস্টপূর্বাব্দ) : সক্রেটিস ৪৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসের অন্তর্গত এথেন্স  নগরে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৩৯৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসেই তাঁর মৃত্যু হয়। পিতা সফ্রোনিস্কাস ছিলেন দরিদ্র ভাস্কর শিল্পী এবং মাতা ফিনারেট ছিলেন একজন ধাত্রী। তিনি অসামান্য জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন এবং এই জ্ঞান তিনি নিজের চেষ্টাতেই অর্জন করেছিলেন। সক্রেটিস সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তত্ত্ব দর্শন প্রবর্তন করেননি, তিনি কেবল দর্শনের লক্ষ্য এবং আলোচনার পদ্ধতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর মতে, দর্শনের লক্ষ্য হল। সত্যজ্ঞান অনুসন্ধান এবং দর্শনের পদ্ধতি হল বুদ্ধি-বিচার বিশ্লেষণ। সক্রেটিসের পূর্বে গ্রিসের সোফিস্ট সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা প্রত্যক্ষকেই জ্ঞান বলতেন। কিন্তু সক্রেটিস সোফিস্টদের মত খণ্ডন করে বলেন—জান মাত্রেরই উৎস হল প্রত্যয় বা ধারণা এবং কেবল বুদ্ধির মাধ্যমেই প্রত্যয় বা সামান্য ধারণা গঠন করা সম্ভব। সক্রেটিস তাঁর দার্শনিক মতবাদকে লিপিবন্ধ করে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। সক্রেটিসের সুযোগ্য শিষ্য প্লেটোর রচনার মাধ্যমেই আমরা সক্রেটিসের তত্ত্ব দর্শন সম্পর্কে অবহিত। হই। মূলত বিশুদ্ধ বুদ্ধিলব্ধজ্ঞান, সততা ও ন্যায়পরায়ণতাকে জীবনের আদর্শরূপে গ্রহণ করে সক্রেটিস এথেন্সের যুবসমাজকে ওই আদর্শে দীক্ষিত করতে প্রয়াসী হন। লক্ষ্য ছিল ওই যুবকবৃন্দ দেশকে কুসংস্কার ও দুর্নীতি থেকে মুক্ত করে দেশের উন্নতি ঘটাতে সমর্থ হবে। এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে এথেন্সের শাসকবর্গ সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। অন্যায়ের কাছে নত না-হয়ে হেমলকের মতো তীব্র বিষ পান করে সক্রেটিস সানন্দে মৃত্যুবরণ করেন।

নাম:  প্লেটো

জন্ম:  427 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

মৃত্যু: 348 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

অবদান: প্লেটোনীয় বস্তুবাদ

ভাবগুরু:  সক্রেটিস

গ্রন্থ: The Republic, Meno, Protagoras, Theactetus 

বিখ্যাত উক্তি:  Knowledge without justice ought to be called cunning rather than wisdom.


প্লেটো (Plato) (৪২৭-৩৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ): সম্ভবত ৪২৭-৪২১ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে এথেন্সের এক অভিজাত পরিবারে প্লেটো জন্মগ্রহণ করেন এবং মাত্র ৮২ বৎসর বয়সে এথেঙ্গেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পিতার নাম অ্যারিস্টন (Ariston) ও মাতার নাম পরিকটাইওনি (Perictione)সের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক প্লেটো ৩৮৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এথেন্সে বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একাডেমির (Academy) প্রতিষ্ঠা করেন, যাকে পাশ্চাত্যের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়রূপে গণ্য করা - হয়। এই শিক্ষায়তনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সুসংবদ্ধভাবে দার্শনিক, গণিত এবং বৈজ্ঞানিক আলোচনা ও গবেষণা করা।

  প্লেটোর মতে, বস্তুস্বরূপের বা সারসত্তার জ্ঞানলাভ করাই হল দর্শনের লক্ষ্য। প্লেটো তাঁর দর্শনে দুটি জগতের উল্লেখ করেছেন। একটি হল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য চিরচঞ্চল বিশেষ বিশেষ বস্তু ও ব্যক্তির জগৎ। আর অন্যটি হল বিশুদ্ধ বুদ্ধিলব্ধ ইন্দ্রিয়াতীত শাশ্বত ধারণার জগৎ, যেটি নিত্য ও শাশ্বত সত্য। প্লেটো বলেন, জগতের প্রতিটি বস্তু বা ব্যক্তি কোনো না কোনো জাতির অন্তর্গত। ব্যক্তির পরিবর্তন হলেও জাতির কোনো  পরিবর্তন হয় না। জাতিই হল সত্য। ব্যক্তি হল জাতির অনুলিপি বা দৃষ্টান্তমাত্র। অনেকের মধ্যে যা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে তাই হল জাতি বা সামান্য, যাকে বিশুদ্ধ বুদ্ধির মাধ্যমে উপলব্ধি করতে হয়। যেমন প্রতিটি মানুষ 'মনুষ্যত্ব' সামান্যের অনুলিপি। তাহলে জাতি বা ধারণা (ideas or concept) হল মূল আর চিরচঞ্চল জগতের সকল কিছুই সেই মূলের অনুলিপি। বস্তুজগৎ আসলে শাশ্বত ধারণা জগতের ছায়ামাত্র "তাই জগতের অন্তরালবর্তী চিরন্তন সত্যকে জানাই দর্শনের মুখ্য উদ্দেশ্য। প্লেটোই প্রাচীন গ্রিসের প্রথম দার্শনিক, যিনি তাঁর দার্শনিক চিন্তাসমূহ সুসংবন্ধভাবে গ্রন্থ আকারে লিখে গিয়েছেন। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলি হল- (i) The Republic', (ii) Theaetetus', (im) Protagoras (iv) 'Symposium (v) Phaedo', (vi) 'Meno' প্লেটো বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসাবে খ্যাত।


নাম: অ্যারিস্টটল

জন্ম:  384 খ্রিস্টপূর্বাব্দ

মৃত্যু: 322 খ্রিস্টপূর্বাঙ্গ 

যুগ:  প্রাচীন দর্শন

অবদান:  দ্রব্য সম্পর্কে মতবাদ

ভাবগুর: প্লেটো

গ্ৰন্থ: Logic, Metaphysics, Ethics 

বিখ্যাত উক্তি: The roots of education are bitter, but the fruit is sweet.


অ্যারিস্টটল (Aristotle) (৩৮৪-৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ): ৩৮৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিসের ম্যাসিডোনিয়াম অ্যারিস্টটল জন্মগ্রহণ করেন এবং ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মাত্র ৬২ বৎসর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। পিতা নিকোম্যাকাস (Nichoma chus) ছিলেন ম্যাসিডনের রাজপরিবারের একজন চিকিৎসক। শৈশবকালেই অ্যারিস্টটলকে তাঁর অভিভাবকগণ সর্বোত্তম শিক্ষালাভের জন্য প্লেটোর 'একাডেমি'-তে প্রেরণ করেন। প্লেটোর তত্ত্বাবধানে সেখানে তিনি ২০ বৎসর ধরে শিক্ষালাভ করেন। অ্যারিস্টটল ছিলেন একাধারে দার্শনিক, তর্কবিজ্ঞানী ও বৈজ্ঞানিক। জ্ঞানের এমন কোনো দিক ছিল না যার প্রতি তিনি আকৃষ্ট হননি। এজন্য তাঁকে 'সর্ববিশারদ মহাজ্ঞানী' আখ্যা দেওয়া হত।


প্লেটোকে অনুসরণ করে অ্যারিস্টটলও বলেছেন-দর্শন ও অধিবিদ্যার লক্ষ্য মূলত এক ও অভিন্ন। তাঁর মতে, দর্শনের উদ্দেশ্য হল সব পদার্থের অন্তর্নিহিত সারসত্তার স্বরূপ উদ্ঘাটন। 'দর্শন হল পরম সত্তার বা বিশুদ্ধ সত্তার বিজ্ঞান' (Philosophy is the Science being qua being)। দর্শনের স্বরূপ সম্পর্কে অ্যারিস্টটল প্লেটোর মতকে সমর্থন করলেও প্লেটোর দ্বিজাগতিক তত্ত্বকে (two world theory) অগ্রাহ্য করেছেন। অর্থাৎ, অ্যারিস্টটল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগত ও অতীন্দ্রিয় জগৎ নামক দুইটি জগতের ভেদ স্বীকার করেননি। অ্যারিস্টটলের মতে, 'জাতি' ও 'ব্যক্তি' অর্থাৎ আকার ও উপাদান পৃথক পৃথকভাবে অস্তিত্বশীল নয়। ব্যক্তিমানুষকে বাদ দিয়ে মনুষ্যত্বের অস্তিত্ব যেমন কল্পনা করা যায় না, তেমনি মনুষ্যত্ব নামক গুণটিকে বাদ দিয়ে ব্যক্তিমানুষের অস্তিত্ব ভাবা যায় না। তাই তাঁর সিদ্ধান্ত হল, সমস্ত অস্তিত্বশীল পদার্থই সামান্য (জাতি) ও বিশেষের (ব্যক্তি) সমন্বয়।" অ্যারিস্টটল রচিত দর্শনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল- (i) "The Meteorology (ii) De Anima, (iii) The Problemata'. (iv) The Dialogue of Philosophy (v) 'Metaphysics', (vi) The Nicomachean Ethics' ইত্যাদি।


নাম:  সেন্ট টমাস আকুইনাস 

জন্ম: 1225 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1274 খ্রিস্টাব্দ

 যুগ:  মধ্যযুগ দর্শন

অবদান: ধর্মতত্ত্ব

ভাবগুরু : আলবার্ট দ্য গ্রেট


গ্রন্থ: Summa Theologica, Summa Contra Gentiles 

বিখ্যাত উক্তি:  By nature all men are equal in liberty, but not in other endowment.


নাম: সেন্ট অগাস্টিন

জন্ম : 354 খ্রিস্টাব্দ

 মৃত্যু: 430 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : মধ্যযুগীয় দর্শন

অবদান:  ধর্মতত্ত্ব

ভাবগুরু : সেন্ট অ্যামব্রোজ

গ্রন্থ: Confessions, The City of God 

বিখ্যাত উক্তি : Patience is the Companion of Wisdom


নাম: রেনে দেকার্ত 

জন্ম: 1596 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1650 খ্রিস্টাব্দ

 যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : কার্তেজীয়বাদ

ভাবগুরু: প্লেটো-অ্যারিস্টটল

গ্ৰন্থ: The Discourse of Method, The Principles of Philosophy. The Meditation 

বিখ্যাত উক্তি : Cagito ergo Sum


রেনে দেকার্ত (Rena Descartes) (১৫৯৬-১৬৫০ খ্রিস্টাব্দ): ১৫৯৬ খ্রিস্টাব্দের ৩১ মার্চ ফ্রান্সের তুরাইন প্রদেশের এক অভিজাত পরিবারে দেকার্ত জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি সুইডেনের স্টকহলমে তাঁর মৃত্যু হয়।

 দর্শনের প্রতি অনুরক্ত দেকার্ত শৈশব থেকেই অপরাপর পাঠ্যবিষয় অপেক্ষা গণিতশাস্ত্রের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন এবং উপলব্ধি করেছিলেন যে, গাণিতিক জ্ঞানই প্রকৃষ্ট জ্ঞান, গাণিতিক পদ্ধতিই সর্বোত্তম পদ্ধতি। তাই দেকার্ত দর্শনের ক্ষেত্রে গাণিতিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে দর্শনকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।


পাশ্চাত্য দর্শনে দেকাতই সর্বপ্রথম দার্শনিক যিনি প্রতিষ্ঠিত যাবতীয় জ্ঞানকে সন্দেহ বা সংশয় পোষণ করেন। তিনি সার্বিক সংশয় পদ্ধতি প্রয়োগ করে এমন এক সংশয়াতীত জ্ঞানে বা বচনে উপনীত হতে প্রয়াসী হন যে জ্ঞান বা বচন থেকে অপরাপর সংশয়াতীত ও সুনিশ্চিত জ্ঞানকে নিষ্কাশন করা যায়। সংশয় পদ্ধতির প্রয়োগের মাধ্যমে দেকার্ত দর্শনের ক্ষেত্রে প্রথম যে সংশয়াতীত বচনটি লাভ করেন তা হল 'আমি চিন্তা করি, অতএব আমি আছি' (I think, therefore I exist)। এই সংশয়াতীত অস্তিত্বসূচক জ্ঞান থেকে অবরোহ পদ্ধতি প্রয়োগ করে তিনি ঈশ্বর ও জড়জগতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছেন। দেকার্তকে এজন্য আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের জনকরূপে গণ্য করা হয়। একজন বুদ্ধিবাদী দার্শনিক হিসাবে দেকার্ত দেহ ও মনের মধ্যে যে বিরুদ্ধভাব প্রতিষ্ঠা করেছেন তা ‘দ্বৈতবাদ' নামে খ্যাত। দেকার্ত রচিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল- (i) The Discourse on Method (ii) 'The Meditation', (iii) The Principles of Philosophy' ইত্যাদি।

নাম: বেনেডিক্ট স্পিনোজা

জন্ম: 1632 খ্রিস্টাব্দ 

মৃত্যু: 1677 খ্রিস্টাব্দ

যুগ: আধুনিক দর্শনের যুগ 

অবদান:  সর্বেশ্বরবাদ

ভাবগুরু : দেকার্ত

গ্রন্থ: Ethica, Short Treatise on God, Man and Your patience Human Welfare, Thactus de Intellectus Emenditone 

বিখ্যাত উক্তি : Two things define you. Your patience when you have nothing, and your attitude when you have everything.


নাম : জন লক

জন্ম : 1632 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1704 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : অভিজ্ঞতাবাদ

 ভাবগুরু : ফ্রন্সিস বেকন

গ্রন্থ : Essay on Human Understanding, Thought on Education, Treatise on Government 

বিখ্যাত উক্তি : The discipline of desire is the background of character.


নাম : জর্জ বার্কলে

জন্ম : 1685 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1753 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : আত্মগত ভাববাদ 

ভাবগুরু : নিকোলাস মালিব্রাঞ্চ

গ্রন্থ : A Treastise Concerning the Principles of Human Knowledge, Three Dialogues between Hylas and Philonous 

বিখ্যাত উক্তি : We have first raised a dust and then complain we cannot see.


নাম : ডেভিড হিউম

জন্ম: 1711 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু : 1776 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক দর্শন

অবদান : কার্যকারণ তত্ত্ব

ভাবগুরু : জর্জ বার্কলে


গ্রন্থ : A Treatise of Human Nature, An Enquiry Concerning Human Understanding

 বিখ্যাত উক্তি : A wise man proportions his belief to the evidence.


নাম : ইম্যানুয়েল কান্ট

জন্ম: 1724 খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যু: 1804 খ্রিস্টাব্দ

যুগ : আধুনিক যুগ

অবদান : বিচারবাদ

ভাবগুরু : লাইবনিজ

গ্রন্থ : The Critique of Pure Reason, The Critique of Practical Reason, The Critique of Judgement 

বিখ্যাত উক্তি : Science is organised knowledge, Wisdom is organised life.


<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>


Read More

Sunday, 10 October 2021

HS English : 4 Descriptive Type Questions of 'The Eyes Have It' - Ruskin Bond

Leave a Comment

 The Eyes Have It

                             Ruskin Bond

Descriptive Type Questions

1. What guesses did the narrator make about the girl before he started exchanging talks in the train compartment? Why did the narrator have to guess?[ ট্রেনের কামরায় মেয়েটির সঙ্গে বাক্যালাপ শুরুর আগে গল্পকারের অনুমানগুলি কী কী ছিল? গল্পকারকে কেন অনুমান করতে হয়েছিল?]   (5+1)

Ans:

The narrator was alone in the train compartment up to Rohana. A girl got in at Rohana station. The narrator could guess that the  parents of the girl  came to see her off.  After leaving the train, he was able to guess that the girl  wore slippers, as they slapped against her heels. He wanted to guess  the  looks of the girl.  These were the guessed that the narrator could make about the girl before he started exchanging talks in the train compartment

* The narrator had to guess, because he was completely blind at that time.

[ গল্পকার রোহানা পর্যন্ত ট্রেনের কামরায় একাই ছিলেন। রোহানা স্টেশনে একটি মেয়ে উঠল। গল্পকার অনুমান করতে পেরেছিলেন যে মেয়েটির পিতা-মাতা তাকে বিদায় জানাতে এসেছিলেন। ট্রেনটি ছাড়ার পর তিনি অনুমান করতে পেরেছিলেন যে মেয়েটি চটি পরেছিল, যেহেতু তার গোড়ালিতে চটাস চটাস শব্দ হয়েছিল। তিনি মেয়েটি দেখতে কেমন তা অনুমান করতে চেয়েছিলেন। মেয়েটির সঙ্গে বাক্যালাপ শুরুর আগে তিনি এই অনুমানগুলি করতে পেরেছিলেন।


গল্পকারকে অনুমান করতে হয়েছিল, কারণ সেই সময় তিনি পুরোপুরি অন্ধ ছিলেন।]

2. “I was prepared to sit there for almost any length of time." Who felt so? Why do you think she/ he felt so? [কে এমন অনুভব করেছিলেন? কেন তখন তিনি এমন অনুভব করেছিলেন বলে তোমার মনে হয়?] [1+5]

Ans:

The blind narrator in Ruskin Bond's short story 'The Eyes Have It' felt so. 

The narrator was traveling alone in a train compartment. At Rohana, a girl joined him. He started a conversation with the girl. The narrator will go to Mussoorie. The girl also liked Mussoorie, especially in October. The man admired the girl's attractive face. The girl also praised his bravery. Apparently the girl's temperament touched the narrator's heart. Being blind, he could not see the girl's face, but the girl's presence reduced his loneliness. He wanted to talk to her, wanted to listen to her talking. The girl's voice had the sparkle of a mountain stream. The girl's voice charmed him. He didn’t want to lose these charming moments. So he prepared to sit in the train  for almost any length of time just to hear the girl's voice.

[রাস্কিন বন্ডের গল্প 'The Eyes Have It'-এ দৃষ্টিহীন কথক এমন অনুভব করেছিলেন।

কথক একা একা একটি ট্রেনের কামরায় ভ্রমণ করছিলেন। রোহানায় একটি মেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগদান করল। তিনি মেয়েটির সাথে কথোপকথন শুরু করলেন। কথক মুসৌরিতে যাবেন। মেয়েটিও মুসৌরি পছন্দ করত, বিশেষত অক্টোবর মাসে। লোকটি মেয়েটির আকর্ষণীয় মুখের প্রশংসা করেছিল। মেয়েটিও তাঁর সাহসিকতাকে বাহবা জানিয়ে দিয়েছিল। স্পষ্টতই মেয়েটির স্বভাব কথকের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। অন্ধ হওয়ায় তাঁর পক্ষে মেয়েটির চেহারা জানা সম্ভব হয়নি, কিন্তু মেয়েটির উপস্থিতি তাঁর একাকিত্ব কমিয়ে দিয়েছিল। তিনি তার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন, তার কথা শুনতে চেয়েছিলেন। মেয়েটির কণ্ঠস্বরে পাহাড়ি নদীর উচ্ছ্বাস ছিল। মেয়েটির কন্ঠস্বর তাঁকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছিল। তিনি এই অনিন্দ্যসুন্দর মুহূর্তগুলিকে হারাতে চাইছিলেন না। তাই তিনি যে-কোনো সময়কাল ধরে সেই ট্রেনে বসে থাকতে রাজি ছিলেন শুধু মেয়েটির গলা শোনার জন্য ।]

3. "The voice had the sparkle of a mountain stream."Who thinks so ? Whose voice is referred to here? Why did the voice become so special? [কে এমনটি ভাবছে? কার কন্ঠস্বরের কথা বলা হয়েছে? কন্ঠস্বরটি এত বিশেষ হয়ে উঠল কেন?) [1+1+4]

Ans:

   The narrator of Ruskin Bond's short story 'The Eyes Have It' thinks so.

   The voice of the girl who talks to the narrator while traveling in the train is referred to here.

   The narrator could not see the girl as he was blind.  He only felt her  presence through her voice. He liked the girl's voice very much. Her voice is so sweet that the narrator was ready to sit there for almost any length of time just to listen to her talking. The narrator felt her voice was as lively and joyful as the sparkle of a mountain stream.

[রাস্কিন বন্ডের ছোটগল্প 'The Eyes Have It এর কথক এমনটি ভাবছে।

ট্রেনে ভ্রমণকালে কথকের সঙ্গে যে মেয়েটির আলাপ হয়, সেই মেয়েটির কন্ঠস্বরকে এখানে বোঝানো হয়েছে। কথক দৃষ্টিহীন হওয়ায় তিনি মেয়েটিকে দেখতে পাননি। শুধু তার স্বর শুনে তার উপস্থিতি অনুভব করেছেন। মেয়েটির কন্ঠস্বর তাঁর খুবই ভালো লেগেছে। তার কন্ঠস্বর এত সুমিষ্ট যে কথক তাঁর কথা শোনার জন্য যে-কোনো সময়কাল ধরে সেখানে বসে থাকতে প্রস্তুত | কথক মনে করেন তার কন্ঠস্বর পাহাড়ি নদীর মতো প্রাণবন্ত এবং আনন্দদায়ক ।]




4. “She would forget our brief encounter"-Who said this and about whom? What is the 'brief encounter' referred to here? Why did the speaker think so? [ কে কার বিষয়ে একথা বলেছে? 'Brief encounter' বলতে এখানে কী বোঝান হয়েছে? কেন বক্তা এ কথা বলেছেন?  [1+1+2+2] 

Ans. The narrator in Ruskin Bond's short story 'The Eyes Have It' said this about the girl with whom he was travelling.


The 'brief encounter' refers to the light-hearted conversation between the narrator and the girl in the train.

The speaker was very impressed by the melodious voice of the girl. He longed for the company of the girl till the end of his journey, but when he came to learn that the girl would  get down at Saharanpur, he was very upset. The girl's appearance made a deep impression on his mind. Simultaneously he assumed in his mind that this short interview would be taken lightly by the girl and would soon be erased from her mind.]

[রাস্কিন বন্ডের ছোটোগল্প The Eyes Have It'-এর কথক যে মেয়েটির সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন তাঁর বিষয়ে এ কথা বলেছেন।

 'Brief encounter' বলতে এখানে কথক ও মেয়েটির মধ্যে ট্রেনে যে হালকা কথোপকথন হয়েছিল সেটিকে বোঝান হয়েছে। 

বক্তা মেয়েটির সুরেলা কণ্ঠস্বরে খুবই চমৎকৃত হয়েছিলেন। তিনি তাঁর যাত্রাপথের শেষ অবধি মেয়েটির সাহচর্য কামনা করেছিলেন, কিন্তু যখন তিনি জানতে পারলেন যে, মেয়েটি সাহারানপুরে নেমে যাবে তখন তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হলেন। মেয়েটির অবয়ব তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে। যুগপৎ তিনি মনে মনে ধরে নিয়েছিলেন যে, এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার মেয়েটি হালকাভাবে নেবে এবং শীঘ্রই সেটি তার মন থেকে মুছে যাবে।]


Read More

শিক্ষাবিজ্ঞানের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (জানার প্রক্রিয়া)

Leave a Comment

                 শিক্ষা বিজ্ঞান

জানার প্রক্রিয়া : সংবেদন , প্রত্যক্ষণ ও ধারণা

অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর      প্রতিটি প্রশ্নের মান-২

প্রশ্ন ১। 'প্রত্যক্ষণ' বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ প্রত্যক্ষণ হল সংবেদনের অর্থযুক্ত রূপ। বস্তুর যাবতীয় ‘গুণ ও বৈশিষ্ট্য যেসব মানসিক প্রক্রিয়ার সাহায্যে সরবরাহ করা হয়, তাকে বলা হয় 'প্রত্যক্ষণ' (Perception)।

প্রশ্ন ২। সংবেদন কী ?

 উত্তরঃ সংবেদন বস্তুনিষ্ঠ বাহ্য উদ্দীপক। উদ্দীপক ইন্দ্রিয়ের সংস্পর্শে এলে যে প্রাথমিক বোধ জাগে, তা হল ‘সংবেদন'।

প্রশ্ন: ৩। লেন্‌স্‌ বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ কনীনিকার পিছনে একরকম তরল পদার্থ জমাট বেঁধে স্বচ্ছ কাচের আকার ধারণ করেছে, একে 'লেস' বলে।

প্রশ্ন ৪। স্বনতীক্ষ্ণতা কাকে বলে?

উত্তরঃ স্বনতীক্ষ্ণতা (Pitch): স্বনতীক্ষ্ণতা নির্ভর করে প্রতি সেকেণ্ড বায়ুতরঙ্গের কম্পনসংখ্যা এবং শব্দের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর। বায়ুর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত ছোটো হবে, সেই শব্দ তত তীক্ষ্ণ হবে। অপরপক্ষে বায়ুর তরঙ্গদৈর্ঘ্যে যত বড়ো হবে সেই শব্দের তীক্ষ্ণতা তত কম হবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যতসংখ্যক বায়ুতরঙ্গ কানের পর্দায় আঘাত করে, তার ওপরই নির্ভর করে ‘স্বনতীক্ষ্ণতা’ বা ‘Pitch |

প্রশ্ন ৫। স্বনগভীরতা বলতে কী বোঝো?

■ উত্তর ঃ স্বনগভীরতা নির্ভর করে বায়ুতরঙ্গের শক্তি বা বিস্তারের ওপর। বায়ুতরঙ্গের উচ্চতা বা অনুচ্চতার জন্য স্বনগভীরতা বেশি বা কম হয়। স্বনতীক্ষ্ণতা যত বেশি হয়, ততই তা সরু ও মিহি হয়।

প্রশ্ন ৬। উপস্বনতা কী?

উত্তর ঃ উপস্বনতা (Timbre) : প্রত্যেক শব্দের একটি করে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে, যার জন্য ওই শব্দকে অন্যান্য শব্দ থেকে পৃথক করে বুঝে নেওয়া যায়। শব্দের এই বৈশিষ্ট্যকে বলে উপস্বনতা। হারমোনিয়াম ও সেতার একসঙ্গে এক সুরে একই স্বনতীক্ষ্ণতায় ও স্বনগভীরতায় বাজলেও কোন শব্দটি হারমোনিয়াম এবং কোন শব্দ সেতারের তা আমরা বুঝতে পারি উপস্বনতার সাহায্যে।

প্রশ্ন ৭। ধারণা কী?

উত্তর ঃ একই শ্রেণির বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে যে সাধারণ গুণ বর্তমান আছে, তার অভিজ্ঞতাই হল 'ধারণা'।

প্রশ্ন ৮। সংবেদন ও প্রত্যক্ষণের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর ঃ (i) সংবেদন বস্তুনিষ্ঠ বাহ্য উদ্দীপক আর প্রত্যক্ষণ হল মানসিক প্রক্রিয়া।

(ii) সংবেদন হল প্রত্যক্ষণের উপাদান আর প্রত্যক্ষণ হল সংবেদনের অর্থযুক্ত রূপ

প্রশ্ন ৯। ধারণার দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর ঃ (i) ধারণা জীবন অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত।

(ii) ধারণা সংরক্ষণ করা সম্ভব।

১০। প্রত্যক্ষণ কয় প্রকার? ও কী কী? 

উত্তরঃ প্রত্যক্ষণ তিন প্রকার

(i) সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষণ

(ii) অর্জিত প্রত্যক্ষণ

(iii) সংপ্রত্যক্ষণ

প্রশ্ন ১১। প্রত্যক্ষণের যে-কোনো চারটি স্তরের নাম করো।

 উত্তরঃ পৃথকীকরণ, সাদৃশ্য খোঁজা, উৎস ও স্থান নির্দেশ করা ও বিশ্বাস করা।

প্রশ্ন ১২। ইন্দ্রিয় সংবেদনে সাহায্য করে এমন চারটি ইন্দ্রিয়ের নাম লেখো। 

 উত্তরঃ চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা ও জিহ্বা।

প্রশ্ন ১৩। 'সোমেথেসিস্' কথার অর্থ কী? কখন এটি হয়ে থাকে?

 উত্তরঃ সোমেথেসিস' কথার অর্থ হল – দৈহিক অনুভূতি। দেহ যখন বিশ্রাম অবস্থায় থাকে তখন এই সংবেদন পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ১৪। জানার প্রক্রিয়াটির বিভিন্ন স্তরগুলি রেখাচিত্রের সাহায্যে দেখাও। 

উত্তরঃ উদ্দীপক → সংবেদন  →প্রত্যক্ষণ  →ধারণা → জ্ঞান।


প্রশ্ন ১৫। মনোবিদ টিচেনার সংবেদনের কয়টি গুণের কথা বলেছেন? সেগুলি কী কী?

 উত্তরঃ মনোবিদ টিচেনার সংবেদনের চারটি গুণের কথা বলেছেন। যথা—

(i) গুণ,

(ii) তীব্রতা,

(iii) স্পষ্টতা,

(iv) স্থায়িত্ব।

প্রশ্ন ১৬। আমাদের পেশি কয় প্রকার ও কী কী? 

উত্তরঃ আমাদের পেশি তিন প্রকার। যথা— ঐচ্ছিক পেশি, অনৈচ্ছিক পেশি এবং হূৎপিণ্ডের পেশি।

প্রশ্ন ১৭। কর্নিয়া কী?

উত্তরঃ চোখের ওপরের আবরণটি সামনের দিকে পুরু, স্ফীত অথচ স্বচ্ছ যার মধ্য দিয়ে চোখের ভিতর আলোক প্রবেশ করতে পারে, এই অংশটিকেই ‘কর্নিয়া' বলে।

প্রশ্ন ১৮। তারারন্দ্র কাকে বলে?

উত্তরঃ কনীনিকার মধ্যভাগে একটি ক্ষুদ্র ছিদ্র আছে যার মধ্য দিয়ে চোখের ভিতর আলোক প্রবেশ করে। এই ছিদ্রকে বলে ‘তারারন্ধ্র’ (Pupil)।

প্রশ্ন ১৯। জলীয় রস কী?

উত্তরঃ কর্নিয়া ও কনীনিকার মধ্যে যে জায়গাটুকু আছে তা এরকম বর্ণহীন তরল পদার্থের দ্বারা পূর্ণ থাকে। এই তরল পদার্থকে বলা হয় 'জলীয় রস' (aqueous humour)।

প্রশ্ন ২০। প্রত্যক্ষণের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা গঠন করার ক্ষেত্রে মনের অবস্থানগুলো কী ? 

উত্তরঃ প্রত্যক্ষণের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা গঠন করার ব্যাপারে মনের কয়েকটি অবস্থান লক্ষ করা যায়। যেমন -

(i) পূর্ব অভিজ্ঞতা

(ii) প্রসঙ্গ ও পরিবেশের প্রভাব

(iii) আবেগ ও মানসিক উত্তেজনা

(iv) অভিভাবকের প্রভাব

(v) সমাজের প্রভাব।


প্রশ্ন ২১। প্রত্যক্ষণ প্রক্রিয়ার ক্যাটি দিক ও কী কী?


উত্তর : প্রত্যক্ষণ প্রক্রিয়ার দুটি দিক। যথা—


(i) উপস্থাপনমূলক প্রক্রিয়া এবং (ii) পুনরুজ্জীবনমূলক প্রক্রিয়া। 

প্রশ্ন ২২। সংবেদনের উপাদান কয়টি ও কী কী?


উত্তরঃ সংবেদনের উপাদান তিনটি। যথা— উদ্দীপক, স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্ক।


প্রশ্ন ২৩। বৌদ্ধিক ক্ষেত্রগুলি কী কী?


উত্তর: বৌদ্ধিক ক্ষেত্র গুলি হল- জ্ঞান, বোধ, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়ন।


প্রশ্ন ২৪। প্রাক্ষোভিক ক্ষেত্রগুলি কী কী? 

উত্তরঃ প্রাক্ষোভিক ক্ষেত্র গুলি হল- অনুভূতি, আগ্রহ, কর্মোদ্যোগ ও মূল্যবোধ।


প্রশ্ন ২৫। সাইকোমোটর ক্ষেত্রগুলি কী কী?


উত্তর ঃ সাইকোমোটর ক্ষেত্র গুলি হল - তাৎক্ষণিক অনুকরণ, কর্মপ্রচেষ্টা, সমন্বয় ও স্বভাব দক্ষতা।


প্রশ্ন ২৬। পরিবেশ সম্পর্কে শিশুরা কীভাবে ধারণা গঠন করে? দুটি বিষয় উল্লেখ করো। 

উত্তর : (i) অনুভবের মধ্য দিয়ে এবং

(ii) বস্তুর গতিশীলতা দেখে– শিশুরা ধারণা গঠন করে।


প্রশ্ন ২৭। স্কিমা কী?


উত্তরঃ কোনো বিষয় সম্বন্ধে সংগৃহীত তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ‘স্কিমা’ বলে।


প্রশ্ন ২৮। প্রজ্ঞা কাকে বলে?


উত্তরঃ মানুষ যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা তার চারপাশের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করে এবং সেই জ্ঞানের প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান করতে পারে তাকে ‘প্রজ্ঞা (cognition) বলে।


প্রশ্ন ২৯। জ্ঞান কাকে বলে?


উত্তরঃ আমরা যে মানসিক প্রক্রিয়ার দ্বারা আমাদের পরিবেশ সম্বন্ধে বিশেষ ধারণা লাভ করতে পারি, তাকে ‘জ্ঞান' বলে।


প্রশ্ন ৩০। আত্মীকরণ কী?


 উত্তরঃ সংগৃহীত তথ্য সরাসরি আমাদের জ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে জ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত হয়, একে ‘আত্মীকরণ' বলে।


প্রশ্ন ৩১। পিঁয়াজে (Piaget) প্রজ্ঞামূলক বিকাশকে কয়টি স্তরে ভাগ করেছেন? কী কী? 

উত্তরঃ পিঁয়াজে প্রজ্ঞামূলক বিকাশকে চারটি স্তরে ভাগ করেছেন। যথা—

(i) সংবেদন সঞ্চালনমূলক স্তর। (০-২ বছর)

(ii) প্রাক সক্রিয়তার স্তর। (২-৬ বছর)

(iii) মূর্ত সক্রিয়তার স্তর। (৬-১১ বছর)

(iv) নিয়মতান্ত্রিক সক্রিয়তার স্তর। (১১-১৮ বছর)



Read More

Sunday, 18 July 2021

ADVERB AND ITS CLASSIFICATION (ক্রিয়া - বিশেষণ এবং ইহার প্রকারভেদ)

1 comment

 ADVERB AND ITS CLASSIFICATION

(ক্রিয়া - বিশেষণ এবং ইহার প্রকারভেদ)

Adverb: Adverb যে সকল শব্দ Noun, Pronoun ও Interjection ছাড়া অন্যান্য Parts of Speech, Phrase এবং কোনও sentence কে modify বা বিশেষিত করতে পারে সেই শব্দগুলিকে Adverb বলা হয় ।

     ইংরেজী modify শব্দের অর্থ কোনও পদের অর্থকে কোনওভাবে পরিমিত করা, বিশেষত্ব দেওয়া।

Example

* Adverb যখন Verb কে modify করে।

তিনি ধীরে ধীরে হাঁটেন— He walks slowly. 

এই বাক্যটিতে 'walk' Verb টিকে slowly Adverb টি modify করছে। অর্থাৎ তিনি (He) কেমনভাবে হাঁটেন (walks), তা বােঝানাে হচ্ছে slowly (ধীরে ধীরে) এই শব্দটি দিয়ে। বাংলায় ধীরে ধীরে হল ক্রিয়া বিশেষণ, ইংরেজীতে তাকে বলা হয় Adverb। 

* Adverb যখন Adjective কে imodify করে

  তুমি খুবই ভালাে ছেলে— You are a very good boy . 

এই বাক্যটিতে 'good' Adjective টিকে ‘very' Adverb টি modify করছে । 

* Adverb যখন অন্য একটি Adverb কে modify করে

ঘোড়া খুব জোরে দৌড়াতে পারে। — The horse can run very fast .

 এখানে fast Adverb টিকে ‘very' Adverb টি modify করছে।


 *Adverb যখন Preposition কে modify করে। 

তার আসার ঠিক পরেই আমি সেখানে হাজির হলাম— I appeared there just after his arival. 

এই বাক্যটিতে 'just' Adverb টি 'after' Preposition কে modify করছে। 

*Adverb যখন Conjuiction কে modify করে

সে বিদ্যালয়ে আসে নি শুধুমাত্র শরীর খারাপের জন্য— He did not come to school only because he was ill . 

এখানে because 'Conjunction' টিকে modify করছে ‘only' Adverb টি । 

*Adverb যখন Participle কে modify করে : 

শিলং - এর আবহাওয়া খুবই মনােরম— The weather of Shillong is very charming. 

এই বাক্যে 'very' Adverb টি একটি Participle 'charming' কে modify করছে। 

* Adverb যখন কোনও সম্পূর্ণ sentence কে modify করে ।

 দুর্ভাগ্যবশতঃ ছেলেটি অকৃতকার্য হল— Unfortunately the boy failed. 

এক্ষেত্রে sentence- এর শুরুতে 'Unfortunately'- এই Adverb টি বসে সম্পূর্ণ sentence টিকেই modify করছে।


*Adverb যখন কোনও Phrase কে modify করে-

 যন্ত্রটি পুরােপুরি বিকল হয়েছিল— The machine was completely out of order. এখানে 'completely' এই Adverb টি একটি Phrase 'out of order' কে modify করছে।

CLASSIFICATION OF ADVERBS (ADVERB এর শ্রেণীবিভাগ):

ব্যবহার অনুযায়ী Adverb কে মূলতঃ চারভাগে ভাগ করা যায় 

1. Simple or Independent Adverb 

2. Indicating Adverb 

3. Adverbs denoting Number and Amount

 4. Emphasising Adverb 

1. SIMPLE OR INDEPENDENT ADVERB : যে Adverb দ্বারা সরাসরি কোন শব্দ বা বাক্যের রূপ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায় তাকে Simple Adverb বলে।

Simple Adverb নয় প্রকারের হয়—

 (i) Adverb of Manner(carefully, honestly, beautifully, well, fast, etc.)

 (ii) Adverb of Time (daily, soon, before, never, always, now etc.)

 (iii) Adverb of Place (Here, nowwhere, everywhere, away, out,etc)

 (iv) Adverb of Reason or Purpose( therefore, so, hence, so that, etc.)

(v) Adverb of Affirmation and Negation (surely, certainly, undoubtedly, not, never)

 (vi) Introductory Adverb (Here, there)

(vii) Sentence Adverb (probably, fortunately, hopefully, etc.)

 (viii) Intensifier (thoroughly, indeed, utterly, etc.)

 (ix) Downtoner (nearly, hardly, rather, barely, etc.)

(i) Adverb of Manner :  ইহা কিভাবে কিছু ঘটে বা কাজ করা হয়, অর্থাৎ ক্রিয়া কিরূপে নিষ্পন্ন হয়, তাহা বুঝাইয়া বা দেখাইয়া দেয়। 

well, fast, gently, carefully, deeply, swiftly, peacefully, honestly,  certainly, easily, loudly, strongly, bravely ইত্যাদি হল এই ধরনের Adverb এর উদাহরণ। 

**অধিকাংশ Adverb of Manner শব্দগুলি সাধারনত: Adjective-এর সাথে –ly যুক্ত করে গঠিত হয়। যেমন:

deep— deeply

easy——–easilyo

loud——–loudly

clever——-cleverly

quick———quickly

strong——–strongly

 Example

(১)ছেলেটি বেশ পড়ে— The boy reads well

(২) সে মৃদুভাবে কথা বলে— She speaks gently. 

(৩) তারা সাবধানে হাঁটে— They walk carefully. 

(৪) তিনি আমাদের খুব ভালবাসেন— He loves us deeply. 

(৫) তারা শান্তিতে বাস করে— They live peacefully.

(৬) শরৎবাবু সভাবে জীবন যাপন করেন—— Saratbabu lives honestly. 

[ Note: ওপরের sentence গুলিতে প্রতিটি Verb অন্য আর একটি শব্দের দ্বারা modified হয়েছে বা ক্রিয়াটি কিভাবে সম্পাদিত হয়েছে তা বর্ণিত হয়েছে; অর্থাৎ Verb টি কিভাবে ( in what mater) বা কেমন করে (how) সম্পাদিত হয়েছে, ঐ শব্দটির দ্বারা তা বােঝানাে হয়েছে।]


( ii ) Adverb of Time : এই Adverb গুলি কোন কিছু ঘটার সময় দেখাইয়া দেয়। অর্থাৎ ইহারা ক্রিয়ার কাল বা সময় নির্দেশ করে। 

 soon (শীঘ্র), every week (প্রতি সপ্তাহে), before (আগে), early (সকাল সকাল), yesterday (গতকাল), now (এখন), lately (সম্প্রতি), always (সর্বদা), never  (কখনও না), tomorrow (আগামীকাল), recently (সম্প্রতি) ইত্যাদি এই ধরনের Adverb এর উদাহরণ। 


Example

(১) সে রােজ এখানে আসে— He comes here daily. 

(২) সে শিগগিরই ফিরবে— He will return soon.

(৩) আমি এটি আগে শুনেছি— I have heard this before. 

(৪) রাম তাড়াতাড়ি এসেছিল— Ram came early.

(৫)  আগামীকাল ছুটি— It is a holiday tomorrow. 

[Note : ওপরের sentence গুলিতে প্রত্যেকটি কাজ কখন করা হয় বা ঘটে তা বােঝাবার জন্যে একটি করে সময়সূচক Adverb (Adverb of Time) ব্যবহার করা হয়েছে। 


(iii) Adverb of Place : ইহারা কোথায় কিছু ঘটে বা কোন কাজ হয় তাহা দেখাইয়া দেয়। অর্থাৎ ইহারা ক্রিয়ার স্থান নির্দেশ করে । 

[ Here, there, nowhere, somewhere, in, out, everywhere, forward, backward,, within প্রভৃতি শব্দকে Adverb of Place হিসেবে ব্যবহার করা হয়।]

Example

১) সে ওপরের দিকে তাকালাে— He looked up. 

(২) সরমা বাইরে গিয়েছে— Sarama has gone out. 

(৩)  ঐখানে গিয়ে বােসো— Go and sit there.  

(৪) ঘােড়াগুলি ছুটে চলে গেল— The horses galloped away. 

[Note : ওপরের উদাহরণগুলিতে প্রত্যেকটি sentence- এ একটি করে স্থানবাচক Adverb ব্যবহার করা হয়েছে। Verb টি কোথায় ঘটছে কোথা থেকে ঘটেছে বা কোথায় ঘটবে তা এই Adverb of Place এর হারা সূচিত হয়।]


(iv) Adverb of Reason : কোনও কাজ বা ঘটনার কারণ বা উদ্দেশ্য বােঝানাের জন্য যেসমস্ত Adverb ব্যবহার করা হয়, তাদের Adverb of Reason / Purpose বলা হয়। Therefore, Hence, so, so that, that is why ইত্যাদি হল এই ধরনের Adverb এর উদাহরণ। 

 Example

১) সেজন্য তিনি কাজটি ছেড়ে দিলেন— He therefore left the job . 

 ২) সুতরাং আমি স্থানটি পরিত্যাগ করলাম— So I left the place. 

৩) এই কারণে আমি খেলতে যাই না— I therefore do not go to play.

৪) পরিশ্রম কর যাতে সফল হতে পারাে— Work hard so that you can succeed . . 


(v) Adverbs of Affirmation এবং Adverb of Negation : অস্ত্যর্থক ( হাঁ - সূচক— Affirmative ) এবং not নঞর্থক ( না - সূচক— Negative ) অর্থ প্রকাশে যে সমস্ত Adverb ব্যবহার করা হয়, তাদের Adverbs of Affirmation এবং Adverb of Negation বলা হয়। 

Example

(১) ভারত নিশ্চিতভাবে জিতবে— Surely India will win. 

(২) নিশ্চিতরূপেই তুমি সফল হবে— You will certainly succeed .

(৩) হ্যা , আমি ভাত খেয়েছি— Yes, I have taken rice. 

(৪) নিঃসন্দেহে তিনি একজন সুবক্তা-- undoubtedly he is a good speaker.

(৫) আমি তাকে চিনি না— I do not know him.

[Note : ওপরের উদাহরণগুলিতে surely, certainly, undoubtedly,  এই পদগুলি অস্ত্যর্থক ( হাঁ - সূচক— Affirmative ) এবং not নঞর্থক ( না - সূচক— Negative ) অর্থ প্রকাশে সাহায্য করছে। তাই এই পদগুলিকে যথাক্রমে Adverbs of Affirmation এবং Adverb of Negation বলা হয়।]


(vi) Introductory Adverb:  শুধু sentence আরম্ভ করার জন্য যখন Here, there (কোনও sentence এর প্রথমেই) ব্যবহৃত হয় তখন তাদের Introductory Adverb বলা হয়। 

Example

(১) এই গ্রামে একটি বিদ্যালয় আছে— There is a school in this village. 

(২) একজন লােক তােমার জন্য অপেক্ষা করছে— Here is a man waiting for you .  

[Note :  Here এবং there দিয়ে কোনও sentence শুরু হলে Finite Verb সবসময় Subject এর আগে বসে। যেমন : এই গ্রামে একটি ধনী লােক বাস করতেন— There lived a rich man in this village এখানে লক্ষ্য কর ‘lived' এই Finite Verb টি 'a rich man' এর আগে বসেছে। যদি লেখা হত— There a rich man lived in this village— তাহলে Finite Vrrb এর অবস্থান Subject এর পরে বসতো, তাই এইধরনের বাক্যগঠনরীতি ভুল হতাে। সঠিক বাক্য গঠন করতে হলে ( Introductory Adverb দিয়ে ) Finite Verb এর অবস্থান Subject এর আগে হবে।]


(vii) Sentence Adverb: কখনও কখনও sentence- এর একেবারে প্রথমে যে Adverb বসিয়ে তার দ্বারা sentence টির সম্পূর্ণ বক্তব্যকে modify বা তার চিন্তার প্রকৃতি প্রকাশ করা হয়, তাদের Sentence Adverb বলে। এই Adverb গুলি বাক্যের কোনও বিশেষ Verb বা Adjective বা অন্য কোনও Adverb কে modify করে না। 

Example

(১) সৌভাগ্যক্রমে সেদিন কোনও বৃষ্টি হয় নি— Fortunately there was no rain that day. 

(২) সম্ভবতঃ তিনি এখানে দেরিতে পৌঁছবেন—- Probably he will reach here late. 

(৩) স্পষ্টতঃই তিনি সব তথ্য জানেন না— Evidently he does not know all the facts.


(viii) Intensifier Adverb: যে Adverb গুলি Verb এর কাজের ওপর বিশেষ জোর প্রয়ােগ করে, সেগুলিকে Intensifier বলে। actually, certainl , thoroughly, definitely, surely, really, indeed, absolutely, practically প্রভৃতি শব্দগুলি Intensifier. 

Example

(১) বইটি সম্পূর্ণরূপে পড়– Read the book thoroughly . 

(২) সত্যিই তিনি সৎলােক— Really he is an honest man. 

(৩) প্রকৃতপক্ষে রাখালই আমটি খেয়েছে— Actually it is Rakhal who has eaten the mango. 


 (ix) Downtone:  যে Adverb গুলি Verb, Adjective বা অন্য কোনও Adverb এর গুরুত্ব কমিয়ে দেয়, তাদের Downtoder বলা হয়।

 Example

(১) সে কাজটি প্রায় শেষ করেছে — He has nearly finished the work . 

(২) আমি তাকে প্রায় চিনতেই পারি নি I hardly recognized him . 

(৩) তুমি কিছুটা ক্লান্ত— You are rather tired.

(৪) কদাচিৎ আমি মিথ্যে কথা বলি— l scarcely tell a lie.

 (৫) কদাচিৎ তিনি লেখেন— He seldom writes. 


2. INDICATING ADVERB : 

Indicating Adverb তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা-

 (i) Interrogative Adverb

 (ii) Relative Adverb

 (iii) Exclamatory Adverb 


(i) Interrogative Adverb : যখন where (স্থানসূচক Adverb ), when (সময়সূচক Adverb), why (কারণসূচক Adverb), how (পদ্ধতিসূচক Adverb) প্রভৃতি Adverb প্রশ্ন করার জন্য sentence- এর প্রথমে ব্যবহার করা হয় তখন তাদের Interrogative Adverb বলা হয়। 

Example

(১) তুমি কলমটি কোথায় পেলে? —Where did you get the pen ?

(২) তুমি কখন শুতে যাও? —When do you go to bed? 

(৩) কেন সে ভাত খেল ? —Why did he eat rice? 

(৪) তুমি কেমন আছ ? How are you? 


(ii) Relative Adverb : যে সকল Adverb, বাক্যে আগে উল্লেখ হয়েছে এমন কোনও Noun এর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে দু'টি Clause কে যুক্ত করে তাদের Relative Adverb বলা হয়। Relative Adverb বাক্যটির প্রথম অংশে ব্যবহৃত যে Noun এর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার জন্য sentence- এ ব্যবহৃত হয় সেই Noun টিকে Antecedent ( Ante = before ; cedent = going ) বলে। How, when, why, where প্রভৃতি Adverb গুলি Relative Adverb ।

 Example

(১) এখানে আমি জন্মেছিলাম— This is the place where I was born .

(২) আমি জানি তিনি কোন সময় আসবেন— I know the time when he will come. 

(৩) আমি জানি না কী কারণে সে অকৃতকার্য হয়েছিল— I do not know the reason why he failed. 

[Note: ওপরের বাক্যগুলিতে where , when , why এই Adverb গুলি Relative Adverb এবং place , time ও reason যথাক্রমে এদের Antecedents.]


(iii) Exclamatory Adverb : 'How' শব্দটি Exclamatory Pronoun এর মত Exclamatory Adverb রূপে ব্যবহৃত হয়। 

Example:

(১) ঘুম কি সুন্দর ! –How beautiful sleep is! 

(২) কিরকম সুস্বাদু মাছ! —How tasteful the fish is! 

(৩) কি বিস্ময়কর বালক! —How wonderful the boy is! 


3. Adverbs Denoting Number & Amount সংখ্যা এবং পরিমাণসূচক Adverb

 Adverbs denoting Number and Amount দু'টি শ্রেণীতে বিভক্ত

 (i) Adverbs denoting Number or Frequency 

( ii ) Adverbs denoting Amount 


(i) Adverbs Denoting Number:  কোনও Verb কতবার (frequency) ঘটছে বা একবারও ঘটছে কিনা ইত্যাদি বােঝাবার জন্য যে  Adverb গুলি ব্যবহার করা হয় তাদের Adverbs Denoting Number বলে। 

এই Adverb গুলি হল— twice (দুবার), never (কখনও না), often (প্রায়), seldom (খুব কম / কদাচিৎ), frequently ( প্রায় / ঘনঘন ), once (একবারমাত্র), thrice (তিনবার), again (পুনরায়), repeatedly ( বারবার ), regularly (নিয়মিত), ইত্যাদি।

Example:

(১) সে দু’বার অঙ্কটি করার চেষ্টা করল— He tried to do the sum twice. 

(২)  তিনি কখনও এখানে আসেন না— He never comes here. 

(৩) তিনি প্রায়ই আমার সঙ্গে দেখা করেন— He often meets me. 

[Note: one , two , three প্রভৃতি Cardinal Numerals থেকে গঠিত  once, twice, thrice প্রভৃতি Adverb যেমন Adverbs denoting Nuruber- এর মধ্যে পড়ে, তেমনই first ( firstly এখন আর প্রচলিত নয়), secondly, thirdly প্রভৃতি Ordinal Numerals থেকে গঠিত Adverb গুলিও Adverbs deioting Number- এর পর্যায়ভুক্ত। ]

(ii) Adverbs Denoting Amount or Quantity:  যে  Adverb গুলি Degree  (মাত্রা বা তুলনা) বা Quantity (পরিমাণ) -সূচক  হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তাদের বলা হয় Adverb of Degree বা Quantity বা Adverbs denoting Amount। 

Almost  (প্রায়), quite (সম্পূর্ণরূপে), entirely, fully, partly (আংশিকরূপে) , enougli (যথেষ্ট), pretty, rather, as, half as ইত্যাদি হল এই ধরনের Adverb ।

Example

(১) আমগুলি প্রায় পাকা— The mangoes are almost ripe. 

(২) আমার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে - My work is almost complete.

(৩) তোমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল- Your idea is entirely wrong.

(৪) তুমি যা বলেছ তা সম্পূর্ণ সত্যি- What you say  is quite true.


4. Emphasising Adverb : Too, only, even এই Adverb -গুলি শুধু পরবর্তী বা পূর্ববর্তী word টির ওপর জোর দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় বলে তাদের Eimpliasising Adverb বলা হয়।

Example

(১) সেও আমাকে ছেড়ে চলে গেল— He too left me . 

(২) শুধু সে - ই এসেছিল— Only he came. 

(৩) তুমিও আমাকে ছেড়ে গেলে— Even you left me. 

(৪) তােমাকেও ধন্যবাদ— Thank you too.


General Rules for the position of Adverb ( Adverb- এর অবস্থানের সাধারণ নিয়ম )

 1. Adverb সাধারণতঃ Intransitive verb- এর পরে বসে। যথা- 

(i) He comes late. 

(ii) We rise early. 

2. Transitive verb- এর Adverb সাধারণতঃ Object- এর পরে বসে। যথা- 

(i) He reads the book attentively. 

3. Adverb সাধারণতঃ Auxiliary Verb এবং Finite verb- এর মধ্যে বসে। যথাঃ 

(i) He is carefully examining the scripts. 

4. Adjective বা Adverb কে modify করে এমন Adverb, modifying Adjective বা Adverb- এর পুর্বে বসে । যথাঃ

 i) It is most beautiful .

 ii) He is moving very slowly.

 5. Always, seldom, never, often প্রভৃতি Adverb of time সর্বদা 'to be' ছাড়া অন্যান্য Verb এর পূর্বে বসে। যথা-

 (i) He never tells a lie. 

6. জোর বুঝানাের জন্য অনেক সময় Adverb বাক্যের প্রথমে বসে। যথাঃ 

(i) Surely, I shall meet you. 

(ii) Accidentally, we won the game.

<<<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>

 


Read More

Wednesday, 14 July 2021

সমাজ দর্শন: ধর্মের মার্কসীয় ব্যাখ্যা দাও।

Leave a Comment

 প্রশ্ন  “ধর্ম জনগণের আফিম” —এই উক্তিটি ব্যাখ্যা কর ও বিচার কর। এই প্রসঙ্গে ধর্ম জনজীবনের সঙ্গে কিভাবে সম্পর্কযুক্ত তা আলােচনা কর।

 অথবা, ধর্মের মার্কসীয় ব্যাখ্যা দাও।

 অথবা, ধর্মের সামাজিক ভূমিকা আলােচনা কর। 

( “Religion is the opium of People" — Explain and examine this statement. Show how religion is related to social life.) 

উত্তর“ধর্ম জনগণের আফিম" - এই উক্তিটি জার্মান দার্শনিক ও সমাজতত্ত্ববিদ কার্ল মার্কস - এর। তিনি মনে করেন, ধর্ম হল আফিম সেবনের অনুরূপ। আফিম সেবনে মানুষ যেমন নিস্তেজ হয়ে পড়ে, তার চিন্তাশক্তি যেমন স্তিমিত হয়ে যায়, সেইরূপ ধর্মের বাণীও মানুষকে নিস্তেজ করে দেয়, তার বিচারশক্তি হারিয়ে যায়। ধর্ম তার সত্য উপলব্ধির প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। 

ধর্ম যেন মুখােস, যা পরিধান করে শাসক তার শোষণ নীতি অব্যাহত রাখে। দরিদ্র জনগণকে নিপীড়নের জন্য সুবিধাবাদী শাসকগণ ঈশ্বরের কল্পনা করে। অসহায় দুর্বল মানুষকে ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব কল্পনা করতে বাধ্য করা হয়। পুরােহিতদের মাধ্যমে তাদের বােঝান হয় যে ইহজীবনের দুঃখকষ্ট তাদের কর্মফল, তাই ঈশ্বরের অভিপ্রেত। প্রতিবাদ না করে তারা যদি দুঃখ - কষ্ট মেনে নেয় তবে পরজীবনে ঈশ্বর তাদের পুরস্কৃত করবেন। 

ধর্মের প্রথম কথা হল মিথ্যা। ধর্ম নিপীড়নের হাতিয়ার। শাসকশ্রেণী অবাধে যাতে সর্বহারাদের শােষণ করতে পারে তারজন্য ধর্মকে তারা হাতিয়াররূপে গ্রহণ করে। ধর্মের মূলে আছে শোষণের গােপন পরিকল্পনা, ধনতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার এক অভিনব কৌশল। ধর্মের বাণী শােষিতদের নিস্তেজ করে দেয়, শােষকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার ক্ষমতা কেড়ে নেয়। ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় শ্রেণী - সংঘাত অনিবার্য। পুঁজিবাদীদের কাছে ধর্ম হয়ে ওঠে শ্রেণী - সংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার। এমন একদিন আসবে যখন এই শ্রেণী - সংগ্রামের অবসান হবে, নিপীড়িত জনগণ জয়ী হবে। ধর্মও সেদিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে। 

 সমালোচনা: বিভিন্ন কারণে ধর্ম সম্পর্কে মার্কসীয় অভিমত গ্রহণ করা যায় না। সমাজ - জীবনের উপর ধর্মের প্রভাব খুবই স্পষ্ট। ধর্ম সমাজ - সংহতির সহায়ক। মানুষকে মানুষের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করা ধর্মের প্রধান সামাজিক কাজ। একথা সত্য যে ধর্মের নামে সমাজে অনেক অধার্মিক বা অসামাজিক কাজ আজও ঘটছে। হিন্দু - মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত, মন্দির ধ্বংস, মসজিদ ধ্বংস প্রভৃতি কাজ আজও সমাজে লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এইগুলি হল স্বার্থান্বেষী মানুষের দ্বারা ধর্মের অপপ্রয়ােগ। এর জন্য ধর্মকে দায়ী করা উচিত নয়।

ধর্মের সামাজিক ভূমিকা: ধনতান্ত্রিক সমাজ - ব্যবস্থার উদ্ভবের ফলে ধর্মের উদ্ভব — একথা সত্য নয়। আদিম সমাজ ব্যবস্থায়ও ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আবার ধর্ম যে সার্বিকভাবে শােষণের হাতিয়ার একথা ঠিক নয়। উচ্চতর ধর্মে বা সর্বজনীন ধর্মে প্রেম, ভালবাসা, দয়া, প্রভৃতি মহৎ গুণগুলি প্রচার করা হয়। যথার্থ ধর্ম মানুষের আচরণকে সংযত করে, তাকে সহনশীল করে তােলে। পরস্পরকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে। অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রয়ােজনে সামাজিক বা অর্থনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ে তােলে। তাছাড়া অনেক মঙ্গলজনক ক্রিয়াকর্মকে ধর্ম উৎসাহিত করে। সামাজিক উন্নতি, সংস্কার, বিপ্লব প্রভৃতি মানুষের ধর্মীয় চেতনার জন্য ঘটে থাকে। সুতরাং সমাজ - জীবনে ধর্মের প্রয়ােজন নেই, একথা ঠিক নয় । ধর্মের মাধ্যমে বিশ্বশান্তির বাণী বিবেকানন্দ প্রচার করেছেন। সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য মানুষ ধর্মকে অলৌকিকতার সঙ্গে যুক্ত করে, ধর্মের প্রকৃত তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে না। যথার্থ ধর্ম মানুষকে উদার করে, তাকে নৈতিক শক্তি যােগায়। 

মার্কসবাদীদের ধর্মবিমুখতার অন্যতম কারণ হল তাদের জড়বাদী দৃষ্টিভঙ্গী। জড়বাদ অনুসারে জড় একমাত্র জগতের উপাদান, চেতনা জড়ের এক বিশেষ অবস্থা। কতকগুলি রাসায়নিক পদার্থের সংমিশ্রণের ফলে প্রাণের উদ্ভব। জগৎ স্রষ্টারূপে ঈশ্বরের কল্পনা নিরর্থক । কিন্তু জড়বাদ একমাত্র দার্শনিক মতবাদ নয়। হেগেলীয় দ্বন্দ্ববাদের মার্কসীয় ব্যাখ্যা সর্বজনস্বীকৃত নয়।

<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>

Read More

Sunday, 16 May 2021

পাশ্চাত্য দর্শন: দর্শনের আলোচ্য বিষয় বা পরিসর (Scope of Philosophy) আলোচনা করো.

Leave a Comment

 প্রশ্ন: দর্শনের আলোচ্য বিষয় বা পরিসর (Scope of Philosophy) আলোচনা করো.

উত্তর: 

দর্শনের আলােচ্য বিষয় বা পরিসর: দর্শনের আলােচ্য বিষয়গুলিকে নিয়েই দর্শনের পরিসর বা পরিধি। জড়, জীবন, ইন্দ্রিয়, মন, প্রাণ, জীবাত্মা, পরমাত্মা — সবই দার্শনিক আলােচনার বিষয়। 

এদিক থেকে দেখতে গেলে দর্শনের আলােচনার পরিধি বিরাট। সমগ্র জগই দর্শনের আলােচনার বিষয়। জগৎ সম্পর্কে ন্যায়সঙ্গত বিচার - বিশ্লেষণ করে, মানুষের জীবনের প্রকৃত মূল্যায়ন করে বিশ্বের সাথে তার সম্পর্ক নির্ণয় করা দর্শনের কাজ।  জনৈক পাশ্চাত্য দার্শনিক মন্তব্য করেছেন যে স্বর্গ ও মর্ত্যের এমন কোন  বিষয় নেই যা দার্শনিক আলােচনার গণ্ডীর বাইরে বা যা নিয়ে দার্শনিক অনুসন্ধান চালানাে যায় না। সমাজ, শিক্ষা, কলা, বিজ্ঞান, ধর্ম, নীতি, অহিংসা, শান্তি প্রভৃতি বিষয়সমূহের ওপরেও দার্শনিক ব্যাখ্যা এগিয়ে যেতে পারে। এখন দর্শনের আলোচ্য বিষয়বস্তুকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আলোচনা করা যেতে পারে।

(১) অবভাস সংক্রান্ত আলােচনা : বাহ্যজগতের প্রতিটি বস্তুর দুটি রূপ আছে। একটি হল ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য রূপ বা অবভাস এবং অপরটি হল বস্তুম্বরূপ। আমরা বস্তু বা বিষয়ের যে বাহ্যরূপ প্রত্যক্ষ করি সেটি হল বস্তুর অবভাস (Appearance)। বস্তুর এই অবভাস সংক্রান্ত আলােচনা করে রূপবিদ্যা বা প্রতিভাস বিজ্ঞান ( Phenomenology )। বস্তুত ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতার জগৎ তথা অবভাসিক জগৎ নিয়ে আলােচনা করতে গিয়ে দর্শনকে বিভিন্ন প্রতিভাস বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করতে হয়। এইসব সিদ্ধান্তকে বিচারবিশ্লেষণ করে তাদের সমন্বিত বা ঐক্যবদ্ধ করাই হল দর্শনের লক্ষ্য। 

(২) বস্তুম্বরূপ সংক্রান্ত বা অধিবিদ্যা বিষয়ক আলােচনা:  বস্তুর আসল রূপকে বলা হয় বস্তুস্বরূপ। প্রকৃতপক্ষে বস্তুর ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বা অবভাসিত রূপের অন্তরালে তার একটি প্রকৃত সত্তা (Reality) আছে, যাকে বাইরে থেকে আমরা দেখতে পাই না। বস্তুর এরূপ সত্তাই হল বস্তুসত্তা বা তত্ত্ব। অবভাস পরিবর্তনশীল কিন্তু বস্তুস্বরূপ নিত্য বা অপরিবর্তনীয়। দর্শনের অন্যতম শাখা হিসাবে অধিবিদ্যা (Metaphysics) বস্তুর স্বরূপ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলােচনা করে। অর্থাৎ জড়, প্রাণ, মন, আত্মা, ঈশ্বর, পরমসত্তা, দেশ, কাল, কার্যকারণ সম্পর্ক প্রভৃতির যথার্থ স্বরূপ সম্পর্কিত সমস্যাগুলির আলােচনা করে দর্শনের যে শাখা তার নাম অধিবিদ্যা। 

(৩) জ্ঞান সংক্রান্ত আলােচনা: দর্শনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জ্ঞান সম্পর্কিত আলােচনা। জ্ঞানের স্বরূপ, জ্ঞানের উৎস, জ্ঞানের সীমা, জ্ঞানের শর্ত, যথার্থ জ্ঞান আদৌ সম্ভব কিনা — এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলােচনা করে দর্শনের যে শাখা, তাকে বলা হয় জ্ঞানবিদ্যা ( Epistemology)। 

(৪) আদর্শ বা মূল্যের স্বরূপ বিষয়ক আলােচনা: মানবজীবনের মূল আদর্শ বা পরমমূল্য হিসাবে সত্য, শিব ও সুন্দরের আলােচনা করে যে শাস্ত্র, তাকে বলা হয় মূল্যবিদ্যা (Aviology)। সত্য বলতে চিন্তার আদর্শকে, ‘শিব’ বলতে মহৎ আচরণের আদর্শকে এবং ‘সুন্দর’ বলতে অনুভূতির আদর্শকে বােঝানাে হয়। দর্শন এই তিনটি পরমমূল্যের সাহায্যে পরম সত্তার স্বরূপ এবং জগৎ ও জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাগুলির মূল্য অবধারণ করে থাকে। কাজেই মূল্যবিদ্যা সংক্রান্ত আলােচনা দর্শনের বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। 

(৫) ধর্ম সম্পর্কিত আলােচনা: জীবনের সত্যকে যা ধারণ করে রাখে তাই হল ধর্ম। তাই ধর্ম সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল অপরিসীম। এই ধর্ম - বিষয়ক বিভিন্ন ধারণা যেমন — ঈশ্বর, ধর্মীয় চেতনা, আত্মার স্বরূপ, অমঙ্গল প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে যুক্তিগ্রাহ্য আলােচনা করে দর্শনের যে শাখা, তাকে বলা হয় ধর্মদর্শন। 

(৬) সমাজ বিষয়ক আলােচনা: সমাজবদ্ধ জীব হিসাবে মানুষ সামাজিক জীবনযাপনের জন্য বিভিন্নপ্রকার সংঘ, প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলে। সমাজের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলির স্বরূপ, বৈশিষ্ট্য, সামাজিক ভূমিকা প্রভৃতি আলােচনা করা দর্শনের কাজ। দর্শনের যে শাখায় এই বিষয়সমূহ আলােচিত হয়, তাকে বলা হয় সমাজদর্শন।

 (৭) রাষ্ট্রসম্পর্কীয় আলােচনা: দর্শনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসাবে রাষ্ট্রদর্শন রাষ্ট্রের উৎপত্তি, রাজনৈতিক আদর্শ, রাজনৈতিক ঘটনার মূল্যায়ন, শাসনব্যবস্থা, স্বাধীনতা, সাম্য, গণতন্ত্র প্রভৃতি প্রত্যয়গুলির বিশ্লেষণ ও অর্থ নির্ণয় করে। 

অবশেষে বলা যায়, আমরা যে জগতে বসবাস করি তা বিচিত্র রহস্যে ও বৈচিত্র্যপূর্ণ গতিতে ভরপুর। এই পরিদৃশ্যমান জগৎ নিয়ত পরিবর্তনশীল। তাই জগৎ সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতাও পরিবর্তনশীল। বিভিন্ন বিজ্ঞান এই সমস্ত অভিজ্ঞতার এক একটি দিক নিয়ে আলােচনা করে মাত্র। কিন্তু দর্শন আমাদের সামগ্রিক অভিজ্ঞতাকে তার আলােচ্য বিষয় সূচির অন্তর্ভুক্ত করে। অর্থাৎ , জগৎ ও জীবন সম্পর্কে মানুষের সামগ্রিক অভিজ্ঞতাও দর্শনের পরিধির অন্তর্ভুক্ত।

<<<<<<<<<<<<<<<<<The End>>>>>>>>>>>>>

Read More