Saturday, 6 September 2025

IgE (ইমিউনোগ্লোবুলিন E): কারণ, স্বাভাবিক মাত্রা, হোমিওপ্যাথি ও খাদ্যাভ্যাস

Leave a Comment

 


🧪 IgE (ইমিউনোগ্লোবুলিন E): কারণ, স্বাভাবিক মাত্রা, হোমিওপ্যাথি ও খাদ্যাভ্যাস


🔹 IgE কী?


IgE বা Immunoglobulin E হলো এক ধরনের অ্যান্টিবডি, যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন অ্যালার্জি বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু যখন এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়, তখন শরীরে নানা ধরনের অ্যালার্জি, হাঁপানি, চর্মরোগ বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়।



---


🔹 IgE বৃদ্ধির কারণ


1. অ্যালার্জি (Allergy): ধুলো, ধোঁয়া, পশুর লোম, কোকরোচ, ফাংগাস, পরাগরেণু।



2. খাদ্য অ্যালার্জি: দুধ, ডিম, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, চকোলেট।



3. শ্বাসযন্ত্রের রোগ: অ্যাজমা বা হাঁপানি।



4. ত্বকের সমস্যা: একজিমা, এটপিক ডার্মাটাইটিস, চুলকানি, আর্চিকেরিয়া।



5. পরজীবী সংক্রমণ: অন্ত্রের কৃমি বা অন্যান্য প্যারাসাইট।



6. জেনেটিক প্রবণতা: পরিবারে অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে।



7. দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ: সাইনোসাইটিস বা নাক-কান-গলার ইনফেকশন।



---


🔹 IgE এর স্বাভাবিক মাত্রা (Serum IgE Normal Range)


বয়স স্বাভাবিক মাত্রা (IU/mL)


শিশু (০ – ১ বছর) 0 – 15

১ – ৫ বছর 0 – 60

৬ – ৯ বছর 0 – 90

১০ – ১৫ বছর 0 – 200

প্রাপ্তবয়স্ক (≥১৬ বছর) 0 – 100 / 150 (ল্যাবভেদে ভিন্ন হতে পারে)


🔵 কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকতে পারে


যে ল্যাবে টেস্ট করা হচ্ছে তার মানদণ্ড অনুযায়ী ± কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।


অ্যালার্জি বা পরজীবী সংক্রমণ থাকলে এই মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে।


অনেক সময় IgE বেশি থাকলেও লক্ষণ না-ও থাকতে পারে, আবার কম থাকলেও অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।


---


🔹 IgE কমানোর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা


হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা মূলত রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। সাধারণত ব্যবহৃত কিছু ঔষধ—


Arsenicum Album: শ্বাসকষ্ট, রাত বাড়লে কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া।


Natrum Mur: ধুলা, রোদে অ্যালার্জি, হাঁচি, নাক বন্ধ।


Allium Cepa: পানির মতো সর্দি, হাঁচি, চোখ দিয়ে পানি পড়া।


Sabadilla: ঘন ঘন হাঁচি, নাক ও গলায় চুলকানি।


Sulphur: দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি, একজিমা, ত্বকের অ্যালার্জি।


Histaminum: যেকোনো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ায় কার্যকর।


Calcarea Carb: ঘনঘন ঠান্ডা লাগা ও অ্যালার্জিক প্রবণতা।


Psorinum / Tuberculinum: পুনঃপুন অ্যালার্জির ক্ষেত্রে গভীর চিকিৎসায়।



> ⚠️ ডোজ ও শক্তি (পটেন্সি) অবশ্যই অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করতে হবে।



---


🔹 খাদ্যাভ্যাস (Diet for IgE Control)


✅ যা খেতে হবে


তাজা শাকসবজি ও ফলমূল (যাতে অ্যালার্জি না হয়)


আদা, রসুন, হলুদ (প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি)


গরম জল, লেবু পানি


ওমেগা-৩ যুক্ত খাবার (ফ্ল্যাক্স সিড, মাছ – যদি অ্যালার্জি না থাকে)


ভাত, ডাল, সহজপাচ্য খাবার



❌ যা এড়িয়ে চলতে হবে


দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যদি অ্যালার্জি থাকে)


চিংড়ি, কাঁকড়া, সামুদ্রিক মাছ


ডিম, বাদাম, চকোলেট


জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার


ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম, কোমল পানীয়


---


🔹 উপসংহার


IgE মাত্রা বেড়ে গেলে অ্যালার্জি, হাঁপানি, চর্মরোগসহ নানান সমস্যা হতে পারে। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস, অ্যালার্জেন এড়ানো ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে IgE স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা সম্ভব।




If You Enjoyed This, Take 5 Seconds To Share It

0 comments: