Saturday, 6 September 2025

মূত্র পাথরী (Renal Calculi) ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

Leave a Comment

মূত্র পাথরী (Renal Calculi) ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


মূত্র পাথরী কী? (সংজ্ঞা)


কিডনি বা মূত্রনালীর ভেতরে খনিজ লবণ ও অপ্রয়োজনীয় পদার্থ জমে কঠিন স্ফটিক আকারে পাথর তৈরি হলে তাকে মূত্র পাথরী বলা হয়।



---


মূত্র পাথরী হওয়ার কারণ (হোমিও দৃষ্টিকোণ থেকে)


অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম, ইউরিক এসিড ও অক্সালেট জমা হওয়া


কম পানি খাওয়া, ডিহাইড্রেশন


ভিটামিন D ও প্রোটিন অতিরিক্ত গ্রহণ


প্রস্রাব দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা


ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন


বংশগত প্রবণতা


হরমোনজনিত অসামঞ্জস্য


অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস (লবণ, মাংস, চা, কফি)




---


মূত্র পাথরীর সাধারণ লক্ষণ


কোমর বা পিঠে তীব্র ব্যথা (Renal colic)


প্রস্রাবে জ্বালা ও কষ্ট


প্রস্রাবে রক্ত (Hematuria)


প্রস্রাব ঘোলা বা দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া


বমি বমি ভাব ও বমি


ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ


ব্যথা কুঁচকি বা যৌনাঙ্গে ছড়িয়ে পড়া




---


জটিলতা (চিকিৎসা না নিলে)


প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া


বারবার ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন


কিডনি ফোলাভাব (Hydronephrosis)


দীর্ঘমেয়াদে কিডনি ফেইলিউর




---


মূত্র পাথরী নির্ণয়ের হোমিওপ্যাথিতে প্রাসঙ্গিক পরীক্ষা


USG KUB – কিডনি, ইউরেটার, ব্লাডার পরীক্ষা


X-ray KUB – ক্যালসিয়াম স্টোন শনাক্ত


CT Scan (Non-contrast) – ছোট/লুকানো স্টোন নির্ণয়


Urine Routine & Microscopy – রক্ত, পুঁজ ও ক্রিস্টাল পরীক্ষা


Blood Test – ক্যালসিয়াম, ইউরিক এসিড ও ক্রিয়েটিনিন মাত্রা নির্ণয়




---


মূত্র পাথরীর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


Berberis vulgaris Q – বাঁদিকের কিডনি ব্যথা, প্রস্রাবের পর জ্বালা


Lycopodium 30/200 – ডান দিকের কিডনি ব্যথা, প্রস্রাবে লাল বালি


Cantharis 30 – প্রস্রাবে জ্বালা ও ঘন ঘন প্রস্রাব বেগ


Sarsaparilla 30 – প্রস্রাব শেষে প্রচণ্ড জ্বালা


Ocimum canum Q – ডান দিকের কিডনিতে পাথর, ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে


Hydrangea Q – ছোট ছোট স্টোন ভেঙে বের করতে সহায়ক




---


বায়োকেমিক চিকিৎসা (হোমিওপ্যাথির অংশ)


Calcarea fluorica 6x – পাথর গলাতে সহায়ক


Calcarea renalis 3x – কিডনি স্টোনে কার্যকর


Magnesium phosphoricum 6x – ব্যথা কমায়


Natrum phosphoricum 6x – ইউরিক এসিড স্টোনে উপকারী


Berberis vulgaris 3x – কিডনি ব্যথা ও পাথরে কার্যকর




---


খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন (হোমিও চিকিৎসার সহায়ক ব্যবস্থা)


যা খাওয়া উচিত ✅


প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল (৩–৪ লিটার)


শসা, তরমুজ, ডাবের জল 


কম অক্সালেট যুক্ত শাকসবজি


লেবু, কমলা, ভিটামিন সি যুক্ত ফল


বার্লি পানি



যা এড়ানো উচিত ❌


পালং শাক, কলাই, বাঁধাকপি


অতিরিক্ত দুধ, পনির, আইসক্রিম


লাল মাংস ও বেশি প্রোটিন


কফি, চা, সফট ড্রিংক


অতিরিক্ত লবণ ও ফাস্টফুড



👉 তবে মনে রাখতে হবে, ওষুধ নির্বাচন অবশ্যই অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শে করতে হবে।

---



If You Enjoyed This, Take 5 Seconds To Share It

0 comments: