অনুমান কাকে বলে? চার্বাক দর্শনে অনুমান প্রমাণ নয় কেন? এই মতক কি গ্রহণ যোগ্য? উত্তর এর সমর্থনে যুক্তি দাও।
উঃ
অনুমান: জ্ঞাত বিষয় থেকে ব্যাপ্তিজ্ঞানের ভিত্তিতে অজ্ঞাত নতুন বিষয়ের জ্ঞানকে অনুমান বলে। যে - কোনাে অনুমান প্রক্রিয়ায় তিনটি বিষয় থাকে — পক্ষ, সাধ্য ও হেতু। অনুমানের ক্ষেত্রে যে বিষয়টির অনুমান করা হয় বা যা প্রমাণ করতে চাওয়া হয় তাকে বলে সাধ্য। যে অধিকরণে (স্থলে) সাধ্য আছে কিনা এরূপ সংশয় থাকে, সেই অধিকরণকে পক্ষ বলে। আর যার সাহায্যে পক্ষে সাধ্যের অনুমান করা হয় সেই বিষয়টি হল হেতু।
উদাহরণস্বরূপ--
ওই পর্বতটি ধূমবান।
যেখানে যেখানে ধূম থাকে সেখানে সেখানে বহ্নি থাকে।
: . ওই পর্বতটি বহ্নিমান।
উক্ত অনুমানে ‘পর্বত’ হল পক্ষ, 'বহ্নি' হল সাধ্য এবং 'ধূম’ হল হেতু। এখানে ধূমের সঙ্গে বহ্নির অর্থাৎ হেতুর সঙ্গে সাধ্যের যে নিহত সহচার সম্পর্ক আছে তাকেই বলা হয় ব্যপ্তি। ব্যাপ্তি-জ্ঞান অনুমানের ভিত্তি।
অনুমান প্রমাণ খন্ডনে চার্বাকদের যুক্তি:
প্রথমতঃ অনুমান হল এমন এক মানসিক প্রক্রিয়া যার সাহায্যে আমরা জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হই। এক্ষেত্রে যে অনিশ্চয়তা আছে তা অস্বীকার করা যায় না। সুতরাং বলা যায়, অনুমান হল একপ্রকারের অন্ধকারে লাফ দেওয়ার প্রক্রিয়া, যথার্থ জ্ঞান লাভের প্রক্রিয়া নয়।
দ্বিতীয়তঃ অনুমানে ভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকে। চার্বাক দার্শনিকেরা বলেন, প্রত্যক্ষ যেমন স্পষ্ট জ্ঞান দেয়, অনুমান সেরূপ স্পষ্ট জ্ঞান দিতে পারে না। কেননা, অনুমান পরােক্ষ বা অন্য - নির্ভর জ্ঞান। প্রত্যক্ষ সংশয় ও বিপর্যয় - শূন্য জ্ঞান দেয়; অপরপক্ষে, অনুমান - প্রদত্ত জ্ঞান সংশয়মূলক, বিতর্কিত ও অনিশ্চিত। তাই সংশয়মূলক অনুমানকে যথার্থ প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা যায় না।
তৃতীয়তঃ অবরােহ অনুমান চক্রক দোযে (Fallacy of Petitio Principii) দুষ্ট। কেননা, অবরােহ অনুমানে সিদ্ধান্তটিকে পূর্ব থেকে প্রধান আশ্রয়বাক্যে স্বীকার করে নেওয়া হয়, যে প্রধান আশ্রয়বাক্যের যাথার্থ্য প্রমাণিত হয়নি। অবশ্য আরােহ অনুমানের লক্ষ্য হল- অবরােহ অনুমানের প্রধান আশ্রয়বাক্যের যথার্থ প্রমাণ করা। কিন্তু আরােহ অনুমানে প্রত্যক্ষ বিষয়কে ভিত্তি করে অপ্রত্যক্ষ বিষয়ের সামান্যীকরণ করতে হয়। সেজন্য আরােহ অনুমানে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা ও সন্দেহের অবকাশ থাকে।
চতুর্থতঃ যথার্থ ও বৈধ অনুমান গঠন করতে হলে আমাদের ব্যাপ্তিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করতে হয়। চার্বাক দার্শনিকেরা বলেন, ব্যাপ্তিজ্ঞান প্রত্যক্ষের মাধ্যমে অর্জন করা যায় না; অতএব অনুমান যথার্থ জ্ঞানের উৎস হতে পারে না। ব্যাপ্তিজ্ঞান বলতে কি বােঝায় সংক্ষেপে আলােচনা করা যাক। দূরে পাহাড়ে ধূম দেখে অনুমান করলাম যে সেখানে বহ্নি আছে। এই অনুমান নিশ্চিতভাবে সত্য হতে পারে যদি ধূম ও বহ্নির এই সম্বন্ধ থাকে যে, “যেখানে যেখানে ধূম আছে, সেখানে সেখানেই বহ্নি আছে।” ধূম আর বহ্নির এই নিয়ত সম্বন্ধকে দার্শনিক পরিভাষায় বলা হয় ব্যাপ্তি। ধূম থাকলেই বহ্নি থাকবে— অতীতেও যেখানে ধূম ছিল সেখানে বহ্নি ছিল, বর্তমানেও যেখানে ধুম আছে সেখানে বহ্নি আছে এবং ভবিষ্যতেও যেখানে ধূম থাকবে, বহ্নি থাকবে এই রকম নিঃসন্দিগ্ধ ব্যাপ্তিজ্ঞান যদি আমাদের হয়, তবেই আমরা কোন স্থানে ধূম দেখে নিশ্চিতভাবে অনুমান করতে পারি যে সেখানে বহ্নি আছে। চার্বাকদের মতে এরূপ নিঃসন্দিগ্ধ ব্যাপ্তিজ্ঞান প্রত্যক্ষের মাধ্যমে সম্ভব নয়। কারণ, বর্তমানে ধূমের সঙ্গে বহ্নির সহ - অবস্থানের সম্বন্ধ প্রত্যক্ষ করা গেলেও সুদূর অতীতে ও অনাগত ভবিষ্যতে ধূমের সঙ্গে বহ্নির এই সহ - অবস্থানের সম্বন্ধ প্রত্যক্ষ করা যায় না। অতএব অনুমান নিশ্চিত আনের উৎস হতে পারে না।
পঞ্চমতঃ কেউ কেউ বলতে পারেন, অনুমানের সাহায্যে ব্যাপ্তিজ্ঞান সম্ভব হয়। বহুক্ষেত্রে বহ্নিকে ধূমের সহচররূপে দেখেছি; এদের একত্র থাকার ব্যতিক্রম কোথাও দেখা যায়নি। এর ভিত্তিতে আমরা অনুমান করছি, ধুম ও বহ্নি একত্র থাকবেই। কিন্তু এভাবে ব্যাপ্তিজ্ঞান যদি অনুমানের ওপর নির্ভর করে, তাহলে ঐ অনুমান আবার ব্যাপ্তিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করবে এবং ঐ ব্যাপ্তিজ্ঞান আবার আর একটি অনুমানের ওপর নির্ভর করবে। এইভাবে অনুমানের পর অনুমান গঠন করেই চলতে হবে। ফলতঃ অনবস্থা দোষ (Fallacy of Infinite Regress) ঘটবে। প্রকৃতপক্ষে, যখন অনুমান প্রমাণ কিনা— এটাই বিচার্য বিষয়, তখন অনুমানের ওপর ভিত্তি করে ব্যাপ্তিজ্ঞান স্থাপন করা উচিত নয়।
যষ্ঠতঃ অনেকে বলতে পারেন, কোন বিশ্বস্ত মহাজ্ঞানী ব্যক্তির আপ্তবাক্য থেকে ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভ করা যেতে পারে। কিন্তু তাও গ্রহণযােগ্য নয়। কেননা, এরূপ ব্যক্তি সত্যিই বিশ্বাসযােগ্য কিনা তা জানার জন্য অনুমানের সাহায্য নিতে হয়। এক্ষেত্রে অনুমানটি হবে নিম্নরূপ:
বিশ্বস্ত মহাজ্ঞানী লােকেরা যা বলেন তা সন্দেহাতীত;
বিশ্বস্ত মহাজ্ঞানী লােকেরা বলেন, বহ্নি ও ধূমের নিয়ত সম্বন্ধ আছে।
: . বহ্নি ও ধূমের নিয়ত সম্বন্ধ(ব্যাপ্তি) সন্দেহাতীত।
সপ্তমতঃ চার্বাকগণ অনুমানের বিরুদ্ধে আরও আপত্তি তুলে বলেন যে, উপমানের দ্বারাও ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভ করা সম্ভব নয়। আমরা জানি, নৈয়ায়িকগণ উপমান নামে একটি স্বতন্ত্র প্রমাণ স্বীকার করেন। উপমান কাকে বলে বােঝার জন্য উপমানের বহুল প্রচলিত উদাহরণটি নেওয়া যাক। কোন একজন নগরবাসী মানুষ গরু দেখেছেন; কিন্তু গবয় বা নীলগাই দেখেননি। একদিন তিনি একজন অরণ্যবাসী ব্যক্তির কাছে জানলেন যে, গরুর সদৃশ পশুই হল গবয় (গােসদৃশ গবয়)। ঐ নগরবাসী ব্যক্তিটি একদিন অরণ্যে ভ্রমণ করার জন্য বের হলেন। তিনি অরণ্যে গিয়ে গরুর সদৃশ একটি প্রাণী প্রত্যক্ষ করলেন এবং বললেন— এই নতুন প্রাণীটি হল গবয় বা নীলগাই। এই সাদৃশ্যভিত্তিক জ্ঞানের উপায়কেই নৈয়ায়িকগণ উপমান বলেছেন। চার্বাকদের মতে উপমান স্বতন্ত্র প্রমাণ নয়। তারা বলেন, উপমান অনুমানেরই প্রকারভেদ। পরিচিত গরু এবং একটি অপরিচিত গবয়ের মধ্যে সাদৃশ্য প্রত্যক্ষ করার পর আমরা অনুমানের সাহায্যে বলি— অপরিচিত পশুটি হল গবয়। তাই চার্বাকগণ সিদ্ধান্ত করেন , উপমান যেহেতু স্বতন্ত্র প্রমাণ নয়, সেহেতু উপমানের দ্বারা ব্যাপ্তি - জ্ঞান অর্জনের প্রশ্নই ওঠে না।
অষ্টমতঃ ভাট্ট মীমাংসকগণ এবং অদ্বৈত বৈদান্তিকগণ অনুপলব্ধি নামে একটি প্রমাণ স্বীকার করেন। চার্বাকগণ বলেন, অনুপলব্ধির মাধ্যমেও ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভ সম্ভব নয়। ভাব বস্তুর (অর্থাৎ, অস্তিত্ব রয়েছে এমন বস্তুর) জ্ঞানের জন্য যেমন প্রত্যক্ষ, অনুমান প্রভৃতি প্রমাণ স্বীকার করা হয়, তেমনই বস্তুর অভাবের বা অনস্তিত্বের জ্ঞানের জন্য ভাট্ট মীমাংসকগণ এবং অদ্বৈত বৈদান্তিকগণ অনুপলব্ধি নামক স্বতন্ত্র প্রমাণ স্বীকার করেন।
‘ভূতলে (মেঝেতে) ঘট নেই’— আমরা অনেক সময় এই জাতীয় অবধারণ ব্যক্ত করি। প্রশ্ন হল কি উপায়ে আমরা ভূতলে ঘটাভাব জানতে পারি? এর উত্তরে ভাট্ট মীমাংসকগণ বলেন, প্রত্যক্ষ, অনুমান ইত্যাদি চিরাচরিত প্রমাণের মাধ্যমে বস্তুর অভাবের জ্ঞান সম্ভব নয়। বস্তুর অভাবের জ্ঞানের জন্য তাঁরা অনুপলব্ধি নামক স্বতন্ত্র প্রমাণ স্বীকার করেন। চার্বাক গন বলেন - অনুপলব্ধিকে যদি স্বতন্ত্র প্রমাণ হিসেবে স্বীকার করে নেওয়াও হয় , তাহলেও বলা যায় যে, অনুপলব্ধির মাধ্যমে কোন কিছুর অভাবের জ্ঞান লাভ সম্ভব হয়, ব্যাপ্তি - জ্ঞান লাভ সম্ভব নয়।
নবতমঃ অষ্টমত কেউ কেউ বলেন, কার্যকারণ সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে ব্যাপ্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়। এদের মতে, ধূম ও বহ্নির মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা গেলেই ধূম ও বহ্নির মধ্যে ব্যাপ্তি সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠা করা যায়। কিন্তু চার্বাকপন্থীরা এই অভিমত স্বীকার করেন না। চার্বাক মতে, কার্যকারণ সম্পর্ক হল অনিবার্য সম্পর্ক। আর অনিবার্যতাকে প্রত্যক্ষ করা যায় না। তাই কার্যকারণ সম্পর্কের দ্বারা ব্যাপ্তিজ্ঞান লাভ করা যায় না।
এই সকল কারণে চার্বাকগণ অনুমানকে প্রমাণ হিসাবে স্বীকার করেন না। অবশ্য পরবর্তীকালে যারা সুশিক্ষিত চার্বাক নামে পরিচিত তারা দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নির্বাহের প্রয়ােজনে কিছু অনুমানের প্রামাণ্য স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তবে তারা অতীন্দ্রিয় বিষয় সম্পর্কে অনুমান সমর্থন করেননি।
সমালােচনাঃ ভারতীয় অন্যান্য দর্শন সম্প্রদায়, বিশেষ করে জৈন দার্শনিকগণ অনুমান প্রমাণ - বিরােধী চার্বাকদের মতের তীব্র সমালােচনা করেছেন।
১) জৈন দার্শনিকগণ বলেন, চার্বাকরা যখন ঈশ্বর, আত্মা, স্বর্গ, পরলােক প্রভৃতি অতীন্দ্রিয় সত্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন তখন তারা অনুমানের সাহায্য নিয়েই এরূপ সিদ্ধান্ত করেন। এক্ষেত্রে চার্বাকদের অনুমান প্রক্রিয়াটি হল :
যা কিছু প্রত্যক্ষগ্রাহ্য কেবল তাদের অস্তিত্ব আছে।
আত্মা ঈশ্বর প্রভৃতি প্রত্যক্ষগ্রাহ্য নয়।
. : আত্মা ঈশ্বর প্রভৃতির অস্তিত্ব নেই।
২) চার্বাকদের বিরুদ্ধে জৈনরা আরও অভিযােগ করে বলেন যে, যদি চার্বাকদের প্রশ্ন করা হয় প্রত্যক্ষকে কেন একমাত্র প্রমাণ বলা হবে — তাহলে হয় তারা নীরব থাকবেন অথবা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাবেন। যদি তারা নীরব থাকেন তাহলে তাদের বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত হবে না। আর যদি তারা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দেন তাহলে প্রকারান্তরে তারা অনুমানকে প্রমাণরূপে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হবেন।
3) অনুমান প্রমাণ স্বীকার না - করলে সমস্ত প্রকার আলােচনা, তর্ক, বিতর্ক এবং ব্যবহারিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়বে। যেমন — বিদেশে স্থিত কোনাে ব্যক্তির প্রত্যক্ষের অভাবে তাকে মৃত বলে ধরে নিতে হবে। কিন্তু অনুমান করে নিতে হয় যে তিনি জীবিত আছেন।
৪) নৈয়ায়িক উদয়নাচার্য চার্বাকদের অনুমান সম্পর্কিত মতের সমালােচনা করে বলেন, চার্বাকরা যখন ভবিষ্যতের কথা বলেন, তখন তারা সেই ভবিষ্যৎকে কীভাবে জানেন? প্রত্যক্ষের দ্বারা নিশ্চয়ই ভবিষ্যৎকে জানা যায় না। কাজেই, স্বীকার করতে হয় যে, ভবিষ্যৎকে জানতে গেলে অনুমানের সাহায্য নিতেই হয়।
৫) অনুমানলব্ধ জ্ঞান পরােক্ষ ও অস্পষ্ট বলে চার্বাকরা অনুমানকে অযথার্থ বলেছেন। কিন্তু জৈনদের মতে, প্রত্যক্ষ জ্ঞানও ইন্দ্রিয়নির্ভর হওয়ার জন্য পরােক্ষ জ্ঞান হয়। কাজেই, অনুমানলব্ধ জ্ঞান পরােক্ষ বলে অযথার্থ হলে প্রত্যঙ্গলব্ধ জ্ঞানকেও অযথার্থ বলতে হবে।
৬) যে সকল যুক্তির সাহায্যে চার্বাকগণ অনুমান ও শব্দকে প্রমাণরূপে অস্বীকার করেছেন সেই একই যুক্তির সাহায্যে প্রত্যক্ষকেও প্রমাণরূপে গ্রহণ করা যাবে না। কেননা, অনুমান ও শব্দের মতাে প্রত্যক্ষলব্ধ জ্ঞানও অনেক সময় ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়। যেমন — রজ্জুতে সর্পভ্রম। কাজেই, অনুমানকে প্রমাণ হিসাবে অস্বীকার করলে প্রত্যক্ষকেও প্রমাণ বলা যাবে না।
Google translation:
What is Anumana? Why is Anumana not Pramana in Carvaka philosophy? Is this opinion acceptable? Argue in support of the answer.
Anumana: Anumana is the knowledge of an unknown new subject on the basis of baptism from a known subject. That - there are three things in the conjecture process - pros, cons and reason. In the case of conjecture, it is possible to say what is inferred or what is sought to be proved. The tribunal in which there is such doubt as to whether it is feasible is called a party. And the reason with which it is estimated that the cause is possible is the cause.
For example--
That mountain is smoky.
Where there is smoke, there is smoke.
:. That mountain is flowing.
In that conjecture ‘mountain’ is the side, ‘bahni’ is the possible and ‘dhoom’ is the cause. Here, the relation between smoke and bahni, that is, the cause of death, is called range. Scope-knowledge is the basis of conjecture.
Charbak's argument in refuting the hypothesis:
First of all, conjecture is a mental process by which we move from the known truth to the unknown truth. The uncertainty in this case cannot be denied. So it can be said that conjecture is a process of jumping into a kind of darkness, not a process of gaining accurate knowledge.
Second, there is the possibility of error in conjecture. Charbak philosophers say that as direct knowledge gives clear knowledge, conjecture cannot give such clear knowledge. Because, conjecture is indirect or other - dependent knowledge. Direct doubt and catastrophe - gives zero knowledge; Conjecture, on the other hand, is skeptical, controversial, and uncertain. So skeptical assumptions cannot be taken as just proof.
Thirdly, the Fallacy of Petitio Principii is evil. For, in the assumption of Abrahah, the decision is accepted from the East in the main asylum, which has not proved the validity of the main asylum. However, the goal of the Ara'ah conjecture is to prove the main premise of the Ara'ah conjecture. But in Araeh's conjecture one has to generalize the indirect subject based on the direct subject. That is why there is enough room for uncertainty and doubt in Araeh's conjecture.
Fourth, we need to rely on baptism in order to make accurate and valid assumptions. Charbak philosophers say that baptism cannot be achieved directly; Therefore conjecture cannot be a source of accurate knowledge. Let us briefly discuss what is meant by baptism. Seeing the smoke in the distant mountains, I guessed that there was a bahni. This assumption can certainly be true if there is a relation between smoke and bahni that "where there is smoke, there is bahni." This constant relation of smoke and smoke is called range in philosophical terms. If there is smoke, there will be fire: in the past, where there was smoke, there will be fire, now there is smoke, there will be fire, and in the future, where there will be smoke, there will be fire. . According to the Charbaks, such an undoubted baptism is not possible through direct observation. This is because, although the relation of co-position of smoke with smoke can be seen at present, the co-position of co-position of smoke with smoke in the distant past and in the future cannot be observed. Therefore, conjecture cannot be a sure source of income.
Fifth, some may say that baptism is possible with the help of conjecture. In many cases I have seen Bohni as a companion of smoke; The exception of their being together was not seen anywhere. On this basis, we assume that Dhoom and Bohni will be together. But if baptism thus relies on conjecture, then that conjecture will again depend on baptism and that baptism will again depend on another conjecture. In this way, after the assumption, the assumption must be formed. As a result, Fallacy of Infinite Regress will occur. In fact, baptism should not be based on conjecture when it comes to guessing.
As many may say, baptism can be obtained from the revelation of a faithful sage. But that too is not acceptable. Because, to know whether such a person is really credible, one has to take the help of conjecture. In this case the estimate will be as follows:
What the faithful sages say is beyond doubt;
The faithful sage Lakera said that there is a definite relationship between bahni and dhoom.
:. The definite relation (range) of smoke and smoke is undoubted.
Seventh, the Charvakas further objected to the hypothesis, saying that it was not possible to gain baptism even by analogy. As we know, logicians accept a unique proof called analogy. Let's take the most common example of analogy to explain what an analogy is. One of the townspeople saw cows; But did not see the cow or the nilgai. One day he learned from a forest dweller that a cow-like animal is a cow (cow-like cow). The man from the city went out for a walk in the forest one day. He went to the forest and saw an animal resembling a cow and said: This new animal is a cow or a nilgai. The logicians call this analogous way of knowledge analogy. According to Charbak, analogy is not a separate proof. They say that analogy is a type of conjecture. After observing the resemblance between a familiar cow and an unfamiliar cow, we say by conjecture: The unfamiliar animal is the cow. The Charvakas therefore conclude that since analogy is not a separate proof, there is no question of acquiring knowledge by analogy.
Eighth, the Bhatta Mimansakas and the Advaita Vedantics accept a proof called unattainable. The Charbaks say that it is not possible to gain baptism even through non-realization. Just as evidence for direct knowledge, conjecture, etc. is accepted for the knowledge of the object of thought (i.e., the thing that exists), so for the knowledge of the lack or non-existence of matter, the Bhatta theologians and the Advaita Vedantics accept the separate evidence for unavailability.
‘There are no pots on the floor’ - we often express this kind of assumption. The question is in what way can we know what happened on the ground? In reply to this, the Bhatt critics said that knowledge of the absence of matter is not possible through conventional evidence such as direct, conjecture, etc. For the knowledge of the lack of objects, they accept the unique evidence called unavailability. Charbak Gon says that even if the unattainable is accepted as a separate proof, it can be said that it is possible to gain knowledge of the lack of something through the unattainable, it is not possible to gain the knowledge of scope.
Ninth: Eighth Some say that scope can be established on the basis of causal relationship. According to them, the causal relationship between smoke and smoke can only be established by establishing a causal relationship between smoke and smoke. But the Charbakists do not accept this view. According to Charbak, causal relationships are inevitable relationships. And inevitability cannot be perceived. So baptism cannot be gained by causal relationship.
For all these reasons the Charvakas do not accept conjecture as evidence. However, those who later came to be known as the well-educated Charbaks accepted the evidence of some conjecture in the necessity of daily life. However, they did not support speculation about the supernatural.
Criticism: Other Indian philosophical communities, especially Jain philosophers, have sharply criticized the views of anti-Charbakas.
1) Jain philosophers say that when the Charvakas deny the existence of God, the soul, the heavens, the afterlife, etc., they make such a decision with the help of conjecture. In this case, the process of guessing Charbak is:
All that is perceptible is their existence.
The soul is not perceptible to God etc.
. : Soul God etc. does not exist.
2) The Jains further complained against the Charbakas, saying that if the Charbakas were asked why the eyewitness would be called the only evidence - then they would either remain silent or argue in favor of their statement. If they remain silent, their statement will not be established. And if they argue in favor of their statement, then they will be forced to accept the conjecture as evidence.
3) Do not accept conjectural evidence - all kinds of discussions, arguments, debates and practical life will be useless. For example, a person living abroad should be considered dead due to lack of direct contact. But one has to assume that he is alive.
4) The logical Udayanacharya criticizes the Charbakas' assumptions and says, "When the Charbakas speak of the future, how do they know the future?" The future is certainly not known by direct observation. So, we have to admit that to know the future, we have to take the help of conjecture.
5) The Charbakars have called the conjecture unreal as the knowledge gained is implicit and vague. But according to the Jains, direct knowledge is also indirect knowledge to be sense dependent. Therefore, if the inferred knowledge is untrue as perceptual, then the perceived knowledge must also be called untrue.
7) The same argument by which the Charbakas have rejected conjecture and word as evidence cannot be accepted as evidence. Because, according to conjecture and word, perceived knowledge is often proved wrong. For example - snake delusion on the rope. Therefore, if the conjecture is denied as evidence, the eyewitness cannot be called evidence either.
0 comments:
Post a Comment