পরিণমন বলতে কি বোঝ? পরিণমনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
উঃ
পরিণমন: স্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধির সঙ্গে যে পরিবর্তন হয় তাকে পরিণমন বলে।
পরিণমন বলতে সেই সব আচরণের পরিবর্তনকে বোঝায় যা কোনো রকম অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে ঘটে এবং যেগুলির জন্য কোন অনুশীলনের দরকার হয়না। যেমন, বিশেষ একটি বয়স হলে শিশুর মাংসপেশী শক্ত হয় এবং সে হাঁটতে শেখে। কিন্তু এই বয়সে তাকে সাইকেল চালানো শেখানো যাবে না। কোন শিখন কৌশল অবলম্বন করেও তা সম্ভব নয়।
পরিণমনের বৈশিষ্ট্য: পরিণমনে নিম্নলিিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি পরিলক্ষিত হয়়।
(১) বিকাশের প্রক্রিয়া: পরিণমন শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধির সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেখা দেয়। শিশুর হাঁটা শেখা তার পরিণমনের ফল।
(২) স্বাভাবিক প্রক্রিয়া: পরিণমনের জন্য অতীত অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। তাই মনোবিদগণ একে স্বাভাবিক বিকাশের প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করেন।
(৩) জৈবিক বিকাশ: পরিনমন মূলত ব্যক্তির জীবনের উপর নির্ভরশীল। ব্যক্তির জৈবিক কেন্দ্রের বিকাশে কোন ত্রুটি থাকলে তার পরিণমনলব্ধ আচরণও ত্রুটিপূর্ণ হয়।
(৪) অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া: পরিণমন সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া। বাহ্যিক পরিবেশের উপাদানের দ্বারা প্রভাবিত নয়।
(৫) দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া: পরিণমন মূলত বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তির দৈহিক ক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে।
(৬) সর্বজনীন: প্রতিটি বয়ঃস্তরে প্রতিটি ব্যক্তির প্রায় একই রকমের পরিণমন ঘটতে দেখা যায়।
(৭) সীমাবদ্ধ: মাতৃগর্ভে ভ্রূণ সঞ্চারের সময়ে আরম্ভ হয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ে পরিণমনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
1 comments:
খুব সহজ সরল ভাষায় লেখা,পড়তে সুবিধা হলো
Post a Comment