প্রশ্ন: মুদালিয়র কমিশন ও কোঠারি কমিশন প্রস্তাবিত পাঠ্যক্রমের পার্থক্য কর। ৫ নম্বর
উত্তর: মুদালিয়র কমিশন ও কোঠারি কমিশন প্রস্তাবিত পাঠ্যক্রমের পার্থক্য:
১) মুদালিয়র কমিশনের নবম শ্রেণি থেকে বিশেষীকৃত শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপরদিকে, কোঠারি কমিশনে একাদশ শ্রেণী থেকে বিশেষীকৃত শিক্ষার সংস্থান রয়েছে।
২) মুদালিয়র কমিশনে পাঠ্যক্রমে বিষয়গুলিকে মানবীয় বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ, কারিগরি বিভাগ, কৃষি বিভাগ, বাণিজ্য, চারুকলা বিভাগ ও গার্হস্থ্যবিজ্ঞান বিভাগ - এই সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অপরদিকে কোঠারী কমিশনে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত ঐচ্ছিক বিষয়গুলিকে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়নি। শিক্ষার্থীর স্বাধীনভাবে যেকোন বিষয় নির্বাচন করার অধিকার আছে।
৩) মুদালিয়র কমিশনে পাঠ্যক্রমের একটি সুনির্দিষ্ট সংগঠিত রূপ রচনা করা হয়েছে। কিন্তু কোঠারি কমিশনে পাঠ্যক্রমের একটি খসড়া কাঠামো ও কতগুলি নীতি প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।
৪) মুদালিয়ার কমিশনে হস্তশিল্পকে আংশিকভাবে অবশ্যিক করা হয়েছে। কিন্তু কোঠারি কমিশনে কর্ম অভিজ্ঞতাকে সর্বশেষ পর্যায় পর্যন্ত আবশ্যিক করা হয়েছে।
৫) কোঠারি কমিশনে সহপাঠ ক্রমিক কার্যাবলীকে সুনির্দিষ্টভাবে স্থাপন করা হয়নি। কিন্তু কোঠারি কমিশনে সমাজসেবা, শারীর শিক্ষা ইত্যাদিতে আবশ্যিক করা হয়েছে।
৬) মুদালিয়র কমিশনে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষাকে পাঠক্রমে স্থান দেওয়া হয়নি। কিন্তু কোঠারী কমিশনে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
<<<<<>>>>>
0 comments:
Post a Comment